শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বঙ্গবন্ধু

বাইগার নদীর কোলঘেঁষে সবুজ শ্যামল গাঁ টুঙ্গিপাড়া

কোকিল দোয়েল ঘুঘু ডাহুকের ধ্বনিতে মুখরিত;

প্রকৃতিতে সাজসাজ রব; দক্ষিণা সমীরণে আগমনী বারতা

মহানায়কের আবির্ভাব ঘটবে বলে চারদিকে পড়ল সাড়া।

উনিশশো বিশ খ্রিষ্টাব্দের সতেরই মার্চের রাতে;

ঝলমলে আলো ছড়িয়ে মা সায়েরা খাতুনের কোলজুড়ে

এলো এক দেবশিশু পৃথিবীর বুকে।

আকাশে বাতাসে হর্ষধ্বনি, নদীর স্রোতের মতো

বহে আনন্দের ফলগুধারা।

খুশিতে আটখানা নানা শেখ আবদুল মজিদ

বললেন, শোন শেখ লুৎফর রহমান-

তোমার ছেলের নাম হবে শেখ মুজিবুর রহমান।

দাদা বোরহানউদ্দিন বললেন, ঠিক আছে, ঠিক আছে!

আমি ডাকব কিন্তু খোকা বলে।

বিস্ময়কর বালক সেই খোকা হাঁটি হাঁটি-

পা পা করে এগিয়ে চলল পৃথিবীর পথে।

প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নিতে ছুটতে হলো

এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে। গিমাডাঙ্গা স্কুল;

গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুল, মাদারিপুরে ইসলামিয়া

স্কুলের গন্ডি পেরুতে না পেরুতেই ‘বেরিবেরি’ রোগ

তার পথচলাকে থমকে দিল। কিন্তু তাকে রোখার সাধ্য কার?

বুকে আছে কঠিন মনোবল যার!

আরোগ্যলাভের পর এবার ভর্তি করা হলো গোপালগঞ্জ

মিশনারি স্কুলে। এখানেই রাজনীতির হাতে খড়ি;

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় এক কর্মী।

বিয়াল্লিশে ম্যাট্রিকুলেশন, চুয়াল্লিশে কলকাতা

ইসলামিয়া কলেজ থেকে আইএ;

সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরে রাজনীতির অঙ্গনে পদচারণা,

দেশভাগের আন্দোলন আর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা-বিরোধী

সভা-সমাবেশ মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ-

নির্ধারণ করে তার রাজনীতির আসন।

 

সাতচল্লিশে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী

নিতে নিতেই বেজে ওঠে দেশভাগের ঘণ্টা!

মুজিব মনে মনে বললেন, আর নয় কলকাতা;

এবার ফিরতে হবে ঢাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হয়েই-

ছাত্রলীগ গঠনে মনোযোগ দিলেন;

সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীনরা সঙ্গী হলেন।

হঠাৎ একদিন খবর এলো, দেশে ফিরেছেন

মওলানা ভাসানী, আছেন সন্তোষে।

ছুটে গেলেন মুজিব মহাউচ্ছ্বাসে।

বললেন মনের কথা, মুসলিম লীগ সেকেলে, চাই প্রগতিশীলধারা;

তরুণ নেতার কথা শুনে স্থির মওলানা। কী করা যায়!

ভাবতে ভাবতেই বললেন, উত্তম প্রস্তাব; আছি আমি

থাকবে অনেকেই- মুসলিম লীগে ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তার যারা।

 উদ্বেলিত মুজিব এবার ছুটলেন জেলায় জেলায়

নতুন দল গঠনের উদ্দেশ্য বোঝালেন।

মওলানা ভাসানী, শামসুল হকের নেতৃত্বে

আওয়ামী মুসলিম লীগ গড়ে তুললেন।

এবার পাকিস্তানি শাসকদের রাষ্ট্রভাষাকে উর্দু

করার চক্রান্ত রুখে দিতে মাঠে নামলেন;

বললেন, বাংলাকে করতে হবে রাষ্ট্রভাষা!

সেই ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল

দেশের আনাচে কানাচে। দাবি উঠল সর্বত্র।

রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, মানতে হবে-মেনে নাও।

পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে-

রাজপথে মিছিল বের করা হলো।

মিছিলের পুরোভাগে শামসুল হক ও মুজিব

অতঃপর গ্রেপ্তার হয়ে জেলে।

আর তাতেই বাঙালি গেলো ক্ষেপে!

গভর্নর জেনারেল জিন্নাহ ছুটে এলেন ঢাকায়-

সভা ডেকে বললেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।

উত্তেজিত জনতা তীব্র কণ্ঠে বলল, নো নো নো!

বাহান্নতে তুমুল আন্দোলনের এক পর্যায়ে রক্ত ঝরলো রাজপথে,

সালাম বরকত রফিক শফিক জব্বারের রক্তের আখরে

লেখা হলো ‘‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ নাম।

উর্দুপ্রেমী পাকিস্তানী শাসকদের আঁতে ঘা লাগল তাতে;

বাঙালির ওপর শোষণ নিপিড়নের মাত্রা

দিনকে দিন বাড়তেই থাকল।

কারণে অকারণে শেখ মুজিব ও তার দলের

নেতাদের করলো জেলে আবদ্ধ;

রাজনীতি রাখলো সীমাবদ্ধ।

এরমধ্যে ঘটলো আরেক অস্বাভাবিক ঘটনা!

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর আকস্মিক মৃত্যুর পর-

মসনদে বসলেন লিয়াকত আলী খান।

দৃশ্যপটে এলেন জেনারেল আইয়ুব খান।

বিধির কী লীলা!

এবার শুরু হলো পাক-সেনাদের খেলা।

পূর্ববাংলা বলল, মানি না; মানবো না-

তোমাদের ওই সেনাশাসন!

আমরা হলাম বীরের জাতি; উপড়ে ফেলব দুঃশাসন।

আইয়ুব বললেন, দাঁড়াও; তোমাদের দেখাচ্ছি মজা!

ডান্ডা মেরে করবো ঠান্ডা।

শুধু কী তাই! শিল্প কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেবো না কিছুই-

পূর্ববাংলায়; পাট বেঁচার টাকায় ইসলামবাদ গড়বো,

পশ্চিম পাকিস্তানিদের চাকরি দেবো।

ভেতো বাঙালি ভাতে মরবে; বুঝতে তখন কে আমি?

আমি হলাম ফিল্ড মার্শাল মানুষটা বড় দামি!

পাশে আছেন অনেক গুণীজন, আছেন মওলানা ভাসানী;

আমি কি আর কাউকে মানি?

জেলে বসে মুজিব আঁকলেন ছয় দফার পরিকল্পনা-

ছিষট্টিতে মানুষ পেল স্বাধীকারের ঘোষণা।

সমর্থনে বাঙালিরা গর্জে উঠল রাজপথে-

জ্বালো জ্বালো! আগুন জ্বলো!

আইয়ুব খানের মসনদে।

বেসামাল ওই শাসকেরা এবার; মামলা দিল ষড়যন্ত্রের-

বলল, মুজিব আগরতলায় বসে প্ল্যান করেছে সরকার উৎখাতের।

হয়েছে সে রাষ্ট্রদ্রোহী! মৃত্যুদণ্ড ঠেকায় কে?

মুজিব বললেন, বাঙালি আছে আমার সঙ্গে-

রাখে আল্লাহ মারে কে?

উনসত্তুরে পতন হলো আইয়ুব খানের, মসনদে এবার ইয়াহিয়া-

একই পথের পথিক তিনি; দিলেন সামরিক ঘোষণা!

রাজনীতি হলো স্থগিত, নেতারা হলেন বন্দী-

এটাই নাকি ইয়াহিয়ার নতুন কোনো ফন্দি।

শিগগিরই তিনি নির্বাচন দেবেন, ফিরবেন গণতন্ত্রে

মানুষ তাকে সেল্যুট দেবে মজবে তারই মন্ত্রে।

সত্যিই একদিন নয়া প্রেসিডেন্ট জাতির সামনে

হাজির হলেন; ঘোষণা দিলেন নির্বাচনের-

বাজলো দামামা পূর্ববাংলায়, ভুট্টো মিয়ার দুশ্চিন্তা!

বললেন হেঁকে; হারলে আমি জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে-

এই কথাতেই ক্ষেপছে মানুষ! বলল, ভোট দেবে মুজিবররে।

তাই হলো ভাই তাই হলো!

সত্তুরের নির্বাচনে-

আওয়ামী লীগের জয় হলো!

খবর পেয়ে বসলেন মদের বোতল নিয়ে ইয়াহিয়া-

বললেন গোয়েন্দাদের ডেকে, এ কী হলো মিয়া!

আমও গেলো ছালাও গেলো! এখন কী যে করি আমি!

বাহানা ছাড়া উপায় নাই!

ভুট্টো বললেন, একদম তাই।

মুজিব দিলেন হুঙ্কার! সাতই মার্চের ঘোষণা-

প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, চাই দেশের স্বাধীনতা।

ইয়াহিয়া বললেন, কয় কী ব্যাটা!

সাহস তো তার কম না!

প্রহসনের আলোচনায় ঢাকায় এলেন ইয়াহিয়া-ভুট্টো-

শেখ সাহেব জানতেন, এটা সময়ক্ষেপনের সূতো।

পঁচিশ মার্চের কাল-রাতে হানাদারবাহিনীর বর্বরোচিত

হামলা চালাল নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষের ওপর;

বিধ্বস্ত হলো ঢাকা শহর; রক্তে ভাসল রাজপথ;

গ্রেপ্তার হলেন শেখ মুজিব; বাঙালি নিল যুদ্ধের শপথ।

একাত্তরে টানা নয় মাসের যুদ্ধের পর-

বাঙালি পেল স্বাধীন ভূখণ্ড; আর

বিশ্ব মানচিত্রে স্থান হল বাংলাদেশের।

বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন বঙ্গবন্ধু

বললেন, এবার দেশকে সোনার বাংলায়

পরিণত করবো ভাই;

সবার আমি সহযোগিতা চাই।

হায়েনাদের আড়ালে বসে মুচকি হাসে-

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কুচক্রীমহল একসঙ্গে বসে-

বঙ্গবন্ধু সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে-

তারা কৌশলে সরকারের অন্দরমহলে ঢুকে পড়ে।

জাসদের গণবাহিনী ও পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি

দেশের সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম করে।

তারপর সেই ষড়যন্ত্রের জাল ধীরে ধীরে-

ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরের বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে।

পনের আগস্টের কালরাতে হায়েনাদের নির্মমতার

শিকার হন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার।

জাতির জনকের রক্তের ধারা সিঁড়ি বেয়ে-

নেমে আসে রাজপথে;

রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকা-

যেন আরেক কারবালা!

শোকে স্তব্ধ হয় নগরীর গাছপালা তরুলতা-

হতবিহ্বল মানুষের মাতম ওঠে চারদিকে;

সেই মাতম ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে

দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের দরবারে।

পিতাকে হত্যার দায়ে কলঙ্কিত হলো বাঙালি-

বিশ্ববাসী বলল, তোমার বিশ্বাসঘাতক জাতি!

ক্ষমা করো পিতা; ক্ষমা করো!

বাঙালি তোমায় ভুলবে না কোনোদিন;

একদিন শোধ দেবো তোমার রক্তের ঋণ।

এই দেশ যতদিন থাকবে,

ততদিনই তোমার রক্ত বহমান থাকবে-

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

 

 

 

রচনাকাল : ১৩ আগস্ট ২০২১।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত