শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বঙ্গবন্ধু

বাইগার নদীর কোলঘেঁষে সবুজ শ্যামল গাঁ টুঙ্গিপাড়া

কোকিল দোয়েল ঘুঘু ডাহুকের ধ্বনিতে মুখরিত;

প্রকৃতিতে সাজসাজ রব; দক্ষিণা সমীরণে আগমনী বারতা

মহানায়কের আবির্ভাব ঘটবে বলে চারদিকে পড়ল সাড়া।

উনিশশো বিশ খ্রিষ্টাব্দের সতেরই মার্চের রাতে;

ঝলমলে আলো ছড়িয়ে মা সায়েরা খাতুনের কোলজুড়ে

এলো এক দেবশিশু পৃথিবীর বুকে।

আকাশে বাতাসে হর্ষধ্বনি, নদীর স্রোতের মতো

বহে আনন্দের ফলগুধারা।

খুশিতে আটখানা নানা শেখ আবদুল মজিদ

বললেন, শোন শেখ লুৎফর রহমান-

তোমার ছেলের নাম হবে শেখ মুজিবুর রহমান।

দাদা বোরহানউদ্দিন বললেন, ঠিক আছে, ঠিক আছে!

আমি ডাকব কিন্তু খোকা বলে।

বিস্ময়কর বালক সেই খোকা হাঁটি হাঁটি-

পা পা করে এগিয়ে চলল পৃথিবীর পথে।

প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নিতে ছুটতে হলো

এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে। গিমাডাঙ্গা স্কুল;

গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুল, মাদারিপুরে ইসলামিয়া

স্কুলের গন্ডি পেরুতে না পেরুতেই ‘বেরিবেরি’ রোগ

তার পথচলাকে থমকে দিল। কিন্তু তাকে রোখার সাধ্য কার?

বুকে আছে কঠিন মনোবল যার!

আরোগ্যলাভের পর এবার ভর্তি করা হলো গোপালগঞ্জ

মিশনারি স্কুলে। এখানেই রাজনীতির হাতে খড়ি;

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় এক কর্মী।

বিয়াল্লিশে ম্যাট্রিকুলেশন, চুয়াল্লিশে কলকাতা

ইসলামিয়া কলেজ থেকে আইএ;

সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরে রাজনীতির অঙ্গনে পদচারণা,

দেশভাগের আন্দোলন আর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা-বিরোধী

সভা-সমাবেশ মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ-

নির্ধারণ করে তার রাজনীতির আসন।

 

সাতচল্লিশে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী

নিতে নিতেই বেজে ওঠে দেশভাগের ঘণ্টা!

মুজিব মনে মনে বললেন, আর নয় কলকাতা;

এবার ফিরতে হবে ঢাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হয়েই-

ছাত্রলীগ গঠনে মনোযোগ দিলেন;

সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীনরা সঙ্গী হলেন।

হঠাৎ একদিন খবর এলো, দেশে ফিরেছেন

মওলানা ভাসানী, আছেন সন্তোষে।

ছুটে গেলেন মুজিব মহাউচ্ছ্বাসে।

বললেন মনের কথা, মুসলিম লীগ সেকেলে, চাই প্রগতিশীলধারা;

তরুণ নেতার কথা শুনে স্থির মওলানা। কী করা যায়!

ভাবতে ভাবতেই বললেন, উত্তম প্রস্তাব; আছি আমি

থাকবে অনেকেই- মুসলিম লীগে ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তার যারা।

 উদ্বেলিত মুজিব এবার ছুটলেন জেলায় জেলায়

নতুন দল গঠনের উদ্দেশ্য বোঝালেন।

মওলানা ভাসানী, শামসুল হকের নেতৃত্বে

আওয়ামী মুসলিম লীগ গড়ে তুললেন।

এবার পাকিস্তানি শাসকদের রাষ্ট্রভাষাকে উর্দু

করার চক্রান্ত রুখে দিতে মাঠে নামলেন;

বললেন, বাংলাকে করতে হবে রাষ্ট্রভাষা!

সেই ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল

দেশের আনাচে কানাচে। দাবি উঠল সর্বত্র।

রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, মানতে হবে-মেনে নাও।

পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে-

রাজপথে মিছিল বের করা হলো।

মিছিলের পুরোভাগে শামসুল হক ও মুজিব

অতঃপর গ্রেপ্তার হয়ে জেলে।

আর তাতেই বাঙালি গেলো ক্ষেপে!

গভর্নর জেনারেল জিন্নাহ ছুটে এলেন ঢাকায়-

সভা ডেকে বললেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।

উত্তেজিত জনতা তীব্র কণ্ঠে বলল, নো নো নো!

বাহান্নতে তুমুল আন্দোলনের এক পর্যায়ে রক্ত ঝরলো রাজপথে,

সালাম বরকত রফিক শফিক জব্বারের রক্তের আখরে

লেখা হলো ‘‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ নাম।

উর্দুপ্রেমী পাকিস্তানী শাসকদের আঁতে ঘা লাগল তাতে;

বাঙালির ওপর শোষণ নিপিড়নের মাত্রা

দিনকে দিন বাড়তেই থাকল।

কারণে অকারণে শেখ মুজিব ও তার দলের

নেতাদের করলো জেলে আবদ্ধ;

রাজনীতি রাখলো সীমাবদ্ধ।

এরমধ্যে ঘটলো আরেক অস্বাভাবিক ঘটনা!

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর আকস্মিক মৃত্যুর পর-

মসনদে বসলেন লিয়াকত আলী খান।

দৃশ্যপটে এলেন জেনারেল আইয়ুব খান।

বিধির কী লীলা!

এবার শুরু হলো পাক-সেনাদের খেলা।

পূর্ববাংলা বলল, মানি না; মানবো না-

তোমাদের ওই সেনাশাসন!

আমরা হলাম বীরের জাতি; উপড়ে ফেলব দুঃশাসন।

আইয়ুব বললেন, দাঁড়াও; তোমাদের দেখাচ্ছি মজা!

ডান্ডা মেরে করবো ঠান্ডা।

শুধু কী তাই! শিল্প কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেবো না কিছুই-

পূর্ববাংলায়; পাট বেঁচার টাকায় ইসলামবাদ গড়বো,

পশ্চিম পাকিস্তানিদের চাকরি দেবো।

ভেতো বাঙালি ভাতে মরবে; বুঝতে তখন কে আমি?

আমি হলাম ফিল্ড মার্শাল মানুষটা বড় দামি!

পাশে আছেন অনেক গুণীজন, আছেন মওলানা ভাসানী;

আমি কি আর কাউকে মানি?

জেলে বসে মুজিব আঁকলেন ছয় দফার পরিকল্পনা-

ছিষট্টিতে মানুষ পেল স্বাধীকারের ঘোষণা।

সমর্থনে বাঙালিরা গর্জে উঠল রাজপথে-

জ্বালো জ্বালো! আগুন জ্বলো!

আইয়ুব খানের মসনদে।

বেসামাল ওই শাসকেরা এবার; মামলা দিল ষড়যন্ত্রের-

বলল, মুজিব আগরতলায় বসে প্ল্যান করেছে সরকার উৎখাতের।

হয়েছে সে রাষ্ট্রদ্রোহী! মৃত্যুদণ্ড ঠেকায় কে?

মুজিব বললেন, বাঙালি আছে আমার সঙ্গে-

রাখে আল্লাহ মারে কে?

উনসত্তুরে পতন হলো আইয়ুব খানের, মসনদে এবার ইয়াহিয়া-

একই পথের পথিক তিনি; দিলেন সামরিক ঘোষণা!

রাজনীতি হলো স্থগিত, নেতারা হলেন বন্দী-

এটাই নাকি ইয়াহিয়ার নতুন কোনো ফন্দি।

শিগগিরই তিনি নির্বাচন দেবেন, ফিরবেন গণতন্ত্রে

মানুষ তাকে সেল্যুট দেবে মজবে তারই মন্ত্রে।

সত্যিই একদিন নয়া প্রেসিডেন্ট জাতির সামনে

হাজির হলেন; ঘোষণা দিলেন নির্বাচনের-

বাজলো দামামা পূর্ববাংলায়, ভুট্টো মিয়ার দুশ্চিন্তা!

বললেন হেঁকে; হারলে আমি জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে-

এই কথাতেই ক্ষেপছে মানুষ! বলল, ভোট দেবে মুজিবররে।

তাই হলো ভাই তাই হলো!

সত্তুরের নির্বাচনে-

আওয়ামী লীগের জয় হলো!

খবর পেয়ে বসলেন মদের বোতল নিয়ে ইয়াহিয়া-

বললেন গোয়েন্দাদের ডেকে, এ কী হলো মিয়া!

আমও গেলো ছালাও গেলো! এখন কী যে করি আমি!

বাহানা ছাড়া উপায় নাই!

ভুট্টো বললেন, একদম তাই।

মুজিব দিলেন হুঙ্কার! সাতই মার্চের ঘোষণা-

প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, চাই দেশের স্বাধীনতা।

ইয়াহিয়া বললেন, কয় কী ব্যাটা!

সাহস তো তার কম না!

প্রহসনের আলোচনায় ঢাকায় এলেন ইয়াহিয়া-ভুট্টো-

শেখ সাহেব জানতেন, এটা সময়ক্ষেপনের সূতো।

পঁচিশ মার্চের কাল-রাতে হানাদারবাহিনীর বর্বরোচিত

হামলা চালাল নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষের ওপর;

বিধ্বস্ত হলো ঢাকা শহর; রক্তে ভাসল রাজপথ;

গ্রেপ্তার হলেন শেখ মুজিব; বাঙালি নিল যুদ্ধের শপথ।

একাত্তরে টানা নয় মাসের যুদ্ধের পর-

বাঙালি পেল স্বাধীন ভূখণ্ড; আর

বিশ্ব মানচিত্রে স্থান হল বাংলাদেশের।

বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন বঙ্গবন্ধু

বললেন, এবার দেশকে সোনার বাংলায়

পরিণত করবো ভাই;

সবার আমি সহযোগিতা চাই।

হায়েনাদের আড়ালে বসে মুচকি হাসে-

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কুচক্রীমহল একসঙ্গে বসে-

বঙ্গবন্ধু সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে-

তারা কৌশলে সরকারের অন্দরমহলে ঢুকে পড়ে।

জাসদের গণবাহিনী ও পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি

দেশের সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম করে।

তারপর সেই ষড়যন্ত্রের জাল ধীরে ধীরে-

ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরের বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে।

পনের আগস্টের কালরাতে হায়েনাদের নির্মমতার

শিকার হন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার।

জাতির জনকের রক্তের ধারা সিঁড়ি বেয়ে-

নেমে আসে রাজপথে;

রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকা-

যেন আরেক কারবালা!

শোকে স্তব্ধ হয় নগরীর গাছপালা তরুলতা-

হতবিহ্বল মানুষের মাতম ওঠে চারদিকে;

সেই মাতম ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে

দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের দরবারে।

পিতাকে হত্যার দায়ে কলঙ্কিত হলো বাঙালি-

বিশ্ববাসী বলল, তোমার বিশ্বাসঘাতক জাতি!

ক্ষমা করো পিতা; ক্ষমা করো!

বাঙালি তোমায় ভুলবে না কোনোদিন;

একদিন শোধ দেবো তোমার রক্তের ঋণ।

এই দেশ যতদিন থাকবে,

ততদিনই তোমার রক্ত বহমান থাকবে-

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

 

 

 

রচনাকাল : ১৩ আগস্ট ২০২১।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ