শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ১

অস্ফুট ভালোবাসা

টেলিফোনটা অনেকক্ষণ ধরে বাজছে। চোখ মেলে ধরার মতো শক্তি পাচ্ছে না অনিন্দ্য। কিন্তু না ধরে উপায় নেই। দেখা যাবে না খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছে সারাদিন। ফোন করলে ধরবে না। তাই বহু কষ্টে সাইড টেবিলের ওপর হাত বাড়িয়ে টেলিফোনের রিসিভারটা টেনে ধরেতেই-

-কটা বাজে খেয়াল আছে। আচ্ছা সারাদিন পড়ে পড়ে ঘুমালে আর রাত জেগে অফিস করলে অন্যসব কাজ করবে কখন বলতো।

-এইতো উঠে পড়ছি। এখন রাখো। 

-রাখবই তো, আমি তো তোমার ঘরের বউ না যে বালতি দিয়ে পানি ছিটিয়ে তোমার ঘুম ভাঙাবো।   

-বউ না হয়েই যা করছ। বউ হওয়ার পর তো খবর আছে।

-মানে কি?

-মানে আর কি, আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছ না।

-তোমার সংসারে আমি যাব না। তুমি আমাকে কখনই পাবে না।

-এত প্রতিদিনই শুনি। 

-কি? অনিন্দ্য। খুব খারাপ।

-ওকে সুইট হার্ট। একটু আদর দাও। তা না হলে উঠব না।

-পারব না।

-দাও না। তোমার আদর ছাড়া আমি কখনো বিছানা ছেড়েছি। বলো।

-তোমাকে কোন দুঃখে আদর দেব। তুমি আমার কে? রাখবা ১০০০ মাইল দূরে। আবার আদর চাও। মামার বাড়ির আবদার।

-দাও না। তা না হলে উঠব না। 

-ওকে দিলাম। এবার ওঠ। 

-গুডু গুডু। উঠছি, রাখো।


অফিসে কাজের ধকলটা ইদানিং বেড়ে গেছে। চারদিকে নানা ঘটনা। মাঝে মাঝে মনে হয় এই বুঝি পুরো দেশটাই ধসে পড়বে। দেশে অকার্যকর সরকার থাকলে যা হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় পেশাটা বদল করি। বাসার কেউ পেশাটা পছন্দ করছে না। কিন্তু অফিসে গিয়ে যখন কাজের মাঝে ডুবে যাই, তখন সে ভাবনা আর থাকে না। তখন মনে হয় জাতির জন্য কিছু একটা করার সুযোগ তো এটাই। 

গভীর রাতে বাড়ি ফিরে অনিন্দ্য যখন ঘুমাতে যায় অন্যদের ততক্ষণে জেগে ওঠার সময় হয়ে যায়। তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে তার উঠা হয় না। অনিন্দ্য জানে এসময় ফারাহ ছাড়া আর কেউ ফোন করে না। শুধু অনিন্দ্য কেন, তার বাড়ির সবাই জানে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ল্যান্ড ফোনে থেমে থেমে যে কলটা বাজে সেটা ফারাহর। মোবাইলে করতে পারে। কিন্তু অনিন্দ্য মোবাইল অফ করে ঘুমাতে যায়। তাই ল্যান্ড ফোনে ফোন করে ফারাহ। প্যারালাল লাইন আছে ড্রইং রুমে। সেটা যে কেউ রিসিভ করতে পারে। তা ফারাহকে বলা হয়েছে। কিন্তু তার সোজা কথা আমি কি চুরি করছি। আমি তোমার সঙ্গে প্রেম করছি। বাড়ির লোক না জানলে হবে? গত পাঁচ বছর ধরে এ রুটিন চলছে। তার মাস্টার্স শেষ করেছে এক বছর হলো। এখনো কোন চাকরি খুঁজে পায়নি। ঘরে বসে শুধু চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রন্তুতি নিচ্ছে। 

এই ফারাহটা আজব এক ক্যারেক্টর। কোটিপতি বাবার একমাত্র মেয়ে। সে জানে তার কাছে চাকরি পাওয়টা শুধু চাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ। তার বাবাই সেটার জন্য যথেষ্ট। তার বাবা বহুবার তাদের নিজেদের কোম্পানিতে যোগ দিতে বলেছে। কিন্তু সে রাজি না। তার যুক্তি, যদি বাবার কোম্পানিতে চাকরি করব তাহলে এতো পড়াশুনা করে লাভ কি হলো। সে চাকরিতো না পড়েও পাওয়া যায়। তাছাড়া দেশের চাকরির বাজারটাও একটু দেখি। দেশে এত বেকার। সবার তো ফারাহর মতো কোটিপতি বাবা নেই। তাদের একটি চাকরি দরকার। তারা তা পাচ্ছে না। আর সে বাবার জোরে চাকরি পেয়ে যাবে তা হয় না।

এ নিয়ে সাদেক চৌধুরির সঙ্গে মানে ফারাহর বাবার প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। আমি ও বেশ কয়েকবার তাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এ বিষয়ে আলাপ তুললেই ফারাহ কথা ঘুরিয়ে ফেলে। বলে আমিতো ঘর সংসার আর বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সারক্ষণ মেতে থাকতে চাই। আর তোমাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াতে চাই। কিন্তু তুমি আমাকে একটুও সময় দিতে চাও না। বলতো গত এক মাসে তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে বেড়িয়েছ। আসলে তুমি একটা পাষাণ। তোমার মধ্যে ভালোবাসা টালোবাসা বলতে কিছু নেই।

এই বলে কিছুক্ষণ কাঁদবে। ও যখন কান্না করে আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার কোমলতা দেখি। মনে হয় দুগ্ধপুষ্য কোনো শিশু মাকে না পেয়ে কাঁদছে। সে কান্নাটা এতই মধুর যে তারদিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না। যার মধ্যে ছলনার বিন্দু মাত্র রেশ নেই। যা শুধু আবেগ আর ভালোবাসায় ভরপুর। কিছুক্ষণ পর আমি যখন তার মাথায় হাত রাখি, সে তখন একেবারে চুপসে যায়। মনে হয় ওর জীবনের সম্পূর্ণ নির্ভরতা যেন আমকে ঘিরে। আমার কাঁধে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবে। নিঃশব্দ নীরবতায় কেটে যায় আমাদের কিছু সময়।

অথচ এই ফারার সঙ্গে আমার পরিচয়ের সূত্রটা বেশ নাটকীয়। যা মনে করে এখনও আমরা দুজনই বেশ মজা পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া অবস্থা থেকেই আমি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পরি। চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ওপর একটা ফিচার লেখার দায়িত্ব পড়েছিল আমার ঘাড়ে।  

ঢাকার বাইরে প্রথম ট্যুর পেয়ে ভালোই লাগছে। চারদিনের ট্যুর। তাও আবার চট্টগ্রামে। লম্বা জার্নি। অনেকদিন হলো লং জার্নি করা হয় না। অফিস থেকে বলার পর না করলাম না। লুফে নিলাম। ঢাকাকে বাইরের লোকজন কেন এমন স্বর্গ ভাবে জানি না। সারাদেশের লোক ছুটছে ঢাকায়। আর ঢাকাবাসী সুযোগ পেলেই ছুটছে প্রকৃতির কাছে। একটু নীরবতা। একটু সবুজ। মুক্ত বাতাস। খোলা দিগন্তের দিকে তাকিয়ে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। কিন্তু একা যাব ভাল লাগবে কি? বুঝতে পারছি না। মিজানের বাড়ি চট্টগ্রামে। ওকে নিয়ে গেলে মন্দ হয় না। মিজানের তেমন কোনো কাজও নেই। বললে না করবে না। মিজানকে ফোনে বললাম-কোনো কাজ আছে, চার-পাঁচ দিন। মিজান জানাল সে যেতে পারবে। শুরু হলো আমাদের যাত্রা।

অনেকদিন পর ঢাকার বাইরে যাচ্ছি উৎসাহে দুইদিন আগে গিয়ে ট্রেনের টিকেট কেটে নিলাম। শুক্রবার যথারীতি আমরা মিলিত হলাম কমলাপুর রেল স্টেশনে। টিকেট অনুযায়ী আমরা সিটে গিয়ে বসলাম। এমন সময় আরও দুজন আমার সিটে বসতে পাশে এসে দাঁড়াল। কারণটা প্রথমে বুঝলাম না। একই সিট নম্বরে দুইজন যাত্রী থাকতে দেখেছি। কিন্তু তিনজনের সিট হলো কি করে। আশেপাশের সবাই এ নিয়ে কানাঘুষা শুরু করল। অবশেষে টিটি এসে টিকেট দেখতে চাইল। আমার টিকেট দেখে টিটি আমার মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল আপনার ট্রেন আগামীকাল ছাড়বে। আমি বললাম, মানে! টিটি বললেন টিকেটে তারিখ দেখুন। ততক্ষণে ট্রেনে হাসাহাসি শুরু হয়ে গেল। আমি আর মিজান কোরোমতে ট্রেন থেকে নেমে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম মিজান আমার ওপর রাগ করবে। কিন্তু ট্রেন থেকে নেমে হো হো করে হেসে উঠল। বলল অনিন্দ্য তোর তো মাথাই ঠিক নেই ফিচার কি লিখবি। আমি অবশ্য বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। মিজান সেটা বুঝতে পেরে বেশিক্ষণ ঠাট্টা করল না, আমার হাত থেকে টিকেট দুটো নিয়ে কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে বলল আমার কাছে আগামীকালের দুটি টিকেট আছে কারো লাগলে সেটা নিতে পারেন। ইতোমধ্যে কাউন্টারে টিকেট শেষ হয়ে গিয়েছিল। মিজান বলার সঙ্গে সঙ্গে দুজন ভারতীয় লোক কাছে এসে টিকেট দুটি কিনে নিতে কাউন্টারে দেখাল। কাউন্টার থেকে জানাল টিকেট ঠিক আছে। পরে তারা টিকেট দুটি কিনে নিল। 

মিজান বলল চল যাত্রা পথে বাধা পড়েছে। কাল যাই। আমি বললাম না। দেখ মিজান আমি কোনো বাধা টাধা বিশ্বাস করি না। আমি আজই যাব। পরে আমরা বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দিলাম। যাত্রার পুরো পথ মিজান আমাকে খেপিয়েছে।          

আমরা চট্টগ্রাম গিয়ে পৌঁছালাম রাত সাড়ে এগারটা। আমাদের হাতছাড়া ট্রেনটাও আমাদের সঙ্গে চট্টগ্রামে পৌঁছাল। মিজানকে বললাম চল কিছু খেয়ে একবারে স্টেশনে ঢুকি। আমরা স্টেশনে গেলাম রাত তখন সোয়া বারটা। স্টেশনে মানুষজন খুব একটা নেই। স্টেশনের ভিতরে এক পাশে একটা টিনেজার গ্রুপ বসে আছে। কাছে গিয়ে জানতে পারলাম দলটি রাঙামাটি যাবে। সকালে ওদের যাত্রা সময়। রাতে স্টেশনে থেকে খরচ বাঁচাচ্ছে। অপর দিকে কয়েকজন দরিদ্র শ্রেণির লোক বসে আছে। আমরা তাদের ঠিক উল্টোপাশের চেয়ারে গিয়ে বসলাম। বিকেলের ধকলটা বারবার মনে হচ্ছিল। বলা যায় আমার বোকামিটা আমাকে তারা করছিল। আর আমার সাংবাদিকতার জীবনে ঢাকার বাইরে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেটাকে কীভাবে ভাল করা যায় তা নিয়ে ও ভাবনা হচ্ছিল।

হঠাৎ মিজান আমাকে আমাদের ঠিক উল্টোপাশে বসে থাকা একটি মেয়ের দিকে দৃষ্টি দিতে বলল। মিজান চট্টগ্রামের ছেলে। এত রাতে একটি মেয়েকে রেল স্টেশনে একা বসে থাকতে দেখে তার সন্দেহ হলো। মিজান আমাকে বলল অনিন্দ্য দেখ তোর ফিচারের একটা আইটেম হতে পারে। আসলে আমার অ্যাসাইনমেন্টটা ছিল চোখের সামনের ঘটনাকে বর্ণনা করা। আর এত রাতে স্টেশনে একা কোনো মেয়েকে দেখে যে কেউই এর কারণ জানতে চাইবে। আমি মিজানকে বললাম চল আলাপ করে আসি। কাছে গিয়ে মিজান বলল, প্লিজ আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি। মেয়েটি বলে উঠল জী, বলতে পারেন। আপনি তো জানতে চাইবেন আমি এত রাতে এখানে কি করছি। দেখুন এ পর্যন্ত আমি অন্তত গোটা দশেক লোককে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। মেয়েটি উত্তেজিত হয়ে গেল। আমি এখানে বসে আছি তাতে কী কারো শান্তি নস্ট হয়েছে। 

আমি বললাম, দেখুন আমি একজন সাংবাদিক। আমরা যা করছি তা আমাদের পেশার দায়িত্ব থেকেই করছি। তা ছাড়া আপনাকে দেখে ভদ্র ঘরের মেয়ে মনে হয়। এত রাতে এখানে বসে আছেন সুতরাং কৌতুহল তো থাকবেই। আপনি কথা বলতে চান না সেটা আলাদা কথা। এমন সময় স্টেশনের এক গার্ড এসে আমাদের উদ্দেশে বলল কি ভাই মেয়েটা একা বসে আছে ওকে বিরক্ত করছেন কেন। গার্ডের পিছনে তিন চার জন চেংরা ছেলে। মিজান এগিয়ে গিয়ে চাটগাঁয়ের ভাষায় আমাদের পরিচয় দিল। গার্ড তখন নরম সুরে বলল আগে বলবেন তো। আমিতো ভাবছি মেয়েটাকে একা পেয়ে বিরক্ত করছেন। আমি আর কথা বাড়ালাম না মিজানকে বললাম চল এখানে দাঁড়িয়ে থেকে সময় নস্ট না করে স্টেশনটা ঘুরে দেখি। 

 

(চলবে)

 

Header Ad
Header Ad

দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

"শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি"—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ওপেন হাউস ডে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিরামপুর থানা চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফত হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, ড. মুহাদ্দিস এনামুল হক, বিএনপির বিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মিঞা শফিকুল ইসলাম মামুন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু, উপজেলা আমির হাফিজুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শিরণ আলম, ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুর ইসলামসহ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, স্থানীয় শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

পুলিশ সুপার মারুফত হুসাইন তার বক্তব্যে বলেন, “প্রথমে আমি আমার পুলিশকে ঠিক করেছি। এখন আমাদের সামনের দিনগুলো ভালো প্রত্যাশা চাই। আমরা আমাদের সমাজে আর কোনো অপরাধ করতে দেব না এবং এই জেলাকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকমুক্ত করব ইনশাল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতাই পারে সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে। তাই সবাইকে আরও সচেতন ও সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুতে দুর্বল প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে টানা তিন জয়ে শীর্ষে ছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে শক্ত প্রতিপক্ষের মুখে পড়ে একের পর এক হারে এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ উইকেটে হারের পর শনিবার (১৯ এপ্রিল) লাহোরে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে বসেছে বাংলাদেশ।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ২১ রানের মধ্যেই ফিরেছেন তিন ব্যাটার—ফারজানা হক (০), দিলারা আক্তার (১৩) ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা (১)। এরপর শারমিন আক্তার ও রিতু মনির ৪৪ রানের জুটি এবং রিতু ও নাহিদা আক্তারের ৪৭ রানের জুটি কিছুটা স্থিতি আনলেও তা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। রিতু মনি করেন ৪৭ রান, আর ফাহিমা খাতুন অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। ৫০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৭৮ রান। পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন।

 

ছবি: সংগৃহীত

জবাবে পাকিস্তানও শুরুতেই শাওয়াল জুলফিকারকে হারায়, যাকে এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। তবে এরপর সিদরা আমিন (৩৭), মুনিবা আলি (৬৯), আলিয়া রিয়াজ (৪৮*) এবং নাতালিয়া পারভেজ (১৩*) মিলে ৩৯.৪ ওভারে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

এই হারের ফলে বাংলাদেশের নেট রানরেট নেমে এসেছে +০.৬৪-এ। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রানরেট এখন -০.২৮। ফলে এখন বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে থাইল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের দিকে। ক্যারিবিয়ানরা যদি বড় ব্যবধানে না জেতে, তবেই কেবল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের।

শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্যর্থতা, ব্যাটিং দুর্বলতা এবং ধারাবাহিকতা না থাকায় কঠিন হয়ে উঠেছে টাইগ্রেসদের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা। এখন সব কিছু নির্ভর করছে অন্য দলের পারফরম্যান্সের ওপর, যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ নারী দলের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

Header Ad
Header Ad

ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে

ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হলে এখন সরাসরি ই-মেইলে অভিযোগ জানানো যাবে স্থানীয় সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি এবং ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে সরাসরি অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, দুই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যেকোনো সংস্থা বা দফতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া, দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হলে তা ই-মেইলে জানাতে পারবেন সেবা গ্রহীতারা।

অভিযোগ পাঠানোর ঠিকানা:
advisorasifofficial1@gmail.com

পোস্টে বলা হয়, অভিযোগের সঙ্গে যথাযথ তথ্য ও প্রমাণ সংযুক্ত করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে এবং অভিযোগকারীর পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা হবে।

"জনস্বার্থে এই উদ্যোগ। ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা।"

এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। তারা মনে করছেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত
পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন
ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি, তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজের পদত্যাগ
ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ