মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ১

অস্ফুট ভালোবাসা

টেলিফোনটা অনেকক্ষণ ধরে বাজছে। চোখ মেলে ধরার মতো শক্তি পাচ্ছে না অনিন্দ্য। কিন্তু না ধরে উপায় নেই। দেখা যাবে না খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছে সারাদিন। ফোন করলে ধরবে না। তাই বহু কষ্টে সাইড টেবিলের ওপর হাত বাড়িয়ে টেলিফোনের রিসিভারটা টেনে ধরেতেই-

-কটা বাজে খেয়াল আছে। আচ্ছা সারাদিন পড়ে পড়ে ঘুমালে আর রাত জেগে অফিস করলে অন্যসব কাজ করবে কখন বলতো।

-এইতো উঠে পড়ছি। এখন রাখো। 

-রাখবই তো, আমি তো তোমার ঘরের বউ না যে বালতি দিয়ে পানি ছিটিয়ে তোমার ঘুম ভাঙাবো।   

-বউ না হয়েই যা করছ। বউ হওয়ার পর তো খবর আছে।

-মানে কি?

-মানে আর কি, আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছ না।

-তোমার সংসারে আমি যাব না। তুমি আমাকে কখনই পাবে না।

-এত প্রতিদিনই শুনি। 

-কি? অনিন্দ্য। খুব খারাপ।

-ওকে সুইট হার্ট। একটু আদর দাও। তা না হলে উঠব না।

-পারব না।

-দাও না। তোমার আদর ছাড়া আমি কখনো বিছানা ছেড়েছি। বলো।

-তোমাকে কোন দুঃখে আদর দেব। তুমি আমার কে? রাখবা ১০০০ মাইল দূরে। আবার আদর চাও। মামার বাড়ির আবদার।

-দাও না। তা না হলে উঠব না। 

-ওকে দিলাম। এবার ওঠ। 

-গুডু গুডু। উঠছি, রাখো।


অফিসে কাজের ধকলটা ইদানিং বেড়ে গেছে। চারদিকে নানা ঘটনা। মাঝে মাঝে মনে হয় এই বুঝি পুরো দেশটাই ধসে পড়বে। দেশে অকার্যকর সরকার থাকলে যা হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় পেশাটা বদল করি। বাসার কেউ পেশাটা পছন্দ করছে না। কিন্তু অফিসে গিয়ে যখন কাজের মাঝে ডুবে যাই, তখন সে ভাবনা আর থাকে না। তখন মনে হয় জাতির জন্য কিছু একটা করার সুযোগ তো এটাই। 

গভীর রাতে বাড়ি ফিরে অনিন্দ্য যখন ঘুমাতে যায় অন্যদের ততক্ষণে জেগে ওঠার সময় হয়ে যায়। তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে তার উঠা হয় না। অনিন্দ্য জানে এসময় ফারাহ ছাড়া আর কেউ ফোন করে না। শুধু অনিন্দ্য কেন, তার বাড়ির সবাই জানে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ল্যান্ড ফোনে থেমে থেমে যে কলটা বাজে সেটা ফারাহর। মোবাইলে করতে পারে। কিন্তু অনিন্দ্য মোবাইল অফ করে ঘুমাতে যায়। তাই ল্যান্ড ফোনে ফোন করে ফারাহ। প্যারালাল লাইন আছে ড্রইং রুমে। সেটা যে কেউ রিসিভ করতে পারে। তা ফারাহকে বলা হয়েছে। কিন্তু তার সোজা কথা আমি কি চুরি করছি। আমি তোমার সঙ্গে প্রেম করছি। বাড়ির লোক না জানলে হবে? গত পাঁচ বছর ধরে এ রুটিন চলছে। তার মাস্টার্স শেষ করেছে এক বছর হলো। এখনো কোন চাকরি খুঁজে পায়নি। ঘরে বসে শুধু চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রন্তুতি নিচ্ছে। 

এই ফারাহটা আজব এক ক্যারেক্টর। কোটিপতি বাবার একমাত্র মেয়ে। সে জানে তার কাছে চাকরি পাওয়টা শুধু চাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ। তার বাবাই সেটার জন্য যথেষ্ট। তার বাবা বহুবার তাদের নিজেদের কোম্পানিতে যোগ দিতে বলেছে। কিন্তু সে রাজি না। তার যুক্তি, যদি বাবার কোম্পানিতে চাকরি করব তাহলে এতো পড়াশুনা করে লাভ কি হলো। সে চাকরিতো না পড়েও পাওয়া যায়। তাছাড়া দেশের চাকরির বাজারটাও একটু দেখি। দেশে এত বেকার। সবার তো ফারাহর মতো কোটিপতি বাবা নেই। তাদের একটি চাকরি দরকার। তারা তা পাচ্ছে না। আর সে বাবার জোরে চাকরি পেয়ে যাবে তা হয় না।

এ নিয়ে সাদেক চৌধুরির সঙ্গে মানে ফারাহর বাবার প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। আমি ও বেশ কয়েকবার তাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এ বিষয়ে আলাপ তুললেই ফারাহ কথা ঘুরিয়ে ফেলে। বলে আমিতো ঘর সংসার আর বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সারক্ষণ মেতে থাকতে চাই। আর তোমাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াতে চাই। কিন্তু তুমি আমাকে একটুও সময় দিতে চাও না। বলতো গত এক মাসে তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে বেড়িয়েছ। আসলে তুমি একটা পাষাণ। তোমার মধ্যে ভালোবাসা টালোবাসা বলতে কিছু নেই।

এই বলে কিছুক্ষণ কাঁদবে। ও যখন কান্না করে আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার কোমলতা দেখি। মনে হয় দুগ্ধপুষ্য কোনো শিশু মাকে না পেয়ে কাঁদছে। সে কান্নাটা এতই মধুর যে তারদিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না। যার মধ্যে ছলনার বিন্দু মাত্র রেশ নেই। যা শুধু আবেগ আর ভালোবাসায় ভরপুর। কিছুক্ষণ পর আমি যখন তার মাথায় হাত রাখি, সে তখন একেবারে চুপসে যায়। মনে হয় ওর জীবনের সম্পূর্ণ নির্ভরতা যেন আমকে ঘিরে। আমার কাঁধে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবে। নিঃশব্দ নীরবতায় কেটে যায় আমাদের কিছু সময়।

অথচ এই ফারার সঙ্গে আমার পরিচয়ের সূত্রটা বেশ নাটকীয়। যা মনে করে এখনও আমরা দুজনই বেশ মজা পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া অবস্থা থেকেই আমি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পরি। চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ওপর একটা ফিচার লেখার দায়িত্ব পড়েছিল আমার ঘাড়ে।  

ঢাকার বাইরে প্রথম ট্যুর পেয়ে ভালোই লাগছে। চারদিনের ট্যুর। তাও আবার চট্টগ্রামে। লম্বা জার্নি। অনেকদিন হলো লং জার্নি করা হয় না। অফিস থেকে বলার পর না করলাম না। লুফে নিলাম। ঢাকাকে বাইরের লোকজন কেন এমন স্বর্গ ভাবে জানি না। সারাদেশের লোক ছুটছে ঢাকায়। আর ঢাকাবাসী সুযোগ পেলেই ছুটছে প্রকৃতির কাছে। একটু নীরবতা। একটু সবুজ। মুক্ত বাতাস। খোলা দিগন্তের দিকে তাকিয়ে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। কিন্তু একা যাব ভাল লাগবে কি? বুঝতে পারছি না। মিজানের বাড়ি চট্টগ্রামে। ওকে নিয়ে গেলে মন্দ হয় না। মিজানের তেমন কোনো কাজও নেই। বললে না করবে না। মিজানকে ফোনে বললাম-কোনো কাজ আছে, চার-পাঁচ দিন। মিজান জানাল সে যেতে পারবে। শুরু হলো আমাদের যাত্রা।

অনেকদিন পর ঢাকার বাইরে যাচ্ছি উৎসাহে দুইদিন আগে গিয়ে ট্রেনের টিকেট কেটে নিলাম। শুক্রবার যথারীতি আমরা মিলিত হলাম কমলাপুর রেল স্টেশনে। টিকেট অনুযায়ী আমরা সিটে গিয়ে বসলাম। এমন সময় আরও দুজন আমার সিটে বসতে পাশে এসে দাঁড়াল। কারণটা প্রথমে বুঝলাম না। একই সিট নম্বরে দুইজন যাত্রী থাকতে দেখেছি। কিন্তু তিনজনের সিট হলো কি করে। আশেপাশের সবাই এ নিয়ে কানাঘুষা শুরু করল। অবশেষে টিটি এসে টিকেট দেখতে চাইল। আমার টিকেট দেখে টিটি আমার মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল আপনার ট্রেন আগামীকাল ছাড়বে। আমি বললাম, মানে! টিটি বললেন টিকেটে তারিখ দেখুন। ততক্ষণে ট্রেনে হাসাহাসি শুরু হয়ে গেল। আমি আর মিজান কোরোমতে ট্রেন থেকে নেমে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম মিজান আমার ওপর রাগ করবে। কিন্তু ট্রেন থেকে নেমে হো হো করে হেসে উঠল। বলল অনিন্দ্য তোর তো মাথাই ঠিক নেই ফিচার কি লিখবি। আমি অবশ্য বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। মিজান সেটা বুঝতে পেরে বেশিক্ষণ ঠাট্টা করল না, আমার হাত থেকে টিকেট দুটো নিয়ে কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে বলল আমার কাছে আগামীকালের দুটি টিকেট আছে কারো লাগলে সেটা নিতে পারেন। ইতোমধ্যে কাউন্টারে টিকেট শেষ হয়ে গিয়েছিল। মিজান বলার সঙ্গে সঙ্গে দুজন ভারতীয় লোক কাছে এসে টিকেট দুটি কিনে নিতে কাউন্টারে দেখাল। কাউন্টার থেকে জানাল টিকেট ঠিক আছে। পরে তারা টিকেট দুটি কিনে নিল। 

মিজান বলল চল যাত্রা পথে বাধা পড়েছে। কাল যাই। আমি বললাম না। দেখ মিজান আমি কোনো বাধা টাধা বিশ্বাস করি না। আমি আজই যাব। পরে আমরা বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দিলাম। যাত্রার পুরো পথ মিজান আমাকে খেপিয়েছে।          

আমরা চট্টগ্রাম গিয়ে পৌঁছালাম রাত সাড়ে এগারটা। আমাদের হাতছাড়া ট্রেনটাও আমাদের সঙ্গে চট্টগ্রামে পৌঁছাল। মিজানকে বললাম চল কিছু খেয়ে একবারে স্টেশনে ঢুকি। আমরা স্টেশনে গেলাম রাত তখন সোয়া বারটা। স্টেশনে মানুষজন খুব একটা নেই। স্টেশনের ভিতরে এক পাশে একটা টিনেজার গ্রুপ বসে আছে। কাছে গিয়ে জানতে পারলাম দলটি রাঙামাটি যাবে। সকালে ওদের যাত্রা সময়। রাতে স্টেশনে থেকে খরচ বাঁচাচ্ছে। অপর দিকে কয়েকজন দরিদ্র শ্রেণির লোক বসে আছে। আমরা তাদের ঠিক উল্টোপাশের চেয়ারে গিয়ে বসলাম। বিকেলের ধকলটা বারবার মনে হচ্ছিল। বলা যায় আমার বোকামিটা আমাকে তারা করছিল। আর আমার সাংবাদিকতার জীবনে ঢাকার বাইরে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেটাকে কীভাবে ভাল করা যায় তা নিয়ে ও ভাবনা হচ্ছিল।

হঠাৎ মিজান আমাকে আমাদের ঠিক উল্টোপাশে বসে থাকা একটি মেয়ের দিকে দৃষ্টি দিতে বলল। মিজান চট্টগ্রামের ছেলে। এত রাতে একটি মেয়েকে রেল স্টেশনে একা বসে থাকতে দেখে তার সন্দেহ হলো। মিজান আমাকে বলল অনিন্দ্য দেখ তোর ফিচারের একটা আইটেম হতে পারে। আসলে আমার অ্যাসাইনমেন্টটা ছিল চোখের সামনের ঘটনাকে বর্ণনা করা। আর এত রাতে স্টেশনে একা কোনো মেয়েকে দেখে যে কেউই এর কারণ জানতে চাইবে। আমি মিজানকে বললাম চল আলাপ করে আসি। কাছে গিয়ে মিজান বলল, প্লিজ আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি। মেয়েটি বলে উঠল জী, বলতে পারেন। আপনি তো জানতে চাইবেন আমি এত রাতে এখানে কি করছি। দেখুন এ পর্যন্ত আমি অন্তত গোটা দশেক লোককে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। মেয়েটি উত্তেজিত হয়ে গেল। আমি এখানে বসে আছি তাতে কী কারো শান্তি নস্ট হয়েছে। 

আমি বললাম, দেখুন আমি একজন সাংবাদিক। আমরা যা করছি তা আমাদের পেশার দায়িত্ব থেকেই করছি। তা ছাড়া আপনাকে দেখে ভদ্র ঘরের মেয়ে মনে হয়। এত রাতে এখানে বসে আছেন সুতরাং কৌতুহল তো থাকবেই। আপনি কথা বলতে চান না সেটা আলাদা কথা। এমন সময় স্টেশনের এক গার্ড এসে আমাদের উদ্দেশে বলল কি ভাই মেয়েটা একা বসে আছে ওকে বিরক্ত করছেন কেন। গার্ডের পিছনে তিন চার জন চেংরা ছেলে। মিজান এগিয়ে গিয়ে চাটগাঁয়ের ভাষায় আমাদের পরিচয় দিল। গার্ড তখন নরম সুরে বলল আগে বলবেন তো। আমিতো ভাবছি মেয়েটাকে একা পেয়ে বিরক্ত করছেন। আমি আর কথা বাড়ালাম না মিজানকে বললাম চল এখানে দাঁড়িয়ে থেকে সময় নস্ট না করে স্টেশনটা ঘুরে দেখি। 

 

(চলবে)

 

Header Ad
Header Ad

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নানা সমালোচনা ও দলীয় চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) তিনি এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি মোকাবেলায় ব্যর্থতার অভিযোগে তিনি ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন। এ ছাড়া দেশের রাজনীতিতেও ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন ট্রুডো। তার জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় বিরোধী দলগুলো এবং তার নিজ দল লিবারেল পার্টির ভেতর থেকেও পদত্যাগের দাবি উঠে।

ট্রুডো এর আগে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান। তার এ সিদ্ধান্ত দলটির জন্য বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে, বিশেষ করে আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য পার্লামেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ট্রুডোর পদত্যাগের ফলে লিবারেল পার্টি এখন নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে বাধ্য হবে।

ট্রুডোর এ সিদ্ধান্ত কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দীর্ঘদিন ধরে কানাডার রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী এই নেতার এভাবে পদত্যাগের ঘটনা দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্থান পাবে।

Header Ad
Header Ad

আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাগুরা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদি হাসান রাব্বির সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) মাগুরা শহরের বরুণাতৈল গ্রামে রাব্বির বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজখবর নেয় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শিশুটির দেখভালের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল। তিনি জানান, তারেক রহমানের নির্দেশনায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত রাব্বির পরিবারের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে তারা এসেছেন। ইঞ্জিনিয়ার বকুল বলেন, "দেশের জন্য ছাত্র আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন রাব্বি। তার মৃত্যুর সাড়ে চার মাস পর তার সন্তানের জন্ম হয়েছে। তারেক রহমান এই শিশুর দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।"

রাব্বির সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের জন্য তারেক রহমানের পাঠানো উপহার সামগ্রীও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ার বকুল আরও বলেন, "রাব্বির পরিবার যাতে আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকব।"

প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকসেদুল মোমিন মিথুন, মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন, খান হাসান ইমাম সুজা, আলমগীর হোসেন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবুদ্দিন, এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুর রহিমসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট মাগুরা শহরের ঢাকা রোডব্রিজ এলাকায় ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হন রাব্বি। তার মৃত্যুতে ছাত্রদলের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

Header Ad
Header Ad

তামিমের ব্যাটে জয়ে ফিরলো ফরচুন বরিশাল

ছবি: সংগৃহীত

তামিম ইকবালের ব্যাটিং জাদুতে দুর্দান্ত জয় পেল ফরচুন বরিশাল। মিরপুরে প্রথম দুই ম্যাচে বড় অবদান রাখতে না পারলেও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজ রূপে ফিরেছেন বরিশাল অধিনায়ক। তার অসাধারণ ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৫ বল বাকি রেখেই দুর্বার রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারায় ফরচুন বরিশাল।

সোমবার বিপিএলের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। জবাবে তামিমের দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে বরিশাল। তামিমের ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার এবং ৩টি ছক্কায়। তার সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসও ছিল জয় নিশ্চিত করার পথে সহায়ক।

এদিন বরিশাল দল একাদশে পরিবর্তন এনে শান্তকে বাদ দিয়ে তামিমের সঙ্গে প্রিতম কুমারকে ওপেনিংয়ে পাঠায়। যদিও প্রিতম ব্যর্থ হন এবং কাইল মেয়ার্স ২৪ রান যোগ করলেও তার বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়ের ৪০ রানের এবং মুশফিকের সঙ্গে অপরাজিত ৭৬ রানের জুটি জয় নিশ্চিত করে।

রাজশাহীর ইনিংসে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৩৫ বলে ৩৯ রান করলেও তার ধীর গতির ব্যাটিং দলের রান সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করে। ইয়াসির আলী ২৩ বলে ৩৯ রান এবং জিসান আলম ২৭ বলে ৩৮ রান করেন। বরিশালের বোলারদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি ছিলেন সেরা, ২০ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন।

তামিমের নেতৃত্বে এই জয়ে ফরচুন বরিশাল ফের জয়ের ধারায় ফিরলো এবং দলটির আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেলো। বিপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতেও তামিম ও তার দলের কাছ থেকে আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছেন সমর্থকরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
তামিমের ব্যাটে জয়ে ফিরলো ফরচুন বরিশাল
লন্ডন যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা
মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতি দিল এনবিআর
কলকাতায় বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন ২২০ বাংলাদেশি
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি চালু হবে ই-পাসপোর্ট
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল
চট্টগ্রামে কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসিকে মারধর, পুলিশে সোপর্দ
বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে প্রচার বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
বিদেশে পালানোর সময় চট্টগ্রামের শিল্পপতি গ্রেপ্তার
এবার সুখবর দিলেন মিথিলা
মাওবাদী হামলায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯ সদস্য নিহত
মেজর ডালিমের এক হাতে একটি আঙুল নেই কেন? কী ঘটেছিল?
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে উত্তাল রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়
আমার ছেলে দেশের জন্য অনেক কষ্ট করে: পিনাকী ভট্টাচার্যের মা
হেলসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে রংপুরের দাপুটে জয়
একাধিক পদে ১৩১ জনকে নিয়োগ দিচ্ছে বিটিসিএল
অবশেষে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য কমিয়ে দিলো ভারত
চলতি সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা, হতে পারে বৃষ্টি