বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কেমন আছো মৌমিতা

এত সুন্দর ভোর মৌমি কখনো দেখেনি! ফজরের আযানের পর আকাশ পরিষ্কার হতেই মৌমি হাঁটতে বের হবে। মৌমি মনে মনে ঠিক করে রেখেছে, এখানে প্রতিদিন ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠবে। ঘাঁসের বুকে হেটে বেড়াবে। পদ্মদীঘির পাড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকবে। সবুজ দেখে চোখ জুড়াবে। আরও কতশত ভাবনা মন জুড়ে।

মৌমি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্সের শেষ বর্ষের ছাত্রী। পরীক্ষা পরবর্তী ছুটিতে দেশে বেড়াতে এসেছে। চলে যাওয়ার সময় প্রায় ঘনিয়ে এসেছে। পরশু সন্ধ্যায় মৌমির ফ্লাইট। তাই ফিরে যাবার আগে বন্ধুদের নিয়ে কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে এসেছে শ্বশুড়ের নতুন বাংলোতে। আবার কবে কখন দেখা হবে সবার সাথে জানা নেই। সেজন্যই এই আয়োজন।

মৌমি নিচে নেমে এল। পীতাভরঙ শাড়িতে কালো টিপ পড়লে যে কাউকে এত মায়াবী লাগে, আজ ভোরে মৌমিকে না দেখলে কেউ জানতো না কোনদিন। গেট পেরিয়ে বাইরে পা রাখতে যাবে, এমন সময় পেছন থেকে ডাক শুনতে পেলো মৌমি।

-কোথায় যাচ্ছিস? সোমা এগিয়ে এসে বলল।
-ও তুই! ঘুম ভেঙ্গেছে?
-হু, রাতে খুব ভালো ঘুম হয়েছে। কোথায় যাচ্ছিস?
-খুব হাটতে ইচ্ছে করছে বনের ভেতর ভোরের বাতাসে ।
চল আমি ও যাবো। কালো টিপে তাকে অসাধারণ লাগছে! খুব মায়াবতী লাগছে তোকে।
- সাহেব ঘুমাচ্ছে বুঝি? হেসে জিজ্ঞেস করলো মৌমি।
-হাসি ফিরিয়ে দিয়ে সোমা বলল, হ্যাঁ, এখনও ঘুমাচ্ছে।
-ঠিক আছে, চল।
দুই বান্ধবী হাঁটতে হাঁটতে বনের ভিতর ঢুকে গেলো। অজস্ৰ বকুল বিছিয়ে আছে মাটিতে। ওরা বকুল কুড়াতে লাগলো সেই ছেলেবেলার মতো ।

আচ্ছা মৌ, তোর শ্বশু্রতো অর্থমন্ত্রী তাই না।
- হু, মৌমি একমনে বকুল কুড়াচ্ছে।
- আশ্চর্য! আমি শুনেছি, মন্ত্রীদের হৃদয় বলে কিছু থাকে না। কিছুদিন মন্ত্রীত্ব করলে সুখ দুঃখ হাসি কানা সব নাকি শেষ হয়ে যায়। মানে আবেগ শূন্য হয়ে যায় তারা। কিন্তু তোর শ্বশুরতো ভয়াবহ কাণ্ড করে বসে আছেন। কোন মন্ত্রী এত টাকা পয়সা খরচ করে প্রকৃতিকে এভাবে বাচিয়ে রেখেছে না দেখলে আমি বিশ্বাস করতাম না কিছুতেই।

তুই কি বিশ্বাস করতি?
-আমি ভাবতাম মন্ত্রী হবার শর্তই হচ্ছে নিজের আত্মা আর বিবেককে অকেজো করে দেয়া। এরা পতাকা বাহিত গাড়িতে উঠে বসে। পতাকা উড়িয়ে এদের কোথায় যে নিয়ে যায়, কেনইবা নিয়ে যায় এরা জানে না। জানবে কি করে? সবতো অকেজো।

সোমার কথার ধরনে খুব হেঁসে উঠে মৌমি। দারুনতো!
কি?
তুই যা বললি। এখন কি তোর ভাবনা বদল হয়েছে?
তোর শ্বশুরের লাগানো বকুল গাছের বকুল ফুল হাতে নিয়ে আছি। কি করি বলতো?
হাত থেকে বকুল ফুল ফেলে দে।
. অসম্ভব, পারবো না। মরে গেলেও না।
. তাহলে যে তোর ভাবনা অদল বদল হয়ে যাবে।
. আচ্ছা তোর শ্বশুর কেমন মানুষ?
মানে?
ভাল না কি মন্দ?
.জানিনা। শ্বশুর শ্বশুরের মতো। তবে আমার মনে হয় তিনি একজন ভালো মানুষ।
আর তোর শ্বাশুরি?
-আমি তার থেকে ভালো কিছু শিখতে পারিনি। বুঝলি?
- হু, বুঝলাম। প্রসঙ্গ পাল্টে সোমা বলল- সত্যিই বিশ্বাস কর,এত সবুজ আমি কোনদিন দেখিনি। মৌমির দিকে তাকিয়ে হাসলো সোমা। তোর জন্য দেখতে পেলাম। থ্যাঙ্কু।
-মৌমি ও সোমা বনের ভেতর বসার মতো একটা জায়গা দেখে সেদিকে এগিয়ে গিয়ে বসলো। চুপচাপ ভাবছিল মৌমি।
এত কি ভাবছিস আনমনে হয়ে?
চোখ ফিরিয়ে সোমাকে দেখে মৌমি। তারপর বলে, সোমা আজ তোকে আমি একটি গল্প বলবো।
-কি গল্প?
-রূপকথার গল্প । মৌমি হেসে উঠে।
-রূপকথার গল্প ?
আচ্ছা, আগে গল্পটা শুনে নে। তারপর বলবি।
-আচ্ছা বল।

-একটি মেয়ে। মায়ের লক্ষ্মী মেয়ে। পড়াশোনায় খুব ভালো। ভালো ঘর আর ভালো বর দেখে মা তাকে বিয়ে দেয়। মেয়েটি তার স্বামীকে ভালবাসে। কিন্তু বিয়ের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই গুণধর সামীটির মুখোশ ধরা পড়ে যায়। মেয়েটির স্বামী ছিল মাতাল । নারী মন নয়, নারী শরীরের প্রতি লোভী ছিল সে। মনে মনে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েটি। ঠিক করে ফেলে সে আর পরাজিতার মতো সংসার করবে না । নিজের পথ নিজে বেছে নেবে। যদিও একসময় সবার চেষ্টায় মেয়েটির স্বামী ঘরে ফিরে আসে। প্রচণ্ডভাবে ভালবাসতে শুরু করে মেয়েটিকে। আর মেয়েটিও নিজের জীবন নিজের নিয়তিকে মেনে নিতে চেষ্টা করে। অন্য সবার মতো সুখী হতে চেষ্টা করে মেয়েটি। কিন্তু আরও একটি কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছিলো যেন ওর জন্য। পড়াশোনার পরীক্ষাগুলো্তে মেয়েটি যত সহজে উতরে যায়, জীবনের পরীক্ষাগুলোতে সে ততটাই বিচলিত হয়ে পড়ে। সহজ পথের মেয়ে জটিলতায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা যেন কিছুতেই।
এবার মৌমি একটু থামে।

তারপর?

মৌমি আবারও বলতে শুরু করে। একসময় তার জীবনে আসে অন্য পুরুষ। ওর শৈশবের খেলার সাথী। মেয়েটির প্রতি তার ভালোবাসা বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ কিংবা জাগ্রত সমুদ্রের মতো কিংবা বলা যায় সুবিশাল নীলাকাশের মতো। মেয়েটি তা টের পায় নিজের হৃদয় দিয়ে। মেয়েটি তার বয়ে যাওয়া জীবনকে নিয়েই যেমন পথ চলতে চায়, তেমনি সেই বন্ধুটি যেন তাকে মনে মনে ডাকে!

হঠাৎ সোমা মৌমিকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
এই গল্পের মেয়েটি কি তুই?
-মৌমি চুপ করে থাকে।-তারপর চোখ তুলে সোমার দিকে তাকিয়ে বলে হ্যাঁ, আমিই সেই মেয়ে।
-এবার তুই আমাকে বল, আমি কি করবো।
-তার আগে তুই আমাকে বল, তোর সেই বন্ধুটি নিশ্চয়ই বিজয়!
-মৌমি খুব অবাক হয়। তারপর বলে, তুই কি করে জানলি?
-সত্যি কিনা বল।
হ্যাঁ, বিজয়! মৌমি অকপটে স্বীকার করে।
-সোমা হাসে।
-হাসছিস যে, আমি কি হাসির কিছু বলেছি?
-মৌমি,আমরা সবাই জানতাম বিজয় তোকে ভালবাসে। কিন্তু;
-কিন্তু কি?
কিন্তু তোরা কেউ জানতিস না আমি মনে মনে বিজয়কে ভালোবাসতাম! বিজয় কিন্তু জানতো। সোমা হাসে।
-বিজয়ও কি তোকে...
না, না। ওর ধ্যান জ্ঞানে জড়িয়ে ছিলি শুধু তুই। মৌমিতা মেহজাবিন।

আমার অবস্থা এমন হয়ে ছিল যে, আমি সবসময় সবকিছুতে যেন বিজয়কে দেখতে পেতাম। অনেকটা মরীচিকার মতো মনে হতো বুঝলি! আই ফিল থার্সট ইন মাই হার্ট ফর হিম। অলওয়েজ। কি কঠিনভাবে ফিল করতাম ওকে! কতটা পাগল ছিলাম আমি সেই সময়ে বিজয়ের জন্য। ভাবলে এখনও শিউরে উঠি! সেসব আর বলতে ইচ্ছে করছে না। খুব কষ্টে গিয়েছে সেই দিন গুলিরে!
সোমার কথাগুলো যেন অনেক দূর থেকে ভেসে আসতে লাগলো মৌমির কানে।
অথচ দেখ! আমিতো দিব্বি রুহানের সংসার করছি। আমরা ভালোও আছি। আমার সামনে পিছনে ভিতরে বাইরে কোথাও বিজয়কে পাই না আর।

মৌমি চুপচাপ সোমার দিকে তাকিয়ে থাকে।
- সোমা বলে, মৌ ভালোবাসা জোয়ার ভাটার মতো। নিজের জন্যই কখনো সেটা আকাশ ছুঁতে চায়। আবার নিজের জন্যই কখনো সেটা হৃদয় থেকে মুছে যায়। এর বেশি কিছু না।
- তোর ভিতর বাইরে বিজয় কি সত্যিই নেই সোমা!
- নাহ, নেই। একফোঁটাও নেই আজ। আমি ভুলে গিয়েছে। আমি সব ভুলে গিয়েছি। সোমা আনমনে বলতে থাকে কথাগুলো। সোমা আরও বলে, মৌ, শোন।
মৌমিতা সোমার দিকে এমনভাবে তাকায়, যেন সোমা তার মনের কথাটিই বলবে।
তুইতো বিজয়কে সুখী করতে পারবিনা, মৌ। তুই একজন বিবাহিতা। এটা কাটা হয়ে বিধবেই তোদের জীবনে।আমি কি মিথ্যা বলছি?
ঠিকই বলেছিস তুই। মৌমি দূরের দিগন্তে তাকিয়ে থাকে চুপচাপ।
-মৌমি যা কিছু তোর নিজের তা নষ্ট করিস না। ভুল করবি। আর শোন, পড়ালেখা শেষ হলেই তুই একটা বাবু নিয়ে নিবি বুঝলি। সন্তান ছাড়া সংসার সুবাস ছাড়া ফুলের মতো পানসে লাগে।
তুই নিচ্ছিস না কেন?
-ভাবছি। আচ্ছা বলতো কোন জিনিসগুলো খুব সত্য আর মূল্যবান মানুষের জীবনে।
-জানিনা।
-অশ্রু, আনন্দ, সন্তান, সময় আর মানুষের মন। যখন এগুলো তোর দখলে তখন পৃথিবীটা তোর। বুঝলি?
-মৌমিতা সোমা প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চুপচাপ বেঞ্চটাতে বসে রইলো। অনেকক্ষণ কেউ কোন কথা বলল না ওরা।

একসময় মৌমি রাজন কে ভালোবেসেছিলো। কিন্তু ভালোবাসার গভীরতা অনুভব করেনি সেভাবে। রাজনের ভালোবাসা অনেকটা সাদা ভাতের মতো, যা বেঁচে থাকার জন্য হয়তো প্রয়োজনীয়। কিন্তু বিজয়কে দেখে মৌমি শিখেছিল প্রকৃত ভালোবাসার অনুভূতি, ভালোবাসার সৌন্দর্য। মৌমি অবাক হয়েছিলো বিজয়ের ভালোবাসার সুক্ষ্মটানকে নিজের ভেতর অনুভব করে। মৌমি ছাড়া যে কেউ এই ভালোবাসার টানে নিশ্চয়ই ভেসে যেতো, হারিয়ে যেতো। কিন্তু কিছুটা সময়ের জন্য টালমাটাল হলেও মৌমি ফিরে এসেছে নিজের কাছে। সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে ভয় পায়নি। মৌমি খুব বুদ্ধিমতী আর খুব বেশি আত্মসচেতন মেয়ে বলেই হয়তো।

মৌমির লুসিয়ার কথা মনে পড়ে। লুসিয়ার কথা হলো যে ওকে এমন হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দেবে, ও তার কাছেই ফিরে যাবে। এ জীবনের জন্য ভালোবাসা ছাড়া আর সবকিছুই মূল্যহীন ওর কাছে। কিন্তু সোমা বলল ভিন্ন কথা। সোমার কথা হলো, জীবনের প্রয়োজনেই ভালোবাসা, ভালোবাসার জন্য জীবন নয়। যা হওয়া উচিত তাই করা উচিত। বাস্তববাদী কথা ওর।

মৌমিতা ভাবে আচ্ছা, আমার মনের কথাটি কি তবে? আমি চাই সময়ের হাত ধরে পথ চলতে। আর পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না। বিজয়কে চিনতে না পারার ভুলের মাসুল দিতে গিয়ে নতুন কোন ভুলের পথিক হতে চাইনা আমি ।

মৌমিতা শোন, তুই খুব নরম মনের মানুষ, তাই এত ভাবছিস। কিন্তু তুই কখনো ভেবে দেখেছিস, তুই অন্য আরেকজনের হাত ধরে আছিস। তার সাথে জড়িয়ে আছে তোর ঘরের সুখ। অনেকগুলো মুখের সুখ। ভুল করা সহজ কিন্তু ভুলগুলোকে শুধরানো এত সহজ নয়। রাজন নিজেকে শুধরে নিয়েছে। সে তোকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। এটাই তোর জীবন, এটাই তোর সংসার। বিজয় পথিক। মাঝে মাঝে দেখা হলে হাসি মুখে কথা বলা ছাড়া আর কোন সম্পর্ক রাখার মানে কি জানিস?

কি?
শখ করে কস্ট কিনে বয়ে বেড়ানো।ভুল করিস না মৌমি, সোমা বলে।

মৌমি সোমার কথাগুলি বুঝতে চেস্টা করে। নিখাদ ভালোবাসাকে লালন করার জন্য মন ও শরীর দুটিই নিখাদ হওয়া প্রয়োজন। সোমা ঠিকই বলেছে। যে দিকে কোন পথই নেই সেদিকে মন পছন্দে পথ তৈরি করা শখ করে কষ্ট কেনার মতোই। শুরুতেই সে পথ বন্ধ করে দেয়া উচিত। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, রাজনের সব কিছু খুব ফরমাল। অনেক বেশি আবেগ তার নেই। কিন্তু এটিও সত্য যে, আমার সাথে রাজনের সম্পর্কে আজ আর কোন মিথ্যা নেই। সে আমাকে ভালোবাসে,মৌমিতা ভাবে।আমি বাস্তবতাকে এড়াতে পারবো না।
-এক সময় মৌমি বলে উঠে চল, এবার উঠি।
- হ্যাঁ, চল।
-হাঁটতে হাঁটতে মৌমিতা বলে, জানিস, লুসিয়া বলেছিল এমন ভালোবাসা পেলে সে এই জীবনে আর কিছু চাইতো না।
লুসিয়া কে?
আমার সাথে পড়ে। কালো কিন্তু বেশ মিষ্টি একটা মেয়ে। খুব ডেসপারেট।
হু, বুঝলাম । কিন্তু তুইতো লুসিয়া না। তুই মৌমিতা।

মৌমিতার বিজয়ের কথা মনে পড়ে। বিজয় বলেছিল ,আজন্ম আমি তোমায় ভালবেসেছি।আমার মানসপটে তোমাকে আমার রানী করে রেখেছি। তোমার যোগ্য করে নিজেকে গড়তে চেয়েছি। কি না করেছি আমি তোমার জন্য মৌমিতা? অথচ দেখো, এত কিছুর পরেও আমি একজন ব্যর্থ মানুষ।

এ কথা বলছ কেন? মৌমিতা জানতে চেয়েছিল ।

তোমাকে পাওয়া হলো না আমার এ জীবনের জন্য!

উত্তরে মৌমিতা বিজয়ের দিকে তাকিয়ে বলেছিল, তুমিতো সাধক বিজয়। যে সাধনা করে সে কি বিনিময় আশা করে বলো? যেন মৌমিতা নয়, মৌমিতার ভিতর থেকে অন্য কেউ বলেছিল, বিজয়ের দুঃখ তাকে খুব বেশি স্পর্শ করেছিল বলেই হয়তোবা। 

কিন্তু আমিতো সাধক হতে চাই নি। আমি তোমাকে পাশে পেতে চেয়েছিলাম মৌমিতা!

বিজয়ের সেই প্রশ্নের উত্তর মৌমিতা সেদিন দিতে পারেনি। তবে সব প্রশ্নের উত্তর যে সত্যিই হয় না মৌমিতা আজ তা জানে।

 মৌমিতা সোমার দিকে তাকিয়ে বলল হ্যাঁ, সেটাই। তুই ঠিকই বলেছিস। আমি লুসিয়া নই। আমি মৌমিতা। তবে লুসিয়ার মতো হলেই জীবনটা সহজ হতো মনে হয়। মৌমিতা ওর দীর্ঘশ্বাস গোপন করতে চেষ্টা করলো না।

-মৌমি ও সোমা বাংলোর দিকে ফিরে গেল। কিছুদূরে যেতেই ওরা বিজয়কে দেখতে পেলো। বিজয়ও মনে হচ্ছে হাঁটতে বেরিয়েছে। এদিকেই আসছে ও।
কাছাকাছি আসতেই ওরা দাঁড়িয়ে পড়লো।
বিজয় মৌমিকে একটুক্ষণ দেখলো। তারপর সোমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো।
- আরে সোমা? তুমি কবে এসেছো?
- পরশু সন্ধ্যায়, তুমি?
-এইতো গতকাল রাতে। আড়চোখে মৌমিকে আরও একবার দেখে নিয়ে বলল, অনেক রাতে। ঘুমিয়ে পড়েছিলে তাই রাজন আর ডাকেনি ।
-ও, আচ্ছা।
- হাঁটতে বেরিয়েছ নাকি ফিরে যাচ্ছ?
-আমাদের হাঁটা শেষ। ফিরে যাচ্ছি।

আচ্ছা, ঠিক আছে।

বিজয় আবার মৌমির দিকে তাকালো। এবার চোখাচোখি হলো ওদের। কিন্তু কেউ কোন কথা বলল না। মৌমিতা চোখ নামিয়ে নিয়ে বাংলোর দিকে হাঁটতে লাগলো।

 

 

 

 

 

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান

সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষকে গুম ও খুন করে স্বৈরাচার ভারতে পালিয়ে গেছে। যে কোন মূল্যে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে। এই প্রশ্ন গণতান্ত্রিক সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে 'আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় জুলাই আগস্ট বিপ্লবে নিহত ৪৫ শহীদ পরিবারকে আর্থিক অনুদান এবং ‌র‌্যাবের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর উপহার উপলক্ষ্যে সোনাগাজী সরকারি ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলে যে সময়ক্ষেপণ করছে এবং সংস্কার কাজ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করছে, তা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি-না সে ব্যাপরে সবাই সজাগ থাকতে হবে।

এ সময় তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার বিগত ১৭ বছর মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল । সে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে লড়াই করে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিগত ১৭ বছরের লড়াই এবং ২৪এর জুলাই আগস্টের বিপ্লবের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে সবাইকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। এখন দেশে যে সংস্কারের আলোচনা চলছে সেই সংস্কার প্রস্তাব বিগত আড়াই বছর পূ্র্বে আমরাই দিয়েছিলাম। স্বৈরাচার আমাদের সংস্কার প্রস্তাব আমলে নেয়নি। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা জাতির সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছি। কারণ বিএনপি দেশ ও জনগণ নিয়ে ভাবে। দেশের কল্যাণে কাজ করতে চায়।

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে এবং শহীদদের স্বপ্নের দেশ বিনির্মাণ হবে।

বিএনপি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সব সময়ই দেশ ও জনগণের কল্যাণ নিয়ে ভাবে। এর বড় কারণ হলো- দেশের জনগণ বিএনপির উপর আস্থা রাখতে চায়। কীভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে আসবে নেতাকর্মীদের সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

আমরা বিএনপি পরিবার কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ও ফেনী পৌর বিএনপি'র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ও আমরা বিএনপি পরিবার কেন্দ্রীয় কমটির সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুনের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভেকেট রুহুল কবির রেজভী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক,জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদ, অ্যাডভোকেট শাহানা আক্তার শানু, আবদুল লতিফ জনি, জালাল আহমদ মজুমদার, মামুনুর রশিদ মামুন, মশিউর রহমান বিপ্লব, ফেনী জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহবায়ক গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন সেন্টু, সদস্য সচিব সৈয়দ আলম ভূঞা, শহীদ ছাত্রদল নেতা কাওছার উদ্দিনের পিতা ফিরোজ আলম, শহীদ মেহাম্মদ মাসুদের কন্যা মুনতাহা বিনতে মাসুদ ও শহীদ জাফর আহমদের কন্যা জাহানারা বেগম প্রমুখ।

এসময় ২০১৬ সালের ২৫ জুন র‌্যাবের গুলিতে নিহত মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর এবং ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে নিহত ৪৫ শহীদ পরিবারসহ আহতদের প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর বদলগাছীতে মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়েছে স্থানীয় আ'লীগের কর্মিরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের কটকবাড়ি এলাকায় তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আহত অবস্থায় তাঁকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সিহাব নওগাঁ নামাজগড় গাউসুল আজম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য ও একই এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বদলগাছী সদর এলাকার রাসেল ও সাথী নামে দুই যুবক-যুবতী গতকাল বিকালে নওগাঁ থেকে মার্কেট করে ফেরার পথে কটকবাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল থামিয়ে নদীর ধারে ঘোরাঘুরি করছিল। সন্দেহ হলে ঐ এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মি প্লাবন,অনিক,আশিক, রাকিব,ইয়াজুলসহ ১০-১৫ জন কর্মি তাদের আটক করে মারধর করে। পরে তাদের নদীর ধারে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে দশ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রদল কর্মী সিহাব সহ গ্রামবাসি ঐ ছেলে মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগের কর্মি কয়েকজন অতর্কিতভাবে তাঁর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ধারালো কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে সিহাব কে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে সিহাব কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন।

বদলগাছি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাহিদ রানা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতা কর্মি। মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় তার ওপরে হামলা করেছে।’

বদলগাছী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুমন হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘দলের দুঃসময়ের কর্মী সিহাব। ন্যাক্কারজনক এ হামলার ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।’

তবে অভিযোগ ওঠা যুবকদের সাথে যোগাযোগ করা না গেলেও তাদের মধ্যে রিয়াজুল নামের এক অভিভাবক দায়সারা জবাব দেন। তিনি বলেন, ওই দুই যুবক-যুবতী অনৈতিক কার্যকলাপ করার জন্য এসেছিল। তাদের সন্দেহ হলে এলাকার ছেলেরা ধরে বিচার করতে চেয়েছিল। সিহাব এখানে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে একটু হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি।

এ প্রসঙ্গে বুধবার (৫ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজাহান আলী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন , ‘ছাত্রদল কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখনো অভিযোগ হাতে আসেনি। তবে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ