শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভালোবাসার কথা বলা হলো না

নীরস শীতকালটা কিছুতেই যাচ্ছে না, অথচ বসন্ত প্রহর গুনছে চারপাশটা রাঙিয়ে দিবে বলে। পাখিদের কোলাহলমুক্ত নিস্তব্ধতায় গাছের পাতাগুলোও যেন অলসতা ভেঙ্গে দোল খেতে প্রস্তুত নয়। সূর্যের আলো তেজহীন। ক্লান্ত এই বিকেলে মোটা হুডির দুই পকেটে হাত বুজে অ্যাডওয়ার্ড পার্কের মূল ফটকের সম্মুখ বেঞ্জে পায়ের ওপর পা রেখে বসে আছে আবির। মাঝে মাঝে সাদা হুডির পকেট থেকে বাম হাতটি বের করে সে তার ঘড়ির কাঁটায় নজর দিচ্ছে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে চারপাশটা অন্ধকার হলেও সানগ্লাসে ঢাকা পড়ে আছে চোখ দুটো। বেঞ্চের এক কোনে নব যৌবনা পাপড়ি পুলকিত গোলাপ-রজনীগন্ধার স্তবক অপেক্ষা করে আছে নারী হাতের স্পর্শ পাওয়ার জন্য। ৩টা বাজতে এখনো ১ ঘণ্টা বাকি। নিজের মনের মধ্যে শব্দের পর শব্দ রঙ তুলির মতো সাজিয়ে রেখেছে আবির। মাঝে মাঝে বাতাসের তালে সেগুলো ঠোঁটের শীর্ষে এনে বিরবির করে চর্চাও করছে। আজ বসন্তকে যে ভাবেই হোক ভালোবাসার কথা বলতে হবে। বদ্ধ দরজায় দীর্ঘদিনের লালিত অনুভূতিকে অবমুক্ত করতে হবে। এ কথা ভাবতেই আবিরের শরীরে বিদ্যুৎ তরঙ্গ খেলে যাচ্ছে। ঠান্ডা শৈত্যের ভিতরেও তা গুমোট করে তুলছে দেহ। হৃদস্পন্দন বেড়ে হাত-পা গুলো তার কাঁপছে।


আবির এবং বসন্ত দুজন একই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে, রোজ দেখাও হয় দুজনার। কিন্তু আজকে যে অনুভূতি আবিরের সমস্ত শরীরকে আন্দোলিত করে তুলেছে, সে অনুভব তার আগে কখনো হয়নি। বন্ধুত্বের জায়গাটিকেই আবির সবসময় গুরুত্ব দিয়েছে। এখন তা ভালোবাসার আম্রকাননে রূপ নিয়েছে। মনের ভিতর ভালোবাসার কথা চেপে রাখার সর্বাপেক্ষা কঠিন কাজটিই পাথর মনে বেয়ে বেড়াচ্ছে আবির। অপেক্ষা এই ভালোবাসাকে অনন্ত গভীর করে তুলছে। বসন্ত এখন তার কাছে কোন সাধারণ মেয়ে নয়, সেতো আবিরের মন সওগাতের রাণী।

দুই

দূর রাস্তায় রিকসায় সাদা শাড়ি পড়ে একটা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। ফর্সা গোলগাল মুখখানা মেঘযুক্ত আকাশের নির্বিশ আলোতেও চক্কর দিচ্ছে। রিকসায় যত কাছে আসছে সেই চেহারাও যেন চাঁদের ন্যায় পূর্ণতা পেয়ে পূর্নিমার রূপ ধারণ করছে। অন্ধকার মেঘাচ্ছন্ন দিনে তার দ্যুতি চারিদিকে শোভা ছড়িয়ে আলোকিত করছে আবিরের মনকে।

রিকসা থেমে বসন্ত নামতেই আবির টাকা দিয়ে রিকসাওয়ালাকে বিদায় দিলো। বসন্ত তার নরম ঢেউ আঁকা ঠোঁট দু'টিতে মুচকি হেসে দুুুষ্টুমির সুরে বলে উঠলো, আজ সকাল থেকে বুঝতে পাচ্ছি না সূর্য কোন দিকে উঠেছে!

ডাগর আঁখি দুইটির মাঝখানে ছোট্ট টিপটি যেন বসন্তের মুচকি হাসিকে কাশবনের নির্মল শুভ্রতাকেও হার মানায়, তাতে নিবিষ্ট আবিরের চোখ দুটি কিছুতেই ফেরানো দায়। সুন্দর এই নারী অবয়বে এক দৃষ্টে বেলা পার নিরর্থক নয়। আবিরের মুখে কোন ভাষা নেই। বুলি না ফোটা নবজাতক শিশুর মতোই প্রতিদিনের চঞ্চল ছেলেটির চোখে আজ যেন মায়া ঝরে পড়ছে। তার ঠোঁটগুলো এক পবিত্র বাক্য বলার জন্য নিরব প্রহর গুনছে।

আবিরের মায়া মলিন চেহেরা দেখে বিস্মিত সুরে বসন্ত বলে উঠলো, আবির, কিছু হয়েছে তোর?
—কই নাতো
—তাহলে এভাবে ডিগডিগ করে তাকিয়ে আছিস যে!

আবির ইতস্তত হয়ে উত্তর দিল, দেখছিলাম।
—কি?
—তোকে
—রোজই তো দেখিস। আচ্ছা, তুই কি কোন বিষয়ে চিন্তিত?
প্রশ্ন করতেই বসন্তের দৃষ্টি বেঞ্জের এক কোনায় গিয়ে পড়লো। সেখানে তাজা সতেজ ফুলগুলোর ওপর তার দৃষ্টি নিবিষ্ট হলো।
'এইগুলো তোর?'
'না'
'তাহলে এখানে কেন?'
'কেউ হয়তো ফেলে গেছে'
বসন্ত ফুলগুলো হাতে নিল। গোলাপগুলো মুখের কাছে এনে দীর্ঘ নিশ্বাস তুলে ঘ্রাণযুক্ত স্বরে বললো, আহারে বেচারা, ভালোবাসার দিনে ফুলগুলো এভাবে অযত্নে ফেলে যায় কেউ?
—হয়তো গার্লফ্রেন্ডের সাথে কেউ ঝগড়া করে ফেলে গেছে
—কিন্তু ঝগড়া করলে তো ফুলগুলো এমন অক্ষত থাকতো না। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী একটা অবস্থা বোঝা যেত।
বলেই বসন্ত হেসে উঠলো।
'সে যাই হোক বসন্তর এতো ভাবার সময় নেই, বসন্ত যখন এসে গেছেই, তখন সে ফুলের শোভায় শোভিত হবেই'
বসন্তের কথাগুলো শুনে আবিরের পা গুলো যথারীতি কাঁপতে শুরু করেছে। সমুদ্রের জলচ্ছ্বাসের মতো বড় বড় তরঙ্গ এসে আছড়ে পড়ছে তার মনে। এতো প্লাবনেও সে নিজেকে অনড় রাখলো। মৃদু স্বরে বলে উঠলো, বসন্ত, সামনে যাবি? চল না এগোয়?
বসন্ত মৃদু বাতাসে ছড়িয়ে যাওয়া শাড়ির আঁচল এক হাতে বুজে নিল, অন্যহাতে ফুলগুলো শক্ত করে ধরে পা বাড়িয়েই বললো, চল।

তিন

শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে বসন্ত প্রকৃতিকে নবরূপে সাজাতে এসেছে। আবিরের পাশে সমকদমে হেঁটে চলা মেয়েটিও মৃদু শীতল হাওয়ায় তার রূপটাকে উজার করে দিয়েছে। হিমেল হাওয়ায় তার সামনের বাধাহীন দু চারটি চুল মুখ বেয়ে ঠোঁটের ওপর, আশেপাশে এলোমেলো উড়ছে, বসন্ত আঙুল দিয়ে ব্যস্ত হাতে তা বারবার মাথায় গুজে দিচ্ছে। আবিরকে দেখে তার খুব চিন্তা হচ্ছে একইসঙ্গে সন্দেহও। হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে বসন্ত আবিরের দিকে তাকিয়ে এক নতুন মানুষকে আবিষ্কার করছে। এই আবির বসন্তের চেনা কেউ না। কোনো অপরাধ করে অনুশোচনাকারী অনুতপ্ত এক ছেলে। যে কিনা প্রতিটা কদমে নির্দোষ হবার অংক কষছে।
—কিরে কিছু বলছিস না যে!
—বলছি তো
—কই, তুই তো চুপ করে আছিস
আবির রাস্তা থেকে দৃষ্টি উঠিয়ে বসন্তের দিকে তাকালো। মুচকি হেসে আবার সামনের দিকে দৃষ্টি ফেরালো।
—তোর হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে?
—আমি যে হাঁটতে পটু সেইটা তুই ভালোভাবেই জানিস।
—না, আজ শাড়ি পড়েছিস তাই বললাম। শাড়ি পড়ে হাঁটতে তো মেয়েদের সমস্যা হয়।
—বাহ, মেয়েদের সমস্যার বিষয়ে দেখছি ভালোই খোঁজ রাখিস।
আবির কিছুটা লজ্জায় পড়ে গেল। এসব কথায় তার কখনোই সংকোচ হতো না। কিন্তু আজ সবকিছুতেই সে যেন এক অন্য মানুষ। চলতে চলতে তাদের অনেক পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হয়। কেউ তাদের নিয়ে সন্দেহ করেনি। কারণ সবাই জানে আবির প্রেম করার মতো ছেলে না। বসন্তও আবিরকে কেবল বন্ধুর চোখেই দেখে।

চার

সন্ধ্যা নেমে আধার হলো। বসন্তের বাতাস যেন আরও সুঘ্রাণ নিয়ে আবিরের নাসিকা রন্ধ্রে প্রবেশ করছে। মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা কথাগুলো তার এখনো বলা হয়নি। মাগরিবের আজানের ধ্বনিতে মখোরিত হলো দিকবিদিক। কানে বেজে ওঠার সাথে সাথে বসন্ত তার শাড়ির আঁচল বাঙালি মুসলমান নারীর মতো মাথায় তুলে নিল।
'আবির আমাকে একটু গাড়িতে উঠিয়ে দিতে পারবি, বাসায় ফিরতে হবে।'

আরেকটু সময় থাকার কথা আবির বলতে পারে না। কারণ আবিরের মন না পাওয়ার ভয়ে ভীত। বসন্তকে সে সর্বাঙ্গে চায়। বসন্ত যদি তার ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তার জীবন নির্জীবতায় ফিকে হয়ে যাবে। সে কখনোই তা চায় না। প্রকৃতির মতো আবিরও তার জীবনে বসন্তের ছোঁয়া চায়। বসন্তের সাথে কথা না বলে, বসন্তকে না দেখে আবিরের দিনে রাতের আধার নামবে না। তার চেয়ে বরং বসন্ত থাকুক, নিজের হয়েই না হয় থাকুক, আবিরের বন্ধু হয়ে থাকুক। বসন্তের রঙে রঙিন হওয়ার অপেক্ষা আরেকটু বাড়ুক। পাথর চাপা দিয়ে প্রত্যহ না পাওয়ার মাঝেই একটু করে পাওয়ার দু:খ তাকে বেয়ে বেড়াতে হবে এটা সে জানে।
বসন্তকে গাড়িতে তুলে দিয়ে এক দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে সে হুডির পকেটে দুই হাত বুজে। পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মেলতেই চোখের কোণে জমে একবিন্দু অভিমান। দুচোখ মুছে নিজেই নিজেকে আড়াল করে বাসার পথে রওনা হয় আবির।

বাড়িতে পৌঁছে বসন্ত নিজেকে যেন কিছুতেই সামলাতে পারছে না। প্রকৃতিকে রাঙানোর বদলে বসন্ত আজ ঘরবন্দী। বর্ষার আকাশ নিপাতিত জল কণার মতোই বসন্তের চোখে মেঘ জন্মেছে। বসন্ত জানে যে ফুল সে হাতে করে এনেছে তা আবির তার জন্যই এনেছিল। কিন্তু ফুলগুলো যেভাবে তার পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল, সেভাবে সে পায়নি। বসন্ত আজ আবিরের রঙে রঙিন হতে চেয়েছিল। কিন্তু সে একজন মেয়ে, একজন নারী। তার মনের কথা সে মুখ খুলে বলতে পারে না, বলতে পারেনি। অশ্রুসিক্ত চোখে ডাইরিটা খুলে তাই বসন্ত লিখে রাখলো, আজ তোমার পছন্দের রঙের সাদা শাড়িটা পড়েছিলাম। আমি তোমার হতেই গিয়েছিলাম, বসন্ত এসেছিল, তোমার ভালবাসার দিনে, কিন্তু আজও তুমি আমার হলে না।

 

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ