শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভালোবাসার কথা বলা হলো না

নীরস শীতকালটা কিছুতেই যাচ্ছে না, অথচ বসন্ত প্রহর গুনছে চারপাশটা রাঙিয়ে দিবে বলে। পাখিদের কোলাহলমুক্ত নিস্তব্ধতায় গাছের পাতাগুলোও যেন অলসতা ভেঙ্গে দোল খেতে প্রস্তুত নয়। সূর্যের আলো তেজহীন। ক্লান্ত এই বিকেলে মোটা হুডির দুই পকেটে হাত বুজে অ্যাডওয়ার্ড পার্কের মূল ফটকের সম্মুখ বেঞ্জে পায়ের ওপর পা রেখে বসে আছে আবির। মাঝে মাঝে সাদা হুডির পকেট থেকে বাম হাতটি বের করে সে তার ঘড়ির কাঁটায় নজর দিচ্ছে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে চারপাশটা অন্ধকার হলেও সানগ্লাসে ঢাকা পড়ে আছে চোখ দুটো। বেঞ্চের এক কোনে নব যৌবনা পাপড়ি পুলকিত গোলাপ-রজনীগন্ধার স্তবক অপেক্ষা করে আছে নারী হাতের স্পর্শ পাওয়ার জন্য। ৩টা বাজতে এখনো ১ ঘণ্টা বাকি। নিজের মনের মধ্যে শব্দের পর শব্দ রঙ তুলির মতো সাজিয়ে রেখেছে আবির। মাঝে মাঝে বাতাসের তালে সেগুলো ঠোঁটের শীর্ষে এনে বিরবির করে চর্চাও করছে। আজ বসন্তকে যে ভাবেই হোক ভালোবাসার কথা বলতে হবে। বদ্ধ দরজায় দীর্ঘদিনের লালিত অনুভূতিকে অবমুক্ত করতে হবে। এ কথা ভাবতেই আবিরের শরীরে বিদ্যুৎ তরঙ্গ খেলে যাচ্ছে। ঠান্ডা শৈত্যের ভিতরেও তা গুমোট করে তুলছে দেহ। হৃদস্পন্দন বেড়ে হাত-পা গুলো তার কাঁপছে।


আবির এবং বসন্ত দুজন একই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে, রোজ দেখাও হয় দুজনার। কিন্তু আজকে যে অনুভূতি আবিরের সমস্ত শরীরকে আন্দোলিত করে তুলেছে, সে অনুভব তার আগে কখনো হয়নি। বন্ধুত্বের জায়গাটিকেই আবির সবসময় গুরুত্ব দিয়েছে। এখন তা ভালোবাসার আম্রকাননে রূপ নিয়েছে। মনের ভিতর ভালোবাসার কথা চেপে রাখার সর্বাপেক্ষা কঠিন কাজটিই পাথর মনে বেয়ে বেড়াচ্ছে আবির। অপেক্ষা এই ভালোবাসাকে অনন্ত গভীর করে তুলছে। বসন্ত এখন তার কাছে কোন সাধারণ মেয়ে নয়, সেতো আবিরের মন সওগাতের রাণী।

দুই

দূর রাস্তায় রিকসায় সাদা শাড়ি পড়ে একটা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। ফর্সা গোলগাল মুখখানা মেঘযুক্ত আকাশের নির্বিশ আলোতেও চক্কর দিচ্ছে। রিকসায় যত কাছে আসছে সেই চেহারাও যেন চাঁদের ন্যায় পূর্ণতা পেয়ে পূর্নিমার রূপ ধারণ করছে। অন্ধকার মেঘাচ্ছন্ন দিনে তার দ্যুতি চারিদিকে শোভা ছড়িয়ে আলোকিত করছে আবিরের মনকে।

রিকসা থেমে বসন্ত নামতেই আবির টাকা দিয়ে রিকসাওয়ালাকে বিদায় দিলো। বসন্ত তার নরম ঢেউ আঁকা ঠোঁট দু'টিতে মুচকি হেসে দুুুষ্টুমির সুরে বলে উঠলো, আজ সকাল থেকে বুঝতে পাচ্ছি না সূর্য কোন দিকে উঠেছে!

ডাগর আঁখি দুইটির মাঝখানে ছোট্ট টিপটি যেন বসন্তের মুচকি হাসিকে কাশবনের নির্মল শুভ্রতাকেও হার মানায়, তাতে নিবিষ্ট আবিরের চোখ দুটি কিছুতেই ফেরানো দায়। সুন্দর এই নারী অবয়বে এক দৃষ্টে বেলা পার নিরর্থক নয়। আবিরের মুখে কোন ভাষা নেই। বুলি না ফোটা নবজাতক শিশুর মতোই প্রতিদিনের চঞ্চল ছেলেটির চোখে আজ যেন মায়া ঝরে পড়ছে। তার ঠোঁটগুলো এক পবিত্র বাক্য বলার জন্য নিরব প্রহর গুনছে।

আবিরের মায়া মলিন চেহেরা দেখে বিস্মিত সুরে বসন্ত বলে উঠলো, আবির, কিছু হয়েছে তোর?
—কই নাতো
—তাহলে এভাবে ডিগডিগ করে তাকিয়ে আছিস যে!

আবির ইতস্তত হয়ে উত্তর দিল, দেখছিলাম।
—কি?
—তোকে
—রোজই তো দেখিস। আচ্ছা, তুই কি কোন বিষয়ে চিন্তিত?
প্রশ্ন করতেই বসন্তের দৃষ্টি বেঞ্জের এক কোনায় গিয়ে পড়লো। সেখানে তাজা সতেজ ফুলগুলোর ওপর তার দৃষ্টি নিবিষ্ট হলো।
'এইগুলো তোর?'
'না'
'তাহলে এখানে কেন?'
'কেউ হয়তো ফেলে গেছে'
বসন্ত ফুলগুলো হাতে নিল। গোলাপগুলো মুখের কাছে এনে দীর্ঘ নিশ্বাস তুলে ঘ্রাণযুক্ত স্বরে বললো, আহারে বেচারা, ভালোবাসার দিনে ফুলগুলো এভাবে অযত্নে ফেলে যায় কেউ?
—হয়তো গার্লফ্রেন্ডের সাথে কেউ ঝগড়া করে ফেলে গেছে
—কিন্তু ঝগড়া করলে তো ফুলগুলো এমন অক্ষত থাকতো না। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী একটা অবস্থা বোঝা যেত।
বলেই বসন্ত হেসে উঠলো।
'সে যাই হোক বসন্তর এতো ভাবার সময় নেই, বসন্ত যখন এসে গেছেই, তখন সে ফুলের শোভায় শোভিত হবেই'
বসন্তের কথাগুলো শুনে আবিরের পা গুলো যথারীতি কাঁপতে শুরু করেছে। সমুদ্রের জলচ্ছ্বাসের মতো বড় বড় তরঙ্গ এসে আছড়ে পড়ছে তার মনে। এতো প্লাবনেও সে নিজেকে অনড় রাখলো। মৃদু স্বরে বলে উঠলো, বসন্ত, সামনে যাবি? চল না এগোয়?
বসন্ত মৃদু বাতাসে ছড়িয়ে যাওয়া শাড়ির আঁচল এক হাতে বুজে নিল, অন্যহাতে ফুলগুলো শক্ত করে ধরে পা বাড়িয়েই বললো, চল।

তিন

শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে বসন্ত প্রকৃতিকে নবরূপে সাজাতে এসেছে। আবিরের পাশে সমকদমে হেঁটে চলা মেয়েটিও মৃদু শীতল হাওয়ায় তার রূপটাকে উজার করে দিয়েছে। হিমেল হাওয়ায় তার সামনের বাধাহীন দু চারটি চুল মুখ বেয়ে ঠোঁটের ওপর, আশেপাশে এলোমেলো উড়ছে, বসন্ত আঙুল দিয়ে ব্যস্ত হাতে তা বারবার মাথায় গুজে দিচ্ছে। আবিরকে দেখে তার খুব চিন্তা হচ্ছে একইসঙ্গে সন্দেহও। হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে বসন্ত আবিরের দিকে তাকিয়ে এক নতুন মানুষকে আবিষ্কার করছে। এই আবির বসন্তের চেনা কেউ না। কোনো অপরাধ করে অনুশোচনাকারী অনুতপ্ত এক ছেলে। যে কিনা প্রতিটা কদমে নির্দোষ হবার অংক কষছে।
—কিরে কিছু বলছিস না যে!
—বলছি তো
—কই, তুই তো চুপ করে আছিস
আবির রাস্তা থেকে দৃষ্টি উঠিয়ে বসন্তের দিকে তাকালো। মুচকি হেসে আবার সামনের দিকে দৃষ্টি ফেরালো।
—তোর হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে?
—আমি যে হাঁটতে পটু সেইটা তুই ভালোভাবেই জানিস।
—না, আজ শাড়ি পড়েছিস তাই বললাম। শাড়ি পড়ে হাঁটতে তো মেয়েদের সমস্যা হয়।
—বাহ, মেয়েদের সমস্যার বিষয়ে দেখছি ভালোই খোঁজ রাখিস।
আবির কিছুটা লজ্জায় পড়ে গেল। এসব কথায় তার কখনোই সংকোচ হতো না। কিন্তু আজ সবকিছুতেই সে যেন এক অন্য মানুষ। চলতে চলতে তাদের অনেক পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হয়। কেউ তাদের নিয়ে সন্দেহ করেনি। কারণ সবাই জানে আবির প্রেম করার মতো ছেলে না। বসন্তও আবিরকে কেবল বন্ধুর চোখেই দেখে।

চার

সন্ধ্যা নেমে আধার হলো। বসন্তের বাতাস যেন আরও সুঘ্রাণ নিয়ে আবিরের নাসিকা রন্ধ্রে প্রবেশ করছে। মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা কথাগুলো তার এখনো বলা হয়নি। মাগরিবের আজানের ধ্বনিতে মখোরিত হলো দিকবিদিক। কানে বেজে ওঠার সাথে সাথে বসন্ত তার শাড়ির আঁচল বাঙালি মুসলমান নারীর মতো মাথায় তুলে নিল।
'আবির আমাকে একটু গাড়িতে উঠিয়ে দিতে পারবি, বাসায় ফিরতে হবে।'

আরেকটু সময় থাকার কথা আবির বলতে পারে না। কারণ আবিরের মন না পাওয়ার ভয়ে ভীত। বসন্তকে সে সর্বাঙ্গে চায়। বসন্ত যদি তার ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তার জীবন নির্জীবতায় ফিকে হয়ে যাবে। সে কখনোই তা চায় না। প্রকৃতির মতো আবিরও তার জীবনে বসন্তের ছোঁয়া চায়। বসন্তের সাথে কথা না বলে, বসন্তকে না দেখে আবিরের দিনে রাতের আধার নামবে না। তার চেয়ে বরং বসন্ত থাকুক, নিজের হয়েই না হয় থাকুক, আবিরের বন্ধু হয়ে থাকুক। বসন্তের রঙে রঙিন হওয়ার অপেক্ষা আরেকটু বাড়ুক। পাথর চাপা দিয়ে প্রত্যহ না পাওয়ার মাঝেই একটু করে পাওয়ার দু:খ তাকে বেয়ে বেড়াতে হবে এটা সে জানে।
বসন্তকে গাড়িতে তুলে দিয়ে এক দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে সে হুডির পকেটে দুই হাত বুজে। পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মেলতেই চোখের কোণে জমে একবিন্দু অভিমান। দুচোখ মুছে নিজেই নিজেকে আড়াল করে বাসার পথে রওনা হয় আবির।

বাড়িতে পৌঁছে বসন্ত নিজেকে যেন কিছুতেই সামলাতে পারছে না। প্রকৃতিকে রাঙানোর বদলে বসন্ত আজ ঘরবন্দী। বর্ষার আকাশ নিপাতিত জল কণার মতোই বসন্তের চোখে মেঘ জন্মেছে। বসন্ত জানে যে ফুল সে হাতে করে এনেছে তা আবির তার জন্যই এনেছিল। কিন্তু ফুলগুলো যেভাবে তার পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল, সেভাবে সে পায়নি। বসন্ত আজ আবিরের রঙে রঙিন হতে চেয়েছিল। কিন্তু সে একজন মেয়ে, একজন নারী। তার মনের কথা সে মুখ খুলে বলতে পারে না, বলতে পারেনি। অশ্রুসিক্ত চোখে ডাইরিটা খুলে তাই বসন্ত লিখে রাখলো, আজ তোমার পছন্দের রঙের সাদা শাড়িটা পড়েছিলাম। আমি তোমার হতেই গিয়েছিলাম, বসন্ত এসেছিল, তোমার ভালবাসার দিনে, কিন্তু আজও তুমি আমার হলে না।

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত