রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দুই ফোঁটা জল

ওর নাম জলফড়িং দেওয়ার পেছনে কোনো শক্ত যুক্তি নেই। মুখ থেকে হঠাৎ করেই বেরিয়ে গেল। বেরিয়ে যাওয়ার পর জলফড়িং নাম আর ফেরত নেইনি। জলফড়িংই নামটা সঙ্গে নিয়ে গেছে। জলফড়িংয়ের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সময়। আমার পরীক্ষা না, জলফড়িংয়ের পরীক্ষা ছিল। আমি আর্টস ফ্যাকাল্টিতে পড়ি। আমার সাবজেক্ট ছিল সমাজবিজ্ঞান। অবশ্য এসএসসি ও এইচএসসিতে আমি কমার্সের ছাত্র ছিলাম। কি মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কমার্স পড়তে ইচ্ছা হলো না। অংক নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালো লাগছিল না। মা-বাবাকে না জানিয়েই ফরম তুললাম কেবল আটর্সের সাবজেক্টে। বাবার শখে কমার্স নিয়েছিলাম। বাবা কষ্ট পাবেন বলেই বাড়িতে কিছুই বললাম না। বাবা ভাবলেন আমি কমার্সে ভর্তি হচ্ছি। শেষে যখন দেখলেন আটর্সের সাবজেক্টে চান্স পেয়েছি বাবা শুধু শুকনো মুখে বললেন, কমার্সটা তোর আর পড়া হলো না। একটু ভালো করে প্রিপারেশন নিতি? আমি আর সত্যি কথাটা জানালাম না। সেখান থেকেই আমার কমার্স জীবনের ইতি ঘটল। তাতে সুবিধা হলো আমার। পড়াশোনার বাইরে ঘুরে বেড়ানোর সময় পাই। টেনেটুনে সেকেন্ড ক্লাস পেলেই চলবে। বেশি পড়তাম না। লতায় পাতায় সম্পর্কের এক ভাইয়ের হাত ধরে ঢুকে গেলাম রাজনীতিতে। চোখে তখন অনেক স্বপ্ন। নেতা হতে ইচ্ছে করত। চাকরি না হলেও ক্ষতি নেই। রাজনীতি করব- এ রকম একটা ইচ্ছা মনের ভেতর ততদিনে ঢুকে গেছে। অনেকে বড় ভাই বলে সালাম দেয়। ভালোই লাগে। সকালে পেছন পকেটে একটা বই খাতা নিয়ে বের হই। আড্ডাতেই সময় যায় বেশি। আমার ততদিনে একটা সার্কেল গড়ে উঠেছে। কোনো মেয়ে নতুন এলো-গেল তীক্ষ্ণ নজর রাখি। এটাই যেন কাজ! এই নজর রাখতে গিয়েই একদিন জলফড়িং আমার ফুড়ৎ করে ঢুকে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। গেটের সামনে দাড়িয়ে আছি। আমি ও আরও কয়েকজন আছি। কেউ কেউ আমাদের কাছে আসছে, জানতে চাইছে নিজের আসনের খবর। আমরা বুঝিয়ে দিচ্ছি। এর মধ্যে লক্ষ্য করলাম একটি ফর্সা, হালকা গড়নের মেয়ে ভিড় ঠেলে গেটের দিকে যাচ্ছে। বেশি তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কারো হাতের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ওর প্রবেশপত্রটি পরে গেল। মেয়েটি এটা লক্ষ না করেই গেট দিয়ে ঢুকে গেল। আমি পেছন থেকে ডেকে উঠলাম এই জলফড়িং, অ্যাই?

জলফড়িং নামটির সূচনা এখান থেকেই।

আমি চ্যাঁচিয়ে বললাম, ’আপনার অ্যাডমিট কার্ড'?

অত ভিড়ে কেউ কারও কথা শোনার কথা না। জলফড়িংও শুনল না। অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থেকে আমিও বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। এতক্ষণে যুতসই একটা কাজ পেলাম। আমি ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলাম প্রবেশপত্র উদ্ধার করার জন্য। যতটা সহজ ভেবেছিলাম কাজটি তত সহজ ছিল না। মিছিলের ভেতর দাঁড়িয়ে মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করছি। সবাই পরীক্ষার হলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমি সাগরের মধ্যে থেকে মুক্তা তুলে আনলাম। প্রবেশপত্র হাতে নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে একটু এগুতেই দেখি জলফড়িং দাঁড়িয়ে আছে। মনে হয় কান্নাকাটি করেছে। চোখ দুটো ফোলা। আমি প্রবেশপত্র এগিয়ে দিলাম। জলফড়িং প্রবেশপত্রটি হাতে নিয়ে পেছনে ঘুরে হাঁটতে লাগল। একবার ধন্যবাদও দেওয়ার প্রয়োজন মনে করল না। আশ্চর্য! আমি পেছন থেকে আবার ডাকলাম, অ্যাই জলফড়িং? মেয়েটা আমার কথায় থমকে দাড়াল।

আমাকে কিছু বললেন? এগিয়ে এসে জানতে চাইল।

’ভালোভাবে পরীক্ষা দেবেন।’

’ঠিক আছে। আর হ্যাঁ আমার নাম জলফড়িং না মৌমিতা। মৌমিতা সেন। বলার সময় ঠোঁটের কোণে একটু হাসি ফুটে উঠল।’

’ও আচ্ছা।’ আমার নাম বলার সময়ই পেলাম না।

জলফড়িং পরীক্ষার্থীদের ভিড়ে হারিয়ে গেল। ভর্তি না হলে জলফড়িংয়ের সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার কোনো চান্স ছিল না। আমি চাইছিলাম জলফড়িং এখানে ভর্তি হোক। উপকারের পরিবর্তে প্রাপ্য ধন্যবাদটা নিতে হবে জলফড়িংয়ের কাছ থেকে। জলফড়িং ভর্তি হলো কমার্স ডিপার্টমেন্টে। তখন আমার মনে হলো কমার্সে ভর্তি হলেই বেশ হতো। জলফড়িংকে দেখলাম নবীন বরণ অনুষ্ঠানে। নতুনদের ফুল দিয়ে বরণ করার সময়। জলফড়িংয়ের হাতে আমি ফুল দিতে পারলাম না। এরপর আমি বাড়িতে একটু সমস্যা হলে সেখানে মাসখানেক ক্যাম্পাস থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। জলফড়িংয়ের সঙ্গে দেখা হলো না। ক্যাম্পাসে ফিরে এসে একদিন সকালে দেখা হলো জলফড়িংয়ের সঙ্গে। মহুয়া তলায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। জলফড়িং ক্লাস থেকে ফিরছিল। আমি লাফ দিয়ে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।

’কেমন আছেন?’

আমাকে হঠাৎ ওভাবে দেখে হকচকিয়ে গেল জলফড়িং।

আমাকে বলছেন?

আমাকে চিনতে পারছেন?

’না।’ জলফড়িংয়ের সোজা উত্তর। আমাকে একটু নির্লজ্জ হতে হলো। আমাকেই গায়ে পরে পরিচয় দিতে হলো। সেদিনের প্রবেশপত্রের ঘটনাটা তাকে বললাম। শুনে মনে পরে যাওয়ায় মনে হয় একটু লজ্জিত হলো। লজ্জা পাওয়ার সময় জলফড়িংয়ের চোখ মুখ লাল হয়ে গেল।

’আমি আপনাকে ধন্যবাদ দিতে পারিনি। দুঃখিত। টেনশনে ছিলাম তো তাই। এখানে ভর্তি হতে না পারলে গ্রামের কলেজে ভর্তি হতে হতো। আর কোথাও তো চান্স পাইনি।’

’ভাগ্যিস ভর্তি হয়েছেন!’

’মানে?’

’মানে কিছু না। আপনি বুঝবেন না।’

আমি বুঝতে চাচ্ছি না।

আমি ফিরোজ। সমাজবিজ্ঞান থার্ড ইয়ারে পড়ি।

’ও আচ্ছা। আপনি আমাকে একটু সাহায্য করতে পারেন?’

জলফড়িংয়ের মুখ থেকে সাহায্যের কথা শুনে আমি আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম। এ যেন রাজকন্যার মুখ থেকে আদেশের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকা।

’কি সাহায্য?’

’মানে এখানে হোস্টেলে একটা সিট নেওয়া আর একটু নোট-টোট জোগাড় করে দেওয়া। আমার তো এখানে কেউ পরিচিত নেই। ও হ্যাঁ আমি লক্ষ্য করেছি আপনি আজও আমাকে জলফড়িং ডাকছেন। আমার ও ডাকে আপত্তি নেই। তবে সবার সামনে আমাকে মৌমিতা বলেই ডাকবেন।’

জলফড়িংয়ের সঙ্গে কথা হলো বেশ অনেকক্ষণ। জানলাম বাবা-মার একমাত্র সন্তান সে। ওর আর একটা বড় বোন ছিল। মারা গেছে। আমার সম্পর্কেও বললাম। ইনিয়ে বিনিয়ে ক্যাম্পাসে আমার প্রভাবের কথা বললাম। জলফড়িংয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা একটু স্বাভাবিক হলো এদিন।

এরপর থেকে প্রতিদিনই জলফড়িংয়ের সঙ্গে দেখা হতো। কথা হতো। প্রতিদিনই সমীর দা’র দোকানের চা খাওয়া হতো। ক্লাস শেষেই আমাকে ফোন দিত। আমি ছুটে যেতাম। আমি তো খুব বেশি ক্লাস-টাস করতাম না। জলফড়িংয়ের সাথে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার তিন বছর পর ক্যাম্পাসকে আমার অন্যরকম লাগতে লাগল। লেখাপড়া আর রাজনীতির জীবনের বাইরেও একটা জীবন আছে সেটা এই প্রথম টের পেলাম। সেটা হলো জলফড়িং। জলফড়িংয়ের জীবন। কীভাবে যেন মেয়েটা আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেল। লক্ষ করলাম জলফড়িংও ক্যাম্পাসে আমি নির্ভর। ফটোকপি থেকে শুরু করে ফুচকা খাওয়া আমাকে ছাড়া চলছে না। আরও বেশ কিছু বন্ধু আছে ওর, তবে আমার গুরুত্বটা বুঝতাম একটু আলাদা। ভাবলাম এবার জলফড়িংকে আমার অনুভূতির কথাটা সরাসরি বলতে হবে। সম্পর্কটা এগিয়ে নিতে হবে। সকালে বই খাতা পকেটে গুঁজে ক্যাম্পাসে এলাম। জলফড়িং এর মধ্যেই দুইবার ফোন দিয়েছে। সমীর দা’র চায়ের দোকানে। কি না কি দরকার আছে। সারপ্রাইজ আছে। আজ তো সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা আমার। পৌঁছে দেখি জলফড়িং আগেই এসেছে। আমাকে দেখেই হাসিমুখে এগিয়ে এলো।

’ফিরোজ ভাই, ওর নাম স্বপ্নীল।’ ওর সাথেই বসেছিল ছেলেটি। পরিচয় দিতেই উঠে হাত এগিয়ে দিল।

এই সারপ্রাইজের কথাই বলেছিলাম।

’ও চিটাগাং ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। ইংরেজি, থার্ড ইয়ার। আমাদের একই গ্রামে বাড়ি। পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। আপনার কথা বলাতে খুব দেখা করতে চাইছিল।’

জানো, আমার নাম ফিরোজ ভাই কি রেখেছে?

’কি?’

’জলফড়িং। সুন্দর না নামটা?’

’হু।’

স্বপ্নীলের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হলো। যাওয়ার সময় বলে গেল, ভাই মৌমিতাকে একটু দেখবেন। আপনাকে খুব বিশ্বাস করে।
ওদের বিদায় দিয়ে চলে আসি। স্বপ্নীলের সাথে মৌমিতাকে বেশ মানিয়েছে। আমার সারপ্রাইজটা তোলা থাক। মৌমিতার কথা ভাবতে ভাবতে দেখি দু’চোখ থেকে দুই ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়েছে। আমি তাড়াতাড়ি মুছে ফেলি।

 টিটি/

Header Ad

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। সরকারি সফরের অংশ হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকে শরীরে ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর বিদেশ সফর থেকে বিরত রয়েছেন ব্রিটিশ এই রাজা। তবে কিছু দিনের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সফর করতে পারেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারেন, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’

Header Ad

নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

যেসব নেতাকর্মী সামনে নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন। তারা সাবধান হন। সামনে ভয়ংকর অন্ধকার দেয়াল আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটায় রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলার বিষয়ে আইনজীবীর প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পড়ে গেছে, পালিয়ে গেছে। তারা তো বসে নাই, তারা ষড়যন্ত্র করছে। যদি তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়- মামলা তো উঠবেই না বরং নেতাকর্মীদের নামে জ্যামিতিক হারে ২০টা মামলা হয়ে যাবে। সেই সম্ভাবনাও আছে। সেই সম্ভাবনাকে যদি নস্যাৎ করে দিতে হয়, তাহলে আজকে থেকে আপনাদের প্রত্যেকেই সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের একটাই টার্গেট হতে হবে। জনগণ, জনগণ অ্যান্ড জনগণ। এর বাইরে যদি কিছু চিন্তা করেন। তাহলে পতিত স্বৈরাচার সফল হবে। তারা সফল হলে আইনজীবী সহকর্মীর বক্তব্য অনুযায়ী মামলা আপনাদের মিটবে না। বরং মাথার ওপরে আরও ১০টি, ২০টি মামলা চেপে বসবে। আপনাদের নিজেকে যদি বাঁচাতে হয় তাহলে উপায় একটাই- জনগণের আস্থা অর্জন করেন। আপনার পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করতে হলে উপায় একটাই জনগণের আস্থা আর্জন করেন।

তিনি বলেন, ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা আছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বিএনপির বাইরে অন্য সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারা যথাযথভাবে এটা দেখেনি। পতিত স্বৈরাচার সরকার প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য ইচ্ছা করেই করেনি। আমরা সময়মতো অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করবো। আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়েই কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণের ইচ্ছে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গবেষণায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অনেকাংশ, অর্ধেক বা তার কম অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এই দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা বৃক্ষমেলা করতাম। আমাদের যেভাবেই হোক, এই কর্মসূচি আবার শুরু করতে হবে। সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে বৃক্ষরোপণের জন্য। গাছ প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। আগামী দিনে আমরা সুযোগ পেলে পাঁচ বছরে আমরা পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণ করব।

এর আগে সকাল ১০টায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এসময় বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মাহাদী আমিন।

কর্মশালায় আলোচনা করেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা ও কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব। সভাপতিত্ব করেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত।

বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম আলীম প্রমুখ।

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ