শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুই ফোঁটা জল

ওর নাম জলফড়িং দেওয়ার পেছনে কোনো শক্ত যুক্তি নেই। মুখ থেকে হঠাৎ করেই বেরিয়ে গেল। বেরিয়ে যাওয়ার পর জলফড়িং নাম আর ফেরত নেইনি। জলফড়িংই নামটা সঙ্গে নিয়ে গেছে। জলফড়িংয়ের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সময়। আমার পরীক্ষা না, জলফড়িংয়ের পরীক্ষা ছিল। আমি আর্টস ফ্যাকাল্টিতে পড়ি। আমার সাবজেক্ট ছিল সমাজবিজ্ঞান। অবশ্য এসএসসি ও এইচএসসিতে আমি কমার্সের ছাত্র ছিলাম। কি মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কমার্স পড়তে ইচ্ছা হলো না। অংক নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালো লাগছিল না। মা-বাবাকে না জানিয়েই ফরম তুললাম কেবল আটর্সের সাবজেক্টে। বাবার শখে কমার্স নিয়েছিলাম। বাবা কষ্ট পাবেন বলেই বাড়িতে কিছুই বললাম না। বাবা ভাবলেন আমি কমার্সে ভর্তি হচ্ছি। শেষে যখন দেখলেন আটর্সের সাবজেক্টে চান্স পেয়েছি বাবা শুধু শুকনো মুখে বললেন, কমার্সটা তোর আর পড়া হলো না। একটু ভালো করে প্রিপারেশন নিতি? আমি আর সত্যি কথাটা জানালাম না। সেখান থেকেই আমার কমার্স জীবনের ইতি ঘটল। তাতে সুবিধা হলো আমার। পড়াশোনার বাইরে ঘুরে বেড়ানোর সময় পাই। টেনেটুনে সেকেন্ড ক্লাস পেলেই চলবে। বেশি পড়তাম না। লতায় পাতায় সম্পর্কের এক ভাইয়ের হাত ধরে ঢুকে গেলাম রাজনীতিতে। চোখে তখন অনেক স্বপ্ন। নেতা হতে ইচ্ছে করত। চাকরি না হলেও ক্ষতি নেই। রাজনীতি করব- এ রকম একটা ইচ্ছা মনের ভেতর ততদিনে ঢুকে গেছে। অনেকে বড় ভাই বলে সালাম দেয়। ভালোই লাগে। সকালে পেছন পকেটে একটা বই খাতা নিয়ে বের হই। আড্ডাতেই সময় যায় বেশি। আমার ততদিনে একটা সার্কেল গড়ে উঠেছে। কোনো মেয়ে নতুন এলো-গেল তীক্ষ্ণ নজর রাখি। এটাই যেন কাজ! এই নজর রাখতে গিয়েই একদিন জলফড়িং আমার ফুড়ৎ করে ঢুকে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। গেটের সামনে দাড়িয়ে আছি। আমি ও আরও কয়েকজন আছি। কেউ কেউ আমাদের কাছে আসছে, জানতে চাইছে নিজের আসনের খবর। আমরা বুঝিয়ে দিচ্ছি। এর মধ্যে লক্ষ্য করলাম একটি ফর্সা, হালকা গড়নের মেয়ে ভিড় ঠেলে গেটের দিকে যাচ্ছে। বেশি তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কারো হাতের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ওর প্রবেশপত্রটি পরে গেল। মেয়েটি এটা লক্ষ না করেই গেট দিয়ে ঢুকে গেল। আমি পেছন থেকে ডেকে উঠলাম এই জলফড়িং, অ্যাই?

জলফড়িং নামটির সূচনা এখান থেকেই।

আমি চ্যাঁচিয়ে বললাম, ’আপনার অ্যাডমিট কার্ড'?

অত ভিড়ে কেউ কারও কথা শোনার কথা না। জলফড়িংও শুনল না। অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থেকে আমিও বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। এতক্ষণে যুতসই একটা কাজ পেলাম। আমি ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলাম প্রবেশপত্র উদ্ধার করার জন্য। যতটা সহজ ভেবেছিলাম কাজটি তত সহজ ছিল না। মিছিলের ভেতর দাঁড়িয়ে মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করছি। সবাই পরীক্ষার হলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমি সাগরের মধ্যে থেকে মুক্তা তুলে আনলাম। প্রবেশপত্র হাতে নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে একটু এগুতেই দেখি জলফড়িং দাঁড়িয়ে আছে। মনে হয় কান্নাকাটি করেছে। চোখ দুটো ফোলা। আমি প্রবেশপত্র এগিয়ে দিলাম। জলফড়িং প্রবেশপত্রটি হাতে নিয়ে পেছনে ঘুরে হাঁটতে লাগল। একবার ধন্যবাদও দেওয়ার প্রয়োজন মনে করল না। আশ্চর্য! আমি পেছন থেকে আবার ডাকলাম, অ্যাই জলফড়িং? মেয়েটা আমার কথায় থমকে দাড়াল।

আমাকে কিছু বললেন? এগিয়ে এসে জানতে চাইল।

’ভালোভাবে পরীক্ষা দেবেন।’

’ঠিক আছে। আর হ্যাঁ আমার নাম জলফড়িং না মৌমিতা। মৌমিতা সেন। বলার সময় ঠোঁটের কোণে একটু হাসি ফুটে উঠল।’

’ও আচ্ছা।’ আমার নাম বলার সময়ই পেলাম না।

জলফড়িং পরীক্ষার্থীদের ভিড়ে হারিয়ে গেল। ভর্তি না হলে জলফড়িংয়ের সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার কোনো চান্স ছিল না। আমি চাইছিলাম জলফড়িং এখানে ভর্তি হোক। উপকারের পরিবর্তে প্রাপ্য ধন্যবাদটা নিতে হবে জলফড়িংয়ের কাছ থেকে। জলফড়িং ভর্তি হলো কমার্স ডিপার্টমেন্টে। তখন আমার মনে হলো কমার্সে ভর্তি হলেই বেশ হতো। জলফড়িংকে দেখলাম নবীন বরণ অনুষ্ঠানে। নতুনদের ফুল দিয়ে বরণ করার সময়। জলফড়িংয়ের হাতে আমি ফুল দিতে পারলাম না। এরপর আমি বাড়িতে একটু সমস্যা হলে সেখানে মাসখানেক ক্যাম্পাস থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। জলফড়িংয়ের সঙ্গে দেখা হলো না। ক্যাম্পাসে ফিরে এসে একদিন সকালে দেখা হলো জলফড়িংয়ের সঙ্গে। মহুয়া তলায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। জলফড়িং ক্লাস থেকে ফিরছিল। আমি লাফ দিয়ে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।

’কেমন আছেন?’

আমাকে হঠাৎ ওভাবে দেখে হকচকিয়ে গেল জলফড়িং।

আমাকে বলছেন?

আমাকে চিনতে পারছেন?

’না।’ জলফড়িংয়ের সোজা উত্তর। আমাকে একটু নির্লজ্জ হতে হলো। আমাকেই গায়ে পরে পরিচয় দিতে হলো। সেদিনের প্রবেশপত্রের ঘটনাটা তাকে বললাম। শুনে মনে পরে যাওয়ায় মনে হয় একটু লজ্জিত হলো। লজ্জা পাওয়ার সময় জলফড়িংয়ের চোখ মুখ লাল হয়ে গেল।

’আমি আপনাকে ধন্যবাদ দিতে পারিনি। দুঃখিত। টেনশনে ছিলাম তো তাই। এখানে ভর্তি হতে না পারলে গ্রামের কলেজে ভর্তি হতে হতো। আর কোথাও তো চান্স পাইনি।’

’ভাগ্যিস ভর্তি হয়েছেন!’

’মানে?’

’মানে কিছু না। আপনি বুঝবেন না।’

আমি বুঝতে চাচ্ছি না।

আমি ফিরোজ। সমাজবিজ্ঞান থার্ড ইয়ারে পড়ি।

’ও আচ্ছা। আপনি আমাকে একটু সাহায্য করতে পারেন?’

জলফড়িংয়ের মুখ থেকে সাহায্যের কথা শুনে আমি আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম। এ যেন রাজকন্যার মুখ থেকে আদেশের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকা।

’কি সাহায্য?’

’মানে এখানে হোস্টেলে একটা সিট নেওয়া আর একটু নোট-টোট জোগাড় করে দেওয়া। আমার তো এখানে কেউ পরিচিত নেই। ও হ্যাঁ আমি লক্ষ্য করেছি আপনি আজও আমাকে জলফড়িং ডাকছেন। আমার ও ডাকে আপত্তি নেই। তবে সবার সামনে আমাকে মৌমিতা বলেই ডাকবেন।’

জলফড়িংয়ের সঙ্গে কথা হলো বেশ অনেকক্ষণ। জানলাম বাবা-মার একমাত্র সন্তান সে। ওর আর একটা বড় বোন ছিল। মারা গেছে। আমার সম্পর্কেও বললাম। ইনিয়ে বিনিয়ে ক্যাম্পাসে আমার প্রভাবের কথা বললাম। জলফড়িংয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা একটু স্বাভাবিক হলো এদিন।

এরপর থেকে প্রতিদিনই জলফড়িংয়ের সঙ্গে দেখা হতো। কথা হতো। প্রতিদিনই সমীর দা’র দোকানের চা খাওয়া হতো। ক্লাস শেষেই আমাকে ফোন দিত। আমি ছুটে যেতাম। আমি তো খুব বেশি ক্লাস-টাস করতাম না। জলফড়িংয়ের সাথে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার তিন বছর পর ক্যাম্পাসকে আমার অন্যরকম লাগতে লাগল। লেখাপড়া আর রাজনীতির জীবনের বাইরেও একটা জীবন আছে সেটা এই প্রথম টের পেলাম। সেটা হলো জলফড়িং। জলফড়িংয়ের জীবন। কীভাবে যেন মেয়েটা আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেল। লক্ষ করলাম জলফড়িংও ক্যাম্পাসে আমি নির্ভর। ফটোকপি থেকে শুরু করে ফুচকা খাওয়া আমাকে ছাড়া চলছে না। আরও বেশ কিছু বন্ধু আছে ওর, তবে আমার গুরুত্বটা বুঝতাম একটু আলাদা। ভাবলাম এবার জলফড়িংকে আমার অনুভূতির কথাটা সরাসরি বলতে হবে। সম্পর্কটা এগিয়ে নিতে হবে। সকালে বই খাতা পকেটে গুঁজে ক্যাম্পাসে এলাম। জলফড়িং এর মধ্যেই দুইবার ফোন দিয়েছে। সমীর দা’র চায়ের দোকানে। কি না কি দরকার আছে। সারপ্রাইজ আছে। আজ তো সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা আমার। পৌঁছে দেখি জলফড়িং আগেই এসেছে। আমাকে দেখেই হাসিমুখে এগিয়ে এলো।

’ফিরোজ ভাই, ওর নাম স্বপ্নীল।’ ওর সাথেই বসেছিল ছেলেটি। পরিচয় দিতেই উঠে হাত এগিয়ে দিল।

এই সারপ্রাইজের কথাই বলেছিলাম।

’ও চিটাগাং ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। ইংরেজি, থার্ড ইয়ার। আমাদের একই গ্রামে বাড়ি। পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। আপনার কথা বলাতে খুব দেখা করতে চাইছিল।’

জানো, আমার নাম ফিরোজ ভাই কি রেখেছে?

’কি?’

’জলফড়িং। সুন্দর না নামটা?’

’হু।’

স্বপ্নীলের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হলো। যাওয়ার সময় বলে গেল, ভাই মৌমিতাকে একটু দেখবেন। আপনাকে খুব বিশ্বাস করে।
ওদের বিদায় দিয়ে চলে আসি। স্বপ্নীলের সাথে মৌমিতাকে বেশ মানিয়েছে। আমার সারপ্রাইজটা তোলা থাক। মৌমিতার কথা ভাবতে ভাবতে দেখি দু’চোখ থেকে দুই ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়েছে। আমি তাড়াতাড়ি মুছে ফেলি।

 টিটি/

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ