শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

অব্যক্ত ভালোবাসা

ঘড়িতে সময় ভোর সাড়ে ৬টা। মোবাইলের রিংটোনে ঘুম ভাঙলো রবিনের। সচরাচর ৯টার আগে উঠে না সে। চোখ কচলাতে কচলাতে আধো ঘুমে ফোন রিসিভ করল। হ্যালো বলতেই ভেসে উঠলো অতি পরিচিত এক আওয়াজ। চেনা সেই সুর। নাম্বার দেখে রীতিমতো চমকে গেছে রবিন।

বহুদিন পর রিয়ার ফোন। ওপাশ থেকে আওয়াজ এল, ‘কেমন আছ? রবিন।’ হঠাৎই রবিনের চোখের কোনায় দু’ফোটা জ্বল এসে জমা হলো। চোখ মুছে বলল, ‘ভালো আছি। তুমি ভালো?’ তারপর বেশ কিছুক্ষণ কথা চলল।

ঘুম পুরোই ভেঙে গেল রবিনের। ঘুম আসছেনা আর। মনে পড়ছে রিয়ার কথা। সেই পুরোনো দিনের কথা। রবিন কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গেল সোনালি অতীতে। রিয়াকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো রবিন তবে কখনো ভালোবাসি বলে উঠা হয়নি।

রবিন আর রিয়া। পরিচয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রায় বছর খানেক পর। কথাবার্তা শুরু ফেসবুক মেসেঞ্জারের সুবাদে। ক্লাস নোট দেওয়া নেওয়ার মাধ্যমে শুরু। এই স্বল্প পরিচয় যে এতদুর নিয়ে যাবে কেউ কখনো ভাবতেই পারেনি। একজনের আরেকজন ছাড়া যেন চলতই না। কেয়ারিং-শেয়ারিংয়ের কোনো কমতি ছিল না তাদের মধ্যে। অনেকে বলে থাকে প্রতিটা ছেলেই না কি তার মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ডের প্রেমে পরে। রবিন কথাটা বিশ্বাস না করলেও পরে মেনে নিয়েছে।

রিয়াকে প্রচণ্ড রকম ভালোবেসে ফেলেছিল রবিন। তবে ভালোবাসাটুকু শুধু মনেই ছিল। প্রকাশ করেনি হারানোর ভয়ে। রবিন শুধু অপলক দৃষ্টিতে চেয়েই থাকতো রিয়ার দিকে।

ডিপার্টমেন্টে রবিন আর রিয়াকে চেনেনা এমন কেউ নেই। তাদের সম্পর্ক টম এন্ড জেরির মত। সারাক্ষণ খোঁচাখুঁচি, ঝগড়া। তাদের দু’জনেরই ক্লাসে ভালো পার্ফর্মেন্স। বরাবরই সিজিপিএ ভালো। তাই আর শিক্ষকদেরও নজরের বাইরে পরত না।

ক্লাসে এক বেঞ্চে বসে মারামারি, খোঁচাখুঁচি। মাঝে মাঝে স্যারের নজরে পড়লে দাঁড় করিয়ে রাখতো পুরো ক্লাস। তবুও ক্লাসে খোঁচাখুঁচি বন্ধ হয় না তাদের। ক্লাস শেষেই আড্ডা ডায়না চত্বরে। বিকেল হলেই মফিজ লেকে ঘুরতে যাওয়া। সন্ধায় রিয়াকে হলে পৌঁছে দিয়ে জিয়া মোড়ে বন্ধুদের সাথে চায়ের আড্ডায় মিলিত হওয়া। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল রবিন আর রিয়ার সময়গুলো।

ভালোই চলছিল। হঠাৎ সম্পর্কে নেমে এল কালো ছায়া। রাকিব সন্দেহ করতো রবিন আর রিয়া প্রেম করে। রাকিব রিয়ার বয় ফ্রেন্ড। সে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। রবিন আর রিয়ার এরকম সম্পর্ক রাকিব মেনে নিতে পারেনি। সন্দেহ করতো সবসময় ওরা প্রেম করে কি না।

রিয়ার আশপাশের বন্ধু-বান্ধবীদের জিজ্ঞেস করত ওদের মধ্যে সম্পর্ক কী, প্রেম করে না কি ইত্যাদি ইত্যাদি। রিয়া কোনো ছেলের সাথে মিশলেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠত রাকিব। ধীরে ধীরে বেড়েই চলল রাকিবের সন্দেহের পাহাড়।

রিয়া শুরুর দিকে তার বয়ফ্রেন্ডের সন্দেহের কথা লুকালেও হঠাৎ একদিন রবিনকে বলেই ফেলল। রিয়া বলল, ‘রবিন শোন, তোর সাথে মনে হয় আর তেমন যোগাযোগ হবে না।’ রবিনের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। সে রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘কি বলিস তুই! বুঝে বলছিস?’ রিয়া তখন আস্তে আস্তে খুলে বলল সব।

রবিন সেদিন হাসিমুখে রিয়ার কাছ থেকে বিদায় নিলেও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। রিয়ার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হওয়ায় ভেঙে পড়ে। এদিকে সেমিস্টার ফাইনাল দরজায় কড়া নাড়ছে।

ধীরে ধীরে তাদের দুরত্ব বাড়ল। কিছুদিন পড়েই রবিন অসুস্থ হয়ে পড়ল। খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ম, অবহেলা। শরীরের প্রতিও যত্ন নেই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হলো সেমিস্টার ফাইনাল।

পরীক্ষার তেমন কোনো প্রস্তুতিই নেই রবিনের। বাসায় কী জবাব দেবে রেজাল্ট খারাপ হলে। এ চিন্তায় আর পড়াশোনা হচ্ছেনা। পরীক্ষা চলছে। চাপ বাড়ছে। মোটামুটি প্রিপারেশন নিয়ে প্রথম পরীক্ষায় অংশ নিল। পরিক্ষা শেষ। পরীক্ষা শেষে সাধারণত সবাই টেনশন ফ্রি হয়। রবিনের ঘটল উল্টো। পরীক্ষা চরম খারাপ হয়েছে তার। বাড়িতে কী জবাব দেবে?

কথায় আছে সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। রবিনের জন্যও সময় থমকে দাঁড়ায়নি। ধীরে ধীরে রবিন সুস্থ হয়ে উঠল। তবে রিয়াকে কোনভাবেই ভুলতে পারছেনা। কেটে গেল বাকি আরো দু’টি বছর। গ্রাজুয়েশন শেষ তাদের। এখন দৌড়ানোর পালা চাকরির বাজারে। কয়েকজন বন্ধু মিলে ঢাকা শহরে একটা বাসা ভাড়া নিল রবিন। সেখান থেকেই চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা রবিন। পরিবারের বড় সন্তান। টিউশনি করে নিজের খরচ চালায়। দেশে চাকরি সোনার হরিণ। সরকারি চাকরি তো আরও বিশাল ব্যাপার। ভাইভার পর ভাইভা দিয়েই যাচ্ছে। চাকরি হচ্ছেনা। টেনশন বাড়ছে। আর কতদিন বাবার টাকায় চলবে।

রবিনের আইটি সেক্টরে হাত পাঁকা। চাকরি না পেয়ে আর সাত পাঁচ না ভেবে আউটসোর্সিং শেখা শুরু করল। অল্প সময়েই রপ্ত করে ফেলল। শুরুতে বেশি টাকা আয় না হলেও ধীরে ধীরে আয় বাড়ল। আউটসোর্সিংয়ে রবিন এখন মাসপ্রতি প্রায় লাখখানেক টাকা আয় করে। বাড়িতেও টাকা পাঠায়।

ভাড়া বাসা ছেড়ে ফ্ল্যাটে উঠল রবিন। এখনো মাঝেমধ্যেই রিয়ার কথা ভাবে। ভাবে সোনালী অতীতের কথা। কোথায় আছে, কেমন আছে। রিয়া শুধু কল্পনায়ই থেকে গেল। প্রণয় ছিল, পরিনয় আর হয়ে উঠল না। রবিনের অব্যক্ত ভালোবাসা এভাবেই বেচে রইল তার মনে। রিয়াকে কখনো বলেনি ‘ভালোবাসি’।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ