শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান

কোমলতা আর করুণার যে তরঙ্গ তাৎক্ষণিকভাবে তার হৃদয় ভরে দিয়েছে সে তরঙ্গ যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বাবার স্মৃতির প্রতি ছেলেকে টেনে আনার মতো আত্মার তাড়না, তা বলা যাবে না। এ তরঙ্গ হলো অন্যায়ভাবে নিহত একজন সন্তানের প্রতি বয়সী একজন মানুষের তরফ থেকে সমবেদনা। এখানে কিছু একটা আছে যেটা স্বাভাবিকতার ক্রমকে মানে না। সত্যি বলতে কী, এখানে আসলে বিন্যাসের আদৌ কোনো ক্রমই নেই। বরং এখানে রয়েছে পাগলামি আর বিশৃঙ্খলা: বাবার চেয়ে ছেলের বয়স বেশি। তার চারপাশে সময়ের আবর্তন ভেঙে যাচ্ছে। তবে কবরের ফলকগুলো আর তার বাহ্য দৃষ্টিতে নেই; এগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে সে নিজে অনড়। আর যে নদী শেষ প্রান্তের দিকে এগিয়ে চলেছে তার মধ্যে বছরগুলো নিজস্ব স্থানে নেই। বছরগুলো যেন ঢেউ, তট এবং জলাবর্তের বেশি কিছু নয়। এই জলাবর্তের মাঝখানে দাঁড়িয়ে জ্যাক নিদারুণ যাতনা আর করুণার কবলে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আশপাশের আরও কয়েকটা কবর ফলকের দিকে দৃষ্টি ফেলে জ্যাক বুঝতে পারল, এখানে ছড়িয়ে আছে যে বালকেরা তারা বেদনাক্লিষ্ট প্রাপ্তবয়স্কদের বাবা। এই প্রাপ্তবয়স্করা মনে করে, এই বর্তমান সময়ে তারা জীবিত আছে। জ্যাক যেমন নিজেই বিশ্বাস করে, সে এই সময়ে জীবিত আছে; সে নিজেই নিজেকে এই অবস্থায় তৈরি করেছে; নিজের শক্তি এবং ওজস্বিতা সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা আছে; নিজের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তার আছে এবং নিজেকে আয়ত্বের মধ্যে রাখতে সক্ষম সে। কিন্তু এই মুহূর্তের এই অদ্ভূত বিবমিষায় দেখতে, পাচ্ছে প্রত্যেকটা মানুষ একটা করে প্রতিমূর্তি তৈরি করে, বছরগুলোর আগুনের মধ্যে কাঠিন্য তৈরি করে, তার মধ্যে সে নিজেই প্রবেশ করে সেটার পতনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এখন সে দেখতে পাচ্ছে, সেই প্রতিমূর্তি ভেঙে যাচ্ছে, ধসে পড়ছে। অবশিষ্ট আছে শুধু এই যাতনাক্লিষ্ট হৃদয়; চল্লিশ বছর ধরে তার নিজের সঙ্গে রয়ে গেছে পৃথিবীর যে ভয়ঙ্কর বিন্যাস তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বেঁচে থাকতে ব্যাকূল এই হৃদয়। সমগ্র জীবনের গোপনীয়তা থেকে তাকে যে দেয়াল আড়াল করে রেখেছে সেই দেয়ালের বিরুদ্ধে চলছে হৃদয়ের সংগ্রাম। আরো দূরে যেতে, সীমানার বাইরে যেতে, আবিষ্কার করতে, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত শেষ বারের মতো এক সেকেন্ডের জন্য এবং চিরকালের জন্য নিজের অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে ব্যাকুল এই হৃদয়।

নিজের জীবনের দিকে দৃষ্টি ফেরায় জ্যাক: তার এই জীবন বোকামিপূর্ণ, সাহসী, কাপুরুষসুলভ এবং স্বেচ্ছাচারী। যে গন্তব্য সম্পর্কে সে কিছুই জানে না সেই গন্তেব্যের দিকেই সব সময় ধাবিত হয়েছে তার জীবন। সে জীবন শেষ-অতীতের জীবন; তাকে ওই জীবন দানকারী সেই মানুষটি তাকে ওই জীবন দান করার পরই চলে গেছেন সমুদ্রের অন্য পারে; বিদেশ বিভূইয়ে তার মৃত্যু হয়েছে-সেই অতীত জীবনে আসলে সে কল্পনায় আনার চেষ্টাই করেনি ওই মানুষটির পরিচয়। উনত্রিশ বছর বয়সে সেই মানূষটিও কি পলকা, পীড়িত, চাপা, একগুঁয়ে, ইন্দ্রিয়-পরবশ, স্বপ্নবাজ, নৈরাশ্যবাদী এবং সাহসী ছিলেন না? হ্যাঁ, অবশ্যই। এরকম সব বৈশিষ্ট্যই তার ছিল। আরও বেশি যা কিছু তার ছিল সেগুলো হলো, তিনি তখন ছিলেন জীবিত, তিনি ছিলেন একজন ব্যক্তি মানুষ। যেখানে তার জন্ম সেখানে ওই মানুষটি জীবিত অবস্থায় ঘুমিয়েছেন; একজন অচেনা মানুষের মতো চলে গেছেন। তার সম্পর্কে জ্যাকের মা তাকে জানিয়েছেন, তিনি দেখতে জ্যাকের মতোই এবং তিনি যুদ্ধের ময়দানে মারা গেছেন। যে রহস্য জ্যাক বইপত্রের মধ্যে, মানুষের মাঝে ব্যাকুল হয়ে অনুসন্ধান করেছে সে রহস্য এখন মনে হচ্ছে খুব নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে এই মৃত মানুষটির সঙ্গে, এই অল্প বয়সী বাবার মধ্যে। তার অস্তিত্বের চারপাশে, তার নিজের বেড়ে ওঠার মধ্যে সেই রহস্যের অবস্থান। আর এখন মনে হচ্ছে, সময়ের মধ্যে এবং রক্তের মধ্যে যে জিনিসটি খুব নিবিড়ভাবেই ছিল সেটাকে খুঁজতে সে বহু বহু দূর ঘুরে ফিরেছে। সত্যি বলতে গেলে, সে আসলে এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় কারও সাহায্য তেমন পায়নি। যে পরিবারে তার বেড়ে ওঠা সেখানে সবাই খুব কম কথা বলে। সেখানে কেউ পড়াশোনা জানে না। দুঃখী আর হতোদ্যম মায়ের ওই পরিবারে আর কে আছে? তার মা ছাড়া আর কেউ তাকে চিনতই না। মা ও তার অনেক কিছুই ভুলে গেছেন-এ ব্যাপারে জ্যাক নিশ্চিত। ওই মানুষটি অচেনা থেকেই মারা গেছেন। এই পৃথিবীতে তিনি অচেনা মানুষের মতোই বিচরণ করেছেন একজন ক্ষণস্থায়ী ব্যক্তি হয়ে। জ্যাকের নিজেরই দায়িত্ব ছিল তার সম্পর্কে নিজেকে জ্ঞাত করানো- তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু জ্যাকের মতো ব্যক্তির কিছুই নেই, অথচ সে গোটা পৃথিবীকেই চায়। সে জানে, তার সর্বশক্তি দিয়ে নিজেকে তৈরি করা এবং পৃথিবীকে জয় করা কিংবা বুঝতে পারা তার জন্য যথেষ্ট নয়। মোটের ওপরে খুব দেরি হয়ে গেছে তাও নয়; এখনও অনুসন্ধান করতে পারে; এখনও জানার চেষ্টা করতে পারে এই মানুষটি সম্পর্কে। পৃথিবীতে আর যে কোনো মানুষের চেয়েই বেশি আপন মনে হচ্ছে এই মানুষটিকে। সে চেষ্টা করে যেতে পারে।

বিকেল শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্কার্টের খসখস শব্দ, একটি কালো ছায়া তাকে এই কবরস্থান এবং চারপাশ ঘিরে থাকা ওই আকাশের বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনে। তাকে এখন চলে যেতে হবে। এখানে আর কিছু করার নেই। কিন্তু এই নামটা থেকে, কবর ফলকে খোদাই করা ওই বছরগুলো থেকে কিছুতেই নড়তে পারে না জ্যাক। ওই বাঁধাই করা কবরের নিচে ছাই আর ধূলি ছাড়া আর কিছু নেই। কিন্তু তার মনে হয় বাবা আবার জীবিত হয়েছেন। বাবার জীবনটা একটা অদ্ভূত নীরবতার জীবন। জ্যাকের মনে হতে থাকে, সে আবারও বাবাকে ত্যাগ করে চলে যাবে বুঝি। বাবাকে পিছে ফেলে সে আগের মতোই আরেকটা রাতের অশেষ নিঃসঙ্গতার কাছে ফিরে যাবে। এই নিঃসঙ্গতার মাঝেই এতকাল তাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। সেখানেই সে একাকী পড়ে থেকেছে। শূণ্য আকাশে আকস্মিক বিকট প্রতিধ্বনি উঠছে: একটা অদৃশ্য উড়োজাহাজ বোধ হয় শব্দের সীমা অতিক্রম করে গেল। কবরের দিকে পেছন ফিরে জ্যাক করমারি তার বাবাকে ফেলে চলে যাচ্ছে।

(চলবে..)

 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

 

 

Header Ad
Header Ad

ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের সন্তান অনন্যা বাঙ্গার নিজের লিঙ্গ রূপান্তরের অভিজ্ঞতা এবং ক্রিকেটজীবনে মুখোমুখি হওয়া নানা হয়রানিমূলক ঘটনার বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন। একসময় ‘আরিয়ান’ নামে পরিচিত অনন্যা বর্তমানে নারী পরিচয়ে পরিচিত এবং একাধিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ক্লাবে ক্রিকেট খেলেছেন।

সম্প্রতি লল্লনটপ পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনন্যা বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই জানতাম আমি একজন মেয়ে। আট-নয় বছর বয়সে মায়ের পোশাক পরতাম এবং আয়নার সামনে নিজেকে মেয়ের মতো কল্পনা করতাম।”

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

অনন্যা জানান, ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কিছু খেলোয়াড় তার পাশে দাঁড়ালেও অনেকের কাছ থেকে পেয়েছেন অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “আমাকে একাধিক ক্রিকেটার নগ্ন ছবি পাঠিয়েছে। কেউ কেউ সামনে অপমান করলেও পরে আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছে, এমনকি যৌন প্রস্তাবও দিয়েছে।”

একজন প্রবীণ ক্রিকেটারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমি তাকে আমার পরিস্থিতি বোঝাতে গেলে সে বলে, ‘চলো গাড়িতে যাই, আমি তোমার সঙ্গে ঘুমাতে চাই।’”

ভারতের ইসলাম জিমখানা এবং যুক্তরাজ্যের হিংকলি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলা বাঁহাতি ব্যাটার অনন্যার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বপ্নে বাধা আসে ২০২৩ সালের নভেম্বরে। তখন আইসিসি ঘোষণা করে, ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদদের নারী ক্রিকেটে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না।

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে অনন্যা লেখেন, “আমি কেবল খেলতে চেয়েছিলাম, নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম। পরিচয়ের কারণে আজ আমি নিষিদ্ধ।”

বর্তমানে অনন্যা যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বসবাস করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।

Header Ad
Header Ad

১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের শূন্য পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরের ১০ ধরনের শূন্য পদে মোট ১৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: স্টোর অফিসার।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত যেকোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমান।
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

পদের নাম: হিসাবরক্ষক।
পদসংখ্যা: ২৫টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ২৭টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ এবং ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।

পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ৪টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান। সাঁটলিপি পরীক্ষায় ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৭০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ৪৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।

পদের নাম: উচ্চমান সহকারী।
পদসংখ্যা: ৯টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৩০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ২৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ৩টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান। সাঁটলিপি পরীক্ষায় ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৭০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ৪৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম: হিসাব সহকারী/হিসাব সহকারী কাম ক্যাশিয়ার অফিস সহকারী কাম ক্যাশিয়ার।
পদসংখ্যা: ৩৯টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক।
পদসংখ্যা: ২০টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: স্টোরকিপার।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান।
পদসংখ্যা: ২টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ট্রেডে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেটসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অন্যূন ৬ মাসের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৯ এপ্রিল ২০২৫।

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মাঠেরপাড় বাজারে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাঠেরপাড় বাজারে এসেছে প্রথমেই মালেক স্টোরে আগুন দেখতে পান তারা। মুহূর্তের মধ্যেই মার্কেটের ৫টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। সেইসাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে ৫টি দোকানের ফ্রিজ, টিভি, মালামাল ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এসময় সব হারিয়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ীদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো মালেকের মুদি দোকান, সাইদুলের মালামাল রাখার গোডাউন, মজনু স্টোর, জাহিদ ফার্মেসি, শহীদ স্টোর এবং মনজুর চা দোকানের আংশিক ভস্মীভূত হয়েছে।

মালেক স্টোরের দোকানি আব্দুল মালেক বলেন, প্রতিরাতের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়িতে গিয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘুমে থাকা অবস্থায় শুনতে পাই আমার দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডর আবু মোত্তালেব বলেন, সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে এসে দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহমুদ আল হাসান ভোরের আকাশকে বলেন, বল্লমঝাড় মাঠেরপাড় বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, এটি খুবই দুঃখজনক। উপজেলা পরিষদের পক্ষে থেকে ক্ষতি গ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরকে টিন বিতরণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?