রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান

কোমলতা আর করুণার যে তরঙ্গ তাৎক্ষণিকভাবে তার হৃদয় ভরে দিয়েছে সে তরঙ্গ যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বাবার স্মৃতির প্রতি ছেলেকে টেনে আনার মতো আত্মার তাড়না, তা বলা যাবে না। এ তরঙ্গ হলো অন্যায়ভাবে নিহত একজন সন্তানের প্রতি বয়সী একজন মানুষের তরফ থেকে সমবেদনা। এখানে কিছু একটা আছে যেটা স্বাভাবিকতার ক্রমকে মানে না। সত্যি বলতে কী, এখানে আসলে বিন্যাসের আদৌ কোনো ক্রমই নেই। বরং এখানে রয়েছে পাগলামি আর বিশৃঙ্খলা: বাবার চেয়ে ছেলের বয়স বেশি। তার চারপাশে সময়ের আবর্তন ভেঙে যাচ্ছে। তবে কবরের ফলকগুলো আর তার বাহ্য দৃষ্টিতে নেই; এগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে সে নিজে অনড়। আর যে নদী শেষ প্রান্তের দিকে এগিয়ে চলেছে তার মধ্যে বছরগুলো নিজস্ব স্থানে নেই। বছরগুলো যেন ঢেউ, তট এবং জলাবর্তের বেশি কিছু নয়। এই জলাবর্তের মাঝখানে দাঁড়িয়ে জ্যাক নিদারুণ যাতনা আর করুণার কবলে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আশপাশের আরও কয়েকটা কবর ফলকের দিকে দৃষ্টি ফেলে জ্যাক বুঝতে পারল, এখানে ছড়িয়ে আছে যে বালকেরা তারা বেদনাক্লিষ্ট প্রাপ্তবয়স্কদের বাবা। এই প্রাপ্তবয়স্করা মনে করে, এই বর্তমান সময়ে তারা জীবিত আছে। জ্যাক যেমন নিজেই বিশ্বাস করে, সে এই সময়ে জীবিত আছে; সে নিজেই নিজেকে এই অবস্থায় তৈরি করেছে; নিজের শক্তি এবং ওজস্বিতা সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা আছে; নিজের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তার আছে এবং নিজেকে আয়ত্বের মধ্যে রাখতে সক্ষম সে। কিন্তু এই মুহূর্তের এই অদ্ভূত বিবমিষায় দেখতে, পাচ্ছে প্রত্যেকটা মানুষ একটা করে প্রতিমূর্তি তৈরি করে, বছরগুলোর আগুনের মধ্যে কাঠিন্য তৈরি করে, তার মধ্যে সে নিজেই প্রবেশ করে সেটার পতনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এখন সে দেখতে পাচ্ছে, সেই প্রতিমূর্তি ভেঙে যাচ্ছে, ধসে পড়ছে। অবশিষ্ট আছে শুধু এই যাতনাক্লিষ্ট হৃদয়; চল্লিশ বছর ধরে তার নিজের সঙ্গে রয়ে গেছে পৃথিবীর যে ভয়ঙ্কর বিন্যাস তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বেঁচে থাকতে ব্যাকূল এই হৃদয়। সমগ্র জীবনের গোপনীয়তা থেকে তাকে যে দেয়াল আড়াল করে রেখেছে সেই দেয়ালের বিরুদ্ধে চলছে হৃদয়ের সংগ্রাম। আরো দূরে যেতে, সীমানার বাইরে যেতে, আবিষ্কার করতে, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত শেষ বারের মতো এক সেকেন্ডের জন্য এবং চিরকালের জন্য নিজের অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে ব্যাকুল এই হৃদয়।

নিজের জীবনের দিকে দৃষ্টি ফেরায় জ্যাক: তার এই জীবন বোকামিপূর্ণ, সাহসী, কাপুরুষসুলভ এবং স্বেচ্ছাচারী। যে গন্তব্য সম্পর্কে সে কিছুই জানে না সেই গন্তেব্যের দিকেই সব সময় ধাবিত হয়েছে তার জীবন। সে জীবন শেষ-অতীতের জীবন; তাকে ওই জীবন দানকারী সেই মানুষটি তাকে ওই জীবন দান করার পরই চলে গেছেন সমুদ্রের অন্য পারে; বিদেশ বিভূইয়ে তার মৃত্যু হয়েছে-সেই অতীত জীবনে আসলে সে কল্পনায় আনার চেষ্টাই করেনি ওই মানুষটির পরিচয়। উনত্রিশ বছর বয়সে সেই মানূষটিও কি পলকা, পীড়িত, চাপা, একগুঁয়ে, ইন্দ্রিয়-পরবশ, স্বপ্নবাজ, নৈরাশ্যবাদী এবং সাহসী ছিলেন না? হ্যাঁ, অবশ্যই। এরকম সব বৈশিষ্ট্যই তার ছিল। আরও বেশি যা কিছু তার ছিল সেগুলো হলো, তিনি তখন ছিলেন জীবিত, তিনি ছিলেন একজন ব্যক্তি মানুষ। যেখানে তার জন্ম সেখানে ওই মানুষটি জীবিত অবস্থায় ঘুমিয়েছেন; একজন অচেনা মানুষের মতো চলে গেছেন। তার সম্পর্কে জ্যাকের মা তাকে জানিয়েছেন, তিনি দেখতে জ্যাকের মতোই এবং তিনি যুদ্ধের ময়দানে মারা গেছেন। যে রহস্য জ্যাক বইপত্রের মধ্যে, মানুষের মাঝে ব্যাকুল হয়ে অনুসন্ধান করেছে সে রহস্য এখন মনে হচ্ছে খুব নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে এই মৃত মানুষটির সঙ্গে, এই অল্প বয়সী বাবার মধ্যে। তার অস্তিত্বের চারপাশে, তার নিজের বেড়ে ওঠার মধ্যে সেই রহস্যের অবস্থান। আর এখন মনে হচ্ছে, সময়ের মধ্যে এবং রক্তের মধ্যে যে জিনিসটি খুব নিবিড়ভাবেই ছিল সেটাকে খুঁজতে সে বহু বহু দূর ঘুরে ফিরেছে। সত্যি বলতে গেলে, সে আসলে এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় কারও সাহায্য তেমন পায়নি। যে পরিবারে তার বেড়ে ওঠা সেখানে সবাই খুব কম কথা বলে। সেখানে কেউ পড়াশোনা জানে না। দুঃখী আর হতোদ্যম মায়ের ওই পরিবারে আর কে আছে? তার মা ছাড়া আর কেউ তাকে চিনতই না। মা ও তার অনেক কিছুই ভুলে গেছেন-এ ব্যাপারে জ্যাক নিশ্চিত। ওই মানুষটি অচেনা থেকেই মারা গেছেন। এই পৃথিবীতে তিনি অচেনা মানুষের মতোই বিচরণ করেছেন একজন ক্ষণস্থায়ী ব্যক্তি হয়ে। জ্যাকের নিজেরই দায়িত্ব ছিল তার সম্পর্কে নিজেকে জ্ঞাত করানো- তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু জ্যাকের মতো ব্যক্তির কিছুই নেই, অথচ সে গোটা পৃথিবীকেই চায়। সে জানে, তার সর্বশক্তি দিয়ে নিজেকে তৈরি করা এবং পৃথিবীকে জয় করা কিংবা বুঝতে পারা তার জন্য যথেষ্ট নয়। মোটের ওপরে খুব দেরি হয়ে গেছে তাও নয়; এখনও অনুসন্ধান করতে পারে; এখনও জানার চেষ্টা করতে পারে এই মানুষটি সম্পর্কে। পৃথিবীতে আর যে কোনো মানুষের চেয়েই বেশি আপন মনে হচ্ছে এই মানুষটিকে। সে চেষ্টা করে যেতে পারে।

বিকেল শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্কার্টের খসখস শব্দ, একটি কালো ছায়া তাকে এই কবরস্থান এবং চারপাশ ঘিরে থাকা ওই আকাশের বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনে। তাকে এখন চলে যেতে হবে। এখানে আর কিছু করার নেই। কিন্তু এই নামটা থেকে, কবর ফলকে খোদাই করা ওই বছরগুলো থেকে কিছুতেই নড়তে পারে না জ্যাক। ওই বাঁধাই করা কবরের নিচে ছাই আর ধূলি ছাড়া আর কিছু নেই। কিন্তু তার মনে হয় বাবা আবার জীবিত হয়েছেন। বাবার জীবনটা একটা অদ্ভূত নীরবতার জীবন। জ্যাকের মনে হতে থাকে, সে আবারও বাবাকে ত্যাগ করে চলে যাবে বুঝি। বাবাকে পিছে ফেলে সে আগের মতোই আরেকটা রাতের অশেষ নিঃসঙ্গতার কাছে ফিরে যাবে। এই নিঃসঙ্গতার মাঝেই এতকাল তাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। সেখানেই সে একাকী পড়ে থেকেছে। শূণ্য আকাশে আকস্মিক বিকট প্রতিধ্বনি উঠছে: একটা অদৃশ্য উড়োজাহাজ বোধ হয় শব্দের সীমা অতিক্রম করে গেল। কবরের দিকে পেছন ফিরে জ্যাক করমারি তার বাবাকে ফেলে চলে যাচ্ছে।

(চলবে..)

 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

 

 

Header Ad

দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম

ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। ভরিতে এবার সর্বোচ্চ দুই হাজার ৮৩৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা। যা আজ ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। এর আগে গত ২১ নভেম্বর ভরিতে ১৯৯৪ টাকা বাড়া‌নো হয়েছিল।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।

এর আগে, গত ২১ নভেম্বর সোনার দাম বাড়য়েছিল বাজুস। যা ২২ নভেম্বর কার্যকর হয়, ওই দামে এই দুই দিন সোনা কেনাবেচা হয়েছে। সেই হি‌সে‌বে আজ‌কে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা সোনা এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

Header Ad

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। সরকারি সফরের অংশ হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকে শরীরে ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর বিদেশ সফর থেকে বিরত রয়েছেন ব্রিটিশ এই রাজা। তবে কিছু দিনের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সফর করতে পারেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারেন, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’

Header Ad

নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

যেসব নেতাকর্মী সামনে নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন। তারা সাবধান হন। সামনে ভয়ংকর অন্ধকার দেয়াল আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটায় রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলার বিষয়ে আইনজীবীর প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পড়ে গেছে, পালিয়ে গেছে। তারা তো বসে নাই, তারা ষড়যন্ত্র করছে। যদি তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়- মামলা তো উঠবেই না বরং নেতাকর্মীদের নামে জ্যামিতিক হারে ২০টা মামলা হয়ে যাবে। সেই সম্ভাবনাও আছে। সেই সম্ভাবনাকে যদি নস্যাৎ করে দিতে হয়, তাহলে আজকে থেকে আপনাদের প্রত্যেকেই সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের একটাই টার্গেট হতে হবে। জনগণ, জনগণ অ্যান্ড জনগণ। এর বাইরে যদি কিছু চিন্তা করেন। তাহলে পতিত স্বৈরাচার সফল হবে। তারা সফল হলে আইনজীবী সহকর্মীর বক্তব্য অনুযায়ী মামলা আপনাদের মিটবে না। বরং মাথার ওপরে আরও ১০টি, ২০টি মামলা চেপে বসবে। আপনাদের নিজেকে যদি বাঁচাতে হয় তাহলে উপায় একটাই- জনগণের আস্থা অর্জন করেন। আপনার পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করতে হলে উপায় একটাই জনগণের আস্থা আর্জন করেন।

তিনি বলেন, ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা আছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বিএনপির বাইরে অন্য সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারা যথাযথভাবে এটা দেখেনি। পতিত স্বৈরাচার সরকার প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য ইচ্ছা করেই করেনি। আমরা সময়মতো অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করবো। আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়েই কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণের ইচ্ছে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গবেষণায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অনেকাংশ, অর্ধেক বা তার কম অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এই দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা বৃক্ষমেলা করতাম। আমাদের যেভাবেই হোক, এই কর্মসূচি আবার শুরু করতে হবে। সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে বৃক্ষরোপণের জন্য। গাছ প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। আগামী দিনে আমরা সুযোগ পেলে পাঁচ বছরে আমরা পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণ করব।

এর আগে সকাল ১০টায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এসময় বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মাহাদী আমিন।

কর্মশালায় আলোচনা করেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা ও কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব। সভাপতিত্ব করেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত।

বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম আলীম প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী