শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

কায়রো শহর দেরিতে ঘুমায় দেরিতে জাগে। এই প্রচলিত ধারণাকে অগ্রাহ্য করে পাঁচটায় আসার কথা থাকলেও করিৎকর্মা  বাসাম তার লাল গাড়িটা নিয়ে সাড়ে চারটায় হাজির! ঘুম থেকে উঠে গেছি আগেই। আসোয়ান যাবার ফ্লাইট সকাল সাড়ে সাতটায়। সে হিসাবে ঘণ্টাখানেক আগে এয়ারপোর্টে পৌঁছালেই চলে। রাতেই সব গোছানো ছিল, গাড়ি চলে আসায় একটু তাড়াতাড়িই বেরিয়ে গেলাম। রাস্তায় দুচারটা যানবাহন দেখা গেলেও কোথাও কোনো মানুষের চলাচল নেই। সারি সারি সড়ক বাতি জ্বলছে রাস্তার দুপাশে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আলোকোজ্জ্বল বড় বড় ভবনের দেয়ালে প্রবেশপথে এবং জ্বলতে থাকা রঙিন নিয়ন সাইনে বেশিরভাগ আরবি থাকলেও মাঝে মাঝে ইংরেজি উঁকি দিয়ে যায়। হাতের বাঁ দিকে লাল আলোয় সাজানো সিটাডেল মসজিদ পার হয়ে আমরা এগিয়ে যাই।

ঈজিপ্ট এয়ারের ফ্লাইট আকাশে উড়াল দিল যথাসময়ে। আসোয়ান পৌঁছাবে সকাল নয়টায়। সকালে নাস্তা না করেই বেরিয়েছি। অভ্যন্তরীন ফ্লাইট ঈজিপ্ট এয়ার তো বাজেট এয়ার নয়, অতএব দেড় ঘণ্টার আকাশ যাত্রায় ব্রেকফাস্ট পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত ছিলাম। বোর্ডিং-এর পরপরই বিভিন্ন নিরাপত্তা সম্পর্কিত  ঘোষণার সাথে সাথে অ্যারাবিশ ইংরেজিতে রিফ্রেশমেন্টেরও একটা ঘোষণাও শুনেছিলাম। কিন্তু সিটবেল্ট বাধা থেকে শুরু করে টেক-অফের পরে তেত্রিশ হাজার ফুট উপরে থিতু হবার পরেও দানাপানি যোগান দেয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। মিনিট চল্লিশেক পরে ট্রলিসহ কেবিনক্রুদের নড়াচড়া দেখে একটু ভরসা পেলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হা হোতস্মি! হাতে হাতে একটা করে পাঁচশ মিলি লিটারের নির্ভেজাল বোতল ধরিয়ে দিয়ে আসোয়ানে ল্যান্ড করার ঘোষণা দেবার আগে পর্যন্ত তাদের আর কোনো হদিস পাওয়া গেল না। বুঝলাম, যাত্রাটা যাতে একেবারে নির্জলা উপবাস না হয়, সেজন্যেই এই বোতলজাত পানির ব্য্রবস্থা। 

আসোয়ানের ছোট্ট এয়াপোর্টে লাগেজ নিজে বেরিয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি। সফর পরিকল্পনা অনুসারে আমাদের জানা ছিলএয়ারপোর্টের বাইরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে ইয়াসির। নামফলক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ‘তরুণ ইয়াসির’ আমাদের দুজনের লাগেজ অবলীলায় দুহাতে তুলে নিয়ে এবং গাড়িতে তুলে দিয়ে বিদায় নিল। গাড়ি চলতে শুরু করলে একই সাথে বাজতে শুরু করলো আরবি গান।  ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করে জানলাম যে ছেলেটি আমাদের গাড়িতে তুলে দিয়েছে তার নাম ইয়াসির নয়। বুঝলাম চালক নিজেই ইয়াসির এবং সে সম্ভবত ভ্রমণ তরী ‘টুইয়া’র প্রতিনিধি!তবে তখনও অনেক কিছুই জানা বাকি ছিল।ড্রাইভারকে পথের দূরত্ব বা নদীর ঘাটে পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগতে পারে ইংরেজিতে ইত্যাদি  নানা প্রশ্ন করেও রানা ভাই কোনো সঠিক উত্তর বের করতে পারলেন না। তবে পথের ডান পাশে আসোয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেশ কয়েকটি পাথরের তৈরি মনুমেন্ট ও বিমূর্ত ভাস্কর্য ইত্যাদি পেছনে ফেলে আধাঘণ্টারও কম সময়ে আমরা শহরে ঢুকে গেলাম। বাঁ পাশে তখন কিছুটা দূরে নীল নদ সাথে সাথেই চলছে। মিনিট কুড়ি পঁচিশ পরে সীমানা দেয়াল দিয়ে ঘেরা নীল নদেরঘাটেআমাদের নামিয়ে অন্য আরেকজনের হাতে তুলে দিয়ে গাড়িচালক চলে গেলে লম্বামতো  লোকটি এসে নিজের পরিচয় দিয়ে ইংরেজিতে বলেন, ‘আই এ্যাম ইয়াসির! ইয়োর ট্যুর ম্যানেজার।’ 


যাক  এতোক্ষণে তাহলে আসল ইয়াসিরকে পাওয়া গেল। আমার মনে হলো স্বয়ং ইয়াসির আরাফাতও তাঁর জীবদ্দশায়  এতোগুলো ডামি ব্যবহার করেননি। যাই হোক, এই নতুন ইয়াসির ট্যুর ম্যানেজার হলেও তার সাথে আমাদের ভ্রমণ তরীর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি ঘাট থেকে নৌযান পর্যন্ত বিছানো পাটাতনের উপর দিয়ে ট্যুইয়ার লবিতে নিয়ে এলেন। একপাশে অসংখ্য ব্যাগ বাক্স স্যুটকেস স্তূপ করে রাখা। আমরা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না, এই বিপুল সংখ্যক লাগেজ কী চেক-ইনের প্রতীক্ষায়, না চেক আউট হয়ে গেছে এখন শুধু নিষ্ক্রান্ত হবার অপেক্ষায়! আমরা বাঁ দিকের লাউঞ্জে ঢুকে গেলাম। সেখানে নরম কার্পেটে ঢাকাবিস্তৃত লাউঞ্জে বড় বড় গোল টেবিল ঘিরে চেয়ার পাতা। একপাশের দেয়াল জোড়া  কাচের জানালার পাশে বসে বাইরে তাকাতেই রোদ ঝলমলে একটা সকাল চোখের সামনে বিস্ময় ছড়িয়ে দেয়। আহ! এই সেই নীল নদ!


আমি অবাক হয়ে দেখি নিস্তরঙ্গ নীল নদের নীল জলে ভেসে যাচ্ছে পাল তোলা জলযান ফেলুকা। আরবিতে আন-নীল বাংলা ভাষায় কেমন করে নীল হয়ে গেল জানি না, কিন্তুএর চেয়ে অর্থবহ নাম এ নদীর জন্যে আর কিছুই হতে পারে না। ‘নাইল’ শব্দের অর্থ কোথাও ঔজ্জ্বল্য, কোথাও আলো আবার কোথাও শুধুই নদী কিন্তু নীল নয়। অথচ সামনে প্রবহমান নদী, ওপারে ঘন সবুজ গাছপালা এবং তারও ওপারে ধূসর পাহাড়ের ওপরও মনে হয় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে খানিকটা নীল রঙ। একটু লক্ষ করলে দেখা যায় নৌকাগুলো নীল জলে সাদা পাল তুলে জল কেটে এগিয়ে গেলেও আসলে সবই ইঞ্জিনবোট। তাহলেও যান্ত্রিক নৌকায় সাদা পাল টাঙিয়ে যে নান্দনিক দৃশ্য তৈরি হয়েছেআমরা অনেকটা সময় বাইরে তাকিয়ে সেই ভাসমান জলযানগুলোরচলাচল দেখতে থাকি। 

সাড়ে দশটা বেজে গেছে, আমরা তখনও নাস্তা করিনি, ভুলেই গিয়েছিলাম। সাক্ষাৎ ইয়াসিরকে ডেকে নাস্তার ব্যবস্থা করতে বললাম। জাহাজের অতিথিরা ব্রেকফাস্ট করে পশ্চিম তীর ভ্রমণে বেরিয়ে গেছেন। আমাদের চেক-ইন শুরু হবার কথা দুপুর বারোটায়, অতএব ‘অন-বোর্ড’ সার্ভিসও শুরু হবে লাঞ্চ থেকে। তারপরেও লাউঞ্জের শেষ প্রান্তের কফিশপ থেকে স্যান্ডউইচ এবং কফি তৈরি হয়ে এলো। স্যান্ডউইচের আকার আকৃতি এবং পরিবেশিত খাবারের পরিমান দেখে আমাদের চক্ষু চড়ক গাছ। তিনজনের ব্রেকফাস্ট দিব্যি আমাদের মতো নয় জনকে খাইয়ে দেয়া যায়! এইবেলা মূল্য পরিশোধ করেই খেতে হবে,কিন্তুসাথে পাঠানো বিলটা দেখে আমরা আবারো বিভ্রান্ত! মাত্র সাড়ে সাত পাউন্ড? আমরা কি বাদশাহ ফারুকের জামানায় ফিরে গেছি! দশমিকের একটা বিন্দুর কারণে যা সাড়ে সাত পাউন্ড ভেবেছিলাম তা আসলে পঁচাত্তর পাউন্ড। টাকার হিসাবে প্রত্যেকের জন্য চারশ চল্লিশ টাকাও একটি ভ্রমণ তরীতে দেয়া ব্রেকফাস্টের জন্যে খুব বেশি বলে মনে হলো না। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফ্রন্টডেস্ক পাসপোর্টের ফটোকপি করে নিয়ে সম্ভবত আমাদের পরিচিতি নিশ্চিত হয়েই ঘরের চাবি হাতে তুলে দিল। কার্পেট বিছানো প্যাঁচানো সিঁড়ি বেয়ে তিন তলায় উঠে নিজেদের ঘরে পৌঁছে প্রথমেই বিছানায় পড়ে একটু ঘুমিয়ে নেবার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু জানালার ভারি পর্দা সরিয়ে দিতেই আবার চোখে পড়ে পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী নীলের নীল পানিতে নৌকা বিহারের অসাধারণ সুন্দর দৃশ্য।   


সেই শৈশব থেকে শুনে আসছি মিশর নীল নদের দান। তবে শুধু মিশর নয় উগান্ডা, সুদান এবং ইথিওপিয়ার জনজীবনের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ এই বহমান নদী। উগান্ডার লেক ভিক্টোরিয়া থেকে ‘হোয়াইট নাইল’ সুদানের খার্তুমের কাছাকাছি ইথিওপিয়ার ‘ব্লু-নাইল’ এর সাথে একত্রিত হয়ে নাইল নামে মিশরে উপর দিয়ে বয়ে যাবার পথে দু পাশের গাছপালা এবং সবুজ ক্ষেত খামারের সকল বৃক্ষলতায় জলের যোগান দিয়ে যাচ্ছে এই নদী। নীলের তীর থেকে দূরের সারাটা দেশই ঊসর মরুভূমি।আলেক্সান্দ্রিয়ার কাছে ভূমধ্য সাগরে মিশে যাবার আগে পর্যন্ত নীলের দুপাশেই গড়ে উঠেছে আসোয়ান, এসনা, এডফু, লাক্সর, কোমওম্বো এবং কায়রোসহ সকল ছোটবড় শহর। দূর অতীতে পিরামিড এবং প্রত্মতাত্তি¡ক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোও গড়ে উঠেছে নাইলের আশে পাশেই। 

লাঞ্চের কিছু পরেই আমাদের তৈরি থাকতে বলে ইয়াসির তার দায়িত্ব শেষ করে বিদায় নিয়েছে। এবারে গাইডের দায়িত্বে মোহামেদ নামে যাকে পাওয়া গেল  সে যে আসলেই ট্যুর গাইড তা তার আচার আচরণে বোঝার উপায় নেই। মুন্ডিত  মস্তক ল্যাকপ্যাকা লোকটিকে আমি প্রথমে মাইক্রোবাসের হেল্পার মনে করেছিলাম।তার ইংরেজি ভাষা জ্ঞান নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই, বিদেশি ভাষায় সবার কাছে থেকে বিশুদ্ধ উচ্চারণ কেউ আশাও করে না। মাইক্রোবাসে মাত্র সাতজন যাত্রী। আমাদের তিনজনকে বাদ দিলে বাকি চারজনই আরবি ভাষাভাষি। সেদিক থেকে মোহামেদের সুবিধাই হয়েছিল। আমাদের জন্যে তেমন কিছু ব্যাখ্যা করতে হয়নি বলে দুবাই আবুধাবির ভ্রাতা ভগ্নিদের আরবি ভাষায় ইতিহাস ভূগোলের পাঠ দান করে সে বেশ স্ফূর্তিতেই ছিল।


আমাদের গন্তব্য আসোয়ান হাইড্যাম।আসোয়ানের প্রথম বাঁধ তৈরি হয়েছিল ১৯০২ সালে। অনেকটা সেই বাঁধের সাফল্য থেকে উৎসাহিত হয়েই  ১৯৫২ সালে বিপ্লব পরবর্তী গামাল আবদুল নাসের সরকারের একটা প্রধান লক্ষ ছিল এই বাঁধ নির্মাণ। চাষাবাদের জন্য পানি ধরে রাখা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জল-বিদ্যুৎ উৎপাদন করে মিশরের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নের জন্যই বাঁধ তৈরি করে নীল নদের পানির সবচেয়ে বেশি এবং সবচেয়ে ভালো ব্যবহার নিশ্চিত করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। নাসেরের মিশরের সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের শক্ত গাঁটছড়া বাধার এই সময়টা ছিল মিশরের সামগ্রিক অগ্রগতির কাল। আসোয়ান বাঁধ নির্মাণের এক পর্যায়ে নীল নদের জলপ্রবাহ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার আনুষ্ঠানিকতার সময় আবদুল নাসেরের উপস্থিতিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নিকিতা ক্রুশ্চেভ নাকি বলেছিলেন আসোয়ান বাঁধ হচ্ছে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য! 

পিরামিড এবং আলেক্সান্দ্রিয়ার বাতিঘরের মতো দুটি আশ্চর্যের দেশে আরেকটি আশ্চর্য স্থাপনা দেখতে আমরা আসোয়ান হাইড্যাম এলাকায় এসে নামলাম। মূল বাঁধ এলাকায় প্রবেশের আগে বিশাল অক্ষরে লেখা ‘ওয়েলকাম’। তবে এই একটি শব্দ ছাড়া বাদবাকি সকল তথ্য এবং নির্দেশনা আরবিতে লেখা। আমরা নিরাপত্তা চৌকি, ওয়াচ-টাওয়ার এবং দীর্ঘ সুদৃশ্য দেয়াল পার হয়ে হাইড্যামের কৌশলগত এলাকায় ঢুকে পড়ি। আমাদের গাইড আরবিতে যা ব্যাখ্যা করছিলেন তা বোঝার সাধ্য না থাকলেও বার দুয়েক  ‘সোভিয়েত রাশিয়া’  বঙ্গ সন্তানের কানে আসে। বুঝলাম হয় বাঁধ নির্মাণে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার কথা বলা হচ্ছে অথবা রাশিয়া এদেশের কী ক্ষতি করে গেছে তার ধারাবিবরণী চলছে।


বাঁধের এলাকাটা একটা উদ্যানের মতো করে সবুজ ঘাস, গাছপালা এবং রঙিন ফুলের ছোট ছোট ঝোপঝাড় দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। উপর দিয়ে চলে গেছে রাস্তা, মাঝখানের সড়ক দ্বীপে যাত্রী ছাউনি ছাড়াওকয়েকটি প্রায় পত্রপুষ্পহীন গাছ এবংএক প্রান্তে একটি ছোট্ট ক্যান্টিন। অনেকগুলো ট্যুরিস্টবাস একদিকে দাঁড়ানো। বাঁধের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটা সাইন বোর্ডে আরবির সাথে ইংরেজিতে নিষেধাজ্ঞা ‘ছবি তোলা নিষেধ!’ নিষেধাজ্ঞা চোখে পড়ার আগেই বেশ কিছু ছবি তোলা হয়ে গেছে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্যে ধারে কাছে কাউকে দেখা না গেলেও নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই ক্যামেরায় লেন্সক্যাপ লাগিয়ে ফেললাম। বাঁধের উপরে দাঁড়ালে যতোদূর দেখা যায় একদিকে পাহাড়ে ঘেরা বিস্তৃত এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে নীল জল। অপর পারের পানির রঙ কিছুটা হালকা। রানা ভাই অবশ্য বলছিলেন, ‘আসোয়ান হাই ড্যাম উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান যা রেখেছে তার তুলনায় ক্ষতিও কম করেনি। এরপরে যদি ইথিওপিয়া উজানে তাদের হাইড্যাম তৈরি করে তাহলে ক্ষতির পরিমান আরো বাড়বে।’


আমি বাঁধের প্রকৌশলগত বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ। শুধু জানি প্রথম আসোয়ান বাঁধের কারণে ফাইলির প্রত্মতাত্তিক নিদর্শন প্রায় ডুবতে বসেছিল, তখন মূল টেম্পল কমপ্লেক্সটি বর্তমানের ছোট্ট দ্বীপভূমি আগিলকিয়াতে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। দ্বিতীয়বার পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আসোয়ান হাইড্যাম নির্মাণের সময় দ্বিতীয় রামেসেস আমলের দুটি প্রকাণ্ড প্রস্তর মন্দির সম্পূর্ণ তুলে এনে নতুন করে বসানো  হয়েছে লেক নাসেরের পশ্চিম তীরে আবু সিম্বেল গ্রামে। আবু সিম্বেলে না গেলে মিশর ভ্রমণ অস্পূর্ণ থেকে যাবে। পরদিন ভোরে ত্রয়োদশ শতকের এই অভাবিত নির্মাণ এবং তার পুনস্থাপনের কীর্তি দেখতে যাবার কথা আছে। তবে তার আগে যেতে হবে ফাইলি। আসলে আসোয়ান হাইড্যামের উপরে দাঁড়িয়ে বেশি কিছু দেখার নেই। আমরা গাড়িতে উঠে বসলাম আগিলকিয়াদ্বীপের উদ্দেশ্যে। 

 


চলবে...

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির কাঁধে এখন অনেক দ্বায়িত্ব। এদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা বিএনপি কে নিয়ে।  সুতারাং দেশের মানুষের আকাঙ্খা অনুযায়ী নেতা-কর্মীদের আচরন করতে হবে। তৈরী হতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,  অন্তবর্তী সরকারকে বুঝতে হবে জনগন কি চায়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সব সংস্কার অন্তবর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয়। তারা একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের আয়োজন করে জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তারপর নির্বাচিত সরকার বাকী সংস্কার করবে।

এ সময় দ্রুত নির্বাচনের দেয়ার  দাবী জানান তারেক রহমান। 

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন পর বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং আনন্দ মুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টার সময় স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করতে যেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাত ধরেই অর্থাৎ তার নেতৃত্বেই এদেশে হত্যা, লুণ্ঠন, এবং অপরাজনীতি শুরু হয়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বদলে গনতন্ত্র হত্যা করে সকল দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে একটি রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একটি বদ্ধ কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল।

এসময় তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের উত্তরসূরী ফ্যাসিবাদের চুড়ান্ত বাস্তবায়নকারী শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর এদেশের জনগণের ঘাড়ে অবৈধভাবে চেপে বসে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে অবরুদ্ধ করে অসংখ্য খুন গুম ব্যাংক লুট এবং অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করছিল। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে দেউলিয়া এবং চরম দারিদ্র্যের শেষ সীমায় পৌঁছে দিয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, দেশকে দেশি ও বিদেশি চক্রান্তের মোকাবেলা করে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর এটা করতে হলে অবিলম্বে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার।

শুরুতে সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠ করা হয়। এরপরে সম্মেলনের উদ্বোধক সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। বিগত দিনে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন জেলা বিএনপি নেতা ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। সম্মেলনে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, এড.নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ সভাপতি বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিথা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু তালহা, জেলা জাসাসের সভাপতি সেলিমুল হাবিব, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তবারক হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম মনি, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস মিলি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু প্রমুখ।

সম্মেলনের একপর্যায়ে জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের হাতে তারেক রহমানের পক্ষে উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। 

সম্মেলনে একমাত্র প্রার্থী হিসাবে আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ইতিমধ্যেই চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় আজকের সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ৮০৮ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী