মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১

অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব: ১

প্রায় একঘণ্টার কাছাকাছি সময় গাড়ি থেমে আছে। তার আগে একঘণ্টা গাড়ি চলেছে থেমে থেমে টুকটুক করে। গাজীপুর চৌরাস্তার আগে এসে পুরোপুরো থেমে গেছে। কতক্ষণ এভাবে থেমে থাকবে সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছে না। রাস্তার ওপর গাড়ির বিশাল সারি। স্টার্ট বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। কারও ভেতর তেমন কোনো উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে না। ব্যাপারটা নিয়ে কাউকে চিন্তিতও মনে হচ্ছে না। গাজীপুর চৌরাস্তায় গাড়ির জ্যাম নৈমিত্তিক ঘটনা। তা নিয়ে অস্থির হওয়ার কিছু নেই। মানুষজনের ভেতর ঢিলেঢালা ভাব। আরামে চোখ বন্ধ করে কাঠি দিয়ে কান খোঁচানোর মতো ব্যাপার। কেউ কেউ গাড়িতে বসে দাঁত খোঁচাচ্ছে। স্টিয়ারিং হুইল ছেড়ে দিয়ে কয়েকজন গাড়ির বাইরে হাঁটাহাঁটি করছে। যেন তাদের হাতে অনন্ত সময়। দিনের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এখানে বসে থাকতে পারবে।

আমাকে যেতে হবে ময়মনসিংহ। সকাল ছয়টায় রওনা হয়েছি ঢাকা থেকে। ১১৫ কিলোমিটার পথ। তিন ঘন্টার বেশি লাগার কথা না। দশটায় সেখানে সাহিত্য সম্মেলন শুরু হবে। তারা আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে সাহিত্য সম্মেলনে থাকতে বলেছে। অনুরোধে ঢেঁকি গেলা আমার অভ্যাস। সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করার দায় লেখকের আছে বলে মনে করি। একজন লেখক হিসেবে সে দায় এড়িয়ে যাই না। তা ছাড়া সাহিত্যে একুশে পদক পাওয়ার সম্ভাবনা যখন প্রতিবছর উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে। সেই কবে, কতদিন আগে কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছি এখন আর মনেও পড়ে না। অন্যান্য পুরস্কারগুলো দিয়ে আমাকে সম্মানীত করার কথা বলে আয়োজকরা নিজেকে সম্মানীত করেছে।

নোমানের আসার কথা ছিল আমার সঙ্গে। নোমান আহমদ। শিশুসাহিত্যে সে বেশ নাম করেছে। বছর আট আগে অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরষ্কার পেয়েছে। এখন বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়ার জন্য নিয়মিত তদবির করে যাচ্ছে। শিগরি সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়ে যাবে বলে আশা করছি। গতরাতে বাসায় এসেছিল নোমান। বললাম, ‘মৈমনসিং যাবি?’
‘মন্ডা খেতে?’
‘খাওয়া ছাড়া কিছু বুঝিস না?’
নোমান কাশল। টিস্যু নিয়ে এসে ওয়েস্ট বিনে ফেলে দিয়ে বলল, ‘বিয়ে বাড়িতে গিয়ে কয়জন মানুষ বর-বউ দেখে বলেন তো? তারা খেয়েদেয়ে চলে আসে। জীবনের মূলে আছে পেট আর...’
নোমান কথা শেষ করল না। আবার কাশল।
জিগ্যেস করলাম, ‘তোর ঠান্ডা লেগেছে?’
‘ঢাকা শহরের ধুলো আর বাতাসের দূষণের কাছে মাস্ক হচ্ছে ত্যানা। নাকেমুখের ভেতর আড়াই কেজি ধুলো ঢুকেছে। আপনার বাড়ির রাস্তায় কনস্ট্রাকশন হচ্ছে। আওয়াজে বোঝেন না? যাওয়া-আসা তো করেন গাড়িতে।’
কথা না বাড়িয়ে বললাম, ‘ময়মনসিংহে সাহিত্য সম্মেলন হচ্ছে দুদিনের। আগামীকাল উদ্বোধন। তুই চল আমার সাথে।’
নোমান রাজি হলো। রাত সোয়া একটার সময় ফোন করে বলে, ‘ভাই প্রবল জ্বরে কাতর হয়ে গেছি। মুক্তাগাছার মন্ডা আমার ভাগ্যে নেই।’
একা এতটা পথ যাওয়া বিরক্তিকর। নিজের ওপর রাগ হচ্ছে। গতরাতেই আমার বোঝা উচিত ছিল নোমানের শরীর খারাপ। মামুনকে বললে সে আসত। দরকার হলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে আসত।
‘আনিস কয়টা বাজে?’
যে ছেলেটি আমার গাড়ি চালাচ্ছে তার নাম আনিস। ২৮ বছর বয়স। অতিরিক্ত শুকনো শরীর। তার চেহারায় ভয় পাওয়া ভাব আছে। সে কি শুধু আমাকেই ভয় পায় নাকি সবাইকে ভয় পায় জানি না। অন্যদের ভয় পায় বলে মনে হয় না। কয়েক দিন দেখেছি আনিস গাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে অন্যগাড়ির ড্রাইভার কিংবা অটোরিকশা চালকের সঙ্গে ঝগড়া করছে,
‘ওই মিয়া চাপ দিলেন ক্যান?’
‘ডাইনে পিক-আপ ছিল।’
‘ডাইনে পিক-আপ দেখেন বামে গাড়ি দেখেন না? গাড়ি টান দেন। সামনে গিয়ে দাঁড়ান। গাড়ির সাথে গাড়ি লাগাই রাখবেন না।’

আনিস হম্বিতম্বি করতে থাকে। দেখে মনে হয় কিছুক্ষণের ভেতর ঘোসাঘুসি শুরু হবে। আর সেই মারামারি শুরু করবে আনিস। সে আমাকে না জানিয়ে গাড়ির ডিকির কালো ম্যাটের নিচে গজারির ডাল রেখে দিয়েছে। মনে হয় মারামারির প্রস্তুতি। আমাকে কেন সে ভয় পায় তার কোনো কারণ আবিষ্কার করতে পারিনি। আমার ঘড়ি হাতে দেওয়ার অভ্যাস নেই। পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে সময় দেখতে আলসেমি লাগছে।
আনিস ঢোক গিলল। খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করল। কথা শুরুর আগে সবসময় সে খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নেয়। আনিস চুপ করে আছে। সে কিছু বলল না।
ঘাড় উঁচু করে খেয়াল করলাম আনিসের হাতে ঘড়ি নেই। সেও আমার মতো ঘড়ি হাতে দেয় না। তাতে অসুবিধা নেই। গাড়িতে ঘড়ি আছে। আমার কথা হয়তো শুনতে পায়নি। মাথা সামনে ঝুঁকিয়ে বললাম, ‘আনিস, কয়টা বাজে দেখো তো।’
আনিস আবার খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিল। গাড়ির ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অতি নিচু আওয়াজে বলল, ‘স্যার, ছয়টা বাজে।’
চমকে উঠেছি। ফাজলামি করে নাকি এই ছেলে! কথা বলে সব সময় নিচু স্বরে। তার ফাজলামি করার সাহস থাকার কথা নয়। খানিকটা রাগ করে বললাম, ‘কয়টা বাজে বললে?’
‘গাড়ির ঘড়ি বন্ধ হয়ে আছে। ঠিক করতে হবে।’
‘ঠিক করো।’
‘চেষ্টা করেছিলাম। হয়নি। মেকানিকের কাছে নিতে হবে।’
গাড়ির ঘড়ি অনেকগুলো ফাংশনের সঙ্গে জড়িত। সেটা আলাদাভাবে বন্ধ হতে পারে বলে আমার ধারণা ছিল না। গাড়ির কিছু হলে ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়ার ঝোঁক এদের থেকেই যায়।
বললাম, ‘মোবাইলে দেখো কয়টা বাজে।’
‘স্যার, মোবাইলে চার্জ নেই। মোবাইল বন্ধ।’
‘গাড়ি থেকে চার্জ দাও।’
‘চার্জারের পিন ভেঙে গেছে।’
‘তাহলে আর তুমি আছ কেন, আনিস? নেমে হাঁটা দাও। যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাও।’
পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি নয়টা বাজে। বিরক্তি মেজাজ খারাপে রূপ নিয়েছে। কার ওপর রাগ হচ্ছে বুঝতে পারছি না। নিজের ওপর রাগ করব নাকি সরকারের ওপর! রাস্তাতেই যদি কর্মঘণ্টা সব শেষ হয়ে যায় তাহলে দেশ উন্নত হবে কীভাবে? যানজটের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনাহীনতা আর উদাসীনতা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
আনিস গাড়ি থেকে নেমে গেল। সে কি সত্যি সত্যি যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকে রওনা হয়ে যাবে নাকি! আমাকে ড্রাইভ করে ময়মনসিংহ যেতে হবে! ফিরতেও হবে ড্রাইভ করে!
‘স্যার, ডাব খান। শ্রীপুরের কচি ডাব। পানি বেশি আর মিষ্টি।’
আনিস ডাব কিনে এনেছে। শ্রীপুরের কাঁঠাল ভালো হয় জানি, এখানকার ডাব ভালো হয় এমন তথ্য আমার কাছে ছিল না।
ডাব মোটেও ভালো না। পানির স্বাদ নোনতা। স্ট্র ছিল বলে কিছুক্ষণ খাওয়া গেছে। ডাবে মুখ লাগিয়ে খেলে দুই ঢোকে পানি শেষ হয়ে যেত।
ডাবের খোলা ফেরত দিতে দিতে বললাম, ‘তুমি ডাব খেয়েছ, আনিস?’
‘জি স্যার।’
‘ডাব কত করে?’
‘৮০ টাকা চায়। ৬০ টাকা করে দিয়েছি।’
ডাবের পানি নোনতা হলেও ভালো লাগছে। কোনো অদ্ভুত কারণে আমার ভেতর কিছুক্ষণের আগের রাগ বা বিরক্ত ভাব নেই। টেনশন করার কোনো কারণ দেখছি না। রাস্তার এমন জটিল অবস্থায় আমার কিছু করার নেই। বাসা থেকে সময়মতো বের হয়েছি। সকাল ৬টায় বেরুলে ৯টার ভেতর পৌঁছে যেতে পারব একথা তারাই বলেছে। যারা সম্মেলন আয়োজন করেছে। তারা একজনকে সঙ্গে দিতে চেয়েছিল। রাজি হইনি। অপরিচিত কারও সঙ্গে জার্নি করতে পছন্দ করি না। তারা বলেছে, ময়মনসিংহ গিয়ে নাস্তা করব। স্থানীয় কয়েকজন বিশিষ্ট লেখক আসবেন কথা বলতে। তাদের সময় দিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে যাব।

গাড়ির সিট পকেটে কালো কাপড় দিয়ে বাঁধানো ডায়েরি। কালো কাপড়ে সাদা সুতোর সেলাই। ইচ্ছে হলে পথে পড়ব বলে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। গতকাল অফিসে এক মেয়ে এসেছিল। ও আচ্ছা বলে নিই, আমি একটা জাতীয় দৈনিকে কাজ করি। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। বেশ নামি পত্রিকা। সরকারের সমালোচনা করে পত্রিকার কাটতি বেড়েছে। মালিক অবশ্য নিয়মিত সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে খাতির রেখে চলেন। এতে সরকারের সমালোচনা করেও পত্রিকা চালাতে সমস্যা হয় না।
গাড়ির সিট পকেট থেকে ডায়েরিটা বের করে হাতে নিলাম। গতকাল অফিসে তুরি এসেছিল। সে ছবি আঁকে। চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে পাশ করেছে। এখন ছেলেমেয়েদের আর্ট শেখানোর ইশকুল চালায়। শিশুদের জন্য দুটো বই লিখেছি। সেই বইয়ের অলংকরণ করেছে তুরি। প্রকাশক তার আঁকা ছবিগুলো দেখে দিতে বলেছেন।
তুরিকে দেখে খানিকটা অন্যরকম মনে হয়েছে। আর দশজনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার মতো না। তার পরনে ছিল রঙিন প্রিন্টের ধুতি সালোয়ার আর ফতুয়া। বেশ রঙচঙা ওড়না পেঁচানো ছিল গলায়। কাঁধে লম্বা ফিতায় ঝোলানো কাপড়ের ব্যাগ। প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত চোখ জোড়া বেশ গভীর আর বড়ো বড়ো। চোখের মণি গাঢ় আর ভরাট কালো কুচকুচে। চোখে মোটা করে কাজল দিয়েছে। কিসের যেন আকর্ষণ আছে মেয়েটির ভেতর। কিসের আকর্ষণ সেটা চট করে ধরতে পারিনি।
তুরির শরীরের গড়ন অনেকটা বেতের মতো ছিপছিপে। গায়ের রং ফরসা। শুধু ফরসা না। সবরি কলার মতো নমনীয় দীপ্তি আছে। যেমন কলাগাছের মাঝখানের পাতার থাকে। তুরিকে দেখে মনে হয়েছিল দিনেদুপুরে ঘরে জোছনার আলো ঢুকে পড়েছে।
বললাম, ‘তুরি, বসো।’
তুরি বসল। চোখ ঘুরিয়ে পুরো ঘর দেখল। ছিমছাম সাজানো গোছানো সম্পাদকের ঘর। চোখ দেখে বুঝলাম তুরির ভালো লেগেছে। সেখানে প্রশান্তি ছেয়ে আছে। অনেকগুলো বই আর পত্রিকা রাখা আছে টেবিলের ওপর। সেগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। কাগজ, বইপত্র গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করি।
জানতে চাইলাম, ‘ছবি এনেছ?’
‘জি।’
তুরি গলার আওয়াজ সুন্দর। মোলায়েম। শুনতে আরাম লাগে। সে ব্যাগ থেকে ছবি বের করে টেবিলে রাখল।
বললাম, ‘তুমি করে বলছি। বয়স হয়েছে। তোমাদের বয়সের ছেলেমেয়েদের আপনি বলতে ইচ্ছে করে না ’
‘আমি অনেক ছোটো। তুমি করেই বলবেন।’
ছবিগুলো দেখলাম। তুরি সুন্দর এঁকেছে। শুধু সুন্দর বললে কৃপণতা করা হবে। যথেষ্ট সুন্দর এঁকেছে। মুগ্ধ হওয়ার মতো। তুরির আঁকা ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম। বললাম, ‘শিশুদের জন্য ছবি আঁকা ব্যাপারটা খুব সহজ নয়। এখানে এক্সপ্রেশন বড়ো ফ্যাক্টর। পাখির চোখ কথা বলবে। কিংবা ধরো হাতি বা বানরের অ্যাকশন।’
তুরি মনে হয় বুঝতে পারছে না তার আঁকা ছবিগুলো ঠিক হয়েছে কিনা। বলল, ‘শিশুরা যখন গল্প পড়ে তখন সে নিজের মতো করে কল্পনা করে। সেই কল্পনার সঙ্গে গল্পের ছবি মেলায়। শিশুদের বইয়ের অলংকরণের জন্য শিশু-মন বুঝতে পারা জরুরি।’
তুরি বলল, ‘আমি চেষ্টা করেছি।’
‘তোমার আঁকা ছবিগুলো হয়েছে অসাধারণ। অসম্ভব সুন্দর। তুমি কি মাইন্ড রিড করতে পারো? লেখার সময় যেমন ভেবেছিলাম একদম সেভাবেই এঁকেছ। কেমন করে বুঝলে তুমি, যে আমি ঠিক এটাই ভেবেছি?’
‘আপনার লেখা পড়লে মনে হয় ঘটনা সামনে ঘটছে। সবকিছু জীবন্ত। ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছিলাম।’
‘খুব খুশি হয়েছি। এসো আমরা আমাদের এই আনন্দ সেলিব্রেট করি। তোমাকে স্পেশাল কফি খাওয়াই। দ্য মোস্ট এক্সপেন্সিভ কফি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। কোপি লুয়াক। এই কফির পেছনে ঘটনা আছে। সেই ঘটনা তোমাকে আরেকদিন বলব।’
ইউসুফকে ডেকে স্পেশাল কফির কথা বললাম। ইউসুফ সম্পাদকের পিয়ন। চা-কফি বানায়। কাগজপত্র আনানেওয়া, ফটোকপি করা ইত্যাদি কাজ ইউসুফ করে।
তুরি বলল, ‘ছবি আঁকা এখন আমার পেশা বলতে পারেন। টুকটাক লেখার চেষ্টা করি। সেটা নেশা।’
আগ্রহ বোধ করলাম। জিগ্যেস করলাম, ‘তুমি লেখো?’
‘একটা লেখা শুরু করেছি। অনেকটা নিজেকে নিয়ে। বলতে পারেন একেবারে আমার নিজের কথা।’
‘বাড়িতে কে কে আছেন?’
‘শ্বশুরবাড়িতে থাকি। বেশিদিন হয়নি আমার বিয়ে হয়েছে। আমি, আমার বর আর শাশুড়ি।’
‘তোমার হাজবেন্ড কী করে?’
‘সে হাউজ হাজবেন্ড। শাশুড়ির বাড়ি আছে। সেটার ভাড়া দিয়ে সংসার চলে।’
কিছু ভাবছিলাম হয়তো। চুপ করে ছিলাম। তুরি বলল, ‘আমার লেখা নোটবুক রেখে যাচ্ছি। আপনি পড়বেন। আমার জীবনকথা দিয়ে কীভাবে উপন্যাস লেখা যেতে পারে পড়ে বলবেন।’
‘দেখো মেয়ে, তোমার ভাবনা অন্যকেউ স্পর্শ করতে পারবে না। তুমি লিখলে যতটা জীবন্ত হবে, অন্য কেউ লিখলে সেটা হবে প্রাণহীন, কথার পিঠে কথা সাজানো।’
‘আমাকে শুধু বলবেন লেখাটা সাজাব কেমন করে। শুরুটা কীভাবে করব আর শেষ কোথায় হবে। শেষের কথা আগেই ভাবব কিনা। যদি ভাবি তাহলে সেখানে পৌঁছানোর জন্য কী করতে হবে—এসব।’
অন্যের লেখা পাণ্ডুলিপি কিংবা এমন ভাবনা পড়তে পছন্দ করি না। তবে তুরিকে উপেক্ষা করতে পারলাম না। নোটবুক রেখে দিলাম।

গাড়ির হর্ন বাজছে। তীব্র হর্ন। সবগুলো গাড়ি একসঙ্গে হর্ন দিচ্ছে। আনিস উঠে এসেছে গাড়িতে। গাড়ি ধীরলয়ে চলতে শুরু করেছে।
তীব্র হর্নের আওয়াজ কমে এসেছে। তবে কে কার আগে যেতে পারে এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। তাতে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে না। গাড়ি যাচ্ছে এক লেনে। ওভারটেক করার উপায় নেই।
একসময় গাড়ির হর্নের আওয়াজ থেমে এলো। গাড়ি স্বাভাবিক গতি পেয়েছে। এগিয়ে যাচ্ছে। নিজের ভেতরের অস্থিরতা চলে গেছে। প্রশান্তি বোধ হচ্ছে।
তুরির নোটবুক খুললাম। প্রথম পাতায় পাঁচ লাইনের কবিতা লেখা।

বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ
খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—
সন্ধ্যার নদীর জলে নামে যে আলোক
জোনাকির দেহ হতে—খুঁজেছি তোমারে সেইখানে
ধূসর পেঁচার মতো ডানা মেলে অঘ্রানের অন্ধকারে

পরপর দুবার পড়লাম কবিতাটা। জীবনানন্দ দাশের লেখা। কবিতা নিয়ে কিছু লেখা নেই। তুরি নোটবুকের শুরুতে কেন এই কবিতা লিখল বুঝতে পারছি না।
রাস্তা প্রায় ফাঁকা হয়ে এসেছে। গাড়ির চাপ একদম নেই। দুপাশে শালবন। শালগাছ কেটে বন উজাড় করে ফেলেছে। তবু মাঝেমাঝে ঘন হয়ে আসছে বন। মাথার ভেতর উচ্চারিত হচ্ছে প্রথম লাইন দুটো—

বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ
খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—

ঘুরেফিরে মাথার ভেতর অনুরণিত হয়ে যাচ্ছে। আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে। চোখের পাতা ভারী হয়ে এসেছে। সিটের পেছন দিকে মাথা হেলিয়ে দিলাম। আমিও বুঝি খুঁজে ফিরছি বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত দুই চোখ! যেমন খুঁজে ফিরেছিলেন জীবনানন্দ দাশ। হয়তো তুরিও একইভাবে খুঁজে ফিরছে। কবির মতো খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—। তবে কি তুরিও!
সবকিছু ছাপিয়ে দুটো শব্দ আটকে গেল মাথায়—অঘ্রানের অন্ধকারে! যেখানে থমকে গেছি আমি। হতে পারে তুরিও থেমে আছে আমার মতো অঘ্রানের অন্ধকারে।
আলতোভাবে চোখ বন্ধ করে ফেললাম। রুশিয়ার কথা মনে পড়ছে। আমার কিশোর বেলার প্রেম।

(চলবে)

Header Ad
Header Ad

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হাতে ধরা পড়েছেন আবুল হাসনাত আদনান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ওয়াটারফল রেস্টুরেন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হন তিনি।

আটক আবুল হাসনাত আদনান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান।

জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এই নেতা রেস্টুরেন্টে বিয়ে খেতে এসেছে এমন খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাকে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, সে জুলাই হামলায় জড়িত ছিল এবং আন্দোলনের সময় হামলার বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তার মোবাইলে পাওয়া যায়৷ আন্দোলনের সময় গুলি করেছে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। তার মোবাইলে শিক্ষার্থী হত্যার আলামত পাওয়া গেছে এবং বর্তমানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর আলামত পাওয়া যায় বলেও জানান তারা।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার

বাংলাদেশ জামাত-ই ইসলাম তাদের ফেইজবুক পেইজে এক বিবৃতিতে এসব জানায়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ ঘটনায় নিন্দাও জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি করা হয় দলটির পক্ষ থেকে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহজাহান, জেলা সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন যৌথভাবে বলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককে হেনস্তা করা সমর্থন করে না। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতের কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে না। স্থানীয়ভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, আবদুল হাই কানু তার এলাকায় হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তারা আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঢাকায় থাকা আবুল হাশেম এবং দুবাই ফেরত অহিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, আইন নিজের হাতে নেওয়ার কোনো অধিকার কারো নেই। আমরা আবুল হাশেম, অহিদুর রহমানসহ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করছি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করছি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করেন স্থানীয় কয়েকজন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার জামায়াতের সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটান। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু লুদিয়ারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের রোষানলে পড়ে দীর্ঘ ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

Header Ad
Header Ad

নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশী ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট এবং নকল ব্র্যান্ড রোল লাগিয়ে বিক্রির ব্যবসায় জড়িত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বরাবর জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এনবিআরের প্রতিবেদন বলছে, নকল সিগারেট তৈরি এবং ব্যান্ডরোল তৈরির সঙ্গে জড়িত ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো অন্যতম বৃহৎ।

এ দুই প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণায় কাঁচামাল আমদানি করে এবং কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চকোরিয়ার কারখানায় নকল সিগারেট তৈরি করে। পরে নকল সিগারেট দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের তামাক ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের। এ ব্যবসার আয়ের একটি অংশ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে জমা দেয়া হতো। নওফেল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন এনবিআর এ জমা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এনবিআর’ই গ্রহণ করবে।’

একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের মালিকানাধীন দুই প্রতিষ্ঠান বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো নকল সিগারেট তৈরি এবং নকল ‘ব্যান্ড রোল’ লাগিয়ে বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরির হোতা।

জানা গেছে, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের। বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার টন সিগারেট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করেছে সিগারেটের কাঁচামাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। যা দিয়ে ৫ কোটি সিগারেটের শলাকা তৈরি সম্ভব। এখানে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য খাত বাবদ রাজস্ব হারিয়েছে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

গত ৮ অক্টোবর এই বিষয়ে একটি গণমাধ্যম ‘৫ হাজার কোটি লোপাটে এক জুটি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা
মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার
নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখতে জরুরি নির্দেশনা  
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি
‘মুজিব’ সিনেমার পরিচালক শ্যাম বেনেগাল মারা গেছেন
হেনরী ও তার স্বামীর ৪৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন পৌনে ৪ হাজার কোটি
স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমলো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল
ভোটাধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো রাস্তায় নামতে হবে: মির্জা ফখরুল
শিল্পকলার সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মিউজিক ফেস্ট মঞ্চে বিপিএল উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা  
দর্শনা সীমান্তে ভারতে পাচারকালে দুই নারী উদ্ধার; পাচারকারী আটক
১৫ বছরে বিএনপি আন্দোলনে ছিল বলেই শেখ হাসিনা পালিয়েছে: ফখরুল
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল
বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের