শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১

অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব: ১

প্রায় একঘণ্টার কাছাকাছি সময় গাড়ি থেমে আছে। তার আগে একঘণ্টা গাড়ি চলেছে থেমে থেমে টুকটুক করে। গাজীপুর চৌরাস্তার আগে এসে পুরোপুরো থেমে গেছে। কতক্ষণ এভাবে থেমে থাকবে সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছে না। রাস্তার ওপর গাড়ির বিশাল সারি। স্টার্ট বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। কারও ভেতর তেমন কোনো উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে না। ব্যাপারটা নিয়ে কাউকে চিন্তিতও মনে হচ্ছে না। গাজীপুর চৌরাস্তায় গাড়ির জ্যাম নৈমিত্তিক ঘটনা। তা নিয়ে অস্থির হওয়ার কিছু নেই। মানুষজনের ভেতর ঢিলেঢালা ভাব। আরামে চোখ বন্ধ করে কাঠি দিয়ে কান খোঁচানোর মতো ব্যাপার। কেউ কেউ গাড়িতে বসে দাঁত খোঁচাচ্ছে। স্টিয়ারিং হুইল ছেড়ে দিয়ে কয়েকজন গাড়ির বাইরে হাঁটাহাঁটি করছে। যেন তাদের হাতে অনন্ত সময়। দিনের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এখানে বসে থাকতে পারবে।

আমাকে যেতে হবে ময়মনসিংহ। সকাল ছয়টায় রওনা হয়েছি ঢাকা থেকে। ১১৫ কিলোমিটার পথ। তিন ঘন্টার বেশি লাগার কথা না। দশটায় সেখানে সাহিত্য সম্মেলন শুরু হবে। তারা আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে সাহিত্য সম্মেলনে থাকতে বলেছে। অনুরোধে ঢেঁকি গেলা আমার অভ্যাস। সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করার দায় লেখকের আছে বলে মনে করি। একজন লেখক হিসেবে সে দায় এড়িয়ে যাই না। তা ছাড়া সাহিত্যে একুশে পদক পাওয়ার সম্ভাবনা যখন প্রতিবছর উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে। সেই কবে, কতদিন আগে কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছি এখন আর মনেও পড়ে না। অন্যান্য পুরস্কারগুলো দিয়ে আমাকে সম্মানীত করার কথা বলে আয়োজকরা নিজেকে সম্মানীত করেছে।

নোমানের আসার কথা ছিল আমার সঙ্গে। নোমান আহমদ। শিশুসাহিত্যে সে বেশ নাম করেছে। বছর আট আগে অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরষ্কার পেয়েছে। এখন বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়ার জন্য নিয়মিত তদবির করে যাচ্ছে। শিগরি সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়ে যাবে বলে আশা করছি। গতরাতে বাসায় এসেছিল নোমান। বললাম, ‘মৈমনসিং যাবি?’
‘মন্ডা খেতে?’
‘খাওয়া ছাড়া কিছু বুঝিস না?’
নোমান কাশল। টিস্যু নিয়ে এসে ওয়েস্ট বিনে ফেলে দিয়ে বলল, ‘বিয়ে বাড়িতে গিয়ে কয়জন মানুষ বর-বউ দেখে বলেন তো? তারা খেয়েদেয়ে চলে আসে। জীবনের মূলে আছে পেট আর...’
নোমান কথা শেষ করল না। আবার কাশল।
জিগ্যেস করলাম, ‘তোর ঠান্ডা লেগেছে?’
‘ঢাকা শহরের ধুলো আর বাতাসের দূষণের কাছে মাস্ক হচ্ছে ত্যানা। নাকেমুখের ভেতর আড়াই কেজি ধুলো ঢুকেছে। আপনার বাড়ির রাস্তায় কনস্ট্রাকশন হচ্ছে। আওয়াজে বোঝেন না? যাওয়া-আসা তো করেন গাড়িতে।’
কথা না বাড়িয়ে বললাম, ‘ময়মনসিংহে সাহিত্য সম্মেলন হচ্ছে দুদিনের। আগামীকাল উদ্বোধন। তুই চল আমার সাথে।’
নোমান রাজি হলো। রাত সোয়া একটার সময় ফোন করে বলে, ‘ভাই প্রবল জ্বরে কাতর হয়ে গেছি। মুক্তাগাছার মন্ডা আমার ভাগ্যে নেই।’
একা এতটা পথ যাওয়া বিরক্তিকর। নিজের ওপর রাগ হচ্ছে। গতরাতেই আমার বোঝা উচিত ছিল নোমানের শরীর খারাপ। মামুনকে বললে সে আসত। দরকার হলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে আসত।
‘আনিস কয়টা বাজে?’
যে ছেলেটি আমার গাড়ি চালাচ্ছে তার নাম আনিস। ২৮ বছর বয়স। অতিরিক্ত শুকনো শরীর। তার চেহারায় ভয় পাওয়া ভাব আছে। সে কি শুধু আমাকেই ভয় পায় নাকি সবাইকে ভয় পায় জানি না। অন্যদের ভয় পায় বলে মনে হয় না। কয়েক দিন দেখেছি আনিস গাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে অন্যগাড়ির ড্রাইভার কিংবা অটোরিকশা চালকের সঙ্গে ঝগড়া করছে,
‘ওই মিয়া চাপ দিলেন ক্যান?’
‘ডাইনে পিক-আপ ছিল।’
‘ডাইনে পিক-আপ দেখেন বামে গাড়ি দেখেন না? গাড়ি টান দেন। সামনে গিয়ে দাঁড়ান। গাড়ির সাথে গাড়ি লাগাই রাখবেন না।’

আনিস হম্বিতম্বি করতে থাকে। দেখে মনে হয় কিছুক্ষণের ভেতর ঘোসাঘুসি শুরু হবে। আর সেই মারামারি শুরু করবে আনিস। সে আমাকে না জানিয়ে গাড়ির ডিকির কালো ম্যাটের নিচে গজারির ডাল রেখে দিয়েছে। মনে হয় মারামারির প্রস্তুতি। আমাকে কেন সে ভয় পায় তার কোনো কারণ আবিষ্কার করতে পারিনি। আমার ঘড়ি হাতে দেওয়ার অভ্যাস নেই। পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে সময় দেখতে আলসেমি লাগছে।
আনিস ঢোক গিলল। খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করল। কথা শুরুর আগে সবসময় সে খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নেয়। আনিস চুপ করে আছে। সে কিছু বলল না।
ঘাড় উঁচু করে খেয়াল করলাম আনিসের হাতে ঘড়ি নেই। সেও আমার মতো ঘড়ি হাতে দেয় না। তাতে অসুবিধা নেই। গাড়িতে ঘড়ি আছে। আমার কথা হয়তো শুনতে পায়নি। মাথা সামনে ঝুঁকিয়ে বললাম, ‘আনিস, কয়টা বাজে দেখো তো।’
আনিস আবার খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিল। গাড়ির ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অতি নিচু আওয়াজে বলল, ‘স্যার, ছয়টা বাজে।’
চমকে উঠেছি। ফাজলামি করে নাকি এই ছেলে! কথা বলে সব সময় নিচু স্বরে। তার ফাজলামি করার সাহস থাকার কথা নয়। খানিকটা রাগ করে বললাম, ‘কয়টা বাজে বললে?’
‘গাড়ির ঘড়ি বন্ধ হয়ে আছে। ঠিক করতে হবে।’
‘ঠিক করো।’
‘চেষ্টা করেছিলাম। হয়নি। মেকানিকের কাছে নিতে হবে।’
গাড়ির ঘড়ি অনেকগুলো ফাংশনের সঙ্গে জড়িত। সেটা আলাদাভাবে বন্ধ হতে পারে বলে আমার ধারণা ছিল না। গাড়ির কিছু হলে ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়ার ঝোঁক এদের থেকেই যায়।
বললাম, ‘মোবাইলে দেখো কয়টা বাজে।’
‘স্যার, মোবাইলে চার্জ নেই। মোবাইল বন্ধ।’
‘গাড়ি থেকে চার্জ দাও।’
‘চার্জারের পিন ভেঙে গেছে।’
‘তাহলে আর তুমি আছ কেন, আনিস? নেমে হাঁটা দাও। যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাও।’
পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি নয়টা বাজে। বিরক্তি মেজাজ খারাপে রূপ নিয়েছে। কার ওপর রাগ হচ্ছে বুঝতে পারছি না। নিজের ওপর রাগ করব নাকি সরকারের ওপর! রাস্তাতেই যদি কর্মঘণ্টা সব শেষ হয়ে যায় তাহলে দেশ উন্নত হবে কীভাবে? যানজটের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনাহীনতা আর উদাসীনতা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
আনিস গাড়ি থেকে নেমে গেল। সে কি সত্যি সত্যি যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকে রওনা হয়ে যাবে নাকি! আমাকে ড্রাইভ করে ময়মনসিংহ যেতে হবে! ফিরতেও হবে ড্রাইভ করে!
‘স্যার, ডাব খান। শ্রীপুরের কচি ডাব। পানি বেশি আর মিষ্টি।’
আনিস ডাব কিনে এনেছে। শ্রীপুরের কাঁঠাল ভালো হয় জানি, এখানকার ডাব ভালো হয় এমন তথ্য আমার কাছে ছিল না।
ডাব মোটেও ভালো না। পানির স্বাদ নোনতা। স্ট্র ছিল বলে কিছুক্ষণ খাওয়া গেছে। ডাবে মুখ লাগিয়ে খেলে দুই ঢোকে পানি শেষ হয়ে যেত।
ডাবের খোলা ফেরত দিতে দিতে বললাম, ‘তুমি ডাব খেয়েছ, আনিস?’
‘জি স্যার।’
‘ডাব কত করে?’
‘৮০ টাকা চায়। ৬০ টাকা করে দিয়েছি।’
ডাবের পানি নোনতা হলেও ভালো লাগছে। কোনো অদ্ভুত কারণে আমার ভেতর কিছুক্ষণের আগের রাগ বা বিরক্ত ভাব নেই। টেনশন করার কোনো কারণ দেখছি না। রাস্তার এমন জটিল অবস্থায় আমার কিছু করার নেই। বাসা থেকে সময়মতো বের হয়েছি। সকাল ৬টায় বেরুলে ৯টার ভেতর পৌঁছে যেতে পারব একথা তারাই বলেছে। যারা সম্মেলন আয়োজন করেছে। তারা একজনকে সঙ্গে দিতে চেয়েছিল। রাজি হইনি। অপরিচিত কারও সঙ্গে জার্নি করতে পছন্দ করি না। তারা বলেছে, ময়মনসিংহ গিয়ে নাস্তা করব। স্থানীয় কয়েকজন বিশিষ্ট লেখক আসবেন কথা বলতে। তাদের সময় দিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে যাব।

গাড়ির সিট পকেটে কালো কাপড় দিয়ে বাঁধানো ডায়েরি। কালো কাপড়ে সাদা সুতোর সেলাই। ইচ্ছে হলে পথে পড়ব বলে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। গতকাল অফিসে এক মেয়ে এসেছিল। ও আচ্ছা বলে নিই, আমি একটা জাতীয় দৈনিকে কাজ করি। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। বেশ নামি পত্রিকা। সরকারের সমালোচনা করে পত্রিকার কাটতি বেড়েছে। মালিক অবশ্য নিয়মিত সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে খাতির রেখে চলেন। এতে সরকারের সমালোচনা করেও পত্রিকা চালাতে সমস্যা হয় না।
গাড়ির সিট পকেট থেকে ডায়েরিটা বের করে হাতে নিলাম। গতকাল অফিসে তুরি এসেছিল। সে ছবি আঁকে। চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে পাশ করেছে। এখন ছেলেমেয়েদের আর্ট শেখানোর ইশকুল চালায়। শিশুদের জন্য দুটো বই লিখেছি। সেই বইয়ের অলংকরণ করেছে তুরি। প্রকাশক তার আঁকা ছবিগুলো দেখে দিতে বলেছেন।
তুরিকে দেখে খানিকটা অন্যরকম মনে হয়েছে। আর দশজনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার মতো না। তার পরনে ছিল রঙিন প্রিন্টের ধুতি সালোয়ার আর ফতুয়া। বেশ রঙচঙা ওড়না পেঁচানো ছিল গলায়। কাঁধে লম্বা ফিতায় ঝোলানো কাপড়ের ব্যাগ। প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত চোখ জোড়া বেশ গভীর আর বড়ো বড়ো। চোখের মণি গাঢ় আর ভরাট কালো কুচকুচে। চোখে মোটা করে কাজল দিয়েছে। কিসের যেন আকর্ষণ আছে মেয়েটির ভেতর। কিসের আকর্ষণ সেটা চট করে ধরতে পারিনি।
তুরির শরীরের গড়ন অনেকটা বেতের মতো ছিপছিপে। গায়ের রং ফরসা। শুধু ফরসা না। সবরি কলার মতো নমনীয় দীপ্তি আছে। যেমন কলাগাছের মাঝখানের পাতার থাকে। তুরিকে দেখে মনে হয়েছিল দিনেদুপুরে ঘরে জোছনার আলো ঢুকে পড়েছে।
বললাম, ‘তুরি, বসো।’
তুরি বসল। চোখ ঘুরিয়ে পুরো ঘর দেখল। ছিমছাম সাজানো গোছানো সম্পাদকের ঘর। চোখ দেখে বুঝলাম তুরির ভালো লেগেছে। সেখানে প্রশান্তি ছেয়ে আছে। অনেকগুলো বই আর পত্রিকা রাখা আছে টেবিলের ওপর। সেগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। কাগজ, বইপত্র গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করি।
জানতে চাইলাম, ‘ছবি এনেছ?’
‘জি।’
তুরি গলার আওয়াজ সুন্দর। মোলায়েম। শুনতে আরাম লাগে। সে ব্যাগ থেকে ছবি বের করে টেবিলে রাখল।
বললাম, ‘তুমি করে বলছি। বয়স হয়েছে। তোমাদের বয়সের ছেলেমেয়েদের আপনি বলতে ইচ্ছে করে না ’
‘আমি অনেক ছোটো। তুমি করেই বলবেন।’
ছবিগুলো দেখলাম। তুরি সুন্দর এঁকেছে। শুধু সুন্দর বললে কৃপণতা করা হবে। যথেষ্ট সুন্দর এঁকেছে। মুগ্ধ হওয়ার মতো। তুরির আঁকা ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম। বললাম, ‘শিশুদের জন্য ছবি আঁকা ব্যাপারটা খুব সহজ নয়। এখানে এক্সপ্রেশন বড়ো ফ্যাক্টর। পাখির চোখ কথা বলবে। কিংবা ধরো হাতি বা বানরের অ্যাকশন।’
তুরি মনে হয় বুঝতে পারছে না তার আঁকা ছবিগুলো ঠিক হয়েছে কিনা। বলল, ‘শিশুরা যখন গল্প পড়ে তখন সে নিজের মতো করে কল্পনা করে। সেই কল্পনার সঙ্গে গল্পের ছবি মেলায়। শিশুদের বইয়ের অলংকরণের জন্য শিশু-মন বুঝতে পারা জরুরি।’
তুরি বলল, ‘আমি চেষ্টা করেছি।’
‘তোমার আঁকা ছবিগুলো হয়েছে অসাধারণ। অসম্ভব সুন্দর। তুমি কি মাইন্ড রিড করতে পারো? লেখার সময় যেমন ভেবেছিলাম একদম সেভাবেই এঁকেছ। কেমন করে বুঝলে তুমি, যে আমি ঠিক এটাই ভেবেছি?’
‘আপনার লেখা পড়লে মনে হয় ঘটনা সামনে ঘটছে। সবকিছু জীবন্ত। ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছিলাম।’
‘খুব খুশি হয়েছি। এসো আমরা আমাদের এই আনন্দ সেলিব্রেট করি। তোমাকে স্পেশাল কফি খাওয়াই। দ্য মোস্ট এক্সপেন্সিভ কফি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। কোপি লুয়াক। এই কফির পেছনে ঘটনা আছে। সেই ঘটনা তোমাকে আরেকদিন বলব।’
ইউসুফকে ডেকে স্পেশাল কফির কথা বললাম। ইউসুফ সম্পাদকের পিয়ন। চা-কফি বানায়। কাগজপত্র আনানেওয়া, ফটোকপি করা ইত্যাদি কাজ ইউসুফ করে।
তুরি বলল, ‘ছবি আঁকা এখন আমার পেশা বলতে পারেন। টুকটাক লেখার চেষ্টা করি। সেটা নেশা।’
আগ্রহ বোধ করলাম। জিগ্যেস করলাম, ‘তুমি লেখো?’
‘একটা লেখা শুরু করেছি। অনেকটা নিজেকে নিয়ে। বলতে পারেন একেবারে আমার নিজের কথা।’
‘বাড়িতে কে কে আছেন?’
‘শ্বশুরবাড়িতে থাকি। বেশিদিন হয়নি আমার বিয়ে হয়েছে। আমি, আমার বর আর শাশুড়ি।’
‘তোমার হাজবেন্ড কী করে?’
‘সে হাউজ হাজবেন্ড। শাশুড়ির বাড়ি আছে। সেটার ভাড়া দিয়ে সংসার চলে।’
কিছু ভাবছিলাম হয়তো। চুপ করে ছিলাম। তুরি বলল, ‘আমার লেখা নোটবুক রেখে যাচ্ছি। আপনি পড়বেন। আমার জীবনকথা দিয়ে কীভাবে উপন্যাস লেখা যেতে পারে পড়ে বলবেন।’
‘দেখো মেয়ে, তোমার ভাবনা অন্যকেউ স্পর্শ করতে পারবে না। তুমি লিখলে যতটা জীবন্ত হবে, অন্য কেউ লিখলে সেটা হবে প্রাণহীন, কথার পিঠে কথা সাজানো।’
‘আমাকে শুধু বলবেন লেখাটা সাজাব কেমন করে। শুরুটা কীভাবে করব আর শেষ কোথায় হবে। শেষের কথা আগেই ভাবব কিনা। যদি ভাবি তাহলে সেখানে পৌঁছানোর জন্য কী করতে হবে—এসব।’
অন্যের লেখা পাণ্ডুলিপি কিংবা এমন ভাবনা পড়তে পছন্দ করি না। তবে তুরিকে উপেক্ষা করতে পারলাম না। নোটবুক রেখে দিলাম।

গাড়ির হর্ন বাজছে। তীব্র হর্ন। সবগুলো গাড়ি একসঙ্গে হর্ন দিচ্ছে। আনিস উঠে এসেছে গাড়িতে। গাড়ি ধীরলয়ে চলতে শুরু করেছে।
তীব্র হর্নের আওয়াজ কমে এসেছে। তবে কে কার আগে যেতে পারে এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। তাতে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে না। গাড়ি যাচ্ছে এক লেনে। ওভারটেক করার উপায় নেই।
একসময় গাড়ির হর্নের আওয়াজ থেমে এলো। গাড়ি স্বাভাবিক গতি পেয়েছে। এগিয়ে যাচ্ছে। নিজের ভেতরের অস্থিরতা চলে গেছে। প্রশান্তি বোধ হচ্ছে।
তুরির নোটবুক খুললাম। প্রথম পাতায় পাঁচ লাইনের কবিতা লেখা।

বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ
খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—
সন্ধ্যার নদীর জলে নামে যে আলোক
জোনাকির দেহ হতে—খুঁজেছি তোমারে সেইখানে
ধূসর পেঁচার মতো ডানা মেলে অঘ্রানের অন্ধকারে

পরপর দুবার পড়লাম কবিতাটা। জীবনানন্দ দাশের লেখা। কবিতা নিয়ে কিছু লেখা নেই। তুরি নোটবুকের শুরুতে কেন এই কবিতা লিখল বুঝতে পারছি না।
রাস্তা প্রায় ফাঁকা হয়ে এসেছে। গাড়ির চাপ একদম নেই। দুপাশে শালবন। শালগাছ কেটে বন উজাড় করে ফেলেছে। তবু মাঝেমাঝে ঘন হয়ে আসছে বন। মাথার ভেতর উচ্চারিত হচ্ছে প্রথম লাইন দুটো—

বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ
খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—

ঘুরেফিরে মাথার ভেতর অনুরণিত হয়ে যাচ্ছে। আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে। চোখের পাতা ভারী হয়ে এসেছে। সিটের পেছন দিকে মাথা হেলিয়ে দিলাম। আমিও বুঝি খুঁজে ফিরছি বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত দুই চোখ! যেমন খুঁজে ফিরেছিলেন জীবনানন্দ দাশ। হয়তো তুরিও একইভাবে খুঁজে ফিরছে। কবির মতো খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—। তবে কি তুরিও!
সবকিছু ছাপিয়ে দুটো শব্দ আটকে গেল মাথায়—অঘ্রানের অন্ধকারে! যেখানে থমকে গেছি আমি। হতে পারে তুরিও থেমে আছে আমার মতো অঘ্রানের অন্ধকারে।
আলতোভাবে চোখ বন্ধ করে ফেললাম। রুশিয়ার কথা মনে পড়ছে। আমার কিশোর বেলার প্রেম।

(চলবে)

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ