শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

সন্ধ্যার পর বের হলাম খান এল খলিলি বাজারের উদ্দেশ্যে। আল মাআদি থেকে পঁচিশ-তিরিশ মিনিটের পথ, পৌঁছাতেই যদি রাত আটটা সাড়ে আটটা বেজে যায় তাহলে যে জমজমাট বাজারের কথা শুনে এসেছি তার দেখা পাবো কি না সে ব্যাপারে আমার একটু সন্দেহ ছিল। রানা ভাই আশ্বস্ত করলেন, রাত যত গভীর হবে কায়রোর আড্ডা ততই জমে উঠবে। আজ গাড়িতে চালকের আসনে সৌরভ। রানা ভাই এবং হেনা ছাড়াও আমাদের সঙ্গে আছেন পাইলট রাজি। খান এল খলিলি বাজারের প্রবেশ পথ বাঁ হাতের দিকে রেখে সৌরভ অনেকটা সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে পার্কিংয়ের জায়গা খুঁজতে খুঁজতে আবার প্রবেশ পথের কাছে এসে একটা খালি জায়গা পেয়ে গেল। এখানকার গাড়ি রাখার ব্যবস্থাপনা ঢাকার নিউ মার্কেটের কথা মনে করিয়ে দেয়। তেমনি একজন ইজারাদারের লোক কিংবা স্থানীয় মাস্তানের প্রতিনিধি ডানে-বামে সামনে-পেছনে করে গাড়ি পার্ক করতেও সাহায্য করল। আমরা নেমে বিশাল বড় গেট দিয়ে সাড়ে পাঁচ শ বছর আগের বাণিজ্যিক এলাকায় ঢুকে পড়লাম।

সুলতান সালাহউদ্দিনের শাসনকালেই মিসরের ব্যবসা বাণিজ্য ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেছিল। দেশে বিদেশে আসা যাওয়ার সময় সওদাগরদের পথের পাশে গড়ে উঠেছিল অস্থায়ী সরাইখানা। আরো শ দুয়েক বছর পরে চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতকে মামলুক সুলতানদের আমলে অস্থায়ী সরাইখানাগুলো তুলে এনে আল আযহার মসজিদের পাশের খালি জায়গায় গড়ে তোলা হয় নতুন বাজার ব্যবস্থা, নতুন বাণিজ্য কেন্দ্র। পাথরের তৈরি দ্বিতল ভবনের উপরের তলায় ব্যবসায়ীদের আবাস আর নিচের তলা এবং উঠানে রাখা হতো তাদের মালপত্র। প্রথম মামলুক সুলতান বারকুকের সময়ে সম্পদশালী ব্যবসায়ী যুবরাজ জাহারকাস আল খলিলি এখানে বিশাল এক সরাইখানা গড়ে তোলেন। তার নামেই সম্প্রসারিত বাজার এলাকার নামই হয়ে যায় খান এল খলিলি। এখানে বলে রাখা ভালো, আরবি ভাষায় ‘খান’ অর্থ সরাইখানা বা আবাসিক হোটেল! অর্থাৎ আইয়ুব খান, মোনায়েম খান থেকে শুরু করে শারুখ খান, আমির খান পর্যন্ত খান বংশের সকলেই আসলে একেকটা সরাইখানা! খোদ আরব দেশের ভাষায় যে খান সাহেবদের এমন বেইজ্জতি করা হয়েছে, কায়রোর খান এল খলিলিতে না এলে তা কখনোই জানা হতো না।

বিশাল তোরণের নিচে দিয়ে ভেতরে ঢুকলেও প্রথমে মনে হলো আমরা কী পুরনো ঢাকায় কোনো রাস্তায় ঢুকে পড়েছি! অপ্রশস্ত পথের দুপাশে পুরনো দালান। সড়কজুড়ে তেমন ব্যস্ততা নেই। দোকানগুলোতে বাতি জ্বলছে; কিন্তু আদৌ কোনো বেচা-কেনা চলছে বলে মনে হয় না। যতই সামনে এগোতে থাকি, বাজারের জনসমাগম এবং জৌলুস দুটোই বাড়তে থাকে। প্রথমেই যা দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তা হলো–আট দশজন বয়োবৃদ্ধ মানুষের তুমুল এক আড্ডা। সৌরভ এবং রাজি হাতের বাঁ-পাশের একটা হুক্কা-কলকির দোকানে ঢুকে গেলে রানা ভাই আড্ডাবাজ বৃদ্ধদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। তাদের একজন আমাদের ডেকে বসতে বলেন। যে দুজন বসে ডোমিনো খেলছিলেন তাদের একজন জানতে চান কোন দেশ থেকে এসেছি আমরা। আলাপ পরিচয়ের পরপরই একজন কফি খাবার আমন্ত্রণ জানান। হয়তো আরো কিছুক্ষণ বসলে কফির আমন্ত্রণ রেখেই বেরোনো যেতো। কিন্তু হাতে সময় নেই বলে তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে আমরা একটু এগিয়ে সামনে একটা আলোকোজ্জ্বল দোকানে ঢুকে পড়ি। আসলে দোকানটাই আলোর। সামনে এবং ভেতরে সুদৃশ্য বাতিদান, নকশা কাটা ল্যাম্প শেড, কাচের তৈরি রঙিন টেবল ল্যাম্প সাজানো। জিনস জ্যাকেট পরা হিজাবহীন তরুণী সেলস গার্ল আগ্রহের সঙ্গেই এটা সেটা দেখায়; কিন্তু এসব ভঙুর জিনিস নিয়ে হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি পৌঁছানো যে সম্ভব নয়, তা তাকে কে বোঝাবে!

খানিকটা সামনে এগিয়ে দাঁড়ালাম আলো ঝলমলে একটা তিন রাস্তার মোড়ে। মাঝখানে ছোট্ট সড়ক দ্বীপে গোটা দুই খেজুর গাছের নিচে চেয়ার টেবিল সাজিয়ে চলছে চায়ের আড্ডা। একদিকে বড় একটা রেস্টুরেন্টের গায়ে আরবিতে লেখা কোকাকোলা পেপসির বড় বড় হোর্ডিং। এ পথে এমনিতে যানবাহন চলাচল নিষেধ, তবে ছোট ছোট চার চাকা এবং তিন চাকার ডেলিভারি ভ্যান চলাচলে কোনো মানা নেই। আর মোটর সাইকেল আরোহিদের যাতায়াত বোধহয় সর্বত্র অবাধ। একটু এগিয়ে একটা অলঙ্কারের দোকানে রূপা কিংবা ব্রোঞ্জের মতো ধাতবে বসানো বিচিত্র রঙ রূপ আকৃতির পাথরের অলঙ্কার দেখে চোখ ফেরানো যায় না। রানা ভাই এখান থেকে বেশ কয়েকটা পাথর বসানো আংটি লকেট কিনে ফেললেন।

জনাকীর্ণ গলিপথ, ব্যস্ত রেস্তোরাঁ, মোড়ে মোড়ে মসজিদ আর পথের দুপাশে অগণিত সম্ভারে সাজানো খান এল খলিলি বাজার। এক একটি গলিতে পায়ে চলার পথ ধরে হাঁটতে থাকলে হাজারো পণ্যের চোখ ধাঁধানো প্রদর্শনী যে কোনো বাজার বিলাসী মানুষকে বিভ্রান্ত করবেই। এখানে যা পাওয়া যায় না তেমন কিছু বোধহয় শুধু কায়রো বা মিসরে নয়, এশিয়া বা আফ্রিকার কোনো বাজারেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। রূপার তৈরি ঝকঝকে পানপাত্র, স্টেইন্ড গ্লাসের নানা রকম বাতি, হাতে তৈরি সুদৃশ্য বিভিন্ন সামগ্রী। সোনা রূপা তামা এবং পাথরের অলঙ্কার কিংবা মশলাপাতি, আগরবাতি, ধুপ-ধুনা এবং সুগন্ধি আতর আর তৈজসপত্র, বাসন কোসন, সিরামিক সামগ্রীর বিপুল সমাবেশ সারাদিন ধরে ঘুরেও দেখে শেষ করা সম্ভব নয়।

বাজার জুড়ে প্রত্যেক মহল্লায়, প্রতিটি রাস্তার মোড়েই রয়েছে এক একটি মসজিদ। মসজিদগুলোর খোদাই করা কাঠের দরজা, জাফরি কাটা জানালা, কারুকাজ করা খিলান মিহরাব এবং প্রায় একই ধরনের স্থাপত্যের দীর্ঘ এক বা একাধিক মিনার। রাতের প্রতিটি মিনারে বা গম্বুজে রঙিন আলো ফেলে সৃষ্টি করা হয়েছে চমৎকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। এক জায়গায় এসে দুটি বিভক্ত পথের মাঝখানের একটি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা একই সঙ্গে তিনটি মসজিদের সৌন্দর্য দেখি কিছুক্ষণ। খান এল খলিলি বাজারের বিভিন্ন গলিতে মসজিদের সংখ্যা ডজনখানেকের কম নয়।

রানা ভাইকে পেছনে ফেলে আর একটু এগিয়ে সৌরভ একটা সরবতের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে গেল। তাজা ফলের রস নয়, বরং শুকনো ফলের নির্যাস থেকে তৈরি পানীয় এদের বৈশিষ্ট্য। আমরা গ্লাস হাতে নিয়ে চেখে দেখার আগে তেতুলের শরবত তৈরির কলা-কৌশল দেখলাম। পরিবেশিত শরবত কুশলী শরবতওয়ালার হাতের কারুকাজ এবং মুখের কথার মতো সুস্বাদু না হলেও তেমন সমস্যা ছিল না; কিন্তু হেনা এক চুমুক মুখে দিয়েই বলল, ‘আরশোলার গন্ধ পাচ্ছি। হয় তেতুল কিংবা গ্লাসের উপর আরশোলা হেঁটে গেছে।’ তার ঘ্রাণশক্তি বেশি, আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারিনি। গ্লাসে শেষ চুমুক দিয়ে বললাম, ‘অতিকায় ডাইনোসোর বিলুপ্ত হয়ে গেলেও হাজার বছর ধরে তেলেপোকা ঠিকই টিকে আছে। অতএব শ তিনেক বছরের পুরনো বাজারে আরশোলা থাকতেই পারে।’

আড়াই কিংবা তিন শ বছরের পুরনো রেস্তোরাঁ বা ক্যাফে ছড়িয়ে আছে বাজারের সর্বত্রই। আমরা একটা জনবহুল চওড়া রাস্তা থেকে খিলানযুক্ত প্রবেশ পথ পেরিয়ে এবং কয়েক ধাপ সিঁড়ি ভেঙে ক্রমেই আরো সংকীর্ণ অথচ লোকে লোকারণ্য পথে হাঁটতে থাকি। এখানে দুপাশে কাপড় চোপড়, তৈরি পোশাক, বোরকা-হিজাব, বিছানার চাদর, কুশন কভার এবং কার্পেটের দোকান। রেস্তোরাঁগুলোর বাইরে চেয়ার টেবিল সাজিয়ে চলছে জমজামাট আড্ডা এবং ডোমিনো খেলা। কোথাও কোথাও গিটার বা দলসিমার বাজিয়ে চলছে একক বা মিলিত কণ্ঠে গান এবং তার সঙ্গে মহা হৈ চৈ! আপাদমস্তক বোরকায় ঢাকা, কিংবা হিজাব পরা নারীরা আড্ডায় পিছিয়ে আছে বলে মনে হয় না। তাদের ডোমিনো খেলতে বা হৈ হৈ করে আড্ডা দিতে দেখিনি, কিন্তু চার পাঁচজন এক সঙ্গে বসে দিব্যি ‘শিশা’ নামে পরিচিত নলওয়ালা হুঁকা টানছে। এতে মসজিদ ভারাক্রান্ত খান এল খলিলি কিংবা ঈজিপশিয়ান ইসলামের কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হয়েছে বলেও মনে হয় না। সরু গলি পথে হাঁতে হাঁটতে যেখানে এক জায়গায় টেবিল ঘিরে পাঁচ সাতজনের একটা দল বেহালা বাজিয়ে গান গাইছেন আর আমি ভাবছি এখানে মিউজিকসহ ভিডিও রেকর্ড করতে পারলে ভালো হতো, তখনই সৌরভ বললো এই সেই বিখ্যাত এল ফিসাবি। নাগিব মাহফুজের ক্যাফে!

এল ফিসাবি যাত্রা শুরু করেছিল এখন থেকে সোয়া দুই শ বছর আগে ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে। আসবাবপত্র বা পরিবেশন রীতি কিছুটা বদলে গেলেও পুরনো হলদে রঙের দেয়াল, ছোট ছোট টেবিল এবং উঁচু সিলিং থেকে ঝোলানো বাতি দেখে মনে হয় প্রাচীন এই রেস্তোরাঁর আসলে তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। দুই শতাব্দীর বেশি সময় ধরে মিসরের কবি সাহিত্যিক, শিল্পী, সঙ্গীতজ্ঞ এবং বুদ্ধিজীবীদের নিয়মিত সমাবেশের এই জায়গাটি সাধারণ মানুষের কাছে কেবলই একটি চা কফির দোকান হলেও প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই অপরিসর রেস্তোরাঁ একটি অন্তরঙ্গ মিলনক্ষেত্র। সন্ধ্যার এ সময়টা বাইরে ভেতরে প্রায় পুরো ক্যাফেতেই কোনো আসন খালি নেই। তারপরেও আমরা কেমন করে যেনো দুটো কাছাকাছি টেবিলে পাঁচজনই বসার জায়গা পেয়ে গেলাম। সৌরভ এখানকার বিখ্যাত চায়ের কথা বলে আরবিতে কিছু ইংরেজি মিশিয়ে অর্ডার দেবার পরে আমি প্রথমেই নোবেল বিজয়ী মিসরীয় লেখক নাগিব মাহফুজের স্মৃতি জড়িত সংরক্ষিত কক্ষটি দেখতে যাই।

শুনেছি নাগিব তাঁর কায়রো ট্রিলজির অনেকটাই এল ফিসাবির এই কক্ষে বসেই লিখেছিলেন। অপরিসর ঘরটির একদিকে দেয়ালে বিশাল ফ্রেমে বাধানো আয়না, বিপরীত দিকে কাঠের কারুকাজ করা দেয়াল এবং তাকে সাদা কালো বা রঙিন ছবি। এসব ছবিতে নাগিব মাহফুজের সঙ্গে বিভিন্ন জনের যুগল বা দলগত উপস্থিতি। মাথার উপরে ঝুলছে পুরনো আমলের নকশা কাটা কাচের মাঝারি ধরনের ঝাড় বাতি। প্রবেশ পথের বিপরীত দিকের দেয়ালের দুদিকে দুটি ছোট আলমারি বা তাকের মতো কিছু একটা ছাড়াও কতগুলো বাধানো ছবির নিচে ঝুলছে আরবি ও ইংরেজিতে লেখা ‘এল ফিসাবি’। এখানেও নাগিব মাহফুজের একক কোনো আলোকচিত্র নেই। একটা তাকের উপরে কতগুলো জায়নামাজ স্তূপ করে রাখা। বিশ্বখ্যাত নোবেল বিজয়ী লেখকের স্মৃতিধন্য পুরো ঘরটা অগোছালো এবং খুব একটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও বলা যাবে না। ‘এল ফিসাবি’র প্রতিষ্ঠাতার সপ্তম প্রজন্ম আকরাম আল ফিসাবি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা নতুন করে সাজাতে চাই না, কারণ আমরা রেস্তোরাঁ না, একটা ঐতিহ্য সংরক্ষণ করছি। নিয়মিত যারা এখানে আসেন, তারাও চান এটি যেমন আছে তেমনই থাকুক।’ আকরাম সাহেবের কথায় হয়তো যুক্তি আছে; কিন্তু তার মানে এ নয় যে, কিছুটা সাজিয়ে-গুছিয়ে সাফ সুতরো রাখলেই ঐতিহ্য খসে পড়বে!

বাইরে আড্ডা থেকে বেহালার সঙ্গে জোরালো কণ্ঠ সঙ্গীতের আওয়াজ ভেসে আসে। আমি নাগিব মাহফুজের কক্ষ থেকে বেরিয়ে দ্রুত বেহালাবাদক এবং তার দলের ছবি তুলতে যাই। বাইরে বসলেও এই আড্ডাটা ঘিরে রয়েছে নকশা কাটা কাঠের বেষ্টনী। ছবি তোলার ব্যাপারে আমার একটু দ্বিধা ছিল, কেউ যদি আপত্তি করে! কিন্তু ইশারায় ক্যামেরা দেখাবার পরে দুজন উঠে দাঁড়িয়ে মাথার উপরে দুই হাত তুলে গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন শুরু করলেন। ছবি তুলে ফিরে এসে দেখলাম গাঢ় নীল টি-শার্ট পরা বয়সী পরিবেশক ইতিমধ্যেই টেবিলে চা নামিয়ে দিয়ে গেছে। পুদিনা পাতা দেওয়া মিন্ট-টি এবং চায়ের মধ্যে সেদ্ধ ছোলা দেয়া বিশেষ ধরনের ভেষজ চা। ছোট ছোট স্বচ্ছ কাপে পরিবেশিত চা থেকে চামচ দিয়ে ছোলা তুলে খাবার ব্যবস্থা আছে।

ছোলা-চা খেতে খেতেই একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম–এখানে রেস্তোরাঁ বা কফিশপের ভেতরে ফেরিওয়ালা অথবা কোনো সাহায্য প্রার্থী অবাধে ঢুকে পড়তে পড়তে পারে। প্রথমে ক্যালিগ্রাফি করা রুমাল নিয়ে একজন এবং তারপরে এলেন তসবিহর ফেরিওয়ালি। দুজন বিক্রেতাকে ফিরিয়ে দিলেও শেষে শিশু সন্তান কোলে কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো মেরুন রঙের বোরকা পরিহিতা সাহায্য প্রার্থীকে রানা ভাই খালি হাতে ফেরাতে পারলেন না।

চা শেষ করে আরও কিছুক্ষণ বসে আমরা যখন বেরোতে যাব, সেই সময় আমাদের জানালার ঠিক বাইরে নতুন করে আরেকটা আড্ডা শুরু হলো। এবার গিটার হাতে কয়েকজন জন তরুণ শুরু করলেন সমবেত কণ্ঠে জমাট আরবি গান। গানের শেষটা না শুনে শতবর্ষের বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা, রাজনৈতিক বিতর্ক ও লেখক কবিদের অন্তরঙ্গ কথপোকথনের কেন্দ্র এবং নিঃসঙ্গ লেখকের চেয়ার টেবিল পেছনে ফেলে আমরা সরু গলিপথ ধরে বাইরে বেরিয়ে এলাম।

(চলবে)

এসএ/

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি