শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিরে পড়া ছোটবেলার বই

বই আমার প্রিয়তম শেষ আশ্রয়, জগৎ যখন শূন্য হয়ে যায় তখনও তার বুক থাকে পূর্ণ।

বয়সে বড় হয়ে গেলেও, কিংবা বয়স বেড়ে গেছে বলেই হয়তো এখনো আমি ছোটদের বই পড়ি। ছোটদের বই মানে ছোটদের জন্য লেখা বই, যদিও ওগুলো আদৌ ছোটদের জন্য লেখা কি না, নাকি বড়দের জন্যই, সে প্রশ্ন জাগে মনে মাঝে-মধ্যেই। কারণ এসব বইয়ে এমন কিছু বিষয় থাকে, যা বড়দেরই বোঝার কথা, ছোটদের নয়। অবশ্য কথাটা এভাবে বলাও যায় না, বড়রা ছোটদের চেয়ে বেশি বোঝে এমন কোনো প্রমাণ আসলে নেই। ছোটদের জগৎটা আলাদা, তাদের বোঝা-পড়ার ধরন আলাদা, আলাদা মানে তো এই নয় যে, তারা কম বোঝে! বরং ব্যাপারটা এইরকম যে, তারা একভাবে বোঝে, বড়রা অন্যভাবে।

ছোটরা বোঝাপড়ার জন্য নিজেদের কল্পনার রং অবাধে মিশিয়ে নেয়, বড়দের কল্পনার জগৎ যেহেতু বাস্তবতার আঘাতে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু ও ক্ষুদ্র হয়ে আসে তাই তারা ততটা রং মেশাতে পারে না। যেমন, ধরা যাক, ছোটদের একটা উপন্যাস ছোট্ট রাজপুত্র’র কথা, যেটি লিখেছিলেন অঁতোয়ান দ্য স্যাঁৎ-একজ্যুপেরি (Antoine de Saint-Exupéry), আজ থেকে প্রায় আশি বছর আগে। এই উপন্যাসে ভিন্ন এক গ্রহ বা গ্রহাণু থেকে ছোট্ট এক রাজপুত্র আসে পৃথিবী ভ্রমণে, তার আগে সে বেড়িয়ে আসে আরো কয়েকটি ছোট ছোট গ্রহ থেকে যেগুলোতে মাত্র একজন করে লোকের বাস। উপন্যাসে ফুল কথা বলে, সাপ কথা বলে, শেয়াল কথা বলে; মোট কথা মানুষ ছাড়াও প্রাণীজগৎ ও জড়জগতের নানা সদস্য কথা বলে। ওই রাজপুত্র অবলীলায় তাদের সঙ্গে কথোপকথন চালিয়ে যায় যেন এটা নিতান্তই মামুলি ব্যাপার। আমরা, মানে বড়রা, যখন ওটা পড়ি তখন মনে হয়, এ নিছক রূপকথা, ওগুলো কি আর সত্যিই কথা বলতে পারে? কিন্তু একজন ক্ষুদে পাঠক কখনো ভাববে না যে, ওরা কথা বলতে পারে না, বরং ভেবে নেবে সত্যিই ওদের ভাষা আছে। ফলে তাদের বোঝার ধরন যে আমাদের চেয়ে অন্যরকম হবে তাতে আর সন্দেহ কী? একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, শিশুরা অনবরত বস্তুজগতের নানান জিনিসের সঙ্গে কথা বলে চলে, বিশেষ করে তাদের খেলনাদের সঙ্গে। কখনো আমার এরকম মনে হয়, ওগুলো কি তাদের ভাষা বোঝে? নইলে এরকম একতরফা আলাপ কতক্ষণ চালিয়ে যাওয়া যায়?

যা বলছিলাম সেই প্রসঙ্গে ফিরি। আমি ছোটদের জন্য লেখা বইগুলো এখনো পড়ি। বলাইবাহুল্য যে, আনন্দ পাওয়ার জন্যই পড়ি, পাইও, প্রভূত আনন্দ পাই, কিন্তু সঙ্গে আরো কিছু পাই। লক্ষ করে দেখি, ছোটবেলায় এই বইটি বা এরকম কোনো বই পড়ে যা মনে হয়েছিল, এখন অন্যরকম মনে হচ্ছে। এই বইয়ের ব্যাখ্যা আমার কাছে পাল্টে যাচ্ছে। এই যে ভিন্ন অর্থ নিয়ে বহুকাল পরে একটি লেখা নতুনরূপে ধরা দেয়, এটাই হলো লেখকের শক্তিমত্তা। এও মনে হয় যে, ছোটদের জন্য যারা লেখেন, তারাই জগতের সবচেয়ে শক্তিমান শিল্পী। কারণ, তাকে ছোটদের মন বুঝতে হয়, ছোটদের ভাষা বুঝতে হয়, ছোটদের কল্পনা বুঝতে হয়, যদিও তিনি নিজে বড় হয়ে গেছেন এবং সম্ভবত ছোটদের মনটি হারিয়ে ফেলেছেন। সত্যিই কি হারিয়েছেন? পড়তে গেলে মনে হয়, তার আসলে দুটো মন, একটি শিশুদের মতো সরল ও কল্পনার রঙে রাঙানো, অন্যটি বড়দের মতো বিদঘুটে।

কোনো-কোনো সময় নতুন কোনো বই পড়তে ইচ্ছে করে না। হয়তো নতুন এক জগৎ ওই বইয়ের ভেতরে অপেক্ষা করে আছে, নতুন কোনো উপলব্ধি, ইঙ্গিত বা ইশারার সঙ্গে হয়তো দেখা হয়ে যাবে ওই বইটি পড়লে, তবু ইচ্ছে করে না। নতুন বইয়ের গন্ধে লোভ সামলাতে না পেরে ভেতরে ঢুকে প্রতারিত হবার অভিজ্ঞতাও তো কম নয়! হয়তো খুব নামিদামি স্বাস্থ্যবান কোনো বই পড়তে পড়তে শেষ পৃষ্ঠায় গিয়ে মনে হয়েছে–যতটা সময় ব্যয় করলাম তা অপচয়ই হয়ে গেল। আবার কোনো কোনো বই পড়তেই পারিনি, মানে পাঠযোগ্যই মনে হয়নি। এরকম অর্ধপঠিত বইয়ের সংখ্যাও কম নয়। তাই নানা কারণে মন যখন বিমূঢ় হয়ে থাকে, কিংবা বিষণ্ন, কিংবা অস্থিরতায় ভুগি, হতবাক হয়ে থাকি কোনো কারণে, তখন নতুন কোনো বই হাতে তুলে নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়। তখন ভালো লাগে পুরনো কোনো প্রিয় বই পড়তে। একজন পাঠক যখন তার পঠিত একটি বই আবার তুলে নেন হাতে, পড়ার জন্য, বুঝে নিতে হয়–ওই বইয়ের ভেতরে এমনকিছু আছে যা তাকে ফিরে যেতে বাধ্য করেছে। ওই ধরনের বই পড়লে হৃদয় এক অনির্বচনীয় অনুভূতিতে ভরে ওঠে, কোমল আর মায়াময় হয়ে ওঠে মন, মানুষকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে, জীবন ও পৃথিবীর দিকে নতুন চোখে তাকাতে ইচ্ছে করে, জগৎকে আরো বেশি বাসযোগ্য মনে হয়। এ এক অপ্রকাশযোগ্য অনুভূতি। একে কেবল আধ্যাত্মিক অনুভূতির সঙ্গে তুলনা করা চলে। কিন্তু মুশকিল হলো- এই বইগুলো ইতিমধ্যেই কয়েকবার পড়া হয়ে গেছে আমার। নানা সময়ে ফিরে ফিরে গেছি তাদের কাছে, ফলে এতটাই পরিচিত তারা যে, কোন পৃষ্ঠায় কী আছে তাও যেন চোখের সামনে ভাসে। আমার সংগ্রহে যে বইগুলো আছে তার মধ্যে ওরকম প্রিয় বইয়ের সংখ্যা কম নয়। আমি যখন ঘুরে ঘুরে ওগুলো দেখতে থাকি, ভাবি হাতে তুলে নেবো কি না, তখন যেন দেখতে পাই কোথাও কোথাও উজ্জ্বল সব পঙক্তি আবেদনময়ীর ভঙ্গিতে শুয়ে আছে বইটির অমুক পাতায়, কোথাও বা বিষণ্ন কোনো পঙক্তি মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে ওইখানে, কোথাও-বা রাগী কোনো পঙক্তি চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। পঙক্তিগুলো যেন রক্তমাংসের মানুষ একেকটা, অনুভূতিময়, প্রকাশোন্মুখ। হ্যাঁ এভাবেই বই পড়ি আমি। এতটা গভীর ভালোবেসে। বই আমার প্রিয়তম শেষ আশ্রয়, জগৎ যখন শূন্য হয়ে যায় তখনও তার বুক থাকে পূর্ণ।

ছোটবেলা থেকে বাছবিচারহীনভাবে বই পড়েছি অনেকগুলো বছর, এবং এভাবে পড়ার একটা সুবিধা পাচ্ছি এই মধ্যবয়সে এসে। পড়তে পড়তে একটা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হয়ে যায় নিজের অজান্তেই, এরপর যে-কোনো লেখা আর পড়ার দায় থাকে না, কোনো-কোনোটি দু-চারপাতা পড়েই রেখে দেয়া যায়। অবশ্য এটা ভালো না খারাপ তা বলা মুশকিল, কিন্তু এ-কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়–এই স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হওয়ার জন্য যে পরিমাণ পড়তে হয় তাতে ওই রেখে দেয়ার অধিকার জন্মে যায় একজন পাঠকের। এবং আরেকটি ব্যাপারও ঘটে, এই যে স্ট্যান্ডার্ড, সেখানে দু-একজন লেখক দাঁড়িয়ে যান, যাঁদেরকে নির্দ্বিধায় পড়া যায়, বারবার ফিরে ফিরে পড়া যায। এই লেখকদের প্রায় সবাই প্রিয় লেখকে পরিণত হন। তার মানে এই নয় যে, এঁদের বাইরে আর কোনো প্রিয় লেখক নেই বা থাকেন না, কিন্তু ওই ফিরে ফিরে পড়ার ব্যাপারটা সবার ক্ষেত্রে ঘটে না। একজন পাঠক যখন তার পঠিত একটি বই আবার তুলে নেন হাতে, পড়ার জন্য, বুঝে নিতে হয়, ওই বইয়ের ভেতরে এমনকিছু আছে যা তাকে ফিরে যেতে বাধ্য করেছে।

কিন্তু কেনইবা পুরনো বই ফিরে ফিরে পড়ি বারবার? হয়তো হাজারটা কারণ বলা যায় এ প্রশ্নের উত্তরে, কিংবা কিছু নাও বলা যায়, পড়তে ভালো লাগে, পড়তে ইচ্ছে করে এই কি যথেষ্ট নয়?

যখন আমার মন খারাপ থাকে বা বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে সমস্ত চিন্তা এবং কল্পনা তখন আমি যে বইগুলো পড়ি সেগুলোর প্রায় সবই ছোটদের বই। যেমন ঠাকুরমার ঝুলি কিংবা রুশদেশের উপকথা’র মতো রূপকথার বই। সুকুমার রায় কিংবা শিবরাম চক্রবর্তীর অতি-অসম্ভব আর অদ্ভুত সুন্দর লেখাগুলো। পেটার বিকসেলের গল্পগুলো। তবে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার পড়া বইটি হলো অঁতোয়ান দ্য স্যাঁৎ-একজ্যুপেরির অনবদ্য উপন্যাস লিটল প্রিন্স বা ছোট্ট রাজপুত্র।

‘ঠাকুরমার ঝুলি’র সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল একেবারে ছোটবেলায়। সেই তখন থেকে শুরু করে কতবার যে পড়া হলো সেটি, ইয়ত্তা নেই। এখনো বাচ্চাদের মতো আনন্দ পাই গল্পগুলো পড়ে। বাস্তবতারিক্ত অধিবাস্তবতা আর জাদুবাস্তবতার কী অসম্ভব সুন্দর আর রঙিন এক জগৎই না নির্মাণ করেছিলেন আমাদের পূর্বসুরিরা, কেবল মুখে মুখে গল্প বলার জন্য! এরপর কী করে যেন পেয়ে গিয়েছিলাম ‘রুশদেশের উপকথা’ নামক এক অপূর্ব-সুন্দর বই। প্রথম দর্শনেই ভালো লেগে গিয়েছিল বইটি। কী সুন্দর কাগজ, ঝকঝকে ছাপা, গল্পের সঙ্গে সুন্দর সুন্দর কত ছবি, ভালো না লেগে উপায় আছে? এর আগে কখনো এমন বই তো দেখিইনি! কীভাবে সেটা বাড়ি পর্যন্ত এসেছিল, কে এনে দিয়েছিলেন, তা আর মনে পড়ে না। তবে বইটি পাওয়ার পর নাওয়া-খাওয়া ভোলার মতো অবস্থা হলো আমার। ওটাও রূপকথার বই, তবে মানুষগুলো একেবারেই অচেনা। যে বরফঢাকা দেশটির গল্প ওটাতে ছিল, সেটিও অচেনা। ঠাকুরমার ঝুলি পড়তে গিয়ে যেমন কাউকে কাউকে প্রায় চেনা মানুষের আদলে ভাবতে পেরেছি, এই বই থেকে তা পারা যাচ্ছে না। এই অচেনা মানুষগুলো কী কী করছে সেই কৌত‚হলে আমি প্রায় উত্তেজনায় কাঁপছি। বলাইবাহুল্য, মানুষগুলো অচেনা হলেও তারা যে সত্যি মানুষ তা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহই ছিল না। ঠাকুরমার ঝুলির সব মানুষকেও সত্যি বলে মনে হতো আমার। এবং রূপকথায় যেমনটি থাকে, মানুষ ছাড়াও অন্য প্রাণীরা–এমনকি বৃক্ষরাও–কথাটথা বলতে পারে, আমার সেটাকেও সত্যি বলেই মনে হতো। তো, ওই রুশদেশের উপকথার ইভান নামের রাজপুত্রটিই আমার ছোটবেলার নায়ক হয়ে ওঠে। আমার প্রথম নায়ক। বলাইবাহুল্য, ইভানের সঙ্গে আমার কোনো মিলই ছিল না, নিজেকে ইভানের জায়গায় কল্পনা করাও ছিল অসম্ভব। কারণ ওই বরফের দেশে, স্লেজগাড়ির দেশে যা যা ঘটে তা আমার দূর কল্পনাতেও ধরা পড়তো না। তবু ইভানকে এত ভালো লেগেছিল কেন? কেন বারবার পড়েছিলাম ইভানের গল্পগুলো? মনে পড়ে না।

সত্যি বলতে কি, রুশদেশের উপকথা পড়ার পর, বিশেষ করে ইভানের সঙ্গে পরিচয় হবার পর, অন্য কোনো রূপকথার বই আমার আর ভালো লাগেনি। অন্য বই যে পড়তাম না তা নয়, তবে বারবার ফিরে যেতাম ওই বইটির কাছে। পড়তাম, পড়তে পড়তে কল্পনায় নিজেকে রাঙিয়ে নিতে চেষ্টা করতাম, আমার নায়ক রাজপুত্র ইভানের সঙ্গে স্লেজগাড়িতে চড়ে হারিয়ে যেতাম বরফ-ঢাকা দেশটির দূর কোনো অচেনা প্রান্তরে। এই কল্পনায় ভরা রূপকথার জগৎটি নিয়ে আমি ভালোই ছিলাম, আনন্দে ছিলাম। এখনো গল্পগুলো পড়লে ছোটবেলার সেই আনন্দের স্মৃতি ফিরে আসে আমার।

আরো কত বইয়ের কথা বলা হলো না! বলবো কখনো, অন্য কোথাও, অন্য কোনো সময়ে।

 

লেখক: কথা সাহিত্যিক

 

 

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি