শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক ভ্রমণ, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা

বেলা বাড়ার সাথে সাথে গিজার পিরামিড ঘিরে পর্যটকের ভিড় বাড়তে থাকে। পার্কিংয়ে জমতে থাকে বিশাল টুরিস্ট বাসের সারি। যন্ত্রচালিত বাস এবং ছোট ছোট গাড়ির ফাঁকে অশ্বচালিত বাহনের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। গিজায় মানুষ গিজগিজ করতে শুরু করলে পিরামিডের এবড়ো থেবড়ো পাথুরে দেয়াল থেকে অতি সাবধানে নেমে আসেন রানা ভাই এবং হেনা।

একটু বেখেয়াল হয়ে পিরামিডের শরীর থেকে গড়িয়ে পড়লে হাড্ডি গুঁড়ো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হতে দেরি হবে না। ওরা দুজন নেমে আসার পর সিলভিয়াকে অনুসরণ করে আমরা আবার কাঠের পাটাতন ধরে হেঁটে একটি তিন রাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়ালাম। এখানে দাঁড়িয়ে গিজার গ্রেট মিরামিড পুরোটা দেখা যায়। সামনের পিচঢালা পথ ধরে বিরতিহীনভাবে চলছে মাইক্রোবাস, ট্যাক্সি এবং ঘোড়ার গাড়ি। রাস্তার নিচে বালিতে ‘টুরিস্ট পুলিশ’ লেখা সাদা একটা জিপ দাঁড়িয়ে থাকলেও আশপাশে কোনো পুলিশ দেখা গেল না। হয়তো তারা কাছেই কোথাও আড্ডা দিচ্ছেন।

আমরা যখন তে-মাথায় ঘুরে ফিরে ছবি তুলছি, তখন পাশ দিয়ে যাবার সময় টাঙ্গাওয়ালা গতি কমিয়ে কী যেন জিজ্ঞেস করে গেল, উত্তর দিল সিলভিয়া। বুঝলাম, কাছাকাছি অন্য কোনো গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার আহবান ছিল তার, কিন্তু সিলভিয়ার কথা শুনে হাতের চাবুকে শব্দ তুলে ঘোড়া হাঁকিয়ে চলে গেল। ঠিক এই সময় গাড়িসহ এসে হাজির হলো বাসাম। গাইড জানালো, এবারে আমরা যাচ্ছি প্যানোরমা পয়েন্টে। ক্রমেই গিজার গ্রেট পিরামিড থেকে দূরে সরে যাচ্ছি আমরা এবং যতো দূরে যাই ততোই পিরামিডের নান্দনিক সৌন্দর্য দৃশ্যমান হয়ে উঠতে থাকে। সিলভিয়া বলেছিল বেশ কয়েকটি নির্বাচিত জায়গা থেকে পিরামিড সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। স্বাভাবিকভাবেই সেইসব স্পট যথেষ্ট বিস্তৃত হলেও পর্যটক বা ছবি শিকারিদের কারণে দাঁড়াবার জায়গা পাওয়াই কঠিন। আমাদের অবশ্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হলো না। আট দশজনের একটা দল জায়গা ছাড়ার পরে দূরে থেকে দেখা হলো দূরের পিরামিড।

বিস্তৃত মরুভূমির বালিতে সকালের ঝলমলে রোদে অনেক দূরের তিনটি পিরামিড তাদের বিস্মৃত প্রায় ইতিহাসের আদিম গৌরব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আসলে যে কোনো বড় জিনিস, প্রকৃতির বিশাল বিন্যাস, কোনো স্থাপনা এমনকি কোনো বড় মাপের মানুষকে নির্ধারিত দূরত্ব থেকেই সবচেয়ে ভালো দেখা যায়। দূরের দৃষ্টি নন্দন পিরামিড দেখে আমার ভ্রাম্যমাণ পাদাবলী থেকে কয়েকটি লাইন মনে পড়ে যায়। ‘দূরের পাহাড় জুড়ে কে যেনো বিছিয়ে রাখে সবুজ মখমল/কাছে গেলে কাঁটা বেঁধে–চোখে পড়ে গুল্ম লতা মাটি ও পাথর/পাহাড় দূরেই ভালো–কাছে এসে তাই আমি বাঁধি নাই ঘর।’ পাহাড়ের মতো পিরামিডও দূর থেকে দেখাই ভালো। স্থাপত্যশিল্পের এই অনন্য নিদর্শন দেখতে হলে তার কাছে যাওয়ার, অমসৃণ পাথর ছুঁয়ে দেখার, শরীর বেয়ে আরোহণ করার দরকার নেই।

প্যানোরমা পয়েন্টে পিরামিডের পটভূমিতে আমরা বেশ কিছুক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে বসে যৌথ এবং এককভাবে ছবি তুললাম। দেখা গেল স্থিরচিত্রে স্থায়ী হবার বাসনায় কেউ কারো চেয়ে কম নয়। আমাদের সাথে সিলভিয়া এবং বাসামও ছবি তুলতে দাঁড়িয়ে গেল। প্যানোরমার ভিউয়িং পয়েন্টের ঠিক বিপরীত দিকে অস্থায়ী চালাঘর তুলে স্মারক সামগ্রীর বেচা-কেনার বাজার বসেছে। যেখানে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আসা যাওয়া, সেখানে সেদেশের জিনিসপত্র এবং স্যুভেনিয়ারের বাণিজ্য থাকবে এবং সেটাই স্বাভাবিক। নীল, ধূসর কিংবা সাদা পাথরের পিরামিডের সেট, দ্বিতীয় রামসেস এবং নেফারতিতি বা অন্য কোনো ফারাও সম্রাটের ধাতব ও সিরামিকের ছোট ছোট মূর্তি, প্যাপিরাসের পাতায় স্থানীয় শিল্পীদের হাতে আঁকা প্রত্নতাত্ত্বিক মিসরের গুহাচিত্রের নানা দৃশ্যের রঙিন ছবির পসরা সাজানো আকর্ষণীয় সুভেনিয়ার সংগ্রহের প্রলোভন সযত্নে এড়িয়ে আবার গাড়িতে উঠে বসি। এবারে গন্তব্য মরু প্রান্তরে ছড়িয়ে থাকা ওপেন এয়ার এক্সিবিশন।

গিজার পিরামিড থেকে বেশখানিটা দূরে দূরে বিস্তৃত মালভূমি এলাকাজুড়ে এই প্রথমবারের মতো একটি উন্মুক্ত শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। মিসরের পর্যটন ও পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে শিল্প ও ঐতিহ্যের মিসরীয় সংস্থা ‘আর্ট ডি ইজিপ্ট’। যথারীতি ইওনেস্কোও তার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বছর খানেকের প্রস্তুতির পর ‘ফর এভার ইজ নাউ’ শিরোনামে মিসরের এই আন্তর্জাতিক ওপেন এয়ার আর্ট এগজিবিশনে স্থান পেয়েছে দেশি বিদেশি দশজন শিল্পী ও ভাস্করের স্থাপনা। আমরা এক একটি শিল্প-স্থাপনা হাতের বামে রেখে সামনে এগোতে থাকি। প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে যেখানে প্রথম যাত্রা বিরতি দিয়েছি সেটি ইতালির শিল্পী লরেঞ্জো কুইনের ভাস্কর্য ‘টুগেদার’। দশটির মধ্যে ছয়টি ভাস্কর্য দেখে ফেলার পরে মনে হয়েছে এটিই আমার দেখা সবচেয়ে ভালো লাগা শিল্পকর্ম। পিরামিডের আকারে যুক্ত করা দুটি হাতের ভেতর দিয়ে অনেক দূরে দৃশ্যমান গিজার তিনটি পিরামিড। স্টেইনলেস স্টিলের তার ব্যবহার করে ৩৬ হাজার পয়েন্টে ওয়েল্ডিং করে জোড়া দিয়ে নয় মাস ধরে তৈরি ভাস্কর্যটি নিঃসন্দেহে একটি সুদৃশ্য শৈল্পিক সৃষ্টি।

এ ছাড়া আমাদের দেখা সেরা কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে মিসরীয় শিল্পী মোয়াতাজ নাসেরের ১৪ মিটার লম্বা নৌকার আকৃতির আকৃতি এবং অনেকগুলো বৈঠাকে আড়াআড়ি সাজিয়ে নিচের ত্রিভুজের ভেতর দিয়ে পিরামিড অবলোকন ‘বারজাখ’। এখানে সামনে থেকে দেখার পরে উল্টো দিক থেকে দেখার জন্যে আমি স্থাপনাটি ঘিরে রাখা রেলিং অতিক্রম করে উন্মুক্ত বালির চত্বরে হাঁটতে থাকি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কিশোর বয়সী একজন স্বেচ্ছাসেবক এসে বিনয়ের সাথে জানায়, ‘বালির উপরে হাঁটাচলা করা নিষেধ।’ নিষেধাজ্ঞা শিরোধার্য করে আমরা এসে গাড়িতে উঠে পড়ি। সময়ের কারণে সবগুলো স্থাপনা দেখা সম্ভব না হলেও মিসরের শিল্পী মোতাজ নাসেরের ‘বারজাখ’ এবং ইউক্রেনের আলেক্সান্দার পোনোমারেভের ‘ওরোবোরোস’ স্থাপনা দুটিও ভালো লেগেছে, আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার বিষয় ছিল এই পুরো পরিকল্পনা।

‘আর্ট ডি ইজিপ্ট’এর প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী নাদিন আবদেল গাফ্ফার বলেছেন, এই প্রদর্শনী প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতা ও সমসাময়িক বিশ্বের শিল্প চর্চার এক ঐতিহাসিক মেলবন্ধন। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের মধ্যে সৌহার্দ্য বা অভিজ্ঞতা বিনিময়ই শুধু নয় বরং পৃথিবীর সংকটকালে আমরা সবার কাছে শান্তি মানবতা ও আশার বাণী পৌঁছে দিতে চাই।’ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে, ‘আর্ট ডি ইজিপ্ট’এর প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক, শিল্পী এবং নির্বাহীদের সকলেই নারী। সৌরভ এই প্রদর্শনীর ব্যাপারে আগে থেকে না জানালে এই অভিনব শিল্পকর্ম দেখার বিরল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতাম এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই আয়োজক এবং শিল্পীদের সাথে ধন্যবাদ সৌরভেরও প্রাপ্য।

সমসাময়িক শিল্পের জগৎ থেকে আমরা আবার সাড়ে চার হাজার বছর আগে ফিরে যাই। হাতের ডান দিকে পিরামিডগুলো রেখে আমাদের লাল গাড়ি গিজা নেক্রোপলিসের গ্রেট স্ফিংসের পথে ছুটতে থকে। চলার পথে পিরামিডের পটভূমিতে প্রতি মুহূর্তে দৃশ্য বদলে যায়। দূরে বালির পাহাড় ডিঙ্গিয়ে একদল উট জোর কদমে ছুটে যাচ্ছে, একটি টাঙ্গার ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে একটি বিদেশি যুগল, পিরামিডে চূড়া পারস্পেক্টিভের কারসাজিতে পর্যটকের হাতের তালুতে স্পর্শ করিয়ে ছবি তুলছে স্থানীয় ফটোগ্রাফার, কক্সবাজারের সমুদ্র তীরে যেমন রঙিন ছাতার নিচে অগণিত পর্যটক শুয়ে বসে থাকেন, তেমনি পিরামিড পেছনে রেখে প্রান্তর জুড়ে সাদা ছাতার নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সময় কাটাচ্ছে বিলাসী টুরিস্ট। তবে এখানে প্রায় প্রত্যেক ছাতার কাছাকাছি হাঁটু মুড়ে বসে আছে একটা বা দুটো উট।
স্ফিংসের কাছাকাছি ভিউ পয়েন্টে আমরা নেমে পড়লে একটু দূরে রাস্তার উপরেই গাড়ি নিয়ে দাঁড়ায় বাসাম। মানুষের মাথা এবং সিংহের দেহ বিশিষ্ট চুনাপাথরের পৌরাণিক প্রাণি স্ফিংসের নির্মাণকাল সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকলেও সাধারণ ধারণা ফারাও সম্রাট খুফুর পুত্র খাফরের রাজত্বকালে অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দের কাছাকাছি কোনো এক সময় কঠিন শিলার স্তরে নির্মিত হয়েছিল এই বিশাল মূর্তি।

সকালের সূর্য প্রণামের উদ্দেশ্যে স্ফিংসের মুখ পূর্ব দিকে বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা। সামনে অথবা ডাইনে বাঁয়ে অনেক দূর পর্যন্ত দাঁড়ালে পেছনে সার্বক্ষণিকভাবে দৃশ্যামান গিজার গ্রেট পিরামিড। সন্ধ্যায় স্ফিংসের মুখোমুখি বসে দর্শকদের জন্য লাইট এ্যান্ড সাউন্ড শোর ব্যবস্থা আছে। সময় করে মাত্র ৪০ ডলারের টিকেট কিনে রাতের রঙিন আলোয় পিরামিড এবং স্ফিংসের সৌন্দর্য ও ইতিহাসের ধারা বিবরণী শোনা যেতো, কিন্তু সময়টাই শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেনি।

প্রত্নতত্ত্ববিদ পণ্ডিতদের অনেকেই বলে থাকেন স্ফিংসের মুখে ঠিক যেনো খাফরের চেহারা কেটে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। তা তো হতেই পারে। সম্রাট সেকালের সব স্থপতি, পুরকৌশলী, রাজমিস্ত্রি এবং শ্রমিক যোগাড় করে, তাদের খাইয়ে পরিয়ে, হাতে হাতুড়ি ছেনি তুলে দিয়ে নিজের চেহারাই তো ফটিয়ে তুলতে বলবেন। সেই কারণে ২৫৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রাজত্ব শেষ হয়ে গেলেও স্ফিংস দেখতে এসে অন্তত একবার হলেও মহামহিম খাফরের নাম নিতে হচ্ছে। তবে সাম্রাট বাহাদুরের নাকটা কেমন করে যেনো ভেঙে পড়েছে। তবে এটা নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গের মতো কোনো ব্যাপার নিশ্চয়ই নয়। সাড়ে চার হাজার বছর পরে সম্রাটের মুণ্ডু যথাস্থানে আছে এবং সিংহের থাবা ও লেজ যে খসে পড়েনি, এই তো যথেষ্ট।

আমরা ব্যস্ত রাস্তার পাশে স্ফিংসের স্থাপনা ঘিরে গড়ে তোলা পাথরের দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ করেই স্কুলের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী ছবি তোলার জন্যে হেনাকে ঘিরে ধরল। ছবি তোলার পরে কিছুটা নিচে নেমে ভিন্ন একটা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চেষ্টা করলাম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এই ভাস্কর্য। স্ফিংসের সামনের প্রান্তর জুড়ে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, ছবি তুলছে আবার অল্প দু-চারজন আর্ট এগজিবিশনের স্থাপনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী গিলেসা কোনোলের শিল্পকর্ম ‘ইটারনিটি নাউ’ দেখছেন। এই স্থাপনাটি সম্পর্কে বলা হয়েছে এটি অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সময়হীন মুহূর্তকে মূর্ত করে তুলে সাড়ে চার হাজার বছরের ইতিহাসের সাথে একীভূত হয়ে গেছে। বিবরণীতে যাই লেখা হোক, শিল্পকর্মটির মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝিনি এবং এটি দেখতেও তেমন আহামরি কিছু মনে হয়নি।

আরও অনেকটা পথ হেঁটে সিঁড়ি ভেঙে পুরো স্ফিংস চত্বর না ঘুরে শক্তি এবং সময় বাঁচিয়ে আমার আবার বাসামের গাড়িতে উঠে পড়ি। সাক্কারার পথে গিজা থেকে বেরিয়ে পথের দুপাশে চোখে পড়ে সবুজ গাছপালা কিংবা একটুকরো বাগানে ঘেরা বাড়ি, স্কুল, মসজিদ অথবা দেয়াল দিয়ে ঘেরা কোনো কারখানা। কোথাও কোথাও অসমাপ্ত ভবনের র্নিমাণ কাজ চলছে। তবে বসতবাড়ি কিংবা অন্য যে কোনো দুটি স্থাপনার মাঝখানের খালি জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ সাতটা খেজুর গাছ। পথে ছোট ছোট ফসলের ক্ষেত এবং ক্ষেতের পাশে খেজুর পাতায় ছাওয়া ঝুপড়ি ঘর পেরিয়ে সাক্কারার দূরত্ব কমতে থাকলে খেজুর গাছের সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রথমে যা খেজুরের বাগান মনে হয়েছিল, তা এক সময় খেজুরের বনের মতো মনে হয়। অবশ্য খেজুরের ঘন বনও এক সময় উধাও হয়ে যায়, তার পরিবর্তে স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে মরুভূমির দৃশ্য। গিজা থেকে সাক্কারার পঁচিশ কিলোমিটার পথের শেষ দিকে এসে আমরা দুপাশের বালিয়াড়ির মাঝখান দিয়ে কিছুটা উঁচু-নিচু পথ পাড়ি দিয়ে আবার উপরে উঠতে থাকি। পর্যটকের চোখে মরুভূমিকে তার প্রকৃত রূপে তুলে ধরতেই বোধহয় এখানে বালির সমুদ্রের মধ্যে কোথাও কোথাও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে দুই একটা খেজুর গাছ।

(চলবে)

এসএ/

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad
Header Ad

দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক, যা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল)-এর একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন—সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার থারিন্ডু আবেরত্না, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।

এএনএফআরইএল হচ্ছে এশিয়ার একটি নির্বাচনভিত্তিক নাগরিক সংগঠন, যারা বিগত দুই দশক ধরে সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।

সাক্ষাতে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে তাদের চলমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত করে। তারা জানান, বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও নাগরিকচালিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজন নির্ধারণমূলক কর্মকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন, যা দেশের সুশীল সমাজের কার্যকর সম্পৃক্ততা ও নির্বাচনের স্বচ্ছতা বাড়াতে সহায়ক হবে।

প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ভারত দাবি করছে—বাংলাদেশ নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে, এ দেশ আর টিকে নেই। এসব বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই, এটি দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

শনিবার দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জিয়া পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা ও আত্মপরিচয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন। সেই পথেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আজও জনগণের দল হিসেবে টিকে আছে। বিএনপি এমন একটি দল, যাকে কোনো ষড়যন্ত্র দিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না।

ভারতকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, তারা চায় এই দেশ ভারতের অনুগত হয়ে থাকুক। তাই তারা একটি তাবেদার রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছে। শেখ হাসিনার মাধ্যমে তারা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের ছত্রছায়ায় এই সরকার গুম, খুন, দমন-পীড়নের রাজনীতি চালিয়ে গেছে। সেই শাসনব্যবস্থাকে রক্ষা করতে ভারত মদত দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন—ভারতকে যা দিয়েছেন, তারা তা সারা জীবন মনে রাখবে। জনগণ এখন সেই কথার অর্থ বুঝতে পেরেছে। দেশের সম্পদ লুটপাট, টাকা পাচার, বিরোধীদের দমন—সবই করা হয়েছে ভারতের আশীর্বাদে। এখন ভারত তাদের সহানুভূতি দেখাচ্ছে, কারণ তারা চায় বাংলাদেশকে নিজেদের প্রভাবাধীন রাখতেই।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নাটোর জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরি স্বপন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. শফিকুল ইসলাম।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। আরও বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব, নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব মো. আসাদুজ্জামান আসাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বিদেশি প্রভাবের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন ভূঞাপুর ছাড়াও আশপাশের গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার অসংখ্য মানুষ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটি বর্তমানে নিজেই এক অসুস্থ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।

বছরের পর বছর ধরে চলে আসা নানা অব্যবস্থাপনা, জনবল ও যন্ত্রপাতির ঘাটতি এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ—সব মিলিয়ে এই সরকারি হাসপাতালটি এখন রোগীদের ভোগান্তির আরেক নাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতর ও বাইরের পরিবেশ একেবারেই নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ, যা রোগী ও তাদের স্বজনদের দীর্ঘ সময় ধরে সইতে হচ্ছে। বিশেষ করে টয়লেটের অবস্থা ভয়াবহ; অধিকাংশ টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য এবং পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থাই নেই। পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড উভয়ের রোগীরা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতাল কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায়। হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও তা চালু করা হয় না এবং সেটিও বহু পুরনো। হাতে গোনা কয়েকটি চার্জিং বাল্ব থাকলেও সেগুলোর অনেকগুলোর আলো টিকেই না, কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যায়। শিশু ওয়ার্ডের (ডায়রিয়া) মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চার্জিং বাল্ব পর্যন্ত নেই। ফলে রাতের বেলায় এক ভয়ংকর ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আলো না থাকায় নার্সদের মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে দেখা গেছে।

চরম গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা। শিশু ওয়ার্ডে থাকা আটটি ফ্যানের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ নষ্ট, আর যেগুলো সচল রয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলোও চলে না। ফলে শিশু রোগীরা ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে, তাদের স্বজনরা হাতপাখা বা চার্জার ফ্যান নিয়ে চেষ্টা করছেন কিছুটা স্বস্তি দিতে।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করে দেখা যায়, মেঝেতে ময়লার দাগ, দেয়ালে থুতু, কফ ও পানের পিকের ছিটা। শয্যা ও ওষুধ রাখার ট্রেগুলোতেও দেখা গেছে মরিচা ও জমে থাকা ময়লা। এসব স্থানে মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে অবলীলায়, যা পুরো হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

এমন পরিবেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, যিনি হাসপাতালের বারান্দায় ফ্যানহীন পরিবেশে ভর্তি রয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ার পরও কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগিতা নিয়েও তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিন মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোজিনা বেগম বলেন, টয়লেটের অবস্থার কারণে তিনি পানি ও খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, যেন টয়লেট ব্যবহার না করতে হয়। টয়লেটে ঢোকা তো দূরের কথা, পাশে দাঁড়ানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে।

গোপালপুর উপজেলার বড়শিলা গ্রামের রোগীর স্বজন সাজেদা বেগম বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কোনো অভিযোগ করার সুযোগ নেই, আর কেউ কিছু বললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

স্থানীয়দের দাবি, ২০২২ সালে ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নার্স জানান, ডা. সোবহান কর্তৃত্ববাদী মনোভাব পোষণ করেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো অভিযোগকারীরা বদলি বা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

তবে আরএমও ডা. খাদেমুল ইসলাম বলেন, “সমস্যা যে নেই, সেটা বলছি না। তবুও আমরা সীমিত জনবল ও সামর্থ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শতভাগ কাজ সম্ভব হয় না।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, “জেনারেটর থাকলেও সেটি চালাতে সরকারি বরাদ্দ নেই। মাঝেমধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালানো হয়। ক্লিনার মাত্র একজন, মাঝে মাঝে বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে পরিষ্কার করাতে হয়। আর ফ্যান বা লাইট যেকোনো সময় নষ্ট হতে পারে, যখন জানা যায়, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” বীর মুক্তিযোদ্ধার বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কেভিনের ব্যবস্থা রয়েছে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সার্বিকভাবে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা যে ভয়াবহ নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তা এই চিত্রগুলো স্পষ্ট করে দেয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ নজরদারি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে, এই হাসপাতাল রোগীদের সুস্থতার জায়গা হয়ে না থেকে এক ভয়াবহ দুর্ভোগের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত