শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪২

নেই দেশের নাগরিক

‘পারলে তুমিই কিছু করতে পারবে, বাপ। খোদার দোহাই, একবার দেখ না, আমার বাপ-মা মরা মেয়েটি কোথায় আছে।’ সাদ্দামের পায়ের কাছে হুটরে পড়েন বৃদ্ধা। সাদ্দাম, আশস্ত করে বলে, ‘ফুপু, চোখের পানি মুছেন। আমি কালকের মধ্যেই সুমির খোঁজ নিচ্ছি।’ মাতব্বরের মতো দায়িত্ব নিয়ে বলল সাদ্দাম। যদিও সে জানে, এসব ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। ফাঁপা বাঁশে ফুঁ দেওয়া মাত্র।

সুমি যাদের খপ্পরে পড়েছে, তাদের ডেরা থেকে স্বয়ং যমও তাকে উদ্ধার করে আনতে পারবে না। তার ঠিকানা এতক্ষণে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কোন নিষিদ্ধপল্লী। এতক্ষণে হয়ত নেকড়ে পুরুষদের খপ্পরে পড়েও গেছে। সাদ্দাম, আর বেশি কিছু বলল না। বৃদ্ধাকে শান্তনা দিয়ে, ছঞ্চে ডিঙিয়ে সিঁথির মতো সরু গলিরাস্তায় এল। সাদ্দামকে দুশ্চিন্তার মেঘে আচ্ছন্ন হতে দেখে আতিফ জিজ্ঞেস করল, ‘কী ব্যাপার বল তো? আমি ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারলাম না।’
‘এটা একটা বড় সমস্যা আতিফ। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ কোনোভাবেই পাচ্ছি নে।’
‘কী সমস্যা, সাদ্দাম?’
‘কিডন্যাপ।’
‘কিডন্যাপ! মানে, পাচার?’
‘হু।’ ঘাড় নড়ায় সাদ্দাম। বিড়বিড় করে বলে, ‘মানুষ পশুর থেকেও কত অধম হতে পারে একবার ভেবেছিস! মানুষ মানুষকে পণ্য করছে! মানুষের খাবার হচ্ছে মানুষ!’

‘আল্লাহ তো বলেইছেন, মানুষ যেমন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ, ঠিক তেমনি মানুষ সৃষ্টির নিকৃষ্টও। তুই ভুলে যাচ্ছিস কেন, আল্লাহ কোনো পশু, গরু ছাগল ভেড়ার জন্যে জাহান্নাম বানাননি, তিনি মানুষ আর জিনের জন্যেই জাহান্নাম বানিয়েছেন।’ হাদিসের মশলা ঘাটল আতিফ। তারপর ফুঁ দিয়ে বুঁদবুঁদি ছেড়ে দেওয়ার মতো করে বলল, ‘এ তো দুনিয়ার আদিম সমস্যা। সে বুদ্ধের আমলেও ছিল, নবীজীর আমলেও ছিল।’
‘কিন্তু, এভাবে আমাদের এই রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে শিশু আর নারী পাচার হতে থাকলে তো একদিন পুরো শিবিরগুলো শিশু আর নারীহীন হয়ে যাবে! আমাদের অস্তিত্বই তো বিপন্ন হয়ে যাবে! এর থেকে পরিত্রাণের উপায় আমাদের খুঁজতেই হবে।’ মাথা খুঁটে সাদ্দাম। দুশ্চিন্তা এমন করে তার শরীরের রগরক্তে কটকট করে কাটছে, যে এই হিমশীতল ঠান্ডা রাতেও ঘামে ভিজে কাদা হয়ে যাচ্ছে সাদ্দাম! কপালের চুল কপালের ঘামে লেপ্টে যাচ্ছে! জুলপি দিয়ে চোয়াচ্ছে চুলচেপা ঘাম।
‘তুই এখানে মাঝেমধ্যে সচেতনতা-শিবির কর। যাতে করে মেয়েরা কারও টোপে না পড়ে।’ পরামর্শ দিল আতিফ।
‘সচেতনতা-শিবির? সেসব অনেকবার করেছি। এমনকি
প্রত্যেক মহল্লায় একটা করে ‘নজরদারি টিম’ও করে দিয়েছি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। আসল ব্যাপার হল, ক্ষিদে, পেটের টান। পেটের টান যে সব থেকে বড় টান। কোথাকার লোক এসে রুটিরুজির টোপ দিয়ে দিচ্ছে, আর খপ করে সে টোপে পড়ে যাচ্ছে মেয়েরা! একবার খোঁজখবর নিয়েও দেখছে না, যে লোকগুলো যা বলছে তা সত্যি না ভুয়ো!’
‘এই চক্রে নিশ্চয় লোকাল লোক আছে। লোকাল লোক ছাড়া একাজ সম্ভব নয়।’
‘সে তো আছেই। ওই খবিষগুলোকে খুঁজে বের করে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিতে হবে। শালোরা মানুষ হয়ে মানুষ বিক্কিরি করে!’ তেতে ওঠে সাদ্দাম।

‘তুই কথাটা ঠিকই বলেছিস। এদিকটায় বেশি করে জোর দিতে হবে। আমাদের মা বোনেরা না থাকলে আমাদের প্রজন্ম টিকে থাকবে কী করে?’
‘আতিফ, তুই আর জে এফ কে বল, এদিকটায় কিছু ফান্ড ব্যয় করতে। মানুষচোরদের একটা জুতসই ব্যবস্থা করতেই হবে।’ দাঁত খিঁচল সাদ্দাম।
‘আমি এ ব্যাপারে কথা বলব। ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতেই হবে। একটা নতুন কোন প্রজেক্ট বানাতে হবে।’
‘মানুষই যদি না থাকে তাহলে আর নতুন দেশ বানিয়ে কী লাভ, তাই না?’
‘সে তো ঠিকই।’ মাথা কাত করল আতিফ। প্রসঙ্গ পাল্টে বলল, ‘তাহলে এখন কী করবি, সুমি তো হাতছাড়া।’
‘দেখি, মেজর আসলামকে অন্য কোনভাবে পটানো যায় কি না।’ মাথার ঘেলু খুঁটে সাদ্দাম।
‘যা করবি, তাড়াতাড়ি কর। ভোর হতে আর খুব দেরি নেই।’ তাড়া দেয় আতিফ।

‘আয়।’ বলেই গডগড করে হাঁটা ধরে সাদ্দাম। আতিফ কিছু বলে না। ঘাড়ের ব্যাগটা পিঠে ঝুলিয়ে সেও সাদ্দামের পিছু নেয়। রাত তখন শেষপ্রহরের বাঁশি বাজাচ্ছে। ফেঁসোর মতো ফিনফিন করে ছড়িয়ে থাকা মেঘের আড়াল দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে নক্ষত্ররাজি। কাঁধে রাত চাপিয়ে ছোপ ছোপ অন্ধকার ধানের শীষ বেয়ে নেমে যাচ্ছে পাতায়। ঘাসের ডগায় ঘুমোচ্ছে বৃষ্টির ফোটা। ঝিঁঝিঁর ডাকে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে চরাচর। যেন দিগন্ত জুড়ে ঘুমের বিছানা পেড়ে নিজে হাঁটু ভাঁজ করে ঘুমোচ্ছে রাত। মাথার ওপরের আকাশ যেন রাতের চোখ। জেগে থাকা চোখ। মাটি, ধানখেত, চরাচর রাতের শরীর আর আকাশ যেন তার জেগে থাকা চোখ। আতিফ, একবার আকাশের ঈশান কোণের দিকে তাকাল। একটা তারা আকাশের বুক থেকে খসে পড়ল নিচে। আতিফ ভাবল, আল্লাহ শয়তানকে ঢিল ছুড়ে মারলেন। আতিফ মনে মনে ‘আয়তাল কুরশি’ পাঠ করল। মনে মনে বলল, আহাঃ, আমাদেরও যদি তারার মতো এমন ঢিল থাকত, তাহলে আকাশ থেকে ছুড়ে ছুড়ে মারতাম মায়ানমার সেনাদের গায়ে। তাদের সেনাক্যাম্পে। আলপথ শেষ করে একটা ডাঙা রাস্তায় উঠল দুজনে। রাস্তাটা আগের মোড়াম রাস্তার থেকেও সরু। আতিফ পেছন থেকে আচপাচ করে বলল, ‘নয়াপাড়া চৌকিটা আর কতদূর?’

‘এই সামনেই। মোড়াম রাস্তাটা শেষ হলেই, বিজিবি’র সীমান্তকরিডর। সংরক্ষিত জোন। বর্ডারের ঝাঁ চকচকে পিচ রাস্তা। আর দেড়মাইলের মতো পথ বাকি।’ বলল সাদ্দাম। রাত ক্রমশ পাতলা হতে শুরু করে দিয়েছে। একটা বাবলা গাছের তলা দিয়ে মোড়াম রাস্তাটা বেঁকে চলে গেছে পুব দিকে। আকাশের নিচের এই ফালি রাস্তাটা সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়ার মতো চিপসে আছে। দুধারে ভাঁট-পিটুলির জঙ্গল। নয়ানজলির নিচে সবুজ ধানখেত। রাতের হিম গাছের পাতায় জড়সড় হয়ে জমে আছে। টসটস করে তাকাচ্ছে বিন্দু বিন্দু হিম অথবা বৃষ্টির ফোটা। সাদ্দাম ঠিকই বলেছে, মোড়াম রাস্তার মুখ থেকে এই জোনটা দেড়মাইলের মতোই হবে। একটা সুউচ্চ কারিকুরি করা ফটক থেকে কিছুটা দূরের পাতাবাহার গাছের আড়ালে এসে দাঁড়াল সাদ্দামরা। সামনে বি জি বি’র লোগো আঁকা একটা বিশাল তোরণ। ফটকে রাইফেল তাক করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন অতন্দ্রপ্রহরী। সাদ্দাম আতিফকে তার স্বয়ংক্রিয় এস আই জি প্রো সেমি অটোমেটিক পিস্তল এবং দামাস্ক ভূজালিটা রাখতে দিয়ে বলল, ‘এগুলো লুকিয়ে রাখ। আমি ভেতর থেকে ঘুরে আসি। এসব সঙ্গে করে নিয়ে গেলে, ধরা পড়ে যাব। তখন আর ফিরে আসার জো থাকবে না। হয় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাব অথবা আজীবন জেলে থেকে থেকে পচব।’
‘ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস।’ সাদ্দামের দিকে ভ্যালভ্যাল করে চোখ বের করে বলল আতিফ।
‘সে তো চেষ্টা করবই। তবে কিছুটা দেরি হবেই। মেজর মহম্মদ আসলামের কোয়ার্টারটা একেবারে পেছনে। নদীর ধার লাগোয়া।’
‘নদীটা কতদূর?’ নদীর কথা শুনেই উথলে ওঠে আতিফ।
‘এই তো, সামনেই। বিজিবি’র এই সীমান্তচৌকির পরেই তো।’
‘তার মানে আমরা নদীর কাছে চলে এসেছি?’
‘হ্যাঁ, আর মিনিট কুঁড়ি পথ হাঁটলেই তো নদীর পানি দেখা যাবে।’
‘তাহলে তো কাছেই।’ মুখটা জিরাফের মতো ওপরে তুলে একবার পুবদিকে তাকাল আতিফ। সাদ্দাম আতিফের হাবভাব দেখে বলল, ‘অত মুখ তুলে লাভ নেই। এখান থেকে দেখা যাবে না। তবে নদীর হাওয়া টের পাওয়া যাবে।’ প্যান্টের পকেট থেকে সবুজরঙের একটা কার্ড বের করতে করতে বলল সাদ্দাম।
‘ওটা কী?’ জানতে চায়ল আতিফ।
‘গেটপাস।’
‘কীসের গেটপাস?’
‘বিজিবি’র গেটপাস। কার্ডটা মেজর মহম্মদ আসলামই পাইয়ে দিয়েছেন। আমাকে মাঝেমধ্যেই তো হ্যান ত্যান নিয়ে যেতে হয়। মেজর আসলামকে হাতে রাখাটা রোহিঙ্গাদের জন্যে খুবই প্রয়োজন।’
‘যেভাবেই হোক, একটা স্পিডবোট কিন্তু ম্যানেজ করতে হবে।’ কথাটা আরও একবার মনে করিয়ে দেয় আতিফ।
‘দেখি, কী করতে পারি।’

মূলফটকের দিকে পা বাড়াল সাদ্দাম। আতিফ পাতাবাহার গাছের আড়াল থেকে লুকিয়ে দেখতে থাকল। সাদ্দাম দুই হাত ওপরে তুলে খাড়া করে ফটকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ওপরে তোলা ডানহাতের আঙুলে খাড়া করে ধরা আছে সবুজ রঙের গেটপাসটি। থপ থপ করে হেঁটে গিয়ে মূল দরজার সামনে দাঁড়াল সাদ্দাম। দুজন ফটক প্রহরী দাঁড় করালেন তাকে। আতিফ লক্ষ্য করল, প্রহরীদের সঙ্গে সাদ্দামের ফিসফিস করে কিছু কথাবার্তা হল। তারপর সাদ্দাম তার হাতের ‘গেটপাসটা’ একজন প্রহরী চেক করলেন। পাশের ওপর প্রহরী ঠোঁটে হাসি মাখিয়ে কি যেন একটা বললেন। তারপর সাদ্দাম মিচকি হেসে ভেতরে ঢুকে গেল। যাক, গেটের বাঁধা তো পেরোল! বুক থেকে একটা পাথর নেমে গেল আতিফের। সে এবার ল্যাটা মেরে পাথরের একটা চাইএর ওপর বসল। চরাচরে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। পুব দিগন্ত থেকে লেপ্টে থাকা অন্ধকার একটু একটু করে মুছতে শুরু করে দিয়েছে। রঙের আগের রঙ দিয়ে আকাশ দখল করতে শুরু করে দিয়েছে ভোরের তুলি। প্রায়ই থেমে গেছে ঝিঁঝিঁপোকার ডাক। আর একটু পরেই মসজিদ থেকে ভেসে আসবে ফজরের আযান। বাঁশঝাড় থেকে পাখির কিচিরমিচির। আতিফের মাথায় ঠকঠক করে কড়া নাড়ল, নাফনদীতে ভেসে থাকা তাদের নৌকোটা। সন্ধ্যার ঝড় থেমে, রাতের ঘোমটা সরে এখন দিনের আলো ফোটার তোড়জোড় চলছে। তার আব্বা-মা, ভাই-ভাবীদের কথা মনে পড়তেই, বৃষ্টিতে জুবুথুবু কাকপাখির কথা মনে পড়ছে। আব্বারাও নিশ্চয় ওভাবে ভিজে সারারাত থত্থর করে কেঁপেছে! হয়ত এখন অনেকেই জ্বরে কাবু হয়ে হলহল করে হালছে! হে আল্লাহ, ওদের জানে সবুর দাও। প্রকৃতির ঝড়ঝঞ্ঝা সহ্য করার শক্তি দান কর।

আতিফ পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে নবীকে একটা ফোন লাগাল। ‘স্যুইচঅফ’। এর আগেও কয়েকবার ফোন লাগিয়েছে আতিফ। একই কথা বেজে গেছে। তার ‘অ্যাকশানটা’র কী যে হল, খবর নেব তো, মোবাইল স্যুইচঅফ! তবে কি, নবী..... কি যেন একটা ভেবে মনে মনে ডুকরে উঠল আতিফ। হৃদয়ের তারে দুঃসংবাদের একটা ঘা পড়ল। বাইরেটা ইস্পাতের মতো শক্ত দেখালেও ভেতরটা ধসের মতো ভাঙতে লাগল। আতিফ আকাশের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকাল। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের নয়াপাড়া সীমান্ত চৌকির সুউচ্চ তোরণের ওপর মায়ানমারের আকাশে একটা নীলরঙের তারা টিপটিপ করে জ্বলছে। তারাটার গায়ে সাদা ওড়নার মতো ফিনফিনে সাদা মেঘের পালক লেগে আছে। যেন ফিনফিনে মেঘটুকু বাঁধনহীনভাবে তারার নিচে ঝুলে আছে। আর সেই ঝাঁঝরি ফিনফিনে সাদা মেঘের বিত্তিফাঁক দিয়ে গলে পড়ছে তারাটা থেকে খসে পড়া নীল-সাদা আলো। আতিফ চোখ পুঁতে তারাটাকে দেখতে থাকল। তারা আর তার চোখের মাঝে ভবনার সরলরেখাটা ধীরে ধীরে মোটা হচ্ছে। আতিফের চোখ আকাশ থেকে নিচে নেমে আসতেই মূলফটকের কাছে দৃশ্যমান হল সাদ্দামের থিনথিনে অস্পষ্ট অবয়ব। কানে ভেসে এল দূর কোনো মসজিদ থেকে ফজরের আযানের সুর। আতিফের অন্তরটা ধিন করে উঠল। এ কি আনন্দ? নাকি, আনন্দকে আহ্বানের আরতি? খাড়া হয়ে উঠল আতিফ। আযান শুনে আযানের প্রত্যুত্তর দিতে লাগল মনে মনে। পাশের গাছগাছালি থেকে মিহি করে পাখির কিচিরমিচির আসছে। অন্ধকারের কালো দেহ ধীরে ধীরে হলুদ হয়ে উঠছে। ফ্যাকাসে হয়ে উঠছে রাত। রাতের পাঁজর ভেঙে সময়ের দরজায় টোকা দিচ্ছে দিন। সাদ্দাম এগিয়ে আসতেই হুড়মুড় করে পাতাবাহার গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে এল আতিফ। চোখে মুখে এক আকাশ উৎকণ্ঠা। হাজার হাজার প্রশ্ন। সাদ্দাম মুখের সম্মুখে আসতেই তার মুখ থেকে বেরিয়ে এল, ‘বোটটা পাওয়া গেল?’
‘থাম থাম, অত উতলা হচ্ছিস কেন? বলছি। সব বলছি।’ ফিসফিস করে বলল সাদ্দাম।
‘সব বলছি মানে! সব আবার কী!’ আতিফ ভ্রূ কুঁচকায়। মুখ ভেংচে বলে, ‘কথা তো একটাই, বোটটা পাওয়া গেল না পাওয়া গেল না। আর তো কোনো কথা নেই।’
‘আছে, আছে।’ হেঁয়ালি মারে সাদ্দাম।
‘আছে, তো বল। অত হেঁয়ালি না করে বল।’ রেগে ওঠে আতিফ।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad
Header Ad

নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের চকবাজারের হিজলা খালে পড়ে যাওয়া ছয় মাস বয়সী শিশু সেহরিসকে নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কাপাসগোলার নবাব হোটেলের পাশের নালায় ওই শিশুটি নিখোঁজ হয়।

স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম মহানগরের চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় মা ও ছয় মাস বয়সী শিশুসহ একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা নালায় পড়ে যায়। এ ঘটনায় মাকে উদ্ধার করা গেলেও শিশুটি পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। এরপর শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর রিকশাচালক পালিয়ে যায়। দ্রুত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।

শিশুটির মামা মারূফ জানান, আসাদগঞ্জ থেকে চেহরিসকে নিয়ে তার মা ও দাদি তার (মারূফ) বাসায় বেড়াতে আসছিল। বাড়ির কাছে এসে রাস্তায় পানি থাকায় রিকশা নেয় তারা। কিন্তু নালার পাশে থাকা বাঁশের বেষ্টনী খুলে ফেলার কারণে তারা রিকশা নিয়ে নালায় পড়ে যায়। পরে চেহরিসের মা সালমা ও দাদি আয়েশাকে উদ্ধার করা গেলেও চেহরিস হারিয়ে যায়।

Header Ad
Header Ad

আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আরাকানকে নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সরকার।

প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশা মতে, আগামী ঈদের আগেই যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রেং—১৩৮৭ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. খলিলুর রহমান আরো বলেন, ‘আমি আজকেও (শুক্রবার) রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছি। তাদেরকে বলছি যে, আন্তর্জাতিক ফোরামে তারা যেন প্রত্যাবাসন বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।’

ড. খলিলুর রহমান রাখাইনদের উৎসব প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশ সকল ধর্মের, সকল নৃ—গোষ্ঠীর এবং সকল সংস্কৃতির একটি দেশ। আমাদের দেশের এই সময়টা উৎসবের সময়। তিনি বর্ষবরণের চমৎকার অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রতি অভিনন্দন জানান।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন।

এর আগে, গত রমজান মাসে জাতিসংঘের মহাসচিবকে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি, আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের জোর প্রচেষ্টায় থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলন চলাকালে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় মিয়ানমার সরকার।

Header Ad
Header Ad

‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি

লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক

আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) দেশব্যাপী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে অথবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা এই কর্মসূচির নামকরণ করেছেন ‘রাইজ ইন রেড’।

গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ নামক একটি ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা এই পেজের মাধ্যমেই তাদের আন্দোলনের বিভিন্ন আপডেট জানিয়ে আসছেন।

ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, আজ শনিবার তাদের কর্মসূচির নাম ‘রাইজ ইন রেড’ ঘোষণা করা হলো।

তারা জানিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সারাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হবে।

এই কর্মসূচির অধীনে কুমিল্লার ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে এবং কারিগরি শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত না হওয়ায় প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটক অনির্দিষ্টকালের জন্য লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।

পাশাপাশি, কারিগরি সেক্টরের বৈষম্য দূরীকরণ এবং তাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এড়িয়ে মহাসড়কের দুই পাশে অথবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল