শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ | ১৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪২

নেই দেশের নাগরিক

‘পারলে তুমিই কিছু করতে পারবে, বাপ। খোদার দোহাই, একবার দেখ না, আমার বাপ-মা মরা মেয়েটি কোথায় আছে।’ সাদ্দামের পায়ের কাছে হুটরে পড়েন বৃদ্ধা। সাদ্দাম, আশস্ত করে বলে, ‘ফুপু, চোখের পানি মুছেন। আমি কালকের মধ্যেই সুমির খোঁজ নিচ্ছি।’ মাতব্বরের মতো দায়িত্ব নিয়ে বলল সাদ্দাম। যদিও সে জানে, এসব ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। ফাঁপা বাঁশে ফুঁ দেওয়া মাত্র।

সুমি যাদের খপ্পরে পড়েছে, তাদের ডেরা থেকে স্বয়ং যমও তাকে উদ্ধার করে আনতে পারবে না। তার ঠিকানা এতক্ষণে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কোন নিষিদ্ধপল্লী। এতক্ষণে হয়ত নেকড়ে পুরুষদের খপ্পরে পড়েও গেছে। সাদ্দাম, আর বেশি কিছু বলল না। বৃদ্ধাকে শান্তনা দিয়ে, ছঞ্চে ডিঙিয়ে সিঁথির মতো সরু গলিরাস্তায় এল। সাদ্দামকে দুশ্চিন্তার মেঘে আচ্ছন্ন হতে দেখে আতিফ জিজ্ঞেস করল, ‘কী ব্যাপার বল তো? আমি ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারলাম না।’
‘এটা একটা বড় সমস্যা আতিফ। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ কোনোভাবেই পাচ্ছি নে।’
‘কী সমস্যা, সাদ্দাম?’
‘কিডন্যাপ।’
‘কিডন্যাপ! মানে, পাচার?’
‘হু।’ ঘাড় নড়ায় সাদ্দাম। বিড়বিড় করে বলে, ‘মানুষ পশুর থেকেও কত অধম হতে পারে একবার ভেবেছিস! মানুষ মানুষকে পণ্য করছে! মানুষের খাবার হচ্ছে মানুষ!’

‘আল্লাহ তো বলেইছেন, মানুষ যেমন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ, ঠিক তেমনি মানুষ সৃষ্টির নিকৃষ্টও। তুই ভুলে যাচ্ছিস কেন, আল্লাহ কোনো পশু, গরু ছাগল ভেড়ার জন্যে জাহান্নাম বানাননি, তিনি মানুষ আর জিনের জন্যেই জাহান্নাম বানিয়েছেন।’ হাদিসের মশলা ঘাটল আতিফ। তারপর ফুঁ দিয়ে বুঁদবুঁদি ছেড়ে দেওয়ার মতো করে বলল, ‘এ তো দুনিয়ার আদিম সমস্যা। সে বুদ্ধের আমলেও ছিল, নবীজীর আমলেও ছিল।’
‘কিন্তু, এভাবে আমাদের এই রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে শিশু আর নারী পাচার হতে থাকলে তো একদিন পুরো শিবিরগুলো শিশু আর নারীহীন হয়ে যাবে! আমাদের অস্তিত্বই তো বিপন্ন হয়ে যাবে! এর থেকে পরিত্রাণের উপায় আমাদের খুঁজতেই হবে।’ মাথা খুঁটে সাদ্দাম। দুশ্চিন্তা এমন করে তার শরীরের রগরক্তে কটকট করে কাটছে, যে এই হিমশীতল ঠান্ডা রাতেও ঘামে ভিজে কাদা হয়ে যাচ্ছে সাদ্দাম! কপালের চুল কপালের ঘামে লেপ্টে যাচ্ছে! জুলপি দিয়ে চোয়াচ্ছে চুলচেপা ঘাম।
‘তুই এখানে মাঝেমধ্যে সচেতনতা-শিবির কর। যাতে করে মেয়েরা কারও টোপে না পড়ে।’ পরামর্শ দিল আতিফ।
‘সচেতনতা-শিবির? সেসব অনেকবার করেছি। এমনকি
প্রত্যেক মহল্লায় একটা করে ‘নজরদারি টিম’ও করে দিয়েছি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। আসল ব্যাপার হল, ক্ষিদে, পেটের টান। পেটের টান যে সব থেকে বড় টান। কোথাকার লোক এসে রুটিরুজির টোপ দিয়ে দিচ্ছে, আর খপ করে সে টোপে পড়ে যাচ্ছে মেয়েরা! একবার খোঁজখবর নিয়েও দেখছে না, যে লোকগুলো যা বলছে তা সত্যি না ভুয়ো!’
‘এই চক্রে নিশ্চয় লোকাল লোক আছে। লোকাল লোক ছাড়া একাজ সম্ভব নয়।’
‘সে তো আছেই। ওই খবিষগুলোকে খুঁজে বের করে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিতে হবে। শালোরা মানুষ হয়ে মানুষ বিক্কিরি করে!’ তেতে ওঠে সাদ্দাম।

‘তুই কথাটা ঠিকই বলেছিস। এদিকটায় বেশি করে জোর দিতে হবে। আমাদের মা বোনেরা না থাকলে আমাদের প্রজন্ম টিকে থাকবে কী করে?’
‘আতিফ, তুই আর জে এফ কে বল, এদিকটায় কিছু ফান্ড ব্যয় করতে। মানুষচোরদের একটা জুতসই ব্যবস্থা করতেই হবে।’ দাঁত খিঁচল সাদ্দাম।
‘আমি এ ব্যাপারে কথা বলব। ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতেই হবে। একটা নতুন কোন প্রজেক্ট বানাতে হবে।’
‘মানুষই যদি না থাকে তাহলে আর নতুন দেশ বানিয়ে কী লাভ, তাই না?’
‘সে তো ঠিকই।’ মাথা কাত করল আতিফ। প্রসঙ্গ পাল্টে বলল, ‘তাহলে এখন কী করবি, সুমি তো হাতছাড়া।’
‘দেখি, মেজর আসলামকে অন্য কোনভাবে পটানো যায় কি না।’ মাথার ঘেলু খুঁটে সাদ্দাম।
‘যা করবি, তাড়াতাড়ি কর। ভোর হতে আর খুব দেরি নেই।’ তাড়া দেয় আতিফ।

‘আয়।’ বলেই গডগড করে হাঁটা ধরে সাদ্দাম। আতিফ কিছু বলে না। ঘাড়ের ব্যাগটা পিঠে ঝুলিয়ে সেও সাদ্দামের পিছু নেয়। রাত তখন শেষপ্রহরের বাঁশি বাজাচ্ছে। ফেঁসোর মতো ফিনফিন করে ছড়িয়ে থাকা মেঘের আড়াল দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে নক্ষত্ররাজি। কাঁধে রাত চাপিয়ে ছোপ ছোপ অন্ধকার ধানের শীষ বেয়ে নেমে যাচ্ছে পাতায়। ঘাসের ডগায় ঘুমোচ্ছে বৃষ্টির ফোটা। ঝিঁঝিঁর ডাকে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে চরাচর। যেন দিগন্ত জুড়ে ঘুমের বিছানা পেড়ে নিজে হাঁটু ভাঁজ করে ঘুমোচ্ছে রাত। মাথার ওপরের আকাশ যেন রাতের চোখ। জেগে থাকা চোখ। মাটি, ধানখেত, চরাচর রাতের শরীর আর আকাশ যেন তার জেগে থাকা চোখ। আতিফ, একবার আকাশের ঈশান কোণের দিকে তাকাল। একটা তারা আকাশের বুক থেকে খসে পড়ল নিচে। আতিফ ভাবল, আল্লাহ শয়তানকে ঢিল ছুড়ে মারলেন। আতিফ মনে মনে ‘আয়তাল কুরশি’ পাঠ করল। মনে মনে বলল, আহাঃ, আমাদেরও যদি তারার মতো এমন ঢিল থাকত, তাহলে আকাশ থেকে ছুড়ে ছুড়ে মারতাম মায়ানমার সেনাদের গায়ে। তাদের সেনাক্যাম্পে। আলপথ শেষ করে একটা ডাঙা রাস্তায় উঠল দুজনে। রাস্তাটা আগের মোড়াম রাস্তার থেকেও সরু। আতিফ পেছন থেকে আচপাচ করে বলল, ‘নয়াপাড়া চৌকিটা আর কতদূর?’

‘এই সামনেই। মোড়াম রাস্তাটা শেষ হলেই, বিজিবি’র সীমান্তকরিডর। সংরক্ষিত জোন। বর্ডারের ঝাঁ চকচকে পিচ রাস্তা। আর দেড়মাইলের মতো পথ বাকি।’ বলল সাদ্দাম। রাত ক্রমশ পাতলা হতে শুরু করে দিয়েছে। একটা বাবলা গাছের তলা দিয়ে মোড়াম রাস্তাটা বেঁকে চলে গেছে পুব দিকে। আকাশের নিচের এই ফালি রাস্তাটা সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়ার মতো চিপসে আছে। দুধারে ভাঁট-পিটুলির জঙ্গল। নয়ানজলির নিচে সবুজ ধানখেত। রাতের হিম গাছের পাতায় জড়সড় হয়ে জমে আছে। টসটস করে তাকাচ্ছে বিন্দু বিন্দু হিম অথবা বৃষ্টির ফোটা। সাদ্দাম ঠিকই বলেছে, মোড়াম রাস্তার মুখ থেকে এই জোনটা দেড়মাইলের মতোই হবে। একটা সুউচ্চ কারিকুরি করা ফটক থেকে কিছুটা দূরের পাতাবাহার গাছের আড়ালে এসে দাঁড়াল সাদ্দামরা। সামনে বি জি বি’র লোগো আঁকা একটা বিশাল তোরণ। ফটকে রাইফেল তাক করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন অতন্দ্রপ্রহরী। সাদ্দাম আতিফকে তার স্বয়ংক্রিয় এস আই জি প্রো সেমি অটোমেটিক পিস্তল এবং দামাস্ক ভূজালিটা রাখতে দিয়ে বলল, ‘এগুলো লুকিয়ে রাখ। আমি ভেতর থেকে ঘুরে আসি। এসব সঙ্গে করে নিয়ে গেলে, ধরা পড়ে যাব। তখন আর ফিরে আসার জো থাকবে না। হয় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাব অথবা আজীবন জেলে থেকে থেকে পচব।’
‘ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস।’ সাদ্দামের দিকে ভ্যালভ্যাল করে চোখ বের করে বলল আতিফ।
‘সে তো চেষ্টা করবই। তবে কিছুটা দেরি হবেই। মেজর মহম্মদ আসলামের কোয়ার্টারটা একেবারে পেছনে। নদীর ধার লাগোয়া।’
‘নদীটা কতদূর?’ নদীর কথা শুনেই উথলে ওঠে আতিফ।
‘এই তো, সামনেই। বিজিবি’র এই সীমান্তচৌকির পরেই তো।’
‘তার মানে আমরা নদীর কাছে চলে এসেছি?’
‘হ্যাঁ, আর মিনিট কুঁড়ি পথ হাঁটলেই তো নদীর পানি দেখা যাবে।’
‘তাহলে তো কাছেই।’ মুখটা জিরাফের মতো ওপরে তুলে একবার পুবদিকে তাকাল আতিফ। সাদ্দাম আতিফের হাবভাব দেখে বলল, ‘অত মুখ তুলে লাভ নেই। এখান থেকে দেখা যাবে না। তবে নদীর হাওয়া টের পাওয়া যাবে।’ প্যান্টের পকেট থেকে সবুজরঙের একটা কার্ড বের করতে করতে বলল সাদ্দাম।
‘ওটা কী?’ জানতে চায়ল আতিফ।
‘গেটপাস।’
‘কীসের গেটপাস?’
‘বিজিবি’র গেটপাস। কার্ডটা মেজর মহম্মদ আসলামই পাইয়ে দিয়েছেন। আমাকে মাঝেমধ্যেই তো হ্যান ত্যান নিয়ে যেতে হয়। মেজর আসলামকে হাতে রাখাটা রোহিঙ্গাদের জন্যে খুবই প্রয়োজন।’
‘যেভাবেই হোক, একটা স্পিডবোট কিন্তু ম্যানেজ করতে হবে।’ কথাটা আরও একবার মনে করিয়ে দেয় আতিফ।
‘দেখি, কী করতে পারি।’

মূলফটকের দিকে পা বাড়াল সাদ্দাম। আতিফ পাতাবাহার গাছের আড়াল থেকে লুকিয়ে দেখতে থাকল। সাদ্দাম দুই হাত ওপরে তুলে খাড়া করে ফটকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ওপরে তোলা ডানহাতের আঙুলে খাড়া করে ধরা আছে সবুজ রঙের গেটপাসটি। থপ থপ করে হেঁটে গিয়ে মূল দরজার সামনে দাঁড়াল সাদ্দাম। দুজন ফটক প্রহরী দাঁড় করালেন তাকে। আতিফ লক্ষ্য করল, প্রহরীদের সঙ্গে সাদ্দামের ফিসফিস করে কিছু কথাবার্তা হল। তারপর সাদ্দাম তার হাতের ‘গেটপাসটা’ একজন প্রহরী চেক করলেন। পাশের ওপর প্রহরী ঠোঁটে হাসি মাখিয়ে কি যেন একটা বললেন। তারপর সাদ্দাম মিচকি হেসে ভেতরে ঢুকে গেল। যাক, গেটের বাঁধা তো পেরোল! বুক থেকে একটা পাথর নেমে গেল আতিফের। সে এবার ল্যাটা মেরে পাথরের একটা চাইএর ওপর বসল। চরাচরে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। পুব দিগন্ত থেকে লেপ্টে থাকা অন্ধকার একটু একটু করে মুছতে শুরু করে দিয়েছে। রঙের আগের রঙ দিয়ে আকাশ দখল করতে শুরু করে দিয়েছে ভোরের তুলি। প্রায়ই থেমে গেছে ঝিঁঝিঁপোকার ডাক। আর একটু পরেই মসজিদ থেকে ভেসে আসবে ফজরের আযান। বাঁশঝাড় থেকে পাখির কিচিরমিচির। আতিফের মাথায় ঠকঠক করে কড়া নাড়ল, নাফনদীতে ভেসে থাকা তাদের নৌকোটা। সন্ধ্যার ঝড় থেমে, রাতের ঘোমটা সরে এখন দিনের আলো ফোটার তোড়জোড় চলছে। তার আব্বা-মা, ভাই-ভাবীদের কথা মনে পড়তেই, বৃষ্টিতে জুবুথুবু কাকপাখির কথা মনে পড়ছে। আব্বারাও নিশ্চয় ওভাবে ভিজে সারারাত থত্থর করে কেঁপেছে! হয়ত এখন অনেকেই জ্বরে কাবু হয়ে হলহল করে হালছে! হে আল্লাহ, ওদের জানে সবুর দাও। প্রকৃতির ঝড়ঝঞ্ঝা সহ্য করার শক্তি দান কর।

আতিফ পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে নবীকে একটা ফোন লাগাল। ‘স্যুইচঅফ’। এর আগেও কয়েকবার ফোন লাগিয়েছে আতিফ। একই কথা বেজে গেছে। তার ‘অ্যাকশানটা’র কী যে হল, খবর নেব তো, মোবাইল স্যুইচঅফ! তবে কি, নবী..... কি যেন একটা ভেবে মনে মনে ডুকরে উঠল আতিফ। হৃদয়ের তারে দুঃসংবাদের একটা ঘা পড়ল। বাইরেটা ইস্পাতের মতো শক্ত দেখালেও ভেতরটা ধসের মতো ভাঙতে লাগল। আতিফ আকাশের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকাল। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের নয়াপাড়া সীমান্ত চৌকির সুউচ্চ তোরণের ওপর মায়ানমারের আকাশে একটা নীলরঙের তারা টিপটিপ করে জ্বলছে। তারাটার গায়ে সাদা ওড়নার মতো ফিনফিনে সাদা মেঘের পালক লেগে আছে। যেন ফিনফিনে মেঘটুকু বাঁধনহীনভাবে তারার নিচে ঝুলে আছে। আর সেই ঝাঁঝরি ফিনফিনে সাদা মেঘের বিত্তিফাঁক দিয়ে গলে পড়ছে তারাটা থেকে খসে পড়া নীল-সাদা আলো। আতিফ চোখ পুঁতে তারাটাকে দেখতে থাকল। তারা আর তার চোখের মাঝে ভবনার সরলরেখাটা ধীরে ধীরে মোটা হচ্ছে। আতিফের চোখ আকাশ থেকে নিচে নেমে আসতেই মূলফটকের কাছে দৃশ্যমান হল সাদ্দামের থিনথিনে অস্পষ্ট অবয়ব। কানে ভেসে এল দূর কোনো মসজিদ থেকে ফজরের আযানের সুর। আতিফের অন্তরটা ধিন করে উঠল। এ কি আনন্দ? নাকি, আনন্দকে আহ্বানের আরতি? খাড়া হয়ে উঠল আতিফ। আযান শুনে আযানের প্রত্যুত্তর দিতে লাগল মনে মনে। পাশের গাছগাছালি থেকে মিহি করে পাখির কিচিরমিচির আসছে। অন্ধকারের কালো দেহ ধীরে ধীরে হলুদ হয়ে উঠছে। ফ্যাকাসে হয়ে উঠছে রাত। রাতের পাঁজর ভেঙে সময়ের দরজায় টোকা দিচ্ছে দিন। সাদ্দাম এগিয়ে আসতেই হুড়মুড় করে পাতাবাহার গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে এল আতিফ। চোখে মুখে এক আকাশ উৎকণ্ঠা। হাজার হাজার প্রশ্ন। সাদ্দাম মুখের সম্মুখে আসতেই তার মুখ থেকে বেরিয়ে এল, ‘বোটটা পাওয়া গেল?’
‘থাম থাম, অত উতলা হচ্ছিস কেন? বলছি। সব বলছি।’ ফিসফিস করে বলল সাদ্দাম।
‘সব বলছি মানে! সব আবার কী!’ আতিফ ভ্রূ কুঁচকায়। মুখ ভেংচে বলে, ‘কথা তো একটাই, বোটটা পাওয়া গেল না পাওয়া গেল না। আর তো কোনো কথা নেই।’
‘আছে, আছে।’ হেঁয়ালি মারে সাদ্দাম।
‘আছে, তো বল। অত হেঁয়ালি না করে বল।’ রেগে ওঠে আতিফ।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad
Header Ad

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে দেশটিতে ১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাস ২৯ দিনে সম্পন্ন হচ্ছে এবং আগামীকাল (রবিবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

সৌদিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি ইনসাইট দ্য হারামাইন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, রমজান নবম মাস এবং শাওয়াল দশম মাস। সাধারণত শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহ ঈদুল ফিতর উদযাপন করে।

এদিকে, বাংলাদেশেও আগামীকাল (রবিবার) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে আলোচনা করতে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর কবে উদযাপিত হবে, তা জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, দেশ দুটিতে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশেও একই দিনে ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল (রোববার) খালি চোখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে ভারতে এবারের রমজান ২৯ দিনে সম্পন্ন হবে এবং সোমবার ঈদ উদযাপন করা হবে। একইভাবে পাকিস্তানেও ২৯ রোজা পালনের পর সোমবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটি যথাসময়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ একই চাঁদ দেখার অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায়, বাংলাদেশের ঈদুল ফিতরও ৩১ মার্চ সোমবার উদযাপিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইও ৩১ মার্চ সোমবার ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেয়। সবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে একই দিনে ঈদ উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশে রমজানের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে। চাঁদ দেখা গেলে সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা হবে এবং তার পরই দেশব্যাপী ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে।

Header Ad
Header Ad

দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় যুবদল নেতা আবু রায়হান রাহিমের পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাহিম গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ নেতার পরিবারের কাছে এই উপহার তুলে দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির যুগ্ম পরিচালক ড. আব্দুল মজিদ, দুপচাঁচিয়া থানা বিএনপির সভাপতি একেএম মনিরুল ইসলাম খান স্বপন, কাহালু উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ।

এছাড়া, দুপচাঁচিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আফছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খন্দকার রাকিবসহ যুবদল ও বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতারা শহীদ আবু রায়হান রাহিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, বিএনপি তাদের কখনো ভুলবে না। ঈদ উপলক্ষে তারেক রহমানের এই উপহার শহীদ পরিবারের প্রতি দলের ভালোবাসা ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ ও আহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। দলীয় নেতারা জানান, ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ
ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল
দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার
ভারত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরব ঈদের তারিখ ঘোষণা করবে রাত ৯টার পর
রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন মির্জা ফখরুল
কারাবন্দিদের জন্য ঈদের বিশেষ আয়োজনে থাকছে ভালো খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
চীনের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ
পদ্মা সেতুতে এক দিনে সোয়া ৪ কোটি টাকা টোল আদায়
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনা নিয়ে পুতিনের সতর্কবার্তা
অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ আগামী ৩১ মার্চ  
বাংলাদেশেও বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা, ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ সতর্কবার্তা
মেট্রোরেলে নেই চিরচেনা ভিড়, বন্ধ থাকবে ঈদের দিন
নাটোর ডিসি বাংলোর বাঁশবাগান থেকে শতাধিক সিলমারা ব্যালট উদ্ধার
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
ঈদে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবি-আনসার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ৪০ জেলা
ঈদের তারিখ ঠিক করতে কাল সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটি
ইংল্যান্ডে ফিরেই হামজা জাদু, শীর্ষে তুললেন শেফিল্ডকে
এবার ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের নানি বললেন ‘আগে গোপনে মারতাম এখন ওপেনে মারব’