শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ | ১৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক

‘নাহ, এখন গাঢ় অন্ধকার তো, তাই আর কি।’ আলগোছে বলল সাদ্দাম।
‘জীবনের অন্ধকারের থেকে কি ঘরের অন্ধকার বেশি গাঢ়? বেশি ভয়ানক?’
‘না, তা নয়।’ হাত কচলায় সাদ্দাম।
‘তবে?’ গলায় বাজ পড়ে আতিফের। তারপর খ্যাঁকানি দিয়ে বলে ওঠে, ‘বালিশে মাথা রেখে ঘুমোনোর জন্যে আমাদের জীবন নয়? আমাদের জীবন জ্বালানির মতো। সুযোগ পেলেই জ্বলে উঠতে হবে।’

চুপ মেরে যায় সাদ্দাম। বুঝতে পারে, আতিফ এখন আবেগে এসব বকছে। নিজের পরিবার তো। নিজের গর্ভধারিণী মা, জন্মদাতা বাপ, সহোদর ভাই যখন ব্যাপারটার সাথে জড়িয়ে তখন আবেগ থাকবেই। থাকাটাই স্বাভাবিক। সেও তো রক্ত-মাংসের মানুষ। সে তো আল্লাহর নুরের দ্বারা তৈরি কোন ফেরেশতা নয়। সাদ্দাম ভাবে, আতিফকে আর রাগানো ঠিক হবে না। সে যা বলছে তাইই করতে হবে। একবার পথে বেরোলে বুঝতে পারবে, ঠেলা কাকে বলে। ‘তিড়িং’ করে খাটিয়া থেকে নামল সাদ্দাম। বলল, ‘ঠিক আছে, চল, এখনই চল, দেখি কী করতে পারি।’
‘তুই ফোনে ফোনে বোট’টার ব্যবস্থা করতে পারিস কি না দেখ।’
‘এত রাতে কাউকে ফোনে পাব না।’

‘আগে ফোনটা করেই দেখ না ক্যানে।’ কণ্ঠ চড়াল আতিফ। প্লাস্টিকের মোড়কে জড়ানো মোবাইলটা মোড়ক থেকে বের করে কোথাও ফোন লাগাল সাদ্দাম। কানে কিছুক্ষণ ঠেসে ধরে থাকল। ‘সুইচঅফ’। কলটা কেটে দিয়ে অন্য একজায়গায় ডায়াল করল। নাহ! এটাও সুইচঅফ! মুখটা বাংলা পাঁচের মতো করে বলল, ‘নাহ, কাউকেই পাচ্ছি নে! সব ‘সুইচঅফ’।’
‘কোনো বিকল্প পথ?’
‘বিকল্প পথ’! আতিফের আবদার শুনে খচে উঠল সাদ্দাম। মনে বিড়বিড় কাটল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি তো একেবারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, যে সব পথ আমার জন্যে খোলা? এটা কি আমার মগের মুলুক না বাপের জমিদারি? যে ইচ্ছে করলেই সব কাজ আপনা আপনি হয়ে যাবে? আরে বাবা, আমি হলেম কি একজন ঘরপোড়া উদ্বাস্তু। পরের মুলুকে কোনোক্রমে ঠাঁই নিয়েছি। আমি কি এখানকার জায়গির নিয়েছি? আরে, কাজের হাল্কা কঠিনও তো আছে। সম্ভব অসম্ভব আছে। যেটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়, সেটাই আমাকে জোর করে করতে বলছে! বিজিবি’র ঠ্যালা তো খায়নি? একবার খেলে টের পেত, ঠাপের নাম বাবাজী কাকে বলে।

‘কোনো পথ নেই।’ কথায় গরম বাষ্পের ঠেলা দিয়ে বলল সাদ্দাম।
‘তুই কিন্তু রেগে যাচ্ছিস, সাদ্দাম।’ সাদ্দামের কথার ঝাঁঝ শুনে বলল আতিফ।
‘আরে না না, রাগব কেন? এতে রাগারই বা কী আছে। তোর কাজ মানেই তো আমার কাজ। তোর পরিবার মানেই তো আমার পরিবার।’ রাগটাকে ধামা চাপা দিয়ে ‘আমি তো তোরই লোক’ গোছের কথার প্রলাপ করল সাদ্দাম। সে পরনে ছাই রঙের একটা ফুলপ্যান্ট পরতে পরতে আরও বলল, ‘নয়াপাড়া চৌকি হয়ে যেতে হবে। ওখানে বাংলাদেশ নেভির এক মেজর আমার খুউব ঘনিষ্ট। তাকে পটিয়ে পাটিয়ে একটা স্পিডবোট ম্যানেজ করতে হবে। তবে এজন্যে আমাদের একটা পাপ কাজ করতে হবে।’

‘পাপ কাজ! মানে?’ চোখ কপালে আতিফের।
‘মানে, কাজটা খুবই সহজ। আবার কঠিনও।’
‘হেঁয়ালি মারিস ন্যা। খুলে বল।’
‘হেঁয়ালি আর কী মারব। যেটা বাস্তব সেটা বলছি।’
‘কাজটা কী?’ উতসুক হয়ে ওঠে আতিফ। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় খাড়া হয়ে ওঠে তার।
‘একটা মেয়ে জোগাড় করতে হবে।’ আমতা আমতা করে বলল সাদ্দাম।
‘মেয়ে! মেয়ে কী হবে!’ আকাশ থেকে পড়ল আতিফ।
‘মেয়ে আবার কী হয়। মেয়ে যা কাজে লাগে তাই।’ আলগোছে বলল সাদ্দাম।
‘তার মানে তুই বলতে চায়ছিস ওই নোংড়া কাজ। ছিঃ! ছিঃ সাদ্দাম! ছিঃ!’ কিছু একটা আন্দাজ করে ছিছি করে ওঠে আতিফ।
‘দেখ, যুদ্ধে মেয়েদের শরীরও একটা অস্ত্র। আর এটা কোন যুগে ছিল না, বল?’
‘ছলনা কপটতা করে যুদ্ধ জয় হতে পারে, কিন্তু মানুষের মন জয় করা যায় না।’
‘মানুষ থাকলেই তো মানুষের মন জয় করবি? যাদের কথা বলছি, তারা আর মানুষ নেই। ক্ষমতা আর টাকায় অমানুষ হয়ে গেছেন।’

‘তাই বলে এক মায়ের শরীরের বিনিময়ে আরেক মায়ের শরীর উদ্ধার! অসম্ভব। এ হারাম কাজ। এ আমি হারগিজ মেনে নেব না।’ কণ্ঠ বাজিয়ে বলল আতিফ। তারপর ফিসফিস করে বলল, ‘শরীরের বিনিময়ে শরীর! এক নারীর বিনিময়ে আরেক নারী উদ্ধার! ছিঃ!’
‘এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। ওই মেজর নারীর শরীর অথবা টাকার থলে ছাড়া কাউকে ভিড়তে দেবেন না। এই রাতে একমাত্র উনিই ভরসা ছিলেন। সেটা যদি বাতিল করি, তাহলে সাঁতার কেটে নদী পেরোতে হবে। সেটাও সম্ভব নয়।’ হাত-পা ছেড়ে নিজের কথা নিজেই ঢিলা দিল সাদ্দাম। আতিফ থপাস করে অন্তরফাটা টুলটায় বসল। এবার টুলটা একটু জোরে ‘ক্যাঁচ’ করে কেঁদে উঠল। আতিফের মনটাও কেঁদে উঠছে। তার অন্তরও যে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। যন্ত্রণার পেরেক বিষ মেখে অনবরত হাঙছে হৃদয়। যে হৃদয়ে এখন ঠোকর খাচ্ছে পরিবার পরিজন ফিরে পাওয়ার আকুতি। হৃদয়ের দেওয়ালে, ঠক্কর খাচ্ছে সাদ্দামের নোংড়া প্ল্যানিংটা। চোখ ঘোলা হয়ে আসছে তার। খিজিবিজি করছে মাথা। নারীর শরীরকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে তার কুন্ঠাবোধ হচ্ছে। সে ভালই জানে, নারীর শরীর যুগযুগ ধরে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু এ যে কাবিরা(বড়) গুনাহর কাজ। সারাজীবন জাহান্নামে থাকতে হবে। কিন্তু স্পিডবোট ছাড়া তো এত অল্প সময়ে নাফ নদী হন্যতন্য করে আব্বাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই দুঃসময়ে স্পিডবোটটাও যে খুবই দরকার। দোলাচলে পড়ে গেল আতিফ। মনের চিন্তনে দোটানার মন্থনে একটু একটু করে উঠে আসে আপনজনের টান। মন গাহায়, এই গণনিধনে কত মেয়েই তো ধর্ষিতা হয়ে মারা গেল, কত নারীর যৌবন নেকড়ের মতো ছিঁড়ে খেল বার্মিজ সেনারা। কত শরীর কত মানুষের খাবার হল। সেখানে আরও একটা মেয়ে না হয় আরও ছ ছটা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যে তার শরীরকে একটা পুরুষের কাছে কিছুক্ষণের ভোগের জন্যে বন্ধকই না হয় দিল। এতটুকু একটা ভিটেমাটির জন্যে কত তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। আর এ তো শরীরের কিছুটা এঁটো যৌবন কিছুক্ষণের জন্যে চেটেপুটে খেতে দেওয়া। কিছুটা ইজ্জত যাচ্ছে, প্রাণ তো আর যাচ্ছে না? আর সে এঁটো ইজ্জত কেউ তো আর বাহির থেকে দেখতে পাচ্ছে না? তাছাড়া অনেক মেয়েই তো আছে যারা টাকার বিনিময়ে ইজ্জত বিক্রি করে। সে আমার আপত্তি থাকলেও করবে, আপত্তি না থাকলেও করবে। রক্তের টানের কাছে ধর্মের টান আলগা হয়ে আসছে আতিফের। পাপবোধের জায়গাটা একটু একটু করে ঢিলা হয়ে আসছে। যে হৃদয়ে এতদিন পুণ্যের চাষ করে এসেছে, সেই হৃদয়েই বপন করছে পাপ। ঘাড় থেকে নিচের দিকে মাথা ঝুলিয়ে ফিস করে বলল, ‘এত রাতে মেয়ে কোথায় পাবি?’

এই তো! বগা এবার ঠিক লাইনে ভিড়েছে। যে জোয়াল কাঁধে দিয়েছি তাতে না ভিড়ে উপায় আছে? মনে মনে বলল সাদ্দাম। তারপর চোখ উল্টিয়ে সাদ্দাম বলল, ‘সে তোকে ভাবতে হবে না। এই শিবিরে ওসব গাঢ়ি গাঢ়ি। সব খুইখুই করে বেড়াচ্ছে। একটা টোপ দিলেই হল। খপ করে বড়শিতে আটকে যাবে।’
‘এই শিবিরে!’ চোখে বিস্ময় আতিফের।
‘হ্যাঁ, এই শিবিরে। এই নয়াপাড়া রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে।’
‘আমাদের ভিটেমাটি ছাড়া মেয়েরা এসব কুকাজ করছে!’
‘কেন করবে না? পেট তো সবারই আছে নাকি? এখানে শরীরের খিদের থেকে পেটের খিদে মারাত্মক। এরা শরীরের খিদে বেঁচে পেটের খিদে মেটায়। ইজ্জত বিক্রি করে পেটের খোরাক জোগায়। আরে, শরীরের জানটাকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে নাকি? জান না থাকলে, আর ইজ্জত রেখে কী লাভ। পেট বাঁচলেই তো ইজ্জত বাঁচবে?’
‘খদ্দের কারা?’ উৎসাহ বাড়তে থাকে আতিফের।
‘আমরাই। এই শিবিরে থাকা মানুষরাই।’
‘মানে, আমাদের রোহিঙ্গা পুরুষরা?’
‘হ্যাঁ, তবে শুধু রোহিঙ্গারা একা নয়, বাংলাদেশিরাও আছেন।’
‘রুজগার কেমন হয়?’ গোয়েন্দার মতো প্রশ্ন করে আতিফ।
‘যার যেমন ডিমান্ড, তার তেমন। গতর দেখে আয়।’
‘এই মেয়েদের সংখ্যাটা কেমন?’
‘তা না না করেও শ-খানেক তো হবেই। আর ভেতরে ভেতরে আরও কত আছে কে জানে। কেন তোর অত আগ্রহ কেন? এক্ষুনি যে আমাকে ছিছিক্কারি করছিলি?’

সাদ্দামের কথার কোনো উত্তর দেয় না আতিফ। সে সাদ্দামের কথায় অন্য এক অংকের মারপ্যাঁচে পড়ে যায়। এক অন্য হিসেব তার মাথাটাকে নাড়িয়ে দিচ্ছে। কুরে কুরে খাচ্ছে তার হৃদয়। তার দেশের মেয়েদের ইজ্জত বাঁচানোর জন্যে নিজের দেশ ছেড়ে এ দেশে পালিয়ে এসে, পেটের তাগিদে সেই ইজ্জতই বিক্রি করতে হচ্ছে! এ তো বিড়ালের হাত থেকে বাঁচতে বাঘের খপ্পরে পড়া! এ জাতি তো নিজের পাপের ভারেই ধ্বংস হয়ে যাবে! ওই জন্যেই মনে হয় আল্লাহ, এত ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় দিলেন। এ তো এক ধরনের আল্লাহর গজবই। আর আমাদের জাতভাইয়েরাও হয়েছে এক একটা নরপিশাচ। শয়তানের বিছন। এত ঠেলা খেয়েও মনের ভেতরে পুষে রাখা পশুটাকে মেরে ফেলতে পারছে না! পাশবিক হৃদয় নিয়ে কী দরকার ছিল নদী পেরিয়ে এদেশে আসা? ওদেশে গুলি খেয়ে মরলেই তো পারত? নদী পেরিয়ে আসার সময় নৌকো উল্টে ডুবে মরে যায়নি কেন? মাঝ নদীতে কেন নেমে আসেনি আল্লাহর গযব? এসব খবিষের দল কেন যে এখানে এসে জায়গা দখল করে বসে আছে! ভেতরে রাগে ক্ষোভে টগবগ করে ফুটতে থাকে আতিফ। তার রগ-রক্ত তীর হয়ে বেরিয়ে আসছে। ইটভাটার তপ্ত চিমনির মতো গনগন করছে শিরা-ধমনি। চোখ মুখ দিয়ে গলগল করে বেরিয়ে আসছে সে আগুনের গরম ধোঁয়া। এবার ‘ভক’ করে একটা লেলিহান শীখা বেরিয়ে এল, ‘এই খদ্দেরগুলোকে নজরে রাখ, সব শালাকটাকে জবেহ করব। এইসব কাফেরদের আগে জবেহ না করতে পারলে কীসের জেহাদ? কীসের মুজাহিদ? শালোরা মদ্দা হনুর মতো নিজের স্বজাতিকেই খেয়ে নিচ্ছে! এ তো নিজের গায়ে নিজের থুথু ফেলা! ছিঃ!’ ঘৃণায় গা হাংলিয়ে ওঠে আতিফের। পাশের তাক’এ রাখা জগ থেকে ঢকঢক করে জল ঢালে গলায়। গলাটা বাঁশের চাঁচির মতো শুকিয়ে গেছে। জল পান করার পর ‘ঠক’ করে জগটা যেখানে ছিল সেখানে রেখে দিল। বাঁশের চাটাইয়ের ঘুপসি ঘর। ঘর না বলে চট-চাটাইয়ের ছাউনি বলায় ভালো। মাথার ওপরে বাঁশের ডাপের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা কালো রঙের একটা ত্রিপল। পশ্চিম দিকের একটা দেওয়ালে কাঠ দিয়ে বানানো দেড় হাত লম্বা দুটো তাক। নিচের তাকে কমলা রঙের মুখ চ্যাপ্টা একটা জলের জগ, একটা স্টেনলেসস্টিলের গিলাস আর কয়েকটা বাসনপত্তর। আর ওপরের তাকে থাক থাক করে সাজানো কয়েকটা বই। সব ওপরে রেহেলের ওপর যত্ন করে শুইয়ে রাখা একটা কোরআনশরীফ। পুবদিকের দেয়াল হেলে টাঙ্গানো একটা টার। তাতে ঝুলছে কিছু পোশাক আশাক। সাদ্দামের ‘উঠ বললে চট বগলে’র সংসার। কক্সবাজারেও সাদ্দামের একটা আস্তানা আছে। সেখানেও সে প্রায়শই ঘাঁটি গেঁড়ে থাকে। আর জে এফ’এর কাজে তাকে কখনো কক্সবাজার কখনও এই নয়াপাড়ায় রাত কাটাতে হয়। সাদ্দামের ‘মানুষকে মগজ ধোলাই করার’ টেকনিক এবং বুদ্ধি প্রখর। সে এই অল্প সময়েই এই চত্বরের প্রশাসনের অনেককে হাত করে ফেলেছে। কাকে কোন টোপ দিলে খাবে, তা তার ভালো ভাবেই জানা। সেভাবে চাড় তৈরিতেও সে সিদ্ধহস্ত। এই এলাকার সব লটঘটের খবর রাখে সে। এই জোনে আর জে এফ’এর সব ফন্দিফেউর’এ তার মগজ থাকে। সাদ্দাম আর জে এফ’এর একটা শক্তিশালী হ্যান্ড। তার যখন জন্ম হয়, তখন ইরাক দেশে সাদ্দাম হুসেনের বিশাল দাপোট। সাবেক রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হুসেন তখন বিশ্বজুড়ে মুসলিম দুনিয়ায় একটা বীরত্বের নাম। ফাতাংজার এই সবকত হুসেন তার সদ্য জন্মানো তৃতীয় পুত্রের নাম রাখলেন ‘সাদ্দাম হুসেন।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad
Header Ad

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে দেশটিতে ১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাস ২৯ দিনে সম্পন্ন হচ্ছে এবং আগামীকাল (রবিবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

সৌদিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি ইনসাইট দ্য হারামাইন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, রমজান নবম মাস এবং শাওয়াল দশম মাস। সাধারণত শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহ ঈদুল ফিতর উদযাপন করে।

এদিকে, বাংলাদেশেও আগামীকাল (রবিবার) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে আলোচনা করতে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর কবে উদযাপিত হবে, তা জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, দেশ দুটিতে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশেও একই দিনে ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল (রোববার) খালি চোখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে ভারতে এবারের রমজান ২৯ দিনে সম্পন্ন হবে এবং সোমবার ঈদ উদযাপন করা হবে। একইভাবে পাকিস্তানেও ২৯ রোজা পালনের পর সোমবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটি যথাসময়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ একই চাঁদ দেখার অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায়, বাংলাদেশের ঈদুল ফিতরও ৩১ মার্চ সোমবার উদযাপিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইও ৩১ মার্চ সোমবার ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেয়। সবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে একই দিনে ঈদ উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশে রমজানের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে। চাঁদ দেখা গেলে সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা হবে এবং তার পরই দেশব্যাপী ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে।

Header Ad
Header Ad

দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় যুবদল নেতা আবু রায়হান রাহিমের পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাহিম গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ নেতার পরিবারের কাছে এই উপহার তুলে দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির যুগ্ম পরিচালক ড. আব্দুল মজিদ, দুপচাঁচিয়া থানা বিএনপির সভাপতি একেএম মনিরুল ইসলাম খান স্বপন, কাহালু উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ।

এছাড়া, দুপচাঁচিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আফছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খন্দকার রাকিবসহ যুবদল ও বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতারা শহীদ আবু রায়হান রাহিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, বিএনপি তাদের কখনো ভুলবে না। ঈদ উপলক্ষে তারেক রহমানের এই উপহার শহীদ পরিবারের প্রতি দলের ভালোবাসা ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ ও আহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। দলীয় নেতারা জানান, ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ
ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল
দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার
ভারত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরব ঈদের তারিখ ঘোষণা করবে রাত ৯টার পর
রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন মির্জা ফখরুল
কারাবন্দিদের জন্য ঈদের বিশেষ আয়োজনে থাকছে ভালো খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
চীনের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ
পদ্মা সেতুতে এক দিনে সোয়া ৪ কোটি টাকা টোল আদায়
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনা নিয়ে পুতিনের সতর্কবার্তা
অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ আগামী ৩১ মার্চ  
বাংলাদেশেও বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা, ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ সতর্কবার্তা
মেট্রোরেলে নেই চিরচেনা ভিড়, বন্ধ থাকবে ঈদের দিন
নাটোর ডিসি বাংলোর বাঁশবাগান থেকে শতাধিক সিলমারা ব্যালট উদ্ধার
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
ঈদে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবি-আনসার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ৪০ জেলা
ঈদের তারিখ ঠিক করতে কাল সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটি
ইংল্যান্ডে ফিরেই হামজা জাদু, শীর্ষে তুললেন শেফিল্ডকে
এবার ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের নানি বললেন ‘আগে গোপনে মারতাম এখন ওপেনে মারব’