শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক

‘নাহ, এখন গাঢ় অন্ধকার তো, তাই আর কি।’ আলগোছে বলল সাদ্দাম।
‘জীবনের অন্ধকারের থেকে কি ঘরের অন্ধকার বেশি গাঢ়? বেশি ভয়ানক?’
‘না, তা নয়।’ হাত কচলায় সাদ্দাম।
‘তবে?’ গলায় বাজ পড়ে আতিফের। তারপর খ্যাঁকানি দিয়ে বলে ওঠে, ‘বালিশে মাথা রেখে ঘুমোনোর জন্যে আমাদের জীবন নয়? আমাদের জীবন জ্বালানির মতো। সুযোগ পেলেই জ্বলে উঠতে হবে।’

চুপ মেরে যায় সাদ্দাম। বুঝতে পারে, আতিফ এখন আবেগে এসব বকছে। নিজের পরিবার তো। নিজের গর্ভধারিণী মা, জন্মদাতা বাপ, সহোদর ভাই যখন ব্যাপারটার সাথে জড়িয়ে তখন আবেগ থাকবেই। থাকাটাই স্বাভাবিক। সেও তো রক্ত-মাংসের মানুষ। সে তো আল্লাহর নুরের দ্বারা তৈরি কোন ফেরেশতা নয়। সাদ্দাম ভাবে, আতিফকে আর রাগানো ঠিক হবে না। সে যা বলছে তাইই করতে হবে। একবার পথে বেরোলে বুঝতে পারবে, ঠেলা কাকে বলে। ‘তিড়িং’ করে খাটিয়া থেকে নামল সাদ্দাম। বলল, ‘ঠিক আছে, চল, এখনই চল, দেখি কী করতে পারি।’
‘তুই ফোনে ফোনে বোট’টার ব্যবস্থা করতে পারিস কি না দেখ।’
‘এত রাতে কাউকে ফোনে পাব না।’

‘আগে ফোনটা করেই দেখ না ক্যানে।’ কণ্ঠ চড়াল আতিফ। প্লাস্টিকের মোড়কে জড়ানো মোবাইলটা মোড়ক থেকে বের করে কোথাও ফোন লাগাল সাদ্দাম। কানে কিছুক্ষণ ঠেসে ধরে থাকল। ‘সুইচঅফ’। কলটা কেটে দিয়ে অন্য একজায়গায় ডায়াল করল। নাহ! এটাও সুইচঅফ! মুখটা বাংলা পাঁচের মতো করে বলল, ‘নাহ, কাউকেই পাচ্ছি নে! সব ‘সুইচঅফ’।’
‘কোনো বিকল্প পথ?’
‘বিকল্প পথ’! আতিফের আবদার শুনে খচে উঠল সাদ্দাম। মনে বিড়বিড় কাটল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি তো একেবারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, যে সব পথ আমার জন্যে খোলা? এটা কি আমার মগের মুলুক না বাপের জমিদারি? যে ইচ্ছে করলেই সব কাজ আপনা আপনি হয়ে যাবে? আরে বাবা, আমি হলেম কি একজন ঘরপোড়া উদ্বাস্তু। পরের মুলুকে কোনোক্রমে ঠাঁই নিয়েছি। আমি কি এখানকার জায়গির নিয়েছি? আরে, কাজের হাল্কা কঠিনও তো আছে। সম্ভব অসম্ভব আছে। যেটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়, সেটাই আমাকে জোর করে করতে বলছে! বিজিবি’র ঠ্যালা তো খায়নি? একবার খেলে টের পেত, ঠাপের নাম বাবাজী কাকে বলে।

‘কোনো পথ নেই।’ কথায় গরম বাষ্পের ঠেলা দিয়ে বলল সাদ্দাম।
‘তুই কিন্তু রেগে যাচ্ছিস, সাদ্দাম।’ সাদ্দামের কথার ঝাঁঝ শুনে বলল আতিফ।
‘আরে না না, রাগব কেন? এতে রাগারই বা কী আছে। তোর কাজ মানেই তো আমার কাজ। তোর পরিবার মানেই তো আমার পরিবার।’ রাগটাকে ধামা চাপা দিয়ে ‘আমি তো তোরই লোক’ গোছের কথার প্রলাপ করল সাদ্দাম। সে পরনে ছাই রঙের একটা ফুলপ্যান্ট পরতে পরতে আরও বলল, ‘নয়াপাড়া চৌকি হয়ে যেতে হবে। ওখানে বাংলাদেশ নেভির এক মেজর আমার খুউব ঘনিষ্ট। তাকে পটিয়ে পাটিয়ে একটা স্পিডবোট ম্যানেজ করতে হবে। তবে এজন্যে আমাদের একটা পাপ কাজ করতে হবে।’

‘পাপ কাজ! মানে?’ চোখ কপালে আতিফের।
‘মানে, কাজটা খুবই সহজ। আবার কঠিনও।’
‘হেঁয়ালি মারিস ন্যা। খুলে বল।’
‘হেঁয়ালি আর কী মারব। যেটা বাস্তব সেটা বলছি।’
‘কাজটা কী?’ উতসুক হয়ে ওঠে আতিফ। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় খাড়া হয়ে ওঠে তার।
‘একটা মেয়ে জোগাড় করতে হবে।’ আমতা আমতা করে বলল সাদ্দাম।
‘মেয়ে! মেয়ে কী হবে!’ আকাশ থেকে পড়ল আতিফ।
‘মেয়ে আবার কী হয়। মেয়ে যা কাজে লাগে তাই।’ আলগোছে বলল সাদ্দাম।
‘তার মানে তুই বলতে চায়ছিস ওই নোংড়া কাজ। ছিঃ! ছিঃ সাদ্দাম! ছিঃ!’ কিছু একটা আন্দাজ করে ছিছি করে ওঠে আতিফ।
‘দেখ, যুদ্ধে মেয়েদের শরীরও একটা অস্ত্র। আর এটা কোন যুগে ছিল না, বল?’
‘ছলনা কপটতা করে যুদ্ধ জয় হতে পারে, কিন্তু মানুষের মন জয় করা যায় না।’
‘মানুষ থাকলেই তো মানুষের মন জয় করবি? যাদের কথা বলছি, তারা আর মানুষ নেই। ক্ষমতা আর টাকায় অমানুষ হয়ে গেছেন।’

‘তাই বলে এক মায়ের শরীরের বিনিময়ে আরেক মায়ের শরীর উদ্ধার! অসম্ভব। এ হারাম কাজ। এ আমি হারগিজ মেনে নেব না।’ কণ্ঠ বাজিয়ে বলল আতিফ। তারপর ফিসফিস করে বলল, ‘শরীরের বিনিময়ে শরীর! এক নারীর বিনিময়ে আরেক নারী উদ্ধার! ছিঃ!’
‘এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। ওই মেজর নারীর শরীর অথবা টাকার থলে ছাড়া কাউকে ভিড়তে দেবেন না। এই রাতে একমাত্র উনিই ভরসা ছিলেন। সেটা যদি বাতিল করি, তাহলে সাঁতার কেটে নদী পেরোতে হবে। সেটাও সম্ভব নয়।’ হাত-পা ছেড়ে নিজের কথা নিজেই ঢিলা দিল সাদ্দাম। আতিফ থপাস করে অন্তরফাটা টুলটায় বসল। এবার টুলটা একটু জোরে ‘ক্যাঁচ’ করে কেঁদে উঠল। আতিফের মনটাও কেঁদে উঠছে। তার অন্তরও যে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। যন্ত্রণার পেরেক বিষ মেখে অনবরত হাঙছে হৃদয়। যে হৃদয়ে এখন ঠোকর খাচ্ছে পরিবার পরিজন ফিরে পাওয়ার আকুতি। হৃদয়ের দেওয়ালে, ঠক্কর খাচ্ছে সাদ্দামের নোংড়া প্ল্যানিংটা। চোখ ঘোলা হয়ে আসছে তার। খিজিবিজি করছে মাথা। নারীর শরীরকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে তার কুন্ঠাবোধ হচ্ছে। সে ভালই জানে, নারীর শরীর যুগযুগ ধরে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু এ যে কাবিরা(বড়) গুনাহর কাজ। সারাজীবন জাহান্নামে থাকতে হবে। কিন্তু স্পিডবোট ছাড়া তো এত অল্প সময়ে নাফ নদী হন্যতন্য করে আব্বাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই দুঃসময়ে স্পিডবোটটাও যে খুবই দরকার। দোলাচলে পড়ে গেল আতিফ। মনের চিন্তনে দোটানার মন্থনে একটু একটু করে উঠে আসে আপনজনের টান। মন গাহায়, এই গণনিধনে কত মেয়েই তো ধর্ষিতা হয়ে মারা গেল, কত নারীর যৌবন নেকড়ের মতো ছিঁড়ে খেল বার্মিজ সেনারা। কত শরীর কত মানুষের খাবার হল। সেখানে আরও একটা মেয়ে না হয় আরও ছ ছটা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যে তার শরীরকে একটা পুরুষের কাছে কিছুক্ষণের ভোগের জন্যে বন্ধকই না হয় দিল। এতটুকু একটা ভিটেমাটির জন্যে কত তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। আর এ তো শরীরের কিছুটা এঁটো যৌবন কিছুক্ষণের জন্যে চেটেপুটে খেতে দেওয়া। কিছুটা ইজ্জত যাচ্ছে, প্রাণ তো আর যাচ্ছে না? আর সে এঁটো ইজ্জত কেউ তো আর বাহির থেকে দেখতে পাচ্ছে না? তাছাড়া অনেক মেয়েই তো আছে যারা টাকার বিনিময়ে ইজ্জত বিক্রি করে। সে আমার আপত্তি থাকলেও করবে, আপত্তি না থাকলেও করবে। রক্তের টানের কাছে ধর্মের টান আলগা হয়ে আসছে আতিফের। পাপবোধের জায়গাটা একটু একটু করে ঢিলা হয়ে আসছে। যে হৃদয়ে এতদিন পুণ্যের চাষ করে এসেছে, সেই হৃদয়েই বপন করছে পাপ। ঘাড় থেকে নিচের দিকে মাথা ঝুলিয়ে ফিস করে বলল, ‘এত রাতে মেয়ে কোথায় পাবি?’

এই তো! বগা এবার ঠিক লাইনে ভিড়েছে। যে জোয়াল কাঁধে দিয়েছি তাতে না ভিড়ে উপায় আছে? মনে মনে বলল সাদ্দাম। তারপর চোখ উল্টিয়ে সাদ্দাম বলল, ‘সে তোকে ভাবতে হবে না। এই শিবিরে ওসব গাঢ়ি গাঢ়ি। সব খুইখুই করে বেড়াচ্ছে। একটা টোপ দিলেই হল। খপ করে বড়শিতে আটকে যাবে।’
‘এই শিবিরে!’ চোখে বিস্ময় আতিফের।
‘হ্যাঁ, এই শিবিরে। এই নয়াপাড়া রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে।’
‘আমাদের ভিটেমাটি ছাড়া মেয়েরা এসব কুকাজ করছে!’
‘কেন করবে না? পেট তো সবারই আছে নাকি? এখানে শরীরের খিদের থেকে পেটের খিদে মারাত্মক। এরা শরীরের খিদে বেঁচে পেটের খিদে মেটায়। ইজ্জত বিক্রি করে পেটের খোরাক জোগায়। আরে, শরীরের জানটাকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে নাকি? জান না থাকলে, আর ইজ্জত রেখে কী লাভ। পেট বাঁচলেই তো ইজ্জত বাঁচবে?’
‘খদ্দের কারা?’ উৎসাহ বাড়তে থাকে আতিফের।
‘আমরাই। এই শিবিরে থাকা মানুষরাই।’
‘মানে, আমাদের রোহিঙ্গা পুরুষরা?’
‘হ্যাঁ, তবে শুধু রোহিঙ্গারা একা নয়, বাংলাদেশিরাও আছেন।’
‘রুজগার কেমন হয়?’ গোয়েন্দার মতো প্রশ্ন করে আতিফ।
‘যার যেমন ডিমান্ড, তার তেমন। গতর দেখে আয়।’
‘এই মেয়েদের সংখ্যাটা কেমন?’
‘তা না না করেও শ-খানেক তো হবেই। আর ভেতরে ভেতরে আরও কত আছে কে জানে। কেন তোর অত আগ্রহ কেন? এক্ষুনি যে আমাকে ছিছিক্কারি করছিলি?’

সাদ্দামের কথার কোনো উত্তর দেয় না আতিফ। সে সাদ্দামের কথায় অন্য এক অংকের মারপ্যাঁচে পড়ে যায়। এক অন্য হিসেব তার মাথাটাকে নাড়িয়ে দিচ্ছে। কুরে কুরে খাচ্ছে তার হৃদয়। তার দেশের মেয়েদের ইজ্জত বাঁচানোর জন্যে নিজের দেশ ছেড়ে এ দেশে পালিয়ে এসে, পেটের তাগিদে সেই ইজ্জতই বিক্রি করতে হচ্ছে! এ তো বিড়ালের হাত থেকে বাঁচতে বাঘের খপ্পরে পড়া! এ জাতি তো নিজের পাপের ভারেই ধ্বংস হয়ে যাবে! ওই জন্যেই মনে হয় আল্লাহ, এত ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় দিলেন। এ তো এক ধরনের আল্লাহর গজবই। আর আমাদের জাতভাইয়েরাও হয়েছে এক একটা নরপিশাচ। শয়তানের বিছন। এত ঠেলা খেয়েও মনের ভেতরে পুষে রাখা পশুটাকে মেরে ফেলতে পারছে না! পাশবিক হৃদয় নিয়ে কী দরকার ছিল নদী পেরিয়ে এদেশে আসা? ওদেশে গুলি খেয়ে মরলেই তো পারত? নদী পেরিয়ে আসার সময় নৌকো উল্টে ডুবে মরে যায়নি কেন? মাঝ নদীতে কেন নেমে আসেনি আল্লাহর গযব? এসব খবিষের দল কেন যে এখানে এসে জায়গা দখল করে বসে আছে! ভেতরে রাগে ক্ষোভে টগবগ করে ফুটতে থাকে আতিফ। তার রগ-রক্ত তীর হয়ে বেরিয়ে আসছে। ইটভাটার তপ্ত চিমনির মতো গনগন করছে শিরা-ধমনি। চোখ মুখ দিয়ে গলগল করে বেরিয়ে আসছে সে আগুনের গরম ধোঁয়া। এবার ‘ভক’ করে একটা লেলিহান শীখা বেরিয়ে এল, ‘এই খদ্দেরগুলোকে নজরে রাখ, সব শালাকটাকে জবেহ করব। এইসব কাফেরদের আগে জবেহ না করতে পারলে কীসের জেহাদ? কীসের মুজাহিদ? শালোরা মদ্দা হনুর মতো নিজের স্বজাতিকেই খেয়ে নিচ্ছে! এ তো নিজের গায়ে নিজের থুথু ফেলা! ছিঃ!’ ঘৃণায় গা হাংলিয়ে ওঠে আতিফের। পাশের তাক’এ রাখা জগ থেকে ঢকঢক করে জল ঢালে গলায়। গলাটা বাঁশের চাঁচির মতো শুকিয়ে গেছে। জল পান করার পর ‘ঠক’ করে জগটা যেখানে ছিল সেখানে রেখে দিল। বাঁশের চাটাইয়ের ঘুপসি ঘর। ঘর না বলে চট-চাটাইয়ের ছাউনি বলায় ভালো। মাথার ওপরে বাঁশের ডাপের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা কালো রঙের একটা ত্রিপল। পশ্চিম দিকের একটা দেওয়ালে কাঠ দিয়ে বানানো দেড় হাত লম্বা দুটো তাক। নিচের তাকে কমলা রঙের মুখ চ্যাপ্টা একটা জলের জগ, একটা স্টেনলেসস্টিলের গিলাস আর কয়েকটা বাসনপত্তর। আর ওপরের তাকে থাক থাক করে সাজানো কয়েকটা বই। সব ওপরে রেহেলের ওপর যত্ন করে শুইয়ে রাখা একটা কোরআনশরীফ। পুবদিকের দেয়াল হেলে টাঙ্গানো একটা টার। তাতে ঝুলছে কিছু পোশাক আশাক। সাদ্দামের ‘উঠ বললে চট বগলে’র সংসার। কক্সবাজারেও সাদ্দামের একটা আস্তানা আছে। সেখানেও সে প্রায়শই ঘাঁটি গেঁড়ে থাকে। আর জে এফ’এর কাজে তাকে কখনো কক্সবাজার কখনও এই নয়াপাড়ায় রাত কাটাতে হয়। সাদ্দামের ‘মানুষকে মগজ ধোলাই করার’ টেকনিক এবং বুদ্ধি প্রখর। সে এই অল্প সময়েই এই চত্বরের প্রশাসনের অনেককে হাত করে ফেলেছে। কাকে কোন টোপ দিলে খাবে, তা তার ভালো ভাবেই জানা। সেভাবে চাড় তৈরিতেও সে সিদ্ধহস্ত। এই এলাকার সব লটঘটের খবর রাখে সে। এই জোনে আর জে এফ’এর সব ফন্দিফেউর’এ তার মগজ থাকে। সাদ্দাম আর জে এফ’এর একটা শক্তিশালী হ্যান্ড। তার যখন জন্ম হয়, তখন ইরাক দেশে সাদ্দাম হুসেনের বিশাল দাপোট। সাবেক রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হুসেন তখন বিশ্বজুড়ে মুসলিম দুনিয়ায় একটা বীরত্বের নাম। ফাতাংজার এই সবকত হুসেন তার সদ্য জন্মানো তৃতীয় পুত্রের নাম রাখলেন ‘সাদ্দাম হুসেন।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad
Header Ad

নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের চকবাজারের হিজলা খালে পড়ে যাওয়া ছয় মাস বয়সী শিশু সেহরিসকে নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কাপাসগোলার নবাব হোটেলের পাশের নালায় ওই শিশুটি নিখোঁজ হয়।

স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম মহানগরের চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় মা ও ছয় মাস বয়সী শিশুসহ একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা নালায় পড়ে যায়। এ ঘটনায় মাকে উদ্ধার করা গেলেও শিশুটি পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। এরপর শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর রিকশাচালক পালিয়ে যায়। দ্রুত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।

শিশুটির মামা মারূফ জানান, আসাদগঞ্জ থেকে চেহরিসকে নিয়ে তার মা ও দাদি তার (মারূফ) বাসায় বেড়াতে আসছিল। বাড়ির কাছে এসে রাস্তায় পানি থাকায় রিকশা নেয় তারা। কিন্তু নালার পাশে থাকা বাঁশের বেষ্টনী খুলে ফেলার কারণে তারা রিকশা নিয়ে নালায় পড়ে যায়। পরে চেহরিসের মা সালমা ও দাদি আয়েশাকে উদ্ধার করা গেলেও চেহরিস হারিয়ে যায়।

Header Ad
Header Ad

আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আরাকানকে নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সরকার।

প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশা মতে, আগামী ঈদের আগেই যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রেং—১৩৮৭ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. খলিলুর রহমান আরো বলেন, ‘আমি আজকেও (শুক্রবার) রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছি। তাদেরকে বলছি যে, আন্তর্জাতিক ফোরামে তারা যেন প্রত্যাবাসন বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।’

ড. খলিলুর রহমান রাখাইনদের উৎসব প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশ সকল ধর্মের, সকল নৃ—গোষ্ঠীর এবং সকল সংস্কৃতির একটি দেশ। আমাদের দেশের এই সময়টা উৎসবের সময়। তিনি বর্ষবরণের চমৎকার অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রতি অভিনন্দন জানান।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন।

এর আগে, গত রমজান মাসে জাতিসংঘের মহাসচিবকে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি, আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের জোর প্রচেষ্টায় থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলন চলাকালে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় মিয়ানমার সরকার।

Header Ad
Header Ad

‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি

লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক

আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) দেশব্যাপী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে অথবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা এই কর্মসূচির নামকরণ করেছেন ‘রাইজ ইন রেড’।

গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ নামক একটি ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা এই পেজের মাধ্যমেই তাদের আন্দোলনের বিভিন্ন আপডেট জানিয়ে আসছেন।

ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, আজ শনিবার তাদের কর্মসূচির নাম ‘রাইজ ইন রেড’ ঘোষণা করা হলো।

তারা জানিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সারাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হবে।

এই কর্মসূচির অধীনে কুমিল্লার ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে এবং কারিগরি শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত না হওয়ায় প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটক অনির্দিষ্টকালের জন্য লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।

পাশাপাশি, কারিগরি সেক্টরের বৈষম্য দূরীকরণ এবং তাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এড়িয়ে মহাসড়কের দুই পাশে অথবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল