শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক

‘নাহ, এখন গাঢ় অন্ধকার তো, তাই আর কি।’ আলগোছে বলল সাদ্দাম।
‘জীবনের অন্ধকারের থেকে কি ঘরের অন্ধকার বেশি গাঢ়? বেশি ভয়ানক?’
‘না, তা নয়।’ হাত কচলায় সাদ্দাম।
‘তবে?’ গলায় বাজ পড়ে আতিফের। তারপর খ্যাঁকানি দিয়ে বলে ওঠে, ‘বালিশে মাথা রেখে ঘুমোনোর জন্যে আমাদের জীবন নয়? আমাদের জীবন জ্বালানির মতো। সুযোগ পেলেই জ্বলে উঠতে হবে।’

চুপ মেরে যায় সাদ্দাম। বুঝতে পারে, আতিফ এখন আবেগে এসব বকছে। নিজের পরিবার তো। নিজের গর্ভধারিণী মা, জন্মদাতা বাপ, সহোদর ভাই যখন ব্যাপারটার সাথে জড়িয়ে তখন আবেগ থাকবেই। থাকাটাই স্বাভাবিক। সেও তো রক্ত-মাংসের মানুষ। সে তো আল্লাহর নুরের দ্বারা তৈরি কোন ফেরেশতা নয়। সাদ্দাম ভাবে, আতিফকে আর রাগানো ঠিক হবে না। সে যা বলছে তাইই করতে হবে। একবার পথে বেরোলে বুঝতে পারবে, ঠেলা কাকে বলে। ‘তিড়িং’ করে খাটিয়া থেকে নামল সাদ্দাম। বলল, ‘ঠিক আছে, চল, এখনই চল, দেখি কী করতে পারি।’
‘তুই ফোনে ফোনে বোট’টার ব্যবস্থা করতে পারিস কি না দেখ।’
‘এত রাতে কাউকে ফোনে পাব না।’

‘আগে ফোনটা করেই দেখ না ক্যানে।’ কণ্ঠ চড়াল আতিফ। প্লাস্টিকের মোড়কে জড়ানো মোবাইলটা মোড়ক থেকে বের করে কোথাও ফোন লাগাল সাদ্দাম। কানে কিছুক্ষণ ঠেসে ধরে থাকল। ‘সুইচঅফ’। কলটা কেটে দিয়ে অন্য একজায়গায় ডায়াল করল। নাহ! এটাও সুইচঅফ! মুখটা বাংলা পাঁচের মতো করে বলল, ‘নাহ, কাউকেই পাচ্ছি নে! সব ‘সুইচঅফ’।’
‘কোনো বিকল্প পথ?’
‘বিকল্প পথ’! আতিফের আবদার শুনে খচে উঠল সাদ্দাম। মনে বিড়বিড় কাটল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি তো একেবারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, যে সব পথ আমার জন্যে খোলা? এটা কি আমার মগের মুলুক না বাপের জমিদারি? যে ইচ্ছে করলেই সব কাজ আপনা আপনি হয়ে যাবে? আরে বাবা, আমি হলেম কি একজন ঘরপোড়া উদ্বাস্তু। পরের মুলুকে কোনোক্রমে ঠাঁই নিয়েছি। আমি কি এখানকার জায়গির নিয়েছি? আরে, কাজের হাল্কা কঠিনও তো আছে। সম্ভব অসম্ভব আছে। যেটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়, সেটাই আমাকে জোর করে করতে বলছে! বিজিবি’র ঠ্যালা তো খায়নি? একবার খেলে টের পেত, ঠাপের নাম বাবাজী কাকে বলে।

‘কোনো পথ নেই।’ কথায় গরম বাষ্পের ঠেলা দিয়ে বলল সাদ্দাম।
‘তুই কিন্তু রেগে যাচ্ছিস, সাদ্দাম।’ সাদ্দামের কথার ঝাঁঝ শুনে বলল আতিফ।
‘আরে না না, রাগব কেন? এতে রাগারই বা কী আছে। তোর কাজ মানেই তো আমার কাজ। তোর পরিবার মানেই তো আমার পরিবার।’ রাগটাকে ধামা চাপা দিয়ে ‘আমি তো তোরই লোক’ গোছের কথার প্রলাপ করল সাদ্দাম। সে পরনে ছাই রঙের একটা ফুলপ্যান্ট পরতে পরতে আরও বলল, ‘নয়াপাড়া চৌকি হয়ে যেতে হবে। ওখানে বাংলাদেশ নেভির এক মেজর আমার খুউব ঘনিষ্ট। তাকে পটিয়ে পাটিয়ে একটা স্পিডবোট ম্যানেজ করতে হবে। তবে এজন্যে আমাদের একটা পাপ কাজ করতে হবে।’

‘পাপ কাজ! মানে?’ চোখ কপালে আতিফের।
‘মানে, কাজটা খুবই সহজ। আবার কঠিনও।’
‘হেঁয়ালি মারিস ন্যা। খুলে বল।’
‘হেঁয়ালি আর কী মারব। যেটা বাস্তব সেটা বলছি।’
‘কাজটা কী?’ উতসুক হয়ে ওঠে আতিফ। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় খাড়া হয়ে ওঠে তার।
‘একটা মেয়ে জোগাড় করতে হবে।’ আমতা আমতা করে বলল সাদ্দাম।
‘মেয়ে! মেয়ে কী হবে!’ আকাশ থেকে পড়ল আতিফ।
‘মেয়ে আবার কী হয়। মেয়ে যা কাজে লাগে তাই।’ আলগোছে বলল সাদ্দাম।
‘তার মানে তুই বলতে চায়ছিস ওই নোংড়া কাজ। ছিঃ! ছিঃ সাদ্দাম! ছিঃ!’ কিছু একটা আন্দাজ করে ছিছি করে ওঠে আতিফ।
‘দেখ, যুদ্ধে মেয়েদের শরীরও একটা অস্ত্র। আর এটা কোন যুগে ছিল না, বল?’
‘ছলনা কপটতা করে যুদ্ধ জয় হতে পারে, কিন্তু মানুষের মন জয় করা যায় না।’
‘মানুষ থাকলেই তো মানুষের মন জয় করবি? যাদের কথা বলছি, তারা আর মানুষ নেই। ক্ষমতা আর টাকায় অমানুষ হয়ে গেছেন।’

‘তাই বলে এক মায়ের শরীরের বিনিময়ে আরেক মায়ের শরীর উদ্ধার! অসম্ভব। এ হারাম কাজ। এ আমি হারগিজ মেনে নেব না।’ কণ্ঠ বাজিয়ে বলল আতিফ। তারপর ফিসফিস করে বলল, ‘শরীরের বিনিময়ে শরীর! এক নারীর বিনিময়ে আরেক নারী উদ্ধার! ছিঃ!’
‘এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। ওই মেজর নারীর শরীর অথবা টাকার থলে ছাড়া কাউকে ভিড়তে দেবেন না। এই রাতে একমাত্র উনিই ভরসা ছিলেন। সেটা যদি বাতিল করি, তাহলে সাঁতার কেটে নদী পেরোতে হবে। সেটাও সম্ভব নয়।’ হাত-পা ছেড়ে নিজের কথা নিজেই ঢিলা দিল সাদ্দাম। আতিফ থপাস করে অন্তরফাটা টুলটায় বসল। এবার টুলটা একটু জোরে ‘ক্যাঁচ’ করে কেঁদে উঠল। আতিফের মনটাও কেঁদে উঠছে। তার অন্তরও যে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। যন্ত্রণার পেরেক বিষ মেখে অনবরত হাঙছে হৃদয়। যে হৃদয়ে এখন ঠোকর খাচ্ছে পরিবার পরিজন ফিরে পাওয়ার আকুতি। হৃদয়ের দেওয়ালে, ঠক্কর খাচ্ছে সাদ্দামের নোংড়া প্ল্যানিংটা। চোখ ঘোলা হয়ে আসছে তার। খিজিবিজি করছে মাথা। নারীর শরীরকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে তার কুন্ঠাবোধ হচ্ছে। সে ভালই জানে, নারীর শরীর যুগযুগ ধরে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু এ যে কাবিরা(বড়) গুনাহর কাজ। সারাজীবন জাহান্নামে থাকতে হবে। কিন্তু স্পিডবোট ছাড়া তো এত অল্প সময়ে নাফ নদী হন্যতন্য করে আব্বাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই দুঃসময়ে স্পিডবোটটাও যে খুবই দরকার। দোলাচলে পড়ে গেল আতিফ। মনের চিন্তনে দোটানার মন্থনে একটু একটু করে উঠে আসে আপনজনের টান। মন গাহায়, এই গণনিধনে কত মেয়েই তো ধর্ষিতা হয়ে মারা গেল, কত নারীর যৌবন নেকড়ের মতো ছিঁড়ে খেল বার্মিজ সেনারা। কত শরীর কত মানুষের খাবার হল। সেখানে আরও একটা মেয়ে না হয় আরও ছ ছটা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যে তার শরীরকে একটা পুরুষের কাছে কিছুক্ষণের ভোগের জন্যে বন্ধকই না হয় দিল। এতটুকু একটা ভিটেমাটির জন্যে কত তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। আর এ তো শরীরের কিছুটা এঁটো যৌবন কিছুক্ষণের জন্যে চেটেপুটে খেতে দেওয়া। কিছুটা ইজ্জত যাচ্ছে, প্রাণ তো আর যাচ্ছে না? আর সে এঁটো ইজ্জত কেউ তো আর বাহির থেকে দেখতে পাচ্ছে না? তাছাড়া অনেক মেয়েই তো আছে যারা টাকার বিনিময়ে ইজ্জত বিক্রি করে। সে আমার আপত্তি থাকলেও করবে, আপত্তি না থাকলেও করবে। রক্তের টানের কাছে ধর্মের টান আলগা হয়ে আসছে আতিফের। পাপবোধের জায়গাটা একটু একটু করে ঢিলা হয়ে আসছে। যে হৃদয়ে এতদিন পুণ্যের চাষ করে এসেছে, সেই হৃদয়েই বপন করছে পাপ। ঘাড় থেকে নিচের দিকে মাথা ঝুলিয়ে ফিস করে বলল, ‘এত রাতে মেয়ে কোথায় পাবি?’

এই তো! বগা এবার ঠিক লাইনে ভিড়েছে। যে জোয়াল কাঁধে দিয়েছি তাতে না ভিড়ে উপায় আছে? মনে মনে বলল সাদ্দাম। তারপর চোখ উল্টিয়ে সাদ্দাম বলল, ‘সে তোকে ভাবতে হবে না। এই শিবিরে ওসব গাঢ়ি গাঢ়ি। সব খুইখুই করে বেড়াচ্ছে। একটা টোপ দিলেই হল। খপ করে বড়শিতে আটকে যাবে।’
‘এই শিবিরে!’ চোখে বিস্ময় আতিফের।
‘হ্যাঁ, এই শিবিরে। এই নয়াপাড়া রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে।’
‘আমাদের ভিটেমাটি ছাড়া মেয়েরা এসব কুকাজ করছে!’
‘কেন করবে না? পেট তো সবারই আছে নাকি? এখানে শরীরের খিদের থেকে পেটের খিদে মারাত্মক। এরা শরীরের খিদে বেঁচে পেটের খিদে মেটায়। ইজ্জত বিক্রি করে পেটের খোরাক জোগায়। আরে, শরীরের জানটাকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে নাকি? জান না থাকলে, আর ইজ্জত রেখে কী লাভ। পেট বাঁচলেই তো ইজ্জত বাঁচবে?’
‘খদ্দের কারা?’ উৎসাহ বাড়তে থাকে আতিফের।
‘আমরাই। এই শিবিরে থাকা মানুষরাই।’
‘মানে, আমাদের রোহিঙ্গা পুরুষরা?’
‘হ্যাঁ, তবে শুধু রোহিঙ্গারা একা নয়, বাংলাদেশিরাও আছেন।’
‘রুজগার কেমন হয়?’ গোয়েন্দার মতো প্রশ্ন করে আতিফ।
‘যার যেমন ডিমান্ড, তার তেমন। গতর দেখে আয়।’
‘এই মেয়েদের সংখ্যাটা কেমন?’
‘তা না না করেও শ-খানেক তো হবেই। আর ভেতরে ভেতরে আরও কত আছে কে জানে। কেন তোর অত আগ্রহ কেন? এক্ষুনি যে আমাকে ছিছিক্কারি করছিলি?’

সাদ্দামের কথার কোনো উত্তর দেয় না আতিফ। সে সাদ্দামের কথায় অন্য এক অংকের মারপ্যাঁচে পড়ে যায়। এক অন্য হিসেব তার মাথাটাকে নাড়িয়ে দিচ্ছে। কুরে কুরে খাচ্ছে তার হৃদয়। তার দেশের মেয়েদের ইজ্জত বাঁচানোর জন্যে নিজের দেশ ছেড়ে এ দেশে পালিয়ে এসে, পেটের তাগিদে সেই ইজ্জতই বিক্রি করতে হচ্ছে! এ তো বিড়ালের হাত থেকে বাঁচতে বাঘের খপ্পরে পড়া! এ জাতি তো নিজের পাপের ভারেই ধ্বংস হয়ে যাবে! ওই জন্যেই মনে হয় আল্লাহ, এত ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় দিলেন। এ তো এক ধরনের আল্লাহর গজবই। আর আমাদের জাতভাইয়েরাও হয়েছে এক একটা নরপিশাচ। শয়তানের বিছন। এত ঠেলা খেয়েও মনের ভেতরে পুষে রাখা পশুটাকে মেরে ফেলতে পারছে না! পাশবিক হৃদয় নিয়ে কী দরকার ছিল নদী পেরিয়ে এদেশে আসা? ওদেশে গুলি খেয়ে মরলেই তো পারত? নদী পেরিয়ে আসার সময় নৌকো উল্টে ডুবে মরে যায়নি কেন? মাঝ নদীতে কেন নেমে আসেনি আল্লাহর গযব? এসব খবিষের দল কেন যে এখানে এসে জায়গা দখল করে বসে আছে! ভেতরে রাগে ক্ষোভে টগবগ করে ফুটতে থাকে আতিফ। তার রগ-রক্ত তীর হয়ে বেরিয়ে আসছে। ইটভাটার তপ্ত চিমনির মতো গনগন করছে শিরা-ধমনি। চোখ মুখ দিয়ে গলগল করে বেরিয়ে আসছে সে আগুনের গরম ধোঁয়া। এবার ‘ভক’ করে একটা লেলিহান শীখা বেরিয়ে এল, ‘এই খদ্দেরগুলোকে নজরে রাখ, সব শালাকটাকে জবেহ করব। এইসব কাফেরদের আগে জবেহ না করতে পারলে কীসের জেহাদ? কীসের মুজাহিদ? শালোরা মদ্দা হনুর মতো নিজের স্বজাতিকেই খেয়ে নিচ্ছে! এ তো নিজের গায়ে নিজের থুথু ফেলা! ছিঃ!’ ঘৃণায় গা হাংলিয়ে ওঠে আতিফের। পাশের তাক’এ রাখা জগ থেকে ঢকঢক করে জল ঢালে গলায়। গলাটা বাঁশের চাঁচির মতো শুকিয়ে গেছে। জল পান করার পর ‘ঠক’ করে জগটা যেখানে ছিল সেখানে রেখে দিল। বাঁশের চাটাইয়ের ঘুপসি ঘর। ঘর না বলে চট-চাটাইয়ের ছাউনি বলায় ভালো। মাথার ওপরে বাঁশের ডাপের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা কালো রঙের একটা ত্রিপল। পশ্চিম দিকের একটা দেওয়ালে কাঠ দিয়ে বানানো দেড় হাত লম্বা দুটো তাক। নিচের তাকে কমলা রঙের মুখ চ্যাপ্টা একটা জলের জগ, একটা স্টেনলেসস্টিলের গিলাস আর কয়েকটা বাসনপত্তর। আর ওপরের তাকে থাক থাক করে সাজানো কয়েকটা বই। সব ওপরে রেহেলের ওপর যত্ন করে শুইয়ে রাখা একটা কোরআনশরীফ। পুবদিকের দেয়াল হেলে টাঙ্গানো একটা টার। তাতে ঝুলছে কিছু পোশাক আশাক। সাদ্দামের ‘উঠ বললে চট বগলে’র সংসার। কক্সবাজারেও সাদ্দামের একটা আস্তানা আছে। সেখানেও সে প্রায়শই ঘাঁটি গেঁড়ে থাকে। আর জে এফ’এর কাজে তাকে কখনো কক্সবাজার কখনও এই নয়াপাড়ায় রাত কাটাতে হয়। সাদ্দামের ‘মানুষকে মগজ ধোলাই করার’ টেকনিক এবং বুদ্ধি প্রখর। সে এই অল্প সময়েই এই চত্বরের প্রশাসনের অনেককে হাত করে ফেলেছে। কাকে কোন টোপ দিলে খাবে, তা তার ভালো ভাবেই জানা। সেভাবে চাড় তৈরিতেও সে সিদ্ধহস্ত। এই এলাকার সব লটঘটের খবর রাখে সে। এই জোনে আর জে এফ’এর সব ফন্দিফেউর’এ তার মগজ থাকে। সাদ্দাম আর জে এফ’এর একটা শক্তিশালী হ্যান্ড। তার যখন জন্ম হয়, তখন ইরাক দেশে সাদ্দাম হুসেনের বিশাল দাপোট। সাবেক রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হুসেন তখন বিশ্বজুড়ে মুসলিম দুনিয়ায় একটা বীরত্বের নাম। ফাতাংজার এই সবকত হুসেন তার সদ্য জন্মানো তৃতীয় পুত্রের নাম রাখলেন ‘সাদ্দাম হুসেন।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ