শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ৯

অঘ্রানের অন্ধকারে

অনেকদিন বাদে তুরি এই রেষ্টুরেন্টে এসে বসেছে। একসময় প্রায় প্রতিদিন আসত সেই উচ্ছল চঞ্চল দুরন্ত মানুষের সঙ্গে। সেই মানুষটা এখন অন্য বন্ধু জুটিয়েছে। তাদের সঙ্গে উদ্দাম সময় কাটায়। তুরির ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে আসে মানুষটা। যদি আজ আবার দেখা হয় তাহলে কি সেই আগের মতো করে বলবে, তুমি এত সুন্দর করে কথা বলো কীভাবে, শুধু শুনতে ইচ্ছে করে!

আনমনা হয়ে যেত তার কথা শুনে তুরি। কী চেয়েছিল সে, সেও কি তা জানত! হয়তো পুরোটাই তার ছেলেমানুষি ছিল। ওই দুম করে পিঠের ওপর কিল মেরে বসা। চুলের বেণি ধরে আচমকা টান দিয়ে নিজের বুকের ওপর নিয়ে ফেলা। দুম করে হাত ধরে হ্যাঁচকা টানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া। তুরিই শুধু দূরে দূরে সরিয়ে রাখত নিজেকে। এখন খুব মনে হয়, একবার যদি আসত! এসে হাতটা ধরে বলত, তোমাকে এত পছন্দ করি কেন?

ভাবনাগুলো যখন জমাট বাঁধতে শুরু করেছে তখন শাবিন এসে দাঁড়াল সামনে।

এত দেরি করলেন আপনি? আমি সেই কখন থেকে বসে আছি, গলায় প্রতীক্ষার অভিমান ছিল তুরির।

শুনে বুকের ভেতর ছটফট করে উঠল শাবিনের। নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, জায়গাটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

তুরির মুখোমুখি বসল শাবিন এবং মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকল। নিরাভরণ একজন মানুষ যখন এত সুন্দর হয় তখন তার মাধুর্য হয় একান্তই আপনার, ধার করা সৌন্দর্য সে নয়। না কপালে ছোট্ট টিপ। না গলায় কিছু, না কানে। আভরণহীন তুরির সেই মোহিনী মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকল শাবিন।

তুরি ওর মুগ্ধতাকে ধাক্কা দিয়ে নাড়িয়ে দিলো, কিছু ভাবছেন মনে হয়?

শাবিন চমকাল তবে সত্য গোপন করে বলল, অস্বস্তি কাটছে না।

কেন?

এরকম মারমার কাটকাট দুর্দান্ত টাইপ রেষ্টুরেন্ট, মনে হচ্ছে আমি খুবই বেমানান এখানে।

এরকম মনে হচ্ছে কেন?

এমন দামী রেষ্টুরেন্টে আসা হয় না। পাড়ার ছাপড়া চায়ের স্টল, তারপর এখানকার ওই হোটেল, আমার দেখা ওই পর্যন্ত। এখানে অস্বস্তি তো লাগবেই, তাই না! সহজ-সরল স্বীকারোক্তি শাবিনের।

তুরি আস্থা মেশানো গলায় বলল, ওরকম করে ভাবছেন কেন? ভাবুন এটা আপনার জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। আপনি চাইলেই হবে।

হ্যাঁ, এখন খুব স্বাভাবিক। এতদিন ছিল না।

এই চিন্তাটা আপনাকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।

কোন চিন্তাটা?

এবার তুরির কণ্ঠে অধিকারের সুর, কী ছিল, কী ছিল না। আপনি বর্তমান নিয়ে ভাববেন। আগামী নিয়ে কথা বলবেন। আপনার এখন প্রধান কাজ হবে রেগুলার ক্লাস করা এবং পরীক্ষা দেওয়ার সব রকমের প্রিপারেশান কমপ্লিট করা। আপনি কি বুঝতে পারছেন, কী বলছি?

শাবিনের ইচ্ছে করছে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে আনন্দ প্রকাশ করতে। বুকের ভেতরের খুশির ঢেউ মুখের হাসি হয়ে ফুটে উঠল, বুঝতে পারছি।

তুরি মুগ্ধচোখে শাবিনের দিকে তাকিয়ে আছে। কাতর আবেগ মেশানো গলায় তুরি বলল, আপনি খুব ভালো রেজাল্ট করবেন। সেই যোগ্যতা আপনার আছে, আপনি জানেন। ভালো চাকরিতে জয়েন করবেন। আপনার মা কেমন খুশি হবেন বলুন তো।

শাবিন বলল, আর তুমি?

তুরি চারপাশ আলো করে গেয়ে উঠল, পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে/ পাগল আমার মন জেগে ওঠে-

 

সাত দিন পার হয়ে গেল। তুরির সঙ্গে দেখা হয়নি। ফোন করলে সাদামাটা হাই-হ্যালো ধরনের কথা হয়। সামনে শাবিনের পরীক্ষা। সে পড়ায় মন দিয়েছে। খুব দরকার না হলে বাসা থেকে বের হয় না।

আরও দুদিন পার হয়েছে। এই দুদিনে তুরির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার ফোন বন্ধ। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারে তুরি নেই।

আজ শাবিনের জন্মদিন। আজ যে শাবিনের জন্মদিন সেটা আবিষ্কার করেছে তুরি। ন্যাশনাল আইডি কার্ডে জন্মদিন লেখা আছে পহেলা জানুয়ারি।

তুরি বলেছিল, খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনার সঙ্গে যারা এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সবার জন্মদিন পহেলা জানুয়ারি।

এই তথ্য শাবিনকে অবাক করেছে। ক্লাস নাইনে রেজিস্ট্রেশনের সময় হেডস্যার ওদের বয়স ঠিক করে জন্ম তারিখ লিখে দিয়েছিলেন।

বিস্মিত হয়ে শাবিন বলল, হ্যাঁ, এই তারিখটা আমাদের স্কুলের হেডস্যার ঠিক করেছেন। অনেকের বয়স তিনি পহেলা জানুয়ারি লিখেছিলেন। আপনি জানলেন কেমন করে!

তুরি কেন জানি জেদ ধরে থাকল। সে শাবিনের আসল জন্ম তারিখ বের করতে চায়। শাবিনের মা ঠিকঠাক বলতে পারলেন না। বললেন, তোর বাবা জানত।

তুরির আগ্রহে শাবিন পুরাতন কাগজ ঘেটে জন্মদিন লেখা বাংলা সাল তারিখ বের করে এনে দিলো। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের সঙ্গে দিনক্ষণ মিলিয়ে তুরি বের করেছে আজ শাবিনের অরিজিনাল জন্মদিন।

শাবিন জানে তুরি আজ এখানে আসবে। তুরি বলেছিল, এরপর দেখা হবে আপনার সঙ্গে আমার বিশেষ কোনো দিনে এই রেস্টুরেন্টে।

আজ বিশেষ দিন। এত বছর মনে হয়নি। আজ মনে হয়েছে। এখানে আসার আগে কেন জানি আচমকা বুকের ধড়ফড়ানি বেড়ে গেল। কাজগুলো গুছিয়ে করতে পারছিল না। স্যান্ডো গেঞ্জির ওপর শার্ট পরতে গিয়ে খেয়াল করল গেঞ্জি পরেছে উলটো করে। খুব যে গরম পড়েছে তা না। মাত্র গোসল করেছে, তাও দরদর করে ঘামছে। সবুজ ছাপছাপ শার্ট খুলে নীল প্রিন্টের শার্ট গায়ে দিলো। ভেজা তোয়ালেতে আরেকবার ঘাড় মুখ মুছে গা থেকে শার্ট, স্যান্ডো গেঞ্জি খুলে সাদা আর অ্যাশের কম্বিনেশনের পলো গেঞ্জি পরে নিলো।

বুকের ধড়ফড়ানি কমে গেলেও অস্থিরতা থেকে গেছে। তুরি আসবে কিনা নিশ্চিত না। মন বলছে তুরি আসবে। বুকের ভেতর ঢিপঢিপ করছে। তুরি আসছে না। ভুলে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। শাবিন জানে তুরি আসবে। তুরি ওকে কথা দিয়েছে।

শাবিন টেবিলের ওপর টিস্যু বক্স থেকে টিস্যু পেপার নিয়ে সমান দুই ভাঁজ করে ছিঁড়ল। দুই টুকরো টিস্যু পেপারের একটাতে লিখল ‘ওয়াই’, মানে ইয়েস। আর একটাতে লিখল ‘এন’, মানে নো।

চোখ বন্ধ করে কাগজ তুলবে। যদি ‘ওয়াই’ ওঠে, তারমানে তুরি আসবে। যদি ‘এন’ ওঠে, তাহলে জানবে তুরি আসবে না। ‘ওয়াই’ আর ‘এন’ লেখা টিস্যু পেপারের টুকরো দুটো বেশ কয়েক ভাঁজ করে টেবিলের ওপর ছড়িয়ে দিলো। চোখ বন্ধ করে হাতড়ে একটা কাগজ তুলল। খুলে দেখল তাতে লেখা ‘এন’।

শাবিন ভাবল একবার না, তিনবার দেখবে। দেখলও তাই। চোখ বন্ধ করে ভাঁজ করা কাগজ তুলল তিনবার। পরপর দুবার ‘ওয়াই’ লেখা কাগজ উঠল। 

শাবিন প্রতীক্ষায় থাকল। তুরি এলো না। শাবিন ফিরে গেল।

 

শাবিন এসেছে তুরিদের বাসায়।

বড়ো আপা শাবিনকে দেখে বললেন, কী ব্যাপার! এতদিন পর! কোথায় উধাও হয়ে গিয়েছিলে?

বড়ো আপার সঙ্গে কথা বললেই শাবিনের মন ভালো হয়ে যায়। চনমনে গলায় বলল, এই তো একটু ব্যস্ত ছিলাম।

চাকরি শুরু করেছ নাকি?

না বড়ো’পা। ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম।

বাহ্। খুব ভালো খবর। বসো, তোমাকে মিষ্টি খাওয়াই। ঘরে বানানো।

শাবিন জিজ্ঞেস করল, তুরি কোথায়?

ও তো চলে গেছে, বড়ো আপা এমনভাবে বললেন যেন তুরির কোথাও যাওয়ার কথা আর শাবিন সেটা জানে।

চলে গেছে মানে! কোথায়? বড্ড অস্থির শোনাল শাবিনের গলা।

বড়ো আপা হাসলেন। হেঁয়ালি করে বললেন, তুরি হারিয়ে গেছে।

প্লিজ বড়ো’পা! অমন করবেন না। বলুন ও কোথায় গেছে!

বড়ো আপার কণ্ঠস্বর এবার অপরিচিত মনে হলো। ধীর শান্ত গলায় বললেন, শোনো শাবিন। পড়াশোনা করতে চাইছ, মন দিয়ে করো। আমি শুধু ওর না, তুমি যদি সত্যি আমাকে বড়ো বোন মনে করো, তোমার সেই বড়ো বোন হয়ে বলছি, তুমি ওকে খুঁজো না।

কেন?

প্রশ্ন থাক। ধরে নাও তুরি সত্যি হারিয়ে গেছে।

হারিয়ে গেছে বলেই তো খুঁজব। না খুঁজলে পাব কীভাবে?

খুঁজলেই যে পাবে সে ব্যাপারে কি তুমি নিশ্চিত?

আমার মন বলছে।

তাহলে খুঁজতে পারো।

শাবিনের সহসা মনে হলো তুরি কোথায় যেতে পারে সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। সে তুরিকে কোথায় খুঁজবে! তুরিকে খুঁজতে হবে কোনোদিন এমন কথা সে ভাবেনি কখনো।

বড়ো আপা গলার স্বর বদলে ফেললেন। কণ্ঠস্বরে গভীর আন্তরিকতা নিয়ে বললেন, আমি বলি কী, তার আগে নিজের ভিতটাকে আরও মজবুত করে নাও। আমি তোমাকে সাহায্য করব। শুধু খুঁজে পেলেই তো হবে না, তাকে ধরে রাখার মতো যথেষ্ট শক্তি থাকতে হবে।

বড়ো আপার আন্তরিকতা শাবিনকে শান্ত করতে পারল না। ভেতরটা পুড়ে খাক হয়ে গেল। হতাশ গলায় বলল, আমার আরও আগে বোঝা উচিত ছিল।

বড়ো আপা বললন, তুমি হয়তো কেবল অবলম্বন খুঁজছিলে মাত্র। তারচেয়ে বেশি কিছু না। যেটাকে তুমি অবলম্বন করবে সেটাও তো যথেষ্ট শক্ত হওয়া চায়। নাহলে যে সবশুদ্ধ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে।

ঝট করে উঠে পড়ল শাবিন। বলল, যাই বড়ো’পা।

বড়ো আপা আটকালেন না, তবে একটুক্ষণ দাঁড়াতে বললেন, তুরি তোমার জন্য বই রেখে গেছে। তুমি দাঁড়াও আমি নিয়ে আসছি।

তুরিকে ফোন করল শাবিন। তুরির ফোন বন্ধ। বলছে সুইচড অফ। কেউ যদি ইচ্ছে করে হারায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। শাবিনের মনে হচ্ছে তুরি তার কাছ থেকে ইচ্ছে করে হারিয়ে গেছে। সিলভিয়ার ফোন নম্বর শাবিনের নেই। সে এখান থেকে বের হয়ে নিকেতনে যাবে। সিলভিয়াদের ফ্ল্যাটে।

শাবিন দাঁড়িয়ে আছে। ভেঙে পড়ছে সবকিছু। বড়ো আপা ভেতরের ঘর থেকে একটা বই এনে শাবিনের হাতে দিয়ে বললেন, তুমি আমার ওপর রাগ করলেও জেনো সব সময় তোমার এই বড়ো বোন তোমার জন্য দরজা খুলে অপেক্ষা করবে।

কোনো কথা না বলে বইটা হাতে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ল শাবিন।

হনহন করে হেঁটে যাচ্ছে। রাগ কী অভিমান ওকে ভেঙেচুরে তছনছ করে দিচ্ছে।

সিলভিয়াকে বাসায় পাওয়া গেল না। তার বোন শাবিনকে আগে কখনো দেখেননি বা তার নাম শোনেননি বলে সিলভিয়ার ফোন নম্বর দিতে রাজি হননি।

 

শাবিন হাঁটছে রোদ্দুর ভেঙে। খানিকটা উদ্দেশ্যবিহীন, খানিকটা এলোমেলো। দরদরে তাতাল দুপুর। একেবারেই নিজের ভেতর নিজের মতো করে ডুবে আছে বলে রোদের তেজ অনুভব করতে পারছে না। হয়তো রোদ যতটুকু শরীর পোড়াতে চাইছে, নিজের সঙ্গে নিজের কথোপকথনে মন, আত্মা আর সত্তা পুড়ছে তারচেয়ে বেশি।

হাঁটতে হাঁটতে বকুল তলার সেই পুকুর পাড়ে এসে দাঁড়াল। একটা শালিক এসে বসেছে সামনের নারকেল গাছের সবচেয়ে উঁচুতে যে পাতা তার ওপর। পাতা বাতাসে তিরতির করে কাঁপছে। শাবিনের নিজের ভেতর প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, যারা খুব বেশি যুক্তি নির্ভর, যারা বাস্তবতা দিয়ে বিচার করতে পারে সবকিছু, তাদের কি কখনো বুকের ভেতর কষ্ট হয়! তাদের কি কখনো বুক চেপে আসে কষ্টে!

শাবিনের মনে হয়, কারও কারও ভেতরে কী প্রচন্ড কাঙালীপনা থাকে। সে জানে চলে যাবে, তবু কোথাও একটু আঁচড় রেখে যেতে চায়।

মনের ভেতর কবেকার একটা গান ভাসতে থাকে,

এখন আমার বড়ো দুঃসময়

মনের আকাশ মেঘে ঢাকা

যখন তখন চোখের কোণে

নিশি জমা হয়।

 

এই শহর আর টানছে না শাবিনকে। আলগা হয়ে গেছে বাঁধন। তুরি ওকে কিছু না বলে কোথাও চলে গেছে। বড়ো আপা হেঁয়ালি করে বলেছেন, তুরি হারিয়ে গেছে। তীব্র কষ্ট কিংবা অভিমান শাবিনকে একেবারে একা করে দিয়েছে। 

শাবিন ওদের গ্রামে যাচ্ছে। কেন জানি মনে হয়েছে বাবা সেখানে থাকতে পারেন। শাবিনের খুব বাবার কথা মনে পড়ছে। ছোটোবেলা থেকে যে বাবাকে সে ভয় পেয়ে আসছে। যার কাছ থেকে সবসময় দূরে থাকতে চেয়েছে। আজ সেই বাবার জন্য তার বুকের ভেতর হাহাকার করছে। মনে হচ্ছে বাবার কাছে আশ্রয় পেলে সে শান্তি পাবে।

পড়ন্ত বিকেলের ট্রেনে চেপে বসেছে। ট্রেনের কামরায় জানালার ধারে বসে আছে শাবিন। দুপাশের গাছগুলো কেবল সরে সরে যাচ্ছে। শূন্যতায় চোখ মেলে থাকা শুধু। বাইরে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগছে না। চোখ টনটন করছে। পাশের ব্যাগের ভেতর থেকে তুরির দেওয়া বই বের করল খানিকটা বেখেয়ালে। চলে যাওয়ার আগে বড়ো আপার কাছে তুরি ওর জন্য বইটা রেখে গেছে। কাহ্লিল জিবরান-এর ‘দ্য স্যান্ড অ্যান্ড ফোম।’ প্রচ্ছদের ওপর হাত বুলিয়ে মলাট ওলটালো।

বইয়ের প্রথম সাদা পাতায় গোটা গোটা অক্ষরে তুরি লিখেছে,

আমাদের জীবন অনেকগুলো ছোটো ছোটো ভুল দিয়ে গড়া। আমরা আমাদের জীবনের সেই ভুলগুলোকে ধরতে পারি না। আর ধরতে পারি না বলে আমরা হেরে যাই অনায়াসে। আমাদের কিন্তু হারার কথা ছিল না। কথা ছিল আমরা আমাদের ভুলগুলোকে হয় উপড়ে ফেলে, না হয় তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাব। আমরা পারিনি। আমরা কেবল পিছিয়ে পড়েছি। পিছিয়ে পড়া জীবন মানুষের জীবন না। মানুষের জীবন জয় করার জন্য, হারার জন্য নয়। জয় কীভাবে সুনিশ্চিত করা যায় সেটা আমাদের ভেবে দেখা জরুরি। নাকি আমরা প্রতিদিন একটু একটু করে ক্ষয়ে যাব! ক্ষয়ে যাওয়ার জন্য আমরা জন্মাইনি, আমরা জন্মেছি সৃষ্টি করতে। নতুন পৃথিবীর জন্ম দেব বলে আমরা জন্মেছি। আমরা জন্মাব আবার নতুন আরেকটি পৃথিবীর জন্ম দিতে।

আর তারপর? তারপর আমার নটে গাছটি মুড়োল। স্বপ্ন আমার ফুরোল। হায় রে সামান্য মেয়ে, হায় রে বিধাতার শক্তির অপব্যায়।

চোখদুটো বন্ধ করে বুকের ভেতর গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিল শাবিন। চেপে আসছে বুকের ভেতর, ওখানে বাতাসের বড্ড অভাব। শূন্যতায় ভরা বুকের ভেতর চাপা কষ্ট গুড়গুড় করে উঠল।

(চলবে)

 

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির কাঁধে এখন অনেক দ্বায়িত্ব। এদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা বিএনপি কে নিয়ে।  সুতারাং দেশের মানুষের আকাঙ্খা অনুযায়ী নেতা-কর্মীদের আচরন করতে হবে। তৈরী হতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,  অন্তবর্তী সরকারকে বুঝতে হবে জনগন কি চায়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সব সংস্কার অন্তবর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয়। তারা একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের আয়োজন করে জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তারপর নির্বাচিত সরকার বাকী সংস্কার করবে।

এ সময় দ্রুত নির্বাচনের দেয়ার  দাবী জানান তারেক রহমান। 

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন পর বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং আনন্দ মুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টার সময় স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করতে যেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাত ধরেই অর্থাৎ তার নেতৃত্বেই এদেশে হত্যা, লুণ্ঠন, এবং অপরাজনীতি শুরু হয়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বদলে গনতন্ত্র হত্যা করে সকল দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে একটি রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একটি বদ্ধ কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল।

এসময় তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের উত্তরসূরী ফ্যাসিবাদের চুড়ান্ত বাস্তবায়নকারী শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর এদেশের জনগণের ঘাড়ে অবৈধভাবে চেপে বসে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে অবরুদ্ধ করে অসংখ্য খুন গুম ব্যাংক লুট এবং অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করছিল। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে দেউলিয়া এবং চরম দারিদ্র্যের শেষ সীমায় পৌঁছে দিয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, দেশকে দেশি ও বিদেশি চক্রান্তের মোকাবেলা করে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর এটা করতে হলে অবিলম্বে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার।

শুরুতে সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠ করা হয়। এরপরে সম্মেলনের উদ্বোধক সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। বিগত দিনে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন জেলা বিএনপি নেতা ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। সম্মেলনে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, এড.নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ সভাপতি বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিথা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু তালহা, জেলা জাসাসের সভাপতি সেলিমুল হাবিব, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তবারক হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম মনি, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস মিলি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু প্রমুখ।

সম্মেলনের একপর্যায়ে জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের হাতে তারেক রহমানের পক্ষে উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। 

সম্মেলনে একমাত্র প্রার্থী হিসাবে আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ইতিমধ্যেই চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় আজকের সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ৮০৮ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী