শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ | ১৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক

 

“মানুষ উদ্ধার।“
“মানুষ উদ্ধার! স্পিডবোডে আর ক-জন ধরবে? তা ছাড়া এখন তো সীমান্ত সিল। কোনো রোহিঙ্গাই তো আর নদী পেরিয়ে ইচ্ছেমতো এখানে আসতে পারবে না। বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। তাদের চোখে ধুলো দেওয়া মানে, নিশ্চিত মৃত্যু।“
“ধুলো দিতে হবে কী মূলো দিতে হবে, সেসব তোর ব্যাপার। আমাকে নাফ নদীতে যেতে হবে এবং আমার পরিবারকে উদ্ধার করে এখানে আনতে হবে, এটাই শেষ কথা। এবার কী করতে হবে না হবে সেটা তুই ভাব।“
“পরিবার! তোর পরিবার!” আকাশ থেকে পড়ল সাদ্দাম।
“হ্যাঁ, আমার পরিবার। আমার আব্বা, মা, ভাই, ভাবি, ভাইপো সবাই এখন নাফ নদীতে।“
“তুই বলছিস কী!”
“হ্যাঁ, আমি ঠিকই বলছি।“
“তা জানলি কী করে?”
“ফোনে। আব্বাদের নৌকোদের সঙ্গে একই সঙ্গে একটা নৌকো ছিল। সেই নৌকোর কোনো লোক ফোন করেছিল। আসলে, হয়েছিল কী, আমার কোনো ভাই হয়ত ওই লোকটার ফোন থেকে আমাকে ফোন করেছিল, তখন আমার ফোন বন্ধ ছিল। যেহেতু আমার ফোনে ‘মিসডকল অ্যালারট’ সার্ভিস অন ছিল, তাই পরে আমি ওই নম্বর থেকে ‘মিসডকল’ দেখতে পাই। আমি কার ফোন না কার ফোন বলে, কলব্যাক করি, তখন ওই ভদ্রলোক ফোনটা রিসিভ করেন এবং আব্বাদের নাফ নদীতে ভেসে থাকার ব্যাপারটা বলেন।“
“তোর বাড়ির কারোর সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি?”
“নাহ, লোকটাকে যখন আমি ফোন করি, তখন আমাদের বাড়ির নৌকোটা ওদের নাগালের বাইরে চলে গেছিল।“
“পরে আর কন্টাক করিসনি?”
“একবার নয়, দুবার নয়, বহুবার করেছি। পাইনি। বলছে, স্যুইচঅফ। আমার মনে হয়, মোবাইলে চার্জ নেই।“
“তাহলে তো একটা স্পিডবোড জোগাড় করতেই হয়।“ সাদ্দামের মনটা তড়াক করে ওঠে। সে যেন একটা নাড়ির টান অনূভব করে।
সাদ্দামের সঙ্গে আতিফের রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। সে মংডুর ফাতাংজার লোক। ‘রোহিঙ্গা জেহাদি ফৌজ’এ এসে তাদের আলাপ। সাদ্দাম মূলত আর জে এফ’এর হয়ে গুপ্তচরের কাজ করে। তরুণ ছেলেদের মগজ ধোলাই করে আর জে এফ’এ ঢোকানো তার কাজ। সে বয়সে আতিফের মাথামাথি। তার চিমটে শরীরের হাড়ে হাড়ে বুদ্ধি। তার চিথোল কপালের ডানদিকে একটা কাটা দাগ আছে। দাগটা অনেকটা ইংরাজি জে অক্ষরের মতো। উজ্জ্বল তামাটে রঙের সাদ্দামের মাথায় ঝাঁকড়া চুল। মুখে চাপ দাড়ি। হাল্কা ফিনফিনে গোঁফ।
ঝড়ের লেজের ঝাপটায় চটের দরজাটা উৎপটাং হয়ে সাদ্দামের পিঠের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে পেছনের চুলের হিপ্পিতে ঠেকল। ঠান্ডা হলহলে বাতাস হলহল করে ঘরে ঢুকছে। গায়ে কাঁটা দিচ্ছে আশ্বিনের কালহা। আতিফ উদেম দরজা দিয়ে বাইরে দেখছে, পলিথিনের ছাপুর ঘরগুলোর চালা ঝড়ের আউড়িবাউড়ি বেঁধে একে একে শুকনো পাতার মতো উড়ে যাচ্ছে। যেভাবে উড়ে যাচ্ছে ধানগাছের শীষ, পাতা। এই নদী তীরবর্তী পলিজমির ধানি ক্ষেতির মাঝে এই ত্রিপলের ছাউনিগুলো যেন আগাছার মতো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। যেন বড্ড বেমানান। আর ঝড় এসে সেই আগাছাগুলোকেই বেশি বেশি করে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতি যেন এই অস্থায়ী বসতভিটের উপর রুষ্ট। কিন্তু মানুষ তো প্রকৃতি থেকে আলাদা কেউ নয়। মানুষ তো প্রকৃতিরই সন্তান। ধান যেমন মানুষের ফসল। ঠিক তেমনই মানুষ ঈশ্বরের ফসল। আর সব ফসলই প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠে। পুষ্ট হয়। ফুল ফল দেয়। গন্ধ ছড়ায়।

আতিফ দেখছে, যেসব রোহিঙ্গারা এখনো এই অস্থায়ী মাথা গোঁজার চালাছাউনি পায়নি, তারা এই ঘোর দুর্যোগে ঘাসের, ধানের ঝোপ আঁকড়ে আকাশের দিকে পিঠ করে, উপুড় হয়ে শুইয়ে আছে। মাথার তলায় বাড়ি থেকে বয়ে নিয়ে আসা পোঁটলাপুঁটলির বালিশ। পিঠের উপর সাট করে পেড়ে রাখা বস্তার থলে। মানুষ কুকুর শেয়ালের থেকেও খারাপ ভাবে বেঁচে আছে। আতিফ ভাবে, এই শরীরে রুহু দাঁত কামড়ে কেন যে পড়ে আছে? এতে শরীরেরও ছড়াদ, জানেরও ছড়াদ। জীবন এখানে ডালের খোসা ছাড়ানোর মতো যাঁতাকলে অনবরত পেষন খাচ্ছে। পড়পড় করে উঠে যাচ্ছে, তার ছালচামড়া। তবুও এ শরীর রুহুকে ছাড়তে চায় না। রুহুকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। মাংস যায় যাক, চামড়া যায় যাক, রক্ত আর হাড় থাকলেই হল। ওতেই ঠনঠন করে বাড়ি মেরে বেঁচে থাকবে। থপথপ করে হাটবে জীবন। মাথার উপরের পড়পড়, টপটপ, সাঁ সাঁ, খচমচ শব্দ ধীরে ধীরে কমে আসছে। বাতাসের ঝাপটার বেগও একটু একটু করে মরে আসছে। আশ্বিনের সর্বনেশে ঝড়টার তেজ কমে আসছে। জানালার খোপ দিয়ে তার আধমরা আস্ফালনটা হুড়ুম হুড়ুম করছে।
“চাচাজির খবর কী? শরীরের অবস্থা?” জানতে চাইল সাদ্দাম।
“ভালো না। এমনিতে তো বিছানাগত ছিলই। লোকটা ফোনে যেটুকু আভাস দিয়েছিলেন, তাতে আব্বার কন্ডিশন খুবই সিরিয়াস। ‘যাই যাই’ অবস্থা। জানি না, আজ আর বেঁচে আছে কি না!” আতিফের গলা ভারী হয়ে ওঠে।
“তুই, টেনশান করিস না। চাচাজী সুস্থই থাকবেন।“
“এসব কথার কথা সাদ্দাম, বলতে হয় তাই বলছিস। বাস্তব তো অন্য কথা বলছে। আব্বার যা অবস্থা ছিল, তাতে তার পক্ষে আর বেঁচে থাকা কোনোমতেই সম্ভব নয়।“
“তুই এভাবে বলতে পারিস না। হায়াত-মউতের মালিক আল্লাহ। তিনি যদি বাঁচিয়ে রাখেন তো চাচাজি নিশ্চয় বেঁচে আছেন।“
“তোর কথায় যেন সত্যি হয়। আমাদের স্বাধীন দেশের জন্যে আব্বার বেঁচে থাকাটা যে খুবই জরুরি। আব্বার যে দাফনের মাটিটুকু পাওয়া বড্ড প্রয়োজন।“
“হ্যাঁ, তুই যেন স্বপ্নটার কথা একদিন বলছিলি। তুই এসব মানিস?”
“দেখ, আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ঠিকই, কোনো বুজরকি, কুসংস্কারে আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু, এই ব্যাপারটা যেন আমার অন্তরকে অনবরত ভাবায়। আমার এতদিনের বদ্ধমূল ধারণায় অনবরত হাতুড়ি ঠুকে। কেমন যেন মনের মধ্যে একটু একটু করে বিশ্বাস জন্মে উঠছে। আমার ক্যালকুলাস, কোয়ান্টাম থিউরির উপর গেঁড়ে বসছে জিন-পরি, ফেরেশতা আর রাতের খোয়াব। আমি অলৌকিক বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে উঠছি।“
“মানুষের নিজের মন দুর্বল হয়ে গেলে, নিজে নিঃস্ব হয়ে গেলে, সে টাকায় নিঃস্ব নয়, ভাবনায়, আপনজনে, আত্মীয়-কুটুমে নিঃস্ব, একা হয়ে গেলে, মনে এসব বিশ্বাস দানা বাঁধে। মানুষ তখন, নিজের বুদ্ধিতে নয়, হাওয়া-বাতাসের কাছে নিজেকে সঁপে দেয়। তখন মাথার মগজের থেকে কাঁধের ফেরেশতার প্রতি বেশি বিশ্বাস জন্মায়। মানুষ তখন জিন-ফেরেশতার তুরকি নাচনে নাচে। হাঁটে। খায়। অর্থাৎ যাপন করে।“
“আব্বার স্বপ্নাদেশটা যাইই হোক, যত বুজরকি, শেরেকি হোক না কেন, আমাদের চেষ্টা করতে তো কোনো ক্ষতি নেই? কী আর দিতে হবে, হাতের তিনমুঠো মাটি। সাড়ে তিন হাত মাটির উপরে একটা কবর। এতে তো আর রাষ্ট্রও চলে যাচ্ছে না, রাজপাটও চলে যাচ্ছে না। ক-দিনের আর মাটি দখল? বড়জোর ছ-মাস, এক বছর, না হয় দু-বছরই হলো, পচে তো সেই মাটিই হয়ে যাবে? কবর কখনো চির দখলের জায়গা নয়। কানো মৌরসিপাট্টাও নয়। শুধু রক্ত-মাংসের দেহটা পচে মাটি হওয়া পর্যন্ত কদিনের ঠাঁই মাত্র।“
“একটা ‘কবর’ মানেই যে আজ একটা ‘দেশ’। কবরের মাটি পাওয়া মানেই তো দেশ পাওয়া। আল্লাহ যেন চাচাজির কপালে ‘দাফনের মাটি’ লিখে রাখেন।“
“ঝড় মনে হয় থেমে আসছে, তুই বোটটার ব্যবস্থা কর।“ বাইরের ঝড় থেমে আসলে, মনের ঝড় ওঠে। আতিফের মন তার পরিবারের জন্যে আনচান করে উঠল।
“কাজটা বড্ড কঠিন, তবে অসম্ভব নয়, দেখি, ব্যবস্থা করতে পারি কি না। বিজিবির নয়াপাড়া রিজিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সৈয়দ হাসান মির্জা খুবই কড়া ধাতের, তাঁকে বশে আনা মুশকিল। কুতুপালং রিজিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার মারুফ হাসানকে দিয়ে কাজটা করাতে হবে। তাঁর টাকার উপর বড্ড লোভ। টাকার টোপ দিলেই হলো, ব্যস, কাজ হাশিল।“
“দেখ, এই এলাকায় কে কীসে মুখ দেন, ঘাসে না গোবরে, কে কীসে বশ হন, টাকায় না নারীতে, কে কীসের গন্ধে মজেন, নোটে না ঘোঁটে, সেসব নাড়িনক্ষত্র তোর হাড়ে হাড়ে জানা। ফলে, যা করবি, তুইই করবি, আমি তো এখানে ঠুঁটো জগন্নাথ। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া তো কিছুই করার নেই।“
“সকাল হোক, ব্যবস্থা ঠিক একটা হয়ে যাবে। আপাতত যেখানে বসে আছিস, সেখান থেকে একটু সরে বস। ত্রিপল ফুটো হয়ে পানি পড়বে।“ সাদ্দামের কথায় পই করে মাথা তুলে উপরে ছাদের দিকে তাকাল আতিফ। এক নান জল ত্রিপলের উপর জমে কালো ত্রিপলটা ন-মাসের পোয়াতি মেয়ের পেটের মতো ফুলে উঠেছে! যেকোনো মুহূর্তে ভার সামলাতে না পেরে ত্রিপল ফুটো হয়ে নিচে পড়বে। টুলটা পাশে সরিয়ে বসল আতিফ। সাদ্দামকে বলল, “একটা কিছু দিয়ে উপরের দিকে ঠেলা দিয়ে পানিটা ফেলে দে।“
“হু, দিচ্ছি।“ বলেই সাদ্দাম ঘরের উত্তর-পশ্চিম কোণের দিকে গডগড করে হেঁটে গেল। গোপন আস্তানায় রাখা একটা এ কে সাতচল্লিশ রাইফেল হাতে নিয়ে, জলের ভারে ঝুলে থাকা ত্রিপলটার একটু পাশে দাঁড়িয়ে, রাইফেলের নলের ডগা দিয়ে উপরের দিকে মারল ঠেলা। আতিফ চোখ ছানাবড়া করে বলল, “পানি ফেলতেও এ কে ফট্টি সেভেন! এ তো কথাটা ঘুরে বললে, পানি মারতে কামান দাগা।“

চলবে…

আগের পর্ব পড়ুন

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

এসএন  

Header Ad
Header Ad

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে দেশটিতে ১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাস ২৯ দিনে সম্পন্ন হচ্ছে এবং আগামীকাল (রবিবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

সৌদিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি ইনসাইট দ্য হারামাইন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, রমজান নবম মাস এবং শাওয়াল দশম মাস। সাধারণত শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহ ঈদুল ফিতর উদযাপন করে।

এদিকে, বাংলাদেশেও আগামীকাল (রবিবার) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে আলোচনা করতে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর কবে উদযাপিত হবে, তা জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, দেশ দুটিতে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশেও একই দিনে ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল (রোববার) খালি চোখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে ভারতে এবারের রমজান ২৯ দিনে সম্পন্ন হবে এবং সোমবার ঈদ উদযাপন করা হবে। একইভাবে পাকিস্তানেও ২৯ রোজা পালনের পর সোমবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটি যথাসময়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ একই চাঁদ দেখার অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায়, বাংলাদেশের ঈদুল ফিতরও ৩১ মার্চ সোমবার উদযাপিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইও ৩১ মার্চ সোমবার ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেয়। সবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে একই দিনে ঈদ উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশে রমজানের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে। চাঁদ দেখা গেলে সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা হবে এবং তার পরই দেশব্যাপী ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে।

Header Ad
Header Ad

দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় যুবদল নেতা আবু রায়হান রাহিমের পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাহিম গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ নেতার পরিবারের কাছে এই উপহার তুলে দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির যুগ্ম পরিচালক ড. আব্দুল মজিদ, দুপচাঁচিয়া থানা বিএনপির সভাপতি একেএম মনিরুল ইসলাম খান স্বপন, কাহালু উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ।

এছাড়া, দুপচাঁচিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আফছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খন্দকার রাকিবসহ যুবদল ও বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতারা শহীদ আবু রায়হান রাহিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, বিএনপি তাদের কখনো ভুলবে না। ঈদ উপলক্ষে তারেক রহমানের এই উপহার শহীদ পরিবারের প্রতি দলের ভালোবাসা ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ ও আহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। দলীয় নেতারা জানান, ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ
ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল
দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার
ভারত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরব ঈদের তারিখ ঘোষণা করবে রাত ৯টার পর
রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন মির্জা ফখরুল
কারাবন্দিদের জন্য ঈদের বিশেষ আয়োজনে থাকছে ভালো খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
চীনের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ
পদ্মা সেতুতে এক দিনে সোয়া ৪ কোটি টাকা টোল আদায়
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনা নিয়ে পুতিনের সতর্কবার্তা
অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ আগামী ৩১ মার্চ  
বাংলাদেশেও বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা, ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ সতর্কবার্তা
মেট্রোরেলে নেই চিরচেনা ভিড়, বন্ধ থাকবে ঈদের দিন
নাটোর ডিসি বাংলোর বাঁশবাগান থেকে শতাধিক সিলমারা ব্যালট উদ্ধার
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
ঈদে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবি-আনসার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ৪০ জেলা
ঈদের তারিখ ঠিক করতে কাল সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটি
ইংল্যান্ডে ফিরেই হামজা জাদু, শীর্ষে তুললেন শেফিল্ডকে
এবার ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের নানি বললেন ‘আগে গোপনে মারতাম এখন ওপেনে মারব’