শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক

 

“মানুষ উদ্ধার।“
“মানুষ উদ্ধার! স্পিডবোডে আর ক-জন ধরবে? তা ছাড়া এখন তো সীমান্ত সিল। কোনো রোহিঙ্গাই তো আর নদী পেরিয়ে ইচ্ছেমতো এখানে আসতে পারবে না। বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। তাদের চোখে ধুলো দেওয়া মানে, নিশ্চিত মৃত্যু।“
“ধুলো দিতে হবে কী মূলো দিতে হবে, সেসব তোর ব্যাপার। আমাকে নাফ নদীতে যেতে হবে এবং আমার পরিবারকে উদ্ধার করে এখানে আনতে হবে, এটাই শেষ কথা। এবার কী করতে হবে না হবে সেটা তুই ভাব।“
“পরিবার! তোর পরিবার!” আকাশ থেকে পড়ল সাদ্দাম।
“হ্যাঁ, আমার পরিবার। আমার আব্বা, মা, ভাই, ভাবি, ভাইপো সবাই এখন নাফ নদীতে।“
“তুই বলছিস কী!”
“হ্যাঁ, আমি ঠিকই বলছি।“
“তা জানলি কী করে?”
“ফোনে। আব্বাদের নৌকোদের সঙ্গে একই সঙ্গে একটা নৌকো ছিল। সেই নৌকোর কোনো লোক ফোন করেছিল। আসলে, হয়েছিল কী, আমার কোনো ভাই হয়ত ওই লোকটার ফোন থেকে আমাকে ফোন করেছিল, তখন আমার ফোন বন্ধ ছিল। যেহেতু আমার ফোনে ‘মিসডকল অ্যালারট’ সার্ভিস অন ছিল, তাই পরে আমি ওই নম্বর থেকে ‘মিসডকল’ দেখতে পাই। আমি কার ফোন না কার ফোন বলে, কলব্যাক করি, তখন ওই ভদ্রলোক ফোনটা রিসিভ করেন এবং আব্বাদের নাফ নদীতে ভেসে থাকার ব্যাপারটা বলেন।“
“তোর বাড়ির কারোর সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি?”
“নাহ, লোকটাকে যখন আমি ফোন করি, তখন আমাদের বাড়ির নৌকোটা ওদের নাগালের বাইরে চলে গেছিল।“
“পরে আর কন্টাক করিসনি?”
“একবার নয়, দুবার নয়, বহুবার করেছি। পাইনি। বলছে, স্যুইচঅফ। আমার মনে হয়, মোবাইলে চার্জ নেই।“
“তাহলে তো একটা স্পিডবোড জোগাড় করতেই হয়।“ সাদ্দামের মনটা তড়াক করে ওঠে। সে যেন একটা নাড়ির টান অনূভব করে।
সাদ্দামের সঙ্গে আতিফের রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। সে মংডুর ফাতাংজার লোক। ‘রোহিঙ্গা জেহাদি ফৌজ’এ এসে তাদের আলাপ। সাদ্দাম মূলত আর জে এফ’এর হয়ে গুপ্তচরের কাজ করে। তরুণ ছেলেদের মগজ ধোলাই করে আর জে এফ’এ ঢোকানো তার কাজ। সে বয়সে আতিফের মাথামাথি। তার চিমটে শরীরের হাড়ে হাড়ে বুদ্ধি। তার চিথোল কপালের ডানদিকে একটা কাটা দাগ আছে। দাগটা অনেকটা ইংরাজি জে অক্ষরের মতো। উজ্জ্বল তামাটে রঙের সাদ্দামের মাথায় ঝাঁকড়া চুল। মুখে চাপ দাড়ি। হাল্কা ফিনফিনে গোঁফ।
ঝড়ের লেজের ঝাপটায় চটের দরজাটা উৎপটাং হয়ে সাদ্দামের পিঠের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে পেছনের চুলের হিপ্পিতে ঠেকল। ঠান্ডা হলহলে বাতাস হলহল করে ঘরে ঢুকছে। গায়ে কাঁটা দিচ্ছে আশ্বিনের কালহা। আতিফ উদেম দরজা দিয়ে বাইরে দেখছে, পলিথিনের ছাপুর ঘরগুলোর চালা ঝড়ের আউড়িবাউড়ি বেঁধে একে একে শুকনো পাতার মতো উড়ে যাচ্ছে। যেভাবে উড়ে যাচ্ছে ধানগাছের শীষ, পাতা। এই নদী তীরবর্তী পলিজমির ধানি ক্ষেতির মাঝে এই ত্রিপলের ছাউনিগুলো যেন আগাছার মতো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। যেন বড্ড বেমানান। আর ঝড় এসে সেই আগাছাগুলোকেই বেশি বেশি করে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতি যেন এই অস্থায়ী বসতভিটের উপর রুষ্ট। কিন্তু মানুষ তো প্রকৃতি থেকে আলাদা কেউ নয়। মানুষ তো প্রকৃতিরই সন্তান। ধান যেমন মানুষের ফসল। ঠিক তেমনই মানুষ ঈশ্বরের ফসল। আর সব ফসলই প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠে। পুষ্ট হয়। ফুল ফল দেয়। গন্ধ ছড়ায়।

আতিফ দেখছে, যেসব রোহিঙ্গারা এখনো এই অস্থায়ী মাথা গোঁজার চালাছাউনি পায়নি, তারা এই ঘোর দুর্যোগে ঘাসের, ধানের ঝোপ আঁকড়ে আকাশের দিকে পিঠ করে, উপুড় হয়ে শুইয়ে আছে। মাথার তলায় বাড়ি থেকে বয়ে নিয়ে আসা পোঁটলাপুঁটলির বালিশ। পিঠের উপর সাট করে পেড়ে রাখা বস্তার থলে। মানুষ কুকুর শেয়ালের থেকেও খারাপ ভাবে বেঁচে আছে। আতিফ ভাবে, এই শরীরে রুহু দাঁত কামড়ে কেন যে পড়ে আছে? এতে শরীরেরও ছড়াদ, জানেরও ছড়াদ। জীবন এখানে ডালের খোসা ছাড়ানোর মতো যাঁতাকলে অনবরত পেষন খাচ্ছে। পড়পড় করে উঠে যাচ্ছে, তার ছালচামড়া। তবুও এ শরীর রুহুকে ছাড়তে চায় না। রুহুকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। মাংস যায় যাক, চামড়া যায় যাক, রক্ত আর হাড় থাকলেই হল। ওতেই ঠনঠন করে বাড়ি মেরে বেঁচে থাকবে। থপথপ করে হাটবে জীবন। মাথার উপরের পড়পড়, টপটপ, সাঁ সাঁ, খচমচ শব্দ ধীরে ধীরে কমে আসছে। বাতাসের ঝাপটার বেগও একটু একটু করে মরে আসছে। আশ্বিনের সর্বনেশে ঝড়টার তেজ কমে আসছে। জানালার খোপ দিয়ে তার আধমরা আস্ফালনটা হুড়ুম হুড়ুম করছে।
“চাচাজির খবর কী? শরীরের অবস্থা?” জানতে চাইল সাদ্দাম।
“ভালো না। এমনিতে তো বিছানাগত ছিলই। লোকটা ফোনে যেটুকু আভাস দিয়েছিলেন, তাতে আব্বার কন্ডিশন খুবই সিরিয়াস। ‘যাই যাই’ অবস্থা। জানি না, আজ আর বেঁচে আছে কি না!” আতিফের গলা ভারী হয়ে ওঠে।
“তুই, টেনশান করিস না। চাচাজী সুস্থই থাকবেন।“
“এসব কথার কথা সাদ্দাম, বলতে হয় তাই বলছিস। বাস্তব তো অন্য কথা বলছে। আব্বার যা অবস্থা ছিল, তাতে তার পক্ষে আর বেঁচে থাকা কোনোমতেই সম্ভব নয়।“
“তুই এভাবে বলতে পারিস না। হায়াত-মউতের মালিক আল্লাহ। তিনি যদি বাঁচিয়ে রাখেন তো চাচাজি নিশ্চয় বেঁচে আছেন।“
“তোর কথায় যেন সত্যি হয়। আমাদের স্বাধীন দেশের জন্যে আব্বার বেঁচে থাকাটা যে খুবই জরুরি। আব্বার যে দাফনের মাটিটুকু পাওয়া বড্ড প্রয়োজন।“
“হ্যাঁ, তুই যেন স্বপ্নটার কথা একদিন বলছিলি। তুই এসব মানিস?”
“দেখ, আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ঠিকই, কোনো বুজরকি, কুসংস্কারে আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু, এই ব্যাপারটা যেন আমার অন্তরকে অনবরত ভাবায়। আমার এতদিনের বদ্ধমূল ধারণায় অনবরত হাতুড়ি ঠুকে। কেমন যেন মনের মধ্যে একটু একটু করে বিশ্বাস জন্মে উঠছে। আমার ক্যালকুলাস, কোয়ান্টাম থিউরির উপর গেঁড়ে বসছে জিন-পরি, ফেরেশতা আর রাতের খোয়াব। আমি অলৌকিক বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে উঠছি।“
“মানুষের নিজের মন দুর্বল হয়ে গেলে, নিজে নিঃস্ব হয়ে গেলে, সে টাকায় নিঃস্ব নয়, ভাবনায়, আপনজনে, আত্মীয়-কুটুমে নিঃস্ব, একা হয়ে গেলে, মনে এসব বিশ্বাস দানা বাঁধে। মানুষ তখন, নিজের বুদ্ধিতে নয়, হাওয়া-বাতাসের কাছে নিজেকে সঁপে দেয়। তখন মাথার মগজের থেকে কাঁধের ফেরেশতার প্রতি বেশি বিশ্বাস জন্মায়। মানুষ তখন জিন-ফেরেশতার তুরকি নাচনে নাচে। হাঁটে। খায়। অর্থাৎ যাপন করে।“
“আব্বার স্বপ্নাদেশটা যাইই হোক, যত বুজরকি, শেরেকি হোক না কেন, আমাদের চেষ্টা করতে তো কোনো ক্ষতি নেই? কী আর দিতে হবে, হাতের তিনমুঠো মাটি। সাড়ে তিন হাত মাটির উপরে একটা কবর। এতে তো আর রাষ্ট্রও চলে যাচ্ছে না, রাজপাটও চলে যাচ্ছে না। ক-দিনের আর মাটি দখল? বড়জোর ছ-মাস, এক বছর, না হয় দু-বছরই হলো, পচে তো সেই মাটিই হয়ে যাবে? কবর কখনো চির দখলের জায়গা নয়। কানো মৌরসিপাট্টাও নয়। শুধু রক্ত-মাংসের দেহটা পচে মাটি হওয়া পর্যন্ত কদিনের ঠাঁই মাত্র।“
“একটা ‘কবর’ মানেই যে আজ একটা ‘দেশ’। কবরের মাটি পাওয়া মানেই তো দেশ পাওয়া। আল্লাহ যেন চাচাজির কপালে ‘দাফনের মাটি’ লিখে রাখেন।“
“ঝড় মনে হয় থেমে আসছে, তুই বোটটার ব্যবস্থা কর।“ বাইরের ঝড় থেমে আসলে, মনের ঝড় ওঠে। আতিফের মন তার পরিবারের জন্যে আনচান করে উঠল।
“কাজটা বড্ড কঠিন, তবে অসম্ভব নয়, দেখি, ব্যবস্থা করতে পারি কি না। বিজিবির নয়াপাড়া রিজিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সৈয়দ হাসান মির্জা খুবই কড়া ধাতের, তাঁকে বশে আনা মুশকিল। কুতুপালং রিজিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার মারুফ হাসানকে দিয়ে কাজটা করাতে হবে। তাঁর টাকার উপর বড্ড লোভ। টাকার টোপ দিলেই হলো, ব্যস, কাজ হাশিল।“
“দেখ, এই এলাকায় কে কীসে মুখ দেন, ঘাসে না গোবরে, কে কীসে বশ হন, টাকায় না নারীতে, কে কীসের গন্ধে মজেন, নোটে না ঘোঁটে, সেসব নাড়িনক্ষত্র তোর হাড়ে হাড়ে জানা। ফলে, যা করবি, তুইই করবি, আমি তো এখানে ঠুঁটো জগন্নাথ। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া তো কিছুই করার নেই।“
“সকাল হোক, ব্যবস্থা ঠিক একটা হয়ে যাবে। আপাতত যেখানে বসে আছিস, সেখান থেকে একটু সরে বস। ত্রিপল ফুটো হয়ে পানি পড়বে।“ সাদ্দামের কথায় পই করে মাথা তুলে উপরে ছাদের দিকে তাকাল আতিফ। এক নান জল ত্রিপলের উপর জমে কালো ত্রিপলটা ন-মাসের পোয়াতি মেয়ের পেটের মতো ফুলে উঠেছে! যেকোনো মুহূর্তে ভার সামলাতে না পেরে ত্রিপল ফুটো হয়ে নিচে পড়বে। টুলটা পাশে সরিয়ে বসল আতিফ। সাদ্দামকে বলল, “একটা কিছু দিয়ে উপরের দিকে ঠেলা দিয়ে পানিটা ফেলে দে।“
“হু, দিচ্ছি।“ বলেই সাদ্দাম ঘরের উত্তর-পশ্চিম কোণের দিকে গডগড করে হেঁটে গেল। গোপন আস্তানায় রাখা একটা এ কে সাতচল্লিশ রাইফেল হাতে নিয়ে, জলের ভারে ঝুলে থাকা ত্রিপলটার একটু পাশে দাঁড়িয়ে, রাইফেলের নলের ডগা দিয়ে উপরের দিকে মারল ঠেলা। আতিফ চোখ ছানাবড়া করে বলল, “পানি ফেলতেও এ কে ফট্টি সেভেন! এ তো কথাটা ঘুরে বললে, পানি মারতে কামান দাগা।“

চলবে…

আগের পর্ব পড়ুন

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

এসএন  

Header Ad
Header Ad

দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

"শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি"—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ওপেন হাউস ডে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিরামপুর থানা চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফত হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, ড. মুহাদ্দিস এনামুল হক, বিএনপির বিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মিঞা শফিকুল ইসলাম মামুন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু, উপজেলা আমির হাফিজুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শিরণ আলম, ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুর ইসলামসহ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, স্থানীয় শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

পুলিশ সুপার মারুফত হুসাইন তার বক্তব্যে বলেন, “প্রথমে আমি আমার পুলিশকে ঠিক করেছি। এখন আমাদের সামনের দিনগুলো ভালো প্রত্যাশা চাই। আমরা আমাদের সমাজে আর কোনো অপরাধ করতে দেব না এবং এই জেলাকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকমুক্ত করব ইনশাল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতাই পারে সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে। তাই সবাইকে আরও সচেতন ও সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুতে দুর্বল প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে টানা তিন জয়ে শীর্ষে ছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে শক্ত প্রতিপক্ষের মুখে পড়ে একের পর এক হারে এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ উইকেটে হারের পর শনিবার (১৯ এপ্রিল) লাহোরে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে বসেছে বাংলাদেশ।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ২১ রানের মধ্যেই ফিরেছেন তিন ব্যাটার—ফারজানা হক (০), দিলারা আক্তার (১৩) ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা (১)। এরপর শারমিন আক্তার ও রিতু মনির ৪৪ রানের জুটি এবং রিতু ও নাহিদা আক্তারের ৪৭ রানের জুটি কিছুটা স্থিতি আনলেও তা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। রিতু মনি করেন ৪৭ রান, আর ফাহিমা খাতুন অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। ৫০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৭৮ রান। পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন।

 

ছবি: সংগৃহীত

জবাবে পাকিস্তানও শুরুতেই শাওয়াল জুলফিকারকে হারায়, যাকে এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। তবে এরপর সিদরা আমিন (৩৭), মুনিবা আলি (৬৯), আলিয়া রিয়াজ (৪৮*) এবং নাতালিয়া পারভেজ (১৩*) মিলে ৩৯.৪ ওভারে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

এই হারের ফলে বাংলাদেশের নেট রানরেট নেমে এসেছে +০.৬৪-এ। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রানরেট এখন -০.২৮। ফলে এখন বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে থাইল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের দিকে। ক্যারিবিয়ানরা যদি বড় ব্যবধানে না জেতে, তবেই কেবল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের।

শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্যর্থতা, ব্যাটিং দুর্বলতা এবং ধারাবাহিকতা না থাকায় কঠিন হয়ে উঠেছে টাইগ্রেসদের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা। এখন সব কিছু নির্ভর করছে অন্য দলের পারফরম্যান্সের ওপর, যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ নারী দলের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

Header Ad
Header Ad

ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে

ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হলে এখন সরাসরি ই-মেইলে অভিযোগ জানানো যাবে স্থানীয় সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি এবং ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে সরাসরি অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, দুই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যেকোনো সংস্থা বা দফতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া, দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হলে তা ই-মেইলে জানাতে পারবেন সেবা গ্রহীতারা।

অভিযোগ পাঠানোর ঠিকানা:
advisorasifofficial1@gmail.com

পোস্টে বলা হয়, অভিযোগের সঙ্গে যথাযথ তথ্য ও প্রমাণ সংযুক্ত করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে এবং অভিযোগকারীর পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা হবে।

"জনস্বার্থে এই উদ্যোগ। ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা।"

এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। তারা মনে করছেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত
পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন
ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি, তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজের পদত্যাগ
ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ