শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক

 

“ওই ভরসা নিয়েই থাক। আর ভেতরে ভেতরে মরণের পানিটা নাকে উঠে আসুক।“ মুখ ভ্যাংচাল মতি। মাথাটাকে হাঁটুর ভাঁজে ঢুকিয়ে দিয়ে দাঁত দিয়ে মন কাটতে লাগল। নুহুর মাথায় তখন ঠকঠক করছে নূহনবীর জলোচ্ছ্বাসের কথা। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নবী নূহ। তাঁর সময়ে ক্রমবর্ধমান মানবকূলে শিরক ও কুসংস্কারের আবির্ভাব ঘটে এবং তা বিস্তৃতি লাভ করে। ফলে তাদের সংশোধনের জন্যে আল্লাহ নূহ-কে নবী করে পাঠান। তিনি সাড়ে নয়শ বছরের জীবন লাভ করেছিলেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে আল্লাহর পথে আনার জন্যে ‘দাওয়াত’ দিতে থাকেন। কিন্তু তাঁর কওম তাঁকে প্রত্যাখান করে। ফলে আল্লাহর গজব নেমে আসে। নূহ আল্লাহর আদেশে গফার কাঠের বিশাল এক নৌকো নির্মাণ করেন এবং প্রত্যেক প্রাণিকুল এক জোড়া করে এবং তাঁর সময়ের ঈমানদার অর্থাৎ যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল তাদের নিয়ে সাগরে রওনা দেন। এরপর আল্লাহ তাঁর গোত্রে মহাপ্লাবনের সৃষ্টি করেন। এতে পাহাড়-পর্বতও জলের নিচে তলিয়ে যায়। কাফেরসহ সব প্রাণীকুল ধ্বংস হয়ে যায়। পরে আল্লাহর নির্দেশে প্লাবনের জল কমে গেলে নূহনবী তাঁর সহযাত্রীদের নিয়ে আবার নতুন করে জীবন ধারণ করা শুরু করেন।

আউড়িবাউড়ি পাকিয়ে একটা জল-ঝড় নৌকোতে মারণ কামড় দিল! নৌকোর খোল কানায় কানায় ভরে গেল জলে। নুহু ছিটকে পড়ল নদীতে। কালবাহুশ নদীর মিশমিশে অন্ধকার বুকে ‘ঝপাং’ করে একটা জান ছেঁড়া শব্দ কামড় দিয়ে উঠল! মতি আঁতকে উঠল, “নুহু!”
মাথার ওপরে নীল রঙের একটা পলিথিন চুড়িদারের ওড়নার মতো প্যালপ্যাল করে উড়ছে। এমনভাবে তড়পাচ্ছে যেন মনে হচ্ছে বাঁধন ছিঁড়ে উড়ে যাবে। হাওয়াটাও যে ভারি দুষ্টু। একেবারে মোষের মতো শিং ঢিপাচ্ছে! নীল রঙের এই পলিথিনটাই ছাদ! বাঁশের খুঁটি আর কাঠের ঠেকা দিয়ে কোনোরকমে মাথা গোঁজার চালাটা খাড়া করা। ফাঁকফোকরগুলো ন্যাকড়া ট্যাকড়া দিয়ে তাপ্তিতাপ্তা মেরে আঁটা আছে। চালায় চালা জোড়া। একটা ডাপের সঙ্গে আরেকটা ডাপ খাঁজ কেটে বাঁধা। কোথাও কোথাও আবার একটা লম্বা পলিথিনের তলায় দু-তিনটে খুপরি ঘর। উপর থেকে দেখে মনে হবে, আস্ত একটা পলিথিনের দেশ।

আশেপাশে লকলক করছে ঘন সবুজ আমন ধান। ধানের পেটে গিজগিজ করছে থোড়। কোনো কোনো গাছে থোড় ফেটে বেরিয়ে গেছে শীষ। সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম সাদা রেণু। ধান গাছের আলে থিকথিক করছে মানুষ। কোনো কোনো ধানি জমি পায়ে পিষে লেপ্টে গেছে। সেই ঘাড় ভাঙা কোমর ভাঙা ধান গাছের জমিতে গড়ে উঠেছে ভিটে ছাড়া দেশ ছাড়া মানুষের বসতি। মানুষ আর কাদা এক হয়ে গেছে। অভুক্ত, বুভুক্ষ, কঙ্কালসার মানুষগুলোকে যেন শকুনেও খাবে না। চোখ খুঁটলে ঢুকে গেছে। বাতির হাড় দাঁত বের করে খিলখিল করছে। এক একটা মানুষ যেন ঝড়ে ভাঙা এক একটা গাছ। এক একটা পরিবার যেন ঝড়ে উপড়ানো এক একটা ঝোপ। কারও বাপ নেই তো কারও ছেলে নেই। কেউ স্বামী হারিয়েছেন তো কেউ হারিয়েছেন বউ। মা-শিশুদের কান্নায় কেঁপে উঠছে আল্লাহর আরশ।

সকাল থেকেই রেডিওতে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছিল, বিকেলের পর যেকোনো সময় নাফ নদীর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। লোকজনকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসকে সত্যি প্রমাণিত করে সন্ধ্যার মুখেই আছড়ে পড়েছে ‘আশ্বিনের ঝড়’। আতিফ ঝড়ের মুখে পড়ে, কোনোরকমে কাদায় লেপ্টে সেপ্টে, জুতো হাতে করে, ধুমদুমিয়া গ্রামের এই নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে পৌঁছতে পেরেছে! বাপের ভাগ্য ভালো, ধানের শীষের সাথে সাথে সেও ঝড়ে উড়ে যায়নি! ঝড় একেবারে ধান গাছের মাথা খেয়ে মানুষ খাওয়ার জন্যে ক্যাম্পটার দিকে ধেয়ে আসছে! যেন হাওয়া নয়, ধারালো ছুরি ধেয়ে আসছে! কোনো কোনো চালা থেকে খড়কুটোর মতো উড়ে যাচ্ছে ধানের নাড়ার চালা। পলিথিনের ছাউনি। পোঁটলাপুঁটলি। হাওয়ার যা বেগ তাতে মানুষও উড়ে যাওয়ার উপক্রম! গরু-ছাগলের ‘ব্যা’ ‘ব্যা’ ‘হাম্বা’ ‘হাম্বা’ হাওয়ার গতির সাথে বাড়ছে। হাওয়াতে ল্যাকপ্যাক করে উড়তে থাকা ধূসর রঙের চটের পর্দাটা টেনে হুটপাট করে ভেতরে ঢুকল আতিফ। আগে আগে সাদ্দাম। বলদের মতো হাপাচ্ছে আতিফ।

সাদ্দামও ধোকাচ্ছে হুপ হুপ করে। একটা শুকনো লুঙ্গি আতিফকে দিয়ে বলল, “এটা পরে নে। গায়ের সব ভিজে গেছে। ঠান্ডা লেগে যাবে।“ সাদ্দাম লুঙ্গিটা আতিফকে দিয়ে, নিজে একটা বারমোডা পরে নিল। পরনের ভেজা কাপড়গুলো বাঁশের ডাপটায় ঝুলিয়ে দিল।
“এখানে বস।“ একটা লাল রঙের ফাইব্রারের টুল এগিয়ে দিয়ে বলল সাদ্দাম। পরনের শুকনো লুঙ্গিটা গুটিয়ে আতিফ বসতেই টুলটা ‘কচ’ করে উঠল।
“সাবধানে, টুলটা ফাটা আছে।“ সতর্ক করল সাদ্দাম।
“ওহ, আচ্ছা।“ ঘাড় হেলালো আতিফ। ঝড়টার দাঁতলা মুখ, লাল চোখ, নেকড়ের মতো গর্জন এমনভাবে হাম্বিতাম্বি করছে, যেন এই পলিথিনের চালা চাটাইয়ের ঘরটাকে শেকড়সহ উপড়ে নিয়ে যাবে! ঝড়ের হাওয়াই হাবলা হয়ে যাওয়া চটের পর্দাটার ফাঁক দিয়ে ঘোলা দৃষ্টি ফেলল আতিফ। ঝড় ‘গ’ ‘গ’ করে ছোবল মারছে। আলো-আঁধারি আকাশে ধুলো, পলিথিনের চালা, কাপড়, ন্যাকড়া সব খড়কুটোর মতো উড়ে যাচ্ছে! মেঘ আর বাড়ি যেন এক হয়ে যাচ্ছে! জীবন আর মৃত্যু যেন একই ঢোলে পিটছে কাঠি! এ যেন মৃত্যুর বাজনা, ধ্বংসের হুঙ্কার। শিকড় থেকে প্রাণ ছিড়ে নিয়ে যাওয়ার খোল-করতাল। আর এসবের মাঝে নুয়ে পড়া ধান গাছের মতো মুসড়ে পড়া চালা-চাটায়ের বসতি কষ্টের যন্ত্রণার মাতম গাহাচ্ছে। আতিফ দেখছে, একটা ঝড় কীভাবে জ্বলজ্যান্ত দেহ থেকে মুড়িমুড়কির মতো উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রাণ। গাছের হলুদ পাতার মতো কত সহজে ঝরিয়ে দিচ্ছে জীবনের রুহু। এজন্যেই তো কথায় বলে মুহূর্তে সব ধ্বংস করে দিতে, আল্লাহর এক ‘ফুঁ’ই যথেষ্ট।
“সমুদ্রের মুখে নিশ্চয় এর চেয়ে বেশি ঝড় হচ্ছে!” কেমন একটা খেয়ালহীন ভাবে বলল আতিফ।
“সে তো অবশ্যই। সমুদ্র বলে কথা। সমুদ্রই তো ঝড়ের আঁতুড়ঘর। আগুন যেমন ঘি পেলে আরও ‘দপ’ করে ওঠে, ঝড়ও তো নদী কিম্বা সমুদ্র পেলে ফোঁস করে ওঠে। ঝড়ের পৌরুষ তখন ‘দপ’ করে বেড়ে যায়। সে তখন নাবালক শিশু থেকে ভয়ংকর দানব হয়ে ওঠে!” সাদ্দামের চোখ গোল হয়ে ওঠে। তার হৃদপিণ্ডে ‘আশ্বিনের ঝড়’টা যেন হাড়ের ঘা মারল! চোখে মৃত্যুভয়ের আজরাইলি কাঠি ছুঁইয়ে বলল, “আজ নদীতে কত মানুষ যে মরবে, তার ইয়াত্তা নেই!”
“অনেকগুলো নৌকো একসাথে জোড় বেঁধে কলোনি গড়ে থাকলে, নিশ্চয়, অত ঝড় লাগবে না।“ আতিফের কণ্ঠে আশ্বস্তের সুর।
“যা ঝড় বইছে, তাতে ওসব কিচ্ছু মানবে না। সব নৌকো উল্টে দেবে।“
“নৌকোর মাঝি দক্ষ থাকলে, ঝড়ের পক্ষে নৌকো উলটানো অত সহজ হবে না।“
“কে বলল? নৌকোই শূন্যে তুলে উল্টে দেবে তো মাঝি কোন ছাই! ও মাঝি কিছু টের পাওয়ার আগেই, নৌকো পানির তলে। নৌকো বেঁচে থাকলে পরেই তো মাঝির কেরামতি? নৌকোই যদি না ভেসে থাকে তো মাঝি বৈঠা নিয়ে কী পালোয়ানগিরি দেখাবে?”
“সে তো ঠিক। কিন্তু, নৌকো যদি পারে ভিড়ে থাকে তবে?”
“তবে বাঁচার একটা সম্ভাবনা থাকবে। নৌকো পারে লেগে থাকলে, ঝড় অত ঝাপটা মারতে পারবে না।“
“আচ্ছা, সাগরের মুখে নাফ নদীটা কি খুব চওড়া?”
“অনেকটাই চওড়া। ওখানে নদী তো রীতিমত সমুদ্র!”
“তাহলে তো আশা খুবই কম!” কিছু একটা আশংকা করে আতিফ।
“তুই কীসের আশার কথা বলছিস?” জানতে চায় সাদ্দাম।
“বেঁচে থাকার আশার কথা।“
“কার বেঁচে থাকা? কীসের বেঁচে থাকা? তুই তখন থেকে কেমন যেন একটা হেঁয়ালি মেরে মেরে কথা বলছিস, আসল ব্যাপারটা কী বলত? নদীতে কি তোর কেউ আছে?”
“আছে’! হয়ত বা এখনও ‘আছে’। ঝড়ের যা মাতলামি, তাতে এখনও ‘থাকলে’ সেটা আল্লাহর মোজেজা। তোর কথায় যেন সত্যি হয় রে।“ কণ্ঠ ভিজে আসে আতিফের।
“কী যে বলছিস, আমি কিছুই বুঝতে পারছি নে! যাককে, তোর মনের কথা তোর মনেই পুষে রাখ। আমার অত জেনেবুঝে লাভ নেই। এবার কাজের কথায় আসি, এই লটের সংখ্যাটা কিন্তু অনেক বেশি। ইয়ং ছেলেরা হুড়হুড় করে আসছে।“
“আজ ওসবের জন্যে আমি আসিনি, সাদ্দাম।“
“ওসবের জন্যে আসিসনি মানে!” সাদ্দামের চোখে বিস্ময়।
“আচ্ছা, এখান থেকে মোহনাটা কতদূর বলত?”
“মোহনা? মানে, নাফ নদীর মোহনা?”
“হ্যাঁ, নাফ নদীর কথাই বলছি।“
“তা না না করে, পঞ্চাশ-ষাট কিমি তো হবেই।“
“নৌকো ছাড়া অন্য কোন শর্টকাট পথ?”
“হ্যাঁ, আছে, হেলিকপ্টার অথবা বিমান।“
“এই, ইয়ার্কি করিস না, আমি সিরিয়াস জানতে চায়ছি।“
“আরে বাবা, নদীতে যাবি, তাতে নৌকো ছাড়া আবার কীসে যাবি?”
“না, আমি বলছিলাম কী লঞ্চ বা স্পিডবোড, এসব আর কী।“
“সেসবও আছে, তবে সেসব তো সীমান্তরক্ষীবাহিনীরা ব্যবহার করেন। নাফ নদী যেহেতু বর্ডার নদী, তাই ওসব দুরন্ত জলযান সাধারণ মানুষদের জন্যে নিষেধ। তা ছাড়া এখন যেহেতু হুলুস্থুল চলছে তাই আরও কড়াকড়ি।“
“যেভাবেই হোক, আমার জন্যে একটা স্পিডবোড ম্যানেজ করতে হবে।“
“তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? নদীতে ওসব অবৈধভাবে নামতে দেখলেই, এপারের বিজিবি অথবা বাংলাদেশ নৌবাহিনী আর ওপারের মায়ানমার সেনা অথবা মায়ানমার নৌবাহিনীর ব্রাউন ওয়াটার নেভী’র সদস্যরা হয় গ্রেপ্তার করবেন অথবা গুলি করে মেরে দেবেন।“
“আমি ওসব কিছুই শুনতে চাই না। তোকে আমাকে একটা স্পিডবোড ম্যানেজ করে দিতেই হবে। সেটা আগামীকাল সকালের মধ্যেই।“ গো ধরে আতিফ।
“এটা কি মামা বাড়ির মোয়া, যে চায়লেই পাওয়া যাবে?” খচে ওঠে সাদ্দাম।
“আমি জানি, তোর এই চত্বরে লম্বা হাত। বিজিবির সাথে তোর ব্যাপক দহরমমহরম। তুই চেষ্টা করলেই পারবি।“
“আচ্ছা, আগে বলত, তুই হঠাৎ স্পিডবোড নিয়ে কী করবি? তোর মাথায় এই স্পিডবোডের ভূত আচানক কেন চাপল?” দড়ির খাটিয়াটা থেকে উঠে দাঁড়াল সাদ্দাম।
“বলব, বলব, সব বলব, তোকে সব না বললে আমার কাজ কী করে হবে? তুইই তো আমার একমাত্র ভরসা।“
“কী যে বলিস না, তুই, তুই হচ্ছিস আর জে এফ’এর কমান্ডার আর আমি হচ্ছি কি না একজন সামান্য অধঃস্থন কর্মী। কোথায় চাঁদ আর কোথায় বামুন!”
“সবাই সব জায়গার বাঘ হয় না। ডাঙায় বাঘ যতই ‘বাঘ’ হোক, পানিতে কিন্তু কুমিরই ‘রাজা’, মনে রাখিস। সবার একএকটা নিজস্ব তল্লাট থাকে। সেই তল্লাটের সেই রাজা। তুই হচ্ছিস, নয়াচরের দেওয়ালের পেছনের সম্রাট। বাঘেরও বাঘ। এক সাদ্দাম হুসেন ছিলেন ইরাকের বীর শাসক, আর তুই সাদ্দাম হচ্ছিস কি এই নয়াপাড়া, কুতুপালংএর একচ্ছত্র শাসক। তুই এই সামান্য কাজটা করবি তো অত আঁকুপাঁকু করছিস কেন?” সাদ্দামকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ওপরে তোলে আতিফ। খুঁচ ধরনের কিছু একটা ধা করে চাটাইয়ের ছোট্ট খুপরি জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকল। ‘স্যাত’ করে আতিফের কানের পাশ দিয়ে ছুটে গিয়ে বাঁশের চাটাইয়ের দেওয়ালে লাগল! আতিফ ‘বাপ গ’ বলে ঘাড় বাঁকাল। সাদ্দাম তড়বড় করে হেঁটে গিয়ে জানালার পাল্লাদুটো ‘হড়াম’ করে লাগিয়ে দিল। আতিফ চোখ ফেড়ে দেখল, গাব গাছের একটা শুকনো ডাল! ঝড়ে উড়ে এসে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েছে।
“আর একটু হলে চোখটাই যাচ্ছিল রে!” আঁতকে ওঠে আতিফ।
“এখনো যাবে না তারই বা কী মানে আছে। ঝড় তো এখনো মধ্যযৌবনে!“ আলগোছে বলল সাদ্দাম।
“শালা, যত খারাপ কপাল আমার! যেখানেই যাচ্ছি আপদ ফেউ’এর মতো লেগে থাকছে! বিপদের ফাঁড়া যেন কোনোভাবেই কাটছে না।“ কপাল ঢুকে আতিফ।
“আমাদের তো জন্ম থেকেই পোড়া কপাল। যেখানে জন্মালাম সেখানেই তো ঠাই পেলাম না। নিজের দেশই যদি পর করে দেয়, তাহলে তো পরপর করবেই। দূরদূর করবেই। কপালে দানাকড়িও জুটবে না। এ কপালের তো বিপদ আপদই অলংকার?” চটের দরজার আড়ালে আড়াল করে দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করে উঠল সাদ্দাম। তারপর হাওয়াই হলহল করে উড়তে থাকা ঝুলন্ত চটটাকে আরও টেনে দিয়ে বলল, “হ্যাঁ, এবার বল, স্পিডবোড কী করবি?”

চলবে...

আগের পর্ব পড়ুন

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

এসএন  

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক