শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক

 

পাগলা ষাঁড়ের মতো ধেয়ে এল ঘূর্ণি ঝড়। ফুঁসে উঠল নদী। ঝুঁটি বেঁধে তেড়ে আসতে লাগল ঢেউ। নৌকোটা কাগজের ঠোঙার মতো দুলে উঠল। কড়াইয়ের ফুটন্ত দুধে যেভাবে ফেনা উতলে ওঠে, সেভাবে উতলে উঠছে নৌকোর খোল! চোখ ঝাপসা দূরে একটি নৌকো বাঁশপাতার মতো উতলে উতলে উঠছে। নুহু, বৈঠাটাকে তেরছা করে ধরে জল খুঁচে ধরতে লাগল। মতি হাড়শক্ত হাতে হাল ধরে আছে। যেদিক থেকে চণ্ডাল হাওয়াটা ধেয়ে আসছে, সেদিকে তেরছা করে নৌকোটাকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। যাতে করে হাওয়ার ঝাপ্টাটা কম লাগে। ‘গ’ ‘গ’ করে রাক্ষুসে শব্দ আছড়ে পড়ছে নৌকোর খোলে। যেন মনে হচ্ছে, নৌকোটাকে কাগজের ঠোঙার মতো দুমড়ে মুচড়ে জলের তলে পুঁতে দেবে।

“মা” বলে একবার ডুকরে উঠল সাকিব। “এই তো বাপ, আমি তোর মাথার সিতেনেই বসে আছি।“ অভয় দিল আরিফা। হালেমা মিনমিন করে ‘আয়াতাল কুরশি’ পড়ছেন। জাফর আবারও গলা ছিঁড়ে ‘খক’ করে উঠল। হালেমা আপদ-বিপদ থেকে উদ্ধার পাবার দোয়া পাঠ থামিয়ে বিড়বিড় করে উঠলেন, “আল্লাহ, তুমি আমাদের এ কোন জাহান্নামে ফেললে!” জাফর আলির বুকের ব্যামুটা এবার জোর দিয়ে চাগাড় দিল! ‘খক’ ‘খক’ করতে করতে মাথা চাওর দিয়ে বালিশ ছেড়ে উঠল। ডানদিক গলা বেঁকিয়ে ‘থু’ করে রক্তকফ’টা ছুড়ে ফেললেন। ‘খ্যাঁক’ করে উঠলেন হালেমা, “কফটা দেখে শুনে ফেলবে তো?“ জাফর আলি অন্ধকারে তাঁর ঝাপসা চোখে হালেমার মুখটা সেরকমভাবে দেখতে পেলেন না। শুধু তাঁর আধঠসা কানে বৌ’র খিজলানো কথাগুলো শুনতে পেলেন। অন্ধকারে তাঁর ঘোলা চোখগুলো পিট পিট করে জ্বলছে। তিনি কী আর করবেন, অন্ধকারে দেখতে পাননি কফ ফেলা কাতাড়িটা কোন দিকে আছে। কাতাড়িটা তাঁর মাথার বা’দিকেই রাখা আছে। সে দিকে আর চোখ কি যাবে, বুকে উঠে পড়া জানটা নামাবেন না অন্ধকারে কাতাড়ি খুঁজবেন?

“মা, আল্লাহর দোহায়, এখন মাথা ঠান্ডা করুন।“ বলেই শ্বশুরের বুকটা ডলে দিতে লাগলেন আরিফা।

“এই দুর্যোগে আবার কাশির ব্যামুটাও উঠল!” হালটাকে আঁকড়ে ধরে আফসোস করে উঠল মতি। ‘দুর্যোগ’এর সঙ্গে যেন মানুষের ‘অসুখ-ব্যাধি’র সমানুপাতিক সম্পর্ক। ‘দুর্যোগ’ ঘরের চৌকাঠে পা দিলেই যেন ‘অসুখ’এর পারদ চড়চড় করে চড়তে শুরু করে। ‘আপদ’ তখন সুচ থেকে পেরেক হয়ে ওঠে। ‘বিপদ’ পাটি পেড়ে গেঁড়ে বসে। কিছু একটা হানাহানি না করা অবধি লোটাকম্বল গুটোয় না। দাঁত নখ বের করে ঝেঁপে বৃষ্টি এল। বৃষ্টির ছাটে নদী আর আকাশ যেন এক হয়ে যাচ্ছে! চরাচর কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না! শুধু বৃষ্টি আর ঘূর্ণিঝড়ের ‘গ গ’ ‘সাঁ সাঁ’ শব্দ অন্ধকারে কামড় বসাচ্ছে। গোটা নদী তখন কালো বোরখা পরে দাঁড়িয়ে আছে। মুখে হাঁড়ির তলার কালি। নদীর স্রোত এমনভাবে ফুঁসে উঠছে, যেন এক হাঁ’য়েই আস্ত নৌকোটাকে গিলে নেবে। একবার নৌকোটাকে শূন্যে তুলে এমনভাবে আছাড় মারল, নুহু প্রায় ছিটকে নদীতে পড়ে যাচ্ছিল। প্রায় এক নৌকো জল উতলে নৌকোর খোলে পড়ল। সবাই ‘আল্লাহ গো বাপ গো’ করে চিখড়িয়ে উঠল। নুহু এবার বৈঠাটাকে নৌকোর সাথে ফাঁস দিয়ে আটকে, বানরের মতো তড়াক তড়াক করে ছইয়ের মটকায় উঠে পড়ল। মতি গলা ছাড়ল, “কোথায় উঠছিস!”

“টাপাটাকে ভারী করছি।“

“কেন?”

“ভার বেশি হলে, হাওয়ার ঝটকা কম লাগবে।“

“তোর ওজনই বা ক-কুইন্টাল যে তোর ভারে টাপা নড়বে না!” খোটা দিয়ে মাথা গরম করে উঠল মতি, “নাম, ভণ্ডামি করার সময় পাস নে? এক্ষুণি ঝড়ের ঝটকায় ছিটকে নদীর বুকে আছড়ে পড়বি।“

“নামছি, নামছি।“ ছইয়ের উপরে গিরগিটির মতো বুক তুলে নদীর দিকে তাকিয়ে থাকল নুহু। সে চোখ ফেড়ে ঝড় দেখছে। দেখছে, আশ্বিনের দাঁত ফোটা ঝড়ে ফুঁসে উঠে কীভাবে ছোবল মারছে নাফ নদী। লবণনদীটা কীভাবে রক্ত খেকো জোঁকনদী হয়ে উঠছে। ঝড়ের এই রণংদেহি মূর্তি দেখে নুহুর চোখের কোটর থেকে মণি বেরিয়ে আসার উপক্রম! সে যেন নৌকো নয়, পাহাড় সমান উথলে ওঠা স্রোতের ঝুঁটিতে ভাসছে। জটপাকানো এই ঝুঁটির মুটি ধরে আশ্বিনের ঝড় যেন নদীকে টেনে আসমানে তুলছে। আর তার সাথে সাথে কাঁথা সেলাই করা সুচের মতো নৌকোটা একবার উপরে উঠছে আর নামছে। পুবালি ঘূর্ণিঝড়টার একটা আলটপকা ঝাপটা গায়ে লাগতেই, হুড়মুড় করে নিচে নেমে এল নুহু। ছইয়ের চাঁচির সাথে সাথে সেও পশ্চিমে ধনুকের মতো বেঁকে গেল। বাঁশের গিঁট থেকে পা সটকে বাদুড়ের মতো ঝুলছে।

“হলো, হলো, এবার ফ্যাচাংটা বাঁধল তো? তখন থেকে মানা করছি, নাম নাম, কথা কানে যাচ্ছে না!” নুহুকে ঝোড়ো অন্ধকারে পা ফসকে কোনোমতে হাত দিয়ে ছইয়ের ধারি ধরে বাদুড়ের মতো ঝুলতে দেখে, তিড়বিড় করে উঠল মতি। ‘ঝপাস’ করে লাফ মারল নুহু। পাছাটা স্প্রিংয়ের মতো চুপসে পায়ের গোড়ালিতে ঠেকল। দুই হাত চ্যাটা হয়ে পড়ল নৌকোর পাটাতনে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল, “বাপ রে বাপ!”

“দুর্যোগের সময় দেওর লোকটা কী ফ্যাসাদ যে বাধায় না!” বিড়বিড় করে আরিফা। ঝড়ের ধাক্কায় কাত হয়ে তাদের পিঠ আর ছইয়ের দেওয়াল এক হয়ে গেছে। মায়ের কোলে মুখ গুঁজে ভয়ে জড়সড় হয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে সাকিব। আরিফা তার আঁচল দিয়ে মাথা ঢেকে চোখের সামনে থেকে ঝড়টাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু চোখে না দেখলে কী হলো, মনে যা টের পাচ্ছে, তাতেই নাবালক শিশুর কচি মন ভয়ে আঁতকে উঠছে। চোখে আঁচল দিয়ে বিদ্যুতের ঝলকানি না হয় আড়াল করা যায় কিন্তু স্রোতের উপর ভাত উতলানো ঢাকনার মতো উথালপাথাল করা নৌকোটার উতলামি তো আর আড়াল করা সম্ভব নয়। আরিফা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করছে, “চুপ, চুপ, এসময় কাঁদতে নেই। কাঁদলে ঝড় আরও রেগে যায়!”

সাকিব, ওসব কান করে না। অনবরত ফুঁপিয়েই যায়। আশ্বিনের ঘূর্ণিঝড়টা নদীর চুলের মুঠি ধরে একবার জোর খিঁচুনি দেয়। ‘হালুম’ করে ওঠে নদীটা। নৌকোটা পশ্চিমদিকে কাত হয়ে উল্টানোর উপক্রম হয়। ‘ঝপাং’ করে নদীর জলে কিছু একটা পড়ার শব্দ হল। “কী পড়ল?” হামলালো মতি।

“মনে হয়, পানির ঘটিটা।“ আন্দাজ করে বলল আরিফা। নুহু নদীর অন্ধকার জলে মুখ বাড়িয়ে বলল, “হ্যাঁ, পানির ঘটিটা পড়ে গেছে।“ স্টেনলেস স্টিলের ঘটিটা স্রোতের মাথার ঝুঁটিতে কাগজের নৌকোর মতো উঠছে আর নামছে। মাঝে মধ্যে বিদ্যুতের আলো পড়ে রূপোর মতো চকচক করছে। একসময় ঘটির মধ্যে জল ঢুকে ঘটিটা ডুবে গেল! স্রোতের একটা ছাট এক মানুষ উপরে উঠে নৌকোর উপরে আঁঠার মতো আঁকড়ে বসে থাকা মতির গায়ের উপর আছড়ে পড়ল। মতির গা-গতর কাকভেজা হলো। এমনিতে বৃষ্টির ছাট গায়ে পেরেক হাঙার মতো হাঙছে, তার উপর স্রোতের এই আছড়ে পড়াটা পেরেকের মাথায় হাতুড় ঠোকার মতো ঠুকল! মতি নৌকোর খোলে জমা জলে আধডুবা হয়ে ডুবে গেল! স্রোতের আছড়ে পড়াটার শব্দ টের পেয়ে আরিফা চিখড়িয়ে উঠল, “তুমি ঠিক আছো তো?” কোনো উত্তর না পেয়ে গলাটা আরও ডুকরে বলল, “ও সাকিবের আব্বা?”

“কী?” মিহি কণ্ঠে উত্তর দিল মতি।

“তুমি, ঠিক আছ তো?” আরিফার গলায় উৎকণ্ঠা।

“হ্যাঁ, ঠিক আছি।“ ষোল আনায় চোদ্দ আনা মিথ্যে বলে বৌ’কে আশ্বস্ত করল মতি। সে জানে, বাড়ির মেয়েকে বাড়ির মরদের আপদ-বিপদের সব কথা বলতে নেই। বললেও সবটুকু বলতে নেই। মেয়েরা ভেঙে পড়ে। বেশি দুশ্চিন্তা করে। তখন সংসারের কাজকম্মই লাটে উঠে যায়।

“আল্লাহ তুমি রহম কর। এই জান খেকি ঝড় থামাও।“ আরিফার গলায় আঁকুতি ঝরে পড়ে।

“একি আর শুধু শুধু দমকা ঝড়, যে থামবে? দেখতে পাচ্ছ না, আজরাইল আর মেকাইল ফেরেশতা কী করে ডানা ঝাপ্টাচ্ছে! এ হলো, আজরাইল আর মেকাইলের ডানা ঝাপ্টানোর হাওয়া। এ কি আর এমনি এমনি থামবে? ভুড়ি মোটা করে জান খেয়ে তবেই দমবে। এই বয়সে এই দুর্যোগ কম তো আর দেখলাম না?” কোরানের দোয়া পড়া থামিয়ে বিড়বিড় করে উঠলেন হালেমা। বুড়ো চোখের কোণা দিয়ে ঝরা জলও যেন বুড়ো হয়ে ঝরছে।

“ভাই, নৌকো পশ্চিমে টান মারব? হাওয়ার ঝাপটা কম লাগতে পারে।“ হাঁক ছাড়ল নুহু।

“নাহ, এখন কিচ্ছু নড়ানড়ি করতে হবে না। যেখানে যা আছে সেখানেই থাক। ছইয়ের ওপার থেকে আরও জোরে হাঁক ছাড়ল মতি। নুহু মিনমিন করে উঠল, সব কিছুতেই নাহ! আরে এখন হাওয়ার বেগ আছে, হালটা ধরে আলতো করে বৈঠা টানলেই নৌকোটা তরতর করে ছুটবে, তা না, বলছে, কিচ্ছু করতে হবে না! গাড়ল কোথাকার! কোনো কথা গুরুত্ব দিলে তো হয়! তা না, না শুনে, না বুঝেই, নাহ! বড় ভাইয়ের উপর বিরক্ত হয় নুহু। বৈঠাটা ধরে মুখ ভার করে বসে বৃষ্টিতে ভিজে। তেতো মনটা তিতিবিরক্ত হয়ে বৃষ্টি চিবোয়। মন গেয়ে ওঠে, যাক কে, এভাবেই জীবনটা বিড়ির মতো ধুকে ধুকে ফুরিয়ে যাবে। নুহু টের পাচ্ছে, জীবনটা বিড়ির মতো পুড়তে পুড়তে সর্বনাশের আগুনটা এখন সুতোর বাঁধনে এসে পৌঁছে গেছে! সুতো টপকালেই, বিড়ির পুকটির মতো ছুড়ে ফেলে দিতে হবে এই ছাই হয়ে যাওয়া জীবনটা। তখন আর না থাকবে সুখটান না থাকবে ছাইয়ের আগুন। ঈশ্বর রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা দিয়ে দল্লে চলে যাবে। জীবনের ধক, আহ্লাদ সব পোড়া ছাই হয়ে ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

ঝড় থামার কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না। আশ্বিনের ঝড়ের এই এক কাল, লাগলে আর ছাড়তে চায় না। জড়িয়ে পেঁচিয়ে, আউড়ি বাউড়ি বাঁধিয়ে মাটিকে ধুলো, ধুলোকে কাদা, আর কাদাকে জল না বানানো অবধি তার দোম নেই! অসময়ে উড়ে এসে জুড়ে বসে। হাঁড়ি ঘটি সব মাটি করে দিয়ে যায়। হালেমারা তো তেড়েফুড়ে ওঠেন, এ ঝড়ের মুখে ঝাঁটা মারতে হয়। গেরস্তের ঘরে আসার আর সময় পায় না? এসময় আমন ধানের কোমর অবধি ক্ষতি হয়। যেসমস্ত ধানে থোড় চলে আসে, তাদের পেট থেকে ভ্রূণ ঝরে যাওয়ার মতো রেণু ঝরে যায়। এ থোড় ধান বাঁধলে, সে ধান পাতান হয়। ধানের ফলন হয় না। আউড় আর পাতানেই ফসলের খৈলেন ভরে যায়। যে ধানে কিছুটা চাল হয়, সে চালও হয় মাছিমরা। ভাতের স্বাদ থাকে না। কশটে হয়। যে বৃষ্টি ফসলের ক্ষতি করে সে বৃষ্টি মানুষের কোনো হিতে লাগতে পারে না। মানুষ তো ফসলেই বাঁধা থাকে। ফসলহীন মানুষ আর কটা দিনই বা বেঁচে থাকতে পারে? মানুষও এক ধরনের ফসল। আবাদি ফসল। জাফর আলি বলেন, মানুষ তো আল্লাহর আবাদ গো আল্লাহর আবাদ। আল্লাহ মানুষ আবাদ করে নিজের উপস্থিতির জানান দেন। মানুষের কাছ থেকে তিনি ‘ইকামতে দ্বীন’ চান অর্থাৎ তাওহিদ বা একমাত্র আল্লাহ তাআ’লার ইবাদত প্রতিষ্ঠিত করা।

“লক্ষণ ভালো ঠেকছে না রে নুহু। ঝড় যেভাবে তড়পাচ্ছে, মনে হচ্ছে এ ফাঁড়া আর কাটবে না!” মতির কণ্ঠে আশঙ্কার ঘন মেঘ। বড় ভাইকে সাহস জুগিয়ে নুহু বলল, “থামবে থামবে, ঝড় থামল বলে, দেখছ না, পুব আকাশের তলার দিকটা কেমন ফর্সা হয়ে উঠছে। এইটুকু ঝড় আমাদের নৌকোর কিচ্ছু করতে পারবে না। আমার হাতে যখন বৈঠা আছে, তুমি একদম চিন্তা কর না, আমি সব সামলে নেব।“

“হ্যাঁ হ্যাঁ, তুই কী যে একেবারে নূহনবী, যে তোর নৌকোকে আল্লাহ স্বয়ং বাঁচাবেন!” ঠেস মারল মতি।

“আমি নূহনবী না হতে পারি, কিন্তু আমাদের নৌকো তো নূহনবীর নৌকোর থেকে কোনো অংশে কম নয়?”

“কী যে বকিস না, তোর মাথা ঠিক আছে, কোথায় গফার কাঠের নৌকো আর কোথায় এই আম-তুলো কাঠের নৌকো! আর তুইই বা কে? কোথায় আল্লাহর নবী নূহ আর তুই হলি কি এই রাখাইনে জন্মানো চাষা জাফর আলির বেটা নুহুজামান! যার মাথা ঢাকতে গেলে পাছা উদেম হয়ে যায়।”

“নবী না হতে পারি, আল্লাহর উপর ঈমান তো আছে? আল্লাহর ওপর ঈমান থাকলেই আল্লাহ খালি হাতে কোনো বান্দাকে ফেরান না।“

চলবে...

আগের পর্ব পড়ুন

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

এসএন  

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী

ছবিঃ সংগৃহীত

যানজটে আটকে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে জামায়াতের একজন কর্মী।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মারুপ সিরাজী বলেন, লক্ষীপুর যাওয়ার পথে জামায়াত আমিরের বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তরবাজারে যানজটে আটকা পড়লে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি দ্রুতগতির বাস ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে।সে কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজার বালুর মাঠে পথসভা করেন। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে।

তখন আমিসহ সংগঠনের ১৫/২০ জন কর্মী ট্রাফিকের দায়িত্ব শুরু করি। আমরা আমিরে জামায়াতকে নিয়ে পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাগমারা উত্তরবাজারে বাস চাপায় জসিম উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। মরদেহ নিহতের বাড়িতে রয়েছে। খবর পেয়েই নিহতের বাড়িতে গিয়েছি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ