শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক

 

পাগলা ষাঁড়ের মতো ধেয়ে এল ঘূর্ণি ঝড়। ফুঁসে উঠল নদী। ঝুঁটি বেঁধে তেড়ে আসতে লাগল ঢেউ। নৌকোটা কাগজের ঠোঙার মতো দুলে উঠল। কড়াইয়ের ফুটন্ত দুধে যেভাবে ফেনা উতলে ওঠে, সেভাবে উতলে উঠছে নৌকোর খোল! চোখ ঝাপসা দূরে একটি নৌকো বাঁশপাতার মতো উতলে উতলে উঠছে। নুহু, বৈঠাটাকে তেরছা করে ধরে জল খুঁচে ধরতে লাগল। মতি হাড়শক্ত হাতে হাল ধরে আছে। যেদিক থেকে চণ্ডাল হাওয়াটা ধেয়ে আসছে, সেদিকে তেরছা করে নৌকোটাকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। যাতে করে হাওয়ার ঝাপ্টাটা কম লাগে। ‘গ’ ‘গ’ করে রাক্ষুসে শব্দ আছড়ে পড়ছে নৌকোর খোলে। যেন মনে হচ্ছে, নৌকোটাকে কাগজের ঠোঙার মতো দুমড়ে মুচড়ে জলের তলে পুঁতে দেবে।

“মা” বলে একবার ডুকরে উঠল সাকিব। “এই তো বাপ, আমি তোর মাথার সিতেনেই বসে আছি।“ অভয় দিল আরিফা। হালেমা মিনমিন করে ‘আয়াতাল কুরশি’ পড়ছেন। জাফর আবারও গলা ছিঁড়ে ‘খক’ করে উঠল। হালেমা আপদ-বিপদ থেকে উদ্ধার পাবার দোয়া পাঠ থামিয়ে বিড়বিড় করে উঠলেন, “আল্লাহ, তুমি আমাদের এ কোন জাহান্নামে ফেললে!” জাফর আলির বুকের ব্যামুটা এবার জোর দিয়ে চাগাড় দিল! ‘খক’ ‘খক’ করতে করতে মাথা চাওর দিয়ে বালিশ ছেড়ে উঠল। ডানদিক গলা বেঁকিয়ে ‘থু’ করে রক্তকফ’টা ছুড়ে ফেললেন। ‘খ্যাঁক’ করে উঠলেন হালেমা, “কফটা দেখে শুনে ফেলবে তো?“ জাফর আলি অন্ধকারে তাঁর ঝাপসা চোখে হালেমার মুখটা সেরকমভাবে দেখতে পেলেন না। শুধু তাঁর আধঠসা কানে বৌ’র খিজলানো কথাগুলো শুনতে পেলেন। অন্ধকারে তাঁর ঘোলা চোখগুলো পিট পিট করে জ্বলছে। তিনি কী আর করবেন, অন্ধকারে দেখতে পাননি কফ ফেলা কাতাড়িটা কোন দিকে আছে। কাতাড়িটা তাঁর মাথার বা’দিকেই রাখা আছে। সে দিকে আর চোখ কি যাবে, বুকে উঠে পড়া জানটা নামাবেন না অন্ধকারে কাতাড়ি খুঁজবেন?

“মা, আল্লাহর দোহায়, এখন মাথা ঠান্ডা করুন।“ বলেই শ্বশুরের বুকটা ডলে দিতে লাগলেন আরিফা।

“এই দুর্যোগে আবার কাশির ব্যামুটাও উঠল!” হালটাকে আঁকড়ে ধরে আফসোস করে উঠল মতি। ‘দুর্যোগ’এর সঙ্গে যেন মানুষের ‘অসুখ-ব্যাধি’র সমানুপাতিক সম্পর্ক। ‘দুর্যোগ’ ঘরের চৌকাঠে পা দিলেই যেন ‘অসুখ’এর পারদ চড়চড় করে চড়তে শুরু করে। ‘আপদ’ তখন সুচ থেকে পেরেক হয়ে ওঠে। ‘বিপদ’ পাটি পেড়ে গেঁড়ে বসে। কিছু একটা হানাহানি না করা অবধি লোটাকম্বল গুটোয় না। দাঁত নখ বের করে ঝেঁপে বৃষ্টি এল। বৃষ্টির ছাটে নদী আর আকাশ যেন এক হয়ে যাচ্ছে! চরাচর কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না! শুধু বৃষ্টি আর ঘূর্ণিঝড়ের ‘গ গ’ ‘সাঁ সাঁ’ শব্দ অন্ধকারে কামড় বসাচ্ছে। গোটা নদী তখন কালো বোরখা পরে দাঁড়িয়ে আছে। মুখে হাঁড়ির তলার কালি। নদীর স্রোত এমনভাবে ফুঁসে উঠছে, যেন এক হাঁ’য়েই আস্ত নৌকোটাকে গিলে নেবে। একবার নৌকোটাকে শূন্যে তুলে এমনভাবে আছাড় মারল, নুহু প্রায় ছিটকে নদীতে পড়ে যাচ্ছিল। প্রায় এক নৌকো জল উতলে নৌকোর খোলে পড়ল। সবাই ‘আল্লাহ গো বাপ গো’ করে চিখড়িয়ে উঠল। নুহু এবার বৈঠাটাকে নৌকোর সাথে ফাঁস দিয়ে আটকে, বানরের মতো তড়াক তড়াক করে ছইয়ের মটকায় উঠে পড়ল। মতি গলা ছাড়ল, “কোথায় উঠছিস!”

“টাপাটাকে ভারী করছি।“

“কেন?”

“ভার বেশি হলে, হাওয়ার ঝটকা কম লাগবে।“

“তোর ওজনই বা ক-কুইন্টাল যে তোর ভারে টাপা নড়বে না!” খোটা দিয়ে মাথা গরম করে উঠল মতি, “নাম, ভণ্ডামি করার সময় পাস নে? এক্ষুণি ঝড়ের ঝটকায় ছিটকে নদীর বুকে আছড়ে পড়বি।“

“নামছি, নামছি।“ ছইয়ের উপরে গিরগিটির মতো বুক তুলে নদীর দিকে তাকিয়ে থাকল নুহু। সে চোখ ফেড়ে ঝড় দেখছে। দেখছে, আশ্বিনের দাঁত ফোটা ঝড়ে ফুঁসে উঠে কীভাবে ছোবল মারছে নাফ নদী। লবণনদীটা কীভাবে রক্ত খেকো জোঁকনদী হয়ে উঠছে। ঝড়ের এই রণংদেহি মূর্তি দেখে নুহুর চোখের কোটর থেকে মণি বেরিয়ে আসার উপক্রম! সে যেন নৌকো নয়, পাহাড় সমান উথলে ওঠা স্রোতের ঝুঁটিতে ভাসছে। জটপাকানো এই ঝুঁটির মুটি ধরে আশ্বিনের ঝড় যেন নদীকে টেনে আসমানে তুলছে। আর তার সাথে সাথে কাঁথা সেলাই করা সুচের মতো নৌকোটা একবার উপরে উঠছে আর নামছে। পুবালি ঘূর্ণিঝড়টার একটা আলটপকা ঝাপটা গায়ে লাগতেই, হুড়মুড় করে নিচে নেমে এল নুহু। ছইয়ের চাঁচির সাথে সাথে সেও পশ্চিমে ধনুকের মতো বেঁকে গেল। বাঁশের গিঁট থেকে পা সটকে বাদুড়ের মতো ঝুলছে।

“হলো, হলো, এবার ফ্যাচাংটা বাঁধল তো? তখন থেকে মানা করছি, নাম নাম, কথা কানে যাচ্ছে না!” নুহুকে ঝোড়ো অন্ধকারে পা ফসকে কোনোমতে হাত দিয়ে ছইয়ের ধারি ধরে বাদুড়ের মতো ঝুলতে দেখে, তিড়বিড় করে উঠল মতি। ‘ঝপাস’ করে লাফ মারল নুহু। পাছাটা স্প্রিংয়ের মতো চুপসে পায়ের গোড়ালিতে ঠেকল। দুই হাত চ্যাটা হয়ে পড়ল নৌকোর পাটাতনে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল, “বাপ রে বাপ!”

“দুর্যোগের সময় দেওর লোকটা কী ফ্যাসাদ যে বাধায় না!” বিড়বিড় করে আরিফা। ঝড়ের ধাক্কায় কাত হয়ে তাদের পিঠ আর ছইয়ের দেওয়াল এক হয়ে গেছে। মায়ের কোলে মুখ গুঁজে ভয়ে জড়সড় হয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে সাকিব। আরিফা তার আঁচল দিয়ে মাথা ঢেকে চোখের সামনে থেকে ঝড়টাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু চোখে না দেখলে কী হলো, মনে যা টের পাচ্ছে, তাতেই নাবালক শিশুর কচি মন ভয়ে আঁতকে উঠছে। চোখে আঁচল দিয়ে বিদ্যুতের ঝলকানি না হয় আড়াল করা যায় কিন্তু স্রোতের উপর ভাত উতলানো ঢাকনার মতো উথালপাথাল করা নৌকোটার উতলামি তো আর আড়াল করা সম্ভব নয়। আরিফা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করছে, “চুপ, চুপ, এসময় কাঁদতে নেই। কাঁদলে ঝড় আরও রেগে যায়!”

সাকিব, ওসব কান করে না। অনবরত ফুঁপিয়েই যায়। আশ্বিনের ঘূর্ণিঝড়টা নদীর চুলের মুঠি ধরে একবার জোর খিঁচুনি দেয়। ‘হালুম’ করে ওঠে নদীটা। নৌকোটা পশ্চিমদিকে কাত হয়ে উল্টানোর উপক্রম হয়। ‘ঝপাং’ করে নদীর জলে কিছু একটা পড়ার শব্দ হল। “কী পড়ল?” হামলালো মতি।

“মনে হয়, পানির ঘটিটা।“ আন্দাজ করে বলল আরিফা। নুহু নদীর অন্ধকার জলে মুখ বাড়িয়ে বলল, “হ্যাঁ, পানির ঘটিটা পড়ে গেছে।“ স্টেনলেস স্টিলের ঘটিটা স্রোতের মাথার ঝুঁটিতে কাগজের নৌকোর মতো উঠছে আর নামছে। মাঝে মধ্যে বিদ্যুতের আলো পড়ে রূপোর মতো চকচক করছে। একসময় ঘটির মধ্যে জল ঢুকে ঘটিটা ডুবে গেল! স্রোতের একটা ছাট এক মানুষ উপরে উঠে নৌকোর উপরে আঁঠার মতো আঁকড়ে বসে থাকা মতির গায়ের উপর আছড়ে পড়ল। মতির গা-গতর কাকভেজা হলো। এমনিতে বৃষ্টির ছাট গায়ে পেরেক হাঙার মতো হাঙছে, তার উপর স্রোতের এই আছড়ে পড়াটা পেরেকের মাথায় হাতুড় ঠোকার মতো ঠুকল! মতি নৌকোর খোলে জমা জলে আধডুবা হয়ে ডুবে গেল! স্রোতের আছড়ে পড়াটার শব্দ টের পেয়ে আরিফা চিখড়িয়ে উঠল, “তুমি ঠিক আছো তো?” কোনো উত্তর না পেয়ে গলাটা আরও ডুকরে বলল, “ও সাকিবের আব্বা?”

“কী?” মিহি কণ্ঠে উত্তর দিল মতি।

“তুমি, ঠিক আছ তো?” আরিফার গলায় উৎকণ্ঠা।

“হ্যাঁ, ঠিক আছি।“ ষোল আনায় চোদ্দ আনা মিথ্যে বলে বৌ’কে আশ্বস্ত করল মতি। সে জানে, বাড়ির মেয়েকে বাড়ির মরদের আপদ-বিপদের সব কথা বলতে নেই। বললেও সবটুকু বলতে নেই। মেয়েরা ভেঙে পড়ে। বেশি দুশ্চিন্তা করে। তখন সংসারের কাজকম্মই লাটে উঠে যায়।

“আল্লাহ তুমি রহম কর। এই জান খেকি ঝড় থামাও।“ আরিফার গলায় আঁকুতি ঝরে পড়ে।

“একি আর শুধু শুধু দমকা ঝড়, যে থামবে? দেখতে পাচ্ছ না, আজরাইল আর মেকাইল ফেরেশতা কী করে ডানা ঝাপ্টাচ্ছে! এ হলো, আজরাইল আর মেকাইলের ডানা ঝাপ্টানোর হাওয়া। এ কি আর এমনি এমনি থামবে? ভুড়ি মোটা করে জান খেয়ে তবেই দমবে। এই বয়সে এই দুর্যোগ কম তো আর দেখলাম না?” কোরানের দোয়া পড়া থামিয়ে বিড়বিড় করে উঠলেন হালেমা। বুড়ো চোখের কোণা দিয়ে ঝরা জলও যেন বুড়ো হয়ে ঝরছে।

“ভাই, নৌকো পশ্চিমে টান মারব? হাওয়ার ঝাপটা কম লাগতে পারে।“ হাঁক ছাড়ল নুহু।

“নাহ, এখন কিচ্ছু নড়ানড়ি করতে হবে না। যেখানে যা আছে সেখানেই থাক। ছইয়ের ওপার থেকে আরও জোরে হাঁক ছাড়ল মতি। নুহু মিনমিন করে উঠল, সব কিছুতেই নাহ! আরে এখন হাওয়ার বেগ আছে, হালটা ধরে আলতো করে বৈঠা টানলেই নৌকোটা তরতর করে ছুটবে, তা না, বলছে, কিচ্ছু করতে হবে না! গাড়ল কোথাকার! কোনো কথা গুরুত্ব দিলে তো হয়! তা না, না শুনে, না বুঝেই, নাহ! বড় ভাইয়ের উপর বিরক্ত হয় নুহু। বৈঠাটা ধরে মুখ ভার করে বসে বৃষ্টিতে ভিজে। তেতো মনটা তিতিবিরক্ত হয়ে বৃষ্টি চিবোয়। মন গেয়ে ওঠে, যাক কে, এভাবেই জীবনটা বিড়ির মতো ধুকে ধুকে ফুরিয়ে যাবে। নুহু টের পাচ্ছে, জীবনটা বিড়ির মতো পুড়তে পুড়তে সর্বনাশের আগুনটা এখন সুতোর বাঁধনে এসে পৌঁছে গেছে! সুতো টপকালেই, বিড়ির পুকটির মতো ছুড়ে ফেলে দিতে হবে এই ছাই হয়ে যাওয়া জীবনটা। তখন আর না থাকবে সুখটান না থাকবে ছাইয়ের আগুন। ঈশ্বর রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা দিয়ে দল্লে চলে যাবে। জীবনের ধক, আহ্লাদ সব পোড়া ছাই হয়ে ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

ঝড় থামার কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না। আশ্বিনের ঝড়ের এই এক কাল, লাগলে আর ছাড়তে চায় না। জড়িয়ে পেঁচিয়ে, আউড়ি বাউড়ি বাঁধিয়ে মাটিকে ধুলো, ধুলোকে কাদা, আর কাদাকে জল না বানানো অবধি তার দোম নেই! অসময়ে উড়ে এসে জুড়ে বসে। হাঁড়ি ঘটি সব মাটি করে দিয়ে যায়। হালেমারা তো তেড়েফুড়ে ওঠেন, এ ঝড়ের মুখে ঝাঁটা মারতে হয়। গেরস্তের ঘরে আসার আর সময় পায় না? এসময় আমন ধানের কোমর অবধি ক্ষতি হয়। যেসমস্ত ধানে থোড় চলে আসে, তাদের পেট থেকে ভ্রূণ ঝরে যাওয়ার মতো রেণু ঝরে যায়। এ থোড় ধান বাঁধলে, সে ধান পাতান হয়। ধানের ফলন হয় না। আউড় আর পাতানেই ফসলের খৈলেন ভরে যায়। যে ধানে কিছুটা চাল হয়, সে চালও হয় মাছিমরা। ভাতের স্বাদ থাকে না। কশটে হয়। যে বৃষ্টি ফসলের ক্ষতি করে সে বৃষ্টি মানুষের কোনো হিতে লাগতে পারে না। মানুষ তো ফসলেই বাঁধা থাকে। ফসলহীন মানুষ আর কটা দিনই বা বেঁচে থাকতে পারে? মানুষও এক ধরনের ফসল। আবাদি ফসল। জাফর আলি বলেন, মানুষ তো আল্লাহর আবাদ গো আল্লাহর আবাদ। আল্লাহ মানুষ আবাদ করে নিজের উপস্থিতির জানান দেন। মানুষের কাছ থেকে তিনি ‘ইকামতে দ্বীন’ চান অর্থাৎ তাওহিদ বা একমাত্র আল্লাহ তাআ’লার ইবাদত প্রতিষ্ঠিত করা।

“লক্ষণ ভালো ঠেকছে না রে নুহু। ঝড় যেভাবে তড়পাচ্ছে, মনে হচ্ছে এ ফাঁড়া আর কাটবে না!” মতির কণ্ঠে আশঙ্কার ঘন মেঘ। বড় ভাইকে সাহস জুগিয়ে নুহু বলল, “থামবে থামবে, ঝড় থামল বলে, দেখছ না, পুব আকাশের তলার দিকটা কেমন ফর্সা হয়ে উঠছে। এইটুকু ঝড় আমাদের নৌকোর কিচ্ছু করতে পারবে না। আমার হাতে যখন বৈঠা আছে, তুমি একদম চিন্তা কর না, আমি সব সামলে নেব।“

“হ্যাঁ হ্যাঁ, তুই কী যে একেবারে নূহনবী, যে তোর নৌকোকে আল্লাহ স্বয়ং বাঁচাবেন!” ঠেস মারল মতি।

“আমি নূহনবী না হতে পারি, কিন্তু আমাদের নৌকো তো নূহনবীর নৌকোর থেকে কোনো অংশে কম নয়?”

“কী যে বকিস না, তোর মাথা ঠিক আছে, কোথায় গফার কাঠের নৌকো আর কোথায় এই আম-তুলো কাঠের নৌকো! আর তুইই বা কে? কোথায় আল্লাহর নবী নূহ আর তুই হলি কি এই রাখাইনে জন্মানো চাষা জাফর আলির বেটা নুহুজামান! যার মাথা ঢাকতে গেলে পাছা উদেম হয়ে যায়।”

“নবী না হতে পারি, আল্লাহর উপর ঈমান তো আছে? আল্লাহর ওপর ঈমান থাকলেই আল্লাহ খালি হাতে কোনো বান্দাকে ফেরান না।“

চলবে...

আগের পর্ব পড়ুন

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

এসএন  

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক