শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক

খরগোশের মতো কান খাড়া করে উঠল আতিফ! ভ্রূ টান হয়ে চোখ কপালে আটকে গেল! কানের জুলপি টান হয়ে উঠছে। চোখের মণিতে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বিস্ময়! ঠোঁটজোড়া কাটা মাছের পাখনার মতো ফিনফিন করে হেলে উঠল, “আস্তে নবী!” বলেই নবীর হাত ধরে হিড়হিড় করে টেনে ঘরের ভেতরে ঢোকাল আতিফ। তারপর তার হলহল করে হালতে থাকা শরীরটাকে চার দেওয়ালের মধ্যে লুকিয়ে বলল, “তুই কী বলছিস, তুই জানিস?”
“আলবাত জানি। হান্ড্রেড পারসেন্ট জানি।“
“তোর মাথা সত্যি ঠিক আছে?”
“ঠিক আছে মানে, পুরো হান্ড্রেড অ্যান্ড হান্ড্রেড পারসেন্ট ঠিক।“
“আমার তো মনে হচ্ছে, তোর মাথায় মগজ বলে আর কিচ্ছু নেই। যা আছে তা হলো মড়ার খোল। আর.....।“
“আর কী?” ঠোঁটে বাঁকা হাসি নবীর।
“আর তোর পিঠে মরণের পাখা গজাচ্ছে।“
“মরণের পাখা আবার গজাচ্ছে কী রে! মরণের পাখা তো কবেই গজিয়েছে। এ পাখা নিয়েই তো ঘুরে বেড়াচ্ছি।“
“আর ঘুরে বেড়াতে হবে না। তুই যা ভাবনাচিন্তা মাথায় করে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিস, তাতে তোর ছায়াই তোর পাখা কেটে দেবে। তুই কি ভুলে যাচ্ছিস, তুই যাকে খুন করার কথা বলছিস, তার লোক ছায়ার মতো মানুষের পেছনে পেছনে ঘুরে বেড়ায়।”
“তুইও একটা কথা ভুলে যাচ্ছিস, আতিফ, ছায়ারও ছায়া থাকে। বাপের যেমন বাপ থাকে, তেমনি ছায়ারও ছায়া থাকে।“
“কিন্তু একটা জিনিস আমার মাথায় কোনোভাবেই ঢুকছে না, হঠাৎ ‘জুনাইদ মোল্লা’ কেন?” ‘জুনাইদ মোল্লা’ নামটা বলার সময় কণ্ঠটা একেবারে নামিয়ে মিনমিন করে বলল আতিফ।
“অত ভয়ের কিছু নেই। অত চুপসে যাচ্ছিস কেন? তুই তো ব্যাটা ভয়ে ছানা ময়দা হয়ে যাচ্ছিস!” নবী আতিফকে ঠেস মারল। আতিফ দরজার দিকটায় একবার চোরা দৃষ্টি ফেলে বলল, “তুই পোড়া লোহা হো গা। ইস্পাত হো গা। আমি ময়দা হয়েই থাকতে চাই।“
তারপর কণ্ঠ লুকিয়ে ফিসফিস করে বলল, “হ্যাঁ, হঠাৎ জুনাইদ মোল্লা কেন? ওঁকে উপরে পাঠিয়ে আমাদের কী লাভ? আমি তো চোখের সামনে কিছুই সেরকম দেখতে পাচ্ছি ন্যা!”
“দেখতে পাবি, দেখতে পাবি, ঠিক দেখতে পাবি। দেখার মতো দেখলে ঠিকই দেখতে পাবি। শ্বাসমূলের মতো একটু মাটি ফুঁড়ে ওঠ, ঠিকই দেখতে পাবি। ওই মাল’টাই তো যত নষ্টের গোঁড়া।“
“যত নষ্টের গোঁড়া! জুনাইদ স্যার! আমাদের জে সি ও জুনাইদ মোল্লা যত নষ্টের গোঁড়া!” চোখ, ঘেলু সব ঘোল পাকিয়ে যাচ্ছে আতিফের। নবীর কথায় সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। হিসেবের কোনো অংকই মেলাতে পারছে না সে। ‘কচ’ করে কাঠের চেয়ারটা টেনে এলানো বস্তার মতো ‘ধপ’ করে বসল। নবী সোফাটার পেছনে দাঁড়িয়ে বলল, “ব্যাটা, জুনাইদ, দু’দিক থেকে মালকড়ি ভালোই কামাচ্ছে।“
“দু’দিক থেকে মানে!” চোখ বড় করল আতিফ।
“দু’দিক মানে, ‘আইএসআই’ আর ‘এমএসএস’।“
“’এমএসএস’! মানে, চীনের গুপ্তচর সংস্থা?”
“ইয়েস ফ্রেন্ড, চীনের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি, মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি। যাকে আমরা বলি, ড্রাগনের আগুন।“
“’এমএসএস’র সাথে আবার কী করে কানেকশন তৈরি করলেন!”
“ওটাই তো ঘেলুর খেল, বন্ধু। তলে তলে সব ঘাটের পানি খাচ্ছেন। এ মুখে একবার চুমু খাচ্ছেন, ও মুখে একবার চুমু খাচ্ছেন। মালটা ‘ঘাগু’। আগাও খান তলাও খান। অথচ আমরা ওসবের কিছুই টের পাই না। ‘আইএসআই’এর কাছ থেকেও কাড়ি কাড়ি টাকা নিচ্ছেন আবার ‘এমএসএস’এর কাছ থেকেও কাড়ি কাড়ি টাকা নিচ্ছেন। আর আমাদের মতো ভিটেছাড়া, এঘাটে ওঘাটে ঠক্কর খাওয়া, দিশাহীন, অবসাদগ্রস্ত, দিকভ্রান্ত ছেলেদের ‘বেহেশত’ ‘হুরি’র স্বপ্ন দেখিয়ে ‘মুজাহিদ’ বানাচ্ছেন। আর আমরা তাতে ‘ধেই’ করে নেচে উঠছি। ‘শহীদ’ হওয়ার জন্যে ছটফট করছি। আমরা তো ভাঙা থাম। শেকড় উপড়ানো গাছ। আমাদের যেন কিচ্ছুই করার নেই। শুধু নিজেই নিজের কবরটুকু খুড়লেই বাঁচি!”
“তুই এতসব জানলি কী করে?”
“আমি তো আর তোদের মতো চিনির মতো মিশি না, আমি ওদের সাথে তেলের মতো মিশি। মিশে ভূত হয়ে যাই না। পানি হয়েও যাই না। আলাদা করে হয় তলে অথবা ওপরে ভেসে থাকি। শোন, জীবনটাকে সোজা পেরেকের মতো করে লাভ নেই, অত সোজা হলে হাতুড়ির ঠোকা খেয়ে পুঁতে যেতে হবে। পারলে একটু ব্যাঁকা ট্যারা হো।“
“তুই এত চালাক, আগে তো একচুলও জানতাম না!”
“জানার কী দরকার? আর এ তো চালাকি নয়? এ হলো ‘পেছনের চোখটা খুলে রেখে চলা আর কী।“
“তুই ওভাবে পানি মেপে চলতে পারিস!”
“না পারার কী আছে। আল্লাহ মগজে বুদ্ধি তো কম দেননি? এ মগজ যেমন বারুদ হতেও পারে, আবার মোম হতেও পারে।“
“তুই যে ভেতরে ভেতরে এত শুঁয়োপোকার মতো চরে বেড়াস, তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ পাইনি কোনদিন!”
“এ যে মাকড়সার জালের দুনিয়া। পদে পদে বাঁধা। ফন্দি-ফেউর। চোখ-কান না খুলে চললে তো সমূহ বিপদ। মাথার ঘেলু থেকে যেমন ‘গোলাপ ফুল’ ফোটাতে হবে, ঠিক তেমনই, ঘেলুর দাঁত-নখও ফোটাতে হবে।“
“তুই এত পাকা হলি কবে, নবী!” তাজ্জব হয়ে যাচ্ছে আতিফ। যেন এ নবী তার এতদিনের চেনা নবী নয়, এ কোথা থেকে দুম করে পড়া অন্য নবী। অন্য মানুষ।
“মানুষ এমনি এমনি পাকা হয় না, বন্ধু, তাকে পাকতে হয়। মানুষ আপনা আপনি বয়সে পেকে যায়, কিন্তু বুদ্ধিতে পাকে না, বুদ্ধিতে পাকতে গেলে, তাকে বুদ্ধি ঘেঁটেই পাকতে হয়।“
“সবই বুঝলাম, কিন্তু জুনাইদ মোল্লার মৃত্যুর সাথে আমার নয়াপাড়া ক্যাম্প যাওয়ার কী সম্পর্ক?” পিঠ খাড়া করে বসল আতিফ।
“সম্পর্ক আছে আছে। মগজে একটু ঠোকা দে, তাহলেই বুঝতে পারবি।“
“ঠোকা দেব কী, মাথা খুঁটেও কিচ্ছু পাচ্ছি না।“
“আচ্ছা, তোকে এখানে সব থেকে কে বেশি ঘরবন্দি করে রাখার জন্যে কড়াকড়ি করেন?” মাথা খুঁটে আতিফ। হন্যে হয়ে মাথার ঘেলু হাতড়ায়। মাথাটাকে হাঁটুর কাছে ঝোঁকায়। এক মাথা তিন মাথা হয়। “নাহ, ঠিক কাউকে তো সেভাবে ভেবে পাচ্ছি নে!” মাথা তোলে। নবীর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, “কে বল তো?”
“এত সহজ লোকটাকে নাগাল করতে পারছিস ন্যা!”
“নাহ, ঠিক আন্দাজ করতে পারছি ন্যা। হ্যাঁ, তবে, একজন খুবই তোখিদ করেন।“
“হ্যাঁ, ওটাই তো টেকনিক। উপরে তোখিদদারি, আর ভেতরে চৌকিদারি।“
“মানে?”
“মানে, সহজ, পানির মতো সহজ। সে লোকটা কে?”
“জুনাইদ স্যার। এ তো সবাই জানে, জুনাইদ স্যার, আমার ব্যাপারে বেশি খেয়াল রাখেন।“
“ওখানেই তো রহস্যটা লুকিয়ে আছে।“
“রহস্য!”
“হ্যাঁ, রহস্য। একটা জিনিস কি খেয়াল করেছিস? তুই যখনই, কায়রাপরীর টংকীর কথা তুলিস, তখনই জুনাইদ স্যার কথাটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই প্রসঙ্গটা তুললেই উনি কেমন একটা অস্বস্তি বোধ করেন। ব্যাপারটা যেন কাঁটার মতো তাঁর গায়ে বিঁধে।“
“হ্যাঁ, তা ঠিক, কেমন আমতা আমতা করেন।“
“এখনি তো দেখলি, তুই যেমনি প্রসঙ্গটা তুললি, আর উনি অমনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন। আমি তোকে চোখ টিপে ছিলাম, কায়রাপরীর প্রসঙ্গটা ওঁর সামনে না বলার জন্যে। কিন্তু তুই হাঘরা, আমার ইশারাটা বুঝতেই পারলি ন্যা!”
“কিন্তু, আমার নাফ নদীতে গিয়ে আব্বা-মাদের উদ্ধার করার সাথে, জুনাইদ স্যারের আমাকে তোখিদ করা, কায়রাপরীর টংকী, এতসবের কী সম্পর্ক!”
“এগুলো হলো এক একটা কাঁটা। নাফ নদীতে গিয়ে তোর আব্বা-মাদের উদ্ধার করাটা তোর কাছে যদি একটা ফুলের মালা হয়, তাহলে এগুলো জুনাইদ স্যারের কাছে ওই ফুলের এক একটা কাঁটা। তুই যে এত কট্টর চীন বিরোধী, সেটা উনি পছন্দ করেন না। উনি সন্দেহ করেন, তুই তলে তলে ইন্ডিয়ান গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ এর সাথে যোগাযোগ রাখিস।“
“বলছিস কী!”
“হ্যাঁ, অত অবাক হওয়ার কিছু নেই, আমি ঠিকই বলছি। এ সন্দেহের দুনিয়া রে বন্ধু, সন্দেহের দুনিয়া। এখানে দেওয়ালও তার ছায়াকে সন্দেহ করে। জুনাইদ মোল্লা ভাবেন, তুই হয়ত তলে তলে, ‘র’ এর কাছে ওঁর ‘এমএসএস’ এর সাথে যোগাযোগের কথাটা ফাঁস করে দিবি। তাছাড়া উনি কোনোভাবেই চান না, চীনা সৈন্যদের কব্জায় থাকা কায়রাপরীর টংকীর গোপন কথাটা ‘র’এর কানে যাক।“
“’র’ অর্থাৎ ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’?”
“হ্যাঁ, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা।“ মাথা নড়াল নবী। গলা থিতিয়ে বলল,“তাই উনি সব সময় তোকে ও আমাকে কড়া প্রহরায় রাখেন। আমাদের এই চোহদ্দির বাইরে কোত্থাও যেতে দেন না। আমাদের চোখে চোখে রাখার জন্যে লোক লাগিয়ে রেখেছেন।“
“লোক! আমাদের পেছনে!”
“শুধু কী লোক, বলা হয়, তাঁর কথায় এই জঙ্গলের পশুপাখি, গাছপালাও উঠবস করে। জঙ্গলের প্রতিটি পাতায় তাঁর চোখ লাগানো থাকে। তাঁকে ফাঁকি দেওয়া যার তার কম্ম নয়।“ সোফার এককোণে গা এলিয়ে দিয়ে বসল নবী। সোফার কভার থেকে বের হওয়া সুতোর খুঁট আঙুল দিয়ে পাকাতে পাকাতে বলল, “এই বালুখালি চৌকি আক্রমণের প্ল্যান ‘লিটলবার্ড অ্যাকশন’ এর নীলনকশাও তাঁর মাথা থেকে আসা। তিনিই এর মূল ‘মাস্টারমাইন্ড’। এর পেছনেও তাঁর একটা গোপন অভিসন্ধি আছে।“
“এখানেও অভিসন্ধি!”
“হ্যাঁ, অভিসন্ধি। ছকের ভেতরে ছক।“
“ছকের ভেতরে ছক!”
“হু।“
“সেটা আবার কী?”
“আমরা যেই বালুখালি চৌকি আক্রমণ করব, অমনি চীন মিয়ানমার সরকারকে বলবে, মিয়ানমারের সীমান্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই আক্রমণের পেছনে ‘র’ এর ভূমিকা আছে। ভারত যেকোনো সময় এইসব সেনাঘাঁটি দখল করে নিতে পারে। ফলে, এসব সেনাচৌকি আমাদের কব্জায় থাকাটা বড্ড দরকার। এইভাবে, পরিকল্পনা করে পরোক্ষভাবে বালুখালি চৌকি চীনাদের হাতে তুলে দেওয়া মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লার টার্গেট। কারণ, চীন জানে, বালুখালি চৌকি তাদের কর্তৃত্বে থাকলে, ভারতকে নিশানা করা আরও সহজ হয়ে যাবে। সমুদ্রপথে ঢিল ছোড়া দূরত্বে যে ভারত।“
“এত কিছু!” ষড়যন্ত্রের হাঁড়ির খবর শুনে আতিফের চক্ষু চড়কগাছ।

চলবে...

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম