শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক

“নো, থ্যাঙ্কস, আমি কিছুই খাব না, পেট ভর্তি হয়ে আছে।“ কৌশলে অনুরোধটা নাকচ করলেন মজিদ ভাট। আসলে তাদের খেতে মানা। বাইরের কোনোকিছু তারা খেতে পারবেন না। তারা হাড়ে হাড়ে জানেন তাদের ছায়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ায় মৃত্যু। প্রশিক্ষণের সময় তাদের বলে দেওয়া হয়, মানুষ তো দূরের কথা দেয়ালকেও সন্দেহের তালিকায় রাখতে হবে। গুপ্তচরদের কাছে কোনো কিছুই সন্দেহের বাইরে নয়। একটা কলাগাছও শত্রু হয়ে উঠতে পারে। ‘বিশ্বাস’ নামক বস্তুটাকে মন থেকে ঝেরে ফেলতে হবে। কখনো কখনো নিজের মনেও ফোটাতে হবে সন্দেহের সূঁচ। ব্যাপারটার কিছু আঁচ পেয়ে জুনাইদ আর চাপাচাপি করলেন না। আতিফের দিকে চোখ ইশারা করাতে, আতিফ গ্লাসদুটো ট্রে তে করে রান্নাঘরে নিয়ে গেল। একটা মিষ্টি গন্ধ চারপাশ থেকে ভেসে আসছে। সকালের টাটকা গন্ধ। ফুল যেমন ফোটার পর পরই একটা টাটকা গন্ধ ছড়ায়, একটা দিনও রাতের গর্ভ থেকে বের হওয়ার সময় একটা গন্ধ ছড়ায়। এ গন্ধ সে গন্ধ। দিন ফোটার গন্ধ। গন্ধটা ঘরের চারপাশকে মাতিয়ে দিচ্ছে। তারপর অরণ্যে ঘেরা বাড়ি। বনানী ফুলের গন্ধ রোদের সঙ্গে মিশে চরাচরকে আরও মাতোয়ারা করে দিচ্ছে। আতিফ রান্নাঘর থেকে ফিরে এলে, মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা মজিদ ভাটকে বললেন, “হুজুর, এবার আপনার কথা পাড়ুন।“
“জি” বলে, লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট বলতে শুরু করলেন, “দ্যাখো, আতিফ, তোমার সম্বন্ধে আমরা অনেক শুনেছি, তুমি ইঞ্জিনিয়ারিং এর মেধাবী ছাত্র, একধারে সাহসী অন্যধারে বুদ্ধির মারপ্যাচ ভালোই পার। তা ছাড়া তোমার অভিজ্ঞতাও প্রচুর। যাকে বলে ঠেকে শেখা, সেটা তোমার আছে। তোমার কুটিল ব্রেন আমাদের খুউব কাজে লাগবে। দ্যাখো, আসল অস্ত্র তো ব্রেন, তাই না? ব্রেন ঠিকভাবে খাটাতে পারলে, পৃথিবীর যেকোনো কাজে জেতা যায়। সে যুদ্ধই হোক আর খেলাই হোক। ব্রেনে ধার না থাকলে, কিছুই করা যাবে না। ভোঁতা ব্রেন দিয়ে একটা পুকুরও জয় করা যায় না। আমরা জানি, গোটা নেপিদ শহর তোমার হাতের তালুর মতো চেনা। তাই আমাদের পরবর্তী ‘অ্যাটাক’ এর মাস্টারমাইন্ড তোমাকেই হতে হবে।“
“মাপ করবেন, ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না।“ মাথা খুঁটে আতিফ।
“ব্যাপারটা পানির মতো সহজ, আতিফ।“ বললেন জুনাইদ মোল্লা। আতিফ জুনাইদের দিকে চোখ ঘোরাতে, জুনাইদ বললেন, “আইএসআই’এর এ পর্যন্ত যতগুলো অ্যাকশন সংঘটিত হয়েছে, তার সব চেয়ে বড় ‘অ্যাকশন’ সংঘটিত হতে যাচ্ছে এবার। সঙ্গে থাকছি আমরা, ‘রোহিঙ্গা জেহাদি ফৌজ’। অর্থ, প্ল্যানিং ও ব্লুপ্রিন্ট আইএসআই এর। ফিল্ডে কাজ করব আমরা।“
“সে তো বুঝতে পারলাম, হুজুর, কিন্তু প্ল্যানিং টা কী?” কপালের ভাঁজ সরু করল আতিফ।

“প্ল্যানিং টার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্মাইলিং ইব্রাহিম’।“ স্যুটকেসটার কয়রা চেনটা ঘ্যাঁচ করে খুলতে খুলতে বললেন মজিদ ভাট। চতুর মজিদ ভাটের আইএসআই’ উইংসে ব্যাপক নামডাক। বিগত আট বছর ধরে আইএসআইএর কোরগ্রুপের মেম্বার। ইতোপূর্বে আফগানিস্তান ও ভারতে কাজ করেছেন। আইএসআই-এ যোগদানের পূর্বে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ছিলেন। দাপুটে সেনা অফিসার। করাচি সেনা অ্যাকাডেমিতে এখনো তার নাম শুনলে সবাই ‘সেলাম’ ঠুকেন। ভারতে থাকার সময় চতুরতার সাথে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র) এর একটা ‘গোপন ষড়যন্ত্র’ বানচাল করে দিয়েছিলেন। ষড়যন্ত্রটা ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টর দিয়ে ‘সারজিক্যাল অ্যাটাক’ করে পাকিস্তানি সেনাছাউনি ধ্বংস করে দেওয়া। গোপন তথ্য পাচারের মধ্য দিয়ে পুরো পরিকল্পনাটাই ভেস্তে দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট। এর ফলে আইএসআই ডিপার্টমেন্টে তার প্রমোশনও হয়। তিনি ‘ফিল্ড এজেন্ট’ থেকে ‘ফিল্ড অফিসার’ এ উন্নিত হন। আইএসআই-এর কোরগ্রুপের মেম্বার হন। চেনটা খুলে, স্যুটকেসের ভেতর থেকে খড়মড় করে একগুচ্ছ কাগজের বান্ডিল বের করে মজিদ ভাট চোখ টান করে বললেন, “মিয়ানমারের ওপর আমাদের সব থেকে বড় অ্যাকশন। একাজেই ওরা টের পাবে, ওদের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। মৃত্যুর বদলা হবে মৃত্যু। লাশের বদলা লাশ।“

আতিফ আর নবী দুজন দুজনের দিকে মুখ চাওয়াচায়ি করল। চোখের ইশারায় আতিফ জানতে চায়ল, অ্যাকশনটা কী? নবী ঘাড় নড়াল, কিছুই বুঝতে পারছি না। লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট একটা সাদা রঙের কাগজের ওপর নীল কালি দিয়ে কী সব আঁকিবুঁকি আঁকা স্কেচ বের করে বললেন, “এটা চিনতে পারছ, আতিফ?” আতিফ মাথা ঝুঁকে চোখদুটোকে কাগজের আঁকিবুঁকির মধ্যে পুরে দিল, নাহ, ঠিক বোঝা যাচ্ছে না! তবে এটুকু আন্দাজ করা যাচ্ছে যে, কোনো একটা বিল্ডিং-এর স্কেচ। আতিফ ঘাড় এদিক ওদিক করে বলল, “নাহ, চিনতে পারছি না।“ মজিদ ভাট স্কেচের ওপর আঙুল রেখে স্তরের পর স্তর আঁকা একটা টাওয়ারের স্কেচ নির্দেশ করে জিজ্ঞেস করলেন, “এটা চিনতে পারছ?” আতিফ ভালো করে চোখের জরিপ করে দেখল, একটা প্যাগোডার স্কেচ।

“এটা একটা প্যাগোডার স্কেচ, সেটা বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু কোথায়, কী, সেসব কিচ্ছু বুঝতে পারা যাচ্ছে না।“ কথাটা বলেই আতিফ ভাবল, লোকটা আমাকে এসব কেন দেখাচ্ছেন! এসব দেখিয়ে তিনি কী করতে চায়ছেন! কিছু বলা নেই কহা নেই, হুট করে একটা কাগজ বের করে তার ওপর আঁকা একটা বিল্ডিং-এর স্কেচ কেন দেখাচ্ছেন! ভোর থেকে এমনিতেই মনটা খারাপ। আব্বাদের খোঁজটা পাওয়ার পর থেকে মনটা নাফ নদীতেই পড়ে আছে। সবসময় মনটা গাহাচ্ছে, আব্বাদের কী হয় কী হয়! সবকজন না খেয়ে মারা গেলে, বংশটা নির্বংশ হয়ে যাবে! আমার আর কী ভরসা! এই আছি এই নেই! হৃদয় কুরে কুরে কাটে আতিফের। এতক্ষণ ধরে মনের মধ্যে উসখুস করতে থাকা কথাটা এবার পেড়েই বসল আতিফ, “স্মাইলিং ইব্রাহিম অ্যাকশনটা কী, একটু খুলে বললে ভালো হয়।“
“অত উতলা হচ্ছ কেন আতিফ, সব খুলে বলা হবে, সব খুলে বলার জন্যেই তো আমাদের এখানে এই সাতসকালে আসা।“ ঠোঁটে একটা রহস্যমাখা হাসি মাখিয়ে বললেন মেজর জুনাইদ। জুনাইদের কথা শেষ হতে না হতেই মজিদ ভাট জুনাইদের কথার সঙ্গে জুড়ে দিলেন, “স্মাইলিং ইব্রাহিম হলো মিয়ানমারের উপর সব থেকে বড়সড় অ্যাটাক, রাজধানী নেপিদে অবস্থিত মায়ানমারের পার্লামেন্টে আক্রমণ। নয়জনের আত্মঘাতী টিম থাকবে। তিনজন সুযোগ বুঝে পার্লামেন্টের ভেতরে ঢুকে যাবে, তিনজন বাইরে থাকবে আর বাকি তিনজন পার্লামেন্ট লাগোয়া এলাকায় টহল দেবে। সুযোগ বুঝে প্যাগোডাটাকেও উড়িয়ে দিতে হবে। পুরো মিশনটা আমাদের এক ক্যাপ্টেন কো-অরডিনেট করবেন। তিনি নেপিদের এক নামি হোটেলে গোপন আস্তানা গেড়ে থাকবেন। কাজ সফল করে পালাবার পথ না পেলে নিজেকে আত্মঘাতী বোম দিয়ে উড়িয়ে দিতে হবে। কোনোভাবেই ধরা পড়া চলবে না।“

চোখ মুখ ‘থ’ করে শুনছে আতিফ। মনে মনে বলছে, সে তো মরতে হবেই, এতদিন গাড়ি গাড়ি টাকা খরচ করে কোরবানির খাসির মতো করে পুষেছেন, এবার তো কোরবানি হতে হবেই। মজিদ ভাট এবার আতিফের দিকে তাকিয়ে বুকের সিনা ফুলিয়ে বললেন, “আমরা ঠিক করেছি, প্রথম তিনজনের টিমের তুমি থাকবে ক্যাপ্টেন। তোমার নেতৃত্বেই বাকি দুজন পার্লামেন্টের ভেতরে ঢুকবে।“
“কিন্তু… ।“ কাঁচুমাচু করে আতিফ। জুনাইদ চোখ ঘুরিয়ে বলে উঠলেন, “কোনো সমস্যা, আতিফ?” আতিফ মনের কথাটা গিলে নিয়ে বলল, “না, সেরকম কিছু না।“ নবী চেয়ার ছেড়ে উঠে বলল, “লুকোচ্ছিস ক্যানে আতিফ, মনের কথাটা খুলে বলে ফেল।“

লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট রিমলেস চশমার ওপর দিয়ে এমুখ ওমুখ চাওয়াচায়ি করেন। মনের কথা! কথা খুলে বলবে! কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না ভাটসাহেব। তবে তার গোয়েন্দা মন আন্দাজ করে, আতিফ কিছু একটা ব্যাড় বাঁধানোর চেষ্টা করবে। হয় বাড়ির অজুহাত না হয় পেটের অসুখ। এসব তো কম চরালাম না! এসব চরিয়ে চরিয়েই বুড়ো হয়ে গেলাম। এদের ধাত দেখলেই অসুখ চেনা যায়।
“হুজুর আতিফ আজ সকালে……।“ নবী কথাটা বলতে শুরু করলেই, “এই নবী, তুই চুপ করবি?” ধমকে থামিয়ে দিল আতিফ। নবী আতিফের ধমকের ভাষা বুঝতে পেরে কথাটাকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে বলল, “আতিফ আজ পুরো কোরআন শরিফ ‘খতম’(তিরিশ পারা পাঠ সম্পূর্ণ করা ) দিয়েছে।“
“মাসআল্লাহ!” উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা। মজিদ ভাট, জুনাইদ মোল্লার মতো অত উৎফুল্ল না হয়ে ঠোঁটে হাসি মাখিয়ে বললেন, “এ তো খুব ভালো ব্যাপার। এখন থেকে তুমি কোরআন পড়া মানুষ। আল্লাহর অন্যতম নেকবান্দা।“
ব্যাপারটা যে একেবারে ডাহা মিথ্যে তা নয়, আতিফ এমনিতেই প্রত্যেক ভোরে কোরআন তেলওয়াত করে। তার ‘খতম’ দেওয়াটা দিন সাতেক আগেই সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এখানে নবী প্রথমদিকে সেকথা বলতে চায়নি, সে বলতে চেয়েছিল, আতিফের আব্বা-মা, ভাইয়েদের খোঁজ পাওয়ার কথা। আতিফ যে এই কটা দিন অন্য কোনো কাজে যেতে পারবে না, সে নয়াপাড়া ক্যাম্প হয়ে নাফ নদীতে যাবে, সেকথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু আতিফের ধমকের ইশারায় নবী তার ভুলটা বুঝতে পারে। জুনাইদ মোল্লা বা মজিদ ভাটরা যদি কোনোভাবে জানতে পারেন, আতিফ ‘অ্যাটাক’এর আগে তার বাপ-মায়ের খোঁজে চলে যাবে, তাহলে তার গদ্দন থাকবে না। আর জে এফ কোনোমতেই তার মতো সাহসী ও বুদ্ধিমান শিক্ষিত মুজাহিদকে হাতছাড়া করবে না। এমনিতেই একা একা বাইরে বেরোনো নিষেধ, তার ওপর নয়াপাড়া হয়ে নাফ নদীতে যাওয়া! আকাশ কুসুম কল্পনা! আতিফ তো এখন আর শুধু জাফর আলির ছেলে নয়, নবীর অন্তরঙ্গ বন্ধুও নয়, আতিফ এখন ভুরি ভুরি গোপন তথ্য আর ষড়যন্ত্র ঠেসে পুরা একটা জীবন্ত ফাইল। হেঁটে চলে বেরোনো কম্পিউটার! আর জে এফ, আইএসআই আর আইএসআইএস-এর ভেতরের কথা জানা মানুষ। সুতরাং সে কোনোভাবে শত্রুর হাতে পড়ে গেলে অনেক গোপন তথ্য লিক হয়ে যাবে! মুজাহিদদের ‘মুজাহিদজীবন’ থেকে জীবন্ত বেরোনোর কোনো পথ থাকে না। নজরে রাখার জন্যে, একজন মুজাহিদের পেছনে আরেকজন মুজাহিদকে গোয়েন্দার মতো লাগানো থাকে।

“এই প্ল্যানিংটার এখনো মাস তিনেক সময় আছে। তার আগে নিজেদের তৈরি করতে হবে। আর জে এফএর একটা টিম সামনের সপ্তাহেই নেপিদ যাবে। ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী তারা লোকেশন ঠিক করে আসবে। এই টিমে তোমাকেও যেতে হবে।“ চোখ থেকে চশমাটা খুলে দাগ পড়া চোখে তাকিয়ে বললেন মজিদ ভাট।
“আমাকে!” আঁতকে ওঠার মতো করে বলল আতিফ। তারপর পরক্ষণেই গলার স্বর নামিয়ে বলল, “ও আচ্ছা।“ মনের উপকূলে আছড়ে পড়ল দুশ্চিন্তার ঢেউ, সামনের সপ্তাহ মানে তো হাতে মাত্র চারদিন বাকি! এই চারদিনের মধ্যে কী করে লুকিয়ে নাফ নদী ঘুরে আসব? নবীও তো আমার সঙ্গে যেতে পারবে না, ও বালুখালি আক্রমণের কমান্ডার। সেটাও তো একদিন পর। এখান থেকে নয়াপাড়া যেতে পাঁচ ঘণ্টাও লাগবে না, কিন্তু সেখান থেকে নাফ নদীতে নেমে নৌকো করে আব্বাদের খোঁজ পাওয়াটা তো আর পাঁচ ঘণ্টায় হবে না? কত ঘণ্টা না কয়দিন লাগবে তার ঠিক ঠিকানা নেই। আবার দুদিনের বেশি এই ট্রেনিং অ্যাকাডেমি ছেড়ে আত্মগোপন করে থাকাও যাবে না। নবী থাকলে না হয় ও আরও এক-আধটা দিন ম্যানেজ করে নিতে পারত, কিন্তু এই গেরোতে ও তো অ্যাকাডেমিতে থাকবে না! ও তো কুরবানির ডোর গলায় পরেই নিয়েছে! শুধু জিলহজের চাঁদ উঠতে বাকি। যেনতেন প্রকারে আব্বাদের ডাঙায় উঠিয়ে দিয়ে আসতে পারলেই হলো, আর চিন্তা নেই, আব্বা মারা গেলে কবরের মাটি তখন ঠিকই পেয়ে যাবে। আব্বার স্বপ্নটাও সত্য হবে। তখন আমি বাঁচি আর মরি, কোনো চিন্তা নেই। দেশের জন্যে হাসিমুখে শহীদ হয়ে যাব।

চলবে...

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক