শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ | ১৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক

“নো, থ্যাঙ্কস, আমি কিছুই খাব না, পেট ভর্তি হয়ে আছে।“ কৌশলে অনুরোধটা নাকচ করলেন মজিদ ভাট। আসলে তাদের খেতে মানা। বাইরের কোনোকিছু তারা খেতে পারবেন না। তারা হাড়ে হাড়ে জানেন তাদের ছায়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ায় মৃত্যু। প্রশিক্ষণের সময় তাদের বলে দেওয়া হয়, মানুষ তো দূরের কথা দেয়ালকেও সন্দেহের তালিকায় রাখতে হবে। গুপ্তচরদের কাছে কোনো কিছুই সন্দেহের বাইরে নয়। একটা কলাগাছও শত্রু হয়ে উঠতে পারে। ‘বিশ্বাস’ নামক বস্তুটাকে মন থেকে ঝেরে ফেলতে হবে। কখনো কখনো নিজের মনেও ফোটাতে হবে সন্দেহের সূঁচ। ব্যাপারটার কিছু আঁচ পেয়ে জুনাইদ আর চাপাচাপি করলেন না। আতিফের দিকে চোখ ইশারা করাতে, আতিফ গ্লাসদুটো ট্রে তে করে রান্নাঘরে নিয়ে গেল। একটা মিষ্টি গন্ধ চারপাশ থেকে ভেসে আসছে। সকালের টাটকা গন্ধ। ফুল যেমন ফোটার পর পরই একটা টাটকা গন্ধ ছড়ায়, একটা দিনও রাতের গর্ভ থেকে বের হওয়ার সময় একটা গন্ধ ছড়ায়। এ গন্ধ সে গন্ধ। দিন ফোটার গন্ধ। গন্ধটা ঘরের চারপাশকে মাতিয়ে দিচ্ছে। তারপর অরণ্যে ঘেরা বাড়ি। বনানী ফুলের গন্ধ রোদের সঙ্গে মিশে চরাচরকে আরও মাতোয়ারা করে দিচ্ছে। আতিফ রান্নাঘর থেকে ফিরে এলে, মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা মজিদ ভাটকে বললেন, “হুজুর, এবার আপনার কথা পাড়ুন।“
“জি” বলে, লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট বলতে শুরু করলেন, “দ্যাখো, আতিফ, তোমার সম্বন্ধে আমরা অনেক শুনেছি, তুমি ইঞ্জিনিয়ারিং এর মেধাবী ছাত্র, একধারে সাহসী অন্যধারে বুদ্ধির মারপ্যাচ ভালোই পার। তা ছাড়া তোমার অভিজ্ঞতাও প্রচুর। যাকে বলে ঠেকে শেখা, সেটা তোমার আছে। তোমার কুটিল ব্রেন আমাদের খুউব কাজে লাগবে। দ্যাখো, আসল অস্ত্র তো ব্রেন, তাই না? ব্রেন ঠিকভাবে খাটাতে পারলে, পৃথিবীর যেকোনো কাজে জেতা যায়। সে যুদ্ধই হোক আর খেলাই হোক। ব্রেনে ধার না থাকলে, কিছুই করা যাবে না। ভোঁতা ব্রেন দিয়ে একটা পুকুরও জয় করা যায় না। আমরা জানি, গোটা নেপিদ শহর তোমার হাতের তালুর মতো চেনা। তাই আমাদের পরবর্তী ‘অ্যাটাক’ এর মাস্টারমাইন্ড তোমাকেই হতে হবে।“
“মাপ করবেন, ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না।“ মাথা খুঁটে আতিফ।
“ব্যাপারটা পানির মতো সহজ, আতিফ।“ বললেন জুনাইদ মোল্লা। আতিফ জুনাইদের দিকে চোখ ঘোরাতে, জুনাইদ বললেন, “আইএসআই’এর এ পর্যন্ত যতগুলো অ্যাকশন সংঘটিত হয়েছে, তার সব চেয়ে বড় ‘অ্যাকশন’ সংঘটিত হতে যাচ্ছে এবার। সঙ্গে থাকছি আমরা, ‘রোহিঙ্গা জেহাদি ফৌজ’। অর্থ, প্ল্যানিং ও ব্লুপ্রিন্ট আইএসআই এর। ফিল্ডে কাজ করব আমরা।“
“সে তো বুঝতে পারলাম, হুজুর, কিন্তু প্ল্যানিং টা কী?” কপালের ভাঁজ সরু করল আতিফ।

“প্ল্যানিং টার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্মাইলিং ইব্রাহিম’।“ স্যুটকেসটার কয়রা চেনটা ঘ্যাঁচ করে খুলতে খুলতে বললেন মজিদ ভাট। চতুর মজিদ ভাটের আইএসআই’ উইংসে ব্যাপক নামডাক। বিগত আট বছর ধরে আইএসআইএর কোরগ্রুপের মেম্বার। ইতোপূর্বে আফগানিস্তান ও ভারতে কাজ করেছেন। আইএসআই-এ যোগদানের পূর্বে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ছিলেন। দাপুটে সেনা অফিসার। করাচি সেনা অ্যাকাডেমিতে এখনো তার নাম শুনলে সবাই ‘সেলাম’ ঠুকেন। ভারতে থাকার সময় চতুরতার সাথে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র) এর একটা ‘গোপন ষড়যন্ত্র’ বানচাল করে দিয়েছিলেন। ষড়যন্ত্রটা ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টর দিয়ে ‘সারজিক্যাল অ্যাটাক’ করে পাকিস্তানি সেনাছাউনি ধ্বংস করে দেওয়া। গোপন তথ্য পাচারের মধ্য দিয়ে পুরো পরিকল্পনাটাই ভেস্তে দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট। এর ফলে আইএসআই ডিপার্টমেন্টে তার প্রমোশনও হয়। তিনি ‘ফিল্ড এজেন্ট’ থেকে ‘ফিল্ড অফিসার’ এ উন্নিত হন। আইএসআই-এর কোরগ্রুপের মেম্বার হন। চেনটা খুলে, স্যুটকেসের ভেতর থেকে খড়মড় করে একগুচ্ছ কাগজের বান্ডিল বের করে মজিদ ভাট চোখ টান করে বললেন, “মিয়ানমারের ওপর আমাদের সব থেকে বড় অ্যাকশন। একাজেই ওরা টের পাবে, ওদের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। মৃত্যুর বদলা হবে মৃত্যু। লাশের বদলা লাশ।“

আতিফ আর নবী দুজন দুজনের দিকে মুখ চাওয়াচায়ি করল। চোখের ইশারায় আতিফ জানতে চায়ল, অ্যাকশনটা কী? নবী ঘাড় নড়াল, কিছুই বুঝতে পারছি না। লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট একটা সাদা রঙের কাগজের ওপর নীল কালি দিয়ে কী সব আঁকিবুঁকি আঁকা স্কেচ বের করে বললেন, “এটা চিনতে পারছ, আতিফ?” আতিফ মাথা ঝুঁকে চোখদুটোকে কাগজের আঁকিবুঁকির মধ্যে পুরে দিল, নাহ, ঠিক বোঝা যাচ্ছে না! তবে এটুকু আন্দাজ করা যাচ্ছে যে, কোনো একটা বিল্ডিং-এর স্কেচ। আতিফ ঘাড় এদিক ওদিক করে বলল, “নাহ, চিনতে পারছি না।“ মজিদ ভাট স্কেচের ওপর আঙুল রেখে স্তরের পর স্তর আঁকা একটা টাওয়ারের স্কেচ নির্দেশ করে জিজ্ঞেস করলেন, “এটা চিনতে পারছ?” আতিফ ভালো করে চোখের জরিপ করে দেখল, একটা প্যাগোডার স্কেচ।

“এটা একটা প্যাগোডার স্কেচ, সেটা বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু কোথায়, কী, সেসব কিচ্ছু বুঝতে পারা যাচ্ছে না।“ কথাটা বলেই আতিফ ভাবল, লোকটা আমাকে এসব কেন দেখাচ্ছেন! এসব দেখিয়ে তিনি কী করতে চায়ছেন! কিছু বলা নেই কহা নেই, হুট করে একটা কাগজ বের করে তার ওপর আঁকা একটা বিল্ডিং-এর স্কেচ কেন দেখাচ্ছেন! ভোর থেকে এমনিতেই মনটা খারাপ। আব্বাদের খোঁজটা পাওয়ার পর থেকে মনটা নাফ নদীতেই পড়ে আছে। সবসময় মনটা গাহাচ্ছে, আব্বাদের কী হয় কী হয়! সবকজন না খেয়ে মারা গেলে, বংশটা নির্বংশ হয়ে যাবে! আমার আর কী ভরসা! এই আছি এই নেই! হৃদয় কুরে কুরে কাটে আতিফের। এতক্ষণ ধরে মনের মধ্যে উসখুস করতে থাকা কথাটা এবার পেড়েই বসল আতিফ, “স্মাইলিং ইব্রাহিম অ্যাকশনটা কী, একটু খুলে বললে ভালো হয়।“
“অত উতলা হচ্ছ কেন আতিফ, সব খুলে বলা হবে, সব খুলে বলার জন্যেই তো আমাদের এখানে এই সাতসকালে আসা।“ ঠোঁটে একটা রহস্যমাখা হাসি মাখিয়ে বললেন মেজর জুনাইদ। জুনাইদের কথা শেষ হতে না হতেই মজিদ ভাট জুনাইদের কথার সঙ্গে জুড়ে দিলেন, “স্মাইলিং ইব্রাহিম হলো মিয়ানমারের উপর সব থেকে বড়সড় অ্যাটাক, রাজধানী নেপিদে অবস্থিত মায়ানমারের পার্লামেন্টে আক্রমণ। নয়জনের আত্মঘাতী টিম থাকবে। তিনজন সুযোগ বুঝে পার্লামেন্টের ভেতরে ঢুকে যাবে, তিনজন বাইরে থাকবে আর বাকি তিনজন পার্লামেন্ট লাগোয়া এলাকায় টহল দেবে। সুযোগ বুঝে প্যাগোডাটাকেও উড়িয়ে দিতে হবে। পুরো মিশনটা আমাদের এক ক্যাপ্টেন কো-অরডিনেট করবেন। তিনি নেপিদের এক নামি হোটেলে গোপন আস্তানা গেড়ে থাকবেন। কাজ সফল করে পালাবার পথ না পেলে নিজেকে আত্মঘাতী বোম দিয়ে উড়িয়ে দিতে হবে। কোনোভাবেই ধরা পড়া চলবে না।“

চোখ মুখ ‘থ’ করে শুনছে আতিফ। মনে মনে বলছে, সে তো মরতে হবেই, এতদিন গাড়ি গাড়ি টাকা খরচ করে কোরবানির খাসির মতো করে পুষেছেন, এবার তো কোরবানি হতে হবেই। মজিদ ভাট এবার আতিফের দিকে তাকিয়ে বুকের সিনা ফুলিয়ে বললেন, “আমরা ঠিক করেছি, প্রথম তিনজনের টিমের তুমি থাকবে ক্যাপ্টেন। তোমার নেতৃত্বেই বাকি দুজন পার্লামেন্টের ভেতরে ঢুকবে।“
“কিন্তু… ।“ কাঁচুমাচু করে আতিফ। জুনাইদ চোখ ঘুরিয়ে বলে উঠলেন, “কোনো সমস্যা, আতিফ?” আতিফ মনের কথাটা গিলে নিয়ে বলল, “না, সেরকম কিছু না।“ নবী চেয়ার ছেড়ে উঠে বলল, “লুকোচ্ছিস ক্যানে আতিফ, মনের কথাটা খুলে বলে ফেল।“

লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট রিমলেস চশমার ওপর দিয়ে এমুখ ওমুখ চাওয়াচায়ি করেন। মনের কথা! কথা খুলে বলবে! কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না ভাটসাহেব। তবে তার গোয়েন্দা মন আন্দাজ করে, আতিফ কিছু একটা ব্যাড় বাঁধানোর চেষ্টা করবে। হয় বাড়ির অজুহাত না হয় পেটের অসুখ। এসব তো কম চরালাম না! এসব চরিয়ে চরিয়েই বুড়ো হয়ে গেলাম। এদের ধাত দেখলেই অসুখ চেনা যায়।
“হুজুর আতিফ আজ সকালে……।“ নবী কথাটা বলতে শুরু করলেই, “এই নবী, তুই চুপ করবি?” ধমকে থামিয়ে দিল আতিফ। নবী আতিফের ধমকের ভাষা বুঝতে পেরে কথাটাকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে বলল, “আতিফ আজ পুরো কোরআন শরিফ ‘খতম’(তিরিশ পারা পাঠ সম্পূর্ণ করা ) দিয়েছে।“
“মাসআল্লাহ!” উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা। মজিদ ভাট, জুনাইদ মোল্লার মতো অত উৎফুল্ল না হয়ে ঠোঁটে হাসি মাখিয়ে বললেন, “এ তো খুব ভালো ব্যাপার। এখন থেকে তুমি কোরআন পড়া মানুষ। আল্লাহর অন্যতম নেকবান্দা।“
ব্যাপারটা যে একেবারে ডাহা মিথ্যে তা নয়, আতিফ এমনিতেই প্রত্যেক ভোরে কোরআন তেলওয়াত করে। তার ‘খতম’ দেওয়াটা দিন সাতেক আগেই সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এখানে নবী প্রথমদিকে সেকথা বলতে চায়নি, সে বলতে চেয়েছিল, আতিফের আব্বা-মা, ভাইয়েদের খোঁজ পাওয়ার কথা। আতিফ যে এই কটা দিন অন্য কোনো কাজে যেতে পারবে না, সে নয়াপাড়া ক্যাম্প হয়ে নাফ নদীতে যাবে, সেকথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু আতিফের ধমকের ইশারায় নবী তার ভুলটা বুঝতে পারে। জুনাইদ মোল্লা বা মজিদ ভাটরা যদি কোনোভাবে জানতে পারেন, আতিফ ‘অ্যাটাক’এর আগে তার বাপ-মায়ের খোঁজে চলে যাবে, তাহলে তার গদ্দন থাকবে না। আর জে এফ কোনোমতেই তার মতো সাহসী ও বুদ্ধিমান শিক্ষিত মুজাহিদকে হাতছাড়া করবে না। এমনিতেই একা একা বাইরে বেরোনো নিষেধ, তার ওপর নয়াপাড়া হয়ে নাফ নদীতে যাওয়া! আকাশ কুসুম কল্পনা! আতিফ তো এখন আর শুধু জাফর আলির ছেলে নয়, নবীর অন্তরঙ্গ বন্ধুও নয়, আতিফ এখন ভুরি ভুরি গোপন তথ্য আর ষড়যন্ত্র ঠেসে পুরা একটা জীবন্ত ফাইল। হেঁটে চলে বেরোনো কম্পিউটার! আর জে এফ, আইএসআই আর আইএসআইএস-এর ভেতরের কথা জানা মানুষ। সুতরাং সে কোনোভাবে শত্রুর হাতে পড়ে গেলে অনেক গোপন তথ্য লিক হয়ে যাবে! মুজাহিদদের ‘মুজাহিদজীবন’ থেকে জীবন্ত বেরোনোর কোনো পথ থাকে না। নজরে রাখার জন্যে, একজন মুজাহিদের পেছনে আরেকজন মুজাহিদকে গোয়েন্দার মতো লাগানো থাকে।

“এই প্ল্যানিংটার এখনো মাস তিনেক সময় আছে। তার আগে নিজেদের তৈরি করতে হবে। আর জে এফএর একটা টিম সামনের সপ্তাহেই নেপিদ যাবে। ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী তারা লোকেশন ঠিক করে আসবে। এই টিমে তোমাকেও যেতে হবে।“ চোখ থেকে চশমাটা খুলে দাগ পড়া চোখে তাকিয়ে বললেন মজিদ ভাট।
“আমাকে!” আঁতকে ওঠার মতো করে বলল আতিফ। তারপর পরক্ষণেই গলার স্বর নামিয়ে বলল, “ও আচ্ছা।“ মনের উপকূলে আছড়ে পড়ল দুশ্চিন্তার ঢেউ, সামনের সপ্তাহ মানে তো হাতে মাত্র চারদিন বাকি! এই চারদিনের মধ্যে কী করে লুকিয়ে নাফ নদী ঘুরে আসব? নবীও তো আমার সঙ্গে যেতে পারবে না, ও বালুখালি আক্রমণের কমান্ডার। সেটাও তো একদিন পর। এখান থেকে নয়াপাড়া যেতে পাঁচ ঘণ্টাও লাগবে না, কিন্তু সেখান থেকে নাফ নদীতে নেমে নৌকো করে আব্বাদের খোঁজ পাওয়াটা তো আর পাঁচ ঘণ্টায় হবে না? কত ঘণ্টা না কয়দিন লাগবে তার ঠিক ঠিকানা নেই। আবার দুদিনের বেশি এই ট্রেনিং অ্যাকাডেমি ছেড়ে আত্মগোপন করে থাকাও যাবে না। নবী থাকলে না হয় ও আরও এক-আধটা দিন ম্যানেজ করে নিতে পারত, কিন্তু এই গেরোতে ও তো অ্যাকাডেমিতে থাকবে না! ও তো কুরবানির ডোর গলায় পরেই নিয়েছে! শুধু জিলহজের চাঁদ উঠতে বাকি। যেনতেন প্রকারে আব্বাদের ডাঙায় উঠিয়ে দিয়ে আসতে পারলেই হলো, আর চিন্তা নেই, আব্বা মারা গেলে কবরের মাটি তখন ঠিকই পেয়ে যাবে। আব্বার স্বপ্নটাও সত্য হবে। তখন আমি বাঁচি আর মরি, কোনো চিন্তা নেই। দেশের জন্যে হাসিমুখে শহীদ হয়ে যাব।

চলবে...

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad
Header Ad

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে দেশটিতে ১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাস ২৯ দিনে সম্পন্ন হচ্ছে এবং আগামীকাল (রবিবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

সৌদিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি ইনসাইট দ্য হারামাইন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, রমজান নবম মাস এবং শাওয়াল দশম মাস। সাধারণত শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহ ঈদুল ফিতর উদযাপন করে।

এদিকে, বাংলাদেশেও আগামীকাল (রবিবার) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে আলোচনা করতে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর কবে উদযাপিত হবে, তা জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, দেশ দুটিতে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশেও একই দিনে ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল (রোববার) খালি চোখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে ভারতে এবারের রমজান ২৯ দিনে সম্পন্ন হবে এবং সোমবার ঈদ উদযাপন করা হবে। একইভাবে পাকিস্তানেও ২৯ রোজা পালনের পর সোমবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটি যথাসময়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ একই চাঁদ দেখার অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায়, বাংলাদেশের ঈদুল ফিতরও ৩১ মার্চ সোমবার উদযাপিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইও ৩১ মার্চ সোমবার ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেয়। সবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে একই দিনে ঈদ উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশে রমজানের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে। চাঁদ দেখা গেলে সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা হবে এবং তার পরই দেশব্যাপী ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে।

Header Ad
Header Ad

দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় যুবদল নেতা আবু রায়হান রাহিমের পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাহিম গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ নেতার পরিবারের কাছে এই উপহার তুলে দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির যুগ্ম পরিচালক ড. আব্দুল মজিদ, দুপচাঁচিয়া থানা বিএনপির সভাপতি একেএম মনিরুল ইসলাম খান স্বপন, কাহালু উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ।

এছাড়া, দুপচাঁচিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আফছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খন্দকার রাকিবসহ যুবদল ও বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতারা শহীদ আবু রায়হান রাহিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, বিএনপি তাদের কখনো ভুলবে না। ঈদ উপলক্ষে তারেক রহমানের এই উপহার শহীদ পরিবারের প্রতি দলের ভালোবাসা ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ ও আহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। দলীয় নেতারা জানান, ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ
ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল
দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার
ভারত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরব ঈদের তারিখ ঘোষণা করবে রাত ৯টার পর
রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন মির্জা ফখরুল
কারাবন্দিদের জন্য ঈদের বিশেষ আয়োজনে থাকছে ভালো খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
চীনের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ
পদ্মা সেতুতে এক দিনে সোয়া ৪ কোটি টাকা টোল আদায়
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনা নিয়ে পুতিনের সতর্কবার্তা
অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ আগামী ৩১ মার্চ  
বাংলাদেশেও বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা, ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ সতর্কবার্তা
মেট্রোরেলে নেই চিরচেনা ভিড়, বন্ধ থাকবে ঈদের দিন
নাটোর ডিসি বাংলোর বাঁশবাগান থেকে শতাধিক সিলমারা ব্যালট উদ্ধার
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
ঈদে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবি-আনসার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ৪০ জেলা
ঈদের তারিখ ঠিক করতে কাল সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটি
ইংল্যান্ডে ফিরেই হামজা জাদু, শীর্ষে তুললেন শেফিল্ডকে
এবার ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের নানি বললেন ‘আগে গোপনে মারতাম এখন ওপেনে মারব’