শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক

“নো, থ্যাঙ্কস, আমি কিছুই খাব না, পেট ভর্তি হয়ে আছে।“ কৌশলে অনুরোধটা নাকচ করলেন মজিদ ভাট। আসলে তাদের খেতে মানা। বাইরের কোনোকিছু তারা খেতে পারবেন না। তারা হাড়ে হাড়ে জানেন তাদের ছায়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ায় মৃত্যু। প্রশিক্ষণের সময় তাদের বলে দেওয়া হয়, মানুষ তো দূরের কথা দেয়ালকেও সন্দেহের তালিকায় রাখতে হবে। গুপ্তচরদের কাছে কোনো কিছুই সন্দেহের বাইরে নয়। একটা কলাগাছও শত্রু হয়ে উঠতে পারে। ‘বিশ্বাস’ নামক বস্তুটাকে মন থেকে ঝেরে ফেলতে হবে। কখনো কখনো নিজের মনেও ফোটাতে হবে সন্দেহের সূঁচ। ব্যাপারটার কিছু আঁচ পেয়ে জুনাইদ আর চাপাচাপি করলেন না। আতিফের দিকে চোখ ইশারা করাতে, আতিফ গ্লাসদুটো ট্রে তে করে রান্নাঘরে নিয়ে গেল। একটা মিষ্টি গন্ধ চারপাশ থেকে ভেসে আসছে। সকালের টাটকা গন্ধ। ফুল যেমন ফোটার পর পরই একটা টাটকা গন্ধ ছড়ায়, একটা দিনও রাতের গর্ভ থেকে বের হওয়ার সময় একটা গন্ধ ছড়ায়। এ গন্ধ সে গন্ধ। দিন ফোটার গন্ধ। গন্ধটা ঘরের চারপাশকে মাতিয়ে দিচ্ছে। তারপর অরণ্যে ঘেরা বাড়ি। বনানী ফুলের গন্ধ রোদের সঙ্গে মিশে চরাচরকে আরও মাতোয়ারা করে দিচ্ছে। আতিফ রান্নাঘর থেকে ফিরে এলে, মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা মজিদ ভাটকে বললেন, “হুজুর, এবার আপনার কথা পাড়ুন।“
“জি” বলে, লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট বলতে শুরু করলেন, “দ্যাখো, আতিফ, তোমার সম্বন্ধে আমরা অনেক শুনেছি, তুমি ইঞ্জিনিয়ারিং এর মেধাবী ছাত্র, একধারে সাহসী অন্যধারে বুদ্ধির মারপ্যাচ ভালোই পার। তা ছাড়া তোমার অভিজ্ঞতাও প্রচুর। যাকে বলে ঠেকে শেখা, সেটা তোমার আছে। তোমার কুটিল ব্রেন আমাদের খুউব কাজে লাগবে। দ্যাখো, আসল অস্ত্র তো ব্রেন, তাই না? ব্রেন ঠিকভাবে খাটাতে পারলে, পৃথিবীর যেকোনো কাজে জেতা যায়। সে যুদ্ধই হোক আর খেলাই হোক। ব্রেনে ধার না থাকলে, কিছুই করা যাবে না। ভোঁতা ব্রেন দিয়ে একটা পুকুরও জয় করা যায় না। আমরা জানি, গোটা নেপিদ শহর তোমার হাতের তালুর মতো চেনা। তাই আমাদের পরবর্তী ‘অ্যাটাক’ এর মাস্টারমাইন্ড তোমাকেই হতে হবে।“
“মাপ করবেন, ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না।“ মাথা খুঁটে আতিফ।
“ব্যাপারটা পানির মতো সহজ, আতিফ।“ বললেন জুনাইদ মোল্লা। আতিফ জুনাইদের দিকে চোখ ঘোরাতে, জুনাইদ বললেন, “আইএসআই’এর এ পর্যন্ত যতগুলো অ্যাকশন সংঘটিত হয়েছে, তার সব চেয়ে বড় ‘অ্যাকশন’ সংঘটিত হতে যাচ্ছে এবার। সঙ্গে থাকছি আমরা, ‘রোহিঙ্গা জেহাদি ফৌজ’। অর্থ, প্ল্যানিং ও ব্লুপ্রিন্ট আইএসআই এর। ফিল্ডে কাজ করব আমরা।“
“সে তো বুঝতে পারলাম, হুজুর, কিন্তু প্ল্যানিং টা কী?” কপালের ভাঁজ সরু করল আতিফ।

“প্ল্যানিং টার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্মাইলিং ইব্রাহিম’।“ স্যুটকেসটার কয়রা চেনটা ঘ্যাঁচ করে খুলতে খুলতে বললেন মজিদ ভাট। চতুর মজিদ ভাটের আইএসআই’ উইংসে ব্যাপক নামডাক। বিগত আট বছর ধরে আইএসআইএর কোরগ্রুপের মেম্বার। ইতোপূর্বে আফগানিস্তান ও ভারতে কাজ করেছেন। আইএসআই-এ যোগদানের পূর্বে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ছিলেন। দাপুটে সেনা অফিসার। করাচি সেনা অ্যাকাডেমিতে এখনো তার নাম শুনলে সবাই ‘সেলাম’ ঠুকেন। ভারতে থাকার সময় চতুরতার সাথে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র) এর একটা ‘গোপন ষড়যন্ত্র’ বানচাল করে দিয়েছিলেন। ষড়যন্ত্রটা ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টর দিয়ে ‘সারজিক্যাল অ্যাটাক’ করে পাকিস্তানি সেনাছাউনি ধ্বংস করে দেওয়া। গোপন তথ্য পাচারের মধ্য দিয়ে পুরো পরিকল্পনাটাই ভেস্তে দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট। এর ফলে আইএসআই ডিপার্টমেন্টে তার প্রমোশনও হয়। তিনি ‘ফিল্ড এজেন্ট’ থেকে ‘ফিল্ড অফিসার’ এ উন্নিত হন। আইএসআই-এর কোরগ্রুপের মেম্বার হন। চেনটা খুলে, স্যুটকেসের ভেতর থেকে খড়মড় করে একগুচ্ছ কাগজের বান্ডিল বের করে মজিদ ভাট চোখ টান করে বললেন, “মিয়ানমারের ওপর আমাদের সব থেকে বড় অ্যাকশন। একাজেই ওরা টের পাবে, ওদের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। মৃত্যুর বদলা হবে মৃত্যু। লাশের বদলা লাশ।“

আতিফ আর নবী দুজন দুজনের দিকে মুখ চাওয়াচায়ি করল। চোখের ইশারায় আতিফ জানতে চায়ল, অ্যাকশনটা কী? নবী ঘাড় নড়াল, কিছুই বুঝতে পারছি না। লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট একটা সাদা রঙের কাগজের ওপর নীল কালি দিয়ে কী সব আঁকিবুঁকি আঁকা স্কেচ বের করে বললেন, “এটা চিনতে পারছ, আতিফ?” আতিফ মাথা ঝুঁকে চোখদুটোকে কাগজের আঁকিবুঁকির মধ্যে পুরে দিল, নাহ, ঠিক বোঝা যাচ্ছে না! তবে এটুকু আন্দাজ করা যাচ্ছে যে, কোনো একটা বিল্ডিং-এর স্কেচ। আতিফ ঘাড় এদিক ওদিক করে বলল, “নাহ, চিনতে পারছি না।“ মজিদ ভাট স্কেচের ওপর আঙুল রেখে স্তরের পর স্তর আঁকা একটা টাওয়ারের স্কেচ নির্দেশ করে জিজ্ঞেস করলেন, “এটা চিনতে পারছ?” আতিফ ভালো করে চোখের জরিপ করে দেখল, একটা প্যাগোডার স্কেচ।

“এটা একটা প্যাগোডার স্কেচ, সেটা বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু কোথায়, কী, সেসব কিচ্ছু বুঝতে পারা যাচ্ছে না।“ কথাটা বলেই আতিফ ভাবল, লোকটা আমাকে এসব কেন দেখাচ্ছেন! এসব দেখিয়ে তিনি কী করতে চায়ছেন! কিছু বলা নেই কহা নেই, হুট করে একটা কাগজ বের করে তার ওপর আঁকা একটা বিল্ডিং-এর স্কেচ কেন দেখাচ্ছেন! ভোর থেকে এমনিতেই মনটা খারাপ। আব্বাদের খোঁজটা পাওয়ার পর থেকে মনটা নাফ নদীতেই পড়ে আছে। সবসময় মনটা গাহাচ্ছে, আব্বাদের কী হয় কী হয়! সবকজন না খেয়ে মারা গেলে, বংশটা নির্বংশ হয়ে যাবে! আমার আর কী ভরসা! এই আছি এই নেই! হৃদয় কুরে কুরে কাটে আতিফের। এতক্ষণ ধরে মনের মধ্যে উসখুস করতে থাকা কথাটা এবার পেড়েই বসল আতিফ, “স্মাইলিং ইব্রাহিম অ্যাকশনটা কী, একটু খুলে বললে ভালো হয়।“
“অত উতলা হচ্ছ কেন আতিফ, সব খুলে বলা হবে, সব খুলে বলার জন্যেই তো আমাদের এখানে এই সাতসকালে আসা।“ ঠোঁটে একটা রহস্যমাখা হাসি মাখিয়ে বললেন মেজর জুনাইদ। জুনাইদের কথা শেষ হতে না হতেই মজিদ ভাট জুনাইদের কথার সঙ্গে জুড়ে দিলেন, “স্মাইলিং ইব্রাহিম হলো মিয়ানমারের উপর সব থেকে বড়সড় অ্যাটাক, রাজধানী নেপিদে অবস্থিত মায়ানমারের পার্লামেন্টে আক্রমণ। নয়জনের আত্মঘাতী টিম থাকবে। তিনজন সুযোগ বুঝে পার্লামেন্টের ভেতরে ঢুকে যাবে, তিনজন বাইরে থাকবে আর বাকি তিনজন পার্লামেন্ট লাগোয়া এলাকায় টহল দেবে। সুযোগ বুঝে প্যাগোডাটাকেও উড়িয়ে দিতে হবে। পুরো মিশনটা আমাদের এক ক্যাপ্টেন কো-অরডিনেট করবেন। তিনি নেপিদের এক নামি হোটেলে গোপন আস্তানা গেড়ে থাকবেন। কাজ সফল করে পালাবার পথ না পেলে নিজেকে আত্মঘাতী বোম দিয়ে উড়িয়ে দিতে হবে। কোনোভাবেই ধরা পড়া চলবে না।“

চোখ মুখ ‘থ’ করে শুনছে আতিফ। মনে মনে বলছে, সে তো মরতে হবেই, এতদিন গাড়ি গাড়ি টাকা খরচ করে কোরবানির খাসির মতো করে পুষেছেন, এবার তো কোরবানি হতে হবেই। মজিদ ভাট এবার আতিফের দিকে তাকিয়ে বুকের সিনা ফুলিয়ে বললেন, “আমরা ঠিক করেছি, প্রথম তিনজনের টিমের তুমি থাকবে ক্যাপ্টেন। তোমার নেতৃত্বেই বাকি দুজন পার্লামেন্টের ভেতরে ঢুকবে।“
“কিন্তু… ।“ কাঁচুমাচু করে আতিফ। জুনাইদ চোখ ঘুরিয়ে বলে উঠলেন, “কোনো সমস্যা, আতিফ?” আতিফ মনের কথাটা গিলে নিয়ে বলল, “না, সেরকম কিছু না।“ নবী চেয়ার ছেড়ে উঠে বলল, “লুকোচ্ছিস ক্যানে আতিফ, মনের কথাটা খুলে বলে ফেল।“

লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট রিমলেস চশমার ওপর দিয়ে এমুখ ওমুখ চাওয়াচায়ি করেন। মনের কথা! কথা খুলে বলবে! কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না ভাটসাহেব। তবে তার গোয়েন্দা মন আন্দাজ করে, আতিফ কিছু একটা ব্যাড় বাঁধানোর চেষ্টা করবে। হয় বাড়ির অজুহাত না হয় পেটের অসুখ। এসব তো কম চরালাম না! এসব চরিয়ে চরিয়েই বুড়ো হয়ে গেলাম। এদের ধাত দেখলেই অসুখ চেনা যায়।
“হুজুর আতিফ আজ সকালে……।“ নবী কথাটা বলতে শুরু করলেই, “এই নবী, তুই চুপ করবি?” ধমকে থামিয়ে দিল আতিফ। নবী আতিফের ধমকের ভাষা বুঝতে পেরে কথাটাকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে বলল, “আতিফ আজ পুরো কোরআন শরিফ ‘খতম’(তিরিশ পারা পাঠ সম্পূর্ণ করা ) দিয়েছে।“
“মাসআল্লাহ!” উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা। মজিদ ভাট, জুনাইদ মোল্লার মতো অত উৎফুল্ল না হয়ে ঠোঁটে হাসি মাখিয়ে বললেন, “এ তো খুব ভালো ব্যাপার। এখন থেকে তুমি কোরআন পড়া মানুষ। আল্লাহর অন্যতম নেকবান্দা।“
ব্যাপারটা যে একেবারে ডাহা মিথ্যে তা নয়, আতিফ এমনিতেই প্রত্যেক ভোরে কোরআন তেলওয়াত করে। তার ‘খতম’ দেওয়াটা দিন সাতেক আগেই সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এখানে নবী প্রথমদিকে সেকথা বলতে চায়নি, সে বলতে চেয়েছিল, আতিফের আব্বা-মা, ভাইয়েদের খোঁজ পাওয়ার কথা। আতিফ যে এই কটা দিন অন্য কোনো কাজে যেতে পারবে না, সে নয়াপাড়া ক্যাম্প হয়ে নাফ নদীতে যাবে, সেকথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু আতিফের ধমকের ইশারায় নবী তার ভুলটা বুঝতে পারে। জুনাইদ মোল্লা বা মজিদ ভাটরা যদি কোনোভাবে জানতে পারেন, আতিফ ‘অ্যাটাক’এর আগে তার বাপ-মায়ের খোঁজে চলে যাবে, তাহলে তার গদ্দন থাকবে না। আর জে এফ কোনোমতেই তার মতো সাহসী ও বুদ্ধিমান শিক্ষিত মুজাহিদকে হাতছাড়া করবে না। এমনিতেই একা একা বাইরে বেরোনো নিষেধ, তার ওপর নয়াপাড়া হয়ে নাফ নদীতে যাওয়া! আকাশ কুসুম কল্পনা! আতিফ তো এখন আর শুধু জাফর আলির ছেলে নয়, নবীর অন্তরঙ্গ বন্ধুও নয়, আতিফ এখন ভুরি ভুরি গোপন তথ্য আর ষড়যন্ত্র ঠেসে পুরা একটা জীবন্ত ফাইল। হেঁটে চলে বেরোনো কম্পিউটার! আর জে এফ, আইএসআই আর আইএসআইএস-এর ভেতরের কথা জানা মানুষ। সুতরাং সে কোনোভাবে শত্রুর হাতে পড়ে গেলে অনেক গোপন তথ্য লিক হয়ে যাবে! মুজাহিদদের ‘মুজাহিদজীবন’ থেকে জীবন্ত বেরোনোর কোনো পথ থাকে না। নজরে রাখার জন্যে, একজন মুজাহিদের পেছনে আরেকজন মুজাহিদকে গোয়েন্দার মতো লাগানো থাকে।

“এই প্ল্যানিংটার এখনো মাস তিনেক সময় আছে। তার আগে নিজেদের তৈরি করতে হবে। আর জে এফএর একটা টিম সামনের সপ্তাহেই নেপিদ যাবে। ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী তারা লোকেশন ঠিক করে আসবে। এই টিমে তোমাকেও যেতে হবে।“ চোখ থেকে চশমাটা খুলে দাগ পড়া চোখে তাকিয়ে বললেন মজিদ ভাট।
“আমাকে!” আঁতকে ওঠার মতো করে বলল আতিফ। তারপর পরক্ষণেই গলার স্বর নামিয়ে বলল, “ও আচ্ছা।“ মনের উপকূলে আছড়ে পড়ল দুশ্চিন্তার ঢেউ, সামনের সপ্তাহ মানে তো হাতে মাত্র চারদিন বাকি! এই চারদিনের মধ্যে কী করে লুকিয়ে নাফ নদী ঘুরে আসব? নবীও তো আমার সঙ্গে যেতে পারবে না, ও বালুখালি আক্রমণের কমান্ডার। সেটাও তো একদিন পর। এখান থেকে নয়াপাড়া যেতে পাঁচ ঘণ্টাও লাগবে না, কিন্তু সেখান থেকে নাফ নদীতে নেমে নৌকো করে আব্বাদের খোঁজ পাওয়াটা তো আর পাঁচ ঘণ্টায় হবে না? কত ঘণ্টা না কয়দিন লাগবে তার ঠিক ঠিকানা নেই। আবার দুদিনের বেশি এই ট্রেনিং অ্যাকাডেমি ছেড়ে আত্মগোপন করে থাকাও যাবে না। নবী থাকলে না হয় ও আরও এক-আধটা দিন ম্যানেজ করে নিতে পারত, কিন্তু এই গেরোতে ও তো অ্যাকাডেমিতে থাকবে না! ও তো কুরবানির ডোর গলায় পরেই নিয়েছে! শুধু জিলহজের চাঁদ উঠতে বাকি। যেনতেন প্রকারে আব্বাদের ডাঙায় উঠিয়ে দিয়ে আসতে পারলেই হলো, আর চিন্তা নেই, আব্বা মারা গেলে কবরের মাটি তখন ঠিকই পেয়ে যাবে। আব্বার স্বপ্নটাও সত্য হবে। তখন আমি বাঁচি আর মরি, কোনো চিন্তা নেই। দেশের জন্যে হাসিমুখে শহীদ হয়ে যাব।

চলবে...

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad
Header Ad

দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

"শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি"—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ওপেন হাউস ডে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিরামপুর থানা চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফত হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, ড. মুহাদ্দিস এনামুল হক, বিএনপির বিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মিঞা শফিকুল ইসলাম মামুন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু, উপজেলা আমির হাফিজুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শিরণ আলম, ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুর ইসলামসহ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, স্থানীয় শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

পুলিশ সুপার মারুফত হুসাইন তার বক্তব্যে বলেন, “প্রথমে আমি আমার পুলিশকে ঠিক করেছি। এখন আমাদের সামনের দিনগুলো ভালো প্রত্যাশা চাই। আমরা আমাদের সমাজে আর কোনো অপরাধ করতে দেব না এবং এই জেলাকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকমুক্ত করব ইনশাল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতাই পারে সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে। তাই সবাইকে আরও সচেতন ও সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুতে দুর্বল প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে টানা তিন জয়ে শীর্ষে ছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে শক্ত প্রতিপক্ষের মুখে পড়ে একের পর এক হারে এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ উইকেটে হারের পর শনিবার (১৯ এপ্রিল) লাহোরে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে বসেছে বাংলাদেশ।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ২১ রানের মধ্যেই ফিরেছেন তিন ব্যাটার—ফারজানা হক (০), দিলারা আক্তার (১৩) ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা (১)। এরপর শারমিন আক্তার ও রিতু মনির ৪৪ রানের জুটি এবং রিতু ও নাহিদা আক্তারের ৪৭ রানের জুটি কিছুটা স্থিতি আনলেও তা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। রিতু মনি করেন ৪৭ রান, আর ফাহিমা খাতুন অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। ৫০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৭৮ রান। পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন।

 

ছবি: সংগৃহীত

জবাবে পাকিস্তানও শুরুতেই শাওয়াল জুলফিকারকে হারায়, যাকে এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। তবে এরপর সিদরা আমিন (৩৭), মুনিবা আলি (৬৯), আলিয়া রিয়াজ (৪৮*) এবং নাতালিয়া পারভেজ (১৩*) মিলে ৩৯.৪ ওভারে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

এই হারের ফলে বাংলাদেশের নেট রানরেট নেমে এসেছে +০.৬৪-এ। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রানরেট এখন -০.২৮। ফলে এখন বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে থাইল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের দিকে। ক্যারিবিয়ানরা যদি বড় ব্যবধানে না জেতে, তবেই কেবল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের।

শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্যর্থতা, ব্যাটিং দুর্বলতা এবং ধারাবাহিকতা না থাকায় কঠিন হয়ে উঠেছে টাইগ্রেসদের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা। এখন সব কিছু নির্ভর করছে অন্য দলের পারফরম্যান্সের ওপর, যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ নারী দলের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

Header Ad
Header Ad

ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে

ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হলে এখন সরাসরি ই-মেইলে অভিযোগ জানানো যাবে স্থানীয় সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি এবং ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে সরাসরি অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, দুই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যেকোনো সংস্থা বা দফতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া, দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হলে তা ই-মেইলে জানাতে পারবেন সেবা গ্রহীতারা।

অভিযোগ পাঠানোর ঠিকানা:
advisorasifofficial1@gmail.com

পোস্টে বলা হয়, অভিযোগের সঙ্গে যথাযথ তথ্য ও প্রমাণ সংযুক্ত করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে এবং অভিযোগকারীর পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা হবে।

"জনস্বার্থে এই উদ্যোগ। ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা।"

এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। তারা মনে করছেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত
পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন
ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি, তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজের পদত্যাগ
ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ