শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৬

নেই দেশের নাগরিক

“আপনি এ কী পাগলামো করছিলেন ভাই!” বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন ইয়াসিন মাস্টার। দুইধাপ এগিয়ে এলেন, “কাজটা একদম ঠিক করলেন না। এমনিতেই বিপদ ওঁত পেতে আছে। তার উপর এভাবে হাঁকডাক করলে তো আর রেহাই নেই! সেনাছাউনি থেকে বার্মা সেনাদের নেমে আসতে আর কতটুকু লাগবে? থুথনি তুলে গলার নলিতে একটা রাইফেলের গুলি মেরে বলবে, চিল্লা, এবার চিল্লা, যত পারিস চিল্লা। তখন বুঝবেন, কত ধানে কত চাল! তা ছাড়া এখান থেকে বাংলাদেশের বর্ডারও তো বেশি দূরে নয়। গলার চিল্লানি শুনে, বিজিবি-র সীমান্ত রক্ষীবাহিনীরাও তো রাইফেল তাক করে গুলি ছুড়তে পারে! ওদের তো কোনো জবাবদিহি করতে হবে না। বলবে, চুরি করে গোপনে সীমান্তে ঢুকছিল। কথা না শোনায়, গুলি করতে বাধ্য হয়েছি। তখন আর কী করার থাকবে? সবকিছু বুঝে ওঠার আগেই, সব অংক শেষ হয়ে যাবে!”
“ঠাপান ঠাপান, আচ্ছা করে ঠাপান, বুড়ো ধেড়ে হয়ে যাচ্ছে তবু শান হচ্ছে না!” রাগে কটমট করল মতি।
“দেখুন, আমাদের খুব সাবধানে থাকতে হবে। আমরা তো আর নৌকায় আনন্দ বিহারে আসিনি? চড়ুইভাতি করতেও আসিনি? নৌকাবাইচের পাল্লাতেও আসিনি? আমরা এসেছি জান বাঁচাতে জানের বেগাত্তায়। জান হাতে করে নদীতে লুকিয়ে বেড়াচ্ছি। একটু ফুরসত পেলে, বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে হবে। এই মুহূর্তে ত্রিপলের একটা শেড পাওয়াই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। একটা তাপ্তিতাপ্তা মারা কাপড়-ত্রিপলের ঘরই আমাদের বেহেশত। আমাদের দেশ। তাতেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে এই সাড়ে তিন হাত শরীরের ভেতরের রুহুটা।“ গলা ভিজে এল ইয়াসিন মাস্টারের।
“এই শরীরটায় কি আর রুহু টুহু আছে? অ কবেই উড়ে চলে গেছে। এখন শুধু হাড়গোড়গুলো পড়ে রয়েছে, শেষযাত্রার খোল-করতাল বাজানোর জন্য। যে তো আড়াই দিনের জীবন তার আবার অত লুকোছাপা কী?“ ঠেস মারল নুহু।
“তুই থামবি?” তেড়ে উঠল মতি। নৌকো নয়াপাড়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। দক্ষিণে গ গ করে ডাকছে বঙ্গোপসাগর। এখানে সেরকম জলোচ্ছ্বাস নেই। নদীর জল মিহি সুরে গান করছে। এ যে মিলনক্ষেত্র। একজনের আর একজনের দেহে মিলিয়ে যাওয়ার পুণ্যস্থান। প্রকৃতিও কীভাবে একে অপরের মধ্যে লীন হয়ে যায়, তা বোঝার জন্যেই হয়ত ঈশ্বর মোহনার সৃষ্টি করেছেন। ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে জলের রঙ। মিহি করে ফুলে উঠছে নদী। যেন কেউ ফুঁ দিয়ে ফোলাচ্ছে। জোয়ারের সময় আসন্ন। নৌকোটা আরও একটু পশ্চিমে বাঁক নিতেই একটা চিকন ঢেউ পাটাতনে আছড়ে পড়ল। মতি ভ্রূ ফেঁড়ে বলে উঠল, “জোয়ার!” লুঙ্গির পাড়টাকে পাকিয়ে দুই জাঙের মধ্য পুরে পেছনের কোমরের খাঁজে গুঁজে নেংটিটাকে শক্ত করে এঁটে বলল, “নুহু, শক্ত করে বৈঠা ধর।“ হালেমা আরিফাদের লক্ষ্য করে বলল, “তোমরা টাপার ভেতর ঢুকে যাও, নৌকো যতই দুলুক, খুঁটি আঁকড়ে ধরে থাকবে।“
“আরে অত হুটোপুটি করছেন কেন? এ তো জোয়ারের পানি! জোয়ারের পরেই তো ভাটা আসে। তারপরে এটা গৌণ জোয়ার। অত মুরোদ নেই। দুই নৌকো হাতে হাত ধরে আছে, ঠেলে উল্টে দেওয়ার ক্ষমতা এই জোয়ারের নেই।“ বললেন ইয়াসিন মাস্টার।
“কে বলল নেই? নদী কখন কেমন ভাবে ফোঁস করে ফুঁসে উঠবে, কেউ বলতে পারে না। কখনও পুঁটির মতো ছলাৎ করেও উঠতে পারে, আবার কখনও হাঙরের মতো হালুম করেও উঠতে পারে। নদী কী আর নিজের ঠেলায় চলে, ঠেলা দেয়। আর সে ঠেলা যদি হয় সমুদ্রের, তাহলে তো কোনো কথাই নাই! সমুদ্রের রাক্ষুসে মুখ তখন নদীর বুক ফেড়ে হুহু করে ঢুকে পড়ে। তচনচ করে দেয় দুই পাড়। ফেনার মধ্যে লুকিয়ে থাকে ধ্বংসের বীজ। ঢেউ তখন পানির ঝুঁটি নয়, ঢেউ তখন হাড়গোস্ত শরীরের আজরাইল। মালেকুল মওত।“ নবী বৈঠাটায় নারকেলের ছোবড়ার দড়ি বাঁধতে বাঁধতে ফদফদ করে উঠল। সে আরও বলল, “জানেন তো মাস্টার, ঢেউ কিন্তু সবার মধ্যেই আছে। তফাৎ শুধু জোরের। যার ঢেউ যত জোরে আছড়ে পড়ে, সে তত ক্ষমতাবান। সে তত শক্তিশালী। তবে অহংকারী ঢেউ কেউ পছন্দ করে না। কুমিরের মতো হাঁ করে ওঠা ঢেউ সবাইকেই ভয় ধরায়। মিহি ঢেউ বরাবরই মানুষকে আনন্দ দেয়। মনের ভেতরের গুলবাগিচার রঙিন ফুলটাকে নাড়ায়। মিহি ঢেউ তো আর পানির ঠোঁট নয়, মিহি ঢেউ গোলাপের ঠোঁট। সে ঠোঁটের সবাইই স্পর্শ পেতে চায়। সে মানুষ হোক আর জন্তু হোক।“
“এই শুরু হলো!” বিড়বিড় করে উঠল মতি।
“এই শুরু হলো মানে!” ভ্রূ কুঁচকালেন ইয়াসিন মাস্টার।
“আর বলেন না, আমার এই ভাইটা ক-দিন বাউলের পাল্লায় পড়েছিল। মাস তিনেক বাউলের আখড়ায় নাড়া বেঁধেও ছিল। সে ভূত এখনও মাথা থেকে যায়নি। একটু কিছু ছুতো পেলেই হলো, ব্যস, কী সব খেয়ালি খেয়ালি কথা গাহায়।“ নুহুর দিকে বাঁকা চোখে তাকিয়ে বলল মতি।
“কথাবার্তা শুনে ওরকমই মনে হচ্ছে। যাক, ওসব কথা এখন থাক, এখন জোয়ারের সময়, নৌকো বাঁচাতে হবে।“ কথাটা থড়বড় করে বলেই ইয়াসিন মাস্টার তাদের নৌকোর দিকে তাকিয়ে হাঁক পাড়লেন, “আবুল, দড়িগুলো ঠিক করে রাখ। হাওয়া ভরা টিউবগুলোও হাতের নাগালের মধ্যে রাখিস।“ নুহুর যেন কোনো হেলদোল নেই। সে বৈঠাটাকে ঠেলা দিতে দিতে গলা ছেড়ে গেয়ে উঠল,
“কোন সাহসে বাঁধলি এসে ঘর
এ যে জরিপছাড়া সদ্য পড়া—
ভাঙন নদীর নূতন চর
সাড়ে তিন হাত জমির পরে,
নিয়েছিস নিশানা করে
কে বা দখল স্বত্ব দিল তোরে—
জমির মালিক তালাস কর।“
“কে রে অমন করে গান করছে, নুহু নাকি?” ছইয়ের ভেতর থেকে চিকন স্বরটা ভেসে এল। মতি ঠেস মেরে বলল, “হ্যাঁ মা, তোমার লাদলা নুহু।“
“গলাটা ওরকমই মনে হচ্ছে।“ কেমন খেয়ালি হয়ে উঠলেন হালেমাও। তারপর পোঁটলাপুঁটলি গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। মা আর কিচ্ছু বললেন না দেখে অবাক হলো মতি। অন্যসময় হলে একেবারে রগ টাটিয়ে উঠতেন। নুহুর মুখে বাউল গান গুনগুন করতে দেখলেই তার গা-পিত্তি জ্বলে যায়। বলেন, ‘ওসব শেরেকি গান বন্ধ কর। পাপে গা ভরে যাবে। জানিস ন্যা আল্লাহর কোরআনে এসব শেরেকি? গান গাওয়া হারাম। যে মুখে গান করছিস, সে মুখে আল্লাহ দোযখের আগুনের ছ্যাঁকা দেবেন। তুই আমার পেটে জন্মে বাউল হবি, অ আমি জান থাকতেও হতে দেব না। তোর জন্যে আমি জাহান্নামে যাব না।‘
সময় মানুষকে বদলে দেয়। সময়ের অমোঘ নিয়মেই পাল্টে যায় মানুষের বিচারধারা, বিশ্বাস অ-বিশ্বাস। মানুষ কখন কী ভোল নেবে, কোন নদীতে মারবে ডুব, তা একমাত্র জানে দেওয়ালের ক্যালেন্ডার আর টিক টিক করে চলতে থাকা সময়-ঘড়ি। জীবনপুর কোন ঘাটে কখন নাড়া বাঁধবে, জীবনের কোন ঘাট কোন দিকে বাঁক নেবে, তা ওরাই জানে। প্রেম আর ঠাপ, দুটোই মানুষের জীবনের প্রভাবি শক্তি। প্রেমে পড়লে যেমন মানুষ আর তেল-নুনের হিসাব কষা রক্ত-মাংসের মানুষ থাকে না, ঠিক তেমনি ঠাপে পড়লে মানুষ প্যাঁচ ছেড়ে যাওয়া নাটবোল্টের মতো হ্যালাব্যালা হয়ে যায়। তখন আর তার বুদ্ধির ঘেলু জীবনের ফরদো মেলানোর ফুরসত পায় না। বলের মতো যেদিক ইচ্ছে সেদিক গড়ে যায়। অত বোতাম মাপার সময় থাকে না। হালেমারও এখন এই দশা। যে গান শুনলে এতদিন তাঁর গা-পিত্তি জ্বালা করত, সেই গানই যেন আজ তাঁর কাছে ঈশ্বরের বুলি মনে হচ্ছে! গানের কথাগুলোর সঙ্গে কোথাও কি নিজেকে সম্পৃক্ত করে নিচ্ছেন হালেমা? কোথাও কী তাঁর মনে হচ্ছে, এ যে আমাদেরই কথা, আমাদেরই জীবন ছেঁচে সুর বাঁধা? জীবন যে কখন কী সুর বাঁধে, কোন ঘাটে বাঁধে নাড়া কে বা জানে। হয়ত সেটাই মনে হচ্ছে হালেমার। নুহুর গানের কথাগুলো তাঁর হাড়জিরজিরে জড়ানো শরীরে আষ্টেপিষ্টে লেগে যাচ্ছে। হৃদয়ের দেওয়ালে ঠোকর মারছে অহরহ।
একটা জোরালো স্রোত ফোঁস করে বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে গোখরো সাপের মতো ফনা তুলে নৌকোর খোলে ধেয়ে এল। এতক্ষণ দাঁড়িপাল্লার মতো দুলতে থাকা নৌকোটা এবার কাগজের নৌকোর মতো হিলহিল করে দুলছে। মতি চিৎকার করে উঠল, “তুই গান থামাবি না ভালো করে হাল ধরবি?” চোখ লাল হয়ে উঠছে মতির। কানের লতি রাগে টনটন করছে। মনের ভেতর ঝাপ্টাচ্ছে, গালি, খিস্তি-খেউর; অকর্মা কুকর্মার ঢেঁকি, আবোড়, কখন কী কাজ করতে হয় তাইই আজ পর্যন্ত জানল না, ঠ্যাঙনার বাড়ি দিয়ে বাউলের বিছন ছেঁচে দেব। তখন গান আর সুর বাপ বাপ করে পালাবে। গোখরোর পর এবার কুমিরের হাঁ-এর মতো ভয়ংকর ঢেউ নৌকো দুটোকে পাকসাপটা মেরে ঘুরিয়ে দিল। আর কালাপানির ঢেউয়ের ধাক্কায় নুহুর গলা ছেড়ে গাওয়াটা বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু গান বন্ধ হলো না। শক্ত করে বৈঠা টেনে মনে মনে গুনগুন করতে লাগল। মতিকে উদ্দেশ্য করে বলল, “নোঙরের ফলাটা হক্ত করে বেঁধে রাখো।“
“বাঁধা আছে।“ গজগজ করল মতি। তার হৃদস্পন্দন চড়াম চড়াম করে বাজছে। একে ভাইয়ের গানের খিটকেল তারপরে আচমকা সমুদ্র ফুঁসে ওঠা, জানে খিজিবিজি লেগে গেছে মতির। নৌকোটা একটু একটু করে উথলে উঠছে। নদীর জল তলা দিয়ে দিচ্ছে জোর ঠেলা। হুহু করে বাড়ছে জল। গ গ করে ঢুকছে জোয়ার। আধপেটা নদী এবার ভরপেটা হয়ে উঠছে। নদীর পাড় উপচে পড়ছে স্রোত। সকালের রোদ স্রোতের ঝুঁটি ধরে ঝালঝুপ্পা খেলছে। সে রোদে হাওয়া মিশে মুক্তোর মতো ঝকমক করছে। দূরের ঢেউ খেলানো জলে ছিটকে পড়া লাল-হলুদ রোদে নদীটা চুবড়িয়ে স্নান করছে। স্রোতের পিঠে ঝলক মারা রোদ যেন বালিকার কানের দুল। দুমড়ে পড়া স্রোত যেন তন্বী রমণীর বুক ধড়কানো কোমর। জোয়ার যেন নদীর জীবনে আসা একমাত্র প্রেম। প্রিয়তম সখা। জোয়ারই তো আনে নদীর গর্ভে সন্তান? যেমন গর্ভে সন্তান এলে সন্তানসম্ভবা নারীর ঠোঁটে মিশে থাকে জান্নাতি-লাবণ্য, বেহেশতি-হুরীর রহস্যময়তা, ঠিক তেমনি নদীর গর্ভে জোয়ারের জল ঢুকলে সে নদীও পোয়াতি মেয়ের মতো হেসে ওঠে। তার ছলছল বুকে কিতকিত খেলে কখনও রোদ কখনও জ্যোৎস্না। বাঁশি বাজায় কুলকুল স্রোত। আর ভরা পেটে ঢুকে পড়ে হাজার হাজার মাছ, জলের পোকা, শ্যাওলা-ছত্রাক। পেটের ভেতর এসব না থাকলে তাকে কী আর নদী বলা যায়? এসব নিয়েই তো নদী হয় মা। শুধু জল আর লবণ থাকলে তো তাকে আর জীবনদায়িনী নদী বলা চলে না? সে তখন শুধু জল ভরে রাখা খোল। মাটির খোল। মতিকে আঁতকে উঠতে দেখে, নুহু খিচখিচ করল, “অত ভয়ের কী আছে? এর আগে কোনদিন জোয়ারের স্রোত খাওনি নাকি, যে অত ভয়ে হালছ?”
“এ নদীর স্রোত নয়, নদীর ছোবল। ছোবলটা যখন ঘাড়ে পড়বে, তখন বুঝবি ঠ্যালা।“ দাঁতে দাঁত কামড়াল মতি। তার সাদা থির চোখ দুটো নদীর ভয়ংকর রূপের দিকে তাকিয়ে কী যেন এক অজানা ভয়ের আগমনী অনুভব করছে। বুড়ো মা তার হড়বড়ে ব্যাটাকে উদ্দেশ করে বললেন, “সাবধানের মাইর নেই, নুহু। তুই আর কবে বুঝবি?”
ছলাৎ ছলাৎ করে জল ঠেলতে লাগল নুহু। পুব আকাশে তাকিয়ে দেখল, দিগন্ত ফুটে বের হচ্ছে একটা নতুন দিন। সদ্য প্রসব হওয়া সূর্যের বিকিরণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জোয়ারের জল। এক ছটাক দুধের সরের মতো পুব দিগন্তে লেগে আছে এক চিলতে মেঘ। যেন রঙিন সিঁথির নিচে কপালে লাগানো একটা ত্রিকোণ টিপ। আকাশের গা-গতরে তুলি দিয়ে রাঙানো রঙ ওড়নার মতো ভাসছে। সেখান থেকে একটু একটু করে সে রঙ ছড়িয়ে পড়ছে চরাচরে। সে রঙ কাঁধে বয়ে নিয়ে আসছে প্রথম বিনুনি খোলা রোদ্র। পায়ে পায়ে হেঁটে আসছে বেলা। এ এক মনোরম সকাল। পেটে ভাত আর মাথায় চালা থাকলে এ সকাল নিশ্চয় বেহেশতের বাগানে ফুলের ওপর শুইয়ে থাকা সকাল হতো? পেটে ভাত আর মাথায় চালা নেই বলে, মতিদের কাছে এ স্বর্গসকালও যেন নরকের রাত।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৫
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব ১৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৯

 

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

এসএন 

Header Ad
Header Ad

দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

"শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি"—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ওপেন হাউস ডে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিরামপুর থানা চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফত হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, ড. মুহাদ্দিস এনামুল হক, বিএনপির বিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মিঞা শফিকুল ইসলাম মামুন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু, উপজেলা আমির হাফিজুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শিরণ আলম, ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুর ইসলামসহ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, স্থানীয় শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

পুলিশ সুপার মারুফত হুসাইন তার বক্তব্যে বলেন, “প্রথমে আমি আমার পুলিশকে ঠিক করেছি। এখন আমাদের সামনের দিনগুলো ভালো প্রত্যাশা চাই। আমরা আমাদের সমাজে আর কোনো অপরাধ করতে দেব না এবং এই জেলাকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকমুক্ত করব ইনশাল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতাই পারে সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে। তাই সবাইকে আরও সচেতন ও সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুতে দুর্বল প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে টানা তিন জয়ে শীর্ষে ছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে শক্ত প্রতিপক্ষের মুখে পড়ে একের পর এক হারে এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ উইকেটে হারের পর শনিবার (১৯ এপ্রিল) লাহোরে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে বসেছে বাংলাদেশ।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ২১ রানের মধ্যেই ফিরেছেন তিন ব্যাটার—ফারজানা হক (০), দিলারা আক্তার (১৩) ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা (১)। এরপর শারমিন আক্তার ও রিতু মনির ৪৪ রানের জুটি এবং রিতু ও নাহিদা আক্তারের ৪৭ রানের জুটি কিছুটা স্থিতি আনলেও তা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। রিতু মনি করেন ৪৭ রান, আর ফাহিমা খাতুন অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। ৫০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৭৮ রান। পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন।

 

ছবি: সংগৃহীত

জবাবে পাকিস্তানও শুরুতেই শাওয়াল জুলফিকারকে হারায়, যাকে এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। তবে এরপর সিদরা আমিন (৩৭), মুনিবা আলি (৬৯), আলিয়া রিয়াজ (৪৮*) এবং নাতালিয়া পারভেজ (১৩*) মিলে ৩৯.৪ ওভারে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

এই হারের ফলে বাংলাদেশের নেট রানরেট নেমে এসেছে +০.৬৪-এ। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রানরেট এখন -০.২৮। ফলে এখন বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে থাইল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের দিকে। ক্যারিবিয়ানরা যদি বড় ব্যবধানে না জেতে, তবেই কেবল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের।

শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্যর্থতা, ব্যাটিং দুর্বলতা এবং ধারাবাহিকতা না থাকায় কঠিন হয়ে উঠেছে টাইগ্রেসদের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা। এখন সব কিছু নির্ভর করছে অন্য দলের পারফরম্যান্সের ওপর, যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ নারী দলের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

Header Ad
Header Ad

ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে

ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হলে এখন সরাসরি ই-মেইলে অভিযোগ জানানো যাবে স্থানীয় সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি এবং ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে সরাসরি অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, দুই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যেকোনো সংস্থা বা দফতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া, দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হলে তা ই-মেইলে জানাতে পারবেন সেবা গ্রহীতারা।

অভিযোগ পাঠানোর ঠিকানা:
advisorasifofficial1@gmail.com

পোস্টে বলা হয়, অভিযোগের সঙ্গে যথাযথ তথ্য ও প্রমাণ সংযুক্ত করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে এবং অভিযোগকারীর পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা হবে।

"জনস্বার্থে এই উদ্যোগ। ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা।"

এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। তারা মনে করছেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত
পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন
ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি, তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজের পদত্যাগ
ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ