শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ | ১৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১১

নেই দেশের নাগরিক

“তোমরা শুনলে অবাক হবে, আল্লাহ মুজাহিদকে কত বড় সম্মান দিয়েছেন! মুজাহিদ মৃত্যুবরণ করার সাথে সাথেই জান্নাতের নেয়ামত ভোগ করতে থাকেন! সুরা বাকারা-আয়াত ১৫৩-তে উল্লেখ আছে, কোরআন বলছে, ‘আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বল না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না।‘ অন্য একটি আয়াত, সূরা নিসা, আয়াত-৭৪ এ লেখা রয়েছে, ‘যারা আল্লাহর রাহে লড়াই করে এবং অতঃপর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদের মহাপুণ্য দান করব।‘ সুতরাং তোমরা আল্লাহকে শুকরিয়া আদায় কর যে, তোমরা মুজাহিদ হতে পেরেছ। জিহাদকে মনের মধ্যে আঁকড়ে নিয়েছ।“ গড়গড় করে বলে গেলেন গাফফার খাঁ।
তাঁর বলার ভঙ্গিমা আর সুর শুনে মনেই হচ্ছে, তিনি জালসা-মজলিসে ভালোই বক্তৃতা করেন। ফতোয়া দেন। হাদিস-কোরআনের মসলা ব্যাখা করেন। প্রায় পৌনে ছ-ফুট লম্বা গাফফার খাঁ আদতে বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। প্রথম দিকে ‘হুজি’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেখান থেকে পাঠ গুটিয়ে আইএস-এ ঢুকে পড়া। এখানে টাকাও বেশি, আবার কাজ করার ক্ষেত্রও বড়। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে এসেছেন। স্বচক্ষে দেখেছেন, আই এস-এর কার্যকলাপ। আর একটু একটু করে নিজেকে আইএস-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে নিয়েছেন। আইএস-এর স্বপ্নকে তার নিজের স্বপ্ন মনে হয়েছে। আফ্রিকা-এশিয়া-ইউরোপ জুড়ে স্বপ্নের ‘ইসলামিক স্টেট’ বানানো। শরিয়তি আইন প্রতিষ্ঠা করা। এসব ভাবলে, গর্বে তাঁর বুক ফুলে ওঠে।
আতিফ খেয়াল করল, গাফফার খাঁ যখন কোরআন-হাদিসের আয়াত সুর করে তেলাওয়াত করছেন, তখন তাঁর চোখমুখ আসমানি হয়ে উঠছে, ইহকালের কোনো কিছুর সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক নেই, যেন আসমান, নূর, ওহি, ফেরেশতা, জান্নাত তাঁর চোখে এসে ভর করছে! গাফফার খাঁ ধ্যানের মতো আউলিয়ে যাচ্ছেন। আতিফের মনে পড়ছে, তার মা হালেমাও যখন মাথায় ঘোমটা দিয়ে রেহেলে কোরআন রেখে, এভাবে তার চোখের সামনে সুর করে কোরআন তেলাওয়াত করতেন, তখন তিনিও কেমন একটা ঘোরে ডুবে যেতেন। মাকে জিজ্ঞেস করলে, মা বলতেন, একেই তো বলে, ফেরেশতা ভর করা। ঈমান শক্ত হলে, এমনটা হয়।‘
“একটা জিনিস মনে রেখো, আল্লাহর এবাদত করার জন্যেই আমাদের জন্ম হয়েছে। আল্লাহর দ্বীনকে মজবুত করে যাওয়ার জন্যেই, আমাদের এই পথে আসা। একটা আলাদা দেশ, যেখানে আল্লাহর শাসন কায়েম হবে, আল্লাহর কোরআন আর নবী রসুলের হাদিস অনুযায়ী শাসন পরিচালিত হবে, এ কী চাট্টেখানি নেকির কাজ! আলহামদুলিল্লাহ!” ভক্তিভরে আল্লাহর নাম নিলেন গাফফার খাঁ। জেহাদই হোক আর নিজে মুজাহিদই হই, ওসবের জন্যে তো আর আমি এপথে আসিনি। আমি এসেছি, আমার একটা নিজস্ব দেশ পাওয়ার জন্যে। আমার মতো ভিটেমাটি ছাড়া কোটি কোটি রোহিঙ্গাদের এই পৃথিবী নামক গ্রহে একটা দেশ পাওয়ার জন্যে। একটা মানুষের কোনো দেশ থাকবে না? সাড়ে তিন হাত মাটি থাকবে না? যে শিশু এক রোহিঙ্গা মায়ের পেটে বড় হচ্ছে, তার জন্যে একটা দেশ। যে মা তার সন্তানকে দশ মাস দশ দিন পেটে ধরে, এই পৃথিবীকে একটা মানুষ উপহার দিচ্ছেন, সে মায়ের জন্যে একটা দেশ। আমি সেই দেশ পাওয়ার জন্যেই লড়তে এসেছি। জীবনকে বাজি রেখেছি। জান্নাত-বেহেশত, হুরী, নেকি, নূর এসবের জন্যে আমি মুজাহিদ হইনি। আমি মুজাহিদ হয়েছি, সেই পিতার মৃতদেহ দাফনের সাড়ে তিন হাত মাটির জন্যে, যিনি আমাকে জন্ম দিয়েছেন। আমি শহীদ হতে চাই, সেই মায়ের জন্যে, যিনি বুক ফুলিয়ে বলতে পারবেন, আমি যেমন তোকে পেটে ধরেছি, তেমনি দেশও দিতে পেরেছি। মনকে মন দিয়ে খুঁটতে থাকে আতিফ। নিজের আকাশে নিজেই ওড়ায় ঘুড়ি। কাঁধ থেকে এ কে ফরটিসেভেন রাইফেলটা টেবিলের ওপর আলতো করে নামিয়ে রাখল। কাঁধটা অনেকটা হাল্কা হলো। বন্দুকের ভারে কাত হয়ে গেছিল। কোমর ভাঁজ করে পাশের কাঠের চেয়ারটায় ঠেসে বসল। মাথা থেকে জলপাই রঙের উর্দি টুপিটা খুলে রাখল লম্বা টুলটায়। কপালের ছোপ ঘামে লেপ্টে আছে সামনের চুলগুলো। ঘাড়ের কাছে সন সন করে বইছে ব্যাটারিচালিত টেবিল ফ্যান। ফ্যানের উড়ো হাওয়াতে তার চেপে বসে থাকা চুলগুলো ফিনফিন করে উড়তে লাগল। কাঠের দোতলা কুঠুরি ঘর। নিচের তলা ফাঁকা। কাঠের থাম-খুঁটি। তক্তার সিঁড়িটা সাপের মতো এঁকেবেঁকে ওপরে উঠে গেছে। দক্ষিণ দিকে হাট করে খোলা সেগুন কাঠের জানালা। জানালার তক্তাগুলো দুপাশে সমান করে গোটানো। ঝিরঝির করে ঢুকছে বরফ মাখা বাতাস। জানালার ভিউ দিয়ে দেখা যাচ্ছে, চট্টগ্রামের আকাশ। নীল মাখা আকাশের গায়ে ইতস্তত সাদা মেঘের উড়ুঝুড়ু। কে যেন একমুঠো শিমুল তুলো ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে। চায়ের ট্রেটা ‘ঠক’ করে চেয়ারের সামনের ডাইনিং টেবিলটায় রাখল নবী। লাল চা। গোলমুখো চিনামাটির দুটো সাদা আর একটা অ্যাশ কালারের কাপ। কাপগুলোর গায়ে একটা করে পদ্মকলি আঁকা। হাতলগুলো সরু করে প্যাঁচানো। কাপগুলোর মুখ থেকে গরম চায়ের সাদা ভাপ কুণ্ডলি পাকিয়ে উড়ছে। একটা প্লেটে গোটা ছয়েক ক্রিমকেকার বিস্কুট। নবী ট্রেটা রেখেই বলল, “হুজুর চা”।
“চিনি ছাড়া কোনটা?” জিজ্ঞেস করলেন গাফফার খাঁ।
“অ্যাশ কালারেরটা হুজুর।“ বলল নবী। কাপটা হাতে তুলে নিয়েই গাফফার খাঁ বললেন, “পরের সপ্তাহেই তোমাদের নেপাল যেতে হবে।“
“জি, হুজুর।“ ঘাড় নড়াল আতিফ।
“সেখানে আমাদের লোকজন থাকবে। তোমরা কাঠমান্ডু পৌঁছলেই, আমাদের লোকজন তোমাদের নিয়ে যাবে। কোনো অসুবিধা হবে না।“
“আমাদের কি আর সিরিয়া যাওয়ার দরকার আছে?” জানতে চায়ল আতিফ।
“নাহ, আপাতত নেই। তবে প্রয়োজন পড়লে যেতে হতেও পারে। এ সপ্তাহেই সিরিয়া থেকে একটা টিম এখানে আসবে।“ তারপর হুট করে গাফফার খাঁ বললেন, “কায়রাপরীর টংকীর কী খবর আতিফ?”
“আপনি যা ভেবেছিলেন তাই।“
“আমি তো আর এমনি এমনি ভাবিনি আতিফ, গোপন সূত্র থেকে খবরটা এসেছিল। ওখানেও আমাদের লোকজন লাগানো রয়েছে।“
“আমারও সন্দেহটা ছিল, এত বড় হত্যাযজ্ঞের পেছনে, নিশ্চয় বড় কোনো শক্তির হাত রয়েছে।“
“সবই ধর্ম, বুঝলে? জাতে জাতে টান।“
“আমি তো অবাক! পুরো ছড়িটাই ঘোরাচ্ছে ওরা!“
“শুধু কী তাই? অস্ত্র সরবরাহ, সেনাপ্রশিক্ষণ, টাকা জোগান সবই করছে ওরা।“
“ওদের আসল উদ্দেশ্যটা কী বলে আপনি মনে করেন।“
“দখল। উপনিবেশও বলতে পার। ছলে বলে কৌশলে পুরো দেশটাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া। দেখছ না, তিব্বতটা কীভাবে ক্যাপচার করে নিল।“
“এতে তো মায়ানমারের নিজস্ব সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে! ওরা তো ওদের সংস্কৃতি জোর করে চাপিয়ে দেবে!”
“সে তো দেবেই। আলবাত দেবে। এভাবেই তো ওরা পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াটা নিজের অধীনে আনার চেষ্টা করছে।“
“আমার মনে হয়, ওদের আসল টার্গেট, ভারতকে তাবে রাখা।“
“একদম ঠিক। ওই জন্যেই ওরা ইন্ডিয়ার চারধারে সেনা ক্যাম্প গড়ে তুলছে। ইন্ডিয়ার শত্রু দেশগুলোর সঙ্গে দোস্তি বানাচ্ছে। ওইসব দেশগুলোকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। আর এই পরিকল্পনারই একটা পার্ট হলো, মায়ানমারকে কব্জায় রাখা। নিজেদের ইচ্ছের সরকার বসানো। যে তাদের বশে থাকবে। দেখো, ভৌগলিক কারণেই, ইন্ডিয়াকে তাবে রাখতে হলে, মায়ানমারকে চাই। মায়ানমার নিজেদের কব্জায় থাকলে, খুব সহজেই ইন্ডিয়াকে আক্রমণ করা যাবে। আক্রমণের বেসক্যাম্প বানানো যাবে। অস্ত্র এনে মজুদ করে রাখা যাবে।“
“আচ্ছা, ইন্ডিয়াকে চীনের অত হিংসা কেন? আমরা তো একসময় শুনেছি, ‘ইন্দো-চীনি ভাই ভাই’। তাহলে চীনের এই পুরো একশ আশি ডিগ্রি ঘুরে, ডিগবাজি মারা কেন?”
“দেখো, আতিফ, এ তো সহজ অঙ্ক। অর্থনীতি, বুঝলে অর্থনীতি। চীন জানে, বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে, ইন্ডিয়াকে বশে রাখতে হবে, কোনভাবেই ইন্ডিয়াকে উঠতে দেওয়া যাবে না। চতুর চীনারা জানে, ইন্ডিয়ার অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে চীনকে টেক্কা দিতে পারে। সুতরাং এখন থেকেই চারধার ঘিরে ফোঁসফাঁস কর। আরে এখন তো আর জমির জন্যে বিশ্বযুদ্ধ হবে না, বিশ্বযুদ্ধ হবে অর্থনীতির জন্যে। যে যত অর্থনীতিতে বলিয়ান সে তত বিশ্বের দাদা। বিশ্বের নিয়ন্ত্রক।“
“আমার তো মনে হচ্ছে, মায়ানমারের জান্তা সরকার যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে মায়ানমার চীনের একটা অঙ্গরাজ্য না হয়ে যায়!” আশঙ্কা প্রকাশ করল নবী।
“সেদিকেই তো এগোচ্ছে। একদম ঠিক ধরেছ। তারা প্রথমে মায়ানমার সেনা দিয়ে দেশ থেকে সমস্ত মুসলমান মাযহাবকে বিতাড়িত করে একটা বুদ্ধিস্ট উপনিবেশ বানাবে, তারপর আরও কিছু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোটখাট দেশকে গিলে, একটা পূর্ণাঙ্গ বৌদ্ধস্টেট। এককথায় ‘মহাচীন’ বানাবে।“ চায়ের শেষ চুমুকটা দিলেন গাফফার খাঁ। সুড়ুৎ করে টান মেরে বললেন, “চীনের গুপ্তচর সংস্থা এমএসএস অর্থাৎ মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি, যা চীনের নিজস্ব ভাষায় ‘গওজিয়া অ্যাংকেন বু’, দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা। এরা গুপ্তহত্যা আর কাউন্টার টেররিজম এ সিদ্ধ হস্ত। গোটা মায়ানমার জুড়ে এরা বহুত নিজস্ব লোক সংগ্রহ আর নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। এদের থেকে খুউব সাবধানে থাকতে হবে। এদের ভোল বোঝা খুবই মুশকিল। বিশেষ করে রাখাইনে এরা মাকড়সার মতো জাল বিছিয়ে রেখেছে। মায়ানমার সেনা এদের অঙ্গুলিহেলনেই উঠবস করছে।“
“এখন তো যুদ্ধের গতিপ্রকৃতির ব্যাপক বদল এসেছে। সম্মুখ সমরে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ কমই হয়। এখন শুধু বুদ্ধির যুদ্ধ। টেকনলেজির যুদ্ধ। মাউসের যুদ্ধ।“ কপালের কাছে ঝুলে থাকা চুলটা সরালো আতিফ।
“চাণক্যর একটা কথা আছে, ‘যা বল প্রয়োগে অর্জন সম্ভব নয় তা ধোঁকা দিয়ে সিদ্ধ করা যায়, বিষাক্ত গোখরো সাপও কাক আর সোনার হারের ফাঁদে পরাজিত হয়।’ সুতরাং যেখানে সোজা আঙ্গুলেই ঘি উঠে যাবে, সেখানে খামোখা আঙুল বাঁকাতে যাবে কেন? শুধু টোপ ফেলে রাখো, শিকার ঠিক আসবেই।“ চায়ের কাপটা টি-টেবিলে আলতো করে রাখলেন গাফফার খাঁ।
“হুজুর, একটা কথা ছিল।“ মাথা চুলকোয় আতিফ।
“কী কথা, আতিফ, বলে ফেলো, মাগরিবের সময় হয়ে এলো।“ দেওয়ালে টাঙ্গানো নকশাটানা ঢাউস ঘড়িটার দিকে চোখ ফেললেন গাফফার খাঁ।
“কায়রাপরীর টংকীর অপারেশনটা আমি নিজে হাতে করতে চাই।“ চোখ লাল করে উঠল আতিফ। তার বুকের সিনা ফুলে উঠল।
“অত উতলা হওয়ার এখনই কিছু হয়নি, আতিফ। এখনও ঢের সময় পড়ে। সামনে বহুত কাজ বাকি। তুমি আমাদের একটা অ্যাসেট। তুমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেলে। টেকনলজিতে তোমার দক্ষ হাত। তোমাকে ব্রেনের যুদ্ধ করতে হবে আতিফ। ওই যে বলে না, যেখানে মাউসের ক্লিকেই কাজ ফিনিশ, সেখানে বারুদের কী প্রয়োজন। তোমার ব্রেন আমাদের এই জেহাদে একটা শক্তিশালী সম্বল। সেটা হেলাফেলায় এত দ্রুত আমরা হারাতে চাই না, আতিফ। একটা ক্ষুরধার ব্রেন হাজার বন্দুকের থেকেও শক্তিশালী। তুমি আমাদের ‘ব্রেনমিসাইল’, আতিফ।“

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

এসএন 

Header Ad
Header Ad

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে দেশটিতে ১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাস ২৯ দিনে সম্পন্ন হচ্ছে এবং আগামীকাল (রবিবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

সৌদিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি ইনসাইট দ্য হারামাইন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, রমজান নবম মাস এবং শাওয়াল দশম মাস। সাধারণত শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহ ঈদুল ফিতর উদযাপন করে।

এদিকে, বাংলাদেশেও আগামীকাল (রবিবার) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে আলোচনা করতে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর কবে উদযাপিত হবে, তা জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, দেশ দুটিতে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশেও একই দিনে ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল (রোববার) খালি চোখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে ভারতে এবারের রমজান ২৯ দিনে সম্পন্ন হবে এবং সোমবার ঈদ উদযাপন করা হবে। একইভাবে পাকিস্তানেও ২৯ রোজা পালনের পর সোমবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটি যথাসময়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ একই চাঁদ দেখার অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায়, বাংলাদেশের ঈদুল ফিতরও ৩১ মার্চ সোমবার উদযাপিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইও ৩১ মার্চ সোমবার ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেয়। সবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে একই দিনে ঈদ উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশে রমজানের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে। চাঁদ দেখা গেলে সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা হবে এবং তার পরই দেশব্যাপী ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে।

Header Ad
Header Ad

দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় যুবদল নেতা আবু রায়হান রাহিমের পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাহিম গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ নেতার পরিবারের কাছে এই উপহার তুলে দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির যুগ্ম পরিচালক ড. আব্দুল মজিদ, দুপচাঁচিয়া থানা বিএনপির সভাপতি একেএম মনিরুল ইসলাম খান স্বপন, কাহালু উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ।

এছাড়া, দুপচাঁচিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আফছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খন্দকার রাকিবসহ যুবদল ও বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতারা শহীদ আবু রায়হান রাহিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, বিএনপি তাদের কখনো ভুলবে না। ঈদ উপলক্ষে তারেক রহমানের এই উপহার শহীদ পরিবারের প্রতি দলের ভালোবাসা ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ ও আহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। দলীয় নেতারা জানান, ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ
ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল
দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার
ভারত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরব ঈদের তারিখ ঘোষণা করবে রাত ৯টার পর
রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন মির্জা ফখরুল
কারাবন্দিদের জন্য ঈদের বিশেষ আয়োজনে থাকছে ভালো খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
চীনের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ
পদ্মা সেতুতে এক দিনে সোয়া ৪ কোটি টাকা টোল আদায়
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনা নিয়ে পুতিনের সতর্কবার্তা
অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ আগামী ৩১ মার্চ  
বাংলাদেশেও বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা, ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ সতর্কবার্তা
মেট্রোরেলে নেই চিরচেনা ভিড়, বন্ধ থাকবে ঈদের দিন
নাটোর ডিসি বাংলোর বাঁশবাগান থেকে শতাধিক সিলমারা ব্যালট উদ্ধার
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
ঈদে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবি-আনসার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ৪০ জেলা
ঈদের তারিখ ঠিক করতে কাল সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটি
ইংল্যান্ডে ফিরেই হামজা জাদু, শীর্ষে তুললেন শেফিল্ডকে
এবার ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের নানি বললেন ‘আগে গোপনে মারতাম এখন ওপেনে মারব’