বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৭

স্নানের শব্দ

মাত্র এক সপ্তাহের বিরতি, কিন্তু শবনমের মনে হচ্ছে যেন বহু বহু দিন পর অফিসে ঢুকেছে সে। সব কিছইু কেমন যেন অচেনা, নতুন। অথচ দৃশ্যত সব একরকমই আছে, সেই তেঁতুল বিচি রঙের সেন্টার টেবিল, টেবিলের কাঁচের নিচে চাপা দেওয়া তারেক আর শবনমের সঙ্গে পাঁচ বছর বয়সী শ্রাবণের হাস্যোজ্জল ছবি, কালো রেক্সিনের রিভলভিং চেয়ার, ডেক্সটপ কম্পিউটর, সাইড টেবিলে কয়েকটা ফাইল, সৌখিন টবে রাখা মিনি ক্যাকটাস। জানালারও ওই পাশে রুগ্ন নিম গাছ। অফিস সহকারী প্রতিদিনের মতো টেবিলে পানির গ্লাস আর মগ ভর্তি কফি রেখে গেছে।

সিইওর সঙ্গে একবার সৌজন্য সাক্ষাতের কথা ভাবে শবনম। এটা দাপ্তরিক ভদ্রতা, আমি যে আবার পুরোদমে কাজে যোগ দিয়েছি ঊর্ধ্বতনকে সেই ম্যাসেজটা পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি এ কদিন কাজকর্মের কি অগ্রগতি হলো, ম্যানেজমেন্টের গতি প্রকৃতি কোনদিকে কথাচ্ছলে সেটাও আন্দাজ করে নেওয়া যাবে। শবনম সিইওর পারসোনাল সেক্রেটারি রেশমিকে ফোন দেয়, বস রুমে আছে কি না জানতে।
‘না ম্যাম, স্যার তো রুমে নাই।’
‘ও। কোনো মিটিংয়ে গেছে নাকি?’
‘না, ম্যাম। আপনি শোনেন নাই? স্যারের একটা ঝামেলা হয়েছে..’
‘কি ঝামেলা? আমি তো কয়েক দিন ছুটিতে ছিলাম, জানি না, কি হয়েছে, বলো তো? উনার ফ্যামিলির কিছু?’
এবার রেশমি আমতা আমতা শুরু করে।
‘না, ঠিক ফ্যামিলির না, ওসমান স্যার হয়ত আপনাকে পরে জানাবে ম্যাডাম। আমি আসলে তত বেশি কিছু জানি না।’
মেয়েটার কণ্ঠে স্পষ্ট অস্বস্তির ছাপ। শবনম আর জোরাজুরি না করে ফোন ছেড়ে দেয়। মাত্র এই কদিনে কি এমন ঝামেলা হতে পারে যা এমনকি মেয়েটা মুখ ফুটে বলতেও চাইছে না। শবনম আন্দাজ করার চেষ্টা করে মনে মনে। কোনো আর্থিক দুর্নীতি? ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মতবিরোধ? কি হতে পারে? নিজে থেকে কেউ না জানালে এই পজিশনে অযাচিত কৌতুহল দেখানো তাকে মানায় না।
অফিসে কেমন একটা থম ধরা, রাখরাখ ঢাকঢাক পরিবেশ। শবনমের অস্বস্তি হয়, আর সেই অস্বস্তি নিয়েই নিচের ফ্লোরে অ্যাকাউন্টস চিফের কক্ষে উঁকি দেয় শবনম। চিফ অ্যাকাউন্টেন্ট আতিয়ার নোয়াখালীর মানুষ। আঞ্চলিক ভাষাতে কথা বলেন স্বাচ্ছন্দ্যেই। শবনমের শাশুড়ির মৃত্যুতে আন্তরিকভাবে সৌজন্যসূচক শোকপ্রকাশ শেষে তিনিই খবরটা দিলেন।
‘আঁই তো এই যুগের ব্যাপার-সেপার বিশেষ বুঝি ন’। কি এক মিটু বলে আইছে দ্যাশে, ওই একটা ট্রেইনি এক্সিকিউটিভ নাফিসা তানজিনা.. না কি জানি নাম, চিনিও না ঠিকমতো, কি এক মিটু লেইখছে... সিওরে লই.. উতাল পাথাল পড়ি গেছে এক্কেবারে ..এমডি হেতিরে কইছে কিছুদিন অফিসে না আইত বইলা ..’
ও, ঘটনা তাহলে এই?
এই ভবের অফিসে প্রতিদিন কত নতুন নতুন ছেলে মেয়েই তো সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আসে যায়, সবার কথা মনে থাকে না কিন্তু নাফিসা তানজিনার কথা স্পষ্ট মনে আছে শবনমের।
প্রচলিত অর্থে হয়ত তাকে সেরকম আহামরি সুন্দরী বলা যাবে না, কিন্তু তার সমস্ত উপস্থিতির মধ্যে একটা সহজ সুন্দর সরল লাবণ্য হীরক খণ্ডের মত ঝিকমিকিয়ে উঠত। মাথাভর্তি জলপ্রপাতের মতো কোঁকড়ানো এলোমেলো চুল ছিল মেয়েটার, চেহারা চালচলন আর পোষাক-আশাকে মনে হতো বিদেশি, বাঙালি নয়। কথায় কথায় একদিন শবনম জেনেছিল, ওর জন্ম ওমানে, বাবা-মার সঙ্গে ছোটবেলাটা ওখানেই কেটেছে, কিশোরী বেলায় ছিল কাতারে পরে দেশ এসে প্রাইভেট কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। কোম্পানির এইচ আর ডিপার্টমেন্টে ট্রেইনি এক্সকিউটিভ হিসেবে জয়েন করছিল নাফিসা। এই জুনিয়র এক্সিকিউটিভদের সঙ্গে সাধারণত যোগদানের প্রথম দিনের পরিচয়পর্বের পর শবনমের সঙ্গে আর খুব বেশি দেখা সাক্ষাতের সুযোগ নেই। কিন্তু নাফিসার সঙ্গে ঘন ঘন দেখা হওয়ার কারণ শবনমের কক্ষটি তখন ছিল এইচ আর ডিপার্টমেন্টের পাশেই।

সাদা শার্ট জিনস পড়া প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর মেয়েটি কখনো মাটিতে পা ফেলে হাঁটতো না, যেন উড়তো, দৌড়াতো। ওর উজ্জ্বল কালো চোখ দুটোতে সারাক্ষণই ঝিলিক দিত কৌতুহল আর আনন্দ।
তারপর কি হলো, হঠাৎ করেই অফিসে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল মেয়েটা। কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কৌতুহল বা অল্পপরিচিত কারো খোঁজ খবর করার সুযোগ যেমন কম তেমনি কর্পোরেট আদবকায়দায় সেটি হয়তো ঠিক শোভনও হয় না, তাই নানারাকম কাজের ভিড়ে শবনম ভুলেই গিয়েছিল নাফিসা তানজিনার কথা।
কি লিখেছে মেয়েটা?
আতিয়ার সাহেব ফটোকপি করা একটা কাগজ বাড়িয়ে দেয় শবনমের দিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইংরেজি ভাষায় লিখেছে নাফিসা। শবনম কাগজটাতে চোখ বুলায়।
‘সেদিন আমি তার কক্ষে গিয়েছিলাম একটা ফাইলে স্বাক্ষর করাতে। আমাকে বসিয়ে রেখে তিনি মনোযোগ দিয়ে ফাইলের কাগজপত্র দেখলেন, পড়লেন, তারপর সবটা দেখে আমার কাজের খুব প্রশংসা করলেন। এটা সেটা জানতে চাইলেন। তারপর প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর শেষে ফাইল ফেরত দেওয়ার সময় আচমকা আমাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। বুকে হাত দেন আর মুখ বাড়িয়ে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন। আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম কয়েক মুহূর্তের জন্য। বুঝতে পারছিলাম না, কি হচ্ছে, কি করবো। তারপরই তাকে দুহাতে ঠেলে সরিয়ে প্রায় দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে আসি। লজ্জা, ঘৃণা, অপমান এবং একরাশ ভয় আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। ওই ঘটনায় আমি মূক ও বধির হয়ে গিয়েছিলাম। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলাম ভেতরে ভেতরে। এর পর বহুদিন বাইরে যেতে, নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেতাম আমি। এই ট্রমা, ভয় আর নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে আমার বছরের পর বছর লেগেছে। তবু সম্পূর্ণভাবে সেই ক্ষত সেরে উঠেনি।

...কোম্পানির নাম স্পষ্ট করে লিখলেও নিপীড়কের পুরো নাম লেখেনি সে, সংক্ষেপে লিখেছে এনসি। ‘এনসি পুরুষ এবং ক্ষমতাবান। তার বিরুদ্ধে কার কাছে অভিযোগ করবো, সেই সময় তা বুঝিনি আমি। এখন আমি মুখ খুললাম এই ভেবে যে সবার সামনে তার মুখোশ উন্মোচিত হোক। নারীর জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি হোক।’
কাগজটা পড়া শেষ করে শবনম স্থাণু হয়ে বসে থাকে। যেন বোবা হয়ে গেছে সে, পাথর হয়ে গেছে।
‘দেখছেননি? কি লেইখছে? এমুন একটু আধটু দুষ্টামি পুরুষ মানুষ তো করেই.. এত বছর পরে হেইগুন লই লিখি একটা বেড়াত্যাড়া লাগায় দিসে ..’
শবনমের জলন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে পুরো বাক্য শেষ করার আগেই থেমে যান আতিউর সাহেব।
‘এন সি কি বলছে?’ শবনম নিচু স্বরে জানতে চায়।
‘কি আর কইব? অভিযোগ অস্বীকার কইরছে, চাইর বছর আগের ঘটনা, হেতের বলে কিচ্ছু মনে নাই। কইছে বানোয়াট, মিথ্যা। পরে আবার আমাগো পারচেজের পল্লবিও, ওই যে দুইবছর আগে চাকরি ছাড়ি দি অষ্ট্রেলিয়া গেল গা, হুনছি হেও নাকি হ্যারাসমেন্টের লিখিত অভিযোগ দিছে ম্যানেজমেন্টের কাছে, হের পর আর কি, এমডি একটা তদন্ত কমিটি বানাইছে আর সিইওরে কইছে ছুটিতে যাইত বইলা..পত্রিকায় তো নিউজও আসি গেছে, খেয়াল করেন নাই? বাও রে বাও কি জমানা আইলো.. জীবনে এমন আজব জিনিস শুনি নাই!’

কোনোমতে ভারী পা টেনে টেনে নিজের ঘরে এসে বসে শবনম। না, চাকরিক্ষেত্রে এক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও তার সঙ্গে কখনো অসৌজন্যতামূলক আচরণ করেনি নির্ঝর চৌধুরী, কোনোদিন কোনো খারাপ ইশারা-ইঙ্গিত করেছেন তেমনটাও মনে পড়ে না। তবে তার মানে এই না যে নাফিসা বা পল্লবির অভিযোগ অসত্য। কত বিবিধ বিচিত্র চেহারা আছে মানুষের! সময় সুযোগ মতো ক্ষণিকের অসচেতনতায় ভদ্র সুবেশের আড়াল সরিয়ে দাঁত নখসমেত সেই বিকট বীভৎস চেহারা সামনে বেরিয়ে আসে। এতদিন মনে করা হতো এসব বুঝি বিনোদন জগতেই বেশি ঘটে, হলিউডের অ্যাশলে, বলিউডের তনুশ্রীরাই কাস্টিং কাউচের শিকার হয়। কিন্তু মিলানোর হ্যাশট্যাগ আহ্বানের ঢেউ যে এভাবে বাংলাদেশে এসেও আছড়ে পড়বে, ঘূর্ণিঝড় বইয়ে দেবে, পুরুষের পালিশ করা চকচকে আবরণ ধুয়ে বেরিয়ে আসবে বিশ্রি কদাকার চেহারা তা কি শবনম ভেবেছিল কখনো?

বেশ কয়েক বছর আগে, শবনমের মনে পড়ে মৌসুমী বলেছিল, একজন স্বনামখ্যাত সাহিত্যিক, আবার নামী কাগজের সাহিত্য সম্পাদক তাকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আপনি এখনো বিয়ে করেন নাই, একা একা লাগে না..’
‘না, এটা আমার চয়েস, আমি স্বেচ্ছায় সিঙ্গেল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ মৌসুমী সাবলীল ভাবেই জানিয়েছিল।
‘তাহলে শারীরিক চাহিদা কিভাবে মিটান? না, মানে জৈবিক চাহিদা তো অস্বীকার করার কিছু না.. সেটা নিশ্চয়ই আছে আপনার.. মানে এতে দোষের কিছু নেই, ...রাজি থাকলে আপনি আর আমি একদিন লং ড্রাইভে যেতেই পারি... আরও অনেক কিছুই হতে পারে...’
মৌসুমী রাগে দুঃখে অপমানে কাঁপতে কাঁপতে তার রুম থেকে বেরিয়ে এসেছিল। সাহস করে কাউকেই তখন কথাটা খুলে বলতে পারেনি, উল্টো মানুষজন তাকে নিয়েই হাসাহাসি করবে ভেবে।

শবনম হাত গুটিয়ে বসে থাকে। রাগ, ক্রোধ, দুঃখ ও অস্বস্তির ককটেলে মনটা একটা তিক্ত বিষাদে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে তার।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-৬

স্নানের শব্দ: পর্ব-৫

স্নানের শব্দ: পর্ব-৪

স্নানের শব্দ: পর্ব-৩

স্নানের শব্দ: পর্ব-২

স্নানের শব্দ: পর্ব-১ 

আরএ/

Header Ad

ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার

ছবি: সংগৃহীত

ক্রমশ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। মাঝে এই যুদ্ধে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেলেও সম্প্রতি হামলা বেশ জোরদার করেছে রাশিয়া।

মূলত ইউক্রেনে এখন আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে রুশ সৈন্যরা। এমনকি গত এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান আয়তনের এলাকা ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী ২০২২ সালের আক্রমণের প্রথম দিনগুলোর চেয়ে ইউক্রেনে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে বলে বিশ্লেষক এবং যুদ্ধ ব্লগাররা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।

গত মাসে রুশ সৈন্যরা লন্ডনের আয়তনের সমান অর্ধেক এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এর আগে কখনেও এতো দ্রুত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে অগ্রসর হয়নি।

মূলত টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক দেশ।

বিশেষ করে অস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি দেশটিকে ব্যাপকভাবে সামরিক তহবিলও জুগিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে এরপরও যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আর এমন অবস্থায় সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করে সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করার অনুমতি দেওয়ার পর চলমান এই যুদ্ধটি সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজ গ্রুপ এজেন্টস্টভো এক প্রতিবেদনে বলেছে, “ইউক্রেন-অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে আয়তনের দিক থেকে নতুনভাবে সাপ্তাহিক ও মাসিক রেকর্ড স্থাপন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রায় ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার (৯১ বর্গ মাইল) দখল করেছে, যা ২০২৪ সালের জন্য একটি সাপ্তাহিক রেকর্ড।”

এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে দ্রুত অগ্রসর হতে শুরু করে। ওপেন সোর্স মানচিত্র অনুসারে, এরপর থেকেই রাশিয়ার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আড়াই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।

Header Ad

লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২

ছবি: সংগৃহীত

লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও বহুসংখ্যক। মঙ্গলবার যে দিন লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার, সেই দিনই এ হামলা চালাল ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবারের বিমান হামলায় লেবাননের রাজধানী বৈরুত, পূর্ব লেবাননের বালবেক, দক্ষিণ লেবানের বেন্ত জেবেইল, চাকরা, মধ্যাঞ্চলের আল বাস্তা ও বারবোর থেকে নিহত ও আহতের সংবাদ পাওয়া গেছে।

এদিকে, মঙ্গলবার ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর লেবানন অভিযানের মধ্যেই যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বিশেষ সেশন আহ্বান করেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই সেশনে লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ অবশ্য সোমবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে যুদ্ধবিরতির ‘আগ মুহূর্ত পর্যন্ত’ লেবাননে অভিযান জারি রাখবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

মঙ্গলবার দুই মাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ। এ যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল লেবানন থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়ে যাবে ইসরায়েল। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ সীমান্ত এলাকা থেকে সরে গিয়ে লিটানি নদীর অপরপ্রান্তে চলে যাবে। এছাড়া হিজবুল্লাহ সীমান্তে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ ও নিজেদের পুনরায় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত করতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, ইরানের সমর্থন ও মদতপুষ্ট হিজবুল্লাহ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। লেবাননভিত্তিক এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পাশেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। এ অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি এবং গোষ্ঠীটির অধিকাংশ সামরিক স্থাপনার অবস্থান এখানে। গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলও। গত এক বছরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৫ শতাধিক। তবে আইডিএফের দাবি, এই নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯৪০ জন হিজবুল্লাহ কমান্ডার ও যোদ্ধা রয়েছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। প্রায় ১০ দিনের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডার। এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়েছে।

বিমান অভিযান পর্বের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করেছে আইডিএফের স্থল বাহিনী। এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আইডিএফ বলেছিল, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে সীমিত ও স্থানীয় পর্যায়ে অভিযান চালানো হবে।

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ইতোমধ্যে লেবাননে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ