শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫

স্নানের শব্দ

আজকের মিটিংটা একই সঙ্গে জরুরি আর গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মচমচে গরম সিঙ্গাড়া আর লেবু চা খেতে খেতে এজেন্ডাগুলো আলোচনা করে কয়েকটা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারও ছিল। আর সেখানেই সবার সামনে ওসমান গণির সঙ্গে এক হাত হয়ে গেল শবনমের।

অননুমোদিত অনুপস্থিত কর্মীদের বেতন কাটা সংক্রান্ত একটা প্রস্তাবের সমর্থন দিয়েছিল ওসমান গণি আর মিটিং এ সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল শবনম। আর তারপরেই ওসমান গণি বিদ্রুপের সুরে যেন ঠাট্টা করছে এমন ভঙ্গিতে বলল, ‘আপনি কি আজকাল এমপ্লয়িদের কাছে পপুলার হওয়ার চেষ্টা করছেন নাকি শবনম আপা? সামনে ইলেকশন করবেন? নাকি মানবাধিকার কমিশনে জয়েন করার ইচ্ছা আছে ..’
তার পরিহাসের ধরনে রাগ উঠে যায় শবনমের। ঝেড়ে একটা বক্তৃতা দিয়ে ফেলে সে।

‘মানে কি, ওসমান গণি? আপনি বুঝতে পারছেন না, এই ডিসিশনটায় এমপ্লয়ি মাইগ্রেশন বেড়ে যাবে, কোম্পানির লস হবে। আমি তো নিজের জন্য কিছু বলি নাই। আপনিও আশা করি বোঝেন, কর্মীদের পেছনে পর্যাপ্ত ইনভেস্টমেন্ট না করে শুধু কাজের বোঝা চাপিয়ে দিলে ভাল রেজাল্ট আসে না। তখন তারা কাজে ফাঁকি দেয়, চাকরি ছেড়ে পালায়। আমি কোম্পানির ভালোর জন্যই এটা বলছি..’

শবনম বুঝতে পারছিল ওসমান গণির মাথার উপর নির্ঝর চৌধুরীর আধিপত্যবাদী আশীর্বাদের অদৃশ্য হাত আছে, কিন্তু তবু মিটিং এর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা না করে পারল না সে।
ওসমান গণি তীর্যকভাবে জিজ্ঞেস করল, ‘কোম্পানির জন্য আপনার কি এমন অবদান আছে আপা? শুধু লম্বা সময় উপরের পদ আঁকড়ে বসে থাকলেই কি সব হয়ে যায় নাকি?’
এর পর শবনম আর মেজাজ ধরে রাখতে পারল না, সে বেশ উচ্চ কণ্ঠেই বলল, ‘ওসমান গণি ব্যক্তিগত আক্রমণ বন্ধ করেন, আপনার কাছে এসব ফালতু প্রশ্নের জবাবদিহি করতে আমি বাধ্য নই। আমার কি অবদান সেটা কোম্পানি জানে, আপনি এই প্রশ্ন তোলার কে?’

শেষ পর্যন্ত নির্ঝর চৌধুরীর হস্তক্ষেপে ওসমান গণি চুপ করলেও নোট অব ডিসেন্ট জানিয়ে মিটিং থেকে বেরিয়ে আসে শবনম। মাথা ধরে গেছে তার, কপালের দুই পাশের রগ চিনচিন করে ব্যাথা করছে। জানে, হয়ত তাকে নিয়ে আড়ালে আবডালে বাজে কথা হবে, হাসাহাসি হবে। হয়ত সবচে বয়স্ক পুরুষটাই দাঁত কেলিয়ে বলবে, ‘শবনম আপার বয়স হয়ে গেছে, এখন অবসরে যাওয়া দরকার।’
আরেকজন হয়ত টিপ্পনী কেটে তাকে তাল দেবে, ‘হে, হে, হে, মেনোপজের পর নারীদের মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, বেশি রাগ দেখায়, নিজের ঘরেও তো দেখিরে ভাই! একই অবস্থা !’

চাইলেও এই লোকদের নোংরা মুখ তো আর বন্ধ করতে পারবে না শবনম। এরা হয়ত এরকম কথা সারা জীবন ধরে বলতেই থাকবে। হয়ত তাদের পরের প্রজন্ম আর এসব বলবে না। তারা সহকর্মী নারীকে শ্রদ্ধা করবে, সহমর্মী হবে। চাকরি জীবনের শুরুতে তো সত্যিকারের অসুস্থতার জন্য ছুটি চাইতেও ইতস্তত বোধ করত শবনম পাছে না আবার বসরা বলে বসেন, ‘এসেছেন এক চির-রুগ্ননারী, প্রতিমাসে তার অসুস্থতার জন্য ছুটি চাই।’

আর এখনকার মেয়েরা তো দিব্যি পিরিয়ডের প্রথম দু’চারদিন ছুটির দাবি তুলছে। বেশিরভাগ সময়ই পিরিয়ডের প্রথম কয়েকটি দিন কী ভীষণ অস্বস্তি, পেটে ব্যাথা, ক্লান্তি আর দুর্বলভাব শরীরে ভর করে, তা নারীমাত্রই জানে। শবনম মনে করতে পারে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের দিনগুলোতে ব্যাগে একস্ট্রা প্যাড নিয়ে শারীরিক মানসিক অবসাদে ধুঁকতে ধুঁকতে অফিসে আসার দিনগুলোর কথা। শারীরিক সব অসুবিধা মনের জোরে উপেক্ষা করে টেবিলে উট পাখির মতো মুখ গুজে কাজ করার কথা। এমন দিন কি সত্যিই এই দেশে কোনোদিন আসবে, যেদিন পিরিয়ডের অস্বস্তি আর অসুবিধা সামলানোর জন্য মেয়েরা বছরে অন্তত বারোটা দিন বেশি ছুটি পাবে?

নাকি তখন নাক কুঁচকে বলা হবে, ‘মেয়েদের বাচ্চা হওয়ার জন্য কত লম্বা ছুটি দিতে হয়, আবার পিরিয়ডের জন্যও ছুটি দিতে হবে নাকি? তারচে মেয়েদের কাজে নেওয়ারই দরকার নেই ..’

অথচ, শবনম মনে করে, নারী পুরুষের শারীরবৃত্তিয় পার্থক্য স্বীকার করতে কোনো দোষও নেই, লজ্জাও নেই। এই পার্থক্যকে মান্য করেও নারীপুরুষ সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে এগুনো যায়। কোনো দিন যদি কোম্পানির শীর্ষ পদে যাই, তবে এটা বাস্তবায়ন করে দেখাবো, মনে মনে ভাবে শবনম। ভাবে আর নিজের মনেই হাসে, আকাশকুসুম? ‘আমি কেবলি স্বপন করেছি বপন বাতাসে, তাই আকাশ কুসুম করিনু চয়ন হতাশে..’

সে কি আর জানে না, ক্ষমতা বিষয়টাই কতখানি পুরুষতান্ত্রিক। সেখানে কারো জন্য সহমর্মিতা, সমবেদনা, সহানুভূতি দেখানোর কোনো জায়গা নেই। দেখালে সেটা তোমার দুর্বলতা। তাছাড়া, এটাও তো হয়, যে ক্ষমতার শীর্ষে বসেও ক্ষমতা কাঠামোর প্রচলিত বিন্যাসের কারণে নারী অনেকসময় চাইলেও কোনো স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাকে ঘিরে থাকা পুরুষতান্ত্রিক বলয় সেই সুযোগ তাকে কখনোই দেয় না, বরং ছলে বলে কৌশলে বাধ্য করে নিজেদের বৃত্তে আটকে রাখতে।

শবনম মাছের মতো মুখ খুলে জোরে কয়েকবার শ্বাস নেয়। নিজেকে প্রবোধ দিতে মনে মনে বলে, অবস্থাকে বদলাতে না পারলে মেনে নিতে হয়। মেনে নিলে মন দূষিত হয় না। সহনীয় হয়। অবশ্যই এর মানে পরাজয় নয়, বর্তমানকে কেবল স্বীকার করে নেওয়া। তখন বদলাবার বাস্তবতাটা তৈরি হয়। হ্যাঁ, এটা সত্যি মাঝে মাঝে এই মেনে নেওয়াটা একদমই সহজ থাকে না। মন কিছুতেই কিছু বুঝতে চায় না। আবার অনেক সময় দেখা যায়, মেনে নেওয়ার পরও অপমানগুলো ভোলা যায় না। এই না ভুলতে পারাটাও একধরনের মানসিক কষ্ট দেয়। অশান্তি উৎপাদন করে। অথচ কর্মক্ষেত্রে শুরু থেকেই মধ্য পস্থা অবলম্বন করে চলেছে শবনম। সহকর্মীদের সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় মতানৈক্য, মনোমালিন্য সযত্নে এড়িয়ে চলেছে। চেষ্টা করেছে সবার সঙ্গে যতটা সম্ভব সুসম্পর্ক বজায় রাখতে। কিন্তু আর কতো? সব সময় গা বাঁচিয়ে চলা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে ইদানিং। নিজেকে এখন সুবিধাবাদী মনে হয়, মনে হয় মেরুদণ্ডহীন কেঁচোর জীবনযাপন করছে সে। দুর্যোগ দুর্বিপাক দেখা দিলেই তার মুখোমুখি না দাঁড়িয়ে লুকিয়ে পড়ছে নিজের গর্তে।

শবনম ভাবে, এই অফিস, তার চারপাশের চেনা কদর্য মুখগুলো সব ছেড়ে ছুড়ে কোথাও একটা যেতে হবে, কিন্তু সেটা কোথায় ঠিক জানা নেই। হতে পারে দূরের কোনো শান্ত গ্রামে, বিচ্ছিন্ন কোনো সবুজ দ্বীপে, কোনো ঘুমঘুম অবসন্ন নদীর ধারে, কোনো বিজন পাহাড়ে একা বা দল বেঁধে.. মৌসুমিকে বলা যায় উদ্যোগ নিতে। এটা হতে পারে, ওনলি ফিমেইল ট্রিপ। মন প্রাণ খুলে শুধু বিশুদ্ধ হা হা হি হি...

ফোনটা আসে তখনই, অপর প্রান্তে সালেহা খাতুনের নার্স মোমেনার উদ্বিগ্ন কণ্ঠস্বর শোনা যায়,
‘ম্যাডাম,খালাম্মার শরীর হঠাৎ খুবই খারাপ করছে, পালস পাইতেছি না, অ্যাম্বুলেন্স খবর দিছি, হাসপাতালে নেওয়া লাগবে।’

মাসের মধ্যে দুয়েকবার এমন ঘটে, সালেহা খাতুন নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে যান, তারপর কয়েকদিন হাসপাতালে বসবাস শেষে খানিকটা ভাল হয়ে আবার বাড়িতে ফিরে আসেন। নার্সদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া আছে, তারা জানে কখন কি করতে হবে, সে জন্য মাস গেলে মোটা অংকের টাকা দেওয়া হয় তাদের। এবারো আগের মতোই কিছু হয়েছে হয়ত, ভাবল শবনম। ফোনেই বলে দিল, তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। চেনা ডাক্তারকে ফোন দিল। তারপর ব্যবসার কাজে চট্টগ্রামে থাকা তারেক ম্যাসেজ দিল। টেবিলে জমে থাকা দুটো জরুরি ফাইল দেখে স্বাক্ষর করল, সবশেষে সিইওকে বলে বেরিয়ে পড়লো হাসপাতালের উদ্দেশে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
স্নানের শব্দ: পর্ব-৪

স্নানের শব্দ: পর্ব-৩

স্নানের শব্দ: পর্ব-২

স্নানের শব্দ: পর্ব-১ 

আরএ/

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম