শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ৬

অঘ্রানের অন্ধকারে

তুরির সঙ্গে শাবিনের আবার দেখা হলো পরদিন রাতে। তুরি গিয়েছিল শপিংয়ে। ছোটোখাটো টুকটাক কেনাকাটা। তাতে রাত হয়ে গেল। রিকশা থেকে নামতেই দেখে ওদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে শাবিন দাঁড়িয়ে আছে।
তুরি এগিয়ে এসে বলল, ‘আপনি!’
তুরির সঙ্গে গতকাল কথা বলার পর থেকে শাবিনের মন কেমন যেন অস্থির হয়ে পড়েছে। খানিক বিভোর, খানিক ছটফটে। তুরির দিকে তাকিয়ে ওর আবারও মনে হলো, মানুষ এত সুন্দর হয়! অন্যমনষ্ক হয়ে পড়েছিল শাবিন। তুরির প্রশ্নে চমকাল।
‘আমার কাছে এসেছেন, না অন্য কোনো কাজে?’
শাবিন যতখানি সম্ভব নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে বলল, ‘গতকাল একটা মিথ্যা বলেছিলাম আপনাকে। কেন বলেছিলাম জানি না। তবে বলার পর থেকে খারাপ লাগছে। তাই স্যরি বলতে এসেছি।’
‘মিথ্যেটা কী?’
‘আমার মা আমাকে ‘সাবু’ বলে ডাকেন না। ডাকেন ‘শিব’ বলে।’
‘বাহ্ ভালো তো। শিব হচ্ছেন দেবতা। শিব অর্থ সুন্দর। মঙ্গল, কল্যাণ।’
‘আমার কেমন জানি লাগে।’
‘সে মা ডাকেন ডাকুন। আপনাকে আমি ‘শাবিন’ বলেই ডাকব।’

তুরি তাকায় শাবিনের দিকে। ছেলেটিকে ভালো লাগে। সহজ সরল। ওর দৃষ্টিতে কী যেন আছে। চোখের দিকে তাকালে বুকের ভেতর অচেনা তোলপাড় শুরু হয় নিজের অজান্তে। ওর দৃষ্টি যেন ভেতরটাকে স্পর্শ করে খুব আলতোভাবে নরম করে।
তুরি বলল, ‘কাল আসুন বাসায়। বড়ো’পার সাথে পরিচয় করিয়ে দেব।’

শাবিন পরদিন বিকেলে এলো তুরিদের বাসায়। তুরির বড়ো আপাকে বেশ ভালো লাগল শাবিনের। ভীষণ প্রাণবন্ত। খুব হাসেন। নিপাট ভালোমানুষ। আদুরে ভঙ্গিতে মিষ্টি করে কথা বলেন। দু’এক কথার পর কী সুন্দর ‘তুমি’ করে বললেন, ‘শাবিন ভাই শোনো! আমার ওই আপনি টাপনি কিন্তু আসে না। আমি তোমাকে ‘তুমি’ করে বলব।’
‘আমি খুশি হব। আপনি তো আমারও বড়ো বোন।’ কাতর গলায় শাবিন বলল, ‘আমার কোনো বড়ো বোন নেই।’
‘হয়েছে। আমি তোমার বড়ো বোন।’
শাবিন বড়ো আপার কথা শুনে যত না মুগ্ধ হলো তারচেয়ে বেশি হয়েছে খুশি। বড় আপা ওদের ড্রয়িংরুমে বসিয়ে ভেতরে গেলেন নাস্তা বানাতে। আজ নাকি শাবিনকে আপা এক্সপেরিমেন্টাল স্ন্যাকস টেস্ট করাবেন।

তুরি আর শাবিন বসে আছে। তারা নিজেরা কথা বলছে। যেন কতদিনের পরিচিত। শাবিন নিজের কথা বলে যাচ্ছে। তুরি তুরির। শাবিনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তুরি অন্যমনষ্ক হয়ে পড়ছে বারবার। তার ভেতরে কোথায় যেন তিরতির করে কেঁপে উঠছে। সেই কাঁপন ধরা দিয়েছে চোখের পাতায়।
তুরি বলল, ‘মাঝেমধ্যে খুব হাঁসফাঁস লাগে। ছুটে বেরিয়ে যেতে ইচ্ছে করে কোথাও। ঠিক বুঝতে পারি না কোথায় যেতে মন চায়। সমুদ্র নাকি পাহাড়ের কাছে। নাকি দূর কোনো নির্জন গ্রামে।’
শাবিন বলল, ‘বেরিয়ে পড়লেই হয়। পথই নিয়ে যাবে কোথাও।’
‘এরকম টুকটাক ভালোলাগা, নিজেদের পছন্দের কথা ভাগাভাগি করে নেয় ওরা।’
কোথাও যাওয়া যে তুরির বারণ। আবার কোন ভুল পিছু টানে! কিছুই দেখা হলো না তার। না সমুদ্র, না পাহাড়। না কোনো এক নির্জন গ্রাম। এসবের কিছুই শাবিনকে বলে না তুরি।
শাবিন জিগ্যেস করল, ‘কেন যাওয়া হয়নি কোথাও?’
তুরি হাসে। ওর সেই মন পাগল করা হাসি। বলল, ‘তারাশঙ্করের ‘কবি’র কথা মনে আছে? নিতাই গান লিখল, ‘আমার কর্মফল, দয়া করে ঘুচাও হরি-জনম করো সফল।’ আমার হয়েছে সেই দশা। সবই আমার কর্মফল।’
‘কবি পড়া হয়নি’, লজ্জা পায় শাবিন কথাটা বলতে গিয়ে।
তুরি অবাক হয়ে বলে, ‘‘কবি’ পড়েননি! বিরাট মিস করেছেন। আচ্ছা ঠিক আছে ‘দৃষ্টিদান’ তো পড়েছেন।’
‘বাউণ্ডুলে টাইপ মানুষ আমি। বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন কেউ কোনোদিন খোঁজ নেইনি আমার। কী পড়ছি, আদৌ পড়ছি কিনা। ইশকুল, কলেজে পড়ার সময় পরীক্ষা দিতাম কিনা, পাশ করেছি কিনা-এসব কেউ কখনো জানেনি। আমাকে নিয়ে কারও কখনো কোনো মাথাব্যথা ছিল না। এখনো নেই।’

তুরি খেয়াল করল শাবিনের চোখভরা অভিমান। তার চোখ থেকে অভিমান ঝরে পড়ছে। তাকে কথাগুলো বলতে পেরে নিশ্চয় শাবিনের ভালো লাগছে।
‘বন্ধুদের সাথে ইশকুলে যেতাম। অনেকদিন দেখেছি আমার শার্টের বোতাম ছেঁড়া। বন্ধুরা দেখিয়ে দিত। কেউ কেউ হাসাহাসি করত।’
‘মা খেয়াল করতেন না?’
শাবিন বুকের ভেতর লম্বা শ্বাস টেনে নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ‘চণ্ডালের মতো রাগ বাবার। কথায় কথায় রাগারাগি করত। মা বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকত বাবা যাতে রেগে না যান। আমার দিকে খেয়াল করার সময় ছিল না তার।’
কথাগুলো বলতে গিয়ে গলা ধরে এলো শাবিনের। মুখ ঘুরিয়ে নিল অন্যদিকে। তুরি মাথা নিচু করে বসে আছে বিভোর হয়ে। বুকের ভেতর নিজের অজানিতেই মোচড় দিয়ে ওঠে তুরির। তবে চট করে নিজেকে সামলেও নেয়।
তুরি নিচু গলায় জিগ্যেস করল, ‘আর কলেজে?’
‘তখন পাড়ার বন্ধুদের কাছ থেকে মাস্তান হওয়ার ট্রেনিং নিতে শুরু করেছি। মাস্তান হতে পারলাম না। তাদের সঙ্গে থাকলাম ঠিকই তবে আলাদা হয়ে। ভার্সিটিতেও একই অবস্থা। গতবছর পরীক্ষা ড্রপ দিয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর পড়াশোনা করব না।’
‘এমন ভাবার কোনো মানে নেই। নতুন করে আবার শুরু করা যায় সব। ইচ্ছে করলেই হয়।’
শাবিন নিজের ভেতর শক্তি খুঁজে পাচ্ছে। উচ্ছ্বল চোখে বলল, ‘আপনি একটা কাজ করবেন? আমাকে কয়েকটা বইয়ের নাম লিখে দিন। আমি পড়ব।’
‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্পগুলো পড়ুন।’
‘ওরকম করে বললে হবে না। কাগজে লিখে দিন।’
‘ঠিক আছে। লিখে দিচ্ছি। প্রথমে খুব বেশি না। অল্প কয়েকটা। কমন বাঁধলে সেগুলো পড়ার দরকার নেই।’
তুরি কাগজ কলম এনে তাতে বইয়ের নামের তালিকা তৈরি করতে বসল। একটু চিন্তা করে আবার লেখে।
উদাস হয়ে পড়ে শাবিন। হঠাৎ নিজেকে খুব একা মনে হয়। শূন্য হয়ে আসে চারপাশ। মনে হয় কে যেন নেই। কোনোদিন কি কেউ ছিল যে ওকে নিয়ে ভেবেছে! ওর জন্য অস্থির হয়েছে কখনো! কেন জানি খুব মায়ের কথা মনে পড়ছে। বাবার সামনে মায়ের সেই ভীত মুখ।
শাবিনের দিকে তাকায় তুরি। মুখ ঘুরিয়ে আছে শাবিন অন্যদিকে। তুরি নরম গলায় জিজ্ঞেস করল, ‘বাড়িতে কে কে আছেন?’
‘শুধু মা। আর বাবা কোথায় আছেন জানি না।’
‘বাবা কোথায় আছেন জানেন না, বুঝিনি ব্যাপারটা।’
‘বাবা ইঞ্জিনিয়ার। পাশ করার পর অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা কাজে লাগানোর বিশেষ চেষ্টা করেননি। ব্যবসা শুরু করেছিলেন। প্রতিবছর ব্যবসায় লস খেয়েছেন। মাকে টর্চার করতেন নানার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য। মা এনে দিয়েছে। বাবা এখন আমাদের সঙ্গে থাকেন না।’
কষ্ট হয় তুরির। একজন সাদাসিধে মানুষের জীবনটা এমন কেন হবে! চোখে পানি চলে এসেছিল। আটকায়। তুরি বলল, ‘পড়াশোনা করতে কি একেবারেই ইচ্ছে করে না?’
‘কতকিছুই তো ইচ্ছে করে। সব ইচ্ছে কি পূরণ হয়?’
‘আর কী ইচ্ছে হয়?’
‘ইচ্ছে হয় কোনো এক বড়ো পুকুরের পানিতে কারও সঙ্গে পা ডুবিয়ে বসে থাকি।’

বড়ো আপা এসেছেন নাস্তা নিয়ে। হইচই করে বললেন, ‘চুপচাপ খেয়ে যাবে। কোনো মন্তব্য করবে না। ইউটিউব থেকে রেসিপি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছি। আজই প্রথম।’
ঘরের গুমোট পরিবেশ হালকা হয়ে গেল। শাবিন বলল, ‘ভালো লাগলেও বলা যাবে না?’
‘তার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটা হয়েছে অক্সিজেনের মতো। নিজে জ্বলে না, অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে। মুখে দিয়ে জ্বলে উঠবে।’
তুরি বলল, ‘যেমনই লাগুক এমন এক্সপ্রেশন দেবেন যেন মনে হয় খেতে খুব ভালো লাগছে।’
বড়ো আপা ওদের দুজনকে স্ন্যাকস দিয়েছে। শাবিন খেয়ে বলল, ‘ওয়াও! দারুণ হয়েছে।’
তুরি হেসে ফেলেছে। সে হাসতে হাসতে বলল, ‘বলেছিলাম শুধু এক্সপ্রেশন দিতে। আপনি দেখি ডায়ালগসহ দিচ্ছেন।’
খাবার সত্যি মজা হয়েছে। শাবিন আনন্দ নিয়ে খাচ্ছে।

(চলবে)

 

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

 

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ