শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বর্ষার গল্প

কোনো এক বরষায়...

বাহিরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, বেলকনিতে বসে চায়ের কাপে চুমুক লাগিয়ে বৃষ্টির মুর্ছনা উপভোগ করছি। মাঝে মাঝে হাতের তালু দিয়ে বৃষ্টির ফোঁটাকে আটকানোর চেষ্টা করছি কিন্তু হচ্ছে না, আঙ্গুলের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে, থামানো যাচ্ছে না। যেমনটি আটকানো যায়নি আমার প্রেমিকা বৃষ্টিকে; বৃষ্টি তার ছদ্মনাম, কোন এক বরষায় হঠাৎ প্রথম দেখা। আজকের মত সেদিনও মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন ছিল শ্রাবণ মাস, এই রোদ, এই বৃষ্টি। কাজ শেষে বাইক চেপে বাসায় ফিরছিলাম। আকাশ ছিল মেঘলা, অনেকটা পথ পেরুনোর পর হঠাৎ নামলো বৃষ্টি। আমি তড়িঘড়ি বাইক থামিয়ে একটা ছাউনিতে এসে দাঁড়ালাম। হঠাৎ একটা মেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আমার পাশে এসে দাঁড়ালো। আহা! কি সুন্দর তার চাহনি, তার চোখ, তার লম্বা কালো কেশ, অসাধারণ মুগ্ধতা!

আমি অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম! সে বৃষ্টিতে খানিকটা ভিজে গেছে। হাত দিয়ে কাপড় এবং চুল ঠিক করছিল। আমি রুমালটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম-লাগবে?
সে অনাগ্রহ ভরে বলল-নাহ, ধন্যবাদ।
-হয়তো লাগতে পারে, নিন।
সে কিছুটা ভেবে নিল, তারপর হাত বাড়িয়ে রুমালটা নিয়ে ভেজা চুল ও কাপড় ঠিক করতে লাগলো।
বললাম-বৃষ্টির দিন, ছাতা নিয়ে বের হতেন।
সে মুচকি হেসে বললো-আপনিও তো ছাতা নেন নাই।

নিজের কথাই নিজেই বিদ্ধ হলাম। অসাধারণ তার কণ্ঠস্বর, মুগ্ধকর নন্দিত হাসিটাও। তার সাথে আলাপ জমাতে অস্থির হয়ে পড়লাম কিন্তু কি বলে শুরু করব ভেবে পেলাম না। মনে মনে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করলাম, যেন বৃষ্টির এই ধারা আরো প্রবল হয়। সত্যি, বৃষ্টি আরও জোরে হতে লাগলো, মনে হলো যেন ভাগ্যদেবতা আমার পক্ষেই।
হঠাৎ সে রুমালটা বাড়িয়ে বলল- ধন্যবাদ!

আমি খুশি হয়ে বললাম-আমি বিপ্লব। একটা প্রাইভেট ফার্মে জব করি, আপনি?
সে বলল-ফারিয়া, পড়াশোনা করছি।
-একটা কথা বলব?
-বলুন!
-কিছু মনে নেবেন নাতো?
-মনে নেবো কেন! বলুন!
-সত্যিই বলছেন?
-হ্যাঁ বলুন!
-আপনি অনেক সুন্দর!
সে অপ্রস্তত হয়ে বলল-এটা কেমন কথা?
-মনের ভেতর বারবার খোচ্ছাছিল তাই বলে ফেললাম, কথাকে মুক্ত করে দিলাম! কথার স্বাধীনতাকে তো আর রোধ করতে পারি না! যদি চান তবে সরি বলতে পারি!
-থাক দরকার নেই-বলে মুচকি হাসি দিলো।

বুঝে গেলাম খুশি হয়েছে। তারপর একে একে কথার বিনিময় ঘটলো, পরিচয় হলো, চেনাজানা হলো। বর্ষা-বাদলের আশীর্বাদে আমাদের বন্ধুত্ব হলো তাই বর্ষা বাদলের দিনকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ফারিয়াকে আমি বৃষ্টি বলে ডাকতাম। ওর ও খুব পছন্দ হয়েছিল নামটা। আমরা রাত জেগে ফোনে কথা বলতাম, ছুটির দিনে ঘুরতে বেরুতাম, রেস্টুরেন্টে বসে গল্প করতাম। আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম কিন্তু বলতে পারিনি। চাইলেই বলতে পারতাম কিন্তু বলিনি কারন আমি চেয়েছিলাম ভালোবাসার কথাটা ওর মুখ থেকে শুনতে। কতদিন, কত ছলে জানার চেষ্টা করেছি তবুও 'ভালোবাসি' কথাটি শোনা হয়নি, তবে অনুভব করতাম বৃষ্টিও আমাকে ভালোবাসে কিন্তু মুখ ফুঁটে বলত না।তবুও বিশ্বাস রেখেছিলাম, একদিন সে বলবে 'ভালোবাসি'!

এক বছর পর সেই শ্রাবণ মাস এলো ফিরে। আকাশে মেঘ জমে, অঝরে ঝরে বৃষ্টি, বৃষ্টির মুর্ছনায় হারিয়ে যাই আমি। আমি হাতের তালুতে বৃষ্টিকে আটকাতে চাই কিন্তু পারি না, আঙ্গুল বেয়ে চুয়ে চুয়ে গড়িয়ে পড়ে, ধরতে পারিনা; যেমনটি আমার প্রেমিকা বৃষ্টির ভালবাসি কথাটি আজও তালুবন্দি করতে পারিনি।

হঠাৎ বৃষ্টির ফোন এলো-কি করো?
-এইতো অফিসে, কাজ করি।
-আগামীকাল কি ছুটি নিতে পারবে?
-কেন বলোতো?
-তুমি সব ভুলে যাও!
-স্বীকার করে নিলাম, এবার বলো।
-মনে আছে তোমার গত বছর এই বর্ষার দিনে আমাদের দেখা হয়েছিল! পরিচয় হয়েছিল, তুমি আমার ফারিয়া নাম বদলে বৃষ্টি রেখেছিলে! মনে পড়েছে কি জনাব?
-বেশ মনে পড়েছে, চোখের সামনে এখনো ভাসে গত বছরের বর্ষা বিকেলে তোমার ভেজা চুল, ভেজা কাপড়ে আমার পাশে দাঁড়ানো, পরিচয়ের সূচনা, গল্পের সম্ভার সাজিয়ে বর্ষা উপভোগ! আহ, কি দারুন মুহূর্ত! সে কি ভোলা যায়!
-তাহলে কালকে আমরা বেড়াতে যাবো, আমরা ঘুরবো, বসে গল্প করব আর একটা কথা বলবো!
-মাত্র একটা কথা!
-হয়তো অনেক কথার ভিড়ে ওই একটি কথায় সব আলো কেড়ে নিবে, তাই বললাম।
আমি আবদার করে বললাম- তাহলে এখনি বলো, শুনি!
- জ্বি না মশায়! যখনকার কথা তখনই বলতে হয়, আগে নয়!
- ঠিক আছে ম্যাডাম, যেমন তোমার ইচ্ছা!
আমি বুঝেছিলাম সে আমাকে 'ভালোবাসি' কথাটি বলবে। আমি পুলকিত হলাম, আনন্দিত হলাম, অস্থির হয়ে উঠলাম আগামীকালের অপেক্ষায়।

সকাল হতেই আমার প্রস্তুতি শুরু হলো। আমি বাইক চেপে বৃষ্টির দেওয়া ঠিকানামত লোকেশনে এসে দাঁড়ালাম। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি এলো। আমি প্রথম দিনের মত আবারও চেয়ে রইলাম। শাড়িতে বৃষ্টিকে অনেক সুন্দর লাগছিল, একদম নয়ন ভোলানো জাগানিয়া মুগ্ধকরী! বাতাসে ওর চুলগুলো উড়ছিল, তাই দেখে আমার হৃদয়ও দুলছিল। বৃষ্টি আমার কাছে এসে মুচকি হেসে বলল-এই যে মশাই! হা করে কি দেখেন?
-তোমাকে!
-মনে হয় আমাকে আগে দেখোনি!
-এমন সুকেশিনী, মিষ্টিময়ী, লাবণ্যময়ী অপরূপা মেয়েটিকে এমন সাজে দেখার সৌভাগ্য আগে ঘটেনি তো তাই!
-অনেক হয়েছে জনাব, এবার যাত্রা শুরু করো, নইলে পথে হবে দেরি, আকাশে মেঘ জমেছে, বলা যায় না, হঠাৎই নামতে পারে বৃষ্টি।
-বৃষ্টিতো আমার সামনে, মেঘের বৃষ্টি মেঘেই থাক, আমার বৃষ্টি আমারই থাক !
বুঝতে পারলাম, ‌‘আমার বৃষ্টি’ বলাতে বৃষ্টি লজ্জা পেয়েছে কিন্তু মনে মনে খুশিও হয়েছে। আর কথা বাড়ালাম না। বৃষ্টিকে বাইকে উঠিয়ে মনের আনন্দে যাত্রা শুরু করলাম কিন্তু জানতাম না সামনে আমার বৃষ্টির জন্য যমদূত অপেক্ষা করছে, জানলে আমি বৃষ্টিকে নিয়ে বের হতাম না।

আকাশে আগে থেকেই মেঘ জমেছিল হঠাৎ শুরু হল ঝড়, তারপর বৃষ্টি। সামনে দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না, ফাঁকা মাঠের মত। তাই দ্রুত জায়গাটা পার হবার চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। সামনে থেকে আসা দ্রুতগতির একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের সজোরে ধাক্কা দিল। আমি সিটকে পড়লাম, জ্ঞান হারালাম! যখন জ্ঞান ফিরলো নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করলাম। রক্তাক্ত শরীর আমার অসংখ্য ব্যান্ডেজে জড়ানো। প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হচ্ছিল, কথা বলতে পারছিলাম না কিন্তু বৃষ্টির জন্য আমার হৃদয় ভেঙে চৌচির হয়ে যাচ্ছিল। আমি জানার চেষ্টা করছিলাম বৃষ্টির কি অবস্থা, কিন্তু কাউকে বোঝাতে পারছিলাম না। আমার এক বন্ধু সেখানে উপস্থিত ছিল, যে বৃষ্টির কথা জানত; জানতো আমি বৃষ্টির সাথে দেখা করতে বেরিয়েছিলাম। আমি বারবার তার দিকে তাকিয়ে গোঙড়াতে লাগলাম। ও আমার মনের ভাষা বুঝতে পারল। আমার কাছে বসে আমার হাতটি তার দুহাতে জড়িয়ে চুমু দিতে দিতে চোখের জল ছেড়ে দিলো। আমার দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়তে লাগলো। আমি বুঝে গেলাম, বৃষ্টি আর নেই! বৃষ্টি আমাকে ছেড়ে চলে গেছে! আমি গোঙড়াতে লাগলাম, মনে হলো আমি কোন অতল গহীন শূন্যে হারিয়ে যাচ্ছি! আমি আবার জ্ঞান হারালাম; বৃষ্টির হাসি, বৃষ্টির কথা, বৃষ্টির দুষ্টুমি আমার কানের এবং মনের চতুরপাশে ভেসে ভেসে বেড়ায়।

বৃষ্টিকে ভালোবেসে আজো আমি শূন্য হৃদয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াই। বৃষ্টি আমার বেঁচে থাকার প্রদীপ। আমার জেগে থাকায়, নিদ্রাগত হওয়ায় অথবা আমার স্বপ্নে কিংবা আমার আনমনা ভাবনায়, উদাসীনতায়, অস্থিরতায় সর্বত্রই মিশে আছে সে। বছরের পর বছর ঘুরে আসে বর্ষা। শ্রাবণের বৃষ্টিতে আমি ভিজে সিক্ত হই, বর্ষার বৃষ্টিতে দুহাত প্রসারিত করে উর্ধ্বপানে চোখ বন্ধ করে অনুভব করি আমার বৃষ্টিকে। অশ্রুজল আর বর্ষার বৃষ্টি মিলেমিশে একাকার হয়ে টপটপ করে গড়িয়ে পড়ে জমিনের বুকে। বর্ষার ভালোবাসি কথাটি শোনা হয়নি কিন্তু প্রতিনিয়ত চিৎকার করে আমি বলে উঠি-ভালোবাসি বর্ষা, ভালোবাসি।

আমি বিশ্বাস করি, আমার ভালোবাসি কথার উত্তর দিতে আমার প্রিয়তমা বর্ষা একদিন আসবে ফিরে শ্রাবণের ধারায় কোন এক বরষায়.....

 

লেখক: মাঈন উদ্দীন, কুষ্টিয়া।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত