শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বর্ষার গল্প

কোনো এক বরষায়...

বাহিরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, বেলকনিতে বসে চায়ের কাপে চুমুক লাগিয়ে বৃষ্টির মুর্ছনা উপভোগ করছি। মাঝে মাঝে হাতের তালু দিয়ে বৃষ্টির ফোঁটাকে আটকানোর চেষ্টা করছি কিন্তু হচ্ছে না, আঙ্গুলের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে, থামানো যাচ্ছে না। যেমনটি আটকানো যায়নি আমার প্রেমিকা বৃষ্টিকে; বৃষ্টি তার ছদ্মনাম, কোন এক বরষায় হঠাৎ প্রথম দেখা। আজকের মত সেদিনও মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন ছিল শ্রাবণ মাস, এই রোদ, এই বৃষ্টি। কাজ শেষে বাইক চেপে বাসায় ফিরছিলাম। আকাশ ছিল মেঘলা, অনেকটা পথ পেরুনোর পর হঠাৎ নামলো বৃষ্টি। আমি তড়িঘড়ি বাইক থামিয়ে একটা ছাউনিতে এসে দাঁড়ালাম। হঠাৎ একটা মেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আমার পাশে এসে দাঁড়ালো। আহা! কি সুন্দর তার চাহনি, তার চোখ, তার লম্বা কালো কেশ, অসাধারণ মুগ্ধতা!

আমি অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম! সে বৃষ্টিতে খানিকটা ভিজে গেছে। হাত দিয়ে কাপড় এবং চুল ঠিক করছিল। আমি রুমালটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম-লাগবে?
সে অনাগ্রহ ভরে বলল-নাহ, ধন্যবাদ।
-হয়তো লাগতে পারে, নিন।
সে কিছুটা ভেবে নিল, তারপর হাত বাড়িয়ে রুমালটা নিয়ে ভেজা চুল ও কাপড় ঠিক করতে লাগলো।
বললাম-বৃষ্টির দিন, ছাতা নিয়ে বের হতেন।
সে মুচকি হেসে বললো-আপনিও তো ছাতা নেন নাই।

নিজের কথাই নিজেই বিদ্ধ হলাম। অসাধারণ তার কণ্ঠস্বর, মুগ্ধকর নন্দিত হাসিটাও। তার সাথে আলাপ জমাতে অস্থির হয়ে পড়লাম কিন্তু কি বলে শুরু করব ভেবে পেলাম না। মনে মনে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করলাম, যেন বৃষ্টির এই ধারা আরো প্রবল হয়। সত্যি, বৃষ্টি আরও জোরে হতে লাগলো, মনে হলো যেন ভাগ্যদেবতা আমার পক্ষেই।
হঠাৎ সে রুমালটা বাড়িয়ে বলল- ধন্যবাদ!

আমি খুশি হয়ে বললাম-আমি বিপ্লব। একটা প্রাইভেট ফার্মে জব করি, আপনি?
সে বলল-ফারিয়া, পড়াশোনা করছি।
-একটা কথা বলব?
-বলুন!
-কিছু মনে নেবেন নাতো?
-মনে নেবো কেন! বলুন!
-সত্যিই বলছেন?
-হ্যাঁ বলুন!
-আপনি অনেক সুন্দর!
সে অপ্রস্তত হয়ে বলল-এটা কেমন কথা?
-মনের ভেতর বারবার খোচ্ছাছিল তাই বলে ফেললাম, কথাকে মুক্ত করে দিলাম! কথার স্বাধীনতাকে তো আর রোধ করতে পারি না! যদি চান তবে সরি বলতে পারি!
-থাক দরকার নেই-বলে মুচকি হাসি দিলো।

বুঝে গেলাম খুশি হয়েছে। তারপর একে একে কথার বিনিময় ঘটলো, পরিচয় হলো, চেনাজানা হলো। বর্ষা-বাদলের আশীর্বাদে আমাদের বন্ধুত্ব হলো তাই বর্ষা বাদলের দিনকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ফারিয়াকে আমি বৃষ্টি বলে ডাকতাম। ওর ও খুব পছন্দ হয়েছিল নামটা। আমরা রাত জেগে ফোনে কথা বলতাম, ছুটির দিনে ঘুরতে বেরুতাম, রেস্টুরেন্টে বসে গল্প করতাম। আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম কিন্তু বলতে পারিনি। চাইলেই বলতে পারতাম কিন্তু বলিনি কারন আমি চেয়েছিলাম ভালোবাসার কথাটা ওর মুখ থেকে শুনতে। কতদিন, কত ছলে জানার চেষ্টা করেছি তবুও 'ভালোবাসি' কথাটি শোনা হয়নি, তবে অনুভব করতাম বৃষ্টিও আমাকে ভালোবাসে কিন্তু মুখ ফুঁটে বলত না।তবুও বিশ্বাস রেখেছিলাম, একদিন সে বলবে 'ভালোবাসি'!

এক বছর পর সেই শ্রাবণ মাস এলো ফিরে। আকাশে মেঘ জমে, অঝরে ঝরে বৃষ্টি, বৃষ্টির মুর্ছনায় হারিয়ে যাই আমি। আমি হাতের তালুতে বৃষ্টিকে আটকাতে চাই কিন্তু পারি না, আঙ্গুল বেয়ে চুয়ে চুয়ে গড়িয়ে পড়ে, ধরতে পারিনা; যেমনটি আমার প্রেমিকা বৃষ্টির ভালবাসি কথাটি আজও তালুবন্দি করতে পারিনি।

হঠাৎ বৃষ্টির ফোন এলো-কি করো?
-এইতো অফিসে, কাজ করি।
-আগামীকাল কি ছুটি নিতে পারবে?
-কেন বলোতো?
-তুমি সব ভুলে যাও!
-স্বীকার করে নিলাম, এবার বলো।
-মনে আছে তোমার গত বছর এই বর্ষার দিনে আমাদের দেখা হয়েছিল! পরিচয় হয়েছিল, তুমি আমার ফারিয়া নাম বদলে বৃষ্টি রেখেছিলে! মনে পড়েছে কি জনাব?
-বেশ মনে পড়েছে, চোখের সামনে এখনো ভাসে গত বছরের বর্ষা বিকেলে তোমার ভেজা চুল, ভেজা কাপড়ে আমার পাশে দাঁড়ানো, পরিচয়ের সূচনা, গল্পের সম্ভার সাজিয়ে বর্ষা উপভোগ! আহ, কি দারুন মুহূর্ত! সে কি ভোলা যায়!
-তাহলে কালকে আমরা বেড়াতে যাবো, আমরা ঘুরবো, বসে গল্প করব আর একটা কথা বলবো!
-মাত্র একটা কথা!
-হয়তো অনেক কথার ভিড়ে ওই একটি কথায় সব আলো কেড়ে নিবে, তাই বললাম।
আমি আবদার করে বললাম- তাহলে এখনি বলো, শুনি!
- জ্বি না মশায়! যখনকার কথা তখনই বলতে হয়, আগে নয়!
- ঠিক আছে ম্যাডাম, যেমন তোমার ইচ্ছা!
আমি বুঝেছিলাম সে আমাকে 'ভালোবাসি' কথাটি বলবে। আমি পুলকিত হলাম, আনন্দিত হলাম, অস্থির হয়ে উঠলাম আগামীকালের অপেক্ষায়।

সকাল হতেই আমার প্রস্তুতি শুরু হলো। আমি বাইক চেপে বৃষ্টির দেওয়া ঠিকানামত লোকেশনে এসে দাঁড়ালাম। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি এলো। আমি প্রথম দিনের মত আবারও চেয়ে রইলাম। শাড়িতে বৃষ্টিকে অনেক সুন্দর লাগছিল, একদম নয়ন ভোলানো জাগানিয়া মুগ্ধকরী! বাতাসে ওর চুলগুলো উড়ছিল, তাই দেখে আমার হৃদয়ও দুলছিল। বৃষ্টি আমার কাছে এসে মুচকি হেসে বলল-এই যে মশাই! হা করে কি দেখেন?
-তোমাকে!
-মনে হয় আমাকে আগে দেখোনি!
-এমন সুকেশিনী, মিষ্টিময়ী, লাবণ্যময়ী অপরূপা মেয়েটিকে এমন সাজে দেখার সৌভাগ্য আগে ঘটেনি তো তাই!
-অনেক হয়েছে জনাব, এবার যাত্রা শুরু করো, নইলে পথে হবে দেরি, আকাশে মেঘ জমেছে, বলা যায় না, হঠাৎই নামতে পারে বৃষ্টি।
-বৃষ্টিতো আমার সামনে, মেঘের বৃষ্টি মেঘেই থাক, আমার বৃষ্টি আমারই থাক !
বুঝতে পারলাম, ‌‘আমার বৃষ্টি’ বলাতে বৃষ্টি লজ্জা পেয়েছে কিন্তু মনে মনে খুশিও হয়েছে। আর কথা বাড়ালাম না। বৃষ্টিকে বাইকে উঠিয়ে মনের আনন্দে যাত্রা শুরু করলাম কিন্তু জানতাম না সামনে আমার বৃষ্টির জন্য যমদূত অপেক্ষা করছে, জানলে আমি বৃষ্টিকে নিয়ে বের হতাম না।

আকাশে আগে থেকেই মেঘ জমেছিল হঠাৎ শুরু হল ঝড়, তারপর বৃষ্টি। সামনে দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না, ফাঁকা মাঠের মত। তাই দ্রুত জায়গাটা পার হবার চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। সামনে থেকে আসা দ্রুতগতির একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের সজোরে ধাক্কা দিল। আমি সিটকে পড়লাম, জ্ঞান হারালাম! যখন জ্ঞান ফিরলো নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করলাম। রক্তাক্ত শরীর আমার অসংখ্য ব্যান্ডেজে জড়ানো। প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হচ্ছিল, কথা বলতে পারছিলাম না কিন্তু বৃষ্টির জন্য আমার হৃদয় ভেঙে চৌচির হয়ে যাচ্ছিল। আমি জানার চেষ্টা করছিলাম বৃষ্টির কি অবস্থা, কিন্তু কাউকে বোঝাতে পারছিলাম না। আমার এক বন্ধু সেখানে উপস্থিত ছিল, যে বৃষ্টির কথা জানত; জানতো আমি বৃষ্টির সাথে দেখা করতে বেরিয়েছিলাম। আমি বারবার তার দিকে তাকিয়ে গোঙড়াতে লাগলাম। ও আমার মনের ভাষা বুঝতে পারল। আমার কাছে বসে আমার হাতটি তার দুহাতে জড়িয়ে চুমু দিতে দিতে চোখের জল ছেড়ে দিলো। আমার দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়তে লাগলো। আমি বুঝে গেলাম, বৃষ্টি আর নেই! বৃষ্টি আমাকে ছেড়ে চলে গেছে! আমি গোঙড়াতে লাগলাম, মনে হলো আমি কোন অতল গহীন শূন্যে হারিয়ে যাচ্ছি! আমি আবার জ্ঞান হারালাম; বৃষ্টির হাসি, বৃষ্টির কথা, বৃষ্টির দুষ্টুমি আমার কানের এবং মনের চতুরপাশে ভেসে ভেসে বেড়ায়।

বৃষ্টিকে ভালোবেসে আজো আমি শূন্য হৃদয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াই। বৃষ্টি আমার বেঁচে থাকার প্রদীপ। আমার জেগে থাকায়, নিদ্রাগত হওয়ায় অথবা আমার স্বপ্নে কিংবা আমার আনমনা ভাবনায়, উদাসীনতায়, অস্থিরতায় সর্বত্রই মিশে আছে সে। বছরের পর বছর ঘুরে আসে বর্ষা। শ্রাবণের বৃষ্টিতে আমি ভিজে সিক্ত হই, বর্ষার বৃষ্টিতে দুহাত প্রসারিত করে উর্ধ্বপানে চোখ বন্ধ করে অনুভব করি আমার বৃষ্টিকে। অশ্রুজল আর বর্ষার বৃষ্টি মিলেমিশে একাকার হয়ে টপটপ করে গড়িয়ে পড়ে জমিনের বুকে। বর্ষার ভালোবাসি কথাটি শোনা হয়নি কিন্তু প্রতিনিয়ত চিৎকার করে আমি বলে উঠি-ভালোবাসি বর্ষা, ভালোবাসি।

আমি বিশ্বাস করি, আমার ভালোবাসি কথার উত্তর দিতে আমার প্রিয়তমা বর্ষা একদিন আসবে ফিরে শ্রাবণের ধারায় কোন এক বরষায়.....

 

লেখক: মাঈন উদ্দীন, কুষ্টিয়া।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ