শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস : পর্ব -১

স্নানের শব্দ

সকাল বেলা, গোসলের নির্জন শীতলতায় ডুবতে ডুবতে একটুখানি ব্যক্তিগত সময় উপভোগের স্বাধীনতা পায় শবনম। সাবান শ্যাম্পুর রেশম ঘন ফেণার প্রলেপ সুঘ্রাণ আর মাথা মুখ বেয়ে অবিরাম নেমে আসা জলজ ধারার ভেতর দৈনন্দিন কর্তব্য জ্ঞানের বাইরে আর দর্শক সম্ভবনাবিহীন একান্ত সময়ে, মুক্তি পাবার মত বিরল আনন্দে নিজের দিকে সামান্য মনোযোগ দেয়ার খানিকটা অবকাশ মেলে হয়তো। স্নানঘরের মৃদু মসৃণ আলোতে গুন গুন করে একটা পুরনো গানের সুর ভাজা, সমস্ত দেহে মনে একটা সতেজ প্রফুল্ল অনুভব মোলায়েম আমেজ মেখে ছড়িয়ে পড়ে।


মাথা বুক ছাড়িয়ে পানির ধারা নিচের দিকে প্রবাহিত হলে ঘাড়টা সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকিয়ে চোখ নেমে যায় নাভিকুণ্ডলী ছাড়িয়ে আরো আরো নিচে আর তখনি চকিতে চমকে উঠে শবনম। একি! তলপেট সংলগ্ন কালো উপত্যকাতেও এবার যে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে কয়েকটি রূপালি ঝলক। এত দিন একটু একটু করে মাথার কেশ রঙ বদলে রূপালি হচ্ছিলো, এবার তা হানা দিলো একান্ত ভুবনেও, হা সময়! হা রূপান্তরের রোমাঞ্চিত বেদনা! প্রকাশ্য কুন্তলদামে দিব্যি না হয় রং মেখে কালো করা চলে কিন্তু এই গোপন গহীন অলিন্দে? বিদেশে নাকি অনেকে ফ্যাশন করে নিম্নাঙ্গের পশমও বিভিন্ন রঙে রঙীন করে নেয় .. কে জানে সেটা সত্যি না গল্প! একটু ঝুঁকে আবারো মাথাটা সামান্য নুইয়ে নিজেকে খুঁটিয়ে দেখে সে। নিজেকে অথবা নিজের শরীরকে, এই শরীরটাই কি সে? নাকি শরীরের অন্তরালে মন বলে কোন বস্তু আছে, যে বস্তুকে আদতে দেখা যায় না, ছোঁয়াও যায় না! আর এই চর্মচক্ষু তো শুধু সেটুকুই দেখে, যা তার সীমিত ক্ষমতায় দেখা যায়, যতটা দেখা যায়। আহা, ক-ত-দি-ন, কতদিন পর খেয়াল করে নিজের চোখে নিজেকে দেখা, যেন পুরনো ট্রাংকে রেখে দেয়া এক যাদুগালিচার ভাঁজ খুলে তাকানো, কোথাও তার ধূলা জমেছে, কোথাও সামান্য টুটা-ফাটা, কোথাও সূতা ঢিলা হয়ে গেছে, রং জ্বলে গেছে কোথায়ও। পাঁচ ফুট সাড়ে চার ইঞ্চির দীর্ঘ দেহ, তার গিরিখাদ, উপত্যকা, টিলা, তৃণ ভূমি..।

শবনমের চোখ এবার তার চিল দৃষ্টিতে মন স্থির রেখে দেখছে, পাকা ফলের মতো একটা সুপুষ্ট পরিণত জীবনের ছবি, দেখছে,ঈষৎ শিথিল স্তন, পৃথুল তলপেট, সামান্য ভারি উরু, দেখছে নিজের সময়ের বলয়ে পাক খাওয়া একজন নারীকে, এই মুহূর্তে যাকে বিস্মিত করেছে নিজেরই গোপন অঙ্গের কয়েকটি শ্বেত কুঞ্চিত চুল।

কিন্তু শবনম তো জানতোই এমন ঘটবে, প্রতিটি মানুষই জানে, এ কোন আকস্মিক ঘুর্ণি নয়, এটি অনিবার্য প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। বাউণ্ডলে সময় তার নিজগতিতেই সব কিছু পেছনে ফেলে ছুটে চলে। তবে কেন এই বিপন্ন বিস্ময়? পোশাক পরতে পরতে নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করে শবনম। এই সুচিক্কন শুভ্রতা, যা একই সঙ্গে বয়স বাড়ার সংকেতও বহন করে এনেছে, বলছে, পৌছে গেছো বসন্তের প্রান্ত সীমায়, শুনতে পাচ্ছো কি বেলা শেষের গান? সেই যাত্রা শেষের ইঙ্গিত, সেই সূর্য ডোবার উপলব্ধি কি অন্তর্গত রক্তের ভেতর একটা মৃদু ধাক্কা দিয়েছে? মনের গভীরে একটা নীল নিঃসীম শূন্যতা দড়ির মতো পাকিয়ে তুলেছে?

‘সামান্য ব্যাপার নিয়ে বেশি বেশি ভাবা হচ্ছে, দূর !’
মন থেকে জোর করে বিষয়টা ঝেড়ে ফেলতে চায় শবনম।

ফিরোজা আর সাদায় মেশানো তাঁতের শাড়িটা পরা শেষে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ দিনের অভ্যাসবশত সামান্য প্রসাধন নেয় সে। মুখে ক্রীম ঘষতে ঘষতে আয়নার খুব কাছে গিয়ে চোখ ও গলার নিচে সেকি এখন বলি রেখা খুঁজছে? বয়স? অনেকেই আজকাল বলে, বয়স তোএকটা সংখ্যা মাত্র। বয়স বাড়তে থাকলে বয়সের কথা নাকি ভুলে যেতে হয়,শবনম মাঝে মাঝে ভুলে যায়ও। কিন্তু আয়নায় এখন যার ছায়া পড়ছে বয়সের সংখ্যা হিসেবে তাকে তো মধ্য বয়সিনীই বলা চলে। যদিও লোকে বলে, চেহারা দেখে শবনমের বয়স অনুমান করা যায় না। তার সহজ মুখচ্ছবি, লম্বাটে গড়ন অনায়াসে পাঁচ/দশ বছর লুকিয়ে রাখতে পারে। এখনো রজঃনিবৃত্তি হয়নি তার, তবে হবে তো নিশ্চয়ই, দিনে দিনে দিন ফুরাবে, প্রাকৃতিক নিয়মেই সবুজ পাতা হলুদ হয়ে ঝরে যাবে তবে তাই বলে কি জীবন থেমে থাকে? চোখে কাজল আর ঠোটে হাল্কা লিপষ্টিক বুলিয়ে শবনম পুরোপুরি তৈরি হয়ে যায় অফিসে যাওয়ার জন্য।

ততক্ষণে তারেকের ঘুম ভেঙেছে। বিছানার উপর এক মগ কফি আর দিনের খবরের কাগজ মেলে নিয়ে বসেছে ও। মুখে গালে একদিনের না কামানো সাদা রঙের খোঁচা খোঁচা দাড়ি-গোঁফ। সেইদিকে তাকিয়ে আবার স্নানঘরের কথা মনে পড়ে গেলে বিব্রত বোধ করে শবনম।

‘ঘুম ভাঙলো?’ শবনম কিছু বলতে হবে তাই একটা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।

তারেক পত্রিকা থেকে চোখ সরিয়ে শবনমের দিকে তাকায়, তার বড় বড় চোখে প্রশংসার দৃষ্টি, ‘আরে বাহ্ খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে, ফিরোজা রংটা তোমাকে বেশ মানায়..’

শবনম একটু হাসে। বলে, ‘হুম, বুড়ি হয়ে যাচ্ছি, খালি মাথায় না, উপরে নিচে সবখানে চুল পাকতে শুরু করছে..’
‘ওয়াও, বয়স বাড়লে প্রেম পোক্ত হয়, জানো না? কয়েকদিন আগে একটা আর্টিকেল পড়লাম, মধ্যবয়সে শরীরের ভালোবাসা বেশি জমে ..’

‘হইছে, হইছে। এইবার থামো।’

শবনম তারেককে থামিয়ে মাস ছয়েক ধরে পক্ষাঘাতে পর্যূদস্ত শাশুড়ির ঘরে উঁকি দেয়। ওষুধের গন্ধে ভরা প্রায় অন্ধকার ঘরে সাদা ম্যাক্সি পরা ছোটখাটো সালেহা খাতুন জ্বলন্ত তসবিহ’র মতো বিছানায় লেপ্টে শুয়ে থেকেও জ্বলজ্বল করছেন। তার মাথার কাছে রাতের নার্স চম্পা বড়–য়া, সারারাত ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছে, এরপর আসবে মোমেনা, তার ডিউটি সারা দিনের। শবনম প্রতিদিনের মতো রোগীর ভাল-মন্দ নিয়ে আবেগহীন কয়েকটা রুটিন প্রশ্ন করে। দরকারি ওষুধ পথ্য আছে কিনা খোঁজ খবর নেয়। ঘুমন্ত সালেহা খাতুনের মাথায় একটু হাত রাখে। তারপর যায় মেয়ের ঘরের দিকে।


শ্রাবণের রুমের দরজায় গিয়ে একটা ছোটখাটো ধাক্কা খায় শবনম, ওর দরজায় একটা ষ্টিকারে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা-
‘ভোর ৫টায় ঘুমিয়েছি, দুপুর ২টার আগে ডাক দিওনা।’

আজ সারাদিন আর মেয়েটার সাথে দেখা হবে না, বুঝে গেছে শবনম। কিভাবে যে বড় হয়ে গেল বাচ্চাটা, শবনম যেন টেরও পেলোনা। তারেক আর সালেহা খাতুন নিজের হাতে শ্রাবণের লালন পালনের দায়িত্ব তুলে নিয়ে শবনমকে নিজের কাজে মন দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। সেইজন্য স্বামী ও শাশুড়ির প্রতি কিছুটা কৃতজ্ঞতা বোধ করে শবনম। যদিও তিনমাসের বাচ্চাকে কারো হাতে ছেড়ে দিয়ে অফিস করতে যাওয়া খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না তার জন্য। যেন নিজের কলিজাটা ছিঁড়ে রেখে বাইরে যেতে হচ্ছে, আর নারীদের সেই চিরন্তন ডিলেমা তো ছিলোই, অফিসে এলে বাচ্চার জন্য মন কাঁদে, অপরাধ বোধ হয়, বুঝি অফিসের কাজে কম মনোযোগ দিচ্ছে, আবার বাসায় এলে মনে হয়, অফিসে সময় দিতে গিয়ে বোধ হয় বাচ্চার ঠিকমতো যত্ন নিতে পারলাম না, আমি এক অযোগ্য মা।

শবনমের অনেক বান্ধবীই বাচ্চার জন্য মাঝ পথে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে গেছে। তারা যেন অনিচ্ছায় বা স্বেচ্ছায় সেই শাস্ত্রীয় বাণীকেই গ্রহণ করেছে, ‘সন্তান প্রসব করা, সেই সন্তানের যত্ম নেওয়া এবং পরিবার সামলানো একজন নারীর প্রথম ও প্রধান কর্তব্য।’ নিলুফার যেমন, বাইয়িং হাউজে জেনারেল ম্যানেজারের চাকরিটা ছেড়ে দিলো শুধুমাত্র সংসার সামলানো আর বাচ্চা মানুষ করার অজুহাতে। কাজের লোকের হাতের রান্না ওর বরের মুখে রোচেনা, আর বাচ্চাকে মা ছাড়া অন্য কারো তত্ত্বাবধানে রাখতেও তার ঘোর আপত্তি। শ্রাবণের জন্মের পর তারেকের ব্যবসাটা যদি ভালো যেত, যদি সংসার চালাতে শবনমের উপার্জনটা জরুরি না হতো, তাহলে তারেক’ও কি অন্য পুরুষদের মতো ওকে চাপ দিতো চাকরি ছেড়ে ঘরে বসে বাচ্চা পালনের জন্য। কিন্তু সেটা কি মনে প্রাণে মানতে পারতো শবনম? মনে হয় না। এখন যেমন ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে যাবার পর নিলুফার খুব আফসোস করে ওর অন্যান্য সহকর্মীদের উন্নতি দেখে।

‘প্রফেশনে থাকলে আমার অবস্থানটা এখন কোথায় থাকতো বল !’

‘যা হয় নাই, তা হয় নাই। বাচ্চাদের নিজ হাতে বড় করছিস, সেটাও তোএকটা তৃপ্তি !’ বান্ধবীরা ওকে সান্তনা দিয়ে বলে।

‘হুম.. পাখির ছানারা উড়তে শিখে গেলে তারা কি আর মা পাখির কথা মনে রাখে? ডানা মেলে কোথায় উড়ে যায়!’
নিলুফার দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

সকালের তাড়াহুড়ায় লম্বা করে শ্বাস ফেলারও সুযোগ নেই শবনমের। তার তৃতীয় কর্তব্য গৃহ সহকারি রাহেলার সাথে সারাদিনের রান্না-বান্নার প্ল্যানিংটা সেরে নেয়া।

‘পিয়াজ আর তেল আনা লাগবো। মুরগি আর মাত্র দুইটা আছে, কালকেই লাগবো, খালাম্মার স্যুপের জইন্য। আজকে মাছ রান্ধি আর সবজি, ডাইল। ছুটু আম্মার জইন্য কি করুম? মাছ তো খাইবনা..’
শ্রাবণের জন্য দুপুরবেলা আলাদা করে খাশির মাংশ রান্নার বিধান দিয়ে চট করে ঘড়ির দিকে তাকায় শবনম, নাহ্ আর দেরি করা যায় না। ছোট্ট একটা ব্যাগে দুপুরের জন্য কয়েকটা ফল, এক পিস পাউরুটি আর বোতল ভর্তি পানি নিয়ে বাইরে বেরুনোর জন্য রওনা করে সে। একজন চাকুরিজীবী নারীর নিত্যদিনের সকাল বেলার রোজনামচা, একই ছকে, একই সুরে, একই তাল, একই লয়ে বাঁধা। এই জীবনে বাঁধা-ধরা কিছু দায়িত্ব কর্তব্যের বাইরে যার তেমন রোমাঞ্চ নাই, উত্তেজনা নাই, ঘটনা নাই। অথচ বাইরে থেকে তাকে তো সফল নারীই বলবে সবাই, নিজের সাফল্য নিয়ে শবনমের একটা চাপা আনন্দও হয়তো আছে। বাইশ বছরের চাকরি জীবনে নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ক্যারিয়ারের মধ্য গগনে এখন তার অবস্থান, কোম্পানির তৃতীয় ব্যক্তি সে। ঘরে প্রেমময় স্বামী, আপাত দৃষ্টিতে বাধ্যগত সন্তান, সুস্থ নিরোগ দেহ, চমৎকার ফ্ল্যাট, নিজস্ব গাড়ি সব সূচকেই তাকে ভাল নম্বর দেয়া চলে। কিন্তু এই ভালই কি সব? তা না হলে হঠাৎ কেনো বুকের ভেতর শুকনো পাতা গুড়িয়ে যাওয়ার মতো করুণ শব্দ বেজে ওঠে? কেন মনের ভেতর বালু ঝড়ের মতো এমন এলোমেলো হাহাকার উঠে? কেন হঠাৎ সব শূন্য শূন্য মনে হয়? বয়সের জন্য? সবারই কি এমন হয়? কি পেলাম কি পাইনি, সেই হিসাব কখনোই মিলাতে চায়নি শবনম, তাহলে এই পরিণত বয়সে এসে কি এক অচেনা বেদনা কেনো তাকে এভাবে আচ্ছন্ন করে? কেন উদাস কোনো পথ পেরিয়ে দূরে কোথাও কোনো অচিনপুরে চলে যেতে ইচ্ছা করে? একেই কি মিডল এইজ ক্রাইসিস বলে?

পাঁচতলার জানালা দিয়ে তাকালে রাস্তার পাশে একটা একহারা সবুজ নিম গাছ চোখে পড়ে, এই রুক্ষ্ম ইটকাঠের ভেতর সবুজ সতেজতাটুকু ধরে রেখে কিভাবে যে সে লড়াই করে টিকে আছে সেও এক রহস্য বটে। নিমগাছটার সঙ্গে নিজের জীবনের এক ধরনের সুক্ষ্ম মিল খুঁজে পায় শবনম। মিলটা একাকীত্বের, শবনম জানে যত উপরে উঠা যায় ততই একা হয়ে যেতে হয়, পর্বতের সুউচ্চ চূড়ায় জায়গা কমই থাকে। কিন্তু এই উর্ধ আরোহণের পেছনে লড়াইয়ের যে দীর্ঘ ইতিহাস রচিত হয়ে আছে, পেছন থেকে টেনে ধরা ধারালো থাবাগুলোর নখচিহ্ন যে চিরস্থায়ী দাগ বসিয়ে গেছে, সেসবের মোকাবেলা করতে করতে মাঝে মাঝে চরম ক্লান্তি আর অবসাদ যে পেয়ে বসে না, তা তো নয়। কিন্তু সেসব পাত্তা দিলে কি আর চলে? কে যেন বলেছিল, নীচের দিকে নয়, যতই উপরের দিকে উঠবে ততই তুমি বাঘ, সিংহ আর নেকড়ের দেখা পেতে থাকবে। তারা সহজে জায়গা ছাড়বে না, নখ দন্ত বিকশিত করে তোমাকে থামাতে আসবে। তারপরেও জীবন চলমান,ঘাত-প্রতিঘাত পেছনে ফেলে একে সামনের দিকে চালিয়ে নিতেই হবে, ‘তরী খানি বাইতে গেলে’ পথের মাঝে ছোট বড় তুফান মেলে, তাই বলে তো জীবনের হাল ছাড়া চলবে না, থামলেই বিপদ, থামলেই পেছনে পড়ে যাওয়া।

একবার একটা ট্রেনিং-এ কে যেন বলেছিল, আপনি যদি দৌড়ে সবার সামনে গিয়ে কোন কারণে দাঁড়িয়ে পড়েন, তাহলেও পেছন থেকে অন্যরা এসে আপনাকে ধরে ফেলবে, চাই কি আপনাকে পেছনে ফেলে তারা সামনে এগিয়েও যেতে পারে। সুতরাং নিজের জায়গাটা ধরে রাখতে চাইলে থামলে চলবে না। দৌড়ে যেতে হবে যতক্ষণ পা চলে। জীবন চলিষ্ণু। জীবন যতক্ষণ কর্মময় ততক্ষণই তা মধুময় আনন্দময়।

অফিসে গিয়ে এক মগ গরম ব্ল্যাক কফি সামনে নিয়ে সারাদিনের কাজের প্ল্যানিং-এর উপর চোখ বুলিয়ে নেয়ার অভ্যাস শবনমের। কফি শেষ করে ই-মেইল চেক করে দরকারি নির্দেশনাগুলো দিয়ে দেয় সে। অধস্তনরা আসে ফাইল পত্র নিয়ে। এখন যেমন এডমিনের নতুন ছেলেটা কাঁচের দরজায় নক করে কয়েকটা ফাইল নিয়ে ঢুকেছে তার ঘরে। দরকারি সিগনেচার গুলা করতে করতে কেন যেন বারবার হাই উঠছিলো শবনমের।

‘আপনার কি শরীর খারাপ ম্যাডাম?’

হঠাৎ কোমল কন্ঠে জানতে চাইলো ছেলেটা। এই অফিসটা ততটা ফরমাল নয়, ফলে সিনিয়র কলিগকে এ ধরনের প্রশ্ন করাটা হয়তো স্বাভাবিকই মনে করেছে সে। কিন্তু প্রশ্নের ধরণ শুনে হঠাৎ করে মেজাজটা প্রচণ্ড গরম হয়ে গেল শবনমের। ফাইলটা এক পাশে সরিয়ে রেখে সে ঠাণ্ডা গলায় জানতে চাইলো, ‘কেন?’

‘না, মানে..ম্যাডাম, তেমন কিছু নয়, দেখে মনে হলো আর কি, একটু অসুস্থ .. চেহারাটা কেমন ফ্যাকাশে..’
‘শোনো ছেলে, তোমার চোখের চিকিৎসা করাও। মনের চিকিৎসাও করাতে পারো, তোমার মন ভুল অনুমান করছে। বুঝতে পেরেছো? ভবিষ্যতে এরকম হঠাৎ করে না জেনে শুনে কাউকে অসুস্থ বলে বসবে না। এটা গুড ম্যানার নয়।’

শবনম প্রতিটা শব্দে জোর দিয়ে নীচু কিন্তু তীব্র কন্ঠে বলে।
‘জ্বি¦ ম্যাডাম। সরি ম্যাডাম।’

ছেলেটা কাঁচুমাচু হয়ে ফাইল গুছিয়ে চলে গেলে শবনমের মনে হয়, এতোটা প্রতিক্রিয়া দেখানো বোধ হয় ঠিক হয়নি। কুল হও শবনম, শান্ত হও, মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করো। ঘটনাগুলো ইতিবাচক ভাবে দেখো। তারেক ইদানিং খুব মেডিটেশনের দিকে ঝুঁকেছে, মনে প্রশান্তি আনতে মেডিটেশন খুব নাকি কাজ দেয়। অস্থিরতা দূর করে, মনে আনন্দ আসে, মনোদৈহিক সুস্থতা বাড়ে। শবনম কয়েকবার চেষ্টা করে দেখেছে,তার মন বসে না। চোখ বন্ধ করলেই যত রাজ্যের জাগতিক চিন্তা ভাবনা এসে ভিড় করে, আর মাথার মধ্যে কাঠ ঠোকরার মতোন টুকটুক করে ঠোকড়াতে থাকে। শবনম কিছুতেই এক বিন্দুতে মনোযোগ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। তারেক অবশ্য উৎসাহ দেয়, বলে, ‘প্রথম প্রথম এমন হবে, অন্য সব ভাবনা আসবে, ধৈর্য্য ধরে প্র্যাকটিস করো, দেখবে মন বসবে, মনের মধ্যে একটা গভীর শান্তির অনুভূতি তৈরি হবে।’

কিসের কি? এতো প্র্যাকটিস করার ফুরসৎই বা কোথায়? তাকে তো সারাক্ষণই ব্যস্ত সৈনিকের মতো বন্দুক কাধে ছুটতে হচ্ছে, মিটিং, সিটিং, মনিটরিং, ফাইলিং, প্ল্যানিং-এর বোঝা মাথায় নিয়ে বস, ক্লায়েন্ট আর কলিগদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে লেফটরাইট করতে করতে। এ এক অদ্ভুত যুদ্ধক্ষেত্র। পায়ের নিচে কে যে কোথায় মাইন পেতে রেখেছে জানা নেই, একটু এদিক ওদিক হলো তো ভয়ংকর বিস্ফোরণ, চোখের পলকে শহীদ হয়ে যাওয়া। চোখ কান খোলা রেখে দুষ্ট লোকদের অফিস পলিটিক্স এড়িয়ে নিজের অবস্থানটা ঠিক রাখতে কম পেরেশানি তো আর করতে হয় না। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের কথা মনে পড়ে শবনমের। কত সরল ছিল সে তখন! অনেক কিছুই বুঝতো না, ঊর্ধ্বতনদের কথার প্যাঁচ ধরতে না পেরে বোকার মতো শূন্য চোখে তাকিয়ে থাকতো। চোখের সামনে হাসতে হাসতে ওর কাজের ক্রেডিট নিয়ে নিতো অন্য কেউ। মানুষের এইসব তঞ্চকতা দেখে প্রতিবাদ করার বদলে হতভম্ব হয়ে পড়তো শবনম। নিজের আমিত্ব ফলিয়ে কিভাবে মানুষ কথা বলতে থাকে, বেকুব হয়ে তাই দেখতো সে। অথচ নিজেকে জাহির করা বা কৃতিত্ব দাবি করার অভিরুচি তার হয়নি কখনো, ফলে কৃতিত্ব হাতছাড়া হয়েছে, ভুল বোঝাবুঝির শিকারও হতে হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে এখন আর খুব একটা দুঃখ করে না শবনম।

 

চলবে...

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ