রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ৩

অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব: ৩

‘কতক্ষণ লাগবে আর?’
হাসানকে জিগ্যেস করলাম। সে খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিয়ে নিচুস্বরে বলল, ‘দশটা, সাড়ে দশটার ভেতর পৌঁছে যাব, স্যার। সামনে জ্যাম নাই।’

বোতলে পানি আছে। ঢকঢক করে পানি খেলাম। গাড়িতে বসে নেটে নানারকম ঘাটাঘাটি করার অভ্যাস আমার নেই। মাঝেমধ্যে গান শুনি। বেশিরভাগ সময় বই পড়ি। তুরির লেখা নোটবুক খুললাম। কবিতার পর সে কী লিখেছে পড়া শুরু করলাম।

“চড় খেয়ে হতভম্ব হয়ে গেছি। আজ আমার বাসর রাত। এই রাত নিয়ে মেয়েদের এক ধরনের ভয় আর চাপা উত্তেজনা থাকে। স্বপ্ন মেশানো গোপন আনন্দ থাকে। আমার ছিল প্রবল কৌতূহল। যার সাথে বিয়ে হয়েছে আমার, সে অতি পরিচিত। তার নাম শাবিন।
অনেক আগে পরিচয়। এক অফিসে কিছুদিন চাকরিও করেছি। মাঝে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম ইচ্ছে করেই। মনে হয়েছিল বাবা আমাদের বিয়ে মেনে নেবেন না। শাবিন অতি সাদামাটা সাধারণ একজন ছেলে। এমনও হতে পারে শাবিনকে গভীরভাবে ভালোবাসেছি। আমার জীবনে মারাত্মক এক দুর্ঘটনা আছে। সেই দুর্ঘটনার কথা শাবিনকে বলিনি। আবার ভেবেছি শাবিনকে বিয়ে করলে আমার ভালোবাসাকে ঠকানো হবে। তবে এটাও ঠিক, বেশিরভাগ মানুষ স্বাভাবিক ব্যাপার সহজভাবে নিতে পারে না। শাবিনের কিছু জানার কথা না। তবু ভয় হয়, সে কি কিছু জেনেছে কিনা।
ভীষণ অবাক হয়েছি, আমার স্বামী আমাকে চড় মেরেছে। সে চড় মেরেছে খুব জোরে। আমার গাল জ্বলতে শুরু করেছে। গাল জ্বলার ব্যাপারটা প্রথমে টের পাইনি। এতটাই অবাক হয়েছি যে ঘটনা কী ঘটেছে ঠিকঠাকমতো বুঝতে পারিনি। চড় খেয়ে আমার অপমানিত হওয়ার কথা। আমি হয়েছি বিস্মিত। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে চড় আমার গালে বসে যায়নি। তার হাত ঠাস করে গালে লেগে ক্লান্ত হয়ে পড়ে গেছে।
রাত হয়েছে অনেক। বিছানায় জুবুথুবু হয়ে বসে আছি। সে আসে না। সে আছে ঘরের বারান্দায়। দরজা লাগানো। উঠে গিয়ে শাড়ি বদলে এলাম। সে এলো না। আশঙ্কা হলো সে কি আমাকে কিছু বলতে চায়! আমার দুর্ঘটনা বা অন্য কারও সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে এমন কথা? কীভাবে আামাকে বলবে সেটা গুছিয়ে নিচ্ছে। অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে আমাকে বিয়ে না করলেও পারত। তাকে খুঁজে বের করেছি সত্য। এ বাড়িতে নিয়মিত আসার সূত্রে তার মা আমাকে পছন্দ করেছেন। হয়তো শাবিনের মা জোর করে বিয়ে দিয়েছেন। শাবিনের বাবার কোনো খোঁজ নেই। তিনি বহুদিন হলো বাড়ি ছেড়েছেন। মাঝেমধ্যে নাকি আসতেন। আমার শাশুড়ি তাঁর বাবার কাছ থেকে বাড়ি পেয়েছেন। সেই বাড়ির একপাশ তিনি ভাড়া দিয়েছেন। অন্যপাশে আমরা থাকি। বাড়ি ভাড়ার টাকায় সংসার চলে। শাবিনের বাবা মাঝে কয়েকবার এসে আমার শাশুড়ির কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে গেছেন। তারপর তার আর কোনো সন্ধান নেই। শাবিন বলে তিনি এই সংসারের কথা গোপন করে আরেকটা বিয়ে করেছেন। সেখানে সংসার করছেন। বিয়েতে আমাদের বাড়ি থেকে প্রচুর জিনিসপত্র আর নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। হয়তো সেটা শাবিনের মায়ের প্রয়োজন ছিল।
বারান্দার কাছে গিয়ে আস্তে করে দরজা খুললাম। আমার নাকে উৎকট গন্ধ এলো। আচমকা শরীর গুলিয়ে আসছিল। শাবিন বারান্দায় বসে সিগারেট খাচ্ছে। বারান্দায় বসে সিগারেট খাওয়ার কী আছে বুঝতে পারলাম না। আমরা তো একসাথে স্মোক করেছি। সিগারেটের গন্ধ আমি চিনি। এই গন্ধ অন্যরকম। আমার অপরিচিত। আবার মনে হলো পরিচিত, খুব পরিচিত।
আলতো গলায় বললাম, ‘ঘরে এসো।’
সে উঠে এসে আমার সামনে দাঁড়াল। আচমকা আমাকে ধাক্কা দিলো। তাল সামলাতে না পেরে ঘরের মেঝেতে পড়ে গেলাম।
শাবিন হিসহিস করে বলল, ‘তোকে নিয়ে এসেছে আমাকে আটকাবে বলে। দুমাস হলো টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। এখন নিজে কামাই করে খাই। ঘরে বসে থাকলে এসব কে এনে দেবে আমাকে?’
আচমকা ধাক্কা খেয়ে অবাক হয়ে গেছি। দুহাঁটু ভাঁজ করে ওঠার চেষ্টা করলাম। উঠতে-উঠতে বললাম, ‘কী হয়েছে?’
তখন শাবিন ঠাস করে আমার গালে চড় মারল। বলল, ‘চুপ কর শালি। একদম চুপ।’
ছিঃ কী নোংরা কথা। ঘেন্নায় আমার গা রিরি করে উঠল। শাবিনের কোনো বিকার নেই। আমার দিকে হাত বাড়াল। আমার গলায় দেড়ভরি ওজনের সোনার চেইন ছিল। হেঁচকা টান দিয়ে সেটা ছিঁড়ে নিল। কিছু বললাম না। শাবিন দুপা সামনে হেঁটে ধড়াম করে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল। একটু বাদে তার নিশ্বাস ভারী হয়ে এলো। শাবিন ঘুমিয়ে পড়েছে।
এ আমি কোন শাবিনকে দেখছি। মাঝে যখন তাকে ছেড়ে দূরে ছিলাম তখন কিছু হয়েছে? শাবিন কেন এরকম করছে তা পুরোপুরি বোঝা সম্ভব হলো না।
তার কাছে আমার সোনার চেইন থেকে গেছে। ইচ্ছে করলে সেটা খুঁজে নিতে পারতাম। কেন জানি ইচ্ছে হলো না। ঘেন্না লাগছিল সেটা আবার ছুঁতে কিংবা গলায় পরতে।”

 

তুরির লেখা আমাকে আচমকা আচ্ছন্ন করে ফেলল। নোটবুক বন্ধ করে বললাম, ‘আনিস, গাড়ি থামাও। চা খাব।’
আনিস রাস্তার পাশে সাইড করে গাড়ি থামাল। খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিয়ে বলল, ‘স্যার, চলে এসেছি। তাদের ফোন দেন। কোন জায়গায় যেতে হবে জিগ্যেস করে নেন।’
গাড়ি থেকে নেমে এলাম। জায়গাটার নাম মাসকান্দা। সামনে শহর। অনেকক্ষণ হলো গাড়ির ভেতর বসে আছি। দুপা আড়ষ্ট হয়ে গেছে। খানিকটা হাঁটা দরকার। আমি নেমেছি সিগারেট খেতে। প্রচণ্ড চায়ের তেষ্টাও পেয়েছে। রাস্তার পাশের দোকানে গিয়ে দুধ-চিনি ছাড়া চা দিতে বললাম।
পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটার বের করলাম। সিগারেট জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে ফোন এলো। ময়মনসিংহ থেকে ফোন করেছে। বললাম, ‘কাছাকাছি চলে এসেছি। শিগরি পৌঁছে যাব।’
এখান থেকে অনুষ্ঠানের সেই জায়গা কতদূরে অনুমান করতে পারছি না। ঠিকানা জেনে নিয়েছি। আমার এখন আর কোনো তাড়া নেই। তুরির লেখা পড়তে ভালো লাগছে। ময়মনসিংহে পৌঁছানোর আগে পড়ে শেষ করতে পারলে শান্তি পেতাম। পড়া শেষ হয়নি। বাকিটা ফেরার পথে পড়তে হবে। ফেরার পথে সঙ্গে কেউ না এলে ভালো হয়। সঙ্গে কেউ থাকলে অনবরত কথা বলে।
‘স্যার, নতুন কী উপন্যাস লিখছেন?’
‘লিখব একটা। এখনো ঠিক করিনি।’
‘মেলা তো চলে এলো। আর কবে ঠিক করবেন?’
‘আস্তে ধীরে লিখব।’
‘কবিতা লেখেন, স্যার। আপনার লেখায় কাব্যিক ভাব প্রবল।’

গাড়িতে বসে এরকম অপ্রয়োজনীয় কথা হয়। পড়া হয় না। খানিকবাদে সহযাত্রী বলে, ‘স্যার, এখানে গোরুর খাঁটি দুধের চা পাওয়া যায়। খড়ির চুলায় তৈরি। তাতে ধোঁয়ার গন্ধও পাবেন। একদম গ্রামের ফ্লেভার। খাবেন স্যার এককাপ চা? গাড়ি থামাতে বলি?’
‘এখন চা খেতে ইচ্ছে করছে না।’
‘আপনারা সাহিত্যিক মানুষ। আপনাদের গ্রামীণ ফ্লেভারের দরকার আছে, স্যার।’
‘সেজন্য সকালবিকেল দুবেলা নিয়ম করে গোবরের গন্ধ শুঁকি। আমাদের বাসার পাশ গাভী আছে। এক মহিলা গাভী পোষে। ঘুম থেকে উঠে গাভীর চোনার গন্ধ শুঁকতে যায়। মন শীতল হয়ে আসে।’
এতক্ষণে সহযাত্রী থামে। ঘুমানোর চেষ্টা করে এবং ঘুমিয়ে পড়ে। সে ঘুমে আচ্ছন্ন হয়েছে বোঝা যায় নাক ডাকার শব্দে। প্রবল জোরে ঘড়ঘড় শব্দে নাক ডাকে মুখ হা করে। মাঝেমধ্যে মুখ দিয়ে ফ্রুস জাতীয় শব্দ করে ওঠে। মনে হয় ঘোড়ার আস্তাবলে আছি।
সিগারেট শেষ হয়েছে। চায়ের দাম মিটিয়ে দিয়ে গাড়িতে উঠে বসলাম। আনিস গাড়ি ছেড়ে দিলো। আমরা চলছি। আনিসকে পথের দিকনির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। বুঝতে না পারলে গাড়ি থামিয়ে কাউকে জিগ্যেস করে নিতে বলেছি।
আমার মাথায় নতুন গল্পের ভাবনা এসেছে। শাবিন আর তুরিকে নিয়ে গল্প লিখব। তার আগে তুরির লেখা নোটবুক পুরোটা পড়ে নিতে হবে।

অল্প সময়ের ভেতর অনুষ্ঠানের জায়গায় পৌঁছে গেলাম। আমরা পৌঁছানোর আরও আধাঘণ্টা পরে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ভেবেছিলাম, আমার দেরির জন্য অনুষ্ঠান পিছিয়েছে। পরে জানলাম স্থানীয় এমপি আসবেন। তাঁর আসতে দেরি হচ্ছে। তিনি আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি। অনুষ্ঠান উদ্বোধন তিনি করবেন।
আমার কাজ শুধু বক্তৃতা দেওয়া। মুখের ভেতর তেতো হয়ে গেল। কোনোরকমে অনুষ্ঠান শেষ করে গাড়িতে উঠে বসলাম।
আমার সঙ্গে কেউ ঢাকায় আসতে চাইছিল। বললাম, ‘আজ পারব না। আমার অন্য কাজ আছে।’
যে আমার সঙ্গে ঢাকায় রওনা হওয়ার জন্য এসেছিল সে চার বক্স মিষ্টি হাসানের হাতে দিয়ে চলে গেল।
ঢাকায় পৌঁছুতে রাত সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে। রাতে পড়া বা লেখা কিছু হলো না। তুরির নোকবুক পড়লাম পরদিন অফিসে বসে।

(চলবে)

 

‘অঘ্রানের অন্ধকারে’, দ্বিতীয় পর্ব

 

‘অঘ্রানের অন্ধকারে’, প্রথম পর্ব

Header Ad
Header Ad

আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ছবি: সংগৃহীত

টঙ্গীর তুরাগতীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে । রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১২ মিনিটে শুরু হয় এ মোনাজাত এবং শেষ হয় ৯টা ৩৫ মিনিটে।

মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি ও কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।

মোনাজাতে দেশ-বিদেশ থেকে আসা লাখো মুসল্লি অংশ নেন। এ সময় আল্লাহর দরবারে রহমত, মাগফিরাত ও কল্যাণ কামনা করেন তারা।

আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ছবি: সংগৃহীত

ইজতেমা ময়দানে আসা মুসল্লিরা চোখের জল ফেলে হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তারা নিজেরা যেন সঠিক পথে চলতে পারেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য অটুট থাকে এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় এসব কামনা করেন।

এদিকে আখেরি মোনাজাত নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। শনিবার রাত ১২টা থেকে ইজতেমা ময়দানের আশপাশে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।

৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিল ৩০ জানুয়ারি বাদ মাগরিব। আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো প্রথম পর্ব। ৩ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মাওলানা সাদ কান্ধালভীর অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।

Header Ad
Header Ad

লিবিয়ার সৈকতে ২০ জনের গলিত লাশ, সবাই বাংলাদেশি

লিবিয়ার সৈকতে ২০ জনের গলিত লাশ। ছবি: সংগৃহীত

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগার পশ্চিমে আল-আকিলা এলাকা থেকে অন্তত ২০ জনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক বলে লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষের ধারণা।

গত বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে দেখা যায়, সাগরপাড়ো লাশ পড়ে আছে। কয়েকটি লাশ সৈকতে দাঁড়ানো একটি ট্রাকে তোলা হয়েছে। ঘটনাস্থল লিবিয়ার বেনগাজির ব্রেগা (আল বুরিকা) শহরের পশ্চিমে সৈকত।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগা তীর থেকে গত দুদিনে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের মতে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব মৃতদেহ ব্রেগা তীরে ভেসে এসেছে। নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস ইতিমধ্যে একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

অভিবাসী উদ্ধার তৎপরতা নজরদারি সংগঠন অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক মাইগ্র্যান্ট রেসকিউ ওয়াচের রব গোয়ানস ২৯ জানুয়ারি এক্স পোস্টে জানান, লিবিয়ার সিআইডি ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস মিলে আল-উকাইলা এলাকার সৈকতে ভেসে আসা আরও দুটি লাশ উদ্ধার করেছে। সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া লাশের সংখ্যা ২০।

আগের দিন এক পোস্টে তিনি আরও ১১ লাশ উদ্ধারের তথ্য দিয়ে বলেন, নথি পর্যালোচনা করে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে ২৭ জানুয়ারি প্রথম পোস্টে ৭ লাশ উদ্ধারের তথ্য দেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের পরিচালক এ এইচ এম মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘২০ মরদেহের সব কটি লিবিয়ার ব্রেগা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে আজদাদিয়া নামক স্থানে প্রায় গলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। তাঁদের সঙ্গে কোনো ভ্রমণ দলিলও মেলেনি। ঠিক কবে ভুক্তভোগীরা নৌকাডুবির শিকার হয়েছেন, তা কোনো কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারেনি।

এদিকে গত ২৯ জানুয়ারি (বুধবার) লিবিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম আশ-শামস লিবিয়ার অনলাইন পোর্টালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেগার পশ্চিমে আল-আকিলা এলাকার সমুদ্রতীরে একটি নৌকা এবং বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে ৭টি এবং আজ আরও ১১টি মরদেহ পাওয়া গেছে। আরও মরদেহ মিলতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সরকারে থেকে দল গঠন করলে জনগণ মেনে নেবে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে বিএনপি স্বাগত জানানোর পাশাপাশি সহযোগিতাও করবে। কিন্তু সরকারে থেকে দল গঠন করলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না বলেও সতর্ক করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, ‘ছাত্ররা দল গঠন করলে স্বাগত জানাই। সরকারে কিছু থাকবে আবার কিছু লোক সরকারের সহায়তায় দল গঠন করবে এটা হতে পারে না। নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন দিতে হবে। আর নয়তো জনগণ মেনে নেবে না।’

শনিবার রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল এবং দরিদ্রদের শীতবস্ত্র ও শাড়ি বিতরণ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

দরিদ্রদের শীতবস্ত্র ও শাড়ি বিতরণ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ছবি: সংগৃহীত

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আপনারা দল করলে দল করেন। আমরা আপনাদের স্বাগত জানাব, সহযোগিতা করব। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে যাওয়ার জন্য কাজ করব। একই সঙ্গে আপনাদের অনুরোধ জানাব, অযথা কোনো সংঘাতমূলক কথা রাজনীতির মধ্যে না আনাই ভালো হবে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘হাসিনা পালানোর কারণে আমরা এখন দম ছেড়ে নিশ্বাস নিতে পারতেছি। দেশে এখন আতঙ্ক নেই। ১৮ কোটি জনগণের বুকে পাথরের মতো বসে শাসন করেছে। হাসিনা আগেও ষড়যন্ত্র করেছে, দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়ে এখনো ভালো হয়নি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারতের আশ্রয়ে থেকে দেশ নিয়ে দুষ্টুমি করছে। হাসিনা অনেক মা-বাবার বুক খালি করেছে। এ নিয়ে হাসিনা কোনো অনুশোচনা করে নাই। ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে আমরা বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’

ফখরুল বলেন, ‘পলাতক হাসিনা সরকারের রুগ্‌ণ অর্থনীতির কারণে এখন বাজারদর বৃদ্ধি হয়েছে। দক্ষিণখানের গুমের শিকার মুন্নার মা-বাবার কান্না দেখে আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। পলাতক হাসিনা দেশে আয়নাঘর সৃষ্টি করে গুম-খুনের রামরাজত্ব কায়েম করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘পলাতক হাসিনা সরকারের উত্তরা এলাকার এমপি হাবিব হাসান এবং খসরু নিরীহ মানুষের জমি, বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল করেছিল।’

 

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব
লিবিয়ার সৈকতে ২০ জনের গলিত লাশ, সবাই বাংলাদেশি
সরকারে থেকে দল গঠন করলে জনগণ মেনে নেবে না: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশের ‘দারিদ্র্য’ নিয়ে প্রতিবেদনে নিজ দেশেরই ছবি প্রকাশ করল ভারতীয় গণমাধ্যম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ‘হিজাব র‍্যালি’
কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত
প্রতিটি ডলারের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে: ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী  
সেই ইমনের ব্যাটে চড়েই কোয়ালিফায়ারে চিটাগাং
সুুষ্ঠু নির্বাচনে বাঁধা দিলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: জামায়াতের নায়েবে আমির
নওগাঁয় বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
বই ছাপানোর আগে বাংলা একাডেমি পড়তে দেয়া হাস্যকর : ফারুকী    
ঈদ পর্যন্ত মাকে নিজের কাছে রাখতে চান তারেক রহমান  
মোটরসাইকেলে ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ গেল এক তরুনীর দুলাভাই হাসপাতালে  
বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নেই, জানালো বিসিবি  
ইজতেমায় গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, কুশল বিনিময় করলেন মামুনুল হকের সাথে  
ট্রাম্পের প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে যোগ দিতে কাল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ফখরুল-খসরু  
সাবিনা ইয়াসমীন আইসিইউতে    
ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ‘ঘৃণা স্তম্ভে’র ছবি, ময়লা ফেললেন প্রেসসচিব  
দেশের পুনর্গঠনে একমাত্র বিএনপি সক্ষম: তারেক রহমান  
কুমিল্লায় যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত তদন্তের নির্দেশ সরকারের