শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

এক মহামানবের অভ্যুদয়

কে জানত, যে পাকিস্তানি অত্যাচারী গোষ্ঠীর মরণের দূত জন্মাবে বাংলাদেশেরই গোপালগঞ্জ জেলায়? আহা! কি সুন্দর! কি সুন্দর তার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, প্রতিবাদী মনোভাব, বদান্যতাপূর্ণ দেহপিঞ্জর। যেন জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় বাঙালি জাতিকে রূপান্তরিত করল বীরের জাতিতে।

ইরা বিস্ময় ভরা চোখে আপাদমস্তক ঘুরে ঘুরে দেখছে গাছটা। অজস্র ডালপালা নিয়ে ৪৫ ডিগ্রি কোণে বাঘিয়ার খালের উপর ঝুঁকে আছে নিবিড় মমতায়।

“দাদু এটাই কি সেই গাছটা?” দাদুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল ইরা।

“হ্যাঁ, এটাই সেই হিজলগাছ। এর শাখায় উঠে বঙ্গবন্ধু ঝাঁপিয়ে পড়তেন বাঘিয়ার খালের পানিতে। এর গায়ে লেগে আছে সেই মহামানবের স্পর্শ।”

ইরা গাছটা ছুঁয়ে চোখ বন্ধ করল, মুহূর্তে সে চলে গেল কয়েক যুগ অতীতে। দাদুর মুখে শোনা খোকার (বঙ্গবন্ধুর) জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত তার স্বচ্ছ মানসপটে ছবির মতো সজীব হয়ে উঠতে লাগল।

খোকা গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বেলা পড়ে আসছে। মা রোজকার মতো খাকার প্রিয় বালিকা আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছেন। তার প্রতীক্ষায়। খোকা কখন ফিরবে। বাড়ি থেকে পায়ে হাঁটা দুই মাইল দূরত্বের স্কুল। কিছুক্ষণ পরই মার চোখে পড়ল খোকা দীর পায়ে বাড়ির দিকে হেঁটে আসছে।

খোকা কাছে আসতেই মা কিছুটা হচকেগেলেন। তাঁর পাঞ্জাবি-পাজামা নেই। শুধুমাত্র চাদরটা শরীরে জড়িয়ে আছে।

খোকা বলল, “পথে একটা ছেলেকে দেখলাম তার জামা ছিঁড়ে গেছে। তাই আমার কাপড় তাকে দিয়ে এসেছে।”

এটাই প্রথম নয়, ইতিপূর্বে সে কাউকে নিজের ছাতাটা দিয়েও ভিজে ভিজে বাড়ি ফিরেছে।

মা খোকাকে পরম স্নেহে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এত ছোট বয়স প্রশস্ত হৃদয়ের খোকাকে তিনি মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করলেন।

১৯৩৫ সালের গোড়ার দিকে খোকা বেরিবেরিতে আক্রান্ত হলো এবং এর থেকে পরবর্তীতে চোখে ‘গ্লোফুমা’ নামক এক জটিল রোগ ধরা পড়ে। বাবা লুৎফর রহমান ছেলেকে কলিকাতার চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. টি আহমেদ-এর মাধ্যমে সার্জারি করালেন। খোকা সুস্থ হলো। কিন্তু মাঝখানে মরা গাছের শুকনো পাতার মতো ঝড়ে গেল শিক্ষাজীবনের মূল্যবান ৪টি বছর। ততদিনে তাঁর সহপাঠীরা অনেকটা এগিয়ে গেছে। তাই তাকে ভর্তি করানো হলো গোপালগঞ্জ মথুরানাথ মিশন স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে। এ সময় তার জন্য একজন গৃহশিক্ষক রাখা হয়। তার নাম জাকি আবদুল হামিদ। তিনি ছলেন একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি ‘মুসলিম সেবা সমিতি নামে একটি সংগঠন পরিচালনা করতেন।

তার কাছেই শুরু হয় মুজিবের প্রথম রাজনীতি পাঠ। সে সময় তার মধ্যে (বঙ্গবন্ধুর) নেতৃত্বের বিকাশ ঘটতে থাকে।

সময়টা ১৯৩৮ সাল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তার স্কুল পরিদর্শনে আসছেন শুনে কিশোর মুজিব কয়েকজনের সমন্বয়ে একটি সংগঠিত দল নিয়ে তার পথ রোধ করে এবং হোস্টেলের ছাদ সংস্কারের জন্য ১২০০ টাকার অনুদান নিশ্চিত করে। এরপর থেকেই ক্রমে মুজিব সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক প্রিয়পাত্রে পরিণত হতে শুরু করে। শুরু হয় মুজিবের গভীরভাবে রাজনীতিতে পথ চলা।

এর মধ্যে ১৮ বছর বয়সে তিনি পরিণয় সূত্রে বিয়ে করলেন ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে। বেগম ফজিলাতুন্নেসার সংস্পর্শে তিনি রাজনৈতিক পরশ পাথরে পরিণত হন। ১৯৪৩ সালে তিনি বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন। কলকাতায় তিনি ইসলামিয়া কলেজ হতে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৯ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে তিনি ‘কৃষি ও বন’ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ১৯৬৬ সালে তিনি লাহোরে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। এর অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি পাকিস্তানি সেনা সদস্য কর্তৃক গ্রেপ্তার হন এবং প্রায় ২ বছর পর তিনিসহ মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে এই মামলা প্রত্যাহার করা হয়। একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাাধি দেওয়া হয়।

এরপর ৭০ এর নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। কিন্তু কচক্রী পাস্তিান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে গরিমসি করতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর বোঝা হয়ে গেছে যে পাকিস্তানি হায়েনারা বাঙালিদের স্বাধীনভাবে বাঁচতে দেবে না। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। যে ভাষণে বঙ্গবন্ধুর বলা প্রতিটি কথা বাঙালিদের মনে গেঁথে যায়। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের ইশারা দেন। পরবর্তীতে ইতিহাসে যুক্ত হয় ২৫ মার্চ কালরাত্রির অধ্যায় এবং বঙ্গবন্ধু ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ডাক দেন। এরপর ৯ মাসব্যাপী তুমুল লড়াইয়ের পর জন্ম নেয় বঙ্গবন্ধুর, কোটি বাঙালির স্বপ্নের বাংলাদেশ। এই পুরো সময় তিনি পাকিস্তানের বারাগারে অন্তরীন থাকেন। অতপর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি যুক্ত হয়ে তিনি ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে, মাত্র ৪ বছরের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ যখন বিশ্বের মানচিত্রে একটি রূপরেখা তৈরি করতে যাচ্ছে তখন ইতিহাসেযোগ হয় একটি কলঙ্ক গাঁথা অধ্যায়।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কিছু পথভ্রষ্ট সেনা সদস্যের হাতে বাংলাদেশের রূপকার বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। একই সাথে মৃত্যু হয় একরাশ স্বপ্ন ও একটি উন্নত চেতনার।

ইরা হিজল গাছ ছুঁয়ে থরথর করে কাঁপছে। তার দুচোখ বেয়ে টপটপ করে ঝড়ে পড়ছে স্বচ্ছ সাদা জল। দাদু পিছন থেকে তার কাধে হাত রাখলেন। আলতো স্বরে ডাকলেন, ‘ইরা... ইরা...।’

ইরা টলটলে জলভরা চোখে পিছন ফিরে তাকালো। তার স্ফটিকের মতো মসৃণ চোখে চিকচিক করছে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশের আগামী স্বপ্ন।

 

ঠিকানা: পূর্ব মনিপুর, যভহভ নসমযা- ৯২২/১
মিরপুর-২, ঢাকা।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ