শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মারুফুল ইসলাম

একগুচ্ছ কবিতা

অগ্নিশপথ

আজ আমার মন ভালো নেই
আজ আমি কারো মুখ দেখব না
আজ আমি কাউকে মুখ দেখাব না
অন্ধকার ঘরে বসে থাকব একা

আজ আমাকে কেউ ডাকতে এসো না
আমি অস্তিত্বে আগুন জ্বেলেছি
আজ আমাকে কেউ প্রবোধ দিও না
আমি অগ্নিমুখ তৃতীয় নয়ন মেলেছি

আমার যে মেয়েটা ছোটবেলায় গরম চা খেতে দিয়ে
ঠোঁটে আর জিভে ছ্যাঁকা খেয়েছিল বলে
আমার সারাটা বুক সাহারা মরুভূমি হয়ে গিয়েছিল
সেই মেয়েটাকে আজ ওরা জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে
অসহ্য অনলে দগ্ধ হয়ে গেছে সূর্য

এ সমাজ আজ জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড
এ সময় লেলিহান নরক

হা জীবন
হা পৃথিবী
হা মহাশূন্য
ও তো ঠিকমতো জানতেই পারল না
বৈশাখি ঝড়ে কৈশোর কতটা উচ্ছ্বল
মুহুরী নদীর জোয়ারে যৌবন কতটা চঞ্চল
থেমে থাকা রাতে থমকে থাকা চাঁদের আলোয়
বেঁচে থাকা কত যে মধুর

না, কোনো অভিযোগ নেই
অভিশাপ নয়
প্রতিটি পোড়ানো প্রাণ বাতাসে মিশিয়ে দিচ্ছে অগ্নিগর্ভ দীর্ঘশ্বাস
ওরা প্রতিশোধ চায়
ওরা প্রতিরোধ চায়
মহাজীবনের অগ্নিশপথ চায়

বিষয়টি রাজনৈতিক

বিষয়টি রাজনৈতিক, বন্ধুগণ
সঙ্গত কারণেই সমাজতাত্ত্বিক
মনস্তাত্ত্বিক
এবং অর্থনৈতিক
বিষয়টি আমাদের আবহমান অন্ধকার দিক
চলুন, এবার এক ঝলক আলো ফেলে দেখা যাক

সোনার বাংলার সুবর্ণচরের
চৌদ্দ বছরের মেয়েটি রাতের আকাশ বাতাস চিরে
চিৎকার করে কাঁদছিল
হ্যাঁ, জানি, ওর মুখ বাঁধা ছিল
চোখ বাঁধা ছিল
হাত বাঁধা ছিল
পা বাঁধা ছিল
শরীর বাঁধা ছিল
প্রাণ জিম্মি ছিল
জীবন বন্দি ছিল
তবু, বন্ধুগণ, আমি নিশ্চিত
ও সর্বোচ্চ আর্ত চিৎকারে কাঁদছিল
কেননা, ওর মন ছিল মুক্ত

ওর মাকে তখন উঠোনে ঠুকরে চলছিল
নয়টা শকুন
ওর মাকে তখন উঠোনে খুবলে যাচ্ছিল
নয়টা জানোয়ার
ওর মাকে তখন উঠোনে দুমড়ে মুচড়ে ফেলছিল নয়টা পিশাচ

নারীটি ধানের শীষ নয়
অমানুষগুলো নৌকা নয়

কিন্তু বিষয়টি রাজনৈতিক
সঙ্গত কারণেই সমাজতাত্ত্বিক
মনস্তাত্ত্বিক
অর্থনৈতিক
এবং বিষয়টি আমাদের আবহমান এক অন্ধকার দিক
আসুন, বন্ধুগণ, অন্তত একটিবার
আমরা নিজেদের ভেতর আলো ফেলে
অনুসন্ধান করি আমাদের আত্মপরিচয়

আমাদের সোনার বাংলায়
আর যেন কখনোই
আর যেন কিছুতেই
সুবর্ণচরের সেই কালরাত নেমে না আসে

নতুন করে পাব বলে : গণহত্যা ১৯৭১

সেই রাত ভেসে যায়নি তবু বুড়িগঙ্গার জলে
নরকের নাভি থেকে অতর্কিত ঘাতক বাতাস এসে
কালান্তক ফুৎকারে নিভিয়ে দিয়েছিল
অগণন অপ্রস্তুত মানব-প্রদীপ
ইতিহাস সাক্ষী
এমন গণহত্যা কোথাও কখনো দেখেনি
জীবনগন্ধী এই গন্ধম-গ্রহ

সংখ্যাতীত চাঁদনি রাতে প্লাবিত প্রাণস্পন্দিত প্রিয় প্রাচীন পৃথিবী
সে-রাতে অসহ্য অবিশ্বাস্যতায় প্রত্যক্ষ করেছিল
পাকিস্তানী হানাদারের হা-মুখ হাবিয়া

ধ্বংসযজ্ঞ আর হত্যাকাণ্ডের তাণ্ডবে বিস্ফোরিত হয়েছিল
প্রেম আর পার্বণের এ-শহর
স্বপ্ন আর সঙ্গীতের এই বিস্তীর্ণ জনপদ-গ্রাম-লোকালয়
প্রজ্ঞা ও মনীষার পীঠস্থান বিশ্ববিদ্যালয়
জ্ঞান আর সংস্কৃতির লীলাকেন্দ্র জগন্নাথ-ইকবাল-এস এম হল
সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী পিলখানা
আইনের ঝাণ্ডাধারী পুলিশলাইন

ছাত্রাবাস-ছাউনি-ব্যারাক-রাজপথ-নিমগ্ন নিবাস
হয়ে উঠেছিল
প্রাগৈতিহাসিক অগ্নিগিরির বিদীর্ণ বক্ষ

জ্বালামুখে কত জ্বলন
লাভাস্রোতে কত যন্ত্রণাদগ্ধ মৃত্যুর দহন
কালের প্রগাঢ় চশমার ভেতর থেকে শূন্যপাপ শিশুচোখে
তাকিয়ে আছেন আজো সেইসব শহীদ সন্ত
ওঁদের গুলিবিদ্ধ হৃদপিণ্ডে কত রক্ত
ওঁদের অপাপবিদ্ধ হৃদয়ে কত প্রেম

আগুন আর রক্তের রঙ কত লাল হতে পারে
মৃত্যু আর কষ্টের রঙ কত নীল হতে পারে
বিভীষিকার রঙ কত কালো হতে পারে
না না করে ওঠে ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত রঙের খনি

হন্তারক পিশাচ-শোষক
বুলেটে ও বেয়োনেটে ঠেকাতে চেয়েছিল
আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম
বুটের তলায় আর ট্যাংকের চাকায়
নিশ্চিহ্নে পিষে ফেলতে চেয়েছিল
বাঙালি জাতিসত্তা
আর মানবতা
কিন্তু মাথার ওপরে অন্তরীক্ষে অদম্য তর্জনি উদ্যত করে
ধরিত্রীর বিপুল বিস্তারে পর্বতপ্রমাণ দাঁড়িয়েছিলেন
সময়ের অবিসংবাদিত সেই সূর্যসন্তান
আর সাড়ে সাত কোটি অসাম্প্রদায়িক বুকের পাঁজরে আমরা রচনা করেছি
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জোড়া এই বিজয়-দুর্গ

সেই রাতে পরাজয় মানেনি এই দুর্দম দুর্জয়
বাংলার মাটি, বাংলার জল

নতুন করে পাব বলে : এসো, হে বৈশাখ

সোনার পালঙ্কে শুয়ে আছে ঠাকুরমার ঝুলির কন্যা
বাঁধভাঙা চুলে তার কী বাহার
ঢেউ তোলে রূপকাহিনির উপচানো বন্যা
মেঘের ঘোড়ায় চড়ে আসবে কি ডালিম কুমার
কালবোশেখের উড়ন্ত কেশরে
তীরহারা স্বপ্নের দুরন্ত পারাপার
বেদেনির দীঘল কড়ির জাদুমন্ত্রবলে
গাঙের বাতাস হারিয়েছে পথ
বল পান্থ, কোন দিগন্তে ঠিকানা লিখেছে তােমার
অবিশ্রান্ত দিব্যরথ

এই মৃত্তিকার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রেম তার
বুনেছে জীবন-বীজ
বাহুবন্ধে অলঙ্কার বিশ্বাসের প্রাচীন তাবিজ
তাকে আমি পাঠ দিই প্রথম ভালোবাসার
ধনধান্যপুষ্পভরা আমাদের সোনার বাংলার

এখানে চাঁদের বুড়ি থুত্থুড়ি চরকায় সুতো কেটে যায়
জ্যোৎস্নার সাগর ফুলে-ফেঁপে ওঠে
উঠোনে উঠোনে মাদুরের বিছানায়
শীতলপাটির কারুকার্যে বর্ণময় নিয়মিত নিদ্রার আবেশ
অজস্র প্রাণের স্পর্শে রঙধনু হয়ে
জেগে থাকে এই বাংলাদেশ

নদীর ভেতরে নদী
তার আকাশে আকাশে পালতোলা পাখি
নৌকার গলুই ঢেউয়ে ঢেউয়ে বেঁধে রাখে রাখি
কাকে বলে প্রেম আর কার নাম প্রীতি
এস হে বিশ্ববাসী, নিয়মনীতি পাশে রেখে
দেখে যাও সোঁদাগন্ধময় রীতি

নিমেষে আর্য-অনার্য ভুলে
বাউল বাদাম তুলে
নিজেকেই ছেড়ে দাও নিজে
একতারার একাকী তারে দেখে নাও
কী করে প্রাচীন পংক্তিমালা বৃষ্টিজলে ভিজে
আমি তার নিরুদ্বিগ্ন আঁচলের প্রান্ত ছুঁয়ে যাই
ইতিহাসের উদ্বিগ্ন আড়ালে হারাই
আহা এই চিরচেনা আকুল আখড়ায়
সকলেই কী আশ্চর্য ঠাকুরের সঙ্গীত শোনায়

কে কবে শুনেছে বল ষড়ঋতু মুছে গেছে
নিসর্গের নির্লিপ্ত নয়নে
কে কবে দেখেছে বল জাফলং হারিয়েছে
শূন্যপ্রাণ পাথরের বনে
জল তার বেহালার আনন্দ ও বেদনার
সুর খোঁজে প্রতিটি পার্বনে
কালের তুলি বর্ণালি জীবনের ছবি আঁকে
অপরূপ রূপের অঙ্গনে

এদেশের নামে প্রেম, রঙে প্রেম, প্রাণে প্রেম, মনে প্রেম
মানচিত্রে প্রেমপূর্ণ ছবি
কাহ্নপা চণ্ডীদাস মধুসূদন লালন হাছন
রবীন্দ্রনাথ নজরুল জীবনানন্দ জসীম করিম
এ-মাটির প্রেমমগ্ন কবি

ঘুম ভেঙে শুনি সেই চিরপ্রেমময় ডাক
এসো, এসো, এসো, হে বৈশাখ

১০

একুশে ফেব্রুয়ারির পুঁথি

 

শোনো শোনো সবাই
শোনো শোনো সবাই মনেপ্রাণে শোনো হৃদয় দিয়ে
বলছি কথা বাংলাদেশ আর বাংলা ভাষা নিয়ে

আজকে একুশ তারিখ
আজকে একুশ তারিখ ফেব্রুয়ারির নিশ্চয় মনে আছে
চেয়ে দেখো কৃষ্ণচূড়া ফুটে আছে গাছে

আছে শিমুল পলাশ
আছে শিমুল পলাশ চারদিকে ওই বাহারে বিস্তারে
সবুজ রঙের মাঝে লালের রঙ যে নজর কাড়ে

তারও আগে বলি
তারও আগে বলি বঙ্গভূমির পথে পথে চলি
সূর্যসন্তানগণের নামে দেই শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাংলা মায়ের ছেলে
বাংলা মায়ের ছেলে মায়ের ভাষার অধিকারের তরে
উনিশশো বায়ান্ন সনটা দেখো মনে করে

আহা সালাম জব্বার
আহা সালাম জব্বার রফিক বরকত থোকা থোকা নামে
চেয়ে দেখো ছুঁয়ে দেখো বুকটা কেমন কাঁপে

ওরা চেয়েছিল
ওরা চেয়েছিল মাতৃভাষাই হবে রাষ্ট্রভাষা
ধারাজলে মেটাক চাতক আজন্ম পিপাসা

কিন্তু পাকিস্তানি
কিন্তু পাকিস্তানি দুষ্ট শাসক বাংলা ভাষার বৈরী
তাতে কি ভাই আমরা সবাই জীবন দিতে তৈরি

মায়ের ভাষার জন্য
মায়ের ভাষার জন্য বাঙালিরা জীবন দিয়ে ধন্য
একুশে ফেব্রুয়ারি তাই আজও জনারণ্য

দেখো নয়ন মেলে
দেখো নয়ন মেলে দিকে দিকে বাংলা ভাষার নামে
লালসবুজের চিঠি আসে বাংলাদেশের খামে

আজকে বিশ্বব্যাপী
আজকে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিনে
আটশো কোটি মানুষ বন্দি ভাষার রক্তঋণে

দেখো আপন মনে
দেখো আপন মনে গৃহকোণে সোনাপাখির কাছে
বাংলা মায়ের বাংলা বোলে কত মধু আছে

আমরা জগতজুড়ে
আমরা জগতজুড়ে বেড়াই ঘুরে বাংলা ভাষা নিয়ে
এই ভাষাটা পেয়েছি এই বুকের রক্ত দিয়ে

তাইতো ভালোবাসি
তাইতো ভালোবাসি প্রাণের চেয়ে বাংলা ভাষা ভাইরে
এমন মধুর মুখের বুলি ভূভারতে নাইরে

মাগো তোমার বুকে
মাগো তোমার বুকে আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি
মায়ের ভাষায় তাই গেয়ে যাই অন্তরা সঞ্চারী

বাজাই জাদুর বাঁশি
বাজাই জাদুর বাঁশি সবাই মিলে সোনার বাংলাদেশে
এই মাটিতেই জীবন মরণ বাংলা ভালোবেসে

আমার ভাইয়ের রক্তে
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
আমি কি ভুলিতে পারি

 

Header Ad
Header Ad

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান ৫ দিনের রিমান্ডে

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজার রহমান তার ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক দেবী রানী রায় আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নামে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। আজ শুক্রবার রিমান্ড আবেদনের জন্য তাকে আদালতে তোলা হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিস-সংলগ্ন একটি বাসা থেকে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট-২ (কালিগঞ্জ-আদিতমারী) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও ২০১৯ সালে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য হন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজও অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজও অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করে প্রজ্ঞাপণ জারির দাবিতে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) টানা তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশনে বসেছেন কলেজটির একদল শিক্ষার্থী। অবশ্য এরই মধ্যে তারা কলেজের সামনের সড়কের অবরোধ তুলে নিয়েছেন। এতে করে মহাখালী থেকে গুলশান লিংক রোডের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

তবে কলেজের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছেন তারা। আজকের জুমার নামাজ সেখানেই আদায় করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) কলেজটির শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, আমাদের অনশন কর্মসূচি শুরুর ২৪ ঘণ্টা পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একজন প্রতিনিধি এসেছিলেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কারো মুখের কথা আমরা বিশ্বাস করতে চাইনা। যতক্ষণ পর্যন্ত তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। রাতে সড়ক অবরোধ ছাড়লেও ফের অবরোধ করা হবে। রাতে রাজধানীতে কাঁচামালবাহী বিভিন্ন সবজির গাড়ি প্রবেশ করে। তাই তারা সড়ক ছেড়ে দিয়েছিলাম। যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়।

তারা বলেন, অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে তিতুমীর কলেজের ৭ জন শিক্ষার্থী সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রানা আহমেদ ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিতুমীর ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে থেকে অনশন শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে। আমরা ৭ দফা দাবি জানিয়েছি। সেগুলো হচ্ছে —

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।

৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে।

৫. অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।

৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে নিজ বাড়ির পাশে পড়ে ছিল যুবকের গলাকাটা মরদেহ

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সদরে ফুলচান (২০) নামে এক রডমিস্ত্রীকে গলাকেটে করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বসাকপাড়া রোড ছোট বিন্নাফৈর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফুলচান ওই এলাকার স্বন্দেশ মিয়ার ছেলে। দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবু এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবু জানান, রাত ৮টার দিকে স্থানীয় তার বাড়ির পাশে লোকজন রাস্তার উপর ফুলচানের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, তার ধারণা রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৮ টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা তাকে জবাই করে মরদেহটি ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। যারাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তাদের চিহিৃত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান ৫ দিনের রিমান্ডে
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজও অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে নিজ বাড়ির পাশে পড়ে ছিল যুবকের গলাকাটা মরদেহ
গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৪২ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার
ছাত্রদল নেতার সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়নে অনিয়মের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
ছাত্রদের চাপে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের হাতে হাতকড়া, ডিম নিক্ষেপ
ওভাল ক্রিকেট টিমের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনল আম্বানি পরিবার
সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যু নিশ্চিত করল হামাস
প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম