রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মারুফুল ইসলাম

একগুচ্ছ কবিতা

অগ্নিশপথ

আজ আমার মন ভালো নেই
আজ আমি কারো মুখ দেখব না
আজ আমি কাউকে মুখ দেখাব না
অন্ধকার ঘরে বসে থাকব একা

আজ আমাকে কেউ ডাকতে এসো না
আমি অস্তিত্বে আগুন জ্বেলেছি
আজ আমাকে কেউ প্রবোধ দিও না
আমি অগ্নিমুখ তৃতীয় নয়ন মেলেছি

আমার যে মেয়েটা ছোটবেলায় গরম চা খেতে দিয়ে
ঠোঁটে আর জিভে ছ্যাঁকা খেয়েছিল বলে
আমার সারাটা বুক সাহারা মরুভূমি হয়ে গিয়েছিল
সেই মেয়েটাকে আজ ওরা জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে
অসহ্য অনলে দগ্ধ হয়ে গেছে সূর্য

এ সমাজ আজ জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড
এ সময় লেলিহান নরক

হা জীবন
হা পৃথিবী
হা মহাশূন্য
ও তো ঠিকমতো জানতেই পারল না
বৈশাখি ঝড়ে কৈশোর কতটা উচ্ছ্বল
মুহুরী নদীর জোয়ারে যৌবন কতটা চঞ্চল
থেমে থাকা রাতে থমকে থাকা চাঁদের আলোয়
বেঁচে থাকা কত যে মধুর

না, কোনো অভিযোগ নেই
অভিশাপ নয়
প্রতিটি পোড়ানো প্রাণ বাতাসে মিশিয়ে দিচ্ছে অগ্নিগর্ভ দীর্ঘশ্বাস
ওরা প্রতিশোধ চায়
ওরা প্রতিরোধ চায়
মহাজীবনের অগ্নিশপথ চায়

বিষয়টি রাজনৈতিক

বিষয়টি রাজনৈতিক, বন্ধুগণ
সঙ্গত কারণেই সমাজতাত্ত্বিক
মনস্তাত্ত্বিক
এবং অর্থনৈতিক
বিষয়টি আমাদের আবহমান অন্ধকার দিক
চলুন, এবার এক ঝলক আলো ফেলে দেখা যাক

সোনার বাংলার সুবর্ণচরের
চৌদ্দ বছরের মেয়েটি রাতের আকাশ বাতাস চিরে
চিৎকার করে কাঁদছিল
হ্যাঁ, জানি, ওর মুখ বাঁধা ছিল
চোখ বাঁধা ছিল
হাত বাঁধা ছিল
পা বাঁধা ছিল
শরীর বাঁধা ছিল
প্রাণ জিম্মি ছিল
জীবন বন্দি ছিল
তবু, বন্ধুগণ, আমি নিশ্চিত
ও সর্বোচ্চ আর্ত চিৎকারে কাঁদছিল
কেননা, ওর মন ছিল মুক্ত

ওর মাকে তখন উঠোনে ঠুকরে চলছিল
নয়টা শকুন
ওর মাকে তখন উঠোনে খুবলে যাচ্ছিল
নয়টা জানোয়ার
ওর মাকে তখন উঠোনে দুমড়ে মুচড়ে ফেলছিল নয়টা পিশাচ

নারীটি ধানের শীষ নয়
অমানুষগুলো নৌকা নয়

কিন্তু বিষয়টি রাজনৈতিক
সঙ্গত কারণেই সমাজতাত্ত্বিক
মনস্তাত্ত্বিক
অর্থনৈতিক
এবং বিষয়টি আমাদের আবহমান এক অন্ধকার দিক
আসুন, বন্ধুগণ, অন্তত একটিবার
আমরা নিজেদের ভেতর আলো ফেলে
অনুসন্ধান করি আমাদের আত্মপরিচয়

আমাদের সোনার বাংলায়
আর যেন কখনোই
আর যেন কিছুতেই
সুবর্ণচরের সেই কালরাত নেমে না আসে

নতুন করে পাব বলে : গণহত্যা ১৯৭১

সেই রাত ভেসে যায়নি তবু বুড়িগঙ্গার জলে
নরকের নাভি থেকে অতর্কিত ঘাতক বাতাস এসে
কালান্তক ফুৎকারে নিভিয়ে দিয়েছিল
অগণন অপ্রস্তুত মানব-প্রদীপ
ইতিহাস সাক্ষী
এমন গণহত্যা কোথাও কখনো দেখেনি
জীবনগন্ধী এই গন্ধম-গ্রহ

সংখ্যাতীত চাঁদনি রাতে প্লাবিত প্রাণস্পন্দিত প্রিয় প্রাচীন পৃথিবী
সে-রাতে অসহ্য অবিশ্বাস্যতায় প্রত্যক্ষ করেছিল
পাকিস্তানী হানাদারের হা-মুখ হাবিয়া

ধ্বংসযজ্ঞ আর হত্যাকাণ্ডের তাণ্ডবে বিস্ফোরিত হয়েছিল
প্রেম আর পার্বণের এ-শহর
স্বপ্ন আর সঙ্গীতের এই বিস্তীর্ণ জনপদ-গ্রাম-লোকালয়
প্রজ্ঞা ও মনীষার পীঠস্থান বিশ্ববিদ্যালয়
জ্ঞান আর সংস্কৃতির লীলাকেন্দ্র জগন্নাথ-ইকবাল-এস এম হল
সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী পিলখানা
আইনের ঝাণ্ডাধারী পুলিশলাইন

ছাত্রাবাস-ছাউনি-ব্যারাক-রাজপথ-নিমগ্ন নিবাস
হয়ে উঠেছিল
প্রাগৈতিহাসিক অগ্নিগিরির বিদীর্ণ বক্ষ

জ্বালামুখে কত জ্বলন
লাভাস্রোতে কত যন্ত্রণাদগ্ধ মৃত্যুর দহন
কালের প্রগাঢ় চশমার ভেতর থেকে শূন্যপাপ শিশুচোখে
তাকিয়ে আছেন আজো সেইসব শহীদ সন্ত
ওঁদের গুলিবিদ্ধ হৃদপিণ্ডে কত রক্ত
ওঁদের অপাপবিদ্ধ হৃদয়ে কত প্রেম

আগুন আর রক্তের রঙ কত লাল হতে পারে
মৃত্যু আর কষ্টের রঙ কত নীল হতে পারে
বিভীষিকার রঙ কত কালো হতে পারে
না না করে ওঠে ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত রঙের খনি

হন্তারক পিশাচ-শোষক
বুলেটে ও বেয়োনেটে ঠেকাতে চেয়েছিল
আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম
বুটের তলায় আর ট্যাংকের চাকায়
নিশ্চিহ্নে পিষে ফেলতে চেয়েছিল
বাঙালি জাতিসত্তা
আর মানবতা
কিন্তু মাথার ওপরে অন্তরীক্ষে অদম্য তর্জনি উদ্যত করে
ধরিত্রীর বিপুল বিস্তারে পর্বতপ্রমাণ দাঁড়িয়েছিলেন
সময়ের অবিসংবাদিত সেই সূর্যসন্তান
আর সাড়ে সাত কোটি অসাম্প্রদায়িক বুকের পাঁজরে আমরা রচনা করেছি
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জোড়া এই বিজয়-দুর্গ

সেই রাতে পরাজয় মানেনি এই দুর্দম দুর্জয়
বাংলার মাটি, বাংলার জল

নতুন করে পাব বলে : এসো, হে বৈশাখ

সোনার পালঙ্কে শুয়ে আছে ঠাকুরমার ঝুলির কন্যা
বাঁধভাঙা চুলে তার কী বাহার
ঢেউ তোলে রূপকাহিনির উপচানো বন্যা
মেঘের ঘোড়ায় চড়ে আসবে কি ডালিম কুমার
কালবোশেখের উড়ন্ত কেশরে
তীরহারা স্বপ্নের দুরন্ত পারাপার
বেদেনির দীঘল কড়ির জাদুমন্ত্রবলে
গাঙের বাতাস হারিয়েছে পথ
বল পান্থ, কোন দিগন্তে ঠিকানা লিখেছে তােমার
অবিশ্রান্ত দিব্যরথ

এই মৃত্তিকার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রেম তার
বুনেছে জীবন-বীজ
বাহুবন্ধে অলঙ্কার বিশ্বাসের প্রাচীন তাবিজ
তাকে আমি পাঠ দিই প্রথম ভালোবাসার
ধনধান্যপুষ্পভরা আমাদের সোনার বাংলার

এখানে চাঁদের বুড়ি থুত্থুড়ি চরকায় সুতো কেটে যায়
জ্যোৎস্নার সাগর ফুলে-ফেঁপে ওঠে
উঠোনে উঠোনে মাদুরের বিছানায়
শীতলপাটির কারুকার্যে বর্ণময় নিয়মিত নিদ্রার আবেশ
অজস্র প্রাণের স্পর্শে রঙধনু হয়ে
জেগে থাকে এই বাংলাদেশ

নদীর ভেতরে নদী
তার আকাশে আকাশে পালতোলা পাখি
নৌকার গলুই ঢেউয়ে ঢেউয়ে বেঁধে রাখে রাখি
কাকে বলে প্রেম আর কার নাম প্রীতি
এস হে বিশ্ববাসী, নিয়মনীতি পাশে রেখে
দেখে যাও সোঁদাগন্ধময় রীতি

নিমেষে আর্য-অনার্য ভুলে
বাউল বাদাম তুলে
নিজেকেই ছেড়ে দাও নিজে
একতারার একাকী তারে দেখে নাও
কী করে প্রাচীন পংক্তিমালা বৃষ্টিজলে ভিজে
আমি তার নিরুদ্বিগ্ন আঁচলের প্রান্ত ছুঁয়ে যাই
ইতিহাসের উদ্বিগ্ন আড়ালে হারাই
আহা এই চিরচেনা আকুল আখড়ায়
সকলেই কী আশ্চর্য ঠাকুরের সঙ্গীত শোনায়

কে কবে শুনেছে বল ষড়ঋতু মুছে গেছে
নিসর্গের নির্লিপ্ত নয়নে
কে কবে দেখেছে বল জাফলং হারিয়েছে
শূন্যপ্রাণ পাথরের বনে
জল তার বেহালার আনন্দ ও বেদনার
সুর খোঁজে প্রতিটি পার্বনে
কালের তুলি বর্ণালি জীবনের ছবি আঁকে
অপরূপ রূপের অঙ্গনে

এদেশের নামে প্রেম, রঙে প্রেম, প্রাণে প্রেম, মনে প্রেম
মানচিত্রে প্রেমপূর্ণ ছবি
কাহ্নপা চণ্ডীদাস মধুসূদন লালন হাছন
রবীন্দ্রনাথ নজরুল জীবনানন্দ জসীম করিম
এ-মাটির প্রেমমগ্ন কবি

ঘুম ভেঙে শুনি সেই চিরপ্রেমময় ডাক
এসো, এসো, এসো, হে বৈশাখ

১০

একুশে ফেব্রুয়ারির পুঁথি

 

শোনো শোনো সবাই
শোনো শোনো সবাই মনেপ্রাণে শোনো হৃদয় দিয়ে
বলছি কথা বাংলাদেশ আর বাংলা ভাষা নিয়ে

আজকে একুশ তারিখ
আজকে একুশ তারিখ ফেব্রুয়ারির নিশ্চয় মনে আছে
চেয়ে দেখো কৃষ্ণচূড়া ফুটে আছে গাছে

আছে শিমুল পলাশ
আছে শিমুল পলাশ চারদিকে ওই বাহারে বিস্তারে
সবুজ রঙের মাঝে লালের রঙ যে নজর কাড়ে

তারও আগে বলি
তারও আগে বলি বঙ্গভূমির পথে পথে চলি
সূর্যসন্তানগণের নামে দেই শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাংলা মায়ের ছেলে
বাংলা মায়ের ছেলে মায়ের ভাষার অধিকারের তরে
উনিশশো বায়ান্ন সনটা দেখো মনে করে

আহা সালাম জব্বার
আহা সালাম জব্বার রফিক বরকত থোকা থোকা নামে
চেয়ে দেখো ছুঁয়ে দেখো বুকটা কেমন কাঁপে

ওরা চেয়েছিল
ওরা চেয়েছিল মাতৃভাষাই হবে রাষ্ট্রভাষা
ধারাজলে মেটাক চাতক আজন্ম পিপাসা

কিন্তু পাকিস্তানি
কিন্তু পাকিস্তানি দুষ্ট শাসক বাংলা ভাষার বৈরী
তাতে কি ভাই আমরা সবাই জীবন দিতে তৈরি

মায়ের ভাষার জন্য
মায়ের ভাষার জন্য বাঙালিরা জীবন দিয়ে ধন্য
একুশে ফেব্রুয়ারি তাই আজও জনারণ্য

দেখো নয়ন মেলে
দেখো নয়ন মেলে দিকে দিকে বাংলা ভাষার নামে
লালসবুজের চিঠি আসে বাংলাদেশের খামে

আজকে বিশ্বব্যাপী
আজকে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিনে
আটশো কোটি মানুষ বন্দি ভাষার রক্তঋণে

দেখো আপন মনে
দেখো আপন মনে গৃহকোণে সোনাপাখির কাছে
বাংলা মায়ের বাংলা বোলে কত মধু আছে

আমরা জগতজুড়ে
আমরা জগতজুড়ে বেড়াই ঘুরে বাংলা ভাষা নিয়ে
এই ভাষাটা পেয়েছি এই বুকের রক্ত দিয়ে

তাইতো ভালোবাসি
তাইতো ভালোবাসি প্রাণের চেয়ে বাংলা ভাষা ভাইরে
এমন মধুর মুখের বুলি ভূভারতে নাইরে

মাগো তোমার বুকে
মাগো তোমার বুকে আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি
মায়ের ভাষায় তাই গেয়ে যাই অন্তরা সঞ্চারী

বাজাই জাদুর বাঁশি
বাজাই জাদুর বাঁশি সবাই মিলে সোনার বাংলাদেশে
এই মাটিতেই জীবন মরণ বাংলা ভালোবেসে

আমার ভাইয়ের রক্তে
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
আমি কি ভুলিতে পারি

 

Header Ad

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিনের মৃত্যুতে তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আজ (রোববার) সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ বিচারকাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য অনুযায়ী সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির সব প্রশাসনিক কাজ চলমান থাকবে।

সাবেক এই প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহেমেদ। একই সঙ্গে তিনি প্রয়াতের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

শোক বার্তায় বলা হয়, আগামী মঙ্গলবার বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে (অভ্যন্তরীণ অঙ্গনে) সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ১৯৪১ সালের ১ জুন তারিখে লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের ১ মার্চ তিনি দেশের ১৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন ও ২০০৮ সালের ৩১ মে অবসরে যান।

Header Ad

এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের নভেম্বরের শেষভাগ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঠে গড়াবে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ। এবারের যুব এশিয়া কাপ হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতোমধ্যেই ১৪ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে। দলের নেতৃত্বে আজিজুল হাকিম তামিম। টুর্নামেন্টটি খেলতে টাইগার যুবারা আজ (রোববার) সকালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে উড়াল দিয়েছে।

ওই বহরে স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজেমেন্টের সদস্যরাও রওয়া হয়েছেন বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটির উদ্দেশ্যে। এর আগে গত বৃৃহস্পতিবার ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি। নেতৃত্ব পাওয়া আজিজুল হাকিম তামিম এশিয়া কাপে নিজেদের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য জানিয়েছেন। পাশাপাশি ২০২০ সালের পর আবারও বিশ্বকাপ জয়ের আত্মবিশ্বাস রয়েছে তার।

এবারের যুব এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেপাল। এ ছাড়া ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপান। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। আজিজুল হাকিম তামিমের দল দ্বিতীয় ম্যাচে ১ ডিসেম্বর নেপালের বিপক্ষে খেলবে। ৩ ডিসেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ লঙ্কানরা।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল :
জাওয়াদ আবরার (সহ অধিনায়ক), রিফাত বেগ, আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, আশরাফুজ্জামান বরেণ্য, সাদ ইসলাম রাজিন।


অতিরিক্ত– কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত, সানজিদ মজুমদার।

Header Ad

আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমাকে স্যার বলার দরকার নেই আমি আপনাদের ভাই। গণঅভ্যুত্থানের মতো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাব। ভুল করলে শুধরে দিবেন। যদি জাতির প্রয়োজন পড়ে আমরা আবারও রাস্তায় নামবো।’

ঢাকায় সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ১১তম জিএসসি ন্যাশনাল সাইনটিস্ট ম্যানিয়া এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেন তিনি ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ছাত্রদের অংশগ্রহণ এবং আত্মত্যাগের জন্য ধন্যবাদও কৃতজ্ঞতা জানান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, জেন-জি পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে তারা আন্দোলন সংগ্রামে রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে পারে, তারা অলস নয়।

উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সুফল যেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ পায় সে কাজটি আমাদের করতে হবে। আমরা আশা করি, যে প্রত্যাশা নিয়ে সবাই আন্দোলন করেছে, রক্ত দিয়েছে সে প্রত্যাশা আমাদের পূরণ হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। এ আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে পারবো।

নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা সবাই যেন এ বিষয়ে সচেতন থাকি, দায়িত্বশীল আচরণ করি। ছাত্রদের মধ্যে বিবাদ,সংঘাত শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন করতে সহায়তা করছে। শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা গেলে জুলাই অভ্যুত্থানকেও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা সহজ হবে। এ সুযোগ যেন কেউ নিতে না পারে। আমরা এতদিন বিক্ষোভ করেছি, রাজপথে থেকেছি, আমাদের এখন রাষ্ট্র গঠনের সময়। আমাদের এখন মেধাকে কাজে লাগাতে হবে, সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহিদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করার পাশাপাশি শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত, উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া