শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গল্প: শেষ পর্ব

মুজিবের হলদে পাখি

আমি ফিরে আসি নিজের ঘরে। শুনতে পাই কাকদের ডাকাডাকি। নতুন বাসা বানিয়েছে দুটি কাক। দাঁড়িয়ে থেকে দেখি। লোহার তার দিয়ে খুব সুন্দরভাবে গাছের সঙ্গে পেঁচিয়ে ওরা বাসা বানায়। আমার মনে হয় ওরা এক একজন দক্ষ কারিগর। বাসা বানানোর জন্য এইসব উপকরণ কাকরা কোথায় খুঁজে পায় তা ভেবে আমি বিস্মিত হই। পাঁচটা আম গাছ থেকে কাদের মিয়াকে দিয়ে পাঁচ-সাত বার বাসা ভেঙে ফেলেছি। ওরা আবার তৈরি করে। ওদের সঙ্গে আমি সন্ধি করি। ওদের ধৈর্য আর অধ্যাবসায় আমার কাছে উদাহরণ হয়ে থাকে। সেজন্য তিনটা আমগাছ ওদের বাসা করার জন্য ছেড়ে দেই। কাকেরা বাসা বানাল। নানা উপকরণ জোগাড় করে বাসা বানায়। তিনটি গাছ ছেড়ে দিয়েছিলাম। ওরা আর একটি দখল করে ফেলল।

কাদের মিয়া এসে আমাকে জিজ্ঞেস করল, স্যার কি করব? আবার ভাঙব বাসাগুলো?

আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করি। দেখতে পাই ওর চেহারায় আশঙ্কার ছাপ। আমি কাদেরকে বলি, না বাসা আর ভাঙতে হবেনা। বাসা করতে দাও। এখন ওদের ডিম পাড়ার সময়। ওরা যাবে কোথায়?

-স্যার, আপনি ওদেরকে অনেক মায়া করছেন।

-মায়াতো করব রে। ওদেরওতো ভালো থাকার অধিকার আছে।

-অধিকার কি স্যার? ওরাতো মানুষ না।

-তুই কি বলিস? ওদেরকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমি কি কাজটি ভুল করছি ওদের বেঁচে থাকার কথা বলে?

-না, না স্যার আপনি ভুল করবেন কেন? আমি ভুল বলছি। মাফ করবেন স্যার। আমি আপনাকে শ্রদ্ধা করি স্যার। আপনি আমাদের মাথার উপরের মানুষ। আমাদের ভালোর জন্য আপনি রাজনীতি করেন।

-হয়েছে, হয়েছে থাম।

-থামব কেন স্যার? আমিতো মিথ্যা কথা বলছিনা। আপনাকে জেলে পেয়ে আমি খুশি। নইলেতো আপনাকে আমি কাছ থেকে দেখতে পেতাম না। আপনার যতœ করতে পারতাম না স্যার। আপনার সঙ্গে থাকতে পেরে জেলখানার চাকরি করার জীবন ধন্য।

-বাব্বা, তুইতো দেখছি অনেক বাহাদুর ছেলে রে।

কথা শেষ করে কাদের মিয়া আমার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে। আমি ওর মাথায় হাত রেখে বলি, তোর ভালোবাসা পেয়ে আমিও ধন্যরে কাদের মিয়া। যা, তুই অন্য কাজে চলে যা।

-আপনার কিছু লাগবে?

-না, আমার কিছু দরকার নাই। জেলখানার পাখিগুলো আমাকে মাতিয়ে রাখে। হলদে পাখিদুটো আমাকে সঙ্গ দেয়।

-যাই স্যার।

কাদের হাসতে হাসতে চলে যায়।

আমি ঘরে ঢুকি। বিছানায় পা গুটিয়ে বসে খবরের কাগজ পড়ি। কিন্তু কাগজের পাতায় মন বসে না। কেবলই দরজার দিকে তাকাই। কেউ যদি এসে বলে, স্যার আপনার ‘দেখা’ এসেছে। আমি বুঝে যাই ছেলেমেয়েদের নিয়ে রেণু এসেছে।

জেলখানায় এরা ‘দেখা’ শব্দ চালু করেছে। সবাই ব্যবহার করে। ‘দেখা’ শব্দ বললেই বুঝে যাই যে কেউ এসেছে দেখা করতে। জেল গেটের কাছের ঘরে অপেক্ষা করছে। কাগজ ভাঁজ করে বিছানায় রেখে দিয়ে ভাবি আজ যদি রেণু আসত! সময়টা আমার আনন্দে কাটত। ছোট্ট রাসেলকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলতাম, সোনারে। গত দিন যখন কোলে নিয়েছি তখন আব্বা, আব্বা করে কয়েকবার ডেকে মায়ের কোলে গিয়ে তাকেও আব্বা, আব্বা বলে ডাকতে শুরু করল।

আমি রেণুকে জিজ্ঞেস করলাম, ব্যাপার কি?

রেণু বলল, বাড়িতে আব্বা আব্বা করে কাঁদে। তাই ওকে বলেছি, আমাকে আব্বা বলে ডাক। সেদিন ও আব্বা আব্বা করে পরে যখন ডাকতে শুরু করল যেই আমি জবাব দেই ও সঙ্গে সঙ্গে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে বলে, তুমি আমার আব্বা। আমি বুঝতে পারি আমার উপর ওর অভিমান হয়েছে। আগে রেণুর সঙ্গে জেলখানায় এলে আমাকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইত। বলত, আব্বা বালি চল। এখন আর চলে যাওয়ার সময় আমাকে নিয়ে যেতে চায়না।

ওর আভিমানে আমি কষ্ট পাই। মাথা কাত করে বালিশে শুয়ে পড়লে আমার বুক ভেঙে যায়। দুহাতে চোখের পানি মুছি। ছোট্ট শিশুটির অভিমানী চেহারা দুচোখ বুঁজে থাকলে আমার মানসপটে ভেসে ওঠে। আমি শুয়েই থাকি। ঘন্টাখানেক পরে দরজায় কড়া নাড়ে কেউ। উঠে দরজা খুলি।

-আপনার ‘দেখা’ এসেছে স্যার।

-ঠিক আছে। আমি যাচ্ছি।

জেলগেটে এসে দাঁড়ালেই ছুটে আসে হাসিনা আর রেহানা। আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে, আব্বা আব্বা আপনি কেমন আছেন?

-শরীর ভালোই আছে।

দুজনে আমার দুহাত ধরে রাখে। আমি সাক্ষাৎপ্রার্থীর রুমে ঢুকি। রাসেল রেণুর গলা জড়িয়ে ধরে আছে। আমার দিকে ঘুরে তাকিয়ে হাসে। মুখে কিছু বলেনা।

হাসিনা রাসেলকে টেনে ধরে বলে, চল আমরা একটু বাইরে যাই।

-না, আমি যাব না।

-আমরা তোর সঙ্গে খেলব। আয়।

-হ্যাঁ, হ্যাঁ খেলব। চল, চল।

তিনজনে বেরিয়ে যায়।

আমি রেণুর দিকে তাকিয়ে বলি, কেমন আছ হলদে পাখি?

-তোমার হলদে পাখি আজ আমগাছে এসেছিল?

-হ্যাঁ, এসেছিল।

-তাহলেইতো তোমার মন রসে টইটুম্বুর হয়ে আছে।

-থাকবেইতো। তিন বছর বয়সে তুমি আমার হলদে পাখি হয়ে টুকটুক শিস বাজিয়েছ।

-ভালোই বলেছ। এখন তোমার কাকদের কথা বল। ওগুলো কি তোমাকে বিরক্ত করে?

-হ্যাঁ, তা করে। মাঝে মাঝে সহ্য করে থাকি। তবে ওদের একটি ঘটনার কথা আজ তোমাকে বলব। হলদে পাখি আমার ভালোবাসার পাখি। কাকেরা আমার রাজনীতির পাখি।

-ওহ তাই! রেণু উচ্ছ¡সিত হয়ে ওঠে।

-কাকেরা বাসা ভেঙে দেয়ার সময় ভয় পেয়ে একটু দূরে চলে যেত। সেখানে বসে সঙ্গীসাথী জোগাড় করে চিৎকার করত। আমি বুঝতাম এটা ওদের প্রতিবাদ। ওরা যে এক হয়ে প্রতিবাদ করত এটা আমি খুব প্রশংসা করতাম। অধিকার রক্ষার জন্য পাখিদেরও প্রতিবাদ আছে। আম বড় করে নিঃশ^াস টানতাম। আমার ভাবনা এলোমেলো হতো না। মনে করতাম বাঙালিদের চেয়েও ওদের একতা বেশি। বাঙালি একতাবদ্ধ হয়ে যদি কাকদের মতো শোষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াত তবে তারাও জয়লাভ করত। তাই কাকের অধ্যাবসায়ের কাছে আমি পরাজিত হয়েছি। কিছুদিন ধরে কাকরা আমাকে দেখলেই চিৎকার করত। প্রতিবাদের ভাষায় পাখা ঝাপটাত। এখন আর আমাকে দেখলে চিৎকার করে প্রতিবাদ করে না। আর নিন্দা প্রস্তাবও পাশ করে না।

-ভালোই বলেছ, নিন্দা প্রস্তাব পাশ করেনা। রেণু দুরন্ত হাসিতে মেতে ওঠে।

-এটাই আমার রাজনীতি রেণু।

 রেণু হাসতে হাসতে বলে, বুঝেছি বুঝেছি। পাখিদের নিয়ে ভালোই আসর জমিয়েছ। তোমার আর একা থাকার খারাপ লাগা থাকবেনা।

-থাকবে গো থাকবে। তুমিতো আমার কাছে নেই।

-কেন? আমিতো তোমার হলদে পাখি।

আমি মৃদু হেসে চুপ করে থাকি। ছেলেমেয়েরা ঘরে আসে ওদের সঙ্গে কথা বলি। একসময় চলে যায় ওরা।

রাত্রে পাগলের চিৎকারে ঠিকমতো ঘুমুতে পারিনা। ভোরে নাস্তা খেয়ে চেয়ার নিয়ে আমগাছের নিচে বসি। হাতে থাকে রবীন্দ্রনাথের ‘সঞ্চয়িতা’ বই। অল্পক্ষণের মধ্যেই দেখতে পাই, হলদে পাখি দুটো এসে আমার দুই ঘাড়ে বসে। আমি নড়াচড়া না করে চুপচাপ বসে থাকি। আমি বলি, আয় কাছে আয় ভালোবাসার বন্ধুরা। মুহূর্ত সময় মাত্র উড়ে যায় ওরা। হয়তো ভয় পেয়েছে, আমি যদি ধরে ফেলি। মনে মনে ভাবি ওরা যেন আবার আসে। ভালোবেসে একবার কাছে এসেছে, আবার উড়ে গেছে। বুঝতে পারি এটা ওদের একরকম খেলা। আমারও আনন্দ। বুকের ভেতর খুশির আমেজ নিয়ে বসে থাকা। 

একটুপরে দেখি কুড়ি-পঁচিশটা কাক আমার ফুল বাগানে এসে নামে। জড়ো হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রতিটি কাকের দৃষ্টি একই দিকে। আমিও তাকিয়ে থাকি। একসময় ওরা উড়ে চলে যায়। আমি দুহাত নেড়ে বলি, আবার আসিস একতার বন্ধুরা। তোদেরকে আমার পাশে চাই। তোরা একসঙ্গে ডেকে আমার মন ভরিয়ে দিবি।

ওরা চলে গেলে বাগানে আসে হলদে পাখি দুটো। এখন ওরা ফুলের সঙ্গে মিশে থাকে। রঙবেরঙের ফুলের মাঝে ওদেরকে অপূর্ব দেখাচ্ছে। নিঃসঙ্গতার মুহূর্ত আমার সামনে থেকে মুছে যায়। আমি ডেকে বলি, আয় কাছে আয় আমার ভালোবাসা। পাখি দুটো ডানা মেলে দিয়ে ফুল গাছের মাঝে ঘুরে বেড়ায়। একসময় বাগান ছেড়ে আমার কাছাকাছি এসে উড়তে শুরু করে। বাগানের চারদিকে ওড়ে। দূরে চলে যায় না। আমার বুকের ভেতর শব্দ হয় রেণু, রেণু! তুমি আমার হলদে পাখি।

 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত