শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

গল্প: পর্ব-১

মুজিবের হলদে পাখি

জেলখানার যে ওয়ার্ডে আছি, সেটার নাম সিভিল ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের সামনের মাঠটি আমার খুব পছন্দের। মাঠে কয়েকটি আম গাছ আছে। সেখানে আমি ফুল গাছ লাগিয়ে বাগান করেছি। সব মিলিয়ে এই মাঠ আমার টুঙ্গিপাড়ার স্মৃতির দুয়ার। একদৌড়ে ঢুকে গেলে বুকভরে শ্বাস টানা যায়। বুঝতে পারি আমি যেখানে যাই টুঙ্গিপাড়া আমার সঙ্গে থাকে। টুঙ্গিপাড়া আমার মানস-ভুমি। আনন্দ-বেদনার সঙ্গী।

আমার সেল থেকে চল্লিশ হাত দূরের পুরানো চল্লিশ সেলটি পাগলা গারদ। যেখানে দিনের বেলায় সত্তরজন, রাতের বেলায় সাঁইত্রিশ জন পাগল থাকে। কয়েকদিন ধরে ওরা রাতে খুব উৎপাত শুরু করেছে। এমন চিৎকার করে যে রাতে আমি ঠিকমতো ঘুমুতে পারিনা। ওদের চিৎকারে মাথা ঝনঝন করলে ঘুম আসেনা। উঠে বসে থাকি। ঘরে পায়চারি করি। আমিতো দিনের বেলা ঘুমাইনা। সেজন্য রাতের ঘুম আমার জন্য খুব জরুরি। ওদের চিৎকারে অতিষ্ঠ হয়ে যাই। কিন্তু কিছু করার থাকে না। ওদের থামানোর কোনো দায় জেল কর্তৃপক্ষের নাই। নিজেকেই এই দায় নিয়ে সময় কাটাতে হয়। উপায়হীন দিন কাটে। আমি আমার দিন কাটানো সুষ্ঠ-সুন্দর করার জন্য উপায় খুঁজি। প্রকৃতি আমার এই উপায়ের একটি বড় দিক। রাতে ঘুমুতে না পারলে আমি সকালে উঠে ফুলবাগানে হাঁটি। ফুলের দিকে তাকালে ফুলের নানা রঙ আমার চোখ জুড়িয়ে দেয়। আর ভেসে আসা সৌরভ শ্বাস টেনে বুক ভরে নেই। মাঝে মাঝে মনে হয় এখানে থাকব না। কিন্তু এমন প্রাকৃতিক সুষমা আমার কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। ভোরের দুঃখ মুছে নিয়ে উড়ে যায়। ভাবি, মানুষের ভালোবাসার উর্দ্ধে এ এক অন্যরকম ভালোবাসা পাওয়া। টুঙ্গিপাড়ায় আমার শৈশব থেকে আমি প্রকৃতির কাছ থেকে এই ভালোবাসা পেয়েছি। আমি চেয়ার এনে আমগাছের নিচে বসে খবরের কাগজ কিংবা বই পড়ি। গাছতলায় বসে থাকার এই সময় দারুণ কাটে।

সাতদিন ধরে দেখছি আম গাছটায় দুটো হলদে পাখি রোজ এসে বসে। আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি। পাখিদুটোকে খুব ভালোবাসি। দুজনে এক হয়ে খেলে। এ-ডালে ও-ডালে লাফায়। পাখা ঝাপটায়। ঠোঁটে ঠোঁট মেলায় আবার পাখা গুটিয়ে চুপ করে বসে থাকে। আমি তাকিয়ে থাকি এমন দৃশ্যের দিকে। পুরোটা আমার সামনে ছবি হয়ে যায়। মনে হয় এ ছবি আমার চোখের সামনে থেকে কোনো দিন বিলীন হবে না।

এখন ১৯৬৬ সালে আমার সময় পার হচ্ছে। ১৯৫৮ সালে যখন জেলে ছিলাম তখনও দুটো হলদে পাখি আসত। সে সময় আমি পাখিদুটোর নাম দিয়েছিলাম খোকা আর রেণু। আমার সামনে ওরা দশ বছরের খোকা আর তিন বছরের রেণু। জোড় বেঁধেছে। আমগাছের ডাল ওদের টুঙ্গিপাড়া। ওরা কিচকিচ শব্দে ডাকলে আমি বলি, তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি রেণু। তুমি আমার বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়। তিন বছরের মানুষটি তুমি আমার পরাণ পাখি।

রেণু হেসে নিজেকে উজাড় করত। জেলে আমার সঙ্গে দেখা হলে বলতাম, তুমি আমার হলদে পাখি। আমি তোমার কে?

-তুমিও আমার হলদে পাখি।

১৯৫৮ থেকে ১৯৫৯-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত পাখি দুটো প্রতিদিন আসত। যেন বলত, আমাদের দেখ। জেলখানায় একা থাকার কষ্ট ভুলে যাও।

-মাঝে মাঝে আমার যে খুব নিঃসঙ্গ লাগে রেণু।

-নিঃসঙ্গতা মেনে নাও। তুমি পুরো জাতির সামনে দাঁড়িয়ে আছ গো।

আমি রেণুর দিকে তাকিয়ে থাকি। কত সহজভাবে এমন একটি গভীর কথা রেণু আমাকে বলল। ও আমার সামনে পুরো দেশ হয়ে লক্ষ মানুষ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও রেণুর কোনো দ্বিধা নাই। ওহ আল্লাহ, ও আমার জীবন ভরিয়ে রেখেছে।

এবার জেলে এসে হলদে পাখি দুটোকে খুঁজতে থাকি। একদিন আম গাছের ডালে দুটো হলদে পাখি দেখি। দেখেই বুঝতে পারি এদুটো আমার আগের দেখা পাখি না। এ দুটো অন্য পাখি। আগের পাখি দুটোর চেয়ে ছোট মনে হয়। আমি দুচোখ মেলে তাকিয়ে থাকি। একলা ঘরে নিঃসঙ্গ থাকার যন্ত্রণা কমে যায়। একদিন মনে হয় হলদে পাখি দুটো আগের পাখির বংশধর। ভাবনার পাশাপাশি জোরে জোরে হাসি। পাখির বংশধর ভেবে আমি পাখি ভালোবাসার নিজের মনোজগতে স্বস্তি খুঁজি। এমন ভাবনায় তাড়িত হয়ে আমগাছের নিচে এসে দাঁড়াই। ঘাড় ঘুরিয়ে উপরে তাকাই। ডালপাতার বিস্তারের সবুজ ¯স্নিগ্ধতায় আপ্লুত হই। আমার চোখ জুড়িয়ে যায়। দেখি পাখিদুটো পাশাপাশি নিশ্চুপ বসে আছে। আমি বিড়বিড়িয়ে বলি, নিশ্চুপ থাকবি কেন তোরা, গান কর। তোদের গান শুনলে আমার বুকের ভেতর স্বপ্ন ঘনায়। তোরা আমার দুঃখী মানুষ না। তোদের গানে পুরো দেশ আমার সামনে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মনে হয় হলুদ দেশ আমার। হলদে রঙ সবুজের মাঝে শস্যের স্বপ্ন।

-রেণু পাখিদুটো যে আমার কত বড় বন্ধু যারা জেলখানায় একাকী ঘরে বন্দী থাকে নাই তারা বুঝতে পারবে না।

-আমি বুঝতে পারি গো। হলদে পাখি তোমার মনের আনন্দ। তাই না?

-ঠিক বলেছ। হলদে পাখি ছাড়াও চড়ুই পাখি আর কাকও আমার বন্ধু। আমি এই নির্জন ঘরে ওদের নিয়ে আসি ভাবনার তুমুল আনন্দে। আমার ঘরের সামনের বারান্দায় কয়েকটা কবুতর থাকে। এখানে বাচ্চা ফোটায়। তখন বত্রিশ নম্বর বাড়ির ছবি আমার সামনে ফুটে ওঠে। আমার ভালোবাসার কবুতর হয়ে ওরা আমার আদর পায়। আমি কাউকে ওদেরকে ধরতে দেইনা। সিপাহি, জমাদার সাহেবরাও কবুতরগুলোকে কিছু বলে না। বাচ্চাগুলোও নিয়ে যায় না। ওগুলো বড় হয়ে উড়ে যায়। তবে এটা ঠিক আমি কাকের কাছে পরাজিত হয়েছি। রেণু দেখা করতে এলে ওকে যখন একথা বলি, তখন ও হাসতে থাকে। অল্পসময়ে ওর হাসি থামে না। হাসতে হাসতে বলে, পাখির কাছে পরাজিত হওয়া আনন্দের।

-নাগো। কোনো কোনো সময় আনন্দের হয় না।

-কি করে কাকেরা?

-পায়খানা করে আমার ফুল বাগান নষ্ট করে। আর এত চিৎকার করে যে সহ্য করা কঠিন।

-এখন তাহলে তুমি কি করবে?

-আমি ঠিক করেছি যে কাকদের এখানে বাসা বানাতে দেব না। আর আগের বানানো বাসাগুলো ভেঙে ফেলতে বলব কাদেরকে। ওদের চিৎকারে আমার শান্তি নষ্ট হয়। আমি স্বস্তি হারাই।

-ঠিক আছে ওদের বাসা ভেঙে ফেললে ওরা অন্য গাছে গিয়ে বাসা বানাবে। অসুবিধা কি?

-হ্যাঁ, বাসাতো ওদের বানাতেই হবে।

-তা ঠিক। ডিম পাড়বে, বাচ্চা ফোটাবে। বাসা না থাকলে ওদের অধিকার নষ্ট হবে।

-ঠিক বলেছ রেণু।

-তোমার কাছ থেকেইতো মানুষের অধিকারের বিষয় শিখেছি। তুমি আমার টিচার।

-না, না আমি তোমার টিচার না। আমি ঘরে-বাইরে তোমার ভালোবাসার মানুষ।

রেণু মুখ টিপে হাসে। যাওয়ার সময় বলে, তোমার প্রিয় কৈ মাছ এনেছি। পেট ভরে ভাত খেয়ে ঘুমুবে।

-আচ্ছা তাই করব। ঘুমের স্বপ্নে তুমি থাকবে। দেখব টুঙ্গিপাড়ার মধুমতী নদীর ধারে দাঁড়িয়ে আছ। আমাকে নৌকায় আসতে দেখে হাত নাড়ছ। তোমার মাথার উপর দিয়ে উঠে যাচ্ছে অনেক পাখি।

-পাখি, পাখি। তোমার সামনে এখন অনেক পাখি। তুমি আমার হলদে পাখি।

আমাকে হাসতে দেখে রেণু মুখ আড়াল করে। জেলখানার গেটের ঘরে বসে এসব আলোচনায় অন্যরকম আমেজ পাই। রেণুও খুশি হয়। পরে একসময় বিদায় নিতে হয়।

 

চলবে…

 

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ