ছুটির দিনে বইমেলায় পাঠক-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়
ছবি: সংগৃহীত
আজ শুক্রবার অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিন। বইমেলার পর্দা উঠার একদিন পরেই আর ছুটির দিন হওয়ায় বেলা গড়ানোর আগেই মেলা প্রাঙ্গণ ভরে গেছে ক্রেতা-দর্শনার্থী, লেখক, প্রকাশক, পাঠকদের উপচেপড়া ভিড়ে।
শীত কমে যাওয়ায় সন্ধ্যা হতে হতে এই ভিড় আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে বইছে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ। মায়ের ভাষার জন্য জীবন বিসর্জন দেওয়া ভাষা সৈনিকদের স্মরণ আর রক্তস্নাত সেই আত্মত্যাগের স্মৃতিকে জাগরূক করে রাখতেই ২৯ দিন ধরে চলবে এ মেলা।
এ বছরের বইমেলায় বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন অংশের মোট ৮টি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ দিয়ে পাঠক-দর্শনার্থীরা আসা-যাওয়া করতে পারছেন।
দর্শনার্থীরা বলছেন, মানুষের সুবিধার্থে বইমেলা চলাকালীন সময়ে অন্তত শুক্রবার দিন মেট্রোরেল দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত চালু রাখা হোক। এতে করে যাতায়াতে সুবিধা পাবেন সবাই। দূর-দূরান্ত থেকে আসতে যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হয়। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে মেট্রোরেল চালু রাখলে সহজেই বইমেলায় আসা যাবে।
আফিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, বইমেলায় প্রতিবছরই আসা হয় তবে এবার পরিসর বেশ বড় মনে হচ্ছে। আর বেশ গোছানো লাগছে।
মেলায় আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, সবসময়ই মেলা শুরুর দিকেই আসা হয়। কেননা যত সময় যায় ততই বেশি ভিড় হয়। তাই আজই চলে এলাম।
আকিব নামে আরেক দর্শনার্থী জানান, উত্তরায় থাকি বলে আগে কখনো শুধু বইমেলাকে উদ্দেশ্য করে আসা হয়নি। এবার মেট্রোরেল থাকায় শুধু বইমেলাতেই আসা।
এদিকে বিক্রয়কর্মীরা জানায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বাড়লেও সে তুলনায় বেচাকেনা বাড়েনি। তাদের প্রত্যাশা দিন যত গড়াবে ক্রেতার সংখ্যা তত বাড়তে থাকবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, ডিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে।