সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৩

স্নানের শব্দ

‘তোমার প্রতিপক্ষ যদি প্রবল ও শক্তিশালী হয়, তাহলে তুমি শক্তি প্রয়োগে প্ররোচিত হয়ো না। তোমাকে কৌশলী হয়ে তোমার লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। কথাটা কে বলেছিলেন? আব্বা? আব্বা বিভিন্ন সময় এরকম ছোট ছোট অনেক উপদেশ দিতেন। তিনি নিজে চাকরি জীবনে চরম ব্যর্থ একজন মানুষ। সরকারি অফিসে বছরের পর বছর একই পদে স্বল্প বেতনে মুখ গুঁজে নীরবে চাকরি করে গেছেন। শবনমের স্কুল শিক্ষিকা মা দুজনের উপার্জন এক করে দৃঢ় হাতে সংসারের চাকা চলমান রেখেছেন। শবনমের মাঝে মাঝে মনে হয়, আব্বা যেসব কথা বলতেন, তা হয়তো তিনি আসলে নিজেকে শোনাবার জন্যই বলতেন। অনেকটা আত্মসান্ত্বনার মতো। আব্বার কিছু কিছু কথা তো শবনমের মনেও গেঁথে আছে। যেমন, ‘অন্যের স্বীকৃতি দিয়ে সাফল্য বিচার করো না, মা, নিজের সাফল্য নির্ধারণ করতে হয় নিজেকেই।’ কথাটা যে কতটা সত্য তা এখন উপলব্ধি করতে পারে শবনম। বাবা আরও বলতেন, ‘শোনো মা, কখনো হাল ছাড়বা না। যে হাল ছাড়ে সে পরাজিত হয়, আর যে প্রত্যাশা না করে কর্ম করে যায় দিন শেষে সেই বিজয়ী হয়।’

আব্বার এইসব বাণীধর্মী কথাবার্তায় মা খুব বিরক্ত হতেন। রেগে গিয়ে মুখ ঝামটা দিতেন। ‘পারো তো কেবল বড় বড় ফাঁকা বুলি আউড়াতে, কাজের কাজ তো কিছুই দেখি না। বড়কর্তাদের একটু ধরাধরি করো, কতদিন আর কেরানি হয়ে কলম পিষবে?’

আব্বা এসব ঝাঁজালো সংলাপের কোনো জবাব দিতেন না। পত্রিকা বা কোনো বইয়ের পাতায় মুখ ডুবিয়ে নিঃশব্দে নিজের পছন্দের অন্য কোনো জগতে চলে যেতেন। সংসারের এইসব সামান্য লাভ ক্ষতিতে নিজেকে জড়াতে চাইতেন না।

অফিসে নিজের টেবিলে একা বসে হঠাৎ আব্বার কথা খুব মনে পড়ল শবনমের। বৈষয়িকভাবে হয়তো আব্বা অসফল ছিলেন, কিন্তু তার মানবিক গুণ, সততা আর নিষ্ঠা ছিল অসাধারণ। এইসব দিকে তারেকের সঙ্গে আব্বার চরিত্রের কিছু মিল খুঁজে পায় শবনম। মেয়েরা কি স্বামীর মধ্যে বাবার ছায়া খোঁজে? কি জানি, সচেতনভাবে হয়তো নয় কিন্তু অবচেতনে তার জীবনে আসা পুরুষদের সঙ্গে বাপের মিল অমিল যে খানিকটা হলেও খুঁজে বেড়ায়নি, তা কি সে একেবারে অস্বীকার করতে পারবে? মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা আরেক মন গোপনে গোপনে কত কিছু করে! কখনো তার হদিস পাওয়া যায় কখনো যায় না।

অফিসের হালচাল বুঝতে শবনম এবার এডমিন হেড শওকত সাহেবের রুমে উঁকি দেয়। শওকত সাহেব এমনিতে ভালো মানুষ কিন্তু সবসময়ই নিজস্ব বিশ্বাসে বন্দী থাকা টাইপের লোক, তার ধারণা তিনি যা জানেন সেটাই সঠিক, বাকি সব ভুল।

‘আসেন ম্যাডাম, আসেন ...’ শওকত বিনীত ভঙ্গীত নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। দুয়েকটা কেজো কথা হয়। নতুন সিইও নিয়োগের কিছু হলো কি না, জানতে চায় শবনম। শওকতের ধারণা এবারও বাইরে থেকেই নতুন কাউকে এনে সিইওর দায়িত্ব দেবে ম্যানেজমেন্ট। তারপর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, ‘বুঝলেন ম্যাডাম, নির্ঝর চৌধুরীর উপরে আসলে মানুষের অভিশাপ লাগছে।’

আপনার মনে আছে নিশ্চয়ই, নতুন জয়েন করেই ম্যানেজমেন্টকে খুশি করতে উনি লোক ছাটাইয়ের প্যাকেজ তৈরি করছিলেন।’

হ্যাঁ, শবনমের মনে আছে বৈকি, যারা অনেক দিন ধরে এই কোম্পানিতে চাকরি করছে, যাদের চাকরি শেষের প্রাপ্য বেনিফিট জমে গেছে অনেক বেশি, তাদেরকে বলা হয়েছিল, হয় ঢাকার বাইরে প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করতে যেতে হবে, নয়তো গোল্ডেন হ্যান্ডশেক। সেই সময় চাকরি হারাতে চায়নি অনেকে, কিন্তু তবু তারা বাধ্য হয়েছিল চাকরি ছাড়তে। কর্তৃপক্ষ খুশি হয়েছিল। তাদের অনেক টাকা বেঁচে গিয়েছিল।

‘এখন দেখেন, কীভাবে একটা বাজে অভিযোগ মাথায় নিয়ে যেতে হলো তাকে! অপমান অসম্মানের চূড়ান্ত হলো! আসলে অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে সেই গর্তে নিজেকেই পড়তে হয়।’

মানুষ হয়তো অকারণেই সবকিছুর কার্য-কারণ খোঁজে। সব ঘটনার পেছনে নিজের মত একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারলে খুশি হয় তারা। বিশেষ করে দৈব ব্যাখ্যা। একটা ঘটনার সঙ্গে অন্য ঘটনার যোগসূত্র স্থাপন করে হয়তো এক ধরনের তৃপ্তি বোধ করে তারা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেই ধারণা হয় অযৌক্তিক ও বাস্তবতাবিবর্জিত।

লাঞ্চের পর নিজের ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত একটা মিটিং সারে শবনম। অযথা অপ্রয়োজনীয় কথা বলে টেনে টেনে মিটিং লম্বা করার ঘোর বিরোধী সে। প্রতি মিটিংয়েই সুনির্দিষ্ট এজেন্ডাভিত্তিক কথা বার্তার বাইরে বেশি কথা বলা এলাউ করে না শবনম। তার অধঃস্তনরা এভাবেই অভ্যস্ত। তবে ঊর্ধ্বতনদের ডাকা অনেক মিটিংয়ে গিয়ে দেখেছে সে, সময়ের কি ব্যাপক অপচয়! এজেন্ডা ফেজেন্ডার বালাই নেই, ঊর্ধ্বতন শুরু করলেন তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার দীর্ঘ বয়ান, নাইনটিন সিক্সটি ফোরে আমি যখন লাহোরে ছিলাম, তখন কি হয়েছিল, শোনেন..

এরপর চা নাস্তা, রিফ্রেরেশমেন্ট, বেহুদা আলাপ, একই কথার পুনরাবৃত্তি, কে কার চেয়ে বেশি জ্ঞানী তা প্রমাণের প্রতিযোগিতা, অহেতুক তর্কবিতর্ক অতঃপর দুইটি জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বর্জন করে মিটিং শেষ। বোরিং বোরিং বোরিং...তবে দুর্ভাগ্যবশত এটাই বেশির ভাগ অফিসে মিটিংয়ের প্যাটার্ন হয়ে গেছে। অথচ সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টায় এসব মিটিং শেষ করে ফেলা সম্ভব।

হাতের আরও দুয়েকটা কাজ গুছানোর মধ্যেই কাঁচের দরজার অন্যপাশে মনিরুজ্জামানের হাসি হাসি মুখ দেখা গেল, ওর সঙ্গে আরেকটা ছেলে, যাকে ঠিক চিনতে পারল না শবনম। ‘খুব জরুরি একটা বিষয় ম্যাডাম, অনেক বড় খবর, আপনাকে বলা দরকার, তাই না এসে পারলাম না, মানে আপনাকে সবার আগে জানাতে চাই...’

শবনমের জিজ্ঞাসু দৃষ্টির সামনে কাঁচুমাচু মুখে বলে মনিরুজ্জামান। ‘কী খবর, বলো, আর তোমার সঙ্গে উনি কে...’
‘ও হচ্ছে কিবরিয়া, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আমাদের ইন্টারনাল অডিটে কাজ করে ম্যাডাম, ব্যাপারটা ওই জানিয়েছে আমাকে, তাই মনে হলো আপনাকে জানাই। আপনার কাজে লাগবে।’

মনিরুজ্জামানকে মনে হচ্ছে বেশ উত্তেজিত। যেন পরমানু অস্ত্র তৈরির মতো খুব গোপন কোনো ফর্মুলা আবিষ্কার করে ফেলেছে। পাশের ছেলেটা কিবরিয়া সেই তুলনায় শান্ত। শবনম চোখের ইশারায় ওদের বসতে বলল। ‘ঠাণ্ডা হয়ে বসো, তারপর বলো কি হয়েছে?’
মনিরুজ্জামান কিবরিয়ার দিকে তাকালে কিবরিয়া বলে, ‘ইন্টারনাল অডিটে ওসমান গণি সাহেবের একটা ফল্ট ধরা পড়েছে ম্যাডাম, যখন উনি পারচেজ কমিটির প্রধান ছিলেন, তখন অফিসের স্টাফ বাস কেনার টেন্ডারে খুব বড় একটা আর্থিক অনিয়ম করা হয়েছে, কাগজপত্রে সেটার প্রাইমারি প্রমাণ পেয়েছি আমরা, নিশ্চিত হতে আরও কিছু ডকুমেন্টস লাগবে, তবে সেসব পাওয়া যাবে...’

খুব শান্ত নির্লিপ্ত ভঙ্গীতে কথাগুলা শুনলো শবনম। পেপার ওয়েটটা হাতে নিয়ে ঘুরালো কিছুক্ষণ।

‘ম্যাডাম, এই তথ্যটা ম্যানেজমেন্টের কাছে পৌঁছালে আপনার আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি থাকবে না। সিইও পদে আপনি এমনিতেই তখন প্রমোশন পেয়ে যাবেন। আপনার তো ক্লিন ইমেজ আছেই। এখন ম্যাডাম পুরো রিপোর্ট রেডি করে তথ্য প্রমাণসহ ম্যানেজমেন্টের কাছে পৌঁছাতে তো আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সে কারণে আগেই যদি বিষয়টা বোর্ড অফ ডাইরেক্টরসের কাউকে জানিয়ে দেওয়া যায় তাহলে...’

মনিরুজ্জামানের কন্ঠে চাপা চাঞ্চল্য, সরল চেহারাটা আনন্দে চকচক করছে। ‘আমি সিইও হলে আমার উন্নতি হবে, তোমার কী লাভ, বলো?’ শবনম মৃদু হেসে সরাসরি জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান একটু থতমত খায়, যেন এই প্রশ্নটার জন্য সে একদম তৈরি ছিল না।
‘না মানে ম্যাডাম, লাভ আর কী, আপনাকে পছন্দ করি, গণি সাহেব মানে উনি তো ভাল লোক না, মানে লাভ এটুকুই যে আপনার হাতে কোম্পানির উন্নতি হবেছ। মানে আমাদেরও ভাল হবে।’

শবনম এবার শান্ত অবিচলিত কন্ঠে বলল, ‘দেখো, একজন সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে আমার প্রতিপক্ষের ব্যাপারে এই ধরনের তথ্য লিক করা, মানে যেটা তোমরা বলছ, দুর্নীতির অভিযোগ করা সেটা আমার পক্ষে সম্ভব না। এটা কোনোভাবেই শোভনও হবে না।’
মনিরুজ্জামানের দপ করে নিভে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে ছোট্ট একটা বিরতি দিয়ে একটু নিচু স্বরে শবনম যোগ করল, ‘তবে তোমরা জুনিয়র অফিসার, তোমরা যদি কিছু করতে চাও, কারো মাধ্যমে বোর্ড ডিরেক্টরদের বিষয়টা জানাতে চাও, তবে আমার তো বলার কিছু নেই। তাই না?’

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-১২

স্নানের শব্দ: পর্ব-১১

স্নানের শব্দ: পর্ব-১০

স্নানের শব্দ: পর্ব-৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-৮

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশে কিছু লোডশেডিং চালু রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কিছু লোডশেডিং না দিলে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।

সচিবালয়ে গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গরমের কারণে আগামী দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তখন চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, যে হারে এসি স্থাপন করা হচ্ছে, সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। অনেকে অকারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু রাখায় বিদ্যুৎচাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও খুলনায় ২৬ এপ্রিল যে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তার তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ, দায়ী ব্যক্তিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকার কারণও তদন্তে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকার মূল কারণ ছিল বিদ্যুৎ সংকট।

এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি আমদানির আর্থিক সামর্থ্যও কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিজিসিবি ও পিডিবি জানায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট লাইনের ৪০০ কিলোভোল্টের দুটি তার কাছাকাছি আসায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৫টি জেলা—খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী—প্রায় ১৫ মিনিট থেকে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রাত সাড়ে আটটার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

Header Ad
Header Ad

গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মসজিদের ইমাম গণপিটুনির শিকার হয়ে পরে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫), তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে রহিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, এমনকি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতিত এক কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই রাতের (২৭ এপ্রিল) দিবাগত ৩টার দিকে রহিজ উদ্দিন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, মৃত ইমামের শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, রহিজ উদ্দিন স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের নিজের থাকার কক্ষে এনে কম্পিউটার গেমস ও মোবাইল গেম খেলার সুযোগ দিতেন এবং কোমল পানীয় খাওয়াতেন। ওই পানীয় সেবনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাদের বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি