বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১২

স্নানের শব্দ

এমনিতে শ্রাবণ বেশ সাদাসিধেভাবেই থাকতে পছন্দ করে। সাজগোজ যে একেবারে করে না তা নয়, তবে সেটা কখনো মাত্রা ছাড়ায় না। রুচিসম্মত পরিমিত সাজেই তাকে অপূর্ব দেখায়। কিন্তু আজ সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে শ্রাবণের নবরূপ দেখে প্রাথমিকভাবে বিশাল একটা ধাক্কা সামলায় শবনম। ওর এক মাথা ভর্তি মেঘবরণ কুচকুচে কালো চুলের জায়গায় ফর্সা গোলগাল মুখটা ঘিরে রঙধনুর সাত সাতটা রঙ সমস্ত উজ্জ্বলতা নিয়ে ঝলমল করছে। ওকে দেখাচ্ছে রঙচঙে জিপসিদের মতো। শবনমের মনটা বেদনায় ক্ষোভে হাহাকার করে উঠল, হায়, হায়, করছে কী মেয়েটা? এত সুন্দর চুলগুলো মানুষ এভাবে নষ্ট করে? এটা কোনো ষ্টাইল হলো? কী বেখাপ্পা লাগছে! শ্রাবণ তার চুল খুলে মায়ের সামনে টেলিভিশনে শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন করা আহ্লাদি মেয়েদের মতো হাসি মুখে মাথাটা হেলিয়ে রঙিন চুলগুলো ডানে বামে ঝাঁকায়,

‘কেমন লাগছে, আম্মু ? .. সুন্দর না, বলো ? .. বকা দিও না প্লিজ .. এটা কিন্তু এখনকার ট্রেন্ড .. ’
শবনম যেন এই মুহূর্তে কিছু বলার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছে। এই আজব মেয়ের গজব কাণ্ড দেখে কী বলবে সে? এমন একটা দুঃসাহসী অদ্ভুত সিদ্ধান্ত শ্রাবণ একা একা কীভাবে নিতে পারল? নাহ বেশি স্বাধীনতা পেয়ে মেয়েটা একদম বখে গেছে। এত বড় একটা কাজ করার আগে মাকে একবার জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করল না পর্যন্ত। অথচ ছাত্রী জীবনে এমনকি সামান্য চুলের আগা দুই ইঞ্চি বেশি কাটলেও মায়ের অনুমতি নিতে হয়েছে শবনমকে।
‘তোর একটুও মায়া লাগল না? এত সুন্দর চুলগুলোকে এইভাবে রং লাগিয়ে নষ্ট করলি?’
‘ওহ মা, নষ্ট করলাম কই? এটা নিউ লুক, চেহারায় কত চেঞ্জ আসছে দেখো, তোমার ভাল লাগছে না?’
সাজ পোষাকে শবনমের বরাবরই বাঙালিয়ানার দিকে ঝোঁক। পয়লা ফালগুনে লাল সবুজ পাড়ের হলুদ শাড়ি, খোপায় গাঁদা ফুল, বর্ষার প্রথম দিন নীল বা মেঘরঙের শাড়ি, পয়লা বৈশাখের লাল সাদা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে এখনো মনে করে আলমারি খুঁজে বের করে পরে সে। ছোটবেলা থেকেই ওয়েষ্টার্ণ পোষাকের দিকে শ্রাবণের ঝোঁক বেশি থাকলেও শাড়ি, সালোয়ার কামিজ যে একেবারে পরে না, তা নয়। ওর চুলের স্বাস্থ্য সবসময়ই খুব ভাল, ঘন কালো আর ধরন ধারণ সিল্কি মসৃণ বলে বরাবরই কাঁধ ছাড়ানো লম্বা চুল রেখেই অভ্যস্থ সে। অথচ এই মুহূর্তে শ্রাবণের এই লম্বা রংচঙে চুলকে শবনমের মনে হচ্ছে রঙিন উল সুতায় তৈরি স্রেফ একটা পরচুলা। হাস্যকর, উদ্ভট আর খাপছাড়া।
‘বাবা কিন্তু দেখে ভালই বলছে, বলছে আমাকে নাকি চেনাই যাচ্ছে না। ’

শ্রাবণ তার রঙিন চুলে হাত বুলিয়ে বলে। শবনমের মনে হলো, এই মেয়েকে তো সে নিজেও চিনতে পারছে না। যেন শ্রাবণ তার পেট থেকে জন্ম নেয়নি, যেন বহু দূরের কেউ। এই তো মাত্র কদিন আগে কাউকে কিছু না বলে হুট করে বাঁ হাতের বাহুতে একটা উড়ন্ত প্রজাপতির ট্যাটু আঁকিয়ে নিয়ে এলো শ্রাবণ। সুই দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে যেভাবে ট্যাটু আঁকা হয়, সেটা শুনেই তো আঁতকে উঠেছিল শবনম।

‘প্রথমে একটু ব্যথা লাগছিল, চামড়া কাটলে যেমন লাগে তেমন হাল্কা তারপর আর ব্যথা লাগে নাই, আসলে চামড়ার দ্বিতীয় স্তর পর্যন্ত ওরা কালিটা লাগায়...অনেক দিনের একটা শখ ছিল, তাই করে ফেললাম। আমার বন্ধুরাও করেছে। বুশরা ওর ঘাড়ে একটা টিকটিকি আঁকিয়েছে, জানো?’

মেয়ের সামনে নিজের প্রচণ্ড বিরক্তি আর রাগ ক্ষোভ চেপে রেখে শবনম একটা কাষ্ঠং শুষ্কং অপ্রসন্ন হাসি ঠোটে ঝুলিয়ে বলে, ‘আামার মা হলে বেত দিয়ে পিটিয়ে আমাকে ঘর থেকে বের করে দিত যদি তোমার মতো এসব কাণ্ড কারখানা করতাম।’

হে, হে, হে করে দাঁত বের করে শিশুদের মতো হাসে শ্রাবণ। বলে, ‘ভাগ্যিস, তুমি নানুর মতো এতটা রক্ষণশীল চরমপন্থী না, ভেতরের রাগটা মনের মধ্যে চেপে রেখে দিব্যি আমার সঙ্গে সাথে স্বাভাবিকভাবে কথা বলছ, যদিও তোমার চোখে মুখে ব্যাপক অসন্তুষ্টির ছাপ আমি ধরে ফেলেছি ..’
শবনম এবার একটু গম্ভীর হয়।

‘আসলে তোর সমস্যাটা কী, বলত, কেন এ রকম করছিস? মানে তুই তো এমন আলট্রামডার্ন ছিলি না কখনো, হঠাৎ এমন ট্যাটু, চুলে এমন বাহারি রং, আমি না বুঝতে পারছি না, সমস্যাটা কোথায়...!

‘কোনো সমস্যা না, মা। আসলে তোমাদের ভদ্র সমাজের তথাকথিত নিয়ম ভাঙলাম। এমন ছিলাম না বলে এমন কিছু করতে পারব না, তা কি কেউ বলেছে? আমি খুব সচেতনভাবে, ভেবে-চিন্তে এই কালার করেছি, যাতে তোমাদের চোখ বৈচিত্র্য দেখতে অভ্যস্ত হয়। ডাইভারসিটি একসেপ্ট করে, সব কিছু এক ছাঁচে ফেলে দেখার পুরনো অভ্যাসটা বদলায়...’

এই মেয়ের সঙ্গে বৃথা তর্ক করে লাভ নেই, বুঝল শবনম। কাঁচের চুড়ি ভাঙার মতো নিয়ম ভাঙার ভূত চেপেছে ওর মাথায়। শবনম দেখেছে, তরুণ বয়সে তার অনেক সহপাঠি মেয়ে বন্ধু ছেলেদের মতো শার্ট প্যান্ট পরে বা ধুমপান করে সমাজের প্রচলিত প্রথাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইত। ধাক্কা দিতে চাইত বদ্ধ সমাজকে। বিদ্রোহী, প্রথাবিরোধী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে চাইত। তবে শবনমের ধারণা, প্যান্ট শার্ট পরে হাতে জ¦লন্ত সিগারেট নিয়েও যে অনেক সময় সমাজ বদলানো যায় না আবার প্রচলিত পোষাক পরে ধূমপান না করেও নিঃশব্দে সমাজের অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব সেই সত্যটা হয়তো আরও অনেক পরে তারা উপলব্ধি করেছিল। থ্যাংকস গড, শ্রাবণ এখনো ধূমপানের বদঅভ্যাসটা ধরেনি। (অবশ্য ধরতে কতক্ষণ? আর মা হিসেবে তখন কি করবে সে? ভাবতেই ভয় লাগে) পেছন ফিরে নিজের তরুণ বয়সটা দেখার চেষ্টা করে শবনম। বাবা মায়ের কঠোর শাসন অনুশাসনের মধ্যে বেড়ে ওঠা হাত পা বাঁধা জীবন তার। সেই বয়সে সন্ধ্যার পর ঘরে ফেরা কিংবা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখাই ছিল নিয়ম ভাঙার নামান্তর। নিজের মায়ের মতো অত কঠোর মা হতে পারেনি শবনম। সময় পায়নি, আবার খবরদারি করার ইচ্ছাও জাগেনি। কারণ, নিজেকে দিয়েই জানে সে, শাসনের বেড়াজাল মানুষকে ছোট করে রাখে। পূর্ণ মানুষ হতে দেয় না। তাকে ভঙ্গুর আর হীনমন্য করে তোলে। পরে যখন শাসন থেকে মুক্তি পায় তখন সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি করে ফেলে। এসব কিছু ভেবেই বলতে গেলে কোনো নজরদারি ছাড়াই মুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠেছে শ্রাবণ। তারপরও তার এই বিদ্রোহী মনোভঙ্গী কেন ভেবে পায় না শবনম। এ কি শুধুই তারুণ্যের নিরীক্ষাপ্রবণতা, কে জানে!

ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে উঠেই শ্রাবণ বায়না ধরল বন্ধুদের সঙ্গে বান্দরবানের পাহাড়ে ট্র্যাকিং করতে যাবে। থাকবে পাঁচ রাত। অল্পবয়সী ছেলে মেয়েরা একা একা এত দুর্গম জায়গায় গেলে, উদ্বেগ হয় না? তা ছাড়া, ওসব এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও থাকে না। পথঘাটের কী পরিস্থিতি, অজানা অচেনা জায়গায় কোনো বিপদে পড়ে কি না, দুর্ঘটনার আশংকা আছে কি না, কত শত প্রশ্ন মাথায় আসে। দুঃশ্চিন্তায় মন আচ্ছন্ন হয়ে যায়। শবনম তো বাপ মায়ের বাধায় থার্ড ইয়ারে উঠেও ডিপার্টমেন্টের স্টাডি ট্যুরে ইন্ডিয়া যেতে পারেনি, মানে যাওয়ার অনুমতি পায়নি। কিন্তু শ্রাবণ অদম্য, অপ্রতিরোধ্য। বলেছে যখন তখন যাবেই, যাবে। শেষ পর্যন্ত গিয়েওছিল, বন্ধুদের সঙ্গে হেসে খেলে মজা করে নিরাপদে ফেরৎ ও এসেছে। কিন্তু তবু চিরায়ত মায়েদের মত আশঙ্কা উৎকন্ঠায় সারাটাক্ষণ বুক কেঁপেছে শবনমের। তারেক তাকে বোঝায়, ‘আহা তুমি এত সিরিয়াস হইলা কেন? এইসব তো এক্সপেরিমেন্ট, অল্পবয়সে সবাই এমন একটু আধটু করে। বয়স বাড়ুক, দেখবা সব ঠিক হয়ে যাবে।’

‘ওকে কেমন অদ্ভুত দেখাচ্ছে বলো.. কি দরকার ছিল ..’
‘দেখো, আমাদের সঙ্গে ওদের রুচির ব্যবধান তো থাকবেই। ওর সব কাজ কারবার আমাদের পছন্দ না হওয়াটাই স্বাভাবিক, কিন্তু মেনে নিতে হবে। করতে দাও যা করতে চায়। তারুণ্যের ধর্মই তো এমন ..’
‘ও আমাকে কি বলছে জানো? বিয়ে করবে না, জরায়ু কেটে ফেলে দেবে আর একটা বাচ্চা দত্তক নিয়ে পালবে। এইসব ট্রাডিশনাল ফ্যামিলি প্রথায় ওর নাকি বিশ্বাস নাই।’
তারেক দাড়ি নাড়িয়ে হো হো করে হাসে। বলে, ‘আমিও তো ভাবছিলাম, জীবনেও বিয়ে শাদি করব না। সংসার থেকে শত হাত দূরে থাকব। সন্ন্যাসী হয়ে পথে পথে ঘুরব। সেই আমিও তো তোমাকে দেখে মত পাল্টাইলাম। সুড় সুড় করে লাইনে আসলাম।’

শবনম বুঝল তারেককে কিছু বলে লাভ নাই। বরাবরের মতোই মেয়েকে সে প্রশ্রয় দিয়েই যাবে। হয়তো সেজন্যই শ্রাবণ অনেক ব্যাপারেই মায়ের চেয়ে বাবার সঙ্গে শেয়ার করতে পছন্দ করে। একটাই কারণ, বাবা মাথা ঝাঁকিয়ে চুপচাপ মেয়ের কথা শুনে যায়, কোনো পরামর্শ বা মতামত দেয় না।

কলেজে পড়ার সময় একবার বিড়াল পোষার বায়না ধরলো শ্রাবণ। ফ্লাটবাড়িতে বিড়াল পোষা কি সহজ ব্যাপার? তা ছাড়া, বিড়ালকে খাওয়ানো দাওয়ানো, পটি করানো, সময়ে অসময়ে পশু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া-ঝক্কি কি কম? শবনম মেয়েকে নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওই যে মাথায় ঝোঁক চেপেছে, কোনো কিছুতেই সে বুঝ মানে না। বরং উল্টো মাকে বোঝায়, ‘বিড়াল খুব কিউট একটা প্রাণী মা, আমার তো ভাইবোন নাই। ও আমার ছোট ভাইবোনের মত থাকবে। তোমার কিছু করতে হবে না, সব কাজ আমি করব। বাবা বলেছে আমাকে হেল্প করবে।’

বাবার সমর্থন পাওয়ার পর শবনমের আপত্তি আর ধোপে টিকলো না। বাপ বেটি মিলে বেশ দাম দিয়ে একটা জিনজার কালারের গোমড়ামুখি পারশিয়ান বিড়াল কিনে নিয়ে এলো। ‘লীলাবতী‘ নামের সেই আহ্লাদি বিড়াল এখন পরিবারের সদস্য হিসেবে গত কয়েকবছর ধরে আরাম আয়েশ করে বহাল তবিয়তে টিকে আছে। শ্রাবণ ঠিকই বলেছিল, এখন সে পরিবারের আরেকটি সন্তান।
চলবে...

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া