শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক

নদীর হলহলে বাতাসে গায়ের সঙ্গে এঁটে পরা তার পরনের শাড়িটা কাশফুলের মতো ফিনফিন করে নড়ছে। পায়ের কাছে গোল হয়ে থাকা পাড়টার তলা দিয়ে নদীর বেহুদ্দে বাতাস ঠেলা দিচ্ছে। অন্ধকার এখনো মাঝরাতে গড়া দেয়নি। চরাচর জুড়ে ঝেঁপে বসে থাকা অন্ধকার এই লোনাজলের নাফ নদীকে যেন দাঁত খুঁচিয়ে খাচ্ছে। নদীও যেন অন্ধকার ফুঁড়ে তার বুকের থলথলে জল আকাশকে দেখাতে পারছে না। অন্ধকারে ঢেকে আছে তার মুখ। যেন জলের নদী নয়, অন্ধকারের নদী। আর সেই অন্ধকারের কালো বুকে শরীর থেকে যাতে রুহু না চলে যেতে পারে, তার জন্যে ছ-জন মানুষ নিজেই আজরাইল হয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। আসলে যখন বাঁচার আর কিছুই বাকি থাকে না তখন এভাবেই খড়কুটোকে আঁকড়ে বেঁচে থাকতে হয়। তখন শরীরের মুরোদ না থাকলেও, শরীরকে এভাবেই তলোয়ার হতে হয়। মৃত্যুর সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে মরণকে রুখে দিতে হয়।

আরিফা সেই ভয়ংকর রাতেও এভাবে হাঁসুয়া হাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চেয়েছিল, বলেছিল, ‘আমাকে যেতে দাও, আমি একটা খবিষ সেনাকেও তো কোপাতে পারব।’ ঘর থেকে বের হতে দেয়নি মতি। বাইরে থেকে শেকল তুলে দিয়েছিল। কিন্তু আরিফাকে আজ রোখার কেউ নেই। সে মনে জিদ ধরেছে, মাথায় ঘোমটা দিয়ে আর বসে থাকব না। বিপদের মুখে স্বামীকে একা ফেলে, ঘরে ঘোমটা টেনে বসে থাকা মেয়ে সে আজ নয়।

‘একটুও নড়ছে না কেন?’ জলে চোখের ছিপ ফেলে ফিসফিস করল মতি।
‘ব্যাটা চালাক মাল। ঘাপটি মেরে আছে।’ ঠোঁট মিহি করে নড়ে উঠল নুহুর।
‘তাই বলে, শ্বাস নেওয়ার জন্যে পেটও নড়বে না!’
‘পানির কুমির হল পানির বাঘ, ব্যাটা চালাক ঘাগু, দোম মেরে থাকতে পারে।’
‘মরা কুমির না তো?’
‘তুমি কি যে বল না মতিভাই, কুমির শিকার দেখলে অমন ভোল করে।’ কুমির বিশেষজ্ঞের মতো বলল নুহু।
বলতে বলতে ‘ঘক’ করে নৌকোর কাণায় এসে একটা জোর গুঁতো খেল কালো জিনিসটা। ‘কচ’ করে বল্লমটা ভেঙে দিল মতি। ‘ভুষ’ করে ঢুকে গেল সূচালো আগাটা। যেন গোবড়ের সারের গাদায় বল্লম মারল মতি। এত নরম! পচা কিছু নাকি! মাথা ঠক করল মতির।
‘লাশ গো!’ হাফ ছেড়ে উঠল নুহু। ভাবল, এ ফাড়া বাঁচা গেল। তাজা কুমির তো নয়। মড়া কিছু একটা।
‘একটা না এক গাদা!’ চোখ কপালে উঠল মতির। ‘এক গাদা!’ ভ্রূ টান হয়ে গেল নুহুরও। আরিফা চোখে মুখে আতঙ্ক নিয়ে বলল, ‘ফুলে একেবারে ঢোল হয়ে গেছ গো!’ ততক্ষণে সে তার খড়গ হাতটা কোমরের কাছে নামিয়ে এনেছে। রণংদেহী ভাবটা আবারও হাতা-কুন্তির গৃহিণী হয়ে এসেছে।

‘দেখো, দেখো, লাশও কীভাবে একে অপরকে আঁকড়ে ধরে আছে!’ নুহুর চোখে তখন দুনিয়ার বিস্ময়। তারপর মতিকে গলা লম্বা করে মুখ বাড়িয়ে লাশগুলোকে দেখতে দেখে, নুহু জিজ্ঞেস করল, ‘কাউকে চিনতে পারছ?’
‘না, অন্ধকারে কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না। তবে গোটা চারেক লাশ আছে বলে মনে হচ্ছে।’ অন্ধকারে টিপ্পির মতো মতির চোখের মণিদুটো জ্বলজ্বল করে উঠল।
‘লতিফারা কেউ আছে আবা?’ ছইএর ভেতর থেকে কথাটা পটবাড়ি খেয়ে ভেসে এল। শুধু কথা নয়, মনের আকুতি হালেমার। একটা খোঁজ। একটা হদিশ। একটা আপনজনের বেঁচে থাকা না বেঁচে থাকার খবর। নুহুরা কেউই মা’র কথা কান করল না। মতি বল্লমের গুঁতো দিয়ে লাশগুলোকে একবার ওলটানোর চেষ্টা করল। লাশগুলো যেই উল্টে গেল, অমনি ‘ভক’ করে একটা বিটকেল গন্ধ নাকে এসে লাগল। ‘ওয়াক’ করে উঠল আরিফা। তারপর আচানক সে স্বামীর ওপর খচে উঠল, ‘অ কী করছ? লাশকে আঘাত করলে গুনাহ হবে। জানো না?’
‘আমি কি জানি, এগুলো লাশ? আমি কুমির বলেই বল্লম ছুড়েছি।’ চোখ গরম করল মতি। চারটে মৃত দেহ জড়িয়ে পেঁচিয়ে লাশের একটা গাঁট বাঁধা। মনে হয়, একই পরিবারের লোক। মেরে লাশগুলোকে দড়ি দিয়ে বেঁধে এই নাফ নদীতে ফেলে দিয়েছে শত্রুরা। নাফ নদী যেন লাশের নদী। রক্ত মাখা ফোরাত নদী। এত সুন্দর নীল রঙের নদীটা রক্তে লাল হয়ে উঠেছে! নদী কি এ যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছে? নদী তো জীবন গড়ে। জীবন বানায়। অথচ আজ নাফ নদী যেন রাক্ষুসে মানুষ খেকো নদী। মানুষের মরা দেহ বয়ে নিয়ে বেড়ানো নদী। এই নদীতেই ডালা ডালা লাশ ভেসে বেড়াতে দেখে মানুষে গাল পাড়ে, ‘খাইকুন্নি নদীর কি এত মানুষ খেয়ে পেট ভরে না?’ নদীর কি বা দোষ। নদীকে ভিলেন বানায় মানুষ। মানুষ খেকো বানায় মানুষ। এই নাফ নদী আছে বলেই তো এতদিন জাফররা পুরুষানুক্রমে আবাদ করে এসেছেন? নদীর উপকূলের পলিজমিতে ফলিয়ে এসেছেন ফসল। লকলক করে উঠেছে ধান। পাট। আবাদি জমি জুড়ে ফসলের ঘ্রাণ। মাটির সোঁদা গন্ধ। রূপালি বাতাস। নদীর জলে কোছা ভরে ধরেছেন মাছ। নদী শুধু নদী থাকেনি, সংসারের হেঁসেলের রগ রক্ত হয়ে উঠেছে। বুকে দিয়েছে বেঁচে থাকার শ্বাস। সেই নদীই যেন আজ তাদের গিলে খাওয়ার জন্যে ছো মেরে আছে! সাপের মতো এঁকেবেঁকে গেছে নদীটা। তাদের ফেলে আসা আরাকান পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের কাছে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। ঊনচল্লিশ মাইল দীর্ঘ এই নাফ নদীটা আজ জাফর-হালেমাদের মতো হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের ‘উঠ বললে চট বগলে’র দেশ। তাদের বসতভিটে। হেঁসেলবাড়ি। ইহকালের ঠিকানা। যদিও এ দেশ যেকোনো সময় মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠতে পারে! সবদিকেই ওত পেতে আছে বিপদ। অথচ এ নদী সৌন্দর্যে টইটম্বুর। হালেমার যুবতী বয়সের নিটোল শরীরের মতো তার গড়ন। নদী যেখান থেকে উৎপন্ন হয়েছে, সেই আরাকান পাহাড়ের বুকে রয়েছে কুলকুল ঝর্ণা। সে ঝর্ণার ডাক বড়ই মায়াবী। যেন বেহেশতের ‘কাফুর’ ঝর্ণা। এর জলও সুঘ্রাণ আর সুশীতল। অরণ্যের নিস্তব্ধতায় এই কুলকুল শব্দ যেন কোনো অরণ্য-পরির হৃদয়ের ডাক। তার সামনে মন খুলে দাঁড়ালে এক অনাবিল আহ্লাদে হৃদয় ভরে যায়। বাদামী রঙের ক্ষয়াটে পাহাড়টাকে ছেয়ে আছে অসংখ্য গাছ গাছালি। পাইন, দেবদারু। ইউক্যালিপটাসের জঙ্গল। এখান থেকেই, পাহাড়ের ঝুঁটি থেকে ঝিরঝির করে উৎপন্ন হয়ে বয়ে এসেছে নাফ নদী। নদীর মাথায় মায়ানমার আর পায়ে বাংলাদেশ। জাফর বলতেন, ‘নদী আমাদের মাথায় করে রেখেছ গো।‘

দাঁড় টেনে নৌকোটাকে আলতো করে ডানে কাত করে পাশ কাটিয়ে নিল নুহু। পচা লাশের গাদাটা জলের ঠেলা খেতে খেতে ছিপ ছিপ করে বঙ্গোপসাগরের দিকে চলে গেল। নুহু চোখ ফেড়ে দেখল, লাশগুলো বুঁদবুঁদ তুলতে তুলতে ভেসে যাচ্ছে। আচানক তার ভেতরটা ধড়াক করে উঠল! লতিফা আর রফিকও কি এভাবেই জলে ভেসে ভেসে চলে গেছে! তাদের মরা গায়ে কি এভাবেই পোকা বাসা বেঁধেছিল! মা বেটার শরীরে কি এভাবেই জলের বুঁদবুঁদ ফেনা পাকিয়ে উঠেছিল! বউ ছেলের কথা মনে হতেই হাউমাউ করে উঠল নুহু। অন্ধকার নদীর বুকে এক তাগড়া পুরুষের বুক ফাটা আর্তনাদ অন্ধকার ফুঁড়ে যেন আসমানের আরশে নিশ্চিন্তে বসে থাকা মহান আল্লাহপাককে নাড়িয়ে দিচ্ছে। কান্নার আর্তচিৎকার যেন বলছে, হে আল্লাহ, আর সহ্য করতে পারছি নে। এবার আমাকেও তুলে নাও। তোমার দেওয়া এই রক্ত-মাংস, হাড়-কলিজা তুমি ফিরিয়ে নাও। তোমার আজরাইলকে বলো, যেন এখনি এসে এই হাড়-মাংসের খোল থেকে রুহুটা কবুজ করে নিয়ে যায়। তোমার জান-মাল তুমি ফিরিয়ে নাও খোদা। যেদিন লতিফা আর রফিককে ওরা দংখালীর হাট থেকে তুলে নিয়ে গেল, সেদিন থেকেই নুহু আধখানা মরে গেছে। সে কেমন যেন মনমরা আর খটখটে মেজাজের হয়ে থাকে। কাদামাটির মনটা এখন পোড়া পিতল। আতিপাতি কোনো কিছু একটা সহ্য না হলেই হুট করে তেতে ওঠে। অল্পেই মাথা বিগড়ে যায়। আপনজন ছেড়ে চলে গেলে, মানুষের হৃদয় যে এভাবেই কাঁচের মতো ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। সে হৃদয়ে শুধু দলা পাকিয়ে থাকে কষ্ট আর যন্ত্রণা। আপনজন মরার ঘা কখনই শুকোই না। এট্টুআট্টু কষ্টের ছোঁয়া পেলেই মুহূর্তে দ্গদ্গে হয়ে ওঠে। নুহুর এখন এক ঠেঙে জীবন। তার ক্ষতবিক্ষত জীবনটা আধমরে একটা ‘ঘাটবাড়ি কৌশা’ নৌকার ওপর টিমটিম করছে। কান্নার স্বর আচমকা আকাশ ফাটিয়ে নুহু ভেসে যাওয়া লাশের গাদাটার দিকে হাত নেড়ে গেংড়িয়ে উঠল, ‘রফিক, ওই রফিক, তোর বাপটাকে একা ফেলে কোথায় যাচ্ছিস? ফিরে আয় খোকা, ফিরে আয় আমার কোলে, তোদেরকে ছাড়া আমি আর একদণ্ডও থাকতে পারছি না। রফিক রফিক………!’

খড়বড় করে নৌকোর পাটার ওপর দৌড়তে লাগল নুহু। আরিফা খপ করে তার হাত খামচে ধরল। তা নাহলে, পা হড়কে নুহু নদীতে পড়ে যেত। নুহু ভুশভুশে মাটির মূর্তির মতো হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল। তার শরীরের সব কলকব্জা যেন আলগা হয়ে গেল। সে মাঝ নৌকোয় ভাবি আরিফার কোলে বাচ্চাশিশুর মতো হাউমাউ করে কেঁদে উঠল, ‘ও ভাবি গ, আমার রফিক………!’ নুহুর গোঙানি শুনে জাফর আধোস্বরে বলে উঠলেন, ‘ম আ ট ই’। অমনি খ্যাঁক উঠলেন হালেমা, ‘হু, মাটিই তো? সব মাটি হয়ে গেল! জানজীবন, ঘরদোর, হেঁসেল-গোহাল সব মাটিই তো হয়ে গেল! এখন শুধু এই অনাহারের শরীরটার হাড় মাংস কটা মাটি হলেই বাঁচি।’ জাফর কি তার বিহেতি বউর কথা শুনতে পেলেন? শুনতে পেলে নিশ্চয় বলতেন, ‘মাটি আর পেলাম কই, সবই তো পানি। পানি আর পানি। মরে সব পানি হয়ে যাবে।‘ জাফর আবারও ‘ম আ ট ই’ করে উঠলেন। হালেমা এবার তিড়বিড় করে উঠলেন, ‘চুপ করো তো। মাটি! তোমার স্বাদ তো বড় কম নয়, মাটিতে শুবা? মাটি মাঙনা বুঝি? মাটিতে মাথা রেখে শোয়ার খোয়াইস আর পূরণ হবে না। জান থেকে মাটির ভরসা ছেড়ে দাও। পানি নাও। পানি। জান ভরে পানি নাও। এজন্মে আমাদের কপালে আল্লা আর মাটি লিখে থয়নি। পানিতেই আমাদের পচে পচে মরতে হবে। পানিই হবে আমাদের কবর।’

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ