শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ | ১৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক

নদীর হলহলে বাতাসে গায়ের সঙ্গে এঁটে পরা তার পরনের শাড়িটা কাশফুলের মতো ফিনফিন করে নড়ছে। পায়ের কাছে গোল হয়ে থাকা পাড়টার তলা দিয়ে নদীর বেহুদ্দে বাতাস ঠেলা দিচ্ছে। অন্ধকার এখনো মাঝরাতে গড়া দেয়নি। চরাচর জুড়ে ঝেঁপে বসে থাকা অন্ধকার এই লোনাজলের নাফ নদীকে যেন দাঁত খুঁচিয়ে খাচ্ছে। নদীও যেন অন্ধকার ফুঁড়ে তার বুকের থলথলে জল আকাশকে দেখাতে পারছে না। অন্ধকারে ঢেকে আছে তার মুখ। যেন জলের নদী নয়, অন্ধকারের নদী। আর সেই অন্ধকারের কালো বুকে শরীর থেকে যাতে রুহু না চলে যেতে পারে, তার জন্যে ছ-জন মানুষ নিজেই আজরাইল হয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। আসলে যখন বাঁচার আর কিছুই বাকি থাকে না তখন এভাবেই খড়কুটোকে আঁকড়ে বেঁচে থাকতে হয়। তখন শরীরের মুরোদ না থাকলেও, শরীরকে এভাবেই তলোয়ার হতে হয়। মৃত্যুর সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে মরণকে রুখে দিতে হয়।

আরিফা সেই ভয়ংকর রাতেও এভাবে হাঁসুয়া হাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চেয়েছিল, বলেছিল, ‘আমাকে যেতে দাও, আমি একটা খবিষ সেনাকেও তো কোপাতে পারব।’ ঘর থেকে বের হতে দেয়নি মতি। বাইরে থেকে শেকল তুলে দিয়েছিল। কিন্তু আরিফাকে আজ রোখার কেউ নেই। সে মনে জিদ ধরেছে, মাথায় ঘোমটা দিয়ে আর বসে থাকব না। বিপদের মুখে স্বামীকে একা ফেলে, ঘরে ঘোমটা টেনে বসে থাকা মেয়ে সে আজ নয়।

‘একটুও নড়ছে না কেন?’ জলে চোখের ছিপ ফেলে ফিসফিস করল মতি।
‘ব্যাটা চালাক মাল। ঘাপটি মেরে আছে।’ ঠোঁট মিহি করে নড়ে উঠল নুহুর।
‘তাই বলে, শ্বাস নেওয়ার জন্যে পেটও নড়বে না!’
‘পানির কুমির হল পানির বাঘ, ব্যাটা চালাক ঘাগু, দোম মেরে থাকতে পারে।’
‘মরা কুমির না তো?’
‘তুমি কি যে বল না মতিভাই, কুমির শিকার দেখলে অমন ভোল করে।’ কুমির বিশেষজ্ঞের মতো বলল নুহু।
বলতে বলতে ‘ঘক’ করে নৌকোর কাণায় এসে একটা জোর গুঁতো খেল কালো জিনিসটা। ‘কচ’ করে বল্লমটা ভেঙে দিল মতি। ‘ভুষ’ করে ঢুকে গেল সূচালো আগাটা। যেন গোবড়ের সারের গাদায় বল্লম মারল মতি। এত নরম! পচা কিছু নাকি! মাথা ঠক করল মতির।
‘লাশ গো!’ হাফ ছেড়ে উঠল নুহু। ভাবল, এ ফাড়া বাঁচা গেল। তাজা কুমির তো নয়। মড়া কিছু একটা।
‘একটা না এক গাদা!’ চোখ কপালে উঠল মতির। ‘এক গাদা!’ ভ্রূ টান হয়ে গেল নুহুরও। আরিফা চোখে মুখে আতঙ্ক নিয়ে বলল, ‘ফুলে একেবারে ঢোল হয়ে গেছ গো!’ ততক্ষণে সে তার খড়গ হাতটা কোমরের কাছে নামিয়ে এনেছে। রণংদেহী ভাবটা আবারও হাতা-কুন্তির গৃহিণী হয়ে এসেছে।

‘দেখো, দেখো, লাশও কীভাবে একে অপরকে আঁকড়ে ধরে আছে!’ নুহুর চোখে তখন দুনিয়ার বিস্ময়। তারপর মতিকে গলা লম্বা করে মুখ বাড়িয়ে লাশগুলোকে দেখতে দেখে, নুহু জিজ্ঞেস করল, ‘কাউকে চিনতে পারছ?’
‘না, অন্ধকারে কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না। তবে গোটা চারেক লাশ আছে বলে মনে হচ্ছে।’ অন্ধকারে টিপ্পির মতো মতির চোখের মণিদুটো জ্বলজ্বল করে উঠল।
‘লতিফারা কেউ আছে আবা?’ ছইএর ভেতর থেকে কথাটা পটবাড়ি খেয়ে ভেসে এল। শুধু কথা নয়, মনের আকুতি হালেমার। একটা খোঁজ। একটা হদিশ। একটা আপনজনের বেঁচে থাকা না বেঁচে থাকার খবর। নুহুরা কেউই মা’র কথা কান করল না। মতি বল্লমের গুঁতো দিয়ে লাশগুলোকে একবার ওলটানোর চেষ্টা করল। লাশগুলো যেই উল্টে গেল, অমনি ‘ভক’ করে একটা বিটকেল গন্ধ নাকে এসে লাগল। ‘ওয়াক’ করে উঠল আরিফা। তারপর আচানক সে স্বামীর ওপর খচে উঠল, ‘অ কী করছ? লাশকে আঘাত করলে গুনাহ হবে। জানো না?’
‘আমি কি জানি, এগুলো লাশ? আমি কুমির বলেই বল্লম ছুড়েছি।’ চোখ গরম করল মতি। চারটে মৃত দেহ জড়িয়ে পেঁচিয়ে লাশের একটা গাঁট বাঁধা। মনে হয়, একই পরিবারের লোক। মেরে লাশগুলোকে দড়ি দিয়ে বেঁধে এই নাফ নদীতে ফেলে দিয়েছে শত্রুরা। নাফ নদী যেন লাশের নদী। রক্ত মাখা ফোরাত নদী। এত সুন্দর নীল রঙের নদীটা রক্তে লাল হয়ে উঠেছে! নদী কি এ যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছে? নদী তো জীবন গড়ে। জীবন বানায়। অথচ আজ নাফ নদী যেন রাক্ষুসে মানুষ খেকো নদী। মানুষের মরা দেহ বয়ে নিয়ে বেড়ানো নদী। এই নদীতেই ডালা ডালা লাশ ভেসে বেড়াতে দেখে মানুষে গাল পাড়ে, ‘খাইকুন্নি নদীর কি এত মানুষ খেয়ে পেট ভরে না?’ নদীর কি বা দোষ। নদীকে ভিলেন বানায় মানুষ। মানুষ খেকো বানায় মানুষ। এই নাফ নদী আছে বলেই তো এতদিন জাফররা পুরুষানুক্রমে আবাদ করে এসেছেন? নদীর উপকূলের পলিজমিতে ফলিয়ে এসেছেন ফসল। লকলক করে উঠেছে ধান। পাট। আবাদি জমি জুড়ে ফসলের ঘ্রাণ। মাটির সোঁদা গন্ধ। রূপালি বাতাস। নদীর জলে কোছা ভরে ধরেছেন মাছ। নদী শুধু নদী থাকেনি, সংসারের হেঁসেলের রগ রক্ত হয়ে উঠেছে। বুকে দিয়েছে বেঁচে থাকার শ্বাস। সেই নদীই যেন আজ তাদের গিলে খাওয়ার জন্যে ছো মেরে আছে! সাপের মতো এঁকেবেঁকে গেছে নদীটা। তাদের ফেলে আসা আরাকান পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের কাছে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। ঊনচল্লিশ মাইল দীর্ঘ এই নাফ নদীটা আজ জাফর-হালেমাদের মতো হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের ‘উঠ বললে চট বগলে’র দেশ। তাদের বসতভিটে। হেঁসেলবাড়ি। ইহকালের ঠিকানা। যদিও এ দেশ যেকোনো সময় মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠতে পারে! সবদিকেই ওত পেতে আছে বিপদ। অথচ এ নদী সৌন্দর্যে টইটম্বুর। হালেমার যুবতী বয়সের নিটোল শরীরের মতো তার গড়ন। নদী যেখান থেকে উৎপন্ন হয়েছে, সেই আরাকান পাহাড়ের বুকে রয়েছে কুলকুল ঝর্ণা। সে ঝর্ণার ডাক বড়ই মায়াবী। যেন বেহেশতের ‘কাফুর’ ঝর্ণা। এর জলও সুঘ্রাণ আর সুশীতল। অরণ্যের নিস্তব্ধতায় এই কুলকুল শব্দ যেন কোনো অরণ্য-পরির হৃদয়ের ডাক। তার সামনে মন খুলে দাঁড়ালে এক অনাবিল আহ্লাদে হৃদয় ভরে যায়। বাদামী রঙের ক্ষয়াটে পাহাড়টাকে ছেয়ে আছে অসংখ্য গাছ গাছালি। পাইন, দেবদারু। ইউক্যালিপটাসের জঙ্গল। এখান থেকেই, পাহাড়ের ঝুঁটি থেকে ঝিরঝির করে উৎপন্ন হয়ে বয়ে এসেছে নাফ নদী। নদীর মাথায় মায়ানমার আর পায়ে বাংলাদেশ। জাফর বলতেন, ‘নদী আমাদের মাথায় করে রেখেছ গো।‘

দাঁড় টেনে নৌকোটাকে আলতো করে ডানে কাত করে পাশ কাটিয়ে নিল নুহু। পচা লাশের গাদাটা জলের ঠেলা খেতে খেতে ছিপ ছিপ করে বঙ্গোপসাগরের দিকে চলে গেল। নুহু চোখ ফেড়ে দেখল, লাশগুলো বুঁদবুঁদ তুলতে তুলতে ভেসে যাচ্ছে। আচানক তার ভেতরটা ধড়াক করে উঠল! লতিফা আর রফিকও কি এভাবেই জলে ভেসে ভেসে চলে গেছে! তাদের মরা গায়ে কি এভাবেই পোকা বাসা বেঁধেছিল! মা বেটার শরীরে কি এভাবেই জলের বুঁদবুঁদ ফেনা পাকিয়ে উঠেছিল! বউ ছেলের কথা মনে হতেই হাউমাউ করে উঠল নুহু। অন্ধকার নদীর বুকে এক তাগড়া পুরুষের বুক ফাটা আর্তনাদ অন্ধকার ফুঁড়ে যেন আসমানের আরশে নিশ্চিন্তে বসে থাকা মহান আল্লাহপাককে নাড়িয়ে দিচ্ছে। কান্নার আর্তচিৎকার যেন বলছে, হে আল্লাহ, আর সহ্য করতে পারছি নে। এবার আমাকেও তুলে নাও। তোমার দেওয়া এই রক্ত-মাংস, হাড়-কলিজা তুমি ফিরিয়ে নাও। তোমার আজরাইলকে বলো, যেন এখনি এসে এই হাড়-মাংসের খোল থেকে রুহুটা কবুজ করে নিয়ে যায়। তোমার জান-মাল তুমি ফিরিয়ে নাও খোদা। যেদিন লতিফা আর রফিককে ওরা দংখালীর হাট থেকে তুলে নিয়ে গেল, সেদিন থেকেই নুহু আধখানা মরে গেছে। সে কেমন যেন মনমরা আর খটখটে মেজাজের হয়ে থাকে। কাদামাটির মনটা এখন পোড়া পিতল। আতিপাতি কোনো কিছু একটা সহ্য না হলেই হুট করে তেতে ওঠে। অল্পেই মাথা বিগড়ে যায়। আপনজন ছেড়ে চলে গেলে, মানুষের হৃদয় যে এভাবেই কাঁচের মতো ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। সে হৃদয়ে শুধু দলা পাকিয়ে থাকে কষ্ট আর যন্ত্রণা। আপনজন মরার ঘা কখনই শুকোই না। এট্টুআট্টু কষ্টের ছোঁয়া পেলেই মুহূর্তে দ্গদ্গে হয়ে ওঠে। নুহুর এখন এক ঠেঙে জীবন। তার ক্ষতবিক্ষত জীবনটা আধমরে একটা ‘ঘাটবাড়ি কৌশা’ নৌকার ওপর টিমটিম করছে। কান্নার স্বর আচমকা আকাশ ফাটিয়ে নুহু ভেসে যাওয়া লাশের গাদাটার দিকে হাত নেড়ে গেংড়িয়ে উঠল, ‘রফিক, ওই রফিক, তোর বাপটাকে একা ফেলে কোথায় যাচ্ছিস? ফিরে আয় খোকা, ফিরে আয় আমার কোলে, তোদেরকে ছাড়া আমি আর একদণ্ডও থাকতে পারছি না। রফিক রফিক………!’

খড়বড় করে নৌকোর পাটার ওপর দৌড়তে লাগল নুহু। আরিফা খপ করে তার হাত খামচে ধরল। তা নাহলে, পা হড়কে নুহু নদীতে পড়ে যেত। নুহু ভুশভুশে মাটির মূর্তির মতো হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল। তার শরীরের সব কলকব্জা যেন আলগা হয়ে গেল। সে মাঝ নৌকোয় ভাবি আরিফার কোলে বাচ্চাশিশুর মতো হাউমাউ করে কেঁদে উঠল, ‘ও ভাবি গ, আমার রফিক………!’ নুহুর গোঙানি শুনে জাফর আধোস্বরে বলে উঠলেন, ‘ম আ ট ই’। অমনি খ্যাঁক উঠলেন হালেমা, ‘হু, মাটিই তো? সব মাটি হয়ে গেল! জানজীবন, ঘরদোর, হেঁসেল-গোহাল সব মাটিই তো হয়ে গেল! এখন শুধু এই অনাহারের শরীরটার হাড় মাংস কটা মাটি হলেই বাঁচি।’ জাফর কি তার বিহেতি বউর কথা শুনতে পেলেন? শুনতে পেলে নিশ্চয় বলতেন, ‘মাটি আর পেলাম কই, সবই তো পানি। পানি আর পানি। মরে সব পানি হয়ে যাবে।‘ জাফর আবারও ‘ম আ ট ই’ করে উঠলেন। হালেমা এবার তিড়বিড় করে উঠলেন, ‘চুপ করো তো। মাটি! তোমার স্বাদ তো বড় কম নয়, মাটিতে শুবা? মাটি মাঙনা বুঝি? মাটিতে মাথা রেখে শোয়ার খোয়াইস আর পূরণ হবে না। জান থেকে মাটির ভরসা ছেড়ে দাও। পানি নাও। পানি। জান ভরে পানি নাও। এজন্মে আমাদের কপালে আল্লা আর মাটি লিখে থয়নি। পানিতেই আমাদের পচে পচে মরতে হবে। পানিই হবে আমাদের কবর।’

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ

 

বিস্তারিত আসছে...

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, দেশ দুটিতে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশেও একই দিনে ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল (রোববার) খালি চোখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে ভারতে এবারের রমজান ২৯ দিনে সম্পন্ন হবে এবং সোমবার ঈদ উদযাপন করা হবে। একইভাবে পাকিস্তানেও ২৯ রোজা পালনের পর সোমবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটি যথাসময়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ একই চাঁদ দেখার অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায়, বাংলাদেশের ঈদুল ফিতরও ৩১ মার্চ সোমবার উদযাপিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইও ৩১ মার্চ সোমবার ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেয়। সবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে একই দিনে ঈদ উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশে রমজানের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে। চাঁদ দেখা গেলে সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা হবে এবং তার পরই দেশব্যাপী ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে।

Header Ad
Header Ad

দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় যুবদল নেতা আবু রায়হান রাহিমের পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাহিম গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ নেতার পরিবারের কাছে এই উপহার তুলে দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির যুগ্ম পরিচালক ড. আব্দুল মজিদ, দুপচাঁচিয়া থানা বিএনপির সভাপতি একেএম মনিরুল ইসলাম খান স্বপন, কাহালু উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ।

এছাড়া, দুপচাঁচিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আফছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খন্দকার রাকিবসহ যুবদল ও বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতারা শহীদ আবু রায়হান রাহিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, বিএনপি তাদের কখনো ভুলবে না। ঈদ উপলক্ষে তারেক রহমানের এই উপহার শহীদ পরিবারের প্রতি দলের ভালোবাসা ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ ও আহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। দলীয় নেতারা জানান, ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ
ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল
দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার
ভারত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরব ঈদের তারিখ ঘোষণা করবে রাত ৯টার পর
রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন মির্জা ফখরুল
কারাবন্দিদের জন্য ঈদের বিশেষ আয়োজনে থাকছে ভালো খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
চীনের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ
পদ্মা সেতুতে এক দিনে সোয়া ৪ কোটি টাকা টোল আদায়
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনা নিয়ে পুতিনের সতর্কবার্তা
অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ আগামী ৩১ মার্চ  
বাংলাদেশেও বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা, ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ সতর্কবার্তা
মেট্রোরেলে নেই চিরচেনা ভিড়, বন্ধ থাকবে ঈদের দিন
নাটোর ডিসি বাংলোর বাঁশবাগান থেকে শতাধিক সিলমারা ব্যালট উদ্ধার
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
ঈদে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবি-আনসার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ৪০ জেলা
ঈদের তারিখ ঠিক করতে কাল সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটি
ইংল্যান্ডে ফিরেই হামজা জাদু, শীর্ষে তুললেন শেফিল্ডকে
এবার ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের নানি বললেন ‘আগে গোপনে মারতাম এখন ওপেনে মারব’