শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১

নেই দেশের নাগরিক

‘কক’ করে উঠলেন! ছেড়া-ফাটা কাঁথা-কাপড়ের পোঁটলা-পুঁটুলির ভেতর থেকে শব্দটা কুঁকিয়ে বেরোল! সে শব্দ শুনে ডুকরে উঠলেন হালেমা, ‘ও আল্লাহ!’ ধড়মড় করে বৈঠাটাকে বাঁশের বাতিতে ঠেসে কোমর ঠেলে ঠেলে পুঁটুলির দিকে এগোল নুহু। সে ঘষটানির ঘষ ঘষ শব্দ অন্ধকার ফুঁড়ে কাতরাচ্ছে।

দুরুদুরু কণ্ঠে নুহু বলল, ‘আল্লাহর উপর ভরসা রাখ, আল্লাহ রহমানের রহিম’। ‘আর কী বা বাকি আছে, যে ভরসা রাখতে হবে! ভিটেমাটি, জমিজিরেত, আবাদপানি সবই তো চলে গেল! খবিশরা আমার ডুগডুগে বৌটাকে চোখের সামনে নেকড়ের মতো ছিড়ে খেল আর ভরসা… ।’

ভিজে গলা অভিমানি হয়ে ওঠে হালেমার। তার ভেতরের নাড়ি দুমড়ে মুচড়ে উঠছে। যেন আস্ত নাফ নদীটা তার চোখে এসে উথলে পড়ছে। এ কি জলের নদী, না যন্ত্রণার? মানুষের শরীরেও নদী থাকে। সে নদী যেমন ঝর্ণার মতো কুলকুল করে বয়, আবার ফোয়াত নদীর মতো কষ্টের ক্ষিরও হয়ে ওঠে। আল্লাহর প্রতি ভরসা একটু একটু করে মরতে বসেছে হালেমার। তার ক্ষোভ, ‘মাটি দিতে পারবেন না তো জন্ম দেওয়ার কী দরকার ছিল?’ পাথরের মতো নিশ্চল হয়ে বসে থাকেন হালেমা। কাঁথাটা ধুকপুক ধুকপুক করে নড়ছে। ভাবেন, মানুষটা এবার সত্যি সত্যি কাঁথা হয়ে যাবে! মানুষটার ঘাড়ের কাছে ছো মেরে বসে আছে মরণের ফেরেশতা আজরাইল! কখন খপ করে কলজে থেকে জানটা ছিনিয়ে নিল বলে! তাহলে কি মানুষটার শেষ ইচ্ছে পূরণ হবে না? চারপাশ ঘুলঘুল করে দেখলেন হালেমা। শুধু জল আর জল! কোত্থাও মাটির চিহ্ন নেই! জলের ওপর ঠেস মেরে বসে আছে ঘুটঘুটে আঁধার। হালেমা ভাবেন, এ আঁধার নয়, এ হল আজরাইলের ছায়া। সব্বাইকে একসঙ্গে গিলে খাওয়ার জন্যে ঘাপটি মেরে আছে। হাতের চুড়ি এবার ভাঙতে হবেই।

‘ধড়ফড় ধড়ফড় করছে, শ্বাসকষ্টটা মনে হয় বেড়ে গেছে!’ কাঁথার ভেতরে হাত পুরে বাপের নাড়ি টিপল নুহু। হাতে গরম ভাপ খেয়ে বলল, ‘গা’টা একেবারে পুড়ে যাচ্ছে গ!’
‘ওর সময় হয়ে এসেছে।’

‘মা, সবুর করো, আল্লাহ ঠিকই হেদায়েত করবেন।’ কান্নার দলা গলায় চেপে দুহাত আসমানের দিকে তুলল মতি। সে টাপার(ছৈ) মটকায় ওঠে, আরিফার শুকনো কাপড়টাকে টাপার পশ্চিমদিকের হলহলে মুখটাতে এঁটে বাঁধছে। হাওয়া একেবারে বেহুদ্দের মতো হুহু করে ঢুকে পড়ছে। খিলখিল করে দাঁত কেলাচ্ছে। মাঝেমধ্যে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মতো এমন ঝাঁকুনি দিচ্ছে যেন নৌকোটা ঠোঙার মতো পাক সাপ্টে উল্টে যাবে! বাঁশের একটা চাটাইকে টাপার মাথায় বেঁধে, কাপড়টাকে গিঁট মারছে মতি। পুয়ালের মতো তার দুবলা-পাতলা শরীরটাও হলহল করে নড়ছে। চামটা পেটটা পিঠের হাড়ের সঙ্গে যেন পোস্টার সাটা সেটে গেছে। পেট আর পিঠ যেন এক। হাড়ে হাড় পুঁতে আছে। অভাব আর অনাহার মানুষের শরীরের হাড়-মাংসে লাগলে সে মানুষের শরীর এমনই চাঁছি হয়ে ওঠে। মতির তামাটে রঙের পাকানো দেহটা হাওয়ার সঙ্গে যেন এঁটে উঠতে পারছে না। দমকা হাওয়ায় মাঝে মধ্যে ধনুকের মতো বেঁকে যাচ্ছে। তখন যেন মনে হচ্ছে, বাঁশের বাতার চেয়ে তার শরীরটাকেই যদি টাপার মাথায় বেঁধে দেওয়া হয়, তো টাপাটা আরও পোক্ত হয়। অনাহারের হাড়গিলে গতরটা যেন শুধু হাড়ের খোল! ভাত-রুটির অভাবে যেন আর কোনো রসকষ বাকি নেই! ফুঁ দিলেই যেন উড়ে যাবে।

‘পেটে বুকে খিল দিয়েই তো বেঁচে আছি রে ব্যাটা। খিলটা ভেঙে পড়লেই তো আর কিচ্ছু নেই। যেভাবে খালি হাতে এসেছি, সেভাবেই খালি হাতে চলে যাব। এ খিল আর ভর নিতে পারছে না। মানুষের শরীর তো আর লোহার কলকব্জা নয় যে বোঝার পর বোঝা ধরে রাখবে? এ যে রক্ত-মাংসের একটা খোল। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে একসময় রুহুটা ফুঁড়ুৎ করে উড়ে চলে গেলেই, ব্যস, এ দেহের সব হিসেবনিকেশ শেষ, তখন দেহটা শুধু একটা খোল, কখন পচবে তার অপেক্ষায় থাকবে। মাটির শরীর মাটি হয়ে যাবে।’ বিড়বিড় করে ওঠেন হালেমা। চোখের জল মুখের জল এক হয়ে যায়। হাতের তসবিহর দানাটায় আঙুলের জোর চাপ দিয়ে ‘লা-ইলাহা’ বলে ওঠেন। যেন এক দোয়া-কলেমা তেলওয়াতেই আল্লাহর দরবারে কান্নার সোর পড়ে যায়। হাই হাই করে ওঠে তামাম ফেরেস্তাকূল। আচানক টাপার উত্তরকোণা থেকে দমকা হাওয়ার মতো ভেসে এল, ‘কত দূর এলাম?’
‘চিন্তা নেই, জান কবজ করা আজরাইল ফেরেশতার নখের কাছে চলে এসেছি।’ ঠেস মেরে ওঠেন হালেমা।
‘মা, তুমি থামবে?’ ধমকে ওঠে নুহু।

‘মা’কে অমন করে বকছ ক্যানে? মা’র মাথা কি ঠিক আছে?’ ঝেঁঝিয়ে উঠল আরিফা। জ্বরে জুবুথুবু হয়ে বসে আছে সে। গতকালের পুরো বৃষ্টিটা তার গায়ের ওপর দিয়েই গেছে। সে বৃষ্টি জ্বর এনে তার গায়ে কামড় বসিয়েছে। গায়ে তাওয়া তাতা তাপ। হলহল করে হেলে উঠছে শরীর। একেবারে হাড়ে সেঁধিয়ে ঠকঠক করে ঠুকাচ্ছে কনকনানি।
‘উ!’ গোঙানিটা এবার কাঁথার সেলাই ফুঁড়ে নদীর জলে আছড়ে পড়ল। টাপার বাঁধনিতেও ঠক্কর মারল। নৌকোর তক্তায় গেঁথে নৌকোটাকেও খানিক হেলিয়ে দিল। ‘আব্বা!’ মুষড়ে উঠল নুহু। টাপার মটকা থেকে ধপাস করে ঝাঁপ মারল মতি। পা হড়কে মুখ খুঁচে পড়ল নৌকোর পাটাতনে। নৌকোটা ডান দিকে আলতো করে কাত হয়ে হেলে গেল। আর একটু হলে ডুবে যেত।

‘মুখে পানি দাও।’ কেঁদে উঠল নুহু। চোখের কোণে গোল হয়ে থাকা চিকচিকে অশ্রুটা গালে গড়িয়ে পড়ল। শিথেনের কাছে রাখা পিতলের ঘড়া থেকে কাঁসার গেলাসটায় জল ঢেলে, গেলাসটা বাপের মুখের ছমুতে ধরল মতি। নুহু থুত্থুরে ঠোঁটদুটো আলতো করে খুলে ধরল। দাঁতহীন ন্যাড়া মাড়িটা মিহি করে হাঁ করে উঠল। দাঁতপাটির চামটি মাংসগুলো গাবের আঠার মতো এঁটে লেগে আছে। গেলাসের কাণাটা বাঁকিয়ে কয়েকফোটা জল ঢেলে দিল মতি। বিছানাগত মানুষটা ঢোক গিললেন না। জলের ফোটাকটা জিভ চুইয়ে নলিতে গড়ে গেল। গেলার ক্ষমতাই নেই, তো গিলবেন কী করে। চুরাশি বছরের শতাব্দী প্রাচীন মানুষ জাফর আলি। বয়স তার শরীরে জেঁকে বসেছে। জড়ানো চামড়ার হাড়গিলে খুটোলে ঘোলা ডিমের মতো ঘুলঘুল করছে ছানিপড়া চোখ। বাপের কালেও ভাবেননি আল্লাহর ফেরেশতা আজরাইলের সঙ্গে দেখাটা হবে এই নাফ নদীর বুকে। আল্লাহর শেষ হুকুমটা হবে এই ভিটেমাটিহীন অথৈ সমুদ্রে। সারাজীবন আল্লাহর ইবাদত করে নসিবে এই ছিল? জীবনভর আমলনামার এই ফল? মরার পর এই রক্ত-মাংসের দেহটা এক মুঠো মাটি পাবে কি না তারও কোনো ঠিক নেই! জাফরের দুই চোখের কোণ দিয়ে ঝরঝর করে ঝরে পড়ছে অশ্রু।

মানুষটার আছেই বা আর কি? চোখের এই জলটুকু ছাড়া? আল্লাহর এত বড় দুনিয়ায় আজ যে তার একটুখানি মাথা গোঁজার ঠাঁইও নেই! সাদা ফেকাসে জিভটাকে সিরসির করে নড়তে দেখে, মতি জলের আরও দু ঢোক বাপটার মুখে ঢেলে দিল। আর কিছু না পাক, পানের জলটুকু তো পেল? যে মানুষ মরার সময় মুখে জল পায় না, তার মতো হতভাগা এই দুনিয়ায় কেউ নেই। কিন্তু মুখের জল না হয় দেওয়া গেল, আব্বার শেষ ইচ্ছেটা কি পূরণ করা সম্ভব হবে? আল্লাহ কি আব্বার মরা শরীরটার জন্যে সাড়ে তিন হাত মাটি লিখে রেখেছেন? কথাটা মনের কোটরে থক করে বাজতেই, মতি নৌকোর পেছন পানে চোখ ফেলল, ‘আমাদের মংডুর ঢিবিটা কি আর দেখা যাচ্ছে?’
‘কই, না তো। একটু আগেই সেনার লালবাতির সিগন্যালটা পিটপিট করে ভেসে আসছিল, এখন সেটাও চোখে সুজছে না!’ মিনমিন করল নুহু।

চলবে...

আরএ/

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুতে দুর্বল প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে টানা তিন জয়ে শীর্ষে ছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে শক্ত প্রতিপক্ষের মুখে পড়ে একের পর এক হারে এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ উইকেটে হারের পর শনিবার (১৯ এপ্রিল) লাহোরে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে বসেছে বাংলাদেশ।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ২১ রানের মধ্যেই ফিরেছেন তিন ব্যাটার—ফারজানা হক (০), দিলারা আক্তার (১৩) ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা (১)। এরপর শারমিন আক্তার ও রিতু মনির ৪৪ রানের জুটি এবং রিতু ও নাহিদা আক্তারের ৪৭ রানের জুটি কিছুটা স্থিতি আনলেও তা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। রিতু মনি করেন ৪৭ রান, আর ফাহিমা খাতুন অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। ৫০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৭৮ রান। পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন।

 

ছবি: সংগৃহীত

জবাবে পাকিস্তানও শুরুতেই শাওয়াল জুলফিকারকে হারায়, যাকে এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। তবে এরপর সিদরা আমিন (৩৭), মুনিবা আলি (৬৯), আলিয়া রিয়াজ (৪৮*) এবং নাতালিয়া পারভেজ (১৩*) মিলে ৩৯.৪ ওভারে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

এই হারের ফলে বাংলাদেশের নেট রানরেট নেমে এসেছে +০.৬৪-এ। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রানরেট এখন -০.২৮। ফলে এখন বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে থাইল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের দিকে। ক্যারিবিয়ানরা যদি বড় ব্যবধানে না জেতে, তবেই কেবল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের।

শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্যর্থতা, ব্যাটিং দুর্বলতা এবং ধারাবাহিকতা না থাকায় কঠিন হয়ে উঠেছে টাইগ্রেসদের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা। এখন সব কিছু নির্ভর করছে অন্য দলের পারফরম্যান্সের ওপর, যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ নারী দলের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

Header Ad
Header Ad

ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে

ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হলে এখন সরাসরি ই-মেইলে অভিযোগ জানানো যাবে স্থানীয় সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি এবং ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে সরাসরি অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, দুই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যেকোনো সংস্থা বা দফতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া, দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হলে তা ই-মেইলে জানাতে পারবেন সেবা গ্রহীতারা।

অভিযোগ পাঠানোর ঠিকানা:
advisorasifofficial1@gmail.com

পোস্টে বলা হয়, অভিযোগের সঙ্গে যথাযথ তথ্য ও প্রমাণ সংযুক্ত করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে এবং অভিযোগকারীর পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা হবে।

"জনস্বার্থে এই উদ্যোগ। ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা।"

এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। তারা মনে করছেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ।

Header Ad
Header Ad

টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি

টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার শিকার করেছে মা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর আরিচপুর এলাকায় দুই শিশু সন্তানকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তাদের মা সালেহা বেগম। নিহতরা হলেন মালিহা আক্তার (৬) ও আবদুল্লাহ বিন ওমর (৪)। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, আরিচপুরের জামাইবাজার রুপবানের টেক এলাকার সেতু ভিলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘর থেকে রক্তমাখা একটি বঁটি জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় ঘরে ছিলেন শুধু সালেহা বেগম। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে, বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে অন্য কেউ ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেনি। ঘটনার পর সালেহা নিজেই তার দুই দেবরকে ডেকে আনেন এবং তার কথাবার্তা অসংলগ্ন ছিল।

পরে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলে মধ্যরাতে সালেহা স্বীকার করেন, তিনিই বঁটি দিয়ে দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তবে তিনি কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনো অস্পষ্ট।

নিহত শিশুদের বাবা আবদুল বাতেন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে তিনি ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।

সালেহার মা শিল্পি বেগম জানান, সালেহা দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। তবে কখনও অস্বাভাবিক আচরণ করেননি। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং সালেহার মানসিক অবস্থা যাচাই করতে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে।

এদিকে দুই শিশুর মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং বিস্তারিত তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন
ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি, তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজের পদত্যাগ
ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ