শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সায়েন্স ফিকশন 

প্রাণী 

বিউন তার চশমাটা খুলে টেবিলের উপর রাখল। তারপর চেয়ারে হেলান দিয়ে ডুবে গেল গভীর চিন্তায়। এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে সে। আদৌ বিশেষ প্রাণীগুলো সে বিক্রি করবে, কি করবে না। আর বিক্রি করলে মূল্য কেমন চাইবে তা এখনো ঠিক করতে পারেনি। অত্যন্ত মূল্যবান আর প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতীর এই প্রাণী মহাবিশ্বে একমাত্র পৃথিবীর কেন্দ্রীয় প্রাণী সংরক্ষণাগারে সংরক্ষিত রয়েছে। তবে সবগুলোই ক্লোন, আর একারণে সবগুলোর চেহারা একই রকম। মহাবিশ্বের সকল গ্রহবাসী যেন অতি বুদ্ধিমান এই প্রাণীদের কখনো ভুলে না যায় সেজন্যই ক্লোনের মাধ্যমে এদেরকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে এদের সংরক্ষণের কোন উপায় নেই, কারণ এই প্রাণীর মেয়ে প্রজাতি অনেক আগেই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় প্রাণী সংরক্ষণাগারে এই প্রাণীদেরকে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন গ্রহ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার গ্রহবাসীরা ভীড় করে। কমপক্ষে ছয় মাস পূর্বে ওয়েবসাইটে টিকিট কাটতে হয়। কেন্দ্রীয় প্রাণী সংরক্ষণাগারের নিরাপত্তা কর্মীদের দর্শনার্থীদের ভীড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। টিকিটের মূল্য তিনগুন করেও কোন লাভ হয়নি। বরং দিনে দিনে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। মহাবিশ্বে মৃত্যুর আগে সবাই অন্ত একবার এই অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর দর্শন পেতে চায়, তা না হলে তাদের জীবন অপূর্ণ থেকে যাবে।

বিউন পেশায় একজন জীববিজ্ঞানী। পৃথিবী থেকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের নিয়ে সে গবেষণা করে। এ জন্য তার বিশাল একটা প্রাণী গবেষণাগার আছে। এই প্রাণী গাবেষণাগারেই গোপন চেম্বারে সে গত এক বছর ধরে এই বিশেষ প্রাণীগুলোকে পর্যবেক্ষণ করছে। সে কখনো প্রাণীগুলোকে বিক্রি করতে চায়নি। সম্প্রতি মারাত্মক আর্থিক কষ্টে পড়ার কারণে তার বিকল্প কোন উপায় নেই। অবশ্য সে চারটি প্রাণীর মধ্যে দুটিকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কাজটা তাকে অত্যন্ত গোপনে করতে হচ্ছে। সে জানে এই প্রাণীদের কথা বাইরে প্রকাশ হলে কি হতে পারে। নিশ্চিত তার মৃত্যু হবে। তারপর এই প্রাণীগুলোকে প্রেরণ করা হবে কেন্দ্রীয় প্রাণী গবেষণাগারে যেখানে এদের দেহের উপর হাজারো নিষ্ঠুর আর নির্মম জৈবিক পরীক্ষা চালানো হবে। আর এ ঘটনা পৃথিবীর গত এক হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বিস্ময়কর সংবাদ হবে, কারণ এখন থেকে এক হাজার বছর পূর্বে এ ধরনের প্রাণীর সর্বশেষ অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। সেই প্রাণীর ক্লোনই এখন কেন্দ্রীয় প্রাণী সংরক্ষণাগারে সংরক্ষিত আছে।


বিউন আগেই ঠিক করেছে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য পৃথিবীতে কিংবা পৃথিবীর নিকটবর্তী কোন গ্রহে এই প্রাণীদের বিক্রি করবে না। তাইতো সে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত 'মিকিউ' গ্রহের ক্রেতা 'নিনন' এর কাছে প্রাণী দুটি বিক্রিতে সম্মত হয়েছে। নিনন কিছুক্ষণের মধ্যেই এখানে এসে পৌঁছাবে। নিরাপত্তার কারণে নিননের সাথে তার বিস্তারিত কথা হয়নি। এখানেই সকল কথা হবে। নিনন অবশ্য মিকিউ গ্রহের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি। মূলত মিকিউ গ্রহের প্রাণীরা তাদের প্রাণী সংরক্ষণাগারকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য এই প্রাণী দুটিকে ক্রয়ের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিউন অবশ্য আশাবাদী সে খুব ভালো মূল্য পাবে। কারণ সে যে প্রাণী মিকিউ গ্রহের নিনন এর কাছে বিক্রি করতে যাচ্ছে তা মহাবিশ্বে এক কথায় অমূল্য।


বিউনের চিন্তায় ছেদ পড়ল নিননের আগমনে। বিউন সামনের চেয়ারে নিননকে বসতে ইশারা করল। তারপর বলল, আমি আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি নিনন।

ধন্যবাদ বিউন। আমার হাতে সময় খুব কম। তাছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টা তো বুঝতেই পারছেন। তাই আমি চাচ্ছি অতি দ্রুত মিশন সম্পন্ন করতে।

আমিও তাই চাই। তবে আমি আপনাকে অনুরোধ করব নিরাপত্তার কারণে প্রাণীদের প্রজাতির নাম উচ্চারণ না করার জন্য। আমরা আমাদের আলোচনায় এই প্রাণীকে 'প্রাণী' বলেই সম্বোধন করব।

তাই হবে বিউন। এ

খন বলুন আপনার কাছে কি সত্যি এই প্রাণী আছে?

হ্যাঁ আছে। চারটি, দুটি মাঝ বয়সী এবং অন্য দুটি ওদের বাচ্চা। অর্থাৎ আপনার কাছে মেয়ে প্রাণীও আছে?

সন্দেহের চোখে বলল নিনন। হ্যাঁ আছে। একটি বড় মেয়ে, আর অন্যটি ছোট মেয়ে। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। পৃথিবীতে এই প্রাণীর যত ক্লোন রয়েছে সবই তো ছেলে। কোন মেয়ে তো নেই। হ্যাঁ তাই, কিন্তু আমার কাছে আছে। আপনি ওদেরকে পেলেন কিভাবে?আমি গবেষণার কাজে বনাঞ্চলে গিয়েছিলাম। সেখানেই মাটির নীচে আমি এদের ছোট্ট একটা এলাকার সন্ধান পাই। এক হাজার বছর ধরে বংশানুক্রমিকভাবে এরা এই এলাকায় বসবাস করে আসছিল। বনের মধ্যে হওয়ায় পৃথিবীর কেউ এই এলাকাটা খুঁজে পায়নি। এমনকি আমাদের নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরাও না। ঘটনাক্রমে এই এলাকাটি আমার নজরে পড়ে। সেখানেই এদের চারজনকে একটি ছোট্ট ঝোপের মধ্যে থেকে আটক করি।  তাহলে তো এরকম আরো প্রাণী থাকতে পারে। থাকতে পারে। তবে আমি পাইনি। অবিশ্বাস্য ব্যাপার! ওরা কি প্রতিহত করতে চেষ্টা করেনি?করেছিল। কিন্তু আমাদের সাথে পেরে উঠেনি। বুদ্ধির বিবেচনায় ওরা অতি উন্নত হলেও শক্তির বিবেচনায় আমাদের থেকে অনেক নিচে। যাইহোক, সেই থেকে প্রাণীগুলো আমার কাছে আছে। আমি অবশ্য সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করে অতি যত্মে ওদের লালন পালন করছি। আপনি এই প্রাণীগুলোর শরীরে গবেষণার উদ্দেশ্যে কোন কৃত্রিম ওষুধ প্রবেশ করিয়েছেন কি?


না নিনন। প্রথমে আমি এদেরকে নিয়ে গবেষণাই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন যেন পারলাম না। প্রাণীগুলো এতো ভাল যে আপনাকে বোঝাতে পারব না। দেখলেই মায়া হয়। আর ওদের বাচ্চা দুটো কী ফুটফুটে! সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো ওদের অভ্যন্তরের ভালবাসা। ওরা নিজেরা একে অন্যকে খুব ভালবাসে। আমাদের মতো ওদের দুঃখ-কষ্ট, যন্ত্রণা, আনন্দ-বেদনা, সুখ-শান্তির অনুভূতি রয়েছে। আপনি দেখলে অবাক হবেন যে, ওরা আমাদের মতোই কাঁদতে পারে, কাঁদলে ওদের চোখ দিয়ে অশ্রু বের হয়।
আপনার সকল বক্তব্যই এই প্রাণীগুলোর মূল বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যাচ্ছে। ওরা কি নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে?ওদের আচরণে মনে হয় ওরা আমাদের মতোই কথা বলে। আমি তো আর ওদের ভাষা বুঝি না। একবার ভেবেছিলাম ওদের শব্দগুলো রেকর্ড করে বাইরে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখব, আদৌ ঐ শব্দগুলো ওদের ভাষা কিনা? কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাহস পাইনি এই ভয়ে যে সকলে ওদের কথা জেনে যেতে পারে।


হ্যাঁ, বিউন আপনি ভালোই করেছেন। আর ওদের বুদ্ধিমত্তা কেমন?


চমৎকার, অসাধারণ। খুব দ্রুত ওরা সবকিছু শিখে নিতে পারে। এখানে নিয়ে আসার পর আমাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি, অল্পতেই সব কিছু শিখে নেয়। ওরা নিজেরাই নিজেদের যত্ম নেয়, নিজেদের প্রতি খেয়াল রাখে। ইতিমধ্যে আমার সাথেও চমৎকার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমি ওদেরকে কি বলতে চাই সহজেই ওরা বুঝতে পারে। তাছাড়া প্রাণীগুলো বেশ পরিচ্ছন্ন, অন্যান্য প্রাণীর মতো নোংরা নয়। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, মহাবিশ্বের সকল প্রাণীর ওদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
বিউন আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনাকে বুঝতে হবে এরা প্রকৃতিরই অংশ, এবং প্রকৃতি থেকেই আমরা সবচেয়ে বেশি শিক্ষা গ্রহণ করি। কাজেই এই প্রাণী থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার থাকতে পারে। যাইহোক, বিউন আমি আপনার বর্ণনায় সন্তুষ্ট। আমার মনে হচ্ছে আমরা যে প্রাণী খুঁজছি আপনার সংরক্ষিত প্রাণী সেই প্রাণীই হবে। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি আপনার প্রাণীগুলো দেখতে চাই।


অবশ্যই দেখবেন। তার পূর্বে আমাদের মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারটা চূড়ান্ত করতে হবে। প্রাণীগুলো দেখার পর করলে হয় না?


না হয় না। আমরা প্রথমে মূল্য ঠিক করব। যদি আপনার মূল্য আমার পছন্দ হয় তাহলেই আপনি প্রাণীগুলোকে দেখতে পাবেন। প্রাণী পছন্দ হলে আপনি ইলেকট্রনিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে আমার একাউন্টে মূল্য পরিশোধ করবেন। একমাত্র তখনই আপনি প্রাণীগুলোকে নিয়ে যেতে পারবেন। তার আগে নয়।


আর যদি প্রাণীগুলোকে আমার পছন্দ না হয়?তাহলে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করতে হবে না। আপনি সরাসরি আপনার গ্রহে চলে যাবেন। আমি চাই না প্রাণীগুলো দেখার পর প্রাণীর মূল্য নিয়ে আমাদের মধ্যে মত-পার্থক্যের সৃষ্টি হোক। আমি সবকিছু আগেই চূড়ান্ত করে নিতে চাই। বেশ গম্ভীরভাবে বলল বিউন। ঠিক আছে তাই হবে। এখন বলুন, বাচ্চা প্রাণী দুটির জন্য আপনাকে কত মূল্য দিতে হবে? আপনিই বলুন। বলল বিউন। না আপনি বলুন। প্রাণী আপনার, আপনিই এই প্রাণীগুলোর সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন। বিউন একটু সময় নিল। তারপর বলল, পৃথিবীর মুদ্রা পিনির হিসাবে দশ ট্রিলিয়ন পিনি।


নিননের চোখ দুটো যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চাইল। সে বিস্মিত হয়ে বলল, এ আপনি কি বলছেন! এতো অসম্ভব! পৃথিবীর অনেক ব্যাংকেরওতো এতো পিনির সম্পত্তি নেই। এই পরিমাণ পিনি পেলে আপনি পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হবেন। আমি তো আপনাকে কিছুতেই এত মূল্য প্রদান করতে পারব না।


তাহলে আমি দুঃখিত। আমার কথা একটাই। আপনি আমাকে মূল্য বলতে বলেছেন, আমি বলেছি। আমি এর থেকে এক পিনি কমেও আপনার কাছে এই বিশেষ প্রাণী বিক্রি করব না। বিউন স্পষ্টভাবে কথাগুলো বলল।

আপনি একটু বুঝতে চেষ্টা করুন।


বিউন তার চশমা খুলে আবার চোখে পরল। তারপর টেনেে টনে বলল, এতে বুঝার কিছু নেই। আপনি মিকিউ গ্রহের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি। দশ ট্রিলিয়ন পিনি আপনার জন্য খুব কঠিন কোন ব্যাপার নয়। তাছাড়া আপনাকে প্রাণীগুলোর গুরুত্ব বুঝতে হবে। মাত্র বিশ বছরে এই প্রাণী প্রদর্শন করে আপনার দশ ট্রিলিয়ন পিনি উপার্জন করতে পারবেন। তাছাড়া আপনাদের কাছে মেয়ে প্রাণীও থাকবে যা মহাবিশ্বের অন্য কোন গ্রহে নেই। কাজেই দর্শনার্থীদের ভীড় আপনারা সামলে উঠতে পারবেন কিনা আমার সন্দেহ আছে। উপরন্তু আপনারা যদি ক্লোনের মাধ্যমে এই প্রাণী সৃষ্টি করে অন্যান্য গ্রহে বিক্রি বা রপ্তানী করেন তাহলে দশ ট্রিলিয়ন পিনি তুলে আনতে দুই বছরও লাগবে না। এখন বলুন আপনি রাজি কিনা?


নিনন একটু সময় নিল।

তারপর বলল, রাজি। তাহলে চলুন, আপনাকে প্রাণীগুলো দেখিয়ে নিয়ে আসি।


বিউন নিননকে আন্ডার গ্রাউন্ডে বিশেষ একটা কক্ষে নিয়ে এলো। সেই কক্ষের মাঝে মাঝারি আকৃতির একটি খাঁচার মধ্যে চারটি প্রাণী রাখা। এখানে আসার আগে নিনন এই প্রাণী সম্পর্কে প্রচুর পড়াশুনা করলেও আগে কখনো এই প্রাণীদের দেখেনি। শুধু ছবিতে দেখেছে। এই প্রথম বাস্তবে দেখছে। চারটি প্রাণীই তার দিকে অবাকভাবে তাকিয়ে আছে। বাচ্চা প্রাণী দুটি বোধহয় কিছুটা ভয় পেয়েছে। দুটিই এক কোণায় গুটিশুটি মেরে আছে। মাঝে মাঝে চোখ পিট্ পিট্ করে তাকাচ্ছে। 


প্রাণীগুলোকে দেখে নিননের মুখে এক রকম তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠল। সে অস্পষ্ট উচ্চারণে বলল, প্রাণীগুলো উচ্চতায় আমাদের থেকে অনেক ছোট, সবচেয়ে বড় প্রাণীটা আমার দেহের তিন ভাগের এক ভাগ হবে। প্রাণীগুলোর দেহের আকারও ছোট। আমি বুঝতে পারছি না এত ছোট প্রাণী কিভাবে এত বুদ্ধিমান হয়? যাইহোক প্রাণীগুলোকে আমার পছন্দ হয়েছে। ২দু’দিন পর। মহাশূন্যে ছুটে চলছে স্পেসশীপ 'হিডিন'। 'হিডিন' মিকিউ গ্রহের স্পেসশীপ। গোপন এক মিশনে হিডিন পৃথিবীতে এসেছিল। সেই মিশন শেষে হিডিন এখন আবার মিকিউ গ্রহে ফিরে যাচ্ছে। এই গোপন মিশনটি ছিল বিশেষ এক প্রজাতির প্রাণী ক্রয় করা। হিডিনের ক্যাপ্টেন নিনন সেই প্রাণীগুলোকে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই ক্রয় করতে পেরেছে। প্রাণীগুলোকে হিডিনে গোপন একটি কক্ষে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। এই অতিরিক্ত নিরাপত্তার বিশেষ যুক্তিও আছে। মহাবিশ্বে দুর্লভ এই প্রাণীর মেয়ে প্রজাতি শুধু তার কাছেই আছে। বিউনের প্রাণী গবেষণাগার ত্যাগ করার সময় কৌশলে সে সেখানে ছোট্ট একটা টাইম বোমা রেখে এসেছিল। বিউন প্রাণী বিজ্ঞানী হওয়ায় কিছুই টের পায়নি। বোমা স্থাপনের চব্বিশ ঘণ্টা পর অর্থাৎ গতকাল বিস্ফোরণ ঘটেছে বোমাটির। সাথে সাথে ধ্বংস হয়ে গেছে বিউনের প্রাণী গবেষণাগার। একই সাথে মৃত্যু হয়েছে বিউন এবং তার ওখানে অবশিষ্ট দুই দুর্লভ প্রাণীর।


নিনন ধীরে পায়ে গোপন কক্ষে প্রবেশ করল। প্রাণীগুলোকে গত দু’দিন ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। আজ ওদেরকে জাগান হয়েছে। তাও খুব সামান্য সময়ের জন্য। আবার ওদেরকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হবে। মিকিউ গ্রহে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত যত ঘুমাতে পারে ততই ওদের জন্য মঙ্গল। কারণ মিকিউ গ্রহে ওদের দিনগুলো হবে খুবই ভয়ঙ্কর। তখন ওরা আর ঘুমানোর সময় পাবে না। ওদের শরীরে হাজারো জৈবিক পরীক্ষা চালান হবে। দিন রাত, মাস-বছর যন্ত্রণায় ছটফট করলেও তখন মুক্তির আর কোন উপায় থাকবে না। ঘুমতো দূরের কথা, হয়তো সামান্য চোখ বুজারও সময় পাবে না ওরা। 


ছোট্ট একটা খাঁচার মধ্যে প্রাণী দুটিকে রাখা হয়েছে। দুটি প্রাণীই জেগে আছে। চোখে ভয় আর আতঙ্ক। প্রাণীগুলোর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পড়াশুনা করার সময় এই প্রাণীগুলোর ভাষাও কিছুটা রপ্ত করেছিল নিনন। তাই তার ইচ্ছে এই ভাষা ব্যবহার করে এদের সাথে দু’একটা কথা বলা যায় কিনা তা চেষ্টা করে দেখা।


নিনন খাঁচার দরজায় মুখ রেখে হিস্ হিস্ করে উঠল। আর তাতে মেয়ে প্রাণীটা ভয় পেয়ে ছেলেটার আরো কাছে গিয়ে বসল। নিনন বেশ মজা পেল। সে আবারও মুখ দিয়ে হিস্ হিস্ শব্দ করল।

       প্রাণী  ভয় পেয়ে একে অন্যের আরো কাছে এলো।

      নিনন এবার মিষ্টি স্বরে বলল, এই প্রাণীরা, তোমরা ভয় পাচ্ছ কেন?

সাথে সাথে ফুঁসে উঠল ছেলে প্রাণীটা। মাথা উচু করে জোর গলায় ধমকে উঠে বলল, আমাদেরকে প্রাণী বলছ কেন? আমাদেরকে সম্মান করে কথা বলো। আমরা পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে বুদ্ধিমান জীব 'মানুষ'।

 

 (রচনাকাল,  ইংল্যান্ড-লেস্টার, ২২/০৭/২০০৬)

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ