শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১

অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব: ১

প্রায় একঘণ্টার কাছাকাছি সময় গাড়ি থেমে আছে। তার আগে একঘণ্টা গাড়ি চলেছে থেমে থেমে টুকটুক করে। গাজীপুর চৌরাস্তার আগে এসে পুরোপুরো থেমে গেছে। কতক্ষণ এভাবে থেমে থাকবে সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছে না। রাস্তার ওপর গাড়ির বিশাল সারি। স্টার্ট বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। কারও ভেতর তেমন কোনো উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে না। ব্যাপারটা নিয়ে কাউকে চিন্তিতও মনে হচ্ছে না। গাজীপুর চৌরাস্তায় গাড়ির জ্যাম নৈমিত্তিক ঘটনা। তা নিয়ে অস্থির হওয়ার কিছু নেই। মানুষজনের ভেতর ঢিলেঢালা ভাব। আরামে চোখ বন্ধ করে কাঠি দিয়ে কান খোঁচানোর মতো ব্যাপার। কেউ কেউ গাড়িতে বসে দাঁত খোঁচাচ্ছে। স্টিয়ারিং হুইল ছেড়ে দিয়ে কয়েকজন গাড়ির বাইরে হাঁটাহাঁটি করছে। যেন তাদের হাতে অনন্ত সময়। দিনের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এখানে বসে থাকতে পারবে।

আমাকে যেতে হবে ময়মনসিংহ। সকাল ছয়টায় রওনা হয়েছি ঢাকা থেকে। ১১৫ কিলোমিটার পথ। তিন ঘন্টার বেশি লাগার কথা না। দশটায় সেখানে সাহিত্য সম্মেলন শুরু হবে। তারা আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে সাহিত্য সম্মেলনে থাকতে বলেছে। অনুরোধে ঢেঁকি গেলা আমার অভ্যাস। সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করার দায় লেখকের আছে বলে মনে করি। একজন লেখক হিসেবে সে দায় এড়িয়ে যাই না। তা ছাড়া সাহিত্যে একুশে পদক পাওয়ার সম্ভাবনা যখন প্রতিবছর উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে। সেই কবে, কতদিন আগে কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছি এখন আর মনেও পড়ে না। অন্যান্য পুরস্কারগুলো দিয়ে আমাকে সম্মানীত করার কথা বলে আয়োজকরা নিজেকে সম্মানীত করেছে।

নোমানের আসার কথা ছিল আমার সঙ্গে। নোমান আহমদ। শিশুসাহিত্যে সে বেশ নাম করেছে। বছর আট আগে অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরষ্কার পেয়েছে। এখন বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়ার জন্য নিয়মিত তদবির করে যাচ্ছে। শিগরি সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়ে যাবে বলে আশা করছি। গতরাতে বাসায় এসেছিল নোমান। বললাম, ‘মৈমনসিং যাবি?’
‘মন্ডা খেতে?’
‘খাওয়া ছাড়া কিছু বুঝিস না?’
নোমান কাশল। টিস্যু নিয়ে এসে ওয়েস্ট বিনে ফেলে দিয়ে বলল, ‘বিয়ে বাড়িতে গিয়ে কয়জন মানুষ বর-বউ দেখে বলেন তো? তারা খেয়েদেয়ে চলে আসে। জীবনের মূলে আছে পেট আর...’
নোমান কথা শেষ করল না। আবার কাশল।
জিগ্যেস করলাম, ‘তোর ঠান্ডা লেগেছে?’
‘ঢাকা শহরের ধুলো আর বাতাসের দূষণের কাছে মাস্ক হচ্ছে ত্যানা। নাকেমুখের ভেতর আড়াই কেজি ধুলো ঢুকেছে। আপনার বাড়ির রাস্তায় কনস্ট্রাকশন হচ্ছে। আওয়াজে বোঝেন না? যাওয়া-আসা তো করেন গাড়িতে।’
কথা না বাড়িয়ে বললাম, ‘ময়মনসিংহে সাহিত্য সম্মেলন হচ্ছে দুদিনের। আগামীকাল উদ্বোধন। তুই চল আমার সাথে।’
নোমান রাজি হলো। রাত সোয়া একটার সময় ফোন করে বলে, ‘ভাই প্রবল জ্বরে কাতর হয়ে গেছি। মুক্তাগাছার মন্ডা আমার ভাগ্যে নেই।’
একা এতটা পথ যাওয়া বিরক্তিকর। নিজের ওপর রাগ হচ্ছে। গতরাতেই আমার বোঝা উচিত ছিল নোমানের শরীর খারাপ। মামুনকে বললে সে আসত। দরকার হলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে আসত।
‘আনিস কয়টা বাজে?’
যে ছেলেটি আমার গাড়ি চালাচ্ছে তার নাম আনিস। ২৮ বছর বয়স। অতিরিক্ত শুকনো শরীর। তার চেহারায় ভয় পাওয়া ভাব আছে। সে কি শুধু আমাকেই ভয় পায় নাকি সবাইকে ভয় পায় জানি না। অন্যদের ভয় পায় বলে মনে হয় না। কয়েক দিন দেখেছি আনিস গাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে অন্যগাড়ির ড্রাইভার কিংবা অটোরিকশা চালকের সঙ্গে ঝগড়া করছে,
‘ওই মিয়া চাপ দিলেন ক্যান?’
‘ডাইনে পিক-আপ ছিল।’
‘ডাইনে পিক-আপ দেখেন বামে গাড়ি দেখেন না? গাড়ি টান দেন। সামনে গিয়ে দাঁড়ান। গাড়ির সাথে গাড়ি লাগাই রাখবেন না।’

আনিস হম্বিতম্বি করতে থাকে। দেখে মনে হয় কিছুক্ষণের ভেতর ঘোসাঘুসি শুরু হবে। আর সেই মারামারি শুরু করবে আনিস। সে আমাকে না জানিয়ে গাড়ির ডিকির কালো ম্যাটের নিচে গজারির ডাল রেখে দিয়েছে। মনে হয় মারামারির প্রস্তুতি। আমাকে কেন সে ভয় পায় তার কোনো কারণ আবিষ্কার করতে পারিনি। আমার ঘড়ি হাতে দেওয়ার অভ্যাস নেই। পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে সময় দেখতে আলসেমি লাগছে।
আনিস ঢোক গিলল। খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করল। কথা শুরুর আগে সবসময় সে খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নেয়। আনিস চুপ করে আছে। সে কিছু বলল না।
ঘাড় উঁচু করে খেয়াল করলাম আনিসের হাতে ঘড়ি নেই। সেও আমার মতো ঘড়ি হাতে দেয় না। তাতে অসুবিধা নেই। গাড়িতে ঘড়ি আছে। আমার কথা হয়তো শুনতে পায়নি। মাথা সামনে ঝুঁকিয়ে বললাম, ‘আনিস, কয়টা বাজে দেখো তো।’
আনিস আবার খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিল। গাড়ির ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অতি নিচু আওয়াজে বলল, ‘স্যার, ছয়টা বাজে।’
চমকে উঠেছি। ফাজলামি করে নাকি এই ছেলে! কথা বলে সব সময় নিচু স্বরে। তার ফাজলামি করার সাহস থাকার কথা নয়। খানিকটা রাগ করে বললাম, ‘কয়টা বাজে বললে?’
‘গাড়ির ঘড়ি বন্ধ হয়ে আছে। ঠিক করতে হবে।’
‘ঠিক করো।’
‘চেষ্টা করেছিলাম। হয়নি। মেকানিকের কাছে নিতে হবে।’
গাড়ির ঘড়ি অনেকগুলো ফাংশনের সঙ্গে জড়িত। সেটা আলাদাভাবে বন্ধ হতে পারে বলে আমার ধারণা ছিল না। গাড়ির কিছু হলে ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়ার ঝোঁক এদের থেকেই যায়।
বললাম, ‘মোবাইলে দেখো কয়টা বাজে।’
‘স্যার, মোবাইলে চার্জ নেই। মোবাইল বন্ধ।’
‘গাড়ি থেকে চার্জ দাও।’
‘চার্জারের পিন ভেঙে গেছে।’
‘তাহলে আর তুমি আছ কেন, আনিস? নেমে হাঁটা দাও। যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাও।’
পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি নয়টা বাজে। বিরক্তি মেজাজ খারাপে রূপ নিয়েছে। কার ওপর রাগ হচ্ছে বুঝতে পারছি না। নিজের ওপর রাগ করব নাকি সরকারের ওপর! রাস্তাতেই যদি কর্মঘণ্টা সব শেষ হয়ে যায় তাহলে দেশ উন্নত হবে কীভাবে? যানজটের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনাহীনতা আর উদাসীনতা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
আনিস গাড়ি থেকে নেমে গেল। সে কি সত্যি সত্যি যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকে রওনা হয়ে যাবে নাকি! আমাকে ড্রাইভ করে ময়মনসিংহ যেতে হবে! ফিরতেও হবে ড্রাইভ করে!
‘স্যার, ডাব খান। শ্রীপুরের কচি ডাব। পানি বেশি আর মিষ্টি।’
আনিস ডাব কিনে এনেছে। শ্রীপুরের কাঁঠাল ভালো হয় জানি, এখানকার ডাব ভালো হয় এমন তথ্য আমার কাছে ছিল না।
ডাব মোটেও ভালো না। পানির স্বাদ নোনতা। স্ট্র ছিল বলে কিছুক্ষণ খাওয়া গেছে। ডাবে মুখ লাগিয়ে খেলে দুই ঢোকে পানি শেষ হয়ে যেত।
ডাবের খোলা ফেরত দিতে দিতে বললাম, ‘তুমি ডাব খেয়েছ, আনিস?’
‘জি স্যার।’
‘ডাব কত করে?’
‘৮০ টাকা চায়। ৬০ টাকা করে দিয়েছি।’
ডাবের পানি নোনতা হলেও ভালো লাগছে। কোনো অদ্ভুত কারণে আমার ভেতর কিছুক্ষণের আগের রাগ বা বিরক্ত ভাব নেই। টেনশন করার কোনো কারণ দেখছি না। রাস্তার এমন জটিল অবস্থায় আমার কিছু করার নেই। বাসা থেকে সময়মতো বের হয়েছি। সকাল ৬টায় বেরুলে ৯টার ভেতর পৌঁছে যেতে পারব একথা তারাই বলেছে। যারা সম্মেলন আয়োজন করেছে। তারা একজনকে সঙ্গে দিতে চেয়েছিল। রাজি হইনি। অপরিচিত কারও সঙ্গে জার্নি করতে পছন্দ করি না। তারা বলেছে, ময়মনসিংহ গিয়ে নাস্তা করব। স্থানীয় কয়েকজন বিশিষ্ট লেখক আসবেন কথা বলতে। তাদের সময় দিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে যাব।

গাড়ির সিট পকেটে কালো কাপড় দিয়ে বাঁধানো ডায়েরি। কালো কাপড়ে সাদা সুতোর সেলাই। ইচ্ছে হলে পথে পড়ব বলে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। গতকাল অফিসে এক মেয়ে এসেছিল। ও আচ্ছা বলে নিই, আমি একটা জাতীয় দৈনিকে কাজ করি। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। বেশ নামি পত্রিকা। সরকারের সমালোচনা করে পত্রিকার কাটতি বেড়েছে। মালিক অবশ্য নিয়মিত সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে খাতির রেখে চলেন। এতে সরকারের সমালোচনা করেও পত্রিকা চালাতে সমস্যা হয় না।
গাড়ির সিট পকেট থেকে ডায়েরিটা বের করে হাতে নিলাম। গতকাল অফিসে তুরি এসেছিল। সে ছবি আঁকে। চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে পাশ করেছে। এখন ছেলেমেয়েদের আর্ট শেখানোর ইশকুল চালায়। শিশুদের জন্য দুটো বই লিখেছি। সেই বইয়ের অলংকরণ করেছে তুরি। প্রকাশক তার আঁকা ছবিগুলো দেখে দিতে বলেছেন।
তুরিকে দেখে খানিকটা অন্যরকম মনে হয়েছে। আর দশজনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার মতো না। তার পরনে ছিল রঙিন প্রিন্টের ধুতি সালোয়ার আর ফতুয়া। বেশ রঙচঙা ওড়না পেঁচানো ছিল গলায়। কাঁধে লম্বা ফিতায় ঝোলানো কাপড়ের ব্যাগ। প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত চোখ জোড়া বেশ গভীর আর বড়ো বড়ো। চোখের মণি গাঢ় আর ভরাট কালো কুচকুচে। চোখে মোটা করে কাজল দিয়েছে। কিসের যেন আকর্ষণ আছে মেয়েটির ভেতর। কিসের আকর্ষণ সেটা চট করে ধরতে পারিনি।
তুরির শরীরের গড়ন অনেকটা বেতের মতো ছিপছিপে। গায়ের রং ফরসা। শুধু ফরসা না। সবরি কলার মতো নমনীয় দীপ্তি আছে। যেমন কলাগাছের মাঝখানের পাতার থাকে। তুরিকে দেখে মনে হয়েছিল দিনেদুপুরে ঘরে জোছনার আলো ঢুকে পড়েছে।
বললাম, ‘তুরি, বসো।’
তুরি বসল। চোখ ঘুরিয়ে পুরো ঘর দেখল। ছিমছাম সাজানো গোছানো সম্পাদকের ঘর। চোখ দেখে বুঝলাম তুরির ভালো লেগেছে। সেখানে প্রশান্তি ছেয়ে আছে। অনেকগুলো বই আর পত্রিকা রাখা আছে টেবিলের ওপর। সেগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। কাগজ, বইপত্র গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করি।
জানতে চাইলাম, ‘ছবি এনেছ?’
‘জি।’
তুরি গলার আওয়াজ সুন্দর। মোলায়েম। শুনতে আরাম লাগে। সে ব্যাগ থেকে ছবি বের করে টেবিলে রাখল।
বললাম, ‘তুমি করে বলছি। বয়স হয়েছে। তোমাদের বয়সের ছেলেমেয়েদের আপনি বলতে ইচ্ছে করে না ’
‘আমি অনেক ছোটো। তুমি করেই বলবেন।’
ছবিগুলো দেখলাম। তুরি সুন্দর এঁকেছে। শুধু সুন্দর বললে কৃপণতা করা হবে। যথেষ্ট সুন্দর এঁকেছে। মুগ্ধ হওয়ার মতো। তুরির আঁকা ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম। বললাম, ‘শিশুদের জন্য ছবি আঁকা ব্যাপারটা খুব সহজ নয়। এখানে এক্সপ্রেশন বড়ো ফ্যাক্টর। পাখির চোখ কথা বলবে। কিংবা ধরো হাতি বা বানরের অ্যাকশন।’
তুরি মনে হয় বুঝতে পারছে না তার আঁকা ছবিগুলো ঠিক হয়েছে কিনা। বলল, ‘শিশুরা যখন গল্প পড়ে তখন সে নিজের মতো করে কল্পনা করে। সেই কল্পনার সঙ্গে গল্পের ছবি মেলায়। শিশুদের বইয়ের অলংকরণের জন্য শিশু-মন বুঝতে পারা জরুরি।’
তুরি বলল, ‘আমি চেষ্টা করেছি।’
‘তোমার আঁকা ছবিগুলো হয়েছে অসাধারণ। অসম্ভব সুন্দর। তুমি কি মাইন্ড রিড করতে পারো? লেখার সময় যেমন ভেবেছিলাম একদম সেভাবেই এঁকেছ। কেমন করে বুঝলে তুমি, যে আমি ঠিক এটাই ভেবেছি?’
‘আপনার লেখা পড়লে মনে হয় ঘটনা সামনে ঘটছে। সবকিছু জীবন্ত। ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছিলাম।’
‘খুব খুশি হয়েছি। এসো আমরা আমাদের এই আনন্দ সেলিব্রেট করি। তোমাকে স্পেশাল কফি খাওয়াই। দ্য মোস্ট এক্সপেন্সিভ কফি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। কোপি লুয়াক। এই কফির পেছনে ঘটনা আছে। সেই ঘটনা তোমাকে আরেকদিন বলব।’
ইউসুফকে ডেকে স্পেশাল কফির কথা বললাম। ইউসুফ সম্পাদকের পিয়ন। চা-কফি বানায়। কাগজপত্র আনানেওয়া, ফটোকপি করা ইত্যাদি কাজ ইউসুফ করে।
তুরি বলল, ‘ছবি আঁকা এখন আমার পেশা বলতে পারেন। টুকটাক লেখার চেষ্টা করি। সেটা নেশা।’
আগ্রহ বোধ করলাম। জিগ্যেস করলাম, ‘তুমি লেখো?’
‘একটা লেখা শুরু করেছি। অনেকটা নিজেকে নিয়ে। বলতে পারেন একেবারে আমার নিজের কথা।’
‘বাড়িতে কে কে আছেন?’
‘শ্বশুরবাড়িতে থাকি। বেশিদিন হয়নি আমার বিয়ে হয়েছে। আমি, আমার বর আর শাশুড়ি।’
‘তোমার হাজবেন্ড কী করে?’
‘সে হাউজ হাজবেন্ড। শাশুড়ির বাড়ি আছে। সেটার ভাড়া দিয়ে সংসার চলে।’
কিছু ভাবছিলাম হয়তো। চুপ করে ছিলাম। তুরি বলল, ‘আমার লেখা নোটবুক রেখে যাচ্ছি। আপনি পড়বেন। আমার জীবনকথা দিয়ে কীভাবে উপন্যাস লেখা যেতে পারে পড়ে বলবেন।’
‘দেখো মেয়ে, তোমার ভাবনা অন্যকেউ স্পর্শ করতে পারবে না। তুমি লিখলে যতটা জীবন্ত হবে, অন্য কেউ লিখলে সেটা হবে প্রাণহীন, কথার পিঠে কথা সাজানো।’
‘আমাকে শুধু বলবেন লেখাটা সাজাব কেমন করে। শুরুটা কীভাবে করব আর শেষ কোথায় হবে। শেষের কথা আগেই ভাবব কিনা। যদি ভাবি তাহলে সেখানে পৌঁছানোর জন্য কী করতে হবে—এসব।’
অন্যের লেখা পাণ্ডুলিপি কিংবা এমন ভাবনা পড়তে পছন্দ করি না। তবে তুরিকে উপেক্ষা করতে পারলাম না। নোটবুক রেখে দিলাম।

গাড়ির হর্ন বাজছে। তীব্র হর্ন। সবগুলো গাড়ি একসঙ্গে হর্ন দিচ্ছে। আনিস উঠে এসেছে গাড়িতে। গাড়ি ধীরলয়ে চলতে শুরু করেছে।
তীব্র হর্নের আওয়াজ কমে এসেছে। তবে কে কার আগে যেতে পারে এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। তাতে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে না। গাড়ি যাচ্ছে এক লেনে। ওভারটেক করার উপায় নেই।
একসময় গাড়ির হর্নের আওয়াজ থেমে এলো। গাড়ি স্বাভাবিক গতি পেয়েছে। এগিয়ে যাচ্ছে। নিজের ভেতরের অস্থিরতা চলে গেছে। প্রশান্তি বোধ হচ্ছে।
তুরির নোটবুক খুললাম। প্রথম পাতায় পাঁচ লাইনের কবিতা লেখা।

বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ
খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—
সন্ধ্যার নদীর জলে নামে যে আলোক
জোনাকির দেহ হতে—খুঁজেছি তোমারে সেইখানে
ধূসর পেঁচার মতো ডানা মেলে অঘ্রানের অন্ধকারে

পরপর দুবার পড়লাম কবিতাটা। জীবনানন্দ দাশের লেখা। কবিতা নিয়ে কিছু লেখা নেই। তুরি নোটবুকের শুরুতে কেন এই কবিতা লিখল বুঝতে পারছি না।
রাস্তা প্রায় ফাঁকা হয়ে এসেছে। গাড়ির চাপ একদম নেই। দুপাশে শালবন। শালগাছ কেটে বন উজাড় করে ফেলেছে। তবু মাঝেমাঝে ঘন হয়ে আসছে বন। মাথার ভেতর উচ্চারিত হচ্ছে প্রথম লাইন দুটো—

বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ
খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—

ঘুরেফিরে মাথার ভেতর অনুরণিত হয়ে যাচ্ছে। আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে। চোখের পাতা ভারী হয়ে এসেছে। সিটের পেছন দিকে মাথা হেলিয়ে দিলাম। আমিও বুঝি খুঁজে ফিরছি বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত দুই চোখ! যেমন খুঁজে ফিরেছিলেন জীবনানন্দ দাশ। হয়তো তুরিও একইভাবে খুঁজে ফিরছে। কবির মতো খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—। তবে কি তুরিও!
সবকিছু ছাপিয়ে দুটো শব্দ আটকে গেল মাথায়—অঘ্রানের অন্ধকারে! যেখানে থমকে গেছি আমি। হতে পারে তুরিও থেমে আছে আমার মতো অঘ্রানের অন্ধকারে।
আলতোভাবে চোখ বন্ধ করে ফেললাম। রুশিয়ার কথা মনে পড়ছে। আমার কিশোর বেলার প্রেম।

(চলবে)

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রামে খাল খননের নামে দুর্নীতি, বিপুল অর্থ লুটপাটের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে খাল খননের নামে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে খাল খননের প্রকল্পের মাধ্যমে বিপুল অর্থ লুটপাট করা হয়েছে, অথচ জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো করা হয়নি। শহরের খাল-নালার সংস্কার না হওয়ায় জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে নগরীর বহদ্দারহাট বারইপাড়া ও ষোলশহর সুন্নিয়া মাদরাসা খাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

পরিদর্শন শেষে গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, "গত কয়েক বছর ধরে নদী, নালা, খাল ও শহরের ভেতরের জলাবদ্ধতা নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রতি বছর চট্টগ্রাম নগরী পানির নিচে চলে যায়। আমরা চেষ্টা করছি শহরের নালা ও নদীতে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার। তবে এ বর্ষায় জলাবদ্ধতা কিছুটা কমলেও পুরোপুরি সমাধান পেতে সময় লাগবে। কাজটি রাতারাতি সম্ভব নয়, তবে আমরা এগিয়ে চলেছি।"

তিনি আরও বলেন, "পরবর্তী বর্ষায় যাতে পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে, সেজন্য কাজ করা হচ্ছে। এ বছর আগের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না বলে আশা করছি।"

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, "আগের মতো এখন সমন্বয়ের অভাব নেই। সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ মৌসুমে ৪০-৫০ শতাংশ উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে পুরো প্রকল্পের সুফল পেতে আরও এক বছর সময় লাগবে।"

তিনি আরও জানান, এর আগেও তিনজন উপদেষ্টা জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন, কিন্তু এখনো কার্যকর ফলাফল আসেনি। তবে এবার সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চসিক সূত্র জানায়, নগরীর বহদ্দারহাটের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২.৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৬৫ ফুট প্রশস্ত নতুন খালটি খননের দায়িত্ব নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। ২০১২ সালে নগরীর নাসিরাবাদ, মুরাদপুর, শুলকবহর, বহদ্দারহাট, বারইপাড়া ও বাকলিয়া এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ২৪ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।

প্রথমে এই প্রকল্পের জন্য ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও বারবার মেয়াদ বাড়ানোর কারণে ব্যয় বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকায়। তবুও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি সিটি কর্পোরেশন। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছর জুনে, কিন্তু এখনো কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।

গত ১৯ জানুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচ্চপর্যায়ের মনিটরিং টিম চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে আসে। তারা জলাবদ্ধতা নিরসনে ১১ দফা কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন, যা আগামী মে মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিমসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বহু বছর ধরে নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিয়মের কারণে নগরবাসী এখনো সমস্যার সমাধান পায়নি। খাল খননের নামে দুর্নীতি ও বিপুল অর্থ লুটপাটের অভিযোগ তদন্ত করে প্রকল্পের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে : ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে আয়োজিত গণমিছিল থেকে নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “বাংলার মাটিতে তাদের বিচার করেই পরবর্তী নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।”

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে জুমার নামাজের পর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।

সমাবেশে তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করেছিল, বাকশাল কায়েম করে রাষ্ট্রকে বিপর্যস্ত করেছিল এবং জুলাই আন্দোলনে যাদের হাতে নিরীহ ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি। আমরা বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা দেখতে পাচ্ছি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই— পতিত স্বৈরাচারীদের বিচার নিশ্চিত করেই আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দল এই দাবির পক্ষে সোচ্চার না থেকে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও দখলদারিতে লিপ্ত হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

সমাবেশে ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ বলেন, “আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রসমাজ রাজপথ ছাড়বে না। আমরা আশা করেছিলাম, অচিরেই তাদের হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হবে, কিন্তু এখনো তা হয়নি। বরং ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই— আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”

গণমিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, মানবাধিকার সম্পাদক সিফাত আলমসহ ঢাকা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিচার এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্রশিবিরের ব্যানারে একযোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

Header Ad
Header Ad

বিয়ে করলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিয়ে করেছেন।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

পোস্টে সারজিসকে অভিনন্দন জানিয়ে আসিফ মাহমুদ লেখেন, "নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সারজিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক।"

পোস্টের সঙ্গে সংযুক্ত ছবিতে দেখা যায়, বিয়ের পোশাকে দাঁড়িয়ে আছেন সারজিস আলম। তার পাশে রয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সারজিস আলমের এই নতুন যাত্রায় শুভ কামনা জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রামে খাল খননের নামে দুর্নীতি, বিপুল অর্থ লুটপাটের অভিযোগ
নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে : ছাত্রশিবির সেক্রেটারি
বিয়ে করলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজু গ্রেফতার
বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীশূন্যতা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু
ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ
নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে ইলন মাস্ক, পরপর দুই বছর মনোনীত
সারজিস আলমের নির্বাচনী আগ্রহ, কয়েক মিনিট পরেই সরিয়ে নিলেন পোস্ট
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
আল হিলাল ছেড়ে কোন ক্লাবে যাচ্ছেন? জানালেন নেইমার নিজেই
টিকটকে আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট, মেয়েকে গুলি করে হত্যা করলেন বাবা
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ৫ প্রাণ
ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদায়
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ১
সবজির দামে ক্রেতাদের স্বস্তি, বাজার চড়া তেল-চালের
বিশ্ব ইজতেমায় ৭২ দেশের ২১৫০ জন বিদেশি মেহমান এসেছেন
ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ বাবর, দুবাই হাসপাতালে ভর্তি
সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান ৫ দিনের রিমান্ডে
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজও অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা