সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১

অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব: ১

প্রায় একঘণ্টার কাছাকাছি সময় গাড়ি থেমে আছে। তার আগে একঘণ্টা গাড়ি চলেছে থেমে থেমে টুকটুক করে। গাজীপুর চৌরাস্তার আগে এসে পুরোপুরো থেমে গেছে। কতক্ষণ এভাবে থেমে থাকবে সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছে না। রাস্তার ওপর গাড়ির বিশাল সারি। স্টার্ট বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। কারও ভেতর তেমন কোনো উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে না। ব্যাপারটা নিয়ে কাউকে চিন্তিতও মনে হচ্ছে না। গাজীপুর চৌরাস্তায় গাড়ির জ্যাম নৈমিত্তিক ঘটনা। তা নিয়ে অস্থির হওয়ার কিছু নেই। মানুষজনের ভেতর ঢিলেঢালা ভাব। আরামে চোখ বন্ধ করে কাঠি দিয়ে কান খোঁচানোর মতো ব্যাপার। কেউ কেউ গাড়িতে বসে দাঁত খোঁচাচ্ছে। স্টিয়ারিং হুইল ছেড়ে দিয়ে কয়েকজন গাড়ির বাইরে হাঁটাহাঁটি করছে। যেন তাদের হাতে অনন্ত সময়। দিনের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এখানে বসে থাকতে পারবে।

আমাকে যেতে হবে ময়মনসিংহ। সকাল ছয়টায় রওনা হয়েছি ঢাকা থেকে। ১১৫ কিলোমিটার পথ। তিন ঘন্টার বেশি লাগার কথা না। দশটায় সেখানে সাহিত্য সম্মেলন শুরু হবে। তারা আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে সাহিত্য সম্মেলনে থাকতে বলেছে। অনুরোধে ঢেঁকি গেলা আমার অভ্যাস। সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করার দায় লেখকের আছে বলে মনে করি। একজন লেখক হিসেবে সে দায় এড়িয়ে যাই না। তা ছাড়া সাহিত্যে একুশে পদক পাওয়ার সম্ভাবনা যখন প্রতিবছর উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে। সেই কবে, কতদিন আগে কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছি এখন আর মনেও পড়ে না। অন্যান্য পুরস্কারগুলো দিয়ে আমাকে সম্মানীত করার কথা বলে আয়োজকরা নিজেকে সম্মানীত করেছে।

নোমানের আসার কথা ছিল আমার সঙ্গে। নোমান আহমদ। শিশুসাহিত্যে সে বেশ নাম করেছে। বছর আট আগে অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরষ্কার পেয়েছে। এখন বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়ার জন্য নিয়মিত তদবির করে যাচ্ছে। শিগরি সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়ে যাবে বলে আশা করছি। গতরাতে বাসায় এসেছিল নোমান। বললাম, ‘মৈমনসিং যাবি?’
‘মন্ডা খেতে?’
‘খাওয়া ছাড়া কিছু বুঝিস না?’
নোমান কাশল। টিস্যু নিয়ে এসে ওয়েস্ট বিনে ফেলে দিয়ে বলল, ‘বিয়ে বাড়িতে গিয়ে কয়জন মানুষ বর-বউ দেখে বলেন তো? তারা খেয়েদেয়ে চলে আসে। জীবনের মূলে আছে পেট আর...’
নোমান কথা শেষ করল না। আবার কাশল।
জিগ্যেস করলাম, ‘তোর ঠান্ডা লেগেছে?’
‘ঢাকা শহরের ধুলো আর বাতাসের দূষণের কাছে মাস্ক হচ্ছে ত্যানা। নাকেমুখের ভেতর আড়াই কেজি ধুলো ঢুকেছে। আপনার বাড়ির রাস্তায় কনস্ট্রাকশন হচ্ছে। আওয়াজে বোঝেন না? যাওয়া-আসা তো করেন গাড়িতে।’
কথা না বাড়িয়ে বললাম, ‘ময়মনসিংহে সাহিত্য সম্মেলন হচ্ছে দুদিনের। আগামীকাল উদ্বোধন। তুই চল আমার সাথে।’
নোমান রাজি হলো। রাত সোয়া একটার সময় ফোন করে বলে, ‘ভাই প্রবল জ্বরে কাতর হয়ে গেছি। মুক্তাগাছার মন্ডা আমার ভাগ্যে নেই।’
একা এতটা পথ যাওয়া বিরক্তিকর। নিজের ওপর রাগ হচ্ছে। গতরাতেই আমার বোঝা উচিত ছিল নোমানের শরীর খারাপ। মামুনকে বললে সে আসত। দরকার হলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে আসত।
‘আনিস কয়টা বাজে?’
যে ছেলেটি আমার গাড়ি চালাচ্ছে তার নাম আনিস। ২৮ বছর বয়স। অতিরিক্ত শুকনো শরীর। তার চেহারায় ভয় পাওয়া ভাব আছে। সে কি শুধু আমাকেই ভয় পায় নাকি সবাইকে ভয় পায় জানি না। অন্যদের ভয় পায় বলে মনে হয় না। কয়েক দিন দেখেছি আনিস গাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে অন্যগাড়ির ড্রাইভার কিংবা অটোরিকশা চালকের সঙ্গে ঝগড়া করছে,
‘ওই মিয়া চাপ দিলেন ক্যান?’
‘ডাইনে পিক-আপ ছিল।’
‘ডাইনে পিক-আপ দেখেন বামে গাড়ি দেখেন না? গাড়ি টান দেন। সামনে গিয়ে দাঁড়ান। গাড়ির সাথে গাড়ি লাগাই রাখবেন না।’

আনিস হম্বিতম্বি করতে থাকে। দেখে মনে হয় কিছুক্ষণের ভেতর ঘোসাঘুসি শুরু হবে। আর সেই মারামারি শুরু করবে আনিস। সে আমাকে না জানিয়ে গাড়ির ডিকির কালো ম্যাটের নিচে গজারির ডাল রেখে দিয়েছে। মনে হয় মারামারির প্রস্তুতি। আমাকে কেন সে ভয় পায় তার কোনো কারণ আবিষ্কার করতে পারিনি। আমার ঘড়ি হাতে দেওয়ার অভ্যাস নেই। পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে সময় দেখতে আলসেমি লাগছে।
আনিস ঢোক গিলল। খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করল। কথা শুরুর আগে সবসময় সে খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নেয়। আনিস চুপ করে আছে। সে কিছু বলল না।
ঘাড় উঁচু করে খেয়াল করলাম আনিসের হাতে ঘড়ি নেই। সেও আমার মতো ঘড়ি হাতে দেয় না। তাতে অসুবিধা নেই। গাড়িতে ঘড়ি আছে। আমার কথা হয়তো শুনতে পায়নি। মাথা সামনে ঝুঁকিয়ে বললাম, ‘আনিস, কয়টা বাজে দেখো তো।’
আনিস আবার খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিল। গাড়ির ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অতি নিচু আওয়াজে বলল, ‘স্যার, ছয়টা বাজে।’
চমকে উঠেছি। ফাজলামি করে নাকি এই ছেলে! কথা বলে সব সময় নিচু স্বরে। তার ফাজলামি করার সাহস থাকার কথা নয়। খানিকটা রাগ করে বললাম, ‘কয়টা বাজে বললে?’
‘গাড়ির ঘড়ি বন্ধ হয়ে আছে। ঠিক করতে হবে।’
‘ঠিক করো।’
‘চেষ্টা করেছিলাম। হয়নি। মেকানিকের কাছে নিতে হবে।’
গাড়ির ঘড়ি অনেকগুলো ফাংশনের সঙ্গে জড়িত। সেটা আলাদাভাবে বন্ধ হতে পারে বলে আমার ধারণা ছিল না। গাড়ির কিছু হলে ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়ার ঝোঁক এদের থেকেই যায়।
বললাম, ‘মোবাইলে দেখো কয়টা বাজে।’
‘স্যার, মোবাইলে চার্জ নেই। মোবাইল বন্ধ।’
‘গাড়ি থেকে চার্জ দাও।’
‘চার্জারের পিন ভেঙে গেছে।’
‘তাহলে আর তুমি আছ কেন, আনিস? নেমে হাঁটা দাও। যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাও।’
পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি নয়টা বাজে। বিরক্তি মেজাজ খারাপে রূপ নিয়েছে। কার ওপর রাগ হচ্ছে বুঝতে পারছি না। নিজের ওপর রাগ করব নাকি সরকারের ওপর! রাস্তাতেই যদি কর্মঘণ্টা সব শেষ হয়ে যায় তাহলে দেশ উন্নত হবে কীভাবে? যানজটের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনাহীনতা আর উদাসীনতা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
আনিস গাড়ি থেকে নেমে গেল। সে কি সত্যি সত্যি যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকে রওনা হয়ে যাবে নাকি! আমাকে ড্রাইভ করে ময়মনসিংহ যেতে হবে! ফিরতেও হবে ড্রাইভ করে!
‘স্যার, ডাব খান। শ্রীপুরের কচি ডাব। পানি বেশি আর মিষ্টি।’
আনিস ডাব কিনে এনেছে। শ্রীপুরের কাঁঠাল ভালো হয় জানি, এখানকার ডাব ভালো হয় এমন তথ্য আমার কাছে ছিল না।
ডাব মোটেও ভালো না। পানির স্বাদ নোনতা। স্ট্র ছিল বলে কিছুক্ষণ খাওয়া গেছে। ডাবে মুখ লাগিয়ে খেলে দুই ঢোকে পানি শেষ হয়ে যেত।
ডাবের খোলা ফেরত দিতে দিতে বললাম, ‘তুমি ডাব খেয়েছ, আনিস?’
‘জি স্যার।’
‘ডাব কত করে?’
‘৮০ টাকা চায়। ৬০ টাকা করে দিয়েছি।’
ডাবের পানি নোনতা হলেও ভালো লাগছে। কোনো অদ্ভুত কারণে আমার ভেতর কিছুক্ষণের আগের রাগ বা বিরক্ত ভাব নেই। টেনশন করার কোনো কারণ দেখছি না। রাস্তার এমন জটিল অবস্থায় আমার কিছু করার নেই। বাসা থেকে সময়মতো বের হয়েছি। সকাল ৬টায় বেরুলে ৯টার ভেতর পৌঁছে যেতে পারব একথা তারাই বলেছে। যারা সম্মেলন আয়োজন করেছে। তারা একজনকে সঙ্গে দিতে চেয়েছিল। রাজি হইনি। অপরিচিত কারও সঙ্গে জার্নি করতে পছন্দ করি না। তারা বলেছে, ময়মনসিংহ গিয়ে নাস্তা করব। স্থানীয় কয়েকজন বিশিষ্ট লেখক আসবেন কথা বলতে। তাদের সময় দিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে যাব।

গাড়ির সিট পকেটে কালো কাপড় দিয়ে বাঁধানো ডায়েরি। কালো কাপড়ে সাদা সুতোর সেলাই। ইচ্ছে হলে পথে পড়ব বলে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। গতকাল অফিসে এক মেয়ে এসেছিল। ও আচ্ছা বলে নিই, আমি একটা জাতীয় দৈনিকে কাজ করি। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। বেশ নামি পত্রিকা। সরকারের সমালোচনা করে পত্রিকার কাটতি বেড়েছে। মালিক অবশ্য নিয়মিত সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে খাতির রেখে চলেন। এতে সরকারের সমালোচনা করেও পত্রিকা চালাতে সমস্যা হয় না।
গাড়ির সিট পকেট থেকে ডায়েরিটা বের করে হাতে নিলাম। গতকাল অফিসে তুরি এসেছিল। সে ছবি আঁকে। চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে পাশ করেছে। এখন ছেলেমেয়েদের আর্ট শেখানোর ইশকুল চালায়। শিশুদের জন্য দুটো বই লিখেছি। সেই বইয়ের অলংকরণ করেছে তুরি। প্রকাশক তার আঁকা ছবিগুলো দেখে দিতে বলেছেন।
তুরিকে দেখে খানিকটা অন্যরকম মনে হয়েছে। আর দশজনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার মতো না। তার পরনে ছিল রঙিন প্রিন্টের ধুতি সালোয়ার আর ফতুয়া। বেশ রঙচঙা ওড়না পেঁচানো ছিল গলায়। কাঁধে লম্বা ফিতায় ঝোলানো কাপড়ের ব্যাগ। প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত চোখ জোড়া বেশ গভীর আর বড়ো বড়ো। চোখের মণি গাঢ় আর ভরাট কালো কুচকুচে। চোখে মোটা করে কাজল দিয়েছে। কিসের যেন আকর্ষণ আছে মেয়েটির ভেতর। কিসের আকর্ষণ সেটা চট করে ধরতে পারিনি।
তুরির শরীরের গড়ন অনেকটা বেতের মতো ছিপছিপে। গায়ের রং ফরসা। শুধু ফরসা না। সবরি কলার মতো নমনীয় দীপ্তি আছে। যেমন কলাগাছের মাঝখানের পাতার থাকে। তুরিকে দেখে মনে হয়েছিল দিনেদুপুরে ঘরে জোছনার আলো ঢুকে পড়েছে।
বললাম, ‘তুরি, বসো।’
তুরি বসল। চোখ ঘুরিয়ে পুরো ঘর দেখল। ছিমছাম সাজানো গোছানো সম্পাদকের ঘর। চোখ দেখে বুঝলাম তুরির ভালো লেগেছে। সেখানে প্রশান্তি ছেয়ে আছে। অনেকগুলো বই আর পত্রিকা রাখা আছে টেবিলের ওপর। সেগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। কাগজ, বইপত্র গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করি।
জানতে চাইলাম, ‘ছবি এনেছ?’
‘জি।’
তুরি গলার আওয়াজ সুন্দর। মোলায়েম। শুনতে আরাম লাগে। সে ব্যাগ থেকে ছবি বের করে টেবিলে রাখল।
বললাম, ‘তুমি করে বলছি। বয়স হয়েছে। তোমাদের বয়সের ছেলেমেয়েদের আপনি বলতে ইচ্ছে করে না ’
‘আমি অনেক ছোটো। তুমি করেই বলবেন।’
ছবিগুলো দেখলাম। তুরি সুন্দর এঁকেছে। শুধু সুন্দর বললে কৃপণতা করা হবে। যথেষ্ট সুন্দর এঁকেছে। মুগ্ধ হওয়ার মতো। তুরির আঁকা ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম। বললাম, ‘শিশুদের জন্য ছবি আঁকা ব্যাপারটা খুব সহজ নয়। এখানে এক্সপ্রেশন বড়ো ফ্যাক্টর। পাখির চোখ কথা বলবে। কিংবা ধরো হাতি বা বানরের অ্যাকশন।’
তুরি মনে হয় বুঝতে পারছে না তার আঁকা ছবিগুলো ঠিক হয়েছে কিনা। বলল, ‘শিশুরা যখন গল্প পড়ে তখন সে নিজের মতো করে কল্পনা করে। সেই কল্পনার সঙ্গে গল্পের ছবি মেলায়। শিশুদের বইয়ের অলংকরণের জন্য শিশু-মন বুঝতে পারা জরুরি।’
তুরি বলল, ‘আমি চেষ্টা করেছি।’
‘তোমার আঁকা ছবিগুলো হয়েছে অসাধারণ। অসম্ভব সুন্দর। তুমি কি মাইন্ড রিড করতে পারো? লেখার সময় যেমন ভেবেছিলাম একদম সেভাবেই এঁকেছ। কেমন করে বুঝলে তুমি, যে আমি ঠিক এটাই ভেবেছি?’
‘আপনার লেখা পড়লে মনে হয় ঘটনা সামনে ঘটছে। সবকিছু জীবন্ত। ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছিলাম।’
‘খুব খুশি হয়েছি। এসো আমরা আমাদের এই আনন্দ সেলিব্রেট করি। তোমাকে স্পেশাল কফি খাওয়াই। দ্য মোস্ট এক্সপেন্সিভ কফি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। কোপি লুয়াক। এই কফির পেছনে ঘটনা আছে। সেই ঘটনা তোমাকে আরেকদিন বলব।’
ইউসুফকে ডেকে স্পেশাল কফির কথা বললাম। ইউসুফ সম্পাদকের পিয়ন। চা-কফি বানায়। কাগজপত্র আনানেওয়া, ফটোকপি করা ইত্যাদি কাজ ইউসুফ করে।
তুরি বলল, ‘ছবি আঁকা এখন আমার পেশা বলতে পারেন। টুকটাক লেখার চেষ্টা করি। সেটা নেশা।’
আগ্রহ বোধ করলাম। জিগ্যেস করলাম, ‘তুমি লেখো?’
‘একটা লেখা শুরু করেছি। অনেকটা নিজেকে নিয়ে। বলতে পারেন একেবারে আমার নিজের কথা।’
‘বাড়িতে কে কে আছেন?’
‘শ্বশুরবাড়িতে থাকি। বেশিদিন হয়নি আমার বিয়ে হয়েছে। আমি, আমার বর আর শাশুড়ি।’
‘তোমার হাজবেন্ড কী করে?’
‘সে হাউজ হাজবেন্ড। শাশুড়ির বাড়ি আছে। সেটার ভাড়া দিয়ে সংসার চলে।’
কিছু ভাবছিলাম হয়তো। চুপ করে ছিলাম। তুরি বলল, ‘আমার লেখা নোটবুক রেখে যাচ্ছি। আপনি পড়বেন। আমার জীবনকথা দিয়ে কীভাবে উপন্যাস লেখা যেতে পারে পড়ে বলবেন।’
‘দেখো মেয়ে, তোমার ভাবনা অন্যকেউ স্পর্শ করতে পারবে না। তুমি লিখলে যতটা জীবন্ত হবে, অন্য কেউ লিখলে সেটা হবে প্রাণহীন, কথার পিঠে কথা সাজানো।’
‘আমাকে শুধু বলবেন লেখাটা সাজাব কেমন করে। শুরুটা কীভাবে করব আর শেষ কোথায় হবে। শেষের কথা আগেই ভাবব কিনা। যদি ভাবি তাহলে সেখানে পৌঁছানোর জন্য কী করতে হবে—এসব।’
অন্যের লেখা পাণ্ডুলিপি কিংবা এমন ভাবনা পড়তে পছন্দ করি না। তবে তুরিকে উপেক্ষা করতে পারলাম না। নোটবুক রেখে দিলাম।

গাড়ির হর্ন বাজছে। তীব্র হর্ন। সবগুলো গাড়ি একসঙ্গে হর্ন দিচ্ছে। আনিস উঠে এসেছে গাড়িতে। গাড়ি ধীরলয়ে চলতে শুরু করেছে।
তীব্র হর্নের আওয়াজ কমে এসেছে। তবে কে কার আগে যেতে পারে এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। তাতে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে না। গাড়ি যাচ্ছে এক লেনে। ওভারটেক করার উপায় নেই।
একসময় গাড়ির হর্নের আওয়াজ থেমে এলো। গাড়ি স্বাভাবিক গতি পেয়েছে। এগিয়ে যাচ্ছে। নিজের ভেতরের অস্থিরতা চলে গেছে। প্রশান্তি বোধ হচ্ছে।
তুরির নোটবুক খুললাম। প্রথম পাতায় পাঁচ লাইনের কবিতা লেখা।

বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ
খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—
সন্ধ্যার নদীর জলে নামে যে আলোক
জোনাকির দেহ হতে—খুঁজেছি তোমারে সেইখানে
ধূসর পেঁচার মতো ডানা মেলে অঘ্রানের অন্ধকারে

পরপর দুবার পড়লাম কবিতাটা। জীবনানন্দ দাশের লেখা। কবিতা নিয়ে কিছু লেখা নেই। তুরি নোটবুকের শুরুতে কেন এই কবিতা লিখল বুঝতে পারছি না।
রাস্তা প্রায় ফাঁকা হয়ে এসেছে। গাড়ির চাপ একদম নেই। দুপাশে শালবন। শালগাছ কেটে বন উজাড় করে ফেলেছে। তবু মাঝেমাঝে ঘন হয়ে আসছে বন। মাথার ভেতর উচ্চারিত হচ্ছে প্রথম লাইন দুটো—

বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ
খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—

ঘুরেফিরে মাথার ভেতর অনুরণিত হয়ে যাচ্ছে। আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে। চোখের পাতা ভারী হয়ে এসেছে। সিটের পেছন দিকে মাথা হেলিয়ে দিলাম। আমিও বুঝি খুঁজে ফিরছি বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত দুই চোখ! যেমন খুঁজে ফিরেছিলেন জীবনানন্দ দাশ। হয়তো তুরিও একইভাবে খুঁজে ফিরছে। কবির মতো খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি—কুয়াশার পাখনায়—। তবে কি তুরিও!
সবকিছু ছাপিয়ে দুটো শব্দ আটকে গেল মাথায়—অঘ্রানের অন্ধকারে! যেখানে থমকে গেছি আমি। হতে পারে তুরিও থেমে আছে আমার মতো অঘ্রানের অন্ধকারে।
আলতোভাবে চোখ বন্ধ করে ফেললাম। রুশিয়ার কথা মনে পড়ছে। আমার কিশোর বেলার প্রেম।

(চলবে)

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বরুড়া ও মুরাদনগরে পৃথক দুইটি ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

জানাযায়, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে সোমবার দুপুরে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুইজন বড়হরিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন পয়ালগছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বিপ্লব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হালকা মেঘের মধ্যে শিশুরা মাঠে ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ বজ্রপাত হলে দুই ছাত্র মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত কিশোর দুজন হলেন পয়ালগাছা গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন(১৩) এবং আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন (১৩)।

বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে দু স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে একজন। হাসপাতাল থেকে নিহত দুজনের লাশ স্বজনরা বাড়িয়ে নিয়ে যান।

অপরদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরে জমির ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের মৃত বীরচরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬৪) ও আন্দিকুট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসীম উদ্দীন ভুইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নিখিল দেবনাথ ও জুয়েল ভূঁইয়া কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে পাশাপাশি জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়। পরে তাদেরকে আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে দেখে তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বর্তমানে দুজনের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে আছে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে তারা ঘটনাটি জানতে পারেন। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন