সুর বন্ধ করে, ভুতুড়ে পরিবেশে ইউক্রেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন আরমানি
জর্জো আরমানি একজন নামকরা ইতালিয়ান ফ্যাশন ডিজাইনার। ১৯৩৪ সালের ১১ জুলাই জন্ম নেওয়া প্রবীণ ও বিশ্বখ্যাত ডিজাইনার ‘আরমানি’ নামের নিজের ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেছেন ১৯৭৫ সালে।
পোশাক, গান, খেলা এবং বিলাসবহুল হোটেলের ব্যবসাও আছে তার। ইতালিয়ান ধারার সবচেয়ে সফল ফ্যাশন ডিজাইনার তিনি। ফ্যাশনের রেড কার্পেটের জনক। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভবন বুর্জ খলিফাতে তিনি ২০১০ সালে তার ‘দি আরমানি’ হোটেল চালু করেছেন। ২০২১ সালের ব্লমবার্গ বিলিয়নিয়ার তালিকায় তিনি আনুমানিক ৯.৫৩ বিলিয়ন ডলারের মালিক।
তিনি এই সপ্তাহের তার মিলান ফ্যাশন শোতে গান ও সুর বন্ধ করে দিয়েছেন। এভাবেই বিশ্বের অন্যতম প্রধান আইকন ডিজাইনার তার শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ইউক্রেনের সংঘাতে আক্রান্ত মানুষদের প্রতি। ভুতুড়ে পরিবেশে তার মডেলরা ক্যাটওয়ার্ক করেছেন। তারা অন্ধকারে চলাফেরা করতে গিয়ে থমকে গিয়েছেন। করতালি দিয়ে তাদের উদ্যোগগুলোতে আমন্ত্রিত অতিথিরা সমর্থন করেছেন।
মডেলদের পরণের ছোট জ্যাকেটগুলো চকচক করেছে, কালো ও সোনালী রঙের নতুন পোশাক প্রদর্শন করেছেন তারা। তার এই ফ্যাশন শোতে পুরুষ ও মহিলা ফ্যাশন মডেলরা কালো ভেলভেটের কোট, জ্যাকেট, ট্রাউজার পরেছেন। কোনো, কোনো সময় তারা পোশাকগুলোতে লেপে দিয়েছেন নীল বা লাল রঙের থিম। সেখানে নীল সিল্কের বিকেলের গাউন, স্লিভলেস বøাউজ, এমব্রয়ডারি করা ওপরের আলাদা অংশের লম্বা পোশাক ও ফুলের প্রিন্টের কাজ করা পোশাক ছিল। প্রদশনীটি আয়োজন করেছেন আরমানি তার ‘শীতকাল পড়ে আসার ফ্যাশন শো-২০২২ কালেকশন’ হিসেবে।
এরপর জর্জো আরমানি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে কালো ব্যানারে দিয়েছেন। তাতে লিখেছেন, ‘আমি কোনো ধরণের সুরের মূর্ছনা ব্যবহার বাদ দেবার সিদ্ধান্তটি ইউক্রেনের দু:খজনক ঘটনাগুলোতে আক্রান্ত মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি উপায়।’
৮৭ বছরের ডিজাইনার আরো বলেছেন, ‘সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আমরা উদযাপন করতে পারি না। কারণ আমাদের চারপাশে খুবই বিরক্তিকর কাজ হচ্ছে।’
মিলান ফ্যাশন উইকে সচরাচর আরমানির প্রধান পোশাকগুলো আসে। এই সেশনটি মূলত ব্যক্তিদের ক্যাটওয়ার্ক শো ছিল। ডিজিটাল উপস্থাপনের দিকে যায়নি ইতালির বিলাশবহুল ফ্যাশন হাউজ প্রাদা, গুচি, দোলচে ও গাবানার মতো বিশ্বখ্যাত ব্রান্ডগুলো।
ওএস।