কীভাবে সুখী হবেন? অসুখকে এড়াবেন?

কীভাবে সুখী হতে হবে ও অসুখী হওয়াকে এড়ানো যাবে-এই প্রশ্ন ব্রিটিশ কাউন্সিল মনোবিজ্ঞানীদের করেছিল। তারা উত্তরে বলেছেন, দারুণ কিছু কৌশল।
১. প্রচুর গবেষণার ফলাফল প্রমাণ করেছে, শারিরীকভাবে স্বাস্থ্যবান হওয়া এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখা রাগ এবং বিষন্নতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২. মানুষের শরীর ও মন গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত থাকে।
৩. বেশি ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, যথেষ্ট ঘুমানো, সূর্যালোকে যাতায়াত এবং এমনসব কাজ করে আমাদের জীবন ভালো স্বাস্থ্য ও মনের দিকে চলে যেতে পারে।
৪. জীবনযাপনে এই সহজ পরিবর্তনগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ব্যায়াম নিয়ে গবেষণায় জানা গিয়েছে, মানুষের মনের ওপর এর অনেক প্রভাব আছে।
৬. শারিরীক কাজকর্ম শরীর ও মনের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করা হরমোনগুলোকে মস্তিকে ভালো বোধ করা তৈরি করে দেয়।
৭. ঘুমানো শিশু ও কিশোরদের বেড়ে ওঠার, শরীরকে তৈরি করার সময়গুলোতে খুব প্রাণবন্ত রাখে। ফলে তারা ভালোভাবে বিকশিত হয়।
৮. একটি রাতের ভালো ঘুম যেকোনো মানুষকে পরদিন উত্তেজিত হওয়া থেকে বিরত রাখে ও এমন কাজ ঠেকাতে সাহায্য করে।
৯. ভালো থাকতে হলে মানুষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১০. একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধনের পূর্বশর্ত হলো, তাদের সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটানো।
১১. ভালো বোধের জন্য অন্তত একজন মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলো বিনিময় করতে হয়।
১২. একসঙ্গের সঙ্গে হৃদয় বিনিময় করাই ভালো মানসিকতার জন্য যথেষ্ট।
১৩. অনেক বন্ধু থাকার দরকার নেই। এমন অনেককে প্রয়োজন নেই, যাদের সবার সঙ্গে আলাপ, সময় কাটানো দরকার বা প্রিয় কোনো গান অথবা কোনো ফুটবল ম্যাচ নিয়ে গল্প করতে হবে। একজন ভালো বন্ধু হলেই হলো।
১৪. কিভাবে অন্যের কথা ভালোভাবে শুনতে হয়, সেই শিক্ষারও প্রয়োজন আছে। তাতে উন্নত ও শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব হয়।
