আজ বিশ্ব দাড়ি দিবস
ছবি: সংগৃহীত
আজ সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শনিবার, বিশ্ব দাড়ি দিবস। ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডারের তথ্যমতে, ২০১০ সালে দিনটির যাত্রা শুরু। দাড়িকে নাকি পৌরুষের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আবার দাড়ির মাধ্যমে একজন পুরুষের ব্যক্তিত্ব ও রুচির পরিচয়ও পাওয়া যায়। এমনকি নারীদের কাছেও পুরুষের দাড়ি একটি আকর্ষণের বস্তু।
কেউ রাখেন শখে। আবার কেউ রাখেন ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে। কিংবা স্টাইল সচেতন পুরুষরা-ও বর্তমান সময়ে দাড়ি রাখছেন। ধর্মীয় ঠিক থেকে বিবেচনা করলে, দাড়ি রাখা কোনো ফ্যাশন নয়, এটি ইবাদত। এটি মহানবী (সা.)-সহ অন্য সব নবী-রাসুলদের সুন্নত। সুন্নাহসম্মত দাড়ি কোনো ব্যক্তি মুসলিম হওয়ার অন্যতম নিদর্শন।
আল্লাহর রাসুল (সা.) দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) মোঁচ কাটার ও দাড়ি লম্বা করার আদেশ করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১/১২৯)
দাড়ি নিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের মজার কাহিনিগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের গল্পটি সবার আগে চলে আসে। একদিন ছোট্ট এক মেয়ের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছিলেন লিংকন। চিঠিতে লেখা ছিল, “দাড়ি রাখলে আপনাকে দেখতে সুন্দর লাগবে।” আর মেয়েটির সেই চিঠি পেয়েই দাড়ি রাখতে শুরু করেন লিংকন। এখন দাড়ি ছাড়া লিংকনকে কেমন লাগবে ভেবে দেখুন তো? এতো গেলো লিংকনের কথা।
দাড়ির জনপ্রিয়তা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যে আরও বেড়েছে তার প্রমাণ হালের হলিউড ও বলিউড অভিনেতা কিংবা ক্রিকেটার ও ফুটবলাররা। জেসন মোমোয়া হোক বা কার্তিক আরিয়ান, লিওনেল মেসি হোক কিংবা বিরাট কোহলি সবার নিজস্ব স্টাইল ও ব্যক্তিত্বের প্রতীক তাদের দাড়ি।
অনেকের-ই প্রশ্ন থাকে দাড়ি রাখা কি ভালো?
দাড়ি রাখার দারুণ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকার-ও রয়েছে। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মুখ হয়ে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয় দাড়ি। ফলে গলার কোনো রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতেও দাড়ির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।