রক্তের গ্রুপই বলে দেবে আপনার চরিত্র কেমন!
ছবি: সংগৃহীত
রক্তের গ্রুপের উপর না-কি অনেকটাই নির্ভর করে মানুষের ব্যাক্তিত্ব, এমনই মতামত জাপানের বিজ্ঞানীদের। এ কারণেই জাপানে রক্তের ধরনকে ‘কেটসুয়েকি-গাটা’ বলে বিবেচনা করা হয়। তারা রক্তের বিভিন্ন গ্রুপ অনুযায়ী নির্ধারণ করে থাকেন কে ভাগ্যবান বা কে কী ধরনের চাকরি পাবেন?
এমনকি কে কেমন মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন তাও না-কি রক্তের গ্রুপ জেনে বলে দেওয়া সম্ভব!
চলুন তবে নিজের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে মিলিয়ে নিন আপনি কেমন?
যদিও এটি সুডোসাইন্স (বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত না হলেও বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হিসেবে দাবি করা হয়) তবে বিষয়টি অনেক জনপ্রিয়।
‘ও’ গ্রুপ: যাদের রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ বা নেগেটিভ; তারা খুবই আত্মবিশ্বাসী, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, দুর্দান্ত স্ট্যামিনা এবং সর্বদা হাসি-খুশি প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এমন মানুষের উপর আপনি সহজেই নির্ভর করতে পারেন। তবে ও গ্রুপের মানুষেরা শুধু তাদের ভালো লাগার মানুষের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মেলামেশা করেন।
তারা কখনো কখনো অন্যের প্রতি উদাসীন থাকেন এবং নিজেকে নিয়ে বেশি ভাবেন। তবে তারা কাজ করতে কখনো আলস্যবোধ করেন না। অনেক কর্মঠ হয়ে থাকেন।
‘এ’ গ্রুপ: এ গ্রুপ রক্ত যাদের তারা অন্তর্মুখী, বুদ্ধিমান, সংরক্ষিত এবং সৎ হয়ে থাকে। তারা সবসময় পারফেক্ট থাকার এবং চলার চেষ্টা করেন। অর্থাৎ অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে থাকেন তারা। এ গ্রুপের রক্ত যাদের শরীরে বইছে; তাদের মস্কিষ্কের কর্টিসল হরমোন স্বভাবতই বেশি নিঃসরণ হয়।
এ কারণে তারা সর্বদা মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। কখনো কখনো খারাপ আচরণ করে থাকেন। এজন্য যোগব্যায়াম বা চিত্রকর্মের মতো কিছু শিথিল কাজকর্মের মধ্যে এ গ্রুপের মানুষদের থাকা জরুরি। তারা কোনো কাজ করার আগে দু’বার চিন্তা করেন। তারা সহজে কাউকে বিশ্বাসও করতে পারেন না।
‘বি’ গ্রুপ: বি গ্রুপের মানুষেরা অন্যদের তুলনায় বেশি সৃজনশীল, কৌতূহলী এবং সক্রিয় হয়ে থাকেন। যদিও বি গ্রুপের মানুষদের স্বভাবে স্বার্থপরতা থাকে; তবে তারা সবচেয়ে বেশি যত্নশীল। তারা মানসিকভাবে অনেক শক্ত ও স্বতন্ত্রবাদী হয়ে থাকেন।
তারা কখনো কে কি বলবে? সে ভয়ে চলেন না। নিজের মন মতো চলতে পছন্দ করেন। তারা নিজস্ব পথ খুঁজে নেন এবং নিজের নীতিতেই অবিচল থাকেন। সময়বিশেষে তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় এবং একবার কোনো কিছুর প্রতি মনস্থির করলে সেটি করেই দম নেন!
‘এবি’ গ্রুপ: মিশ্র রক্তের গ্রুপ যাদের; তাদের বৈশিষ্ট্যও মিশ্র ঘরানার। এবি গ্রুপের মানুষেরা অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী উভয়ই হতে পারে। তারা কলা এবং বিজ্ঞান বিষয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন। তারা স্বভাবতই উচ্চাভিলাষী ও চিন্তাশীল হন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পছন্দ করেন তারা।
তাদের ব্যক্তিত্বগুলো বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পরপরই তাদের আবেগের ভিত্তিতে দ্রুত পরিবর্তিত হয়। কখনো কখনো এমন মানুষেরা দ্বিমুখী আচরণ করে থাকেন। তাদের রক্ত মতোই, ব্যক্তিত্বেও বিরল বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।