যে ১০ উপায়ে সংসারের খরচ কমাবেন
ছবি: সংগৃহীত
সাধারণত এক জন মানুষের আয়ের কত শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত তা নির্ভর করে, তার আয় এবং অবশ্যম্ভাবী ব্যয়ের ওপর। অর্থনীতির সাধারণ হিসাব হচ্ছে, এক জন মানুষের আয়ের মোটামুটি এক চতুর্থাংশ, অর্থাৎ ২০-২৫ শতাংশ অর্থ যদি কেউ নিয়মিত সঞ্চয়ের অভ্যাস করতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যৎ জীবনে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়না।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেখা যাচ্ছে কিছুই জমানো সম্ভব হচ্ছে না। কিছুতেই রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না সংসারের খরচের। এক খাতে খরচের লাগাম টেনে ধরলে বেড়ে যাচ্ছে অন্য খাতে। আয়ের তুলনায় ব্যয়ের মিল নেই। তাই মাস শেষে ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে। এমতাবস্থায় একটু পরিকল্পনা করে চলার বিকল্প নেই। কীভাবে দৈনন্দিন খরচ কমাবেন সে বিষয় জানা থাকলে কিছুটা হলেও ব্যয় কমানো সম্ভব হবে।
জেনে নিন কিছু উপায়-
১. অফিসে যাওয়ার জন্য হেঁটেই বাসস্ট্যান্ডে যান। রিকশা ভাড়া বাঁচান। সকালের হাঁটা হয়ে যাবে। তবে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বের হতে হবে। আবার অফিস থেকে ফেরার পথে বাস থেকে নেমে রিকশায় না চড়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরুন। প্রতিদিনের সামান্য টাকা মাস শেষে বড়ই হবে।
২. মাসের শুরুতেই বাজেট বানান। সেই বাজেট থেকে ফের কাটছাঁট করুন। তার পরেও কেনার সময়ে দরদাম করে কিনলে দেখবেন কিছুটা পয়সা বাঁচবে।
৩. অযথা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন না। কেনাকাটা করার সময় প্রয়োজনের কথা ভেবেই কিনুন। যেখানে একটু কমদামে কেনাকাটা করা যাবে সময় নিয়ে সেখান থেকে কেনাকাটা করুন।
৪. মাসের খরচের বাজেট করুন এই মাসের ৫ তারিখ থেকে পরবর্তী মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত। এভাবে সময় বাড়িয়ে বাজেট করলে ঝামেলা ও খরচ দুটোই কম হবে।
৫. যে জিনিস পরেও কাজে লাগবে, তা একসঙ্গে বেশি করে কিনুন। মূল্য ছাড়ের সময় একসঙ্গে বেশি করে কেনাকাটা করে রেখে দিতে পারেন। কোথায় কী কিনলে ছাড় মিলছে খোঁজ রাখুন। কুপন পেলে রেখে দিন। পরবর্তী সময়ে তা দিয়েই কেনাকাটা করুন।
৬. অনলাইন কেনাকাটায় অনেক ধরনের ছাড় থাকে। সে সবের খোঁজখবর রাখুন। অনলাইন কেনাকাটায় খরচ কম পড়ে।
৭. দামি দামি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। বিশেষ অফার চলছে কিংবা ছাড় পাওয়া যাবে এমন রেস্তোরাঁর খোঁজখবর রাখুন। পরিবার নিয়ে খেতে হলে সে সব জায়গায় যান।
৮. অতি প্রয়োজন না হলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা বাদ দিন। সুদের হার অনেক বেশি। মাসের শুরুতে বাজেট করে সেই টাকার মধ্যে কেনাকাটার চেষ্টা করুন।
৯. সেভিংস অ্যাকাউন্টে সামান্য হলেও নিয়মিত টাকা রাখুন। এটা অটোমেটিক ট্রান্সফার হলে ভালো হয়। প্রতি মাসের শুরুতেই নির্দিষ্ট অর্থ মিউচুয়াল ফান্ড বা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করুন।
১০. যেদিন নিমন্ত্রণ থাকবে সেদিন বাড়িতে রান্নাবান্নার ঝামেলা কম করুন। আর গিফট কখনো বাজেটের বাইরে গিয়ে কিনবেন না।