আজ বিশ্ব ‘হ্যালো’ দিবস
ছবি সংগৃহিত
আমরা সাধারণত কারো সঙ্গে কথোপকথনের শুরুতে 'হ্যালো' বলি। তার মানে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান শব্দ হলো এই 'হ্যালো'। তবে, আপনি জানলে অবাক হবেন 'হ্যালো' নিয়ে একটি দিবস আছে! আর আজ সেই দিন। প্রতিবছরের ২১ নভেম্বর বিশ্ব হ্যালো দিবস উদযাপন করা হয়। ভাবতে পারছেন, একটি শব্দের জন্য একটি দিবস! তাহলে বুঝুন শব্দের কত শক্তি।
হ্যালো দিবস কেন পালন করা হয়? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝাতে হ্যালো দিবস পালন করা হয়। তবে, এই দিবস পালনের পেছনে একটি দীর্ঘ গল্প আছে।
সর্বপ্রথম টেলিফোনের মাধ্যমেই ‘হ্যালো’ শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন। শুধু ফোনেই নয় বরং পরিচিত বা অপরিচিত কারও সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রেও হ্যালো শব্দটির প্রচলন অনেক আগে থেকেই।
১৯৭৩ সালে প্রথম বিশ্ব হ্যালো দিবস পালন করা হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মানুষকে এটা বোঝাতে যে, সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ, সহিংসতা নয়। ১৯৭০-এর দশকে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব ছিল। তখন অনেকের আশঙ্কা ছিল হয়তো আরেকটি বড় যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
বিশ্ব হ্যালো দিবস প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে শেষ হওয়া ইওম কিপুর যুদ্ধের প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া হিসেবে পালন করা হয়। ওই যুদ্ধ শেষে শান্তি আলোচনায় ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আরব ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সরাসরি আলোচনার জন্য মিলিত হন।
আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গ্র্যাজুয়েট ব্রায়ান ম্যাককরম্যাক এবং হার্ভার্ডের স্নাতক মাইকেল ম্যাককরম্যাক বিশ্ব হ্যালো দিবসের ধারণাটি প্রকাশ্যে আনেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৪৮ বছর ধরে ১৮০টি দেশে বিশ্ব হ্যালো দিবস উদযাপিত হয়। কারণ, এই প্রতিটি দেশের নাগরিকরা বিশ্ব শান্তির জন্য তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে এই দিনটি উদযাপন করে।
বিশ্ব হ্যালো দিবস নিয়ে মোটামুটি কিছু ধারণা পেলাম। এবার আসি কীভাবে দিবসটি উদযাপন করবেন সেই প্রসঙ্গে। সবচেয়ে সহজ উপায় হলো আজ অন্তত ১০ জনকে হ্যালো বলুন। আপনি যদি উদযাপনকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাহলে এমন একজন ব্যক্তির কথা ভাবতে পারেন যে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তার সঙ্গে কথা বলুন, যোগাযোগ করুন। এতে আপনাদের সম্পর্কও মজবুত হবে।