ছানি পড়ার আগেই যে সব বিষয় সতর্ক হওয়া জরুরি
ছবি সংগৃহিত
এক বার, দু’বার, তিন বার— চশমা চোখে সুচে সুতো পরাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বয়স বেশির দিকে এগোতে থাকলে এমন নানা সমস্যার সম্মুখীন হতেই হয়। কিন্তু ৪০ পেরোনোর আগেই যদি দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কী করণীয়? রেটিনার সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা অন্য বিষয়। তবে এই সমস্যা যদি ছানি থেকে হয়, তা হলে অস্ত্রোপচার ছাড়া কিন্তু গতি নেই।সব সময়ে যে বয়সের কারণেই চোখে ছানি পড়ে, তা নয়। ডায়াবিটিস, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস থেকেও অল্প বয়সে ছানি পড়তে পারে। ছানি এক বার পড়ে গেলে তা প্রতিরোধ করার কোনও উপায় নেই। তবে আগে থেকে কিছু সতর্কতা মেনে চললে ছানি পড়ার গতি কিছুটা শ্লথ করা সম্ভব।
ছানি কি...?
"ছানি" শব্দটি গ্রীক শব্দ থেকে উদ্ভূত কাটরাকটেস যা শিথিলভাবে জলপ্রপাতকে অনুবাদ করে। এটি বিশ্বাস করা হয়েছিল যে মস্তিষ্ক থেকে একটি জমাট তরল চোখের লেন্সের সামনে প্রবাহিত হয়েছিল। আজ, চোখের ছানি আপনার চোখের লেন্সের মেঘলা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
যখন চোখের মধ্যে উপস্থিত প্রোটিনগুলি জমাট বাঁধে, তখন এটি একটি মেঘলা, অস্পষ্ট রূপরেখার সাথে দৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করে। এটি ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে এবং আপনার দৃষ্টিতে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে এবং যদি চিকিত্সা না করা হয় তাহলে সম্পূর্ণ অন্ধত্ব হতে পারে।
১) অতিবেগনি রশ্মি
ঘুরতে গিয়ে ছবিতে সুন্দর দেখাবে বলে চোখে রোদচশমা দেন। অন্য সময়ে তা পরার কথা মনেও থাকে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই রোদ থেকে চোখ বাঁচিয়ে রাখতে গেলে রোদচশমা পরার অভ্যাস করতেই হবে।
২) পুষ্টিকর খাবার
চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে প্রতি দিন পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। চোখের জন্য ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও হলুদ, লাল এবং কমলা রঙের সব্জি বা ফলে ভিটামিন এ-র পরিমাণ বেশি। তা ছাড়াও পালং শাকের মতো শাকপাতাও চোখের জন্য উপকারী।
৩) নিয়মিত চোখ পরীক্ষা
বেশি দিন পর্যন্ত চোখ ভাল রাখতে ৩০ বছরের পর থেকেই নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করাতে হবে। চোখের কোনও সমস্যা না থাকলেও চক্ষু চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। পরিবারে কারও যদি অল্প বয়সে চোখে ছানি পড়ার ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া প্রয়োজন।
ছানি রোগের প্রতিকার কি...?
পরিচিতি বা নতুন চশমা: কন্টাক্ট লেন্স বা চশমার জন্য একটি নতুন প্রেসক্রিপশন ব্যক্তিকে ছানি পড়ার প্রাথমিক পর্যায়ে ভাল দেখতে সাহায্য করতে পারে।
ঘরোয়া চিকিৎসা: ছানির লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি চিকিত্সা করার সর্বোত্তম উপায় হল একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা।
যাইহোক, আপাতত, একজন ব্যক্তি চোখের ছানি রোগের লক্ষণগুলি পরিচালনা করতে ছোট পরিবর্তন করতে পারেন:
1.কর্মক্ষেত্রে এবং বাড়িতে উজ্জ্বল লেন্স ব্যবহার করার চেষ্টা করুন
2.পড়া এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য ম্যাগনিফাইং চশমা ব্যবহার করার চেষ্টা করুন
3.অ্যান্টি-গ্লেয়ার সানগ্লাসে বিনিয়োগ করুন
সার্জারি: যদি আপনার চোখের ছানি আপনার দৈনন্দিন কাজকর্ম যেমন ড্রাইভিং, পড়া, টেলিভিশন দেখা ইত্যাদির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আপনার ডাক্তার অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিতে পারেন যার মাধ্যমে তারা একটি কৃত্রিম আইওএল দিয়ে ক্লাউড লেন্স প্রতিস্থাপন করে।