শিশুর ওজন নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে
বিশ্বজুড়ে করোনার ভয়াল থাবা। নানা বিধি-নিষেধের মধ্যে পড়ে অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান। আর এর কারণে ঘরে শুয়ে-বসেই বেশি সময় কেটেছে শিশুদেরও।
ঘরে বসেই চলছে স্কুল-কলেজ, খেলা থেকে গানবাজনার শিক্ষাও হচ্ছে অনলাইনে। বাইরে বেরোনো, হাঁটাচলা সবই বন্ধ হয়ে যায়। এ সুযোগে নানা অসুখ-বিসুখ চেপে বসেছে শরীর-মনে।
করোনাভাইরাস মহামারির জেরে কত রকম ক্ষতি হচ্ছে, তা ধীরে ধীরে চোখে পড়ছে সবার। আর তা নজরে পড়তেই বিশেষভাবে চিন্তা বেড়েছে শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে।
মহামারির এ সময়ে শিশুদের ওজন বাড়ার সমস্যা এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ব্যায়াম বা খেলার জন্য বেরোনোর সুযোগ বিশেষ ঘটছে না এখানে।
এমন ক্ষেত্রে যেভাবে শিশুর যত্ন নিতে হবে :
ব্যায়াম
শিশুর শরীরচর্চার জন্য আলাদা সময় বের করুন। তার স্কুল ও নিজের অফিসের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে প্রতিদিনই অন্তত ২০ মিনিট হাতে রাখুন। শিশুর একা একা বাড়িতে ব্যায়াম করতে ভালো না লাগতে পারে। তাকে সঙ্গ দিন। নিজের ও সন্তানের শরীর ভালো থাকবে এতে।
খাওয়া
কাজের মাঝে খাই খাই করে মন। বাড়িতে কিছু করার না থাকলেও অনেক সময়ে তেমন ঘটে। আর তখনই যাবতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝোঁকে মানুষ। বার্গার, ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করুন। শিশুও তবে সেসব পাবে না হাতের কাছে। বাড়িতে বোতলবন্দি কোমল পানীয় আনাও কমিয়ে দিন। তাতেও সমস্যার সমাধান খানিকটা হবে। এ সবের বদলে ফল, বাদাম, দুধ- এমন ধরনের খাবার খাওয়ান।
ফোন-টিভি
মা-বাবা দিনভর কাজে ব্যস্ত। শিশুরও বাইরে খেলতে যাওয়া নেই। ফলে লেখাপড়া শেষ হলেই টিভি কিংবা ফোনে মগ্ন থাকে সন্তান। এমন ছবি দেখা যায় ঘরে ঘরে। শিশুকে সেসব যন্ত্র ব্যবহার করতে দিয়ে নিজেদের মতো শান্তিতে কাজ করার সুযোগ পান মা-বাবাও। কিন্তু তেমন করলে চলবে না। ফাঁকা সময়ে অল্প অল্প করে বাড়ির কাজ করার অভ্যাস করান শিশুকে। তাহলে এক জায়গায় বসে থাকার প্রবণতা কমবে।
এসব অভ্যাসে বদল আনলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে শিশুদের স্থুলতার সমস্যা।
এসএন