ভালো পোশাক-আষাকের গল্প
ভালো আচরণের ভালো দৃষ্টান্ত হলো পোশাক-টম ফোর্ড, নিউ ইয়র্কের ফ্যাশন হাউজ টম ফোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা।
১. পোশাকের মাধ্যমে একটি ভালো শারিরীক উপস্থাপন একটি গুরুত্বপূণ এবং কার্যকর উপায় হলো মানুষের দৃষ্টি কাড়া ও তাদের মধ্যে ছাপ ফেলে দেওয়ার।
২. প্রথম দর্শনে এভাবে তৈরি হয় প্রথম প্রস্তুতি। এটি ভালো মনোযোগ কাড়ার মাধ্যমে যে কোনো মানুষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয় এবং যেকোনো ধরণের ব্যবসায়িক চুক্তিতে সহজভাবে আগানো যায়।
৩. ভালো পোশাক পরা মানুষটি সবসময় ভালো আচরণ করেন সাধারণত। তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।
৪. পোশাক পরার ক্ষেত্রে নিজের মধ্যে কঠিন আচরণ তৈরি হয় এমন কোনো পোষাক পরা উচিত নয়। শরীরের ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরা ভালো। খেয়াল রাখতে হবে অন্যেরও যেন আপনার পোষাক ভালো লাগে। নিজের কাছে স্বাচ্ছন্দ্যের মনে হয়।
৫. ভালো পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ভালো জুতাও পরা ভালো। জুতো রং এবং ধরণ দেখে কেনা উচিত। যে ধরণের রঙ ভালো লাগে, পরতে আরামদায়ক হয়, সেই ধরণের জুতো পরা ভালো।
৬. ফরমাল, পরিষ্কার ও পলিশ করা জুতোর প্রতি সবসময় মনোযোগ থাকা প্রয়োজন।
৭. পোশাকের ক্ষেত্রে সেটি যেন শরীরের সঙ্গে ভালোভাবে ফিট করে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার দেহের চেয়ে বড় ও অন্য রকমের প্যান্ট পরা উচিত নয়। সাধারণ কোনো পোষাক কিন্তু শরীরের সঙ্গে মানানসই, ফিট করেছে তেমন পোশাক পরার জন্য বেছে নেওয়া ভালো।
৮. অনেকে সানগ্লাস পরতে ভালোবাসেন। এটি মানুষের পছন্দের কাজ, শখ। এমন কোনো সানগ্লাস পরা প্রয়োজনীয় নয়, যেটি আপনার নাকের নিচে চলে আসে একটু পর পর, মুখের সঙ্গে মানানসই নয়। আপনাকে সিরিয়াস দেখাবে, সেটি সানগ্লাস না হওয়াই ভালো।
৯. আপনার পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে সানগ্লাস পরা আরো ভালো। যেটি ফিট করে ভালো সেটি দারুণ।
১০. পোশাকের ক্ষেত্রে সঠিক কালারটি নির্বাচন করা উত্তম। আপনাকে এই রঙ উপস্থাপন করে। ফলে নিজের দিকে খেয়াল রেখে পোষাকের রঙ বেছে নেওয়া ভালো।
১১. অনেকের কালো রঙ প্রিয়। এই রঙটি শক্তিশালী। রঙের মধ্যে প্রতিনিধিত্বকারী। লাল মনোযোগ আকর্ষণকারী, নীল ভালোবাসা তৈরি করে, সাদা শুভ্রতার প্রতীক, হলুদ আলোকিত রঙ। ফলে রঙ বাছাই করাও একজন ভালো পোশাক পরা মানুষের কাজ।
১২. আবার এমন কোনো রঙ পোশাকের ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া ভালো নয় যেটি দৃষ্টিকটু। অন্যের চোখে লাগে। ফলে সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য ও ভালো লাগার রঙ বেছে নেওয়া প্রয়োজন।
১৩. হাসা মানুষের খুব প্রয়োজনীয় কাজ। কোনোভাবেই এটি খারাপ কাজ নয়। ফলে ভালো পোশাক পরে চলাফেরার সময় মুখে হাসি থাকাও প্রয়োজন। তাতে আপনার এবং অন্যের মন ভালো থাকে।
১৪. পারফিউম দেওয়া কাজের কাজ। তাতে ঘামের গন্ধ, বিরক্তি উৎপাদন হয় না। আবার সুবাস ছড়িয়ে মুগ্ধ করে সবাইকে। ফলে ভালো পোষাক পরলেন, ভালো জুতো আছে পায়ে কিন্তু পারফিউম নেই কোনো শরীরে এ কাজের কাজ নয়। তাই বেরুনোর আগে পারফিউম দিতে ভুলবেন না। অভ্যাস করতে করতে হয়ে যাবে যারা নিয়মিত নন বা কখনো দেন না।
১৫. ভালো আচরণের জন্য ভালো পোশাক, নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপনের জন্য নিজের পরিচ্ছেদের অংশ হলো ভালো পারফিউম দিয়ে চলা। কাজের দিনগুলোকে আপনাকে গ্রহণযোগ্য করে রাখবে।
১৬. যে ব্যাগটি বহন করছেন সেটির প্রতিও মনোযোগ দিন। সেখানে আছে ফাইল, খাবার, টুকিটাকি দরকারী নানা কিছু। এমন কোনো ব্যাগ বহন করবেন না যেটি আপনার প্রয়োজনের চেয়ে বড় বা অনেক ছোট। আবার মানানসই নয়, দেখতে ভালো নয় এমন কোনো ব্যাগ না নিয়ে চলাফেরাই ভালো।
১৭. বড় ব্যাগ ভারী হয়। আবার সেখানে ছোট, ছোট জিনিশ আছে আপনার। ব্যাগ চেইন খুলে কাজ করছেন তাতে মানুষের বাজে মনোযোগ কাড়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার গাদাগাদি করা ছোট ব্যাগ আপনার র্নিবুদ্ধিতার পরিচয় বহন করতে পারে।
ছবি : অনলাইন।