সৌন্দর্যবর্ধনে 'থাপ্পড়' থেরাপি
সৌন্দর্য বাড়াতে বিভিন্ন টোটকা প্রয়োগ করেন নারী-পুরুষ সবাই। তার মধ্যে বেশ কিছু পদ্ধতি জানলে আপনার চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার অবস্থা হতে পারে। এর মধ্যে একটি হলো থাপ্পড় থেরাপি। সৌন্দর্যবর্ধনে বিশ্বে এই অদ্ভুত থেরাপি প্রচলিত আছে। এতে চড় মেরে মানুষের সৌন্দর্য বাড়ানো হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই থেরাপি খুব জনপ্রিয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা শত শত বছর ধরে থাপ্পড় থেরাপি নিচ্ছেন। দেশটির নারীরা তাদের সৌন্দর্য বাড়াতে প্রতিদিনই তাদের গালে ৫০টি থাপ্পড় মারে। তারা বিশ্বাস করেন যে, এই থেরাপি ত্বকের উন্নতি করে। এতে নারীরা নাকি আগের চেয়ে বেশি সুন্দরী হয়ে ওঠেন।
থাপ্পড় থেরাপির অর্থ এই নয় যে কাউকে খুব জোরে চড় মারতে হবে। খুব আরামে ও হালকা হাতে গালে চড় মারতে হয় এ থেরাপিতে। ব্যক্তি নিজের হাতেই এ থেরাপি নিতে পারেন। পদ্ধতি অনুযায়ী, আপনাকে আপনার উভয় গালে তীক্ষ্ণভাবে আপনার হাত দিয়ে চাপ দিতে হবে। যদিও এ থেরাপি প্রাচীনকাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রচলিত। কিন্তু ধীরে ধীরে এই থেরাপি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে।
এ থেরাপির মাধ্যমে গালে হালকা থাপ্পড় দেওয়া হলে মুখের প্রতিটি অংশে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। যা ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
থাপ্পড়ের কারণে মুখে রক্ত সঞ্চালন সতেজ ভাবে হয়। এতে মুখ উজ্জ্বল হয়। জানলে অবাক হবেন, দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা প্রতিদিন এই থাপ্পড় থেরাপি ব্যবহার করেন।
কোরিয়ান নারীরা ছোট থেকেই এ থেরাপি নেওয়া শুরু করেন। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়তে থাকে। নারীর পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার পুরুষরাও এ থেরাপি ব্যবহার করেন।
এই থেরাপি সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না। এ কারণে একে অ্যান্টি-এজিং থেরাপিও বলা হয়।
টিটি/