বিশ্ব চড়ুই দিবস আজ
বেশ কয়েক বছর আগেও ঘুলঘুলিতে বাসা বেঁধে সংসার পাতত চড়ুইরা। আয়নার সামন উড়ে উড়ে ছোট্ট ঠোঁট দিয়ে কাচ ঠোকরানো এখন প্রায় নস্টালজিয়ার সামিল। শহরে হোক বা গ্রামে চড়ুইরা মানুষের কাছাকাছিই যেন ছিল এই কিছু দিন আগে অবধি। সেই ঘুলঘুলিও নেই, সেই কিচিরমিচিরও না। হারিয়ে যেতে বসা এই ছোট্ট পাখিদের প্রতি সচেতনতা বাড়াতে তাই প্রতি বছর ২০ মার্চ বিশ্ব চড়ুই দিবস পালিত হয়। মোবাইলের টাওয়ারের বাড়বাড়ন্ত এবং শব্দ দূষণ বৃদ্ধির কারণে ছোট্ট চড়াইরা বিলুপ্তির পথে। ন্যাশনাল ফরএভার সোসাইটি ইন্ডিয়া, ইকো-সিস অ্যাকশন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এক আন্তর্জাতিক উদ্যোগ হিসাবে বিশ্ব চড়ুই দিবসের সূচনা করেছে। বিশ্বজুড়ে আরও অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা চড়ুইসহ বিলুপ্তির পথে থাকা অন্যান্য পাখি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রথম বিশ্ব চড়ুই দিবস পালিত হয়েছিল ২০১০ সালে। তখন থেকেই প্রতি বছর দিনটি পালিত হয়। পাখি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় দ্য নেচার ফরএভার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন মহাম্মদ দিলাওয়ার। একজন সংরক্ষণবাদী হিসেবে এই প্রচেষ্টার জন্য ২০০৮ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাঁকে ‘হিরোস অফ দ্য এনভায়রনমেন্ট’ সম্মান দেয়। এই দিবসের উদ্দেশ্যই হল চড়ুই ও অন্যান্য পাখির তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা। জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতির সৌন্দর্য রক্ষায় মানুষ এই দিনটি উদযাপন করে।
এই দিনে বিভিন্ন সংস্থা, পরিবেশকর্মীরা এবং সাধারণ মানুষ নানান উদ্যোগ নেন যাতে পাখিদের বাঁচাতে আরেকটু সংবেদনশীল হয় মানুষ।
বিশ্ব চড়ুই দিবস ২০২১-এর থিম ছিল ‘আমি চড়ুইকে ভালোবাসি’। চড়ুইরা বাড়ির উঠোন, সবুজের মাঝে এবং শহুরে এলাকাতেও বাস করে। প্রায় দুই দশক ধরে চড়ুইয়েরর জনসংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এই দিনটি চড়ুই সংরক্ষণের বিষয়ে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই পালিত হয়। এ বছরের থিম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।